মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৩, ২০১৯

মঙ্গলকোটে এসইউসি বিজেপির থেকেও এগিয়ে



মোল্লা জসিমউদ্দিন , 

রাজনৈতিক শক্তি বিন্যাসে মঙ্গলকোটে চতুর্থস্থানে রয়েছে বিজেপি। যদিও এই পরিসংখ্যান টি বিগত ভোট গুলির নির্বাচনী ফলাফলের ভিক্তিতে। ২০১৮ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই বিধানসভা এলাকাটি বিরোধীশুন্য হয়েছিল অবশ্য । মঙ্গলকোটের রাজনৈতিক বলয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে তৃনমূল, দ্বিতীয় তে সিপিএম, তৃতীয়তে কংগ্রেস এবং চতুর্থ স্থানে বিজেপি দলটি৷ নিন্দুকেরা বলেন - বিজেপির থেকে এসইউসির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বেশি দেখা যায় মঙ্গলকোটের বুকে। নিয়মিত প্রচার চালায় এসইউসি দলের নেতা কর্মীরা।    ২০১১ সালে বিধানসভার পূর্বে অতি বামদুর্গ হিসাবে পরিচিত ছিল এই মঙ্গলকোট। নিখিলানন্দ সরের মত  সিপিএম সাংসদ,   অঞ্জন মুখার্জির মত আরএসপির নেতা গড়েছে এই মঙ্গলকোট। সেইসাথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে তৃণমূল গড়া সাংসদ সেই অজিত পাঁজার পৈতৃক ভূমি হল এই  মঙ্গলকোট । বামেদের এতই প্রভাব ছিল  মঙ্গলকোটে যে, ২০১১ সালে রাজ্যজুড়ে পরিবর্তনের সুনামি আছড়ে পড়লেও মঙ্গলকোট আসন টি পেয়েছিল সিপিএম। এমনকি ২০১৪ সালের লোকসভায় ২৪ হাজারে পিছিয়ে ছিল এবং ২০১৬ এর বিধানসভায় মাত্র ১২ হাজারে পিছিয়ে ছিল সিপিএম। তাই মঙ্গলকোটে পদ্মফুল কাস্তে হাতুড়ি তারায় নড়বড়ে হয়েছে । জাতীয় কংগ্রেস ২০১৩ এর পঞ্চায়েত ভোটের আগে পর্যন্ত যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল এখানে । বিশেষত মঙ্গলকোটের কৈচর ২, শিমুলিয়া ২, ঝিলু ২, ভাল্যগ্রাম, মাঝীগ্রাম পঞ্চায়েত গুলিতে দীর্ঘদিন ক্ষমতাসীন ছিল তারা। তাই মঙ্গলকোটের মাটিতে তৃনমূল  বিরোধী হিসাবে সিপিএম কংগ্রেস অনেকটাই এগিয়ে বিজেপির তুলনায় । সেখানে মঙ্গলকোটের নিগন, কৈচর ১, পালিগ্রাম, চাণক এলাকার হাতেগোনা কয়েকটি গ্রামে বিজেপির কর্মী সমর্থক রয়েছে। তাও প্রকাশ্যে না, মিটিং মিছিল তে দশ কুড়িজনের লোক বের হয় বিজেপির তরফে। সেভাবে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের দুর্নীতি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে স্থানীয় বিজেপি কে গনমুখি আন্দ্রোলনে দেখা যায়নি মঙ্গলকোটের বুকে  । আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মঙ্গলকোটের ১৮০ টি গ্রামের মধ্যে ২ থেকে ৩ টি গ্রামে বেশকিছু বাড়ীতে দেওয়াল লিখন করতে পেরেছে বিজেপি। এই আসনের প্রার্থী অধ্যাপক রামপ্রসাদ দাস ( বোলপুর আসন)  ইতিমধ্যেই মঙ্গলকোটে দশের বেশিবার এসেছেন। কৈচর হাটতলায় সভাতে গোটা পঞ্চাশ লোক হয়েছিল। আবার পদযাত্রায় চার থেকে পাঁচজন হচ্ছে। সেখানে সিপিএম প্রার্থী রামচন্দ্র ডোম বহুগুণ এগিয়ে রয়েছেন । স্থানীয় বিজেপি নেতারা অবশ্য প্রতিস্টান বিরোধী হাওয়ায় বিশ্বাসী, কোন রাজনৈতিক  ধারাবাহিকতায় সক্রিয়  না হয়েই! এমনকি মঙ্গলকোটে সিংহভাগ বুথে নির্বাচনী এজেন্ট খুঁজে পাচ্ছেনা বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানে প্রায় বুথে এজেন্ট ঠিকঠাক করে ফেলেছে সিপিএম। মঙ্গলকোটে কৃষির ক্ষতিপূরণ নিয়ে কিংবা স্থানীয় থানার মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ঘটনাগুলিতে উচ্চবাচ্য করেনি বিজেপি। তাই শাসকদল  বিরোধী ভোটব্যাংক বিজেপির অনুকূলে যাওয়া অনিশ্চিত। আবার 'সংখ্যালঘু' ব্লক হিসাবে ঘোষিত মঙ্গলকোটে বিজেপির সংখ্যালঘু মুখ নেতা কর্মী  নেই বললেই চলে । উল্টে ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল অবধি বিধায়ক থাকা শাহজাহান চৌধুরী বিধায়ক তহবিলে সংখ্যালঘু উন্নয়নে যেমন ভূমিকা নিয়েছেন। ঠিক তেমনি এমএসডিপি অনুদানে কোটি টাকার শোলাহাব দুর্নীতি নিয়ে বিধানসভায় বারবার সরব হয়েছেন। আবার মুখ্যমন্ত্রী কে লিখিত অভিযোগও জানিয়েছেন তিনি। তাই বিজেপির সারাবছর নিস্ক্রিয়তা যেমন মঙ্গলকোটে প্রভাব পড়বে, অপরদিকে সিপিএমের যথাযথ শাসকদল বিরোধী হিসাবে কার্যকলাপ লোকসভায় প্রভাব ফেলবে বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে।                                                                                                        

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER