শনিবার, মে ০৪, ২০১৯

ভোট পরবর্তী হিংস্বায় জ্বলছে মঙ্গলকোট আউশগ্রাম কেতুগ্রাম কাটোয়া


 মোল্লা জসিমউদ্দিন ,

এই রাজ্যে আটটি আসনের লোকসভা ভোট পর্ব মিটেছে। পূর্ব বর্ধমান জেলায়  ভোটগ্রহণ হয়ে গেলেও রাজনৈতিক সংঘর্ষে এখনও থমথমে বহু এলাকা।  উপদ্রুত অঞ্চলগুলি সংখ্যা কুড়ির বেশি । ভোট পরবর্তী হিংস্বার ঘটনা দেখা গেছে, পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার - আউশগ্রাম - মঙ্গলকোট - কাটোয়া - কেতুগ্রাম জুড়ে। ভাতারের শিকারপুরে শাসকদলের আভ্যন্তরীণ সশস্ত্র হামলায়  জখম  হয়েছেন চারজন। আউশগ্রামের ছোঁড়ায় বিজেপি বনাম তৃণমূলের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন পাঁচজন। যদিও স্থানীয় থানার পুলিশ আটজন কে গ্রেপ্তার করেছে অশান্তির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে । অপরদিকে কেতুগ্রামে খাঁজি, রাজিপুরে ব্যাপক বোমাবাজি চলেছে গত দুই থেকে তিনদিন ধরে ।গুরতর আহতর ঘটনা না ঘটলেও তুমুল উত্তেজনা রয়েছে ওইসব এলাকা জুড়ে। কাটোয়ার শ্রীবাটি গ্রামে সিপিএমের বুথ এজেন্ট সুকুর আলীর বাড়ীতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে। বাড়ীর প্রায় অংশ ভেঙে গেছে বিস্ফোরণে৷ তৃণমূলের তরফে মজুত বোমা থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে অভিযোগ তোলা হলেও সিপিএমের তরফে  বোমা হামলার দাবি রাখা হয়েছে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতির মাঝে সবথেকে বেশি অশান্তির ঘটনা ঘটেছে অনুব্রত গড় মঙ্গলকোটে। ভোটের দিন থেকে ঘটনার সুত্রপাত হলেও যার জের এখনও চলছে। মঙ্গলকোটের চারটি অঞ্চল যথা লাখুরিয়া, গোতিস্টা, পালিগ্রাম এবং চাণক এলাকায় উত্তেজনা চরমে। পরিস্থিতি এমন যে, পুলিশ বনাম আদিবাসীসমাজ মুখোমুখি লড়াই যেন এখানে। প্রায় দেড়দিন ধরে দফায় দফায় সশস্ত্রভাবে আদিবাসীরা বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ চালায়। থানার মেজবাবু ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিলেও আদিবাসীরা তা মানেনি। বাধ্য হয়ে মঙ্গলকোট থানার ওসি আদিবাসীদের লিখিত অভিযোগপত্র সাক্ষর করে রিসিভ করেন। অভিযুক্তদের মূল মাথাদের গ্রেপ্তার না করায় পুনরায় অশান্তির কালো মেঘ দেখা যাচ্ছে মঙ্গলকোটের বুকে। ভোটের দিন বিজেপির বুথ এজেন্টদের পরিবার দের হুমকি দেয় তৃনমূল আশ্রিত দুস্কৃতিরা। ইতিপূর্বে তারা পতাকা টাঙানো নিয়ে এক বিজেপি কর্মীর ভাগ্নে কে রক্তাক্ত করেছে। তাই আদিবাসী অধ্যুষিত এইসব এলাকায় তৃনমূলের বিরুদ্ধে এবং নিস্ক্রিয় মঙ্গলকোট থানার পুলিশ ঘিরে তীব্র জনরোষ জমছিলো। তাই ভোটের দিন প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া এবং পাঁচজন বিজেপি কর্মী  আদিবাসীদের মারধর করায় ক্ষোভ চরমে ওঠে।হাজার হাজার আদিবাসী হাতে তীর ধনুক হাসুয়া প্রভৃতি নিয়ে নুতনহাট গুসকারা সড়ক রুট অবরোধ চালায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ এলেও সমস্যা মিটেনি। এমনকি মূল অভিযুক্তরা এখনও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বলে আদিবাসীদের অভিযোগ।  পরিস্থিতি এমন যে, শাসক দলের এক অফিস দখল  করে নিয়েছে বিজেপির ক্ষুব্ধ স্থানীয় আদিবাসীরা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আদিবাসীর অভিযোগ - "বিভিন্ন সুত্রে আমরা জেনেছি যে আমাদের মাথাদের নামে রাস্ট্রদ্রোহিতার মামলা দিয়ে জব্ধ  করতে চাইছে স্থানীয় থানার পুলিশ "। উল্লেখ্য ইতিমধ্যে গত তিনবছরে কুড়ির বেশি গাঁজা মামলা হওয়ার নজির রয়েছে মঙ্গলকোটে। তবে পুলিশের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।                                                                                                                                                            

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER