মোল্লা জসিমউদ্দিন,
এখনো দু সপ্তাহ কাটেনি তুমুল শিলাবৃষ্টির রেশ, এরেই মধ্যে এলো 'ফণী' নামক ভয়ংকর প্রাকৃতিক দুর্যোগ। শুক্রবার সকাল থেকেই বাংলার আকাশে বাতাসে ঝড় সহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে । যা চলবে আগামী রবিবার পর্যন্ত, তা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। দু সপ্তাহ পূর্বে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে টানা ঘন্টা দুয়েক যে শিলাবৃষ্টির দাপট পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গিয়েছিল। বিশেষত ভাতার মঙ্গলকোট ব্লক জুড়ে। তাতে বোরো ধান ফলনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। এরেই সাথে তিল, পেঁয়াজ, আম সহ সবজি চাষে ক্ষতি হয়। সেবারের শিলাবৃষ্টির পরের দিনেই মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার জেলা আধিকারিকদের নিয়ে ভাতারের বিভিন্ন মৌজায় চাষাবাদে কিরুপ ক্ষতি হয়েছে? তা পর্যবেক্ষণ করতে এসেছিলেন। জানা যায়, ভাতার ও মঙ্গলকোট ব্লক এলাকার ৬০ হাজারের কাছাকাছি হেক্টর জমিতে বোরো ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। আধপাঁকা ধান ছিল সেবার। যারফলে ধান কেটে বাড়ীও আনতে পারেনি চাষিরা। এখন প্রায় মাঠে ধান পেঁকেছে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে দক্ষিণভারত থেকে এলো ফণি নামে ভয়ংকর প্রাকৃতিক দুর্যোগ। শুক্রবার সকাল থেকে যা শুরু হয়েছে এবং আগামী রবিবার বিকেল অবধি যার প্রভাব অটুট থাকবে। এই ফণীতে চব্বিশ ঘণ্টা পূর্বে কিছু চাষি মাঠ থেকে ধান তুলে ঝাড়াতে পারলেও বেশিরভাগ চাষীর ধান মাঠেই পড়ে রয়েছে বলে জানা গেছে । আশংকা করা হচ্ছে মাঠের জমিতে ধান গুলি পচে যেতে পারে। যদি দুই থেকে তিনদিনের মধ্যে আবহাওয়ার উন্নতি না হয়। তাতে এই সম্ভাবনা ক্রমশ বাড়বে বলে জানা গেছে। সপ্তাহ খানেক পূর্বে শিলাবৃষ্টিতে বরফের চাঙড়ে ধান ঝড়ে গিয়েছিল গাছ থেকে। এবার ধান না ঝড়লেও সেগুলি টানা বৃস্টি ও রোদ না পাওয়ায় পচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় শস্যগোলা ব্লক হিসাবে ভাতার ও মঙ্গলকোট অন্যতম । বেশিরভাগ চাষীই বোরো ধান চাষের উপর মুখিয়ে থাকেন। এখন ফণী ঝড় তাদের জীবনে কতটা অভিশাপ আনতে চলেছে তা সময়ই বলবে।