বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্ট নারদা মামলায় সিবিআই তদন্তে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন তুললো। তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি। মামলা রুজু করার চার বছরে সিবিআই এই মামলায় কি কি করেছে তা সবিস্তার জানতে চায় হাইকোর্ট । যদিও সিবিআইয়ের আইনজীবী এদিন এজলাসে জানিয়েছেন - এই মামলায় অভিযুক্ত চার জন সাংসদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় অনুমতি লোকসভার স্পিকারের কাছে চেয়েছে তারা। এরপরেই কলকাতা হাইকোর্ট জানতে চায় - নারদা স্টিং অপারেশনে ব্যবহৃত মোবাইল আপেল সংস্থার রিপোর্ট চার বছরেরও কেন এলনা? আমেরিকার সদর অফিস থেকে আসতে এত সময় লাগে? মামলার দীর্ঘায়িত নিয়ে এদিন প্রশ্ন তুলেন বিচারপতি। উল্লেখ, এই মামলায় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই অভিযুক্ত সাংসদ, আইপিএস, নেতাদের ভয়েস রেকর্ড সংগ্রহ করেছে শুধুমাত্র। আইপিএস সৈয়দ হোসেন আলী মির্জা কে গ্রেপ্তার করলেও বর্তমানে ওই আইপিএস জামিনে মুক্ত রয়েছেন। আর কেউ এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়নি। ধৃত থাকাকালীন মির্জা কে নিয়ে মূল অভিযুক্ত মুকুল রায়ের সাথে মুখোমুখি জেরা সহ মুকুলের এলগিন রোডে বাড়ীতে ভিডিওগ্রাফি করেছে সিবিআই। এরপরই অজ্ঞাত কারনে এই মামলা থমকে যায় বলে অভিযোগ।যদিও মির্জা সিবিআই হেফাজতের থাকাকালীন বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে তথ্য সূত্র তুলে দিয়েছেন বলে প্রকাশ। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্ট নারদা মামলায় সিবিআই তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলায় অন্য মাত্রা এল এই মামলায়।