শুক্রবার, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৯

রেল প্রতারণা মামলায় নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অন্তবর্তী জামিন মুকুলের


মোল্লা জসিমউদ্দিন  

বুধবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শহিদুল্লা মুন্সির ডিভিশন বেঞ্চে সরশুনা প্রতারণা মামলায় শুনানি চলে। সেখানে রাজ্যের তরফে আইনজীবী আর্থিক প্রতারণা মামলায় বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের জামিনের বিরুদ্ধে কড়া সওয়াল চালান। তাঁর যুক্তি -" এই মামলায় ধৃত রাহুল সাউ এর ব্যাংক লেনদেনে ব্যাপক গড়মিল পাওয়া গেছে। উত্তরপ্রদেশ - বিহার - ঝাড়খণ্ড রাজ্যগুলিতে রেলের চাকরি - সদস্যপদ পাইয়ে দেওয়ার নামে এক সিন্ডিকেটের হদিস মিলেছে। এমনকি এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এক আপ্ত সহায়কের বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করা হচ্ছে। তাই মুকুল রায় জামিন পেলে এই মামলার তদন্তে ব্যাঘাত ঘটবে "। অপরদিকে মুকুল রায়ের আইনজীবী এইসব অভিযোগ ভিক্তিহীন দাবি করে রাজনৈতিক প্রতিশোধের যুক্তি দেখিয়েছেন। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে নির্দেশ দেয় - 'এই মামলার নিস্পত্তি না হওয়া পযন্ত মুকুল রায়ের অন্তবর্তী জামিন বহাল থাকবে'।আগামী ১৪ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।  ইতিমধ্যেই দিল্লিতে কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী এক দল মুকুল রায় কে জেরা চালিয়েছে। আবার সম্প্রতি বেহালায় কলকাতা পুলিশের এক অফিসে ডেকে মুকুল রায় কে জেরা চালিয়েছেন তদন্তকারীরা। কলকাতা হাইকোর্টে এই আর্থিক প্রতারণা মামলায় আইনী রক্ষাকবচের মেয়াদ ছিল ৩ ডিসেম্বর  পর্যন্ত।  কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শহিদুল্লা মুন্সির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলাটি পুনরায় উঠে। সেখানে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে - 'তদন্তে পূর্ন সহযোগিতার শর্তে মামলার নিস্পত্তি না হওয়া  পর্যন্ত কলকাতা পুলিশ মুকুল রায় কে গ্রেপ্তার করতে পারবে না'। আগেকার শর্তাবলি গুলি এবারেও প্রযোজ্য। অর্থাৎ পুলিশের তরফে মুকুল রায় কে জেরা করতে গেলে তিনদিন আগে মুকুল রায় কে আগাম নোটিশ করে জানাতে হবে। এই মামলায় পরবর্তী শুনানি আগামী ১৪ জানুয়ারি। ইতিপূর্বে ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন তুলেছিল পুলিশের তদন্তপ্রক্রিয়ার উপর - জানুয়ারি তে অভিযোগগ্রহণ হওয়ার পর কেন এতদিন পর সক্রিয়তা নিয়ে ?  অভিযোগগ্রহণের প্রায় সাত মাস পর পুলিশ এই মামলায় তৎপরতা দেখায়।  এই মামলায় অভিযুক্ত   বাবান ঘোষ কে গত ২১ শে আগস্ট গ্রেপ্তারের পর কলকাতার বাবুঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়ের আরেক ঘনিষ্ঠ বলয়ে থাকা সাদ্দাম আলী কে।একসময় ধৃত বাবান ঘোষ কে জেরা করে নাম উঠে আসে সাদ্দাম আলীর নাম। তাই সাদ্দাম আলী কে পুলিশ গ্রেপ্তার করে থাকে বাবুঘাট এলাকা থেকে। সরশুনা ঘুষকান্ডে দুজন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ায় ক্রমশ চাপে ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়। পুলিশি সুত্রে প্রকাশ, এই মামলায় বাবান ঘোষের পাশাপাশি নাম রয়েছে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের। তাই গ্রেপ্তারির আশংকা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছেন মুকুল রায়। জানা গেছে, আর্থিক প্রতারণা (৪২০ ধারা) , এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র (১২০ বি)  এর জামিন অযোগ্য ধারা গুলি রয়েছে এফআইআর কপিতে।বেহালার সরশুনার বাসিন্দা সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের তার অভিযোগপত্রে লিখেছেন - গড়িয়াহাটের বাসিন্দা তথা বিজেপির মজদুর ইউনিয়নের নেতা বাবান ঘোষ ২০১৫ সালে রেলের স্থায়ী কমিটির পদ পাইয়ে দেওয়ার নামে ৪৬ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। সেসময় কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী ছিলেন সুরেশ প্রভু। কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটে যোগাযোগ ভালো আছে বোঝানোর জন্য সংসদ ভবনে এই বাবান ঘোষ বেহালার সন্তু গঙ্গোপাধ্যায় কে নিয়ে গিয়েছিল বলে দাবি। রেলমন্ত্রকের নানা কাগজপত্র নাকি দিয়েছিল অভিযুক্ত বাবান ঘোষ। এই কাগজপত্রের সততা জানতে পূর্ব রেলের সদর দপ্তর কলকাতার ফেয়ারলি প্লেসে গিয়েছিলেন অভিযোগকারী। আর সেখানেই জানতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। যদিও বাবান ঘোষ শিবিরের দাবি - 'সম্প্রতি টালিগঞ্জের একঝাঁক শিল্পীদের তৃনমূল থেকে বিজেপিতে নাম লেখানোর কাজে মুখ্য ভূমিকা নিয়ে ছিলেন বাবান ঘোষ। এই রাজনৈতিক শত্রুতা থেকেই জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু এবং গ্রেপ্তার সে'।প্রশ্ন উঠে ২০১৫ সালের বিষয়টি কেন প্রায় চার বছরের মাথায় তুললেন অভিযোগকারী এবং রেলের স্থায়ী কমিটিতে পদ পেতে কেন এত টাকা দিতেও গেলেন সেই বিষয়েও উঠেছে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন ?                                                                                                                                                                                                                                                                                                    


OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER