পথ দেখাচ্ছে বাঁকুড়া। একসময় বাঁকুড়া জেলার একটা বদনাম ছিল পিছিয়ে পড়া জেলা বাঁকুড়া। বাঁকুড়া শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে আজ কয়েক বছর ধরেই মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় খুব ভালো রেজাল্ট করে দেখিয়ে দিচ্ছে বাঁকুড়া পিছিয়ে নেই রামকিঙ্কর বেইজ, যামিনী রায়, রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের বাঁকুড়া। শিক্ষা-সংস্কৃতি এগিয়ে চলেছে বাঁকুড়া। বাঁকুড়া র প্রাথমিক শিক্ষায় আরোএকটি পালক যোগ করলেন বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সংসদ সভাপতি ডক্টর রিঙ্কু বন্দোপাধ্যায়। তাঁর উদ্যোগে সরকারের শিক্ষা বিভাগের সহযোগিতায় সারা রাজ্যের মধ্যে প্রথম বাঁকুড়া জেলায় বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হাজিরা ব্যবস্থা চালু করলেন বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ। আজ বাঁকুড়া শহরের পাচটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ব্যবস্থা চালু হলো। এই উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন শিক্ষা সংসদ বিদ্যা ভবনের সভাকক্ষে। এই বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিনের উদ্বোধন করেন বাঁকুড়ার জেলা শাসক ডক্টর উমাশঙ্কর এস, উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু, অতিরিক্ত জেলাশাসক, জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সচিব জগবন্ধু ব্যানার্জি, শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সহ বিশিষ্ট মানুষজন। বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবস্থা চালু করে সংসদ সভাপতি ডক্টর রিঙ্কু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন আমাদের জেলার শিক্ষক-শিক্ষিকারা যথেষ্ট সুনামের সাথে শিক্ষকতার কাজ করেন তার মধ্যেও দুই একজনের জন্য আমাদের জেলার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সময়ে হাজিরা নিয়ে বদনাম শোনা যায়, যাতে সেই বদনামের আর কোন রাস্তা না থাকে তার জন্যই এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে। প্রথম ধাপে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে আমরা বাঁকুড়া শহরের পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ব্যবস্থা চালু করলাম আগামী দিনে ধাপে ধাপে জেলার সব কটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ব্যবস্থা চালু করা হবে। এই ব্যবস্থা চালু হওয়ায় খুশি শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে অভিভাবক অভিভাবিকা বৃন্দ।নজির গড়ল বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। অভিভাবক চিন্ময় পণ্ডা বলেন খুব ভালো উদ্যোগ । অভিনন্দন ম্যাডামকে। উনাকে দেখেছি উনি কাজের মানুষ। কোনো শিক্ষকের নামে শিক্ষাদান ও হাজিরা নিয়ে বদনাম হওয়া উনি পছন্দ করেন না।সারা জেলায় এই ব্যবস্হা চালু হলে শিক্ষকদের নিয়ে এই বদনাম ঘুচবে।।