বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ০৮, ২০১৮

ক্ষতিপূরনের কোটি কোটি সরকারি অনুদান নেতাদের পকেটে, চাষীরা মরে সেচজলের অভাবে


মোল্লা জসিমউদ্দিন, 


প্রতিবছর আমন কিংবা বোরো ধান চাষের সময় সেচজলের সমস্যায় ভুগে পূর্ব বর্ধমান জেলার চাষীরা। জেলা প্রশাসনের রুদ্ধশ্বাস বৈঠক বারবার হয়   , মন্ত্রীবর্গ আসেন। নানান বিকল্প পদ্ধতির নির্দেশিকাজারী হয়। প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল থাকতে হয়। গত ৩ বছর জল কিনলেও মূল সমস্যা বরাবরই অন্তরালে রয়ে যায়। রাজনৈতিকগত কারনে যেভাবে বাংলার সাথে ঝাড়খন্ড রাজ্যপ্রশাসনের দূরত্ব বেড়েছে, বিশেষত ম্যাসেঞ্জার জলাধারের রঙ করা নিয়ে । তাতে সেচের জন্য জল মিলবে ঝাড়খন্ড থেকে তা না ভাবাটাই শ্রেয়। এবার আসা যাক শস্যগোলা খ্যাত পূর্ব বর্ধমানের চাষীরা কেন প্রতিবছর সেচ জলের সমস্যায় পড়েন। এত নদ - নদী সর্বপরি ডিভিসির ক্যানেলের শাখা প্রশাখাগুলি বেশিরভাগ মাঠ এলাকায় প্রবাহিত।তাহলে চাষাবাদের জন্য   এই সংকট   কেন?  কাটোয়া মহকুমায় দীর্ঘদিন প্রশাসনিকস্তরে উচ্চ পদে থাকা এক আধিকারিক জানান - "মজে যাওয়া নদ - নদী - ক্যানেল গুলি সংস্কার করলে শুধুমাত্র  সেচজল নয় আগামীদিনে শোধনপ্রকল্পে পানীয় জলের সমস্যাও মিটবে "। ওই আধিকারিকের আক্ষেপ - প্রতিবছর পূর্ব বর্ধমান জেলায় কৃষিতে ক্ষতিপূরণ বাবদ তিনশ কোটি টাকা অনুদান আসে। যদিও সেই টাকা প্রকৃত চাষীদের কাছে অনেক সময় পৌছায় না বলে অভিযোগ । পঞ্চায়েত প্রধানের ভাগীদার শংসাপত্র ও পুরানো জমির দলিল দেখিয়ে একপ্রকার লুট হয়,  এইরুপ দাবি বিরোধীদের । তাই সেচ ব্যবস্থা উন্নত হলে একাধারে স্থায়ী সমস্যা যেমন মিটবে চাষাবাদে।অপরদিকে প্রতিবছর পূর্ব বর্ধমান জেলায় চাষীদের ক্ষতিপূরণ বাবদ তিনশ কোটি টাকা বরাদ্দকৃত করতে হবে না রাজ্য সরকার কে। সর্বপরি পূর্ব বর্ধমান  জেলায় সংখ্যাগরিষ্ঠ ব্লকে  ভূগর্ভস্থ জলস্তর   বিপদজনক হয়ে রয়েছে । তাই নদ নদী সংস্কার হলে তার সুফল আগামীদিনে পানীয়জল সংকটকে অনেকখানিই মেটাবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা । যেমন ভাগীরথী নদের জল নিয়ে কাটোয়া ও কালনায় জলশোধন প্রকল্পে লক্ষাধিক মানুষ উপকৃত।  এবার আসা যাক মঙ্গলকোটে। কৃষিপ্রধান এই ব্লকে অজয় - কুনুর -  ব্রাম্ভ্রনী নদী রয়েছে। বেআইনি    বালিঘাটগুলির সৌজন্যে অজয় একপ্রকার সংস্কার হলেও কুনুর - ব্রাম্ভ্রনী নদীগুলি মজে গেছে। সারাবছর বর্ষার সময় টুকু ছাড়া বেশিরভাগই শুকনো থাকে। সংস্কার না হওয়ায় অল্প বর্ষাতেই উপকূলবর্তী গ্রাম গুলির একাংশ বন্যার শিকার হতে হয়। ডিভিসি কর্তৃপক্ষ কে মঙ্গলকোটে জলসরবরাহ করার জন্য   এলাকার চাষীরা কর দেন। পশ্চিম মঙ্গলকোটের চারটি অঞ্চলের  চাষীরা কোনকালেই জল পাননা বলে অভিযোগ।  মঙ্গলকোটের অধিকাংশ ক্যানেলের লকগেট গুলি ভাঙ্গা। আউশগ্রামের পিচকুরির কাছে ডিভিসির জল  ব্যাপক চুরি হয়  বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য তিনবছর আগে মঙ্গলকোটের কুনুর নদী সংস্কারের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্যসরকারের মধ্যে চুক্তি হয়। তৎকালীন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রী উমা ভারতীর বৈঠকও হয়েছিল রাজ্য সেচভবনে। প্রস্তাবনায় ছিল, দুর্গাপুরের ডিভিসির ব্যারেজের অদূরে থাকা সিংহম খালের নাঁচন এলাকা থেকে কুনুর নদী টি মঙ্গলকোটের কোগ্রাম অবধি প্রায় ২২ কিমি সংস্কার করা হবে। তাতে সেচ জল সমস্যা যেমন মিটবে। ঠিক তেমনি কুনুর নদীর উপর দিয়ে অজয় নদ হয়ে কাটোয়ার ভাগীরথী নদের মধ্যে এক ফেরীরুট করা হবে। তাতে যাত্রী পরিবহণ এর পাশাপাশি পণ্য পরিবহণ চলবে। কাটোয়ার শ্রীখণ্ড এলাকায় এনটিপিসির তাপবিদ্যুৎ   প্রকল্পের    সুবিধার কথাও উঠে আসে সেই কেন্দ্রীয় - রাজ্য মন্ত্রীদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে। তিন বছর কেটে গেলেও কুনুর নদী প্রকল্পের অগ্রগতি ঘটেনি। সংস্কার হলে কুনুর নদীর উপকূলে থাকা মঙ্গলকোটের  পাঁচটি অঞ্চল যথা পালিগ্রাম, চাণক, লাখুরিয়া, গোতিস্টা, সদর মঙ্গলকোটের চাষীদের সেচজল নিয়ে দুশ্চিন্তার  ইতি ঘটতো। ইতিহাসের পাতায় চলে যাওয়া ব্রাম্ভ্রনী নদীর সংস্কার ঘটলে মঙ্গলকোটের ঝিলু ২,  নিগন, ক্ষিরোগ্রাম প্রভৃতি অঞ্চলের চাষীদেরও ভাবতে হতনা চাষাবাদ নিয়ে। মঙ্গলকোটের প্রায় দশের কাছাকাছি অঞ্চলে ডিভিসির ক্যানেলের শাখা ও উপশাখা প্রভাবিত। এগুলির লকগেট মেরামতি করার পাশাপাশি সংস্কার করলে সেচের জন্য আকাশ পানে চাতক পাখির মত অপেক্ষায় থাকতে হতনা। শুধুমাত্র মঙ্গলকোট নয় ভাতার, আউশগ্রাম, কাটোয়া, কেতুগ্রাম প্রভৃতি ব্লকে অনুরুপ ছবি নদ নদী ক্যানেলিগুলির। তাই রাজ্য সরকার বছর বছর তিন'শ থেকে চারশো কোটি চাষাবাদের ক্ষতিপূরণবাবদ চাষীদের অনুদান না দিয়ে নদ নদী ক্যানেল গুলি সংস্কারে স্থায়ী  পরিকল্পনা নিক,  তা চাইছেন সেচ বিশেষজ্ঞরা। সুশান্ত মন্ডল মঙ্গলকোটের বিডিও পদে থাকাকালীন কুনুর নদীর উপর চেক ড্যাম করার প্রস্তাবনা নেওয়া হয়েছিল। একাধারে সেচ সমস্যা মেটানোর সাথেসাথে নদীর এপার ওপারের মানুষের যোগাযোগও বাড়তো। সেই প্রস্তাবনাগুলিও বাস্তবায়ন থেকে দূর বহুদূরে রয়েছে।     অবিলম্বে নদ নদী সহ ডিভিসির ক্যানেলগুলি সংস্কারের দাবিতে সরব এই জেলার চাষীরা। অনাবৃস্টি,  বকেয়া বিদ্যুতের বিলে সাবমারসেবলে সংযোগ কেটে দেওয়া, প্রভৃতি সমস্যায় ফসল নষ্ট হওয়ায় বেশকিছু চাষী আত্মহননের পথও বেছে নেয়।                                                                                                   

 

সোমবার, নভেম্বর ০৫, ২০১৮

শীর্ষ নেতৃত্বর হস্তক্ষেপে মঙ্গলকোটে গ্রন্থাগার মেলা হচ্ছে


মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

গতবছর সব চেস্টা করেও গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী মঙ্গলকোটের বুকে জেলা গ্রন্থাগার মেলা করতে পারেননি। তাঁর নির্বাচনী বিধানসভা কেন্দ্র  মঙ্গলকোটে না হয়ে হয়েছিল পাশ্ববর্তী মন্তেশ্বরে।  এতদিন জেলার কিংবা মহকুমার সদরে হত এই ধরনের বইমেলা , তবে মফস্বলে করার উদ্যোগ সেবারেই প্রথম দেখা গিয়েছিল। রাজনীতির বেড়াজালে মঙ্গলকোটে গতবছর চুড়ান্ত প্রস্তাবনায় থাকলেও পুলিশ - প্রশাসনের রিপোর্টে তা হয়নি। এই বিষয়ক সংবাদ 'দৈনিক স্টেটসম্যান' পত্রিকায় প্রকাশিত হবার পর নড়েচড়ে বসে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন ও সেইসাথে তৃনমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ ছিল,  মুঘল সম্রাট শাহজাহান বাদশার শিক্ষা ও দীক্ষাগুরু হামিদ বাঙালি, বৈষ্ণব কবি লোচনদাস , পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক,  বিদ্রোহী কবি কাঁজি নজরুল ইসলামের স্মৃতিভূমি মঙ্গলকোটে জেলা গ্রন্থাগার মেলা না হওয়াটা দুর্ভাগ্যজনক কবি সাহিত্যিক সহ সাংস্কৃতিকপ্রেমীদের কাছে। সুত্রের খবর,  মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আসরে নামেন সুব্রত বকসী। তিনি এই কেন্দ্রের দলীয় পর্যবেক্ষক অনুব্রত মন্ডল এবং এই কেন্দ্রের বিধায়ক তথা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহের সাথে আলাদাভাবে কথা বলে নেন। উল্লেখ্য ২০১৬ এর বিধানসভা ভোট পরবর্তী কয়েকমাসের মধ্যেই সিদ্দিকুল্লাহের সাথে অনুব্রতের বিবাদ চরমে উঠে। সেখানে মঙ্গলকোটে শাসকদলের দুই গ্রুপের মধ্যে হানাহানি বাড়ে। সাম্প্রতিকতম পঞ্চায়েত ভোটে দলীয় প্রতীক নিয়ে দূরত্ব আরও প্রকট হয়। মঙ্গলকোটের ক্ষমতাসীন গ্রুপের কাছে সিদ্দিকুল্লাহ একপ্রকার ব্রাত বলা যায়। পঞ্চায়েত সমিতি,  গ্রাম পঞ্চায়েত, ব্লক প্রশাসন,  থানা সর্বত্রই সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে অলিখিতভাবে বয়কটের শিকার হতে হয় বলে বিধায়ক শিবিরের দাবি। গত ১৩ সেপ্টেম্বর জেলার ত্রিশটি পাঠাগার কর্তৃপক্ষ কে নিয়ে মঙ্গলকোটের নুতনহাট মিলন পাঠাগারের গ্রন্থাগার মেলার প্রস্তুতি নিয়ে সভা হয়। মন্ত্রীর মঙ্গলকোটের 'শেষ   আশ্রয়'   বলা যায় এই পাঠাগার     । শারদীয়ার বস্ত্রবিলি থেকে ইদের জামাকাপড় বিতরণ সবকিছু এখান থেকেই করেন সিদ্দিকুল্লাহ। তাই এবারেও জেলা গ্রন্থাগার মেলার জায়গা হিসাবে পাঠাগার চত্বর কে ভাবা হচ্ছিল। এই চত্বরের যারা জমির মালিক তাদের কাছে জায়গার সাময়িক ছাড়পত্র নিতে গেলে ব্যর্থ হয় মন্ত্রীর প্রতিনিধিরা। উল্টে বিধায়ক বিরোধী গ্রুপের নেতারা দলীয় অফিসে ডেকে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। সেখানে অশ্লীল নাচের লেটো সহ জুয়া খেলার মেলা টানা দশদিন  চালাবার ফরমানও দেওয়া হয়। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সুব্রত বকসী দুই বিবাদমান গ্রুপের নেতা অনুব্রত ও সিদ্দিকুল্লাহের সাথে কথা বলে জেলা গ্রন্থাগার  মেলাটি মঙ্গলকোটেই হবে বলে জানিয়ে দেন। সেইমত আজ অর্থাৎ রবিবার দুপুরে মঙ্গলকোট ব্লক অফিসে দ্বিতলায় পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাদের দেখা যায় গ্রন্থাগার মন্ত্রীর সাথে। জেলা প্রশাসনের তরফে ছিলেন এডিএম, মহকুমাশাসক,  বিডিও। পুলিশের তরফে ওসি সহ বেশকিছু পুলিশ আধিকারিক। যে ওসি প্রসেনজিত দত্ত কে গত দুবছরে এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রীর কোন বৈঠকেই দেখা যায়নি। সে রুগি কল্যাণ সমিতির বৈঠক কিংবা প্রশাসনিক সভা। সেই ওসি কেও এদিন দেখা যায়।  ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে,  গতবারে মঙ্গলকোটে জেলা গ্রন্থাগার মেলা না হওয়ার পেছনে   ছিল  পঞ্চায়েত ভোট।  এবছর মেলা হওয়ার কারণ হিসাবে দেখা যাচ্ছে সংখ্যালঘু নিয়ে বেকায়দায় পড়া তৃনমূলের আগামী লোকসভা নির্বাচন। অর্থাৎ গতবছরে পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে মঙ্গলকোটে গ্রন্থাগার মেলা হলে রাজনৈতিক মাইলেজ পেতেন সিদ্দিকুল্লাহ। তাতে তাঁর অনুগামীরা উজ্জীবিত হয়ে বিরোধীশুন্য মঙ্গলকোটে কাঁটা হতে পারতো। আর এবছরে মঙ্গলকোটের রাজনীতিতে 'মণিহারা ফণী' র মতন অবস্থা সিদ্দিকুল্লাহের। তাই স্থানীয় রাজনীতিতে কোন প্রভাব পড়বেনা। তবে আগামী লোকসভায় মুসলিম ভোট কে অটুট রাখতে সংখ্যালঘু নেতা সিদ্দিকুল্লাহের পাশে দাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী। এইরুপ মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাই তারই ফলস্বরূপ আজকের বৈঠকে দেখা গেলো সিদ্দিকুল্লাহের মঙ্গলকোটের রাজনীতিতে বেশকিছু পথের কাঁটা পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকদের। তবে রাজনৈতিক অংক যাইহোক,  খুশি এলাকার মানুষজন। 'কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি '  সহ এলাকার সাংস্কৃতিকপ্রেমীরা আসন্ন বইমেলা ঘিরে দারুণ উৎমাদনায় রয়েছে। জানা গেছে,  সুফি সাধক হামিদ বাঙালি  এবং পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের স্মরণে দুটি তোরণ হবে। সেইসাথে প্রত্যেকদিন মনিষীদের নামে মঞ্চ গড়া হবে। শতাধিক স্টল থাকবে এই বইমেলায়।                                                                                                                                 

শনিবার, নভেম্বর ০৩, ২০১৮

সিপিএমের মতন তৃনমূলের নেতারাও পুলিশ নিয়ে জব্দ করা খেলায় নেমেছে

মোল্লা জসিমউদ্দিন,

"তৃনমূল গনতন্ত্র মানেনা,বড্ড বেশি পুলিশ নির্ভর। পরিবর্তন আনতে দিদি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল নিহত তৃনমূল কর্মীদের খুনের বিচারে। সে কথা রাখেনি কেউ। মানুষ ভোট দিতে সুযোগ পেলে কোন ফুলে দেবে ভোটার তাও বোঝা মুস্কিল শাসকদলের অন্দরে  " ।  এইবিধ নানান ক্ষোভ - অভিমান, আগামীদিনে বাংলায় আরেক পরিবর্তন চাইছেন কে?  তা একটু জানা যাক, ২০০১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের বামেদের মুক্তাঙ্গন মঙ্গলকোটের তৃনমল প্রার্থী ছিলেন। ছিলেন জেলার তৃনমূলের সাধারণ সম্পাদকও। হ্যা চন্দ্রনাথ মুখার্জি ওরফে বাবলু দা ইনি। পরিবর্তনের আগে কোন উন্নয়নের কান্ডারীর কাছে আশ্রয় খুজতে যেতে না মঙ্গলকোটের নিপীড়িত তৃনমূল কর্মীরা। শয়ে শয়ে গ্রামছাড়াদের বর্ধমান শহরে আশ্রয় শুধু নয়,  হাসপাতাল - আদালত এমনকি পকেট খরচ করে তাদের দুবেলা অন্ন তুলে দিতেন এই নেতা। তবে রাজ্যে পালাবদল হলেও সেই একই ট্রাডিশন রয়ে গেছে বাংলার বুকে। থানায় যেমন বাম আমলে শেষের দিকে সিপিএম নেতারা ওসির চেম্বারে পুলিশি সন্ত্রাসের ব্লুপ্রিন্ট গড়তেন। ঠিক তেমনি তৃনমূলের নেতারা এই আমলের প্রথম দিকেই সেই 'বিরোধীদের জব্দ ' করার খেলায় নেমেছে। এইরুপ নানান কারনে তিনি মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। আজ পূর্ব বর্ধমানের গলসী বাজারে যুব মোর্চার সভায় চন্দ্রনাথ মুখার্জি গনতন্ত্র প্রতিস্টা করতে জনগণ কে সচেতন হতে অনুরোধ করেন।                        

সোমবার, অক্টোবর ২৯, ২০১৮

উরস আসে উরস যায়, মুসলিম অনুন্নয়ন থেকেই যায় মঙ্গলকোটে

মোল্লা জসিমউদ্দিন,

  সুফি সাধক হামিদ বাঙালি সহ  আঠারো আউলিয়া খ্যাত মঙ্গলকোট গ্রামের কাদেরীয়া আস্তানা শরিফে সুফি সৈয়দ শাহ রাশাদ আলী আল কাদেরীর ১৩ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে বাৎসরিক উরস পালিত হলো। এই উরসে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মৎস মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা,  ভাতারের প্রাত্তন বিধায়ক বনমালী হাঁজরা,  ওয়াজুল হক, ইন্তাজ আলী শাহ প্রমুখ। উরস   উদযাপন কমিটির সহ সম্পাদক তথা কলকাতা হাইকোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী সেখ আনসার আলী মন্ডল জানান - "দুই বাংলা থেকে অজস্র ভক্তকূলের আগমন ঘটেছিল আজ। " ইসলামের দর্শন এবং কাদেরীয়া পরিবারের ভুমিকা নিয়ে পীরসাহেবের তিন পুত্র যথা সৈয়দ শাহ ফাদিল ইরশাদ আল কাদেরী, অধ্যাপক সৈয়দ শাহ মারহুনাল ইরশাদ আল কাদেরী, ডঃ সৈয়দ শাহ ওয়ামিকুল ইরশাদ আল কাদেরী বক্তব্য পেশ করেন। উরস উপলক্ষে বাংলার বিভিন্ন জেলা ছাড়াও সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলি থেকে প্রচুর পীরসাহেবের অনুগামীরা এসেছিলেন। সেইসাথে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ থেকেও এসেছিলেন তারা। বেশিরভাগই উরশের আগেরদিন দুপুরে এসেছেন মঙ্গলকোটে। মাঠে তাবু খাটিয়ে থাকতে হয়েছে তাদের কে। ব্লক প্রশাসনের তরফে অস্থায়ী শৌচাগার করা হলেও তা ছিল প্রয়োজনের তুলনায় নগ্ন। বিপাকে পড়তে হয় উরসে আসা ব্যক্তিদের কে। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত 'এমএসডিপি' ব্লক মঙ্গলকোটে মুসলিম অতিথি নিবাস কেন গড়া হয়নি,  তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এলাকাবাসীর অভিযোগ - এমএসডিপির কোটি কোটি অনুদান শোলার হাব সহ বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যয় হয়, অথচ মুঘল সম্রাট শাহজাহান বাদশার শিক্ষা ও দিক্ষাগুর     হামিদ বাঙালি সহ আঠারো আউলিয়াদের পীঠস্থান মঙ্গলকোটে মুসলিম স্থাপত্য সংস্কার সহ অতিথিনিবাস, মাজার সংলগ্ন মডেল শৌচাগার প্রকল্পগুলি নেওয়া হয়না।                                                                  

শনিবার, অক্টোবর ২৭, ২০১৮

গাইঘাটায় মুখ্যমন্ত্রীর মতুয়া সফর নিয়ে সভা

"২০১৯ সালে বিজেপি যদি ফের ক্ষমতায় আসে তাহলে আসামে নাগরিকপঞ্জি নিয়ে বিজেপি যা করেছে সেই অবস্থা আমাদের রাজ্যেও করবে বিজেপি। তবে এ নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে আছেন "---- এই রাজ্য থেকে একটাও সিট পাবে না লোকসভায় । আগামী ১৫ ই নভেম্বর মতুয়া সংঘের প্রধান উপদেষ্টা বীনাপাণী দেবীর ১০০ তম জন্মদিন উপলক্ষে ঠাকুরনগরে ঠাকুর বাড়ি তে আসছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই উপলক্ষে শনিবার বিকালে বনগাঁ মহকুমার গাইঘাটার একটি অনুষ্ঠান গৃহে একটি প্রস্তুতি সভায় এসে এ কথাই বললেন রাজ্যের খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক । এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ; নৈহাটি বিধায়ক পার্থ ভৌমিক , ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিং , বিধানসভার চিফ হুইপ নির্মল ঘোষ ,উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিনা মন্ডল , বনগাঁ লোকসভার সাংসদ মমতা বালা ঠাকুর , বসিরহাটের সাংসদ ইদ্রিস আলী সহ একাধিক তৃণমূলের নেতা-নেত্রী । একটাই লক্ষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্ন কে বাস্তবে রূপ দেওয়া ।

ক্রমশ অতি বিপদজনক বাগমারী পুলিশ কোয়াটার


"গাঁ ছমছম কি হয় কি হয়" গানটির বাস্তবতা প্রতিমুহূর্তে অনুভব করেন কলকাতার বাগমারী পুলিশ কোয়াটারের প্রায় আবাসিক। গত বুধবার সন্ধেবেলায় তিলজলার ১২/১১ শিবতলা লেনের দুটি চারতলা বাড়ি হেলে যাওয়ার ঘটনায় চাপা আতঙ্ক কে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। হেলে যাওয়া বাড়ীগুলির বয়স এখনও কুড়ি বছর পার হয়নি,  তবে বাগমারী পুলিশ কোয়াটারের বয়স পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে অনেক আগেই। কাঁকুরগাছি থেকে উল্টোডাঙ্গা সড়ক রুটে বাগমারী পুলিশ কোয়াটার টি অবস্থিত। তিনটি ব্লকে ষাট জন কলকাতা পুলিশ কর্মী তাঁদের পরিবার নিয়ে এখানে থাকেন।তিনটি ব্লকের মধ্যে বিপদজনক ব্লকটি হল 'সি' ব্লক। পাঁচতলার এই কোয়াটার টি ছাদ থেকে সিড়ি,  ঘরের ভেতর থেকে জানালার কার্নিশগুলির বেশিরভাগই  ভেঙে পড়ছে। কোয়াটার থেকে বেরোবার সময় উপর নিচে না তাকালে উপর থেকে বিল্ডিং এর ভগ্নাংশ পড়ে আহত হবার সম্ভাবনা থাকে। নিচে থাকা বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে পাথরের চাঁঙ পড়ে গাড়ী ভেঙে যাওয়ার নিদর্শন আছে বলে জানা গেছে। টানা চার থেকে পাঁচদিন বৃস্টিপাত হলে কোয়াটারটি বসে যায় বলে কেউ কেউ মনে করেন। কোয়াটারের সামনে থাকা আবর্জনার স্তুপে বড় বড় ইঁদুরের দল এই কোয়াটারের নিচে মাটি খুড়ে বাঁসা বাঁধায়,  বিল্ডিং বসে যাওয়ার সম্ভাবনা কে আরও  তীব্রতর প্রতিনিয়ত করে তুলছে ইঁদুরের দলগুলি। রাত দশটার পর পুলিশ আবাসনের সামনে সড়করুটে ভারী যানবাহন গেলে কোয়াটারের থাকা পরিবারগুলি তাদের বিছানার খাট নড়াচড়ার কম্পন অনুভুতি লাভ করেন। মৃদু ভূমিকম্প হলে বিল্ডিংটি ছেড়ে অনেকেই ভয়ে বাইরে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। মাস খানেক পূর্বে পূত বিভাগের তরফে এই পুলিশ আবাসনের আউট সাইড মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। হাতেগোনা কয়েকজন রাজমিস্ত্রি - লেবার কাজ শুরু করেছেন এখানে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন আবাসিক জানাচ্ছেন - বিল্ডিং এর বাইরে অংশের থেকে বহুগুণ বিপদজনক ঘরের ভেতর অংশ গুলি। দেওয়ালে বড় বড় ফাটল ধরেছে। ঘরের উপরের ছাদটি উঁচুনিচু। কোন মেরামতির কাজ হলে অল্প আঘাতেই ভেঙে পড়ে অন্য অংশগুলি। অধিকাংশ জায়গায় সরু সরু রড দেওয়া হয়েছে। যেগুলি মরচে পড়ে ক্ষয়ে পড়ছে। সিমেন্ট থেকে বালির পরিমাণ অত্যাধিক দেওয়ায় একটু হাত দিলেই প্লাস্টার পরে যায়। এইবিধ নানান ভগ্নদশা ঘিরে ক্রমশ চোরা আতঙ্ক গ্রাস করছে পুলিশ পরিবারগুলির মধ্যে। অবিলম্বে বাগমারী পুলিশ কোয়াটারের উচ্চপর্যায়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠছে। যেভাবে  গভীররাতে ভারী যানবাহনগেলে কোয়াটারের কম্পন শুরু হয়,  তারপরে বড় আবর্জনা স্তুপের ইঁদুরের বাহিনী বিল্ডিং এর নিচে মাটি খুড়ে ভিক্তিপ্রস্তর আলগা করে দিয়েছে। তাতে যখন তখন হুড়মুড়িয়ে পড়ে যেতে পারে বাগমারী পুলিশ কোয়াটারের সি ব্লক টি।তাতে এই ব্লকে থাকা পঞ্চাশের বেশি পুলিশ পরিবার গুলির প্রানহানীর সম্ভাবনাও থাকছে।                                                                        

শুক্রবার, অক্টোবর ২৬, ২০১৮

আর্সেনিক অধ্যুষিত এলাকায় পরিশোধিত পানীয়জল সরবরাহ

ওয়াসিম  বারি ,

উঃ ও দঃ ২৪ পরগনার জেলার আর্সেনিক অধ্যষিত হাড়োয়া রাজারহাট  ও ভাঙ্গড়-২ ব্লকে হুগলী নদী ভিত্তিক পরিশ্রুত নলবাহিত পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পের ভিডিত্ত কলফারেন্স এর মাধ্যেমে শুভ শিলান্যাস করলেন  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রকল্পের অনুমদিত ব্যায় ১,০৭৩.৯২ কোটি টাকা ৷

বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ২৫, ২০১৮

মুখ্যমন্ত্রী এত সাংস্কৃতিক প্রেমী, তবুও মঙ্গলকোটে অধরা জেলা গ্রন্থাগার মেলা

মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

আগামী ২২ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর অবধি বাংলার প্রতিটি জেলায় জেলায় গ্রন্থাগার মেলা হচ্ছে। এই বিষয় নিয়ে চলতি মাসে কেন্দ্রীয় রাজ্য পাঠাগারে গ্রন্থাগার মন্ত্রী  সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী মেলার প্রস্তুতি নিয়ে প্রশাসনিক সভাও সেরে ফেলেছেন। গতবছর মন্ত্রী তাঁর নির্বাচনী বিধানসভা কেন্দ্র মঙ্গলকোটে চেয়েছিলেন, তবে প্রশাসনের একাংশের রিপোর্টে তা হয়নি। জেলা গ্রন্থাগার মেলাটি হয়েছিল মঙ্গলকোট লাগোয়া মন্তেশ্বরে। নিজ বিধানসভা কেন্দ্র বলে নয়, মঙ্গলকোটে রয়েছে বিশ্বখ্যাত মনিষীদের নানান স্মৃতি।কেউ কেউ আবার ভূমিপুত্র।  সে মুঘল সম্রাট শাহজাহান বাদশার শিক্ষা ও দীক্ষাগুরু হামিদ বাঙালি বলুন কিংবা বৈষ্ণব কবি লোচনদাস। পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক,  কিংবা বিদ্রোহী কবি কাঁজি নজরুল ইসলাম কে চিনেন না এমন কোন বাঙালি ভূ-ভারতে  নেই বললেই চলে। এঁদের প্রত্যেকেরই স্মৃতি রয়েছে এই মঙ্গলকোটে। এহেন মঙ্গলকোটে স্থানীয় বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী তাঁর মন্ত্রিত্বে থাকা গ্রন্থাগার দপ্তরের পরিচালনায় জেলা গ্রন্থাগার মেলাটি করতে চাইছেন। গতবছর চেয়েছিলেন, আপ্রাণ চেস্টা করেও তা হয়নি। হয়েছিল মন্তেশ্বরে। এবছরও মনেপ্রাণে চাইছেন মঙ্গলকোটে হোক। এবারেও সেই পথে কাঁটা হচ্ছেন অনেকেই। লোচনদাস - হামিদ বাঙালি - কুমুদরঞ্জন মল্লিক - কাঁজি নজরুল ইসলামের লালনভূমি মঙ্গলকোটে জেলা গ্রন্থাগার মেলা না হওয়াটা খুবই বেদনাদায়ক বলে জেলা সাহিত্যিক  মহলে প্রকাশ।  সাড়ে তিন লক্ষ অনুদানে শতাধিক স্টলের ব্যবস্থাপনায় রাজ্য গ্রন্থাগার দপ্তর জেলায় জেলায় এই সাংস্কৃতিকমূলক বইমেলার আয়োজন করে থাকে। যেখানে স্টলে থাকা গড়ে দুজন করে অর্থাৎ দুশোজনের দুবেলা খাবারও দিয়ে থাকে রাজ্য গ্রন্থাগার দপ্তর । গত ১৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলকোটের নুতনহাট মিলন পাঠাগারে এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী  সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী  কাটোয়া মহকুমার ৩০ জন লাইব্রেরীয়ানদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে পাঠাগারের উন্নয়ন কর্মসূচির পাশাপাশি মঙ্গলকোটে 'জেলা গ্রন্থাগার মেলা ' করার প্রস্তাবনা চুড়ান্ত পর্বে  উঠে। গতবারে ব্লক প্রশাসন মেলা নিয়ে সন্তোষজনক রিপোর্ট দেয়নি জেলা প্রশাসন কে। তাই জেলা গ্রন্থাগার মেলাটি হয়েছিল মন্তেশ্বরে। এবারেও কি হয়, তা নিয়ে জোর চর্চা মঙ্গলকোটের বুকে। গ্রন্থাগারমন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী জানিয়েছেন - "যাতে মঙ্গলকোটে গ্রন্থাগার মেলাটি হয়, সেই বিষয়ে সবরকম চেস্টা চালাচ্ছি।"     তবে যতই চেস্টা চলুক না কেন এবারেও না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। প্রথমত গ্রন্থাগার মেলা করার জায়গা পাওয়া যাচ্ছেনা মঙ্গলকোটের বুকে। বিধায়ক বিরোধী শিবির এই মুহুর্তে পঞ্চায়েত সমিতি,  সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষমতাসীন রয়েছে। ব্লক প্রশাসন সর্বপরি স্থানীয় থানাও ব্লক তৃনমূলের নেতাদের বাইরে যাওয়ার সাহস নেই বললেই চলে। এইরুপ দাবি বিধায়ক শিবিরে। যে মঙ্গলকোটে প্রতিটি কোনায় কোনায় মাঠের ধান উঠলে জুয়া খেলা সহ লেটো নাচ (অশ্লীল নাচ )  ভালো কথায় 'বুগি উগি ড্যান্স' এর মেলা প্রতি রাতে হয়। এমনকি মঙ্গলকোট থানা,  ব্লক অফিসের পাঁচশো মিটারের মধ্যে চলে। সেই মঙ্গলকোটের ইতিহাসে 'জেলা গ্রন্থাগার মেলা ' করার সুযোগ দু দুবার এলেও রাজনীতির বেড়াজালে সেই সৌভাগ্য লোচনদাস - হামিদ বাঙালি - কুমুদরঞ্জন মল্লিক - কাঁজি নজরুল ইসলাম স্মৃতি ধন্য মঙ্গলকোটে হচ্ছেনা। অথচ ব্লক তৃনমূলের নানান কর্মকাণ্ড মঞ্চ বেঁধে 'রাতারাতি' অনুমতির অনুমোদন পাওয়া যায়। মঙ্গলকোট বিধায়ক তথা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী মঙ্গলকোটের নুতনহাট মিলন পাঠাগারের সামনে জায়গায় করার চেস্টা করলেও,  সেই জায়গার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের দলীয় অফিসে ডেকে চকমকানি দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় সুত্রে প্রকাশ। অভিযোগ, বিধায়ক অনুগামীদের মত গাঁজার মামলায় ফাসিয়ে জেলে বছরের পর বছর থাকার বন্দোবস্ত করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। দলীয় ও পুলিশি সন্ত্রাসের ভয়ে কেউ 'জেলা  গ্রন্থাগার মেলা' করার নো অবজেকশন তে সই করতে চাইছেনা। জানা গেছে,  এইসব কলকাঠি দিচ্ছেন বাম আমলের টপ ঠিকেদারের গাড়ীতে চাপা এক ব্লক তৃনমূল নেতা। যার সাথে বিধায়কের আদায় কাঁচকলা সম্পক। বিধায়ক বিরোধী শিবিরের আশংকা,  জেলাস্তরের এই বইমেলা ঘিরে সিদ্দিকুল্লাহ স্থানীয় রাজনীতিতে মাইলেজ পেতে পারে। তাই কোনমতেই গতবারের মত এবারেও জেলা  গ্রন্থাগার মেলা করতে দেওয়া চলবেনা। যদিও অভিযুক্ত পক্ষ সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এত সাংস্কৃতিকপ্রেমী,  সেই মুখ্যমন্ত্রীর মন্ত্রিসভার এক বর্ষীয়ান সদস্য বিশ্বখ্যাত মনিষীদের চারণভূমি মঙ্গলকোটে বইমেলা করতে চাইছেন। অথচ পারছেননা, তা নিয়েও উঠছে একরাশ প্রশ্নচিহ্ন।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER