মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)
মঙ্গলকোটে পঞ্চায়েত সমিতির পদাধিকারীদের আর্থিক উথান দেখলে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে উঠবে আপনার? গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান উপপ্রধানদের তো অলৌকিক আর্থিক উথান আছেই । দল করার আগে যার তিন বিঘে জমি ছিলনা, সে এখন ত্রিশ বিঘে জমির মালিক। মাটির বাড়ীর জায়গায় ঝকঝকে মার্বেল পাথরের দোতলা বাড়ি।তাও নিজের এবং ভাইয়ের। কৃষির সরকারি ক্ষতিপূরণের অনুদান সিংহভাগ লুট চলে । গ্রাম প্রধানের ভাগচাষী শংসাপত্রে চলে এই লুটতরাজ। এরা আবার এসি অফিসে ঘরের ভেতর ঘরে থাকেন । সেখানে আবার ঘটে অনেককিছু…. এই বিধ নানান অভিযোগ এলাকাবাসীদের মধ্যে। আত্মীয়পরিজনদের নামে আবাস যোজনার ঘর লুট থেকে দুতলা তিনতলা ঘরমালিকদের নামে আবাস যোজনার ঘর বরাদ্দ। একই পদে ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিক কে নিয়ে কত উন্নয়ন! যদিও অভিযুক্ত পক্ষ তাদের পক্ষে উঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে ।
'দিদি কে বলো ' কর্মসূচি নিয়েও বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন মঙ্গলকোটে। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বর্ধমান শহরে সদ্য প্রশাসনিক বৈঠকে তাঁরই সহকর্মী মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর এলাকায় উন্নয়নে প্রশাসনিক অসহযোগিতার বার্তা শুনেও চুপচাপ। সেখানে একজন সাধারণ ব্যক্তি মঙ্গলকোটে অভিযোগ তুললে কোন প্রতিকার পাবেন কিভাবে ? উল্টে বিপদ বাড়তে পারে। যারা দিদি কে বলো তে ফোন করে অভিযোগ জানিয়েছেন। তাদের মোবাইল নাম্বারের লিস্ট ধরে ধরে সেই এলাকার নেতারা উপদ্রব শুরু করে দিয়েছেন। দুর্গাপুর এলাকায় মারও খেয়েছে কেউ কেউ । মঙ্গলকোটে ভয়ে কেউ অভিযোগ জানাতে সাহস পাইনা। চাণক পালিগ্রাম অঞ্চলে অভিযোগ জানাতে গিয়ে শাসকদলের মুখে ঢাকা সশস্ত্র দুস্কৃতিদের তান্ডবলীলায় এবং ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হয়ে দিন কে দিন গ্রামছাড়া বাড়ছে।
ক্রমশ.....