শনিবার, অক্টোবর ২৭, ২০১৮

গাইঘাটায় মুখ্যমন্ত্রীর মতুয়া সফর নিয়ে সভা

"২০১৯ সালে বিজেপি যদি ফের ক্ষমতায় আসে তাহলে আসামে নাগরিকপঞ্জি নিয়ে বিজেপি যা করেছে সেই অবস্থা আমাদের রাজ্যেও করবে বিজেপি। তবে এ নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে আছেন "---- এই রাজ্য থেকে একটাও সিট পাবে না লোকসভায় । আগামী ১৫ ই নভেম্বর মতুয়া সংঘের প্রধান উপদেষ্টা বীনাপাণী দেবীর ১০০ তম জন্মদিন উপলক্ষে ঠাকুরনগরে ঠাকুর বাড়ি তে আসছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই উপলক্ষে শনিবার বিকালে বনগাঁ মহকুমার গাইঘাটার একটি অনুষ্ঠান গৃহে একটি প্রস্তুতি সভায় এসে এ কথাই বললেন রাজ্যের খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক । এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ; নৈহাটি বিধায়ক পার্থ ভৌমিক , ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিং , বিধানসভার চিফ হুইপ নির্মল ঘোষ ,উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিনা মন্ডল , বনগাঁ লোকসভার সাংসদ মমতা বালা ঠাকুর , বসিরহাটের সাংসদ ইদ্রিস আলী সহ একাধিক তৃণমূলের নেতা-নেত্রী । একটাই লক্ষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্ন কে বাস্তবে রূপ দেওয়া ।

ক্রমশ অতি বিপদজনক বাগমারী পুলিশ কোয়াটার


"গাঁ ছমছম কি হয় কি হয়" গানটির বাস্তবতা প্রতিমুহূর্তে অনুভব করেন কলকাতার বাগমারী পুলিশ কোয়াটারের প্রায় আবাসিক। গত বুধবার সন্ধেবেলায় তিলজলার ১২/১১ শিবতলা লেনের দুটি চারতলা বাড়ি হেলে যাওয়ার ঘটনায় চাপা আতঙ্ক কে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। হেলে যাওয়া বাড়ীগুলির বয়স এখনও কুড়ি বছর পার হয়নি,  তবে বাগমারী পুলিশ কোয়াটারের বয়স পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে অনেক আগেই। কাঁকুরগাছি থেকে উল্টোডাঙ্গা সড়ক রুটে বাগমারী পুলিশ কোয়াটার টি অবস্থিত। তিনটি ব্লকে ষাট জন কলকাতা পুলিশ কর্মী তাঁদের পরিবার নিয়ে এখানে থাকেন।তিনটি ব্লকের মধ্যে বিপদজনক ব্লকটি হল 'সি' ব্লক। পাঁচতলার এই কোয়াটার টি ছাদ থেকে সিড়ি,  ঘরের ভেতর থেকে জানালার কার্নিশগুলির বেশিরভাগই  ভেঙে পড়ছে। কোয়াটার থেকে বেরোবার সময় উপর নিচে না তাকালে উপর থেকে বিল্ডিং এর ভগ্নাংশ পড়ে আহত হবার সম্ভাবনা থাকে। নিচে থাকা বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে পাথরের চাঁঙ পড়ে গাড়ী ভেঙে যাওয়ার নিদর্শন আছে বলে জানা গেছে। টানা চার থেকে পাঁচদিন বৃস্টিপাত হলে কোয়াটারটি বসে যায় বলে কেউ কেউ মনে করেন। কোয়াটারের সামনে থাকা আবর্জনার স্তুপে বড় বড় ইঁদুরের দল এই কোয়াটারের নিচে মাটি খুড়ে বাঁসা বাঁধায়,  বিল্ডিং বসে যাওয়ার সম্ভাবনা কে আরও  তীব্রতর প্রতিনিয়ত করে তুলছে ইঁদুরের দলগুলি। রাত দশটার পর পুলিশ আবাসনের সামনে সড়করুটে ভারী যানবাহন গেলে কোয়াটারের থাকা পরিবারগুলি তাদের বিছানার খাট নড়াচড়ার কম্পন অনুভুতি লাভ করেন। মৃদু ভূমিকম্প হলে বিল্ডিংটি ছেড়ে অনেকেই ভয়ে বাইরে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। মাস খানেক পূর্বে পূত বিভাগের তরফে এই পুলিশ আবাসনের আউট সাইড মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। হাতেগোনা কয়েকজন রাজমিস্ত্রি - লেবার কাজ শুরু করেছেন এখানে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন আবাসিক জানাচ্ছেন - বিল্ডিং এর বাইরে অংশের থেকে বহুগুণ বিপদজনক ঘরের ভেতর অংশ গুলি। দেওয়ালে বড় বড় ফাটল ধরেছে। ঘরের উপরের ছাদটি উঁচুনিচু। কোন মেরামতির কাজ হলে অল্প আঘাতেই ভেঙে পড়ে অন্য অংশগুলি। অধিকাংশ জায়গায় সরু সরু রড দেওয়া হয়েছে। যেগুলি মরচে পড়ে ক্ষয়ে পড়ছে। সিমেন্ট থেকে বালির পরিমাণ অত্যাধিক দেওয়ায় একটু হাত দিলেই প্লাস্টার পরে যায়। এইবিধ নানান ভগ্নদশা ঘিরে ক্রমশ চোরা আতঙ্ক গ্রাস করছে পুলিশ পরিবারগুলির মধ্যে। অবিলম্বে বাগমারী পুলিশ কোয়াটারের উচ্চপর্যায়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠছে। যেভাবে  গভীররাতে ভারী যানবাহনগেলে কোয়াটারের কম্পন শুরু হয়,  তারপরে বড় আবর্জনা স্তুপের ইঁদুরের বাহিনী বিল্ডিং এর নিচে মাটি খুড়ে ভিক্তিপ্রস্তর আলগা করে দিয়েছে। তাতে যখন তখন হুড়মুড়িয়ে পড়ে যেতে পারে বাগমারী পুলিশ কোয়াটারের সি ব্লক টি।তাতে এই ব্লকে থাকা পঞ্চাশের বেশি পুলিশ পরিবার গুলির প্রানহানীর সম্ভাবনাও থাকছে।                                                                        

শুক্রবার, অক্টোবর ২৬, ২০১৮

আর্সেনিক অধ্যুষিত এলাকায় পরিশোধিত পানীয়জল সরবরাহ

ওয়াসিম  বারি ,

উঃ ও দঃ ২৪ পরগনার জেলার আর্সেনিক অধ্যষিত হাড়োয়া রাজারহাট  ও ভাঙ্গড়-২ ব্লকে হুগলী নদী ভিত্তিক পরিশ্রুত নলবাহিত পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পের ভিডিত্ত কলফারেন্স এর মাধ্যেমে শুভ শিলান্যাস করলেন  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রকল্পের অনুমদিত ব্যায় ১,০৭৩.৯২ কোটি টাকা ৷

বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ২৫, ২০১৮

মুখ্যমন্ত্রী এত সাংস্কৃতিক প্রেমী, তবুও মঙ্গলকোটে অধরা জেলা গ্রন্থাগার মেলা

মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

আগামী ২২ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর অবধি বাংলার প্রতিটি জেলায় জেলায় গ্রন্থাগার মেলা হচ্ছে। এই বিষয় নিয়ে চলতি মাসে কেন্দ্রীয় রাজ্য পাঠাগারে গ্রন্থাগার মন্ত্রী  সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী মেলার প্রস্তুতি নিয়ে প্রশাসনিক সভাও সেরে ফেলেছেন। গতবছর মন্ত্রী তাঁর নির্বাচনী বিধানসভা কেন্দ্র মঙ্গলকোটে চেয়েছিলেন, তবে প্রশাসনের একাংশের রিপোর্টে তা হয়নি। জেলা গ্রন্থাগার মেলাটি হয়েছিল মঙ্গলকোট লাগোয়া মন্তেশ্বরে। নিজ বিধানসভা কেন্দ্র বলে নয়, মঙ্গলকোটে রয়েছে বিশ্বখ্যাত মনিষীদের নানান স্মৃতি।কেউ কেউ আবার ভূমিপুত্র।  সে মুঘল সম্রাট শাহজাহান বাদশার শিক্ষা ও দীক্ষাগুরু হামিদ বাঙালি বলুন কিংবা বৈষ্ণব কবি লোচনদাস। পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক,  কিংবা বিদ্রোহী কবি কাঁজি নজরুল ইসলাম কে চিনেন না এমন কোন বাঙালি ভূ-ভারতে  নেই বললেই চলে। এঁদের প্রত্যেকেরই স্মৃতি রয়েছে এই মঙ্গলকোটে। এহেন মঙ্গলকোটে স্থানীয় বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী তাঁর মন্ত্রিত্বে থাকা গ্রন্থাগার দপ্তরের পরিচালনায় জেলা গ্রন্থাগার মেলাটি করতে চাইছেন। গতবছর চেয়েছিলেন, আপ্রাণ চেস্টা করেও তা হয়নি। হয়েছিল মন্তেশ্বরে। এবছরও মনেপ্রাণে চাইছেন মঙ্গলকোটে হোক। এবারেও সেই পথে কাঁটা হচ্ছেন অনেকেই। লোচনদাস - হামিদ বাঙালি - কুমুদরঞ্জন মল্লিক - কাঁজি নজরুল ইসলামের লালনভূমি মঙ্গলকোটে জেলা গ্রন্থাগার মেলা না হওয়াটা খুবই বেদনাদায়ক বলে জেলা সাহিত্যিক  মহলে প্রকাশ।  সাড়ে তিন লক্ষ অনুদানে শতাধিক স্টলের ব্যবস্থাপনায় রাজ্য গ্রন্থাগার দপ্তর জেলায় জেলায় এই সাংস্কৃতিকমূলক বইমেলার আয়োজন করে থাকে। যেখানে স্টলে থাকা গড়ে দুজন করে অর্থাৎ দুশোজনের দুবেলা খাবারও দিয়ে থাকে রাজ্য গ্রন্থাগার দপ্তর । গত ১৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলকোটের নুতনহাট মিলন পাঠাগারে এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী  সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী  কাটোয়া মহকুমার ৩০ জন লাইব্রেরীয়ানদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে পাঠাগারের উন্নয়ন কর্মসূচির পাশাপাশি মঙ্গলকোটে 'জেলা গ্রন্থাগার মেলা ' করার প্রস্তাবনা চুড়ান্ত পর্বে  উঠে। গতবারে ব্লক প্রশাসন মেলা নিয়ে সন্তোষজনক রিপোর্ট দেয়নি জেলা প্রশাসন কে। তাই জেলা গ্রন্থাগার মেলাটি হয়েছিল মন্তেশ্বরে। এবারেও কি হয়, তা নিয়ে জোর চর্চা মঙ্গলকোটের বুকে। গ্রন্থাগারমন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী জানিয়েছেন - "যাতে মঙ্গলকোটে গ্রন্থাগার মেলাটি হয়, সেই বিষয়ে সবরকম চেস্টা চালাচ্ছি।"     তবে যতই চেস্টা চলুক না কেন এবারেও না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। প্রথমত গ্রন্থাগার মেলা করার জায়গা পাওয়া যাচ্ছেনা মঙ্গলকোটের বুকে। বিধায়ক বিরোধী শিবির এই মুহুর্তে পঞ্চায়েত সমিতি,  সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষমতাসীন রয়েছে। ব্লক প্রশাসন সর্বপরি স্থানীয় থানাও ব্লক তৃনমূলের নেতাদের বাইরে যাওয়ার সাহস নেই বললেই চলে। এইরুপ দাবি বিধায়ক শিবিরে। যে মঙ্গলকোটে প্রতিটি কোনায় কোনায় মাঠের ধান উঠলে জুয়া খেলা সহ লেটো নাচ (অশ্লীল নাচ )  ভালো কথায় 'বুগি উগি ড্যান্স' এর মেলা প্রতি রাতে হয়। এমনকি মঙ্গলকোট থানা,  ব্লক অফিসের পাঁচশো মিটারের মধ্যে চলে। সেই মঙ্গলকোটের ইতিহাসে 'জেলা গ্রন্থাগার মেলা ' করার সুযোগ দু দুবার এলেও রাজনীতির বেড়াজালে সেই সৌভাগ্য লোচনদাস - হামিদ বাঙালি - কুমুদরঞ্জন মল্লিক - কাঁজি নজরুল ইসলাম স্মৃতি ধন্য মঙ্গলকোটে হচ্ছেনা। অথচ ব্লক তৃনমূলের নানান কর্মকাণ্ড মঞ্চ বেঁধে 'রাতারাতি' অনুমতির অনুমোদন পাওয়া যায়। মঙ্গলকোট বিধায়ক তথা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী মঙ্গলকোটের নুতনহাট মিলন পাঠাগারের সামনে জায়গায় করার চেস্টা করলেও,  সেই জায়গার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের দলীয় অফিসে ডেকে চকমকানি দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় সুত্রে প্রকাশ। অভিযোগ, বিধায়ক অনুগামীদের মত গাঁজার মামলায় ফাসিয়ে জেলে বছরের পর বছর থাকার বন্দোবস্ত করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। দলীয় ও পুলিশি সন্ত্রাসের ভয়ে কেউ 'জেলা  গ্রন্থাগার মেলা' করার নো অবজেকশন তে সই করতে চাইছেনা। জানা গেছে,  এইসব কলকাঠি দিচ্ছেন বাম আমলের টপ ঠিকেদারের গাড়ীতে চাপা এক ব্লক তৃনমূল নেতা। যার সাথে বিধায়কের আদায় কাঁচকলা সম্পক। বিধায়ক বিরোধী শিবিরের আশংকা,  জেলাস্তরের এই বইমেলা ঘিরে সিদ্দিকুল্লাহ স্থানীয় রাজনীতিতে মাইলেজ পেতে পারে। তাই কোনমতেই গতবারের মত এবারেও জেলা  গ্রন্থাগার মেলা করতে দেওয়া চলবেনা। যদিও অভিযুক্ত পক্ষ সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এত সাংস্কৃতিকপ্রেমী,  সেই মুখ্যমন্ত্রীর মন্ত্রিসভার এক বর্ষীয়ান সদস্য বিশ্বখ্যাত মনিষীদের চারণভূমি মঙ্গলকোটে বইমেলা করতে চাইছেন। অথচ পারছেননা, তা নিয়েও উঠছে একরাশ প্রশ্নচিহ্ন।

সোমবার, অক্টোবর ১৫, ২০১৮

আগামী চারদিন বিশেষ ট্রেন কাটোয়া বর্ধমান রুটে


মোল্লা জসিমউদ্দিন ,

এখনও ছয়মাস হয়নি কাটোয়া থেকে বর্ধমান রেলরুটে বড় ট্রেন চালু হওয়া। এরেই মধ্যেই রেলের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, আগামী ১৬, ১৭,১৮,১৯  অক্টোবর তারিখে দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিশেষ ট্রেন চলবে এই রেলরুটের মধ্য দিয়ে । আর এই ঘোষনায় কাটোয়া মহকুমার পাশাপাশি সদর বর্ধমান মহকুমার বাসিন্দারা খুবই খুশি। এবার পুজোয় জেলার সদর কিংবা মহকুমার সদরের মধ্যে সর্বপ্রথম এই বিশেষ ট্রেন চলবে কাটোয়া থেকে বর্ধমান  রেলরুটে।     বর্ধমান স্টেশনে ট্রেনটি ছাড়বে  রাত ৮ টা ২০ মিনিটে। কাটোয়ায় ট্রেনটি পৌছাবে রাত ৯ টা ৪০ মিনিটে। আবার এই ট্রেনটি কাটোয়ায় বর্ধমান স্টেশনের উদ্দেশ্যে ছাড়বে রাত ১০ টায়। এবং জেলার সদরে পৌছাবে রাত ১১ টা ২০ মিনিটে। ৫২ কিমি এই রেলরুটে বাস সন্ধের পর থেকেই পাওয়া যায়না। তাও গভীররাতে পুজোর চারটি দিন কাটোয়া এবং বর্ধমান শহরের পুজো দেখতে যাওয়া আগে ছিল ব্যয়বহুল এবং পথেঘাটে নিরাপত্তাহীণতায় ভোগার বিষয়। শুধু কাটোয়া মহকুমার পাঁচটি ব্লক কিংবা বর্ধমান সদরের চারটি ব্লক এলাকার বাসিন্দারা নয়।কাটোয়া লাগোয়া বীরভূম - নদীয়া - মুর্শিদাবাদের সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা পুজোর এই বিশেষ ট্রেনে কাটোয়া থেকে জেলার সদরে বড় বড় মন্ডপে পুজো দেখতে ভীষণ আগ্রহী বলে জানা গেছে। মঙ্গলকোটের কৈচর এলাকার বাসিন্দা তথা বিচার বিভাগের কর্মী   সুশোভন মুখার্জি জানান - "আমাদের এলাকা থেকে রাতে বর্ধমান শহরে পুজো দেখতে গেলে ব্যক্তিগত গাড়ী ভাড়া করে যেতে হত, যা ব্যয়বহুল পাশাপাশি গভীররাতে এই সড়কে ফেরাটা দুশ্চিন্তার কারণও। তবে এবার ট্রেন দেওয়ায় সপরিবারে কম খরচে পুজো দেখতে যাওয়াটা খুব আনন্দের "।                             

ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় দুর্ঘটনাময় বাগমারী কবরস্থানের সামনে রাস্তা


সোমবার  সন্ধে ৬ টা নাগাদ কলকাতার  বাগমারী  কবরস্থানের সামনে রাস্তায় যাত্রীবাহী  এক বাস ( WB 25F 3858) সিগন্যাল  না মেনে দ্রুত যেতে গেলে এক সাইকেল  আরোহী  কে চাপা দেয়। আশংকাজনক অবস্থায়  তাকে স্থানীয়রা নিকটবর্তী  হাসপাতালে নিয়ে গেছে। কলকাতার বৃহৎ  কবরস্থান  হিসাবে পরিচিত বাগমারী কবরস্থানের সামনে  ট্রাফিক বিট থাকলেও সেখানে পুলিশের কেউ থাকে না বরাবরই । উল্টোডাঙ্গার  হাডকো মোড় থেকে কাকুরগাছি এই রুটটি খুবই ব্যস্ততম বলে জানা গেছে ।অজশ্র যানবাহন যাতায়াত করে থাকে। সর্বপরি মুসলিম ধর্মাবলম্বী কেউ মারা গেলে জানাজা (দাফন করতে)  পড়তে এখানে শয়ে শয়ে লোক আসে। তাই ট্রাফিক বিটটি তে পুলিশ মোতায়েন হোক দ্রুত, এই দাবি স্থানীয়দের।            

শনিবার, অক্টোবর ১৩, ২০১৮

ঈদ - শারদীয়ায় বস্ত্রবিলিতে বিধায়ক না আসায়, মঙ্গলকোটে বাড়ছে ক্ষোভ


মোল্লা জসিমউদ্দিন,


আজ থেকে দুবছর আগে মঙ্গলকোটের নুতনহাট কৃষান মান্ডি চত্বরে শারদীয়া উপলক্ষে বিধায়ক কোটায় বস্ত্রবিলি চালিয়ে ছিলেন এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী  সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। তখন তাঁর পাশে দেখা গিয়েছিল ব্লক তৃনমূল সভাপতি অপূর্ব চৌধুরী সহ মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতির সমস্ত পদাধিকারীদের কে। এই দুছরে অজয় - কুনুর দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল। স্থানীয় ক্ষমতার দখল বেদখল নিয়ে মঙ্গলকোটের দুই যুযুধান শিবিরের সৌজন্যে বারবার উত্তপ্ত হয়েছে মঙ্গলকোট। ব্লক তৃণমূল শিবিরের নিহত ডালিম সেখ খুনে নাম জড়িয়েছে বিধায়কের ভাইয়ের নাম। যদিও এই মামলার তদন্তকারী সিআইডি বিধায়কের ভাই নিয়ে কোন উচ্চবাচ্য করেনি। তবে বিদায়ী জেলাপরিষদের বিধায়ক অনুগামী সদস্য বিকাশ চৌধুরী এখনও জেলে বন্দি। ব্লক তৃনমূলের ক্ষমতাসীন গ্রুপের একাংশের দাবি,  "মুসলিম সংগঠনের সর্বভারতীয় নেতা না হলে বিধায়ক কেও এই খুনের মামলায় জেল খাটতে হত। " ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে মঙ্গলকোটে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী যে নিজস্ব অফিস  নুতনহাট বাইপাসে পদিমপুর মোড়ে করে ছিলেন। ঘর মালিক সেই অফিসও বন্ধ করে দিয়েছেন রাজ্যের একজন মন্ত্রীর জন্য! গত দেড় বছরে মঙ্গলকোট থানার এককিমির মধ্যে থাকা এই অফিসে তিন থেকে চারবার সশস্ত্র হামলা চালাবার অভিযোগ উঠেছিল ব্লক তৃনমূলের আশ্রিত দুস্কৃতিদের বিরুদ্ধে। বোমাবাজি থেকে মারধর সবকিছু হয়েছিলো। এমনকি আক্রান্ত ব্যক্তিদের নামে মিথ্যা   পুলিশি মামলাও রুজু হয় সেসময়। এইবিধ নানান ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে কিংবা দলের একাংশের বিরুদ্ধে সিদ্দিকুল্লাহ সেভাবে সরব না হওয়ায় ঘরমালিক অফিস করতে ঘরভাড়া দিতে অনিচ্ছুক হন বলে স্থানীয় সুত্রে প্রকাশ। তবে অজয় নদের বালিঘাট নিয়ে পুলিশ ও দলীয় নেতাদের একাংশের অশুভ আঁতাতের অভিযোগ বারবার শোনা গিয়েছিল রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রীর গলায়। পুলিশের বিরুদ্ধে এহেন সরব হওয়ার পরিণতির ফলস্বরূপ অনুগামীদের গাঁজা সহ অস্ত্র মামলায় মঙ্গলকোট পুলিশ অতি সক্রিয়তা দেখিয়েছে বলে দাবি। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী সময়ে যতদিন এগিয়েছে, ঠিক ততটাই ক্রমশ কোনঠাসা হয়েছেন মঙ্গলকোট বিধায়ক। থানা, পঞ্চায়েত  সমিতি,  ব্লক প্রশাসনে নুন্যতম পাত্তা পাননা বলে বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিদ্দিকুল্লাহ। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কাছে বৃহত উৎসব ঈদে যখন রাজ্যের শাসকদলের বিধায়করা বস্ত্রবিলিতে জনসংযোগ বাড়িয়েছেন। তখন মঙ্গলকোট বিধায়কের অনুপস্থিতি দেখা গেছে মঙ্গলকোটে। যেহেতু তিনি গ্রন্থাগার মন্ত্রী, তাই মঙ্গলকোটের নুতনহাট মিলন পাঠাগারে তাঁর কোটায় বস্ত্রবিলি করা হয়েছিল ফ্লেক্স দেখিয়ে। ঈদের মতন অনুরুপ ছবি দেখা গেলো এবার শারদীয়াতেও। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে হাতে গোনা কয়েকজন পাঠাগার কর্মীর পরিচালনায় বিধায়কের বস্ত্রবিলি কর্মসূচি পালিত হলো!   রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহের শেষ ঠিকানা বলতে মঙ্গলকোটের নুতনহাট মিলন পাঠাগার। আর কোথাও তিনি 'জায়গা' পাচ্ছেন না মঙ্গলকোটে। গতবছর জেলা গ্রন্থাগার মেলা করার সমস্ত প্রয়াস নিয়েছিলেন তাঁর নির্বাচনী ক্ষেত্র মঙ্গলকোটের জন্য। কিন্তু সেবার প্রশাসনের একাংশের রিপোর্টে হয়নি। গ্রন্থাগারমেলা টি হয়েছিল মন্তেশ্বরে। এবারেও চেস্টা চালাচ্ছেন মঙ্গলকোটের মধ্যে করানোর। তবে এবারেও না হওয়ার সমস্ত সম্ভাবনা তৈরি করছে বিধায়কের বিপক্ষে থাকা  ব্লক তৃনমূলের  ক্ষমতাসীন গ্রুপের নেতারা। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে ব্লক তৃণমূলের নেতারা। এলাকাবাসীদের প্রশ্ন,  যদি ঈদে / শারদীয়ায় বস্ত্রবিলিতে বিধায়ক না আসেন, তাহলে কেন তৃনমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে মঙ্গলকোটের বিধায়ক পদে আনলো?                                                                                                                

শুক্রবার, অক্টোবর ১২, ২০১৮

বিদ্রোহী কবি কাঁজি নজরুল ইসলামের মঙ্গলকোটে 'জেলা গ্রন্থাগার মেলা ' অধরাই

মোল্লা জসিমউদ্দিন,

বৈষ্ণব কবি লোচনদাস,   মুঘল সম্রাট শাহজাহান বাদশার শিক্ষা গুরু হামিদ বাঙালি, পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক,  কিংবা বিদ্রোহী কবি কাঁজি নজরুল ইসলাম কে চিনেন না এমন কোন বাঙালি বিশ্বে নেই বললেই চলে। এঁদের প্রত্যেকেরই স্মৃতি রয়েছে মঙ্গলকোটে। এহেন মঙ্গলকোটে স্থানীয় বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী তাঁর মন্ত্রিত্বে থাকা গ্রন্থাগার দপ্তরের পরিচালনায় জেলা গ্রন্থাগার মেলা করতে চাইছেন। গতবছর চেয়েছিলেন, তা হয়নি। হয়েছিল মন্তেশ্বরে। এবছরও মনেপ্রাণে চাইছেন মঙ্গলকোটে হোক। এবারেও সেই পথে কাঁটা হচ্ছেন অনেকেই। বাম আমলের টপ ঠিকেদারের বোলোরা গাড়ীতে চাপা এক 'জননেতা' এই কর্মকান্ডের মূল হোতা বলে স্থানীয় সুত্রে প্রকাশ।  লোচনদাস - হামিদ বাঙালি - কুমুদরঞ্জন মল্লিক - কাঁজি নজরুল ইসলামের লালনভূমি মঙ্গলকোটে জেলা গ্রন্থাগার মেলা না হওয়াটা খুবই বেদনাদায়ক বলে সাহিত্যিক  মহলে প্রকাশ।        

( বিস্তারিত আসছে)                               

মঙ্গলবার, অক্টোবর ০৯, ২০১৮

লোকসভার প্রাক্কালে বোলপুরে আরএসএস মহালয়ার রুটমার্চ করে তাক লাগালো

মোল্লা জসিমউদ্দিন,

কেস্টর বাড়ির সামনে প্রায় হাজার খানেক আরএসএস কর্মী মহালয়া উপলক্ষে রুটমার্চ চালালো গত সোমবার সকালেই। স্থানীয় থানা, জেলা পুলিশ, ডিআইবি, সিআইডি সর্বপরি শাসকদলের কোন সংগঠন এই রুটমার্চ সম্পর্কে আগাম কোন তথ্য পাইনি। নেটওয়ার্ক ব্যর্থতা নিয়ে সব মহলেই প্রশ্ন উঠছে। ওয়াকিবহাল মনে করছে,  পুলিশের বড় অংশ বীরভূমের বেতাজ বাদশা তৃনমূল নেতা কে নিয়ে অন্দরে অন্দরে ক্ষুব্ধ। ২০১৩ সালে পুলিশ কে বোমা মারুন কিংবা চলতি বছরে পুলিশ কে এক ঘন্টা সময় দিয়ে গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়ার প্রকাশ্য হুমকি পুলিশের বড় অংশ কে দিন কে দিন ক্ষুব্ধ করে তুলছে। তাই মহালয়ার আরএসএসের বোলপুর শহরে তিনজায়গায় হাজার খানেক কর্মীদের রুটমার্চের কোন খবর পুলিশের একাংশ পেলেও, তা বেমালুম চেপে গেছেন তাঁরা বলে পুলিশের একাংশের দাবি । অপরদিকে বিজেপির  পথনির্দেশক আরএসএস যে খুবই শৃঙ্খলাযুক্ত সংগঠন, তা ফের ফের টের পাওয়া গেলো। জানা গেছে,  বীরভূমের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোটরবাইকের টুল বক্সে  সাংগঠনিক পোশাকগুলি রেখে সাধারণ মানুষের ছদ্মবেশে বোলপুরে আগত হয় হাজারের কাছাকাছি আরএসএসের প্রশিক্ষিত কর্মীরা। তারপর তারা পোশাক বদল করে রাস্তার দুধারে বাজনা বাজিয়ে মহালয়ার রুটমার্চ সারে। বোলপুরের তিনটি প্রধান সড়কে এই কর্মকান্ডে হতচকিত হয়ে যায় গোটা এলাকা। এই রুটমার্চ টি বীরভূম জেলা তৃনমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের বাড়ীর সামনে দিয়ে চলে যায়। আগামী লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বীরভূমের শাসকদলের  নেতাদের রীতিমতো দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে।  নানান রাজনৈতিক অংকে সরগরম গোটা বীরভূম।                                

শাসক বদলালেও, পাল্টাই নি মঙ্গলকোটের খুন রাহাজানি

মোল্লা  জসিমউদ্দিন , 

ঘটনা ১,  মাস কয়েক পূর্বে মঙ্গলকোটের লাখুরিয়া এলাকায় অজয় নদের চরে মিনা বিবি নামে এক গৃহবধূর বালিচাপা দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনা ২,  মঙ্গলকোট থানার এক কিমির মধ্যে থাকা নুতনহাট বাইপাসে ভোলাই সেখ নামে এক গ্রামবাসীর বীভৎস দেহ দিনের আলোয় উদ্ধার হয়। ঘটনা ৩,  মঙ্গলকোটের বকুলিয়ায় বালির ঘাট দখল ঘিরে বোমায় হত হয় এক স্থানীয় বাসিন্দা। এতো শুধু খুনের খতিয়ানের নমুনামাত্র। চুরি - ছিনতাই -  রাহাজানি - বোমাবাজি - লুটপাট  বিষয়ক ঘটনা গুলি মঙ্গলকোট কে সেই আগের মতনই রেখেছে। বিদ্যুৎ চুরিতে চলতি আর্থিক বর্ষে এই ব্লকে লুট হয়েছে ২৩ কোটি সরকারি অর্থ। বালি চুরিতে আরও কয়েক কদম এগিয়ে মঙ্গলকোট। যে বিপুল রাজস্ব আদায় হয়েছে, তার বেশিরভাগ বালিঘাটে টেন্ডারে অংশগ্রহণকারীরা পজিশন পাইনি বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে। পুলিশ দেখলে সাধারণত চোর ডাকাতরা পালিয়ে যায়। তবে মঙ্গলকোটের ক্ষেত্রে রসায়নটা আলাদা বলে স্থানীয় সুত্রে প্রকাশ । বেলা দশটা বাঁজলে মঙ্গলকোট থানায়  ' হাইপ্রোফাইল' মার্ডার কেসের অভিযুক্তেরা কুড়ি থেকে ত্রিশ জন নিয়ে ঢুকে পড়েন।এমনকি পুলিশ কোয়াটারেও তাদের অবাধ গতিবিধি বলে অভিযোগ । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মী  বলেন -  "অজয় নদের বালিঘাটের প্রাত্যহিক হিসাবপত্র ও বিভিন্ন ফৌজদারি মামলায় তদন্তে সুবিধা করতে এরা আসেন "!   থানায় যেসব জায়গায় সিসিটিভি থাকার কথা, সেইসব জায়গায় সিসিটিভির কোন কার্যকারিতা নেই বললেই চলে। তাই মঙ্গলকোট ব্লক এলাকা জুড়ে অপরাধ বেড়ে চললেও, থানা অফিসেই এহেন হাল থাকার জন্য মঙ্গলকোট ক্রমশ অপরাধীদের কাছে অবাধ মুক্তাঙ্গন হয়ে উঠছে।   বিগত তিনবছর ধরে  মঙ্গলকোটের বুইচি মোড়, কৈচর হাটতলা, পুরাতনহাট, পদিমপুর বাইপাস, চাণক, জয়পুর, প্রভৃতি এলাকায় মিস্টির দোকানে, মাঠের সাবমারসেবল পাম্প, সাইকেল, মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে। থানায় অভিযোগ জানাতে এলে, উল্টে অভিযোগগ্রহনের জিডি পর্যন্ত দেওয়া হয়নি বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।    প্রতিবছর ধান উঠলে সেইসব রাস্তার ধারে জমিগুলিতে জুয়াখেলা সেইসাথে অশ্লীল লেটোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে। মঙ্গলকোট থানার তিন কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে কয়েকমাস ধরে এহেন টাকা লুট করার মেলার আয়োজন হয়ে আসছে। যারফলে চুরি ছিনতাই তো বটেই  অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে পারিবারিক অশান্তি ক্রমশ বেড়েছে। ধানের প্রায় অর্থ লুট হয়ে যায় এইবিধ জুয়া মেলায়। রাজনৈতিক কিংবা অরাজনৈতিক খুন, সেইসাথে চুরি ছিনতাই রাহাজানি বোমাবাজি একটুও কমেনি মঙ্গলকোটে। বর্তমানে অজয় নদের বালিলুট শিল্পাঞ্চল বর্ধমানের বেআইনি   কয়লা সিন্ডিকেটের মত অবস্থান করছে।  শাসকদলের স্থানীয় অঞ্চলস্তরের প্রায় নেতারা ডাম্পার গাড়ি - জেসিপি মেশিন  কিনে স্বতন্ত্রভাবে সিন্ডিকেট চালাচ্ছে।  এই দলে পঞ্চাশের বেশি ভাড়াটে দুস্কৃতি কাজ করে। তারাও নানা অপরাধে যুক্ত হয়ে পড়ে। আবার অন্যদিকে অজয় - কুনুর নদীর উপকূলে অত্যন্ত গোপনে পোস্ত চাষাবাদ চলে। কাঁচা পোস্ত স্থানীয় চাষীরা পেলেও পোস্তগাছের আঁঠা নিতে  আসে  মাদক কারবারীদের দলবল।   গত তিনবছরে দশের বেশি ব্যক্তিত কাছে গড়ে কুড়ি কেজির বেশি গাঁজা উদ্ধার দেখিয়েছে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ।  তাহলে গাঁজা পাচারকারীদের অবাধ মুক্তাঞ্চল যে মঙ্গলকোট তা পুলিশি পরিসখ্যন দেখলেই বোঝা যায়। যদিও শাসকদলের বিপক্ষ শিবিরের দাবি - মাদক মামলা মূলত দেওয়া হয়েছে  জামিন তাড়াতাড়ি যাতে না পায় সেজন্য। এইবিধ নানান অভিযোগে সরগরম মঙ্গলকোটের বিভিন্ন এলাকা। পুলিশে অভিযোগ জানাতে এসে থানার সামনে থাকা এক দলীয় অফিসে মারধরের শিকারও হতে হয়েছে অনেককেই। যদিও এইরুপ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়ে পুলিশের তরফে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী জানান - ২০১০ সালে ৪ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলকোট থানায় আলাউদ্দিন সেখ থানায় অভিযোগ জানিয়ে ফেরার পথে ডাবলু আনসারীর দলবলের হাতে খুন হয়েছিল, আবার ২০০৮ সালে ৮ আগস্ট অনুরুপ কায়দায় সাইফুল মুন্সি খুন হয়েছিল সেই থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়ে।বাম জমানায় ঝিলু ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তপন ঘোষ থানা চত্বরেই ব্যাপক মারধর খেয়েছিল ডাবলু আনসারীর লোকেদের হাতে। তাই রাজ্যে পালাবদল ঘটলেও সেই একই ট্রাডিশন বজায় রয়েছে মঙ্গলকোটের বুকে। অপরাধ যেমন বেড়েছে, ঠিক তেমনি অপরাধে যুক্তদের প্রতি পুলিশের একাংশের মদতদান একফোঁটাও কমেনি নুতন সরকারের আমলেও।                          

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER