শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯

বলগনায় পথ দুর্ঘটনাতে জখম মোটরসাইকেল আরোহী

সুদিন মন্ডল, ভাতাড় :-সাতসকালেই পথ দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটলো ভাতারে। ভাতারের বলগোনা গুসকরা রোডের পাটনা মোড়ের কাছেএকটি মারুতি গাড়ি ও মোটর বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ।ঘটনায় গুরুতর আহত মোটরবাইক আরোহী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে আহত মোটরবাইক আরোহীর নাম রিন্টু শেখ। বাড়ি নিত্যানন্দ পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মুরাতিপুর গ্রামে। পুলিশ বাইক ও মারুতি গাড়ি দুটি  উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে।

বুধবার, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯

মরণোত্তর দেহদান নিয়ে সচেতনতা মূলক সেমিনার কলকাতায়

গোপাল দেবনাথ,

গত 73 বছর ধরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বার্ষিক সোশ্যাল
ফেস্ট.এস্কালাপিয়াশব্র অর্থ অবিশ্বাস্যভাবে ফিরে আসা.প্রতিবছর এই ফেস্ট অনুষ্ঠিত হয় মেডিকেল কলেজে,বক্তব্য রাখেন দেশের যশস্বী প্রফেসর ডাক্তাররা .হবুডাক্তাররা অভিজ্ঞদের বক্তব্য শুনে নিজেদের সমৃদ্ধ করেন .তিনদিনব্যাপি এবারের অনুষ্ঠানের বিষয় অঙ্গদান .বক্তারা জানালেন,দেশে এইমুহূর্তে প্রায় দেড়লাখ কিডনি রোগী আছেন .এদের মধ্যে মাত্র পাঁচ হাজার জন কিডনি প্রতিস্থাপনের সুযোগ পান ,নতুন এক লাখ রোগীসহ প্রায় দুলাখ রোগী মারা যান .সুতরাংবেশিকরে অঙ্গদানের সচেতনা বাড়ানো দরকার .বিজ্ঞান বলছে একজন সদ্যমৃত মানুষের অঙ্গদানে আট জন রোগী জীবন ফিরে পেতে পারেন .হৃদপিন্ড ,যকৃৎ ,ফুসফুস ,অগ্ন্যাশয় ,অন্ত্র ,বৃক্ক কাজে লাগে .এছাড়াও টিস্যু চামড়া ,কর্নিয়া ,বোনটিস্যু টেন্ডনস কার্টিলেজ ,হার্টভাল্ব, ব্লাড ভেসেলও অসুস্থ মরণাপন্ন রোগীকে সুস্থ করে তুলতে পারে .
,,1947থেকে আযোজিত এই ফেস্টে এবার প্রত্যোম দিনে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ডঃ মনিময় মুখার্জি,ডঃ তামালকান্তি ঘোষ ,ডঃ প্লাবন মুখার্জি,ডঃ অর্পিতা লাহিড়ী ,ডঃ রাজদীপ রায়,ডঃ চন্দ্রাশিস চক্রবর্তী,ডঃ সৈকত ব্যানার্জি.10 সেপ্টেম্বর থেকে শুরু তিনদিনব্যাপী এই ফেস্টে র পরিচালনা করেন ডঃ অরিন্দম কর.

মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৯

যুব সংসদ প্রতিযোগিতা ভাতারে

আমিরুল  ইসলাম,

  ভাতার ব্লক ও ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির যৌথ উদ্যোগে শুক্রবার  যুব সংসদ প্রতিযোগিতা ২০১৯ অনুষ্ঠান হল। ভাতারের প্রায় সাতটি  হাইস্কুলের পড়ুয়ারা  এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।পার্লামেন্টে যেভাবে বিরোধী এবং শাসক দল তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা আলোচনা করেন এবং কি সমাধান করতে হবে।   সেই ভাবেই ছাত্রছাত্রীরা যুব সংসদ প্রতিযোগিতা করেছে।অংশগ্রহণকারী  ছাত্র-ছাত্রীরা জানাই - 'পড়াশোনার পাশাপাশি ব্লক প্রশাসন যে  উদ্যোগ নিয়েছে যুব সংসদ প্রতিযোগিতা, তাতে করে আমাদের আগামী চলার পথে অনেক কাজ দেবে। পড়াশোনার পাশাপাশি এই সমস্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলে আমাদের জ্ঞান অনেক বৃদ্ধি হবে'।পঞ্চায়েত সমিতির ক্রীড়া কর্মাধ্যক্ষ  জয়ন্ত হাটি জানান - 'আজ ভাতার ব্লক ও পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে যুব সংসদ প্রতিযোগিতা  অনুষ্ঠিত হয়। এখানে সাতটি স্কুলের ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করেছে। পড়াশোনার পাশাপাশি এই ধরনের প্রতিযোগিতা তাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করবে'।এই প্রতিযোগিতায় কাটমানি থেকে দিদি কে বলো কর্মসূচি সবই আলোচিত বিষয় হিসাবে উঠে আসে।          

রবিবার, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৯

আইনী অস্বস্তির মধ্যেই মুকুলের মিললো স্বস্তি


মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শহিদুল্লা মুন্সি ও বিচারপতি শুভাশিস দাশগুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে সরশুনা ঘুষকান্ডে আগাম জামিন বিষয়ক মামলাটি উঠে। সেখানে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয় - 'আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর অবধি এই মামলায় অভিযুক্ত মুকুল রায় আইনী রক্ষাকবচ পাবেন। সেইসাথে তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের তদন্তে পূর্ন সহযোগিতা করতে হবে মুকুল রায় কে। তবে জিজ্ঞাসাবাদের তিনদিন আগে নোটিশ করে অবগত করতে হবে পুলিশ কে'।এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর। এদিন ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন তুলে পুলিশের উপর - জানুয়ারি তে অভিযোগগ্রহণ হওয়ার পর কেন এতদিন পর সক্রিয়তা?  অভিযোগগ্রহণের প্রায় সাত মাস পর পুলিশ এই মামলায় তৎপরতা দেখায়। এদিন রাজ্যের পক্ষে এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত এই মামলার শুনানিতে গরহাজির ছিলেন বলে প্রকাশ। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুরে এই মামলা ঘিরে টানটান উত্তেজনা দেখা যায়।ওইদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শহিদুল্লা মুন্সির ডিভিশন বেঞ্চ মুকুল রায়ের রক্ষাকবচের মেয়াদ বৃদ্ধিতে স্থগিতাদেশ জারী করে দেয়। অর্থাৎ পুলিশ যখন তখন গ্রেপ্তার পর্যন্ত করতে পারতো।এরপর মুকুল রায়ের আইনজীবী মামলাটি শুনানির জন্য বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির এজলাসে দরবার করেন। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি অবশ্য ব্যক্তিগত কারনে এই মামলা শুনতে চাননি। তারপরেই এই মামলার পুরাতন এজলাসে অর্থাৎ বিচারপতি শহিদুল্লা মুন্সির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি ঘটে। সেখানে তদন্তে পূর্ন সহযোগিতার শর্তে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর অবধি রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়ানো হয়। তবে এই মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার কে অভিযুক্ত মুকুল রায় কে নির্ধারিত জিজ্ঞাসাবাদের তিনদিন আগে নোটিশ জারী করে অবগত করতে হবে। সেইসাথে এই মামলায় পুলিশি তৎপরতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে ডিভিশন বেঞ্চ। জানুয়ারি মাসে এফআইআর দাখিল হওয়ার পর সাতমাস কেন লাগলো মামলার তদন্তে সক্রিয় হতে?  সেই প্রশ্নও উঠে এদিন এজলাসে। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি আছে।  এই মামলায় অভিযুক্ত   বাবান ঘোষ কে কে গ্রেপ্তারের পর কলকাতার বাবুঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়ের আরেক ঘনিষ্ঠ বলয়ে থাকা সাদ্দাম আলী কে।একসময় ধৃত বাবান ঘোষ কে জেরা করে নাম উঠে আসে সাদ্দাম আলীর। তাই সাদ্দাম আলী কে পুলিশ গ্রেপ্তার করে থাকে বাবুঘাট এলাকা থেকে। সরশুনা ঘুষকান্ডে দুজন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ায় চাপে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়। তিনি ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলায় আগাম জামিনের আবেদন জানিয়েছেন।বেহালার সরশুনা ঘুষকান্ডে মামলায় চরম অস্বস্তিতে বিজেপি নেতা মুকুল রায়। কলকাতা হাইকোর্টে বিজেপি নেতা মুকুল রায় সরশুনা ঘুষকান্ডে আগাম জামিনের আবেদন জানান। এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ শিবিরে থাকা মজদুর ইউনিয়নের নেতা বাবান ঘোষ ও সাদ্দাম আলী । পুলিশি সুত্রে প্রকাশ, এই মামলায় বাবান ঘোষের পাশাপাশি নাম রয়েছে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের। তাই গ্রেপ্তারির আশংকা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছেন মুকুল রায়। জানা গেছে, আর্থিক প্রতারণা (৪২০ ধারা) , এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র (১২০ বি)  এর জামিন অযোগ্য ধারা গুলি রয়েছে এফআইআর কপিতে।বেহালার সরশুনার বাসিন্দা সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের তার অভিযোগে লিখেছেন - গড়িয়াহাটের বাসিন্দা তথা বিজেপির মজদুর ইউনিয়নের নেতা বাবান ঘোষ ২০১৫ সালে রেলের স্থায়ী কমিটির পদ পাইয়ে দেওয়ার নামে ৪৬ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। সেসময় কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী ছিলেন সুরেশ প্রভু। কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটে যোগাযোগ ভালো আছে বোঝানোর জন্য সংসদ ভবনে এই বাবান ঘোষ বেহালার সন্তু গঙ্গোপাধ্যায় কে নিয়ে গিয়েছিল বলে দাবি। রেলমন্ত্রকের নানা কাগজপত্র নাকি দিয়েছিল অভিযুক্ত বাবান ঘোষ। এই কাগজপত্রের সততা জানতে পূর্ব রেলের সদর দপ্তর কলকাতার ফেয়ারলি প্লেসে গিয়েছিলেন অভিযোগকারী। আর সেখানেই জানতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। যদিও বাবান ঘোষ শিবিরের দাবি - 'সম্প্রতি টালিগঞ্জের একঝাঁক শিল্পীদের তৃনমূল থেকে বিজেপিতে নাম লেখানোর কাজে মুখ্য ভূমিকা নিয়ে ছিলেন বাবান ঘোষ। এই রাজনৈতিক শত্রুতা থেকেই জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু এবং গ্রেপ্তার সে'।প্রশ্ন উঠে ২০১৫ সালের বিষয়টি কেন প্রায় চার বছরের মাথায় তুললেন অভিযোগকারী এবং রেলের স্থায়ী কমিটিতে পদ পেতে কেন এত টাকা দিতেও গেলেন সেই বিষয়েও উঠেছে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন ?  এই মামলায় আজ ১৮ সেপ্টেম্বর অবধি মুকুল রায়ের রক্ষাকবচ বাড়লো। ১৬ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ।                                                                                                                                                                                                                                                                                                       

শনিবার, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৯

জালি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বলিউড বাদশার হলফনামা তলব কলকাতা হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

  এবার বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের হলফনামা তলব করলো কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশ বসাকের এজলাস। হাজার কোটির বেশি আর্থিক প্রতারণা হয়েছে, এইরুপ এক সর্বভারতীয় ভুয়ো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে বলিউড বাদশার কি সম্পর্ক রয়েছে, তা নভেম্বর মাসের মধ্যে জানাতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। অভিযোগ,  এই রাজ্যেই   ৫৩২ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণা ঘটেছে বলে প্রকাশ । কেন সিবিআই তদন্ত হবে না এই মামলায়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ বিচারপতি। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্ট এর বিচারপতি দেবাংশ বসাকের এজলাসে মামলাকারী প্রেমানন্দ মুখোপাধ্যায়ের দায়ের করা মামলার শুনানি ঘটে। সেখানে বলিউড বাদশার পাশাপাশি রাজ্য সরকার, অভিযুক্ত সংস্থাদের পুজো কেটে যাওয়ার দুসপ্তাহ পর অর্থাৎ নভেম্বর মাসের মধ্যেই হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ জারি হয়েছে। সেইসাথে  কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই এই মামলায় তদন্তে আগ্রহী কিনা, তা জানাবার আদেশনামা রয়েছে। ২০১৪ সালে দিল্লি হাইকোর্ট অভিযুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইউজিসির অনুমোদন না থাকার জন্য ভুয়ো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসাবে জানিয়ে দেয় । তারপরেও কিভাবে কোটি কোটি টাকা ডিগ্রি করানোর নামে সারাদেশ থেকে তুললো তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিভিন্ন সংবাদপত্রে বলিউড বাদশার ছবি ব্যান্ড এম্বাসাডর হিসাবে ব্যবহার করে প্রতারিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকি স্বয়ং অভিনেতা এই বিতর্কিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয়োজিত ক্যুইজ প্রতিযোগিতায় দু দুবার  অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে ।  তাই এই নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। সেই ধোঁয়াশা কাটাতেই বিচারপতি দেবাংশ বসাক বলিউড অভিনেতার হলফনামা তলব করেছেন। আদালত সুত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে পুরুলিয়ার এক প্রাক্তন সৈনিক প্রেমানন্দ মুখোপাধ্যায় তাঁর পুত্র কে হোটেল ম্যানেজমেন্ট কোর্সে ভর্তি করানোর জন্য 'ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ প্লানিং ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড ' নামে এক সর্বভারতীয় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১৬ লক্ষ খরচে ভর্তি করান। বিভিন্ন সংবাদপত্রে অভিনেতা শাহরুখ খানের ব্যান্ড এম্বাসাডর হিসাবে ছবি এবং এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানআয়োজিত ক্যুইজ প্রতিযোগিতায় শাহরুখ খানের অংশগ্রহণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিশ্বাসযোগ্যতা আরও বাড়িয়ে তুলেছিল। এই জালিয়াতিতে অভিযুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্নধার রয়েছেন অরিন্দম চৌধুরী মহাশয়। শিক্ষার্থীরা কোর্স সম্পন্ন করলেও  শংসাপত্র হাতে পাইনি । যা নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল ২০১৪ সালে। সেই মামলায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ ইউজিসির অনুমোদন না থাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ভুয়ো বলে মান্যতা দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। এরপরেই বিধাননগরে এই সংস্থার অফিসে টাকা ফেরত চাইলে হয়রানি সহ প্রাণনাশের হুমকি পান অভিযোগকারী, বলে দাবি । ২০১৫ সালে বিধাননগর ইলেকট্রনিক কমপ্লেক্স থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তাতেও কোন কিছু হয়নি। এমনকি নিম্ন আদালতে এই মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার দুদুবার পুলিশ রিপোর্টে অভিযোগে  সারবত্তা নেই বলে জানিয়ে দেন।  পুলিশ এবং নিম্ন আদালতের মাঝেই ২০১৮ সালে আইনজীবী মধুসূদন সরকার ও দীপাঞ্জন দত্তের মাধ্যমে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশ বসাকের এজলাসে মামলা দাখিল করেন অভিযোগকারী। এই মামলায় সরকারি আইনজীবী রয়েছেন অসীম গাঙ্গুলি। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্ট এর বিচারপতি দেবাংশ বসাক এই মামলার সমস্ত নথিপত্র দেখে তদন্তকারী পুলিশ অফিসার কে ভৎসনা করে বলেন - এই মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে   কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নি? সেইসাথে রাজ্যের আইনজীবী কে সিবিআই তদন্তের ইংগিত দেন স্বয়ং বিচারপতি। রাজ্য সরকার, অভিযুক্ত ভুয়ো সংস্থার কর্নাধার সর্বপরি বলিউড বাদশার হলফনামা দাখিলের নির্দেশজারি হয়। সেইসাথে সিবিআই কর্তৃপক্ষ এই মামলায় তদন্তে আগ্রহী কিনা তার মতামত চাওয়া হয়েছে বিচারপতির বেঞ্চে। উল্লেখ্য, সর্বভারতীয় এই ভুয়ো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি এই রাজ্য থেকেই ৫৩২ কোটি টাকা তুলেছে বলে অভিযোগ। সারাদেশে এই হিসাব ধরলে কয়েক হাজার কোটিতে দাঁড়াবে। এই মামলায় পরিধি সর্বভারতীয় পর্যায়ের। তাই সিবিআই তদন্তের দাবি অভিযোগকারীর।                                                                                                                                                                                                                                                

শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৯

বনগাঁ পুরসভার অনাস্থা নিয়ে কুমিরের কান্না শুনলো না হাইকোর্ট


মোল্লা জসিমউদ্দিন,

একদিকে যখন বারাসাত জেলাশাসক অফিসে হাইকোর্টের নির্দেশে পুলিশসুপারের তদারকিতে অনাস্থা ভোট চলছে। ঠিক সেসময় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শেখর ববি শরাফের এজলাসে এই অনাস্থা ভোট নিয়ে জরুরিকালীন শুনানির আবেদন রাখে বিজেপি।বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শেখর ববি শরাফের বেঞ্চে এই মামলা রিলিজ করে জানিয়ে দেওয়া হয় - 'রেগুলার বেঞ্চেই এই মামলার শুনানি হবে'। কিসের জন্য জরুরিকালীন শুনানি? সে নিয়েও উঠে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন। এই মামলার সরকারি আইনজীবী ভাস্কর বৈশ্য বলেন - "মেট্রোরেলের সুরঙ্গ বিপর্যয় মামলা টি জরুরিকালীন বটে। আর এক্ষেত্রে গত ২৬ আগস্ট বিচারপতি সমাপ্তি চট্টপাধ্যায় এর এজলাসে এই মামলায় রায়দান ঘটেছে। সেখানে ভোটের দিনেই হাইকোর্টে মামলা করে আবার পুরসভার আইনী জটিলতা বাড়াবার প্রয়াস নিয়েছিল মামলাকারীরা "। বিজেপির দাবি ছিল - যারা বনগাঁ পুরসভার অনাস্থাপ্রস্তাব এনেছে তারাই এখন তৃনমূলে। তাই এই অনাস্থা ভোট অবৈধ। এদিন বিচারপতি শেখর ববি শরাফ এজলাসে এই পিটিশনের শুনানিতে বলেন -' মানুষের মন পরিবর্তন ঘটলে সেখানে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করার কোন এক্তিয়ার নেই '। উল্লেখ্য, আজ বারাসাত জেলাশাসক অফিসে বনগাঁ পুরসভায় অনাস্থা ভোটে ১৪-০ ব্যবধানে জিতে তৃনমূল। বিজেপির কোন কাউন্সিলার উপস্থিত হননি। পুলিশসুপারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ছিল ভোট শান্তিতে করার জন্য। ২২ আসন বিশিষ্ট এই পুরসভায় ১৪ জন কাউন্সিলার তৃনমূলে। ১ জন সিপিএমের কাউন্সিলার এবং বাকি ৭ জন বিজেপির কাউন্সিলার আছেন । গত ২৬ আগস্ট কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টপাধ্যায় এর এজলাসে বঙ্গ রাজনীতিতে বহু চর্চিত বনগাঁ পুরসভার অনাস্থা মামলায় চুড়ান্ত নির্দেশদান   ঘটে। আগামী ১২ দিনের মধ্যে জেলাশাসকের অফিসে পুলিশ সুপারের তদারকিতে এই ভোট হবে বলে আদেশনামায়   জানিয়েছিলেন বিচারপতি। কোন গন্ডগোল হলে তার দায়ভার নিতে হবে অর্থাৎ আদালত অবমাননার মামলা রুজু হবে ভোট বানচালকারীদের বিরুদ্ধে। যদিও এই মামলার প্রথম পর্যায়ে বিজেপি কাউন্সিলাররা সংখ্যায় যতটা সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল। তাতে গত দেড় মাসে বেশ কয়েকজন কাউন্সিলার    'ঘরের ছেলেরা' ফের ঘরে অর্থাৎ তৃনমূলে চলে আসায় ব্যাকফুটে গেরুয়া শিবির। ওইদিন বিচারপতি পরিস্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন - 'এই পুরভোটের সমস্ত নির্বাচনী বিষয় জেলাশাসক অফিসে হবে। সেইসাথে প্রতিটি পুর কাউন্সিলারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবেন পুলিশ সুপার।পুরসভার প্রশাসনিক কাজকর্ম দেখবেন  সংশ্লিষ্ট মহকুমাশাসক  '। আগে যে অনাস্থার ভোট ঘটেছে তা বাতিল করে নুতন করে অনাস্থা ভোটের চুড়ান্ত নির্দেশ  দেওয়া হয়। আগামী ১২ দিনের মধ্যে সমস্ত ভোট পর্ব শেষ করার নির্দেশিকা ছিল। প্রসঙ্গত, এই পুরভোট নিয়ে বারবার কলকাতা হাইকোর্টে সমালোচিত হয়েছে স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন। সেইসাথে শাসকদলের অবস্থান ঘিরে নানা মন্তব্য উঠে এসেছে এই মামলার শুনানি পর্বে। কখনো তৃনমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে বিচারপতির বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে যাওয়ার নজির মিলেছে। আবার রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত কে ঘিরে সরকারি আইনজীবীদের কর্মবিরতির ঘটনাও দেখা গেছে।এর আগে শুনানিতে হয়ে যাওয়া অনাস্থা ভোট নিয়ে  বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল - 'গনতন্ত্রের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে, অশান্তি রুখতে পুলিশ ব্যর্থ। পুলিশ নিরপেক্ষ ছিলনা অনাস্থা ভোটের দিন। গনতন্ত্র আজ ফুটপাতে দাঁড়িয়েছে' এই বিধ কড়া পর্যবেক্ষণ পাওয়া গিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টপাধ্যায়ের এজলাসে বনগাঁ  পুর মামলায়।এই মামলায় বাদী বিবাদী পক্ষের শুনানির সময় বিচারপতি সমাপ্তি চট্টপাধ্যায় এইবিধ পর্যবেক্ষণ গুলি রেখেছিলেন । তখন বিচারপতি বলেছিলেন - 'এই মামলা দীর্ঘদিন ধরে চলতে পারেনা'। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টপাধ্যায় বনগাঁ পুরসভার অনাস্থা বিষয়ক মামলাটিতে রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে সেদিনকার অবস্থান নিয়ে কড়া ভৎসনা করেন। সেদিন ১১ জন কাউন্সিলার অনাস্থা ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। সেজন্য পুলিশ কে দায়ী করে ছিলেন বিচারপতি। যারা অনাস্থাপ্রস্তাব আনার জন্য হাইকোর্টে মামলা করলেন, তারা অনাস্থা ভোটে গরহাজির এটা কি করে মানা যায়?  পুলিশ ঝামেলা রুখতে তৎপর ছিলনা। ১০ কখনোই ১১ এর বেশি হতে পারেনা। সেদিন পুর চেয়ারম্যান বেলা চারটে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারতেন।এই বিধ মন্তব্যগুলি এই মামলায় শুনানিতে উঠে এসেছিল বিচারপতির পর্যবেক্ষণে । যদিও এই মামলার গত শুনানি গুলিতে বিচারপতি পুনরায় অনাস্থা ভোটের ইংগিত দিয়ে বলেছিলেন - মহকুমাশাসক / জেলাশাসক অফিসে পুলিশসুপারের উপস্থিতিতে অনাস্থা ভোট করা উচিত। সেসময় উত্তর দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর পুরসভার অনাস্থা মামলায় পুলিশ সুপার কে সমস্ত কাউন্সিলারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন এই বিচারপতি। বনগাঁ পুর মামলায় বিচারপতি বনগাঁর পুর চেয়ারম্যান কে নির্লজ্জ ক্ষমতালোভী বলে ভৎসিত করেছেন। এই মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ঘিরে তৃনমূলের আইনজীবী তথা সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিচারপতির সাথে তর্কবিতর্কতে জড়িয়ে পড়েন। এমনকি রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তের সাথে মতবিরোধ ঘটে। বিচারপতির রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণ দাবি করে রাজ্যের সরকারি আইনজীবীরা এই বিচারপতির এজলাস বয়কট করে প্রধান বিচারপতির কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন । রাজ্যের আইনমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী কেও জানানো হয় তখনকার অভিযোগ। তবে এজলাস বয়কট টি একদিনের মাথায় তুলে নেন সরকারি আইনজীবীরা। উল্লেখ্য সেদিন কলকাতা হাইকোর্টের বার এসোসিয়েশন ভোটে ফলাফল ঘোষণা হয়। সেইসাথে শাসকদলের আইনজীবীদের ব্যাপক পরাজয় ঘটে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে বনগাঁ পুরসভার মামলা ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়েছিল। ২২ আসন বিশিষ্ট বনগাঁ পুরসভায় তৃনমূলের পক্ষে ১০ জন কাউন্সিলার, বিজেপির পক্ষে ১১ জন কাউন্সিলার এবং ভোটদানে বিরত সিপিএমের ১ জন কাউন্সিলার ছিলেন। কংগ্রেসের ১ জন কাউন্সিলার তৃণমূল কে সমর্থন করায় তৃনমূল ১০ সংখ্যায় পৌঁছেছিল। গত জুলাই মাসে প্রথম দিকে বিজেপির ৩ জন কাউন্সিলার বনগাঁ পুরসভায় অনাস্থা ভোট চেয়ে মামলা দাখিল করেন। তাতে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টপাধ্যায় অনাস্থা প্রক্রিয়া তিনদিনের মাথায় শুরু এবং সাতদিনে শেষ করার নির্দেশ দেন। বিজেপির ২ কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে তৃনমূল কাউন্সিলার কে অপহরণ সহ তোলা আদায়ের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। যদিও অপহৃত ওই তৃণমূলী কাউন্সিলার রহস্যজনকভাবে ফিরে আসেন নিজ বাড়ীতে। পরিবারের দাবি - মুক্তিপণ দিয়ে নাকি মুক্তি মিলেছে। বিজেপির ২ জন কাউন্সিলারের গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারী করে। ঠিক এইরকম পেক্ষাপটে বনগাঁ পুরসভায় অনাস্থা ভোটের দিন মামলায় ওয়ারেন্টের দোহায় দিয়ে পুরসভার গেটে আটকে দিয়েছিল বিজেপির ২ কাউন্সিলার কে। সেইসাথে পুরসভার একটি ঘরে বাকি ৯ জন কাউন্সিলারদের তালা মেরে দিয়েছিল শাসকদলের তথা পুর চেয়ারম্যানের লোকজন। এই বিধ তথ্য মামলায় হলফনামা আকারে বিজেপি জমা দেয়। সেইসাথে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ভিডিও ক্লিপিংস, নিউজ কাটিং দেখানো হয় এজলাসে। বিচারপতি সমাপ্তি চট্টপাধ্যায় তাঁর পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করে ছিলেন - 'গণতন্ত্রের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। আজ গণতন্ত্র ফুটপাতে দাঁড়িয়েছে....'গত ২৬ আগস্ট বিচারপতি সমাপ্তি চট্টপাধ্যায় এই মামলার চুড়ান্ত নির্দেশে - আগামী ১২ দিনের মধ্যে অনাস্থা ভোট শেষ করার নির্দেশিকা জারী হয় । সেটি জেলাশাসকের অফিসে এবং পুর কাউন্সিলারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পুলিশ সুপার কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ২২ আসন বিশিষ্ট এই পুরসভায় তৃণমূল ১৪ তে দাড়িয়ে রয়েছে। ৭ জন বিজেপিতে। সিপিএমের ১ জন কাউন্সিলার ভোটদানে বিরত থাকার অবস্থানে অনড়। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শেখর ববি শরাফের এজলাসে জরুরিকালীন শুনানি চেয়ে বিজেপি পিটিশন দাখিল করে। বিজেপির দাবি ছিল - যারা অনাস্থা ডেকেছে, আজ তারা তৃনমূলে। তাই এই অনাস্থাভোট অবৈধ। বিচারপতি জরুরিকালীন শুনানির যৌক্তিকতা তুলে জানিয়েদেন - এই মামলা রেগুলার বেঞ্চেই চলবে। অর্থাৎ পিটিশন টি খারিজ করে দিলেন বিচারপতি। অনেকেই বনগাঁ পুরসভার বিজেপির এই 'কুমির কান্না' নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।                                                                                                                                                                                                                                                                                 

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER