মোল্লা জসিমউদ্দিন
মঙ্গলবার, জানুয়ারী ২৮, ২০২০
আইপিএস হুমায়ুন কবীরের 'উত্তরণ' উদঘাটনে মুখ্যমন্ত্রী
মঙ্গলকোটের কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি কে শুভেচ্ছা রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রীর
মোল্লা জসিমউদ্দিন
সম্পাদক - কুমুদ সাহিত্যমেলা কমিটি
প্রতি বছর মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর জন্মদিন উপলক্ষে কুমুদ সাহিত্য মেলা হয়ে আসছে। গত দশ বছর ধরে কয়েকশো কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক দের নিয়ে এই সাহিত্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে। শুধু পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন ব্লক এলাকা থেকে নয় দক্ষিণবঙ্গের ৬ থেকে ৭ টি জেলা থেকে ৩ রা মার্চ মঙ্গলকোটের কোগ্রামে আসেন বহু মানুষজন। গুণীদের সংবর্ধনা, বাউলগান,আবৃত্তি, সমবেত নৃত্য প্রভৃতি চলে সারাদিন ধরে। এহেন উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের গুরত্বপূর্ণ তিনটি দপ্তরের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। শুভেচ্ছাবার্তায় মন্ত্রী কুমুদ সাহিত্য মেলার উদ্যোগ কে ধারাবাহিকভাবে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রশংসা করেছেন।
ভাঙড় বইমেলায় সম্মানিত কবি ফারুক আহমেদ
ভাঙড়ের ভূমিপুত্র ফারুক আহমেদকে সংবর্ধনা দেওয়া হল ভাঙড় বইমেলায়
সংবাদদাতা,
নেতাজী সুভাসচন্দ্র বোসের জন্মদিন স্মরণ করে ২৩ জানুয়ারি তৃতীয় বর্ষ ভাঙড় বইমেলার শুভ উদ্বোধন করেছিলেন কথা সাহিত্যিক এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক প্রচেত গুপ্ত। ভাঙড় বইমেলা জীবনে ভুলবেন না, উদ্বোধনের পর বক্তব্য রাখার সময় বলেছিলেন কথা সাহিত্যিক প্রচেত গুপ্ত। বইমেলায় এলাকার সমস্ত স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি ও উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।
ভাঙড় বইমেলার উদ্বোধন মঞ্চে ভাঙড়ের ভূমিপুত্র ফারুক আহমেদকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। দীর্ঘ ১৯ বছর নিয়মিত 'উদার আকাশ' পত্রিকা সম্পাদনার জন্য বইমেলা আয়োজক বিডিও সৌগত পাত্র ও ভাঙড়-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শাহাজাহান মোল্লা সম্মাননা তুলে দিলেন ফারুক আহমেদ-এর হাতে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য অধ্যাপক গৌতম পাল ও রেজিস্ট্রার ড. দেবাংশু রায়। মূল্যবান বক্তব্য রেখেছিলেন প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ড. গৌতম পাল। তিনি বইমেলার প্রয়োজন ও গুরুত্বের কথা তুলে ধরেছিলেন। তিনি বিজ্ঞানের প্রসার ঘটাতে এবং দেশ গঠনে ছাত্রছাত্রী ও গবেষকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এছাড়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুর্নিশ জানিয়েছিলেন তিনি। তিনি বলেন সাহিত্য সংস্কৃতির প্রসার ঘটাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান আজ ইতিহাস হয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন।
নিবন্ধক দেবাংশু রায় বলেছিলেন, ভাঙড়ে আন্তর্জাতিক মানের বইমেলা দেখে খুব ভাল লাগল। ভাঙড়ে সাহিত্য সংস্কৃতির প্রসার ঘটাতে বইমেলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
উজ্জ্বল উপস্থিতিতে সকলের মন কাড়েন সাংসদ ও চলচ্চিত্র জগতের জনপ্রিয় নায়িকা মিমি চক্রবর্তী। বইমেলা নিয়ে মিমি চক্রবর্তী আবেগময় বক্তব্য রেখেছিলেন।
মূল মঞ্চে জিনিয়া রায়-এর কাব্যগ্রন্থ "মনের আগের স্টেশন" উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর হতে তুলে দিয়েছিলেন। ভাঙড়ের এবং বাংলার মুখ উজ্জ্বল করেছেন এমন তিনজনের হাতে আর্থিক সাহায্যও তুলে দিয়েছিলেন মিমি চক্রবর্তী।
বইমেলায় বক্তব্য রেখেছিলেন মহকুমা শাসক দেবারতি সরকার, বঙ্গ বিভূষণ সমাজসেবী শিস্ ডিরেক্টর এম এ ওহাব, ভাঙড় মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও বইমেলা কমিটির সভাপতি ড. বীরবিক্রম রায়, ভাঙড়-১ ও ভাঙড়-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ সভাপতি যাথাক্রমে সাহাজাহান মোল্লা ও বিশ্বজিৎ মন্ডল, ঝর্ণা মন্ডল ও আরাবুল ইসলাম, ভাঙড়-১ ও ভাঙড়-২-এর সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সৌগত পাত্র ও কৌশিক মাইতি এবং কাশিপুর, ভাঙড় ও কেএলসি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক।
ভাঙড় বইমেলা কমিটির পক্ষ থেকে সমস্ত অতিথিদের, ভাঙড়ের গর্বিত সন্তানদের এবং জেলার কর্মাধ্যক্ষ, ভাঙড় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, কর্মাধ্যক্ষ, প্রধান সহ অনান্য কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা দিয়ে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছিল।
ভাঙড় বইমেলা কমিটির সম্পাদক তথা ভাঙড়-১ বিডিও সৌগত পাত্র জানিয়েছিলেন, ভাঙড় মহাবিদ্যালয়ের মাঠে ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত চলেছিল বইমেলা। প্রতিদিন দুপুর ১ থেকে রাত্রি ৮ টা পর্যন্ত চলে এই বইমেলা। অনেক নামি-দামি প্রকাশনা সংস্থা ও লিটল ম্যাগাজিন এই বইমেলায় অংশ নিয়েছিল।
এই বইমেলাকে প্লাস্টিক মুক্ত ও স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন বইমেলা কর্তৃপক্ষ।
ভাঙড় বইমেলার মূল মঞ্চে প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি চলেছিল আলোচনাসভা ও কবি সম্মেলন। এর সঙ্গে ছিল মুক্ত মঞ্চে বাউল গানের অনুষ্ঠান। বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আমন্ত্রিত কবি, সাহিত্যিক ও গবেষকবৃন্দ অংশ নিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে।
বইমলেলা কমিটির যুগ্ম-সচিব ভাঙড়-২-এর সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক কৌশিক মাইতি জানান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে বিশেষ বার্তা বহন করছে এবারের ভাঙড় বইমেলা। বইমেলা সফল করতে বহু প্রকাশক ও লিটন ম্যাগাজিন অংশ নিয়েছিল। এক অন্য ভাঙড়কে আবিষ্কার করেছে বইমেলায় আগত বইপ্রেমীরা।
সমস্ত বিতর্ক ও রাজনীতির উত্তেজনা ভুলে ভাঙড় উন্নয়নের ভূমিপুত্রদের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারিগর শাহাজাহান মোল্লা, আরাবুল ইসলাম, কাইজার আহমেদ, নান্নু হোসেন, ওহিদুল ইসলাম, ঝর্ণা মন্ডল, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখেরা এই ভাঙড় বইমেলাকে সফল করে তুলতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন।
দলমত নির্বিশেষে ভাঙড়-১ ও ভাঙড়-২-এর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তৃতীয় বর্ষে এই বইমেলা সার্থক রূপ পেল।
এবারের বইমেলার থিম ছিল পুরুলিয়া জেলা। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর-এর দ্বি-শতজন্মবর্ষপূর্তী উপলক্ষে বিশেষ আলোচনাও মুগ্ধ করে।
সমগ্র সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালনায় ছিলেন ড. নিরুপম আচার্য, সুমন দাস, অভিক পাল।
সুমন দাসের পরিচালনায় ভাঙড় বইমেলার থিম সং এবং অসাধারণ নৃত্য পরিবেশন সকলের মন কাড়ে।
ভাঙড়ে গঠিত হল ভাঙড় প্রেস ক্লাব। এখানকার সাংবাদিকদের এটি ছিল একটি স্বপ্ন যা এদিন বাস্তবায়িত হল। ভাঙড় প্রেস ক্লাব গড়ে তুলতে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করেছেন ভাঙড় -১-এর বিডিও সৌগত পাত্র।
সোমবার, জানুয়ারী ২৭, ২০২০
প্রজাতন্ত্র দিবস পালনে প্রগেসিভ ইয়ুথ ফাউন্ডেশন
পুলকেশ ভট্টাচার্য
উত্তর 24 পরগনা জেলার গাইঘাটা ব্লকের মধ্য ময়না অস্কার ক্লাবের উদ্যোগে 71 তম প্রজাতন্ত্র দিবস বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়। উপস্থিত ছিলেন প্রগ্রেসিভ ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের রাজ্য সভাপতি সিয়ামত আলী বলেন বর্তমান দেশের যা অবস্থা তাতে আমাদের সকলকে এই 71 তম প্রজাতন্ত্র দিবসে ও আমরা দেশবাসী হিসেবে নাগরিক হিসেবে দেশের পবিত্র সংবিধান রক্ষার শপথ নিতে হবে। এমন কোন কর্মের দ্বারা দেশের সাধারণ নাগরিকের অসুবিধা হবে সেই সমস্ত কার্য আর যাই হোক দেশে চলতে পারে না। সংবিধানের উপরে কোন রকম আঘাত আসলে দেশের নাগরিক হিসেবে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে জোট বদ্ধ ভাবে এগিয়ে আসতে হবে এবং তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাস বলেন আজ এই প্রজাতন্ত্র দিবসে দেশে সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠান উদযাপিত করে থাকি। বিভেদ সৃষ্টি করে আমাদের মধ্যে কারো হিংসা ছড়াতে দেব না। কারণ এদেশে এমনই এক মহান দেশ বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য এটাই আমাদের গর্ব, এটাই দেশের ঐতিহ্য। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষক মিঠুন, অনুষ্ঠানের সম্মানীয় সভাপতি নন্দদুলাল মল্লিক, ক্লাবের সম্পাদক পিন্টু মণ্ডল, সভাপতি জয় প্রকাশ মল্লিক, শান্ত মন্ডল, সমস্ত অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে সঞ্চালনা করেন পীযূষ কান্তি মল্লিক ।
শনিবার, জানুয়ারী ২৫, ২০২০
নদীয়ার বিধায়ক খুনে রক্ষাকবচ মিললো সাংসদ জগন্নাথ সরকারের
মোল্লা জসিমউদ্দিন
শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে তৃনমূল বিধায়ক খুনে অভিযুক্ত বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি চলে। ডিভিশন বেঞ্চ উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে বেশকিছু শর্তাবলী রেখে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত রানাঘাট সাংসদ জগন্নাথ সরকারের অন্তবর্তী জামিনের মেয়াদ রাখে। সেইসাথে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির জেরাপর্বের জন্য আগামী ৮, ৯, ১৫ এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি সকাল দশটা থেকে বেলা চারটে পর্যন্ত তদন্তকারীদের সামনে থাকবার নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চে নদীয়ার তৃণমূল বিধায়ক খুনের আগাম জামিনের মামলাটি উঠে। ইতিপূর্বে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে - ' নদীয়ার বিধায়ক খুনে অভিযুক্ত মুকুল রায় কে আগামী এপ্রিল মাস অবধি গ্রেপ্তার করা যাবেনা। সেইসাথে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি মার্চ মাসের মধ্যেই এই মামলার অগ্রগতি নিয়ে রিপোর্ট পেশ করবে'। এই মামলার পরবর্তী শুনানি এপ্রিল মাসে রয়েছে। সম্প্রতি সিআইডি এই খুনের মামলায় তদন্তে অভিযুক্তদের মধ্যে একজনের সাথে মুকুল রায়ের মোবাইলে কথপোকথন পেয়েছে বলে দাবি। সেই সুত্র ধরেই নুতন করে তদন্তের নির্দেশ দেয় নদীয়ার নিম্ন আদালত। নিহত বিধায়কের স্ত্রীর নিম্ন আদালতে পুনরায় তদন্তের আবেদন মঞ্জুর হওয়ায় মুকুল রায় তড়িঘড়ি কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছেন বলে প্রকাশ। ২০১৭ সালে নভেম্বর মাসের পর একদা তৃনমূলের 'চাণক্য' মুকুল রায় দলবদলের পর রাজনৈতিক আক্রোশে ৫০ টি ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ। বেশিরভাগ মামলায় আদালতের তরফে খারিজ হয়েছে। এইমুহূর্তে সরশুনায় রেলবোর্ড প্রতারণা মামলা, বড়বাজারে তোলাবাজির মামলার পাশাপাশি বীরভূমের লাভপুরের তিনভাই খুনের মামলার সাথে নদীয়ার তৃনমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে নাম জড়িয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়ের। প্রায় মামলায় আইনী রক্ষাকবচ মিললেও নদীয়ার বিধায়ক খুনে আইনী রক্ষাকবচ ছিল না। উল্লেখ্য, এই খুনের মামলায় তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি নিম্ন আদালতে দ্বিতীয় পয্যায়ে পুনরায় তদন্তের আবেদন করলেও তা মঞ্জুর হয়নি। সেসময় অভিযুক্ত মুকুল রায় কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হলেও তা খারিজ হয়। কেননা নিম্ন আদালতে সিআইডির আবেদন টি খারিজ হয় বলে। তবে সম্প্রতি নিহত বিধায়কের স্ত্রী দিপালী বিশ্বাস নিম্ন আদালতে সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে পুনরায় তদন্তের আর্জি রাখেন। তাতে সংশ্লিষ্ট এজলাসের বিচারক সেই আর্জি মঞ্জুর করায়, মুকুল রায়ের গ্রেপ্তারির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই তড়িঘড়ি কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন রাখেন টি মুকুল রায়। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ৯ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পূজার দিন সন্ধেবেলায় নদীয়ার হাঁসখালি এলাকায় এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। এই খুনে সুজিত মন্ডল এবং কার্তিক মন্ডল নামে দুজন এলাকাবাসী গ্রেপ্তার হয়। এই দুজন ছাড়াও নদীয়ার বিজেপির জেলা সভাপতি তথা বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার এবং বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়ের নাম জড়ায় মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে। এই খুনে পুলিশি নিস্ক্রিয়তার জন্য তৎকালীন ওসি অনিন্দ বসু সাময়িক বরখাস্ত হন। সেইসাথে নিহত বিধায়কের দেহরক্ষীও বরখাস্ত হন। বর্তমানে এই দুই পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে।খুনের দিন নিহতের বিধায়কের সাথে দেহরক্ষী ছিলেন না। কেননা সেসময় ছুটিতে ছিলেন দেহরক্ষী। কেন দেহরক্ষীর ছুটি মঞ্জুর করা হয়েছিল। তাও পুলিশের বিভাগীয় তদন্তে বারবার উঠে এসেছে। এই খুনের মামলায় তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি নিম্ন আদালতে চার্জশিট দাখিল করে থাকে। এরপর দ্বিতীয় পয্যায়ে পুনরায় তদন্তের পিটিশন জানায় সংশ্লিষ্ট এজলাসে। সেসময় সেই পিটিশন খারিজ হয়। সম্প্রতি নিহতের স্ত্রী নিম্ন আদালতে পুনরায় তদন্তের আবেদন রাখেন। তাতে সেই আবেদন মঞ্জুর হয়। আর এতেই সিঁদুরে কালো মেঘ দেখে মুকুল শিবির। সেজন্য আগাম জামিন পেতে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হন মুকুলের আইনজীবী। চলতি মাসে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার সমস্ত রিপোর্ট দেখে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি কে আগামী মার্চ মাসের মধ্যেই রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেয়। সেইসাথে আগামী এপ্রিল মাস অবধি মুকুল রায় কে আইনী রক্ষাকবচ দেয় বেশকিছু শর্ত আরোপ করে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে আরেক অভিযুক্ত বিজেপির সাংসদ জগন্নাথ সরকার এই বেঞ্চে আগাম জামিনের আবেদন জানায়। তাতে শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রানাঘাটের বিজেপির সাংসদ জগন্নাথ সরকার কে বেশকিছু শর্ত আরোপ করে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত অন্তবর্তী জামিন দেয়। সেইসাথে ফেব্রুয়ারি মাসের ৮, ৯, ১৫ এবং ১৬ তারিখ সকাল দশটা থেকে বেলা চারটে পর্যন্ত তদন্তকারীর সামনে থাকবার আদেশনামা রয়েছে।
শুক্রবার, জানুয়ারী ২৪, ২০২০
নেতাজি জন্মবার্ষিকীতে দুস্থ পড়ুয়াদের ব্যাগ বিলি করলো সুসম্পর্ক
নেতাজীর জন্মজয়ন্তীতে দুস্থ পড়ুয়াদের ব্যাগ বিলি
বৃহস্পতিবার কলকাতার ঠাকুরপকুর এলাকার জেমসলং সরণির সংযোগস্থলে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম দিবস উপলক্ষে 'সুসম্পর্ক' এর উদ্যোগে আরো একটি অনবদ্য প্রয়াস নেওয়া হলো ।প্রথমে দুস্থ শিশুদের নিয়ে প্রভাতফেরি হয়। এর প্রতিনিধিত্ব করেন 'সুসম্পর্কে'র কোষাধক্ষ্য শোভন ভট্টাচার্য l নেতাজির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন প্রধান অথিতি ডাক্তার নীলাদ্রি শেখর দোলুই এরপরেই পঞ্চাশের বেশি দুস্থ শিশুর হাতে তুলে দেয় স্কুলের ব্যাগ এবং অন্যান্য উপহার সামগ্রী।উপস্থিত ছিলেন এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার শ্রীঅরবিন্দ সিংহ, অতিথি অন্তরা সেন প্রমুখ । অনুষ্ঠানের শেষে সংস্থার কর্ণধার জানিয়েছেন - "আরও মানুষ এগিয়ে এলে ভবিষৎতে অনেকবেশি এইরুপ সমাজসেবা করতে পারবে 'সুসম্পর্ক' "l
মহাকাশ বিজ্ঞানের পাঠ নিতে বিধান শিশু উদ্যানে পড়ুয়ারা
মহাকাশ বিজ্ঞান প্রদর্শনী চলছে বিধান শিশু উদ্যানে
মহাকাশ বিজ্ঞান প্রদর্শনী চলছে বিধান শিশু উদ্যানে। গত বুধবার দুপুরে শুরু হয়েছে চলবে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত। কলকাতার হাডকো মোড় সংলগ্ন বিধান শিশু উদ্যানে মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে প্রদর্শনীতে আজ সাধারণ মানুষের ঢল নামে। প্রদর্শনী দেখতে সকাল থেকেই হাজার হাজার মানুষ বিধান শিশু উদ্যান মুখী। এখন পযর্ন্ত প্রায় কুড়ি হাজারেরও বেশি দর্শনার্থী এসেছেন বলে জানা গেছে । মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে ছোটদের মধ্যে আগ্রহ চোখে পড়ার মতো। তাদের হাজারো প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন আহমেদাবাদ থেকে আসা ইসরোর বিজ্ঞানীরা। তাদের যোগ্য সহযোগিতা করছে কলকাতার বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য,গতকাল সকাল এগারোটায় এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ইসরোর সিনিয়র এডভাইজার তথা বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড.তপন মিশ্র। উপস্থিত ছিলেন মধ্য শিক্ষা পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি(একাডেমিক) ড.পার্থ কর্মকার,ড.চন্দন কুমার পাল,ড.শৈবাল রায়, বিশিষ্ট সাহিত্যিক সাংবাদিক একরাম আলি প্রমুখ । প্রদর্শনী চলবে শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত। এর পাশাপাশি চলছে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেনির ছাত্র ছাত্রীদের কুইজ,তাৎক্ষনিক বক্তৃতা,বিতর্ক এবং মডেল তৈরির প্রতিযোগিতা চলছে বলে জানান বিধান শিশু উদ্যানের কর্মকর্তা গৌতম তালুকদার।
শিয়ালদহের কৃষ্ণপদ মেমোরিয়াল হলঘরে মননের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নক্ষত্র সমাবেশ
মোল্লা জসিমউদ্দিন
বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতার শিয়ালদহ সংলগ্ন কৃষ্ণপদ মেমোরিয়াল হলঘরে সাহিত্য সংগঠন 'মনন' এর বাৎসরিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হলো। উপস্থিত ছিলেন পান্ডব গোয়েন্দা খ্যাত ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়, কবি মন্দাক্রান্তা সেন, বিদ্রোহী কবি কাজি নজরুল ইসলামের নাতনি সাহিত্যিক সোনালি কাজি, সাহিত্য সম্রাটের পঞ্চম বংশধর তথা সাহিত্যিক জয়দীপ চট্টপাধ্যায়, বাচিক শিল্পী আরণ্যক বসু প্রমুখ। তিন শতাধিক কবি সাহিত্যিকদের নিয়ে ঘন্টা পাঁচের সভা চলে। "এই বাংলার বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি সূদুর বাংলাদেশ থেকে আগত সাহিত্যানুরাগীদের আবৃত্তি - গান চলে। বেশকিছু বই প্রকাশের পাশাপাশি মননের অষ্টম সংখ্যা প্রকাশ করা হয়" বলে জানান মননের কর্মকর্তা স্নেহাশিস চক্রবর্তী । এদিন সাহিত্য - সংস্কৃতি জগতের বেশ কয়েকজন গুণীজনদের সংবর্ধনা জানানো হয়। এই মঞ্চে 'কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি'র সম্পাদক মোল্লা জসিমউদ্দিন আগামী ৩ রা মার্চ মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের জন্মদিন উপলক্ষে সংবর্ধনা প্রাপক ২০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করেন। ঘোষিত কর্মসূচি হিসাবে কুমুদ সাহিত্য মেলার দিন অর্থাৎ ৩ রা মার্চ মঙ্গলকোটের কোগ্রামে কুমুদ ভিটেয় সাহিত্য সংগঠন 'মননে'র তরফে ১৫০ জন দুস্থদের বস্ত্রবিলি এবং অন্নভোগ করা হবে। সেইসাথে সমাজসেবী সংগঠন 'সুসম্পর্ক' এর পক্ষে ১০০ জন দুস্থ পড়ুয়াদের শিক্ষাসামগ্রী তুলে দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার, জানুয়ারী ২৩, ২০২০
কুমুদ সাহিত্য মেলায় কারা সংবর্ধনা পাচ্ছেন? জানুন আজ
আজ সন্ধ্যাবেলায় কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটির পক্ষে সংবর্ধনা প্রাপকদের নাম প্রকাশ করা হবে।
একসময় ছিল যখন কুমুদ সাহিত্য মেলায় সংবর্ধনা জানানোর জন্য অনুরোধ /আবেদন - নিবেদন করে তালিকা প্রকাশ করা হত। কেউ কেউ ওইদিন জন্মদিন অনুষ্ঠানে পুরস্কার নিতে আসেন নি। তাদের বাড়িতে গিয়ে আমাকে মানপত্র দিয়ে আসতে হয়েছে!
ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে আজ কুমুদ সাহিত্য মেলা অঙ্গুরিত বীজ থেকে বটবৃক্ষ না হলেও চারাগাছ হিসাবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। দক্ষিণবঙ্গের ১১ টি জেলা থেকে ৫০+ নামের তালিকা এসেছে বিভিন্ন সোর্স ধরে। যারা নিয়মিত কুমুদ মেলার দিনে আসেন সেইসব কবি সাহিত্যিকদের আমরা অগ্রাধিকার দিই। খ্যাত - অখ্যাতদের মেলবন্ধনের ৩ রা মার্চ মঙ্গলকোটের কোগ্রাম হয়ে উঠে সাংস্কৃতিক রাজধানী।
আমরা এবার ২০ জন বিশিষ্টজনদের সম্মান জানাবো, তার তালিকা আজ সন্ধেবেলায় প্রকাশ পাবে। যাদের নাম এবারে থাকছেনা, তাদের আগামী বছর অবশ্যই সম্মান জানাবো।
জাজেস ক্লক উদ্বোধনে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি
মোল্লা জসিমউদ্দিন
বুধবার বিকেলে কলকাতা হাইকোর্টের ই গেটে চালু হল জার্জেস ক্লক / বিচার ঘড়ি। শুভ উদঘাটন করেন প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করন নায়ার রাধাকৃষ্ণন। ছিলেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত সহ বেশ কয়েকজন বিচারপতি। এরাজ্যে বিচার প্রক্রিয়ায় গতি বাড়াতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট কর্তৃপক্ষ। ২২ জানুয়ারি অর্থাৎ বুধবার বিকেলে কলকাতা হাইকোর্টের 'ই' গেটে বসলো জাস্টিস ক্লক /বিচার ঘড়ি। যার সূচনা করেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করন নায়ার রাধাকৃষ্ণন। জাস্টিস ক্লক আসলে কি? সেখানে কিভাবে উপকৃত হবেন বিচারপ্রার্থীরা? জাস্টিস ক্লক আসলে একটি জায়েন এলইডি স্কিন। যেখানে রাজ্যের সমস্ত জেলা ও মহকুমা আদালতের ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলার বিস্তারিত তথ্য থাকবে। কতগুলি মামলা বিচারধীন রয়েছে, মামলার পরবর্তী শুনানি কবে, কত মামলার নিস্পত্তি হয়েছে।এইবিধ নানান মামলা সম্পকিত তথ্য থাকবে এই বিচার ঘড়ির মধ্যে। তবে কলকাতা হাইকোর্ট সহ দুটি সার্কিট বেঞ্চের ( জলপাইগুড়ি ও আন্দাবান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ) অধীনে মামলাগুলির তথ্য এখনই থাকছেনা বলে জানা গেছে । তবে আগামী দিনে এইসব বেঞ্চের মামলা কেন্দ্রিক তথ্য থাকবে । উল্লেখ্য, গোটা রাজ্যে প্রায় ২৩ লক্ষ মামলা বিচারধীন রয়েছে। এর মধ্যে আবার প্রায় ১৮ লক্ষ মামলা ফৌজদারিভুক্ত। এটি হাইকোর্টের 'ই' গেটে জায়েন এলইডি স্কিনের মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে।
হাইকোর্টে এনআরসি বাতিলের মিছিলে হাঁটলেন আইনজীবীরা
মোল্লা জসিমউদ্দিন
কেন্দ্রীয় সরকারের সিএএ এবং এনআরসির বিরোধিতায় সার্বিক ঐক্য দেখা গেল কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে । যেখানে জাতীয় কংগ্রেস থেকে বামপন্থী এমনকি এই রাজ্যের শাসক দলের মতাদর্শে বিশ্বাসী আইনজীবীদের একসাথে হাটতে দেখা গেল কেন্দ্রের এনআরসি বাতিলের মিছিলে। কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা বাম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, কংগ্রেস নেতা অরুণাভ ঘোষ, আবার রাজ্য তৃনমূল লিগ্যাল সেলের চেয়ারম্যান ভাস্কর বৈশ্য। প্রত্যেকে আলাদা দলের মতাদর্শে বিশ্বাসী হলেও আজ আইনজীবীদের একসূরে সিএএ বিরোধীতা দেখা যায়। সোমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের মেন গেট থেকে সিটি সিভিল আদালতের গেট অবধি কয়েকশো আইনজীবীদের রাজনৈতিক প্লাটফর্মের বাইরে এনআরসি বাতিলের মিছিলে দেখা যায়। এই প্রতিবাদ মিছিলে থাকা কলকাতা হাইকোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী মাসুদ করীম বলেন - " ভারতে বসবাসকারী প্রত্যেককে নাগরিক হিসাবে মান্যতা দিতে হবে। ভোটার কার্ড যদি নাগরিকত্বের প্রমাণ না হয়, তাহলে নির্বাচনগুলিতে ভোটাধিকার প্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সরকার কি ভাবে বৈধ হয়? "। উল্লেখ্য, এই আইনজীবী জনমানসে এনআরসি আতঙ্ক কাটাতে বিভিন্ন সেমিনারে নিয়মিত অংশগ্রহণ করে থাকেন।
বুধবার, জানুয়ারী ২২, ২০২০
দক্ষিণবঙ্গের ব্যস্ততম সড়ক সেতু বন্ধ, হয়রানি যাত্রীদের
মোল্লা জসিমউদ্দিন
উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের সবথেকে ব্যস্ততম সড়কসেতু মঙ্গলকোটের অজয় নদের উপর লোচনদাস সেতুটি এক মাস বন্ধ থাকবে। সেতুর পিচ এবং পিলার মেরামতের জন্য ২১জানুয়ারি থেকে এই সেতুটি বন্ধ হয়েছে । চারচাকার সমস্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে সাইকেল - মোটরসাইকেল সহ পথচারীদের উপর কোন বিধিনিষেধ থাকছেনা বলে প্রশাসন সুত্রে প্রকাশ। পূর্ব বর্ধমান এবং বীরভূম জেলা দুটি সংযোগকারী অজয় নদের উপর প্রায় এক কিমি দৈঘ্য বিশিষ্ট লোচনদাস সেতুটির অধিকাংশ সেতু পিলার গুলি বসে গেছে। যার ফলে সেতুর স্বাভাবিক ভরণ ক্ষমতা হারিয়েছে। সেতুর পিলারে বিশেষত নদী গর্ভে থাকা পিলার গুলিতে চিড় ধরেছে। সাথে সেতুর উপর পিচে ছোটবড় গর্তও তৈরি হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে পূর্ত দপ্তরের মেরামতির প্রস্তাবনায় ৮০ লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদান মঞ্জুর করে রাজ্য সরকার। সেই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে ২১ জানুয়ারি থেকে। কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ সহ দক্ষিণবঙ্গের দশের বেশি জেলায় কয়েক হাজার যানবাহন এই সেতুর উপর যাতায়াত করে থাকে। ২১ জানুয়ারি থেকে এই গাড়ি গুলি বর্ধমান শহর থেকে একাধারে কাটোয়ার যাজীগ্রাম - ফুটিসাকো রুটে যাতায়াত করতে হবে। আরেকটি বর্ধমান শহর দিয়ে ভেদিয়া - বোলপুর রুটে চলবে। অজয়ের এপারে মঙ্গলকোটের নুতনহাট এবং অজয় নদের ওপারে নানুরের পালিতপুর মোড়ে স্থানীয় বাসগুলি চলাচল করবে বলে প্রশাসন সুত্রে প্রকাশ। লোচনদাস সেতুর নিচে অজয় নদের বেআইনী যততত্র বালিঘাট এবং সেতুর উপর দিয়ে বীরভূমের পাঁচামী থেকে পাথর বোঝাই আগত গাড়ীর বেহিসেবী যাতায়াত লোচনদাস সেতুর এই বিপর্যয়ের মূল কারণ। ১৯৯৮ সালে ৮ জুলাই চালু হওয়া এই সেতুর বয়স সবে কুড়ি বছর পেরিয়েছে। তাই আগামীদিনে এই সেতুর নিচে অজয় নদের বালিঘাট নিয়ন্ত্রণে এবং অত্যাধিক পাথর বোঝাই গাড়ী যাতায়াতে বিধিনিষেধ না রাখলে এই সেতু ক্রমশ বিপদজনক হয়ে উঠবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
কুমুদ সাহিত্য মেলার পাশে রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী
কুমুদ সাহিত্য মেলার পাশে দাঁড়ালেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী
স্বপ্ন কোনদিন বাস্তবে এলে, তার বহিঃপ্রকাশ করার ভাষা খুঁজে পাওয়া যায়না। তবুও মনের অন্দরে থাকা সেই খুশি বা আনন্দ জানাতেই হয়।
গত দশ বছর ধরে মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর জন্মদিন উপলক্ষে কুমুদ সাহিত্য মেলা করে আসছি।এতদিন কোথাও কোন সরকারি সাহায্য পাইনি। তিনশোর বেশি কবি সাহিত্যিক আসেন, তাঁদের কাছে কোন ডেলিকেট ফি গ্রহণ করেনি এবং করবোও না। বিভিন্ন শুভাকাঙ্ক্ষী ব্যক্তিদের কাছে হাত পাতি।লজ্জা করিনা,অনেকেই সাধ্যমতো সহায়তা করেন। সাংবাদিকতা পেশার আয়ের সিংহভাগ খরচ হয় এই কুমুদ সাহিত্য মেলা ঘিরে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী আমাদের পাশে দাঁড়ালেন। রাজ্যের গুরত্বপূর্ণ মন্ত্রীর নজরে কুমুদ সাহিত্য মেলা! এটা উপলব্ধি করতে পেরেই আমরা আপ্লূত। আগামী ৩ রা মার্চ আসছেন পান্ডব গোয়েন্দা খাত ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়, কবি মন্দাক্রান্তা সেন, বিদ্রোহী কবির নাতনি সোনালি কাজি, সাহিত্য সম্রাটের পঞ্চম বংশধর জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়, সাহিত্যক আরণ্যক বসু প্রমুখ। ওইদিন 'মনন' এর তরফে ১৫০ জন দুস্থদের বস্ত্রবিলি, 'সুসম্পর্ক' এর তরফে ১০০ জন দুস্থ পড়ুয়াদের শিক্ষাসামগ্রী, 'উদার আকাশ' এর তরফে ৩ সাংবাদিক কে সংবর্ধনা , 'আরএনঘোষ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট' এর তরফে ২ জন দুস্থ কৃতিদের আর্থিক অনুদান সর্বপরি ২০ জন গুনীজনদের সংবর্ধনা জানানো হবে। ওইদিন সপরিবারে আসুন। দেখতে পাবেন বৈষ্ণব কবি লোচনদাসের সমাধিস্থল, সতীপীঠ খ্যাত মঙ্গলচণ্ডীর মন্দির , মহাদেবের নীললোহিত মন্দির, মুঘল সম্রাট শাহজাহান বাদশার শিক্ষা ও দীক্ষাগুরু আব্দুল হামিদ বাঙ্গালীর কবরস্থান, হোসেন শাহ বাদশার মসজিদ প্রমুখ দর্শনীয় স্থান।
💐🙏 মোল্লা জসিমউদ্দিন সম্পাদক (কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি)
মঙ্গলবার, জানুয়ারী ২১, ২০২০
পুলিশের স্বাস্থ্য শিবির হল মঙ্গলকোটের চাণকে
মোল্লা জসিমউদ্দিন
আমিরুল ইসলাম
সোমবার সারাদিন ব্যাপি পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের উদ্যোগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির হল মঙ্গলকোটে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের উদ্যোগে ও মঙ্গলকোট থানার সহযোগিতায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত হয় মঙ্গলকোটের চাণকের আদিবাসী পাড়ায়।আজ প্রায় চারশো জন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন এখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান।সমস্ত ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল এই স্বাস্থ্য শিবিরে। পাশাপাশি রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা ছিল।
এখানে উপস্থিত হয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (কাটোয়া ও কালনা) ধ্রুব দাস, কাটোয়া এসডিপিও ত্রিদিব বাসু , মঙ্গলকোট থানার ওসি মিঠুন ঘোষ, কৈচর আইসি সুজিত ভট্টাচার্য প্রমুখ ।আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন খুশি পুলিশের এই উদ্যোগে। স্থানীয় বাসিন্দা সোমনাথ কোঁড়া জানান - "পুলিশ এত মানুষের কাছে আসতে পারে তা আজকে বাস্তবে আমরা বুঝলাম ।প্রায় সমস্ত রকম স্বাস্থ্যপরিসেবা আমাদের আদিবাসী পাড়ায় চললো । এজন্য মঙ্গলকোট থানার সমস্ত পুলিশকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই "।উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে আদিবাসী মহল্লার ৬০ জন ক্ষুদেদের নিয়ে অজয় নদের চরে পুলিশ পিকনিক করে থাকে। অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার ধ্রুব দাস জানান - " শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা নয়, পুলিশ এইধরনের সামাজিক ক্ষেত্রে নিয়মিত কাজ করে থাকে "।
শনিবার, জানুয়ারী ১৮, ২০২০
বিচারের গতি বাড়াতে হাইকোর্টে বসছে জাস্টিস ক্লক
বিচারের গতি বাড়াতে হাইকোর্টে বসছে 'জাস্টিস ক্লক'
মোল্লা জসিমউদ্দিন
এরাজ্যে বিচার প্রক্রিয়ায় গতি বাড়াতে অভিনব উদ্যোগ নিচ্ছে কলকাতা হাইকোর্ট কর্তৃপক্ষ। আগামী ২২ জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের 'ই' গেটে বসছে জাস্টিস ক্লক /বিচার ঘড়ি। যার সূচনা করবেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করন নায়ার রাধাকৃষ্ণন। একথা আজ অর্থাৎ শুক্রবার দুপুরে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে জানালেন কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল রাই চট্টোপাধ্যায়। জাস্টিস ক্লক আসলে কি? সেখানে কিভাবে উপকৃত হবেন বিচারপ্রার্থীরা? জাস্টিস ক্লক আসলে একটি জায়েন এলইডি স্কিন। যেখানে রাজ্যের সমস্ত জেলা ও মহকুমা আদালতের ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলার বিস্তারিত তথ্য থাকবে। কতগুলি মামলা বিচারধীন রয়েছে, মামলার পরবর্তী শুনানি কবে, কত মামলার নিস্পত্তি হয়েছে।এইবিধ নানান মামলা সম্পকিত তথ্য থাকবে এই বিচার ঘড়ির মধ্যে। তবে কলকাতা হাইকোর্ট সহ দুটি সার্কিট বেঞ্চের ( জলপাইগুড়ি ও আন্দাবান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ) অধীনে মামলাগুলির তথ্য এখনই থাকছেনা বলে সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল রাই চট্টোপাধ্যায়। তবে আগামী দিনে এইসব বেঞ্চের মামলা কেন্দ্রিক তথ্য থাকবে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, গোটা রাজ্যে প্রায় ২৩ লক্ষ মামলা বিচারধীন রয়েছে। এর মধ্যে আবার প্রায় ১৮ লক্ষ মামলা ফৌজদারিভুক্ত।জাস্টিস ক্লক পরিষেবা টি আগামী ২২ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করন নায়ার রাধাকৃষ্ণন। এটি হাইকোর্টের 'ই' গেটে জায়েন এলইডি স্কিনের মাধ্যমে দেখা যাবে।
৫৮তম বার্ষিকী পালন হল বাগমারী মানিকতলা উচ্চবিদ্যালয়ে
বাগমারী - মানিকতলা উচ্চবিদ্যালয়ের ৫৮ তম বার্ষিকী
কলকাতার কাঁকুড়গাছি সংলগ্ন বাগমারী - মানিকতলা গভঃ স্পন্সর্ড উচ্চ বিদ্যালয়ে মহাসমারোহে পালিত হল ৫৮ তম বার্ষিকী। গত বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার দুদিনব্যাপি চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।কৃতি ছাত্রদের পুরস্কার বিতরণী, ছাত্রদের পরিবেশিত চারুচলা এবং বিজ্ঞান প্রদর্শনী চলে। সেইসাথে কবিতা পাঠ, নৃত্য পরিবেশন তো ছিলই। প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি অবধি কৃতিদের বইপত্র উপহার হিসাবে তুলে দেওয়া হয়। 'এল এন্ড টি' সংস্থার তরফে পুরস্কার দেওয়া হয় এদিন। উল্লেখ্য, এই সংস্থাটি ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণি অবধি আগ্রহী পড়ুয়াদের কম্পিউটার শিক্ষা, স্পোকেন ইংলিশ শিক্ষা প্রদানে শিক্ষক ও বইপত্র বিনামূল্যে সরবরাহ করে থাকে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীদের বিধান শিশু উদ্যানে 'প্রয়াস' বিভাগে কোচিং করানোর ব্যবস্থাও রয়েছে। শুক্রবার বিকেলে স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শ্রী বাসুদেব মাইতি, স্কুল পরিচালন সমিতির পদাধিকারী শ্রী দেবাশীষ সরকার, প্রধান শিক্ষক ডক্টর দেবীপ্রসাদ আচার্য প্রমুখ। এই স্কুল টি ১৯৬৩ সালে চালু হয়। বর্তমানে হাজারের কাছাকাছি পড়ুয়া রয়েছে। প্রাতবিভাগে প্রাইমারি ( প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণি) শিক্ষার পঠনপাঠন চলে। দুপুরে ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণি অবধি পড়ানো হয়। উচ্চমাধ্যমিকে কলা, বিজ্ঞান, কর্মাস তিনটি বিভাগেই পড়ানো হয়।শুক্রবার দিন ক্ষুদে পড়ুয়ায়াদের সচেতনতামূলক প্রদর্শনীতে পথ নিরাপত্তা থেকে জল ধরো জল ভরো প্রকল্পের বার্তা দিতে নানান কর্মকান্ড করতে দেখা যায়। শুধু তাই নয় প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য পেশ করতেও দেখা যায় তাদের কে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ডক্টর দেবীপ্রসাদ আচার্য বলেন - " প্রতিবছরই আমরা এইরুপ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ বিজ্ঞান প্রদর্শনী করে থাকি "।
শুক্রবার, জানুয়ারী ১৭, ২০২০
পথ হারানো বৃদ্ধা কে বাড়ি ফেরালো মঙ্গলকোট পুলিশ
মোল্লা জসিমউদ্দিন
বছর পঞ্চাশের এক বৃদ্ধা গভীর রাতে পথ হারিয়ে একাকী ছিল চরম অনিশ্চয়তায়। ঠিক সেইসময় টহলরত পুলিশ কর্মীরা তাকে দেখতে পান। "কোথায় বাড়ী? এত রাতে কি করছেন? এখানে কারও বাড়ী এসেছেন কিনা? " এই বিধ নানান প্রশ্নের উত্তর মেলেনি তখন, তাই থানায় এনে রাতের খাবার খাইয়ে মানবিক পুলিশ খুঁজে পেল তার ঠিকানা। ঠিকানা জানবার সাথেসাথেই সেখানকার থানায় খবর দিয়ে তুলে দেওয়া হল পরিবারের হাতে। পরিবারের লোকজন খুবই খুশি পুলিশের এহেন ভূমিকায়। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলকোট থানার সিঙ্গত গ্রামে।মঙ্গলকোট ওসি মিঠুন ঘোষ জানিয়েছেন - " গত বুধবার গভীররাতে টহলকারী পুলিশের গাড়ি নুতনহাট কাটোয়া সড়কপথে সিঙ্গত বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বছর পঞ্চাশের এক বৃদ্ধা কে দেখতে পান। আংশিক স্মৃতিভ্রংশ ওই বৃদ্ধা সঠিক ঠিকানা বলতে পারেননি। তাই আমরা দায়িত্ব করে থানায় এনে ঠিকানা উদ্ধার করে বাড়ির লোকজনদের হাতে তুলে দিই"। জানা গেছে, আরতি সাঁতরা নামে ওই বৃদ্ধা নিকটাত্মীয় বাড়ীতে যাবার সময় ভূল বাসে চেপে পড়লে এই বিপত্তি ঘটে। দেওয়ানদিঘী থানার বালিশা গ্রামে ধানু সাঁতরার স্ত্রী আরতি সাঁতরা আংশিক স্মৃতিভ্রংশ। তাই সহজেই ঠিকানা না বলতে পারায় এই পথ হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা টি ঘটে।বৃহস্পতিবার দুপুরে মঙ্গলকোট থানায় বৃদ্ধা কে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় । মঙ্গলকোট থানার এহেন মানবিক সক্রিয়তার ঘটনায় সাধুবাদ জানিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের গ্রামীণ (কাটোয়া ও কালনা) পুলিশসুপার ধ্রুব দাস ।
বৃহস্পতিবার, জানুয়ারী ১৬, ২০২০
৭৪ তম বার্ষিকী পালিত হল রবীন্দ্র ভারতী সোসাইটিতে
উপাচার্য ডক্টর সুজিত কুমার বসু প্রমুখ।স্বাগত ভাষন দেন আয়োজক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায়। তিনি বিগত বছর গুলিতে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক উদ্যোগ নেওয়া নিয়ে বিস্তারিত তথ্য পেশ করেন। উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশনে রবীন্দ্র ভারতী সোসাইটির কলাকুশলীরা ছিলেন। এরপর বাংলাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা এবং এপার বাংলার বিখ্যাত নাট্য ব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত কে সংবর্ধনা জানানো হয় আয়োজক সংস্থার তরফে। 'নহি সামান্য নারী' শিরোনামে নৃত্যানুষ্ঠান হয়। 'মুক্তি' শীর্ষক গীতি আলেখ্য চলে। এটি পুনার উপাসানা সংস্থার পক্ষে মঞ্চস্থ হয়। পুরো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান টি সঞ্চালনায় ছিলেন শ্রী অলক রায় ঘটক মহাশয়। রবীন্দ্র ভারতী সোসাইটির সভাপতি পদে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি চিত্ততোষ মুখোপাধ্যায় এবং সাধারণ সম্পাদক আছেন বর্ষীয়ান আইনজীবী সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায়। এঁরা জানান - " রবীন্দ্র ভাবনার নিয়মিত বিকাশে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে রবীন্দ্র ভারতী সোসাইটি"।
বুধবার, জানুয়ারী ১৫, ২০২০
সরশুনা প্রতারণা মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বড় স্বস্তি পেলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়
মোল্লা জসিমউদ্দিন
মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শহিদুল্লা মুন্সির ডিভিশন বেঞ্চে সরশুনা প্রতারণা মামলায় শুনানি চলে। সেখানে বাদী এবং বিবাদী উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয় - 'পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া অবধি মুকুল রায় কে গ্রেপ্তার করা যাবে না। মামলার তদন্তে অগ্রগতি হলে সেটা পুলিশ কে জানাতে হবে ডিভিশন বেঞ্চ কে '। এহেন নির্দেশ অনেকখানি স্বস্তি আনলো বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায় কে। গত শুনানিতে রাজ্যের তরফে আইনজীবী আর্থিক প্রতারণা মামলায় বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের জামিনের বিরুদ্ধে কড়া সওয়াল চালিয়ে ছিলেন । তাঁর যুক্তি ছিল -" এই মামলায় ধৃত রাহুল সাউ এর ব্যাংক লেনদেনে ব্যাপক গড়মিল পাওয়া গেছে। উত্তরপ্রদেশ - বিহার - ঝাড়খণ্ড রাজ্যগুলিতে রেলের চাকরি - সদস্যপদ পাইয়ে দেওয়ার নামে এক সিন্ডিকেটের হদিস মিলেছে। এমনকি এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এক আপ্ত সহায়কের বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করা হচ্ছে। তাই মুকুল রায় জামিন পেলে এই মামলার তদন্তে ব্যাঘাত ঘটবে "। অপরদিকে মুকুল রায়ের আইনজীবী এইসব অভিযোগ ভিক্তিহীন দাবি করে রাজনৈতিক প্রতিশোধের যুক্তি দেখিয়েছিলেন। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে নির্দেশ দিয়েছিল - 'এই মামলার নিস্পত্তি না হওয়া পযন্ত মুকুল রায়ের অন্তবর্তী জামিন বহাল থাকবে'। ১৪ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি ছিল।যা আজকে এই মামলায় শুনানি চললো। যেখানে পরবর্তী নির্দেশ না অবধি মুকুল রায় কে গ্রেপ্তার নয় তা জানিয়ে দেওয়া হয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী এক দল মুকুল রায় কে জেরা চালিয়েছে। আবার সম্প্রতি বেহালায় কলকাতা পুলিশের এক অফিসে ডেকে মুকুল রায় কে জেরা চালিয়েছেন তদন্তকারীরা। কলকাতা হাইকোর্টে এই আর্থিক প্রতারণা মামলায় আইনী রক্ষাকবচের মেয়াদ ছিল ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। ইতিপূর্বে ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন তুলেছিল পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়ার উপর - জানুয়ারি তে অভিযোগ গ্রহণ হওয়ার পর কেন এতদিন পর সক্রিয়তা নিয়ে ? অভিযোগ গ্রহণের প্রায় সাত মাস পর পুলিশ এই মামলায় তৎপরতা দেখায়। এই মামলায় অভিযুক্ত বাবান ঘোষ কে গতবছর ২১ শে আগস্ট গ্রেপ্তারের পর কলকাতার বাবুঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়ের আরেক ঘনিষ্ঠ বলয়ে থাকা সাদ্দাম আলী কে।একসময় ধৃত বাবান ঘোষ কে জেরা করে নাম উঠে আসে সাদ্দাম আলীর নাম। তাই সাদ্দাম আলী কে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল বাবুঘাট এলাকা থেকে। সরশুনা ঘুষকান্ডে দুজন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ায় ক্রমশ চাপে ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়। পুলিশি সুত্রে প্রকাশ, এই মামলায় বাবান ঘোষের পাশাপাশি নাম রয়েছে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের। তাই গ্রেপ্তারির আশংকা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছেন মুকুল রায়। জানা গেছে, আর্থিক প্রতারণা (৪২০ ধারা) , এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র (১২০ বি) এর জামিন অযোগ্য ধারা গুলি রয়েছে এফআইআর কপিতে।বেহালার সরশুনার বাসিন্দা সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের তার অভিযোগপত্রে লিখেছেন - গড়িয়াহাটের বাসিন্দা তথা বিজেপির মজদুর ইউনিয়নের নেতা বাবান ঘোষ ২০১৫ সালে রেলের স্থায়ী কমিটির পদ পাইয়ে দেওয়ার নামে ৪৬ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। সেসময় কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী ছিলেন সুরেশ প্রভু। কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটে যোগাযোগ ভালো আছে বোঝানোর জন্য সংসদ ভবনে এই বাবান ঘোষ বেহালার সন্তু গঙ্গোপাধ্যায় কে নিয়ে গিয়েছিল বলে দাবি। রেলমন্ত্রকের নানা কাগজপত্র নাকি দিয়েছিল অভিযুক্ত বাবান ঘোষ। এই কাগজপত্রের সততা জানতে পূর্ব রেলের সদর দপ্তর কলকাতার ফেয়ারলি প্লেসে গিয়েছিলেন অভিযোগকারী। আর সেখানেই জানতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। যদিও বাবান ঘোষ শিবিরের দাবি - 'সম্প্রতি টালিগঞ্জের একঝাঁক শিল্পীদের তৃনমূল থেকে বিজেপিতে নাম লেখানোর কাজে মুখ্য ভূমিকা নিয়ে ছিলেন বাবান ঘোষ। এই রাজনৈতিক শত্রুতা থেকেই জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু এবং গ্রেপ্তার সে'।প্রশ্ন উঠে ২০১৫ সালের বিষয়টি কেন প্রায় চার বছরের মাথায় তুললেন অভিযোগকারী এবং রেলের স্থায়ী কমিটিতে পদ পেতে কেন এত টাকা দিতেও গেলেন সেই বিষয়েও উঠেছে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন ? এরেই মাঝে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ মুকুল রায় কে গ্রেপ্তার করা যাবেনা পরবর্তী আদেশনামা জারী না অবধি। তাতে মুকুলের স্বস্তি বাড়িয়ে দিল বহুগুণ। ২০১৭ সালের দলবদলের পর থেকে এই সময়কাল অবধি ৪৯ টি ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন মুকুল রায়। বেশিরভাগ মামলায় আদালতে টিকে নি অভিযোগকারীদের পক্ষে। বীরভূমের লাভপুরের তিন ভাই খুনের মামলা এবং নদীয়ার বিধায়ক খুনের মামলায় অবশ্য চাপে আছেন মুকুল রায়।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
OLD POSTED
আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
মোল্লা জসিমউদ্দিন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER
-
বাকুঁড়ার কোতলপুর ব্লক তৃনমূল কমিটির পরিচালনায় বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদসভা হয়।উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শ্যামল সাতঁরা, সাংসদ সৌমিত্র খান, জেলা স...