সেখ সামসুদ্দিন
শুক্রবার, এপ্রিল ০৩, ২০২০
মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে মেমারিতে খাদ্য সামগ্রী বিলি
বর্ধমান লাইন্স ক্লাবের উদ্যোগে অভুক্তদের ডিমভাত
সুকান্ত ঘোষ
বর্ধমান শহরে লাইন্স ক্লাবের উদ্যোগে করোনায় অভুক্তদের খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয় এদিন। ক্লাবের তরফে আইনজীবী সঞ্জয় ঘোষ জানান - এহেন বিপদে আমরা সাধ্যমতো অভুক্তদের একবেলা আহারের আয়োজন করেছি
করোনা পরীক্ষা করছেন হাঁসন বিধায়ক
তথাগত চক্রবর্তী,
সচেতনতা বাড়াতে বিধায়ক নিজেই ইম্ফেরেড থার্মোমিটার নিয়ে এলাকায় মানুষ দেখলেই তাপমাত্রা পরীক্ষা করছেন বীরভূমের হাসনের বিধায়ক মিল্টন রসিদ।
সত্যজিৎ রায়ের সিনেমার নাম দিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন
সত্যজিৎ রায় এর সিনেমার নাম দিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন।
করোনার ভয়ে *'অপুর সংসার'* তটস্থ। *'অপরাজিত'* থাকতে *'জলসাঘরে'* *'সীমাবদ্ধ'* থাকুন। বারবার *'ঘরে-বাইরে'* করলেই বিপদ। এমন কোনও *'পরশ পাথর'* বা *'দেবী'* নেই যা আপনাকে এই বিপদ থেকে বাঁচাবে, এমনকি *'জয় বাবা ফেলুনাথ'* বললেও কোনও *'নায়ক'* এগিয়ে আসবে না আপনাকে বাঁচাতে। এই বাজারে *'পোস্টমাস্টার'* ও বাড়িতে। সংসারে সুখের' *'সমাপ্তি'* ঘটিয়ে লাভ আছে? *'সদগতি'* করতেও কিন্তু কাউকে পাবেন না। করোনা নিঃশব্দ *"আগন্তুক"* এর মতো তার *"শাখা-প্রশাখা"* বিস্তার করেছে। এই *'জন অরণ্য'* তে করোনাকে হালকা *'প্রতিদ্বন্দ্বী'* হিসেবে নিলে ভুল করবেন। এখন *'পথের পাঁচালী'* গাইতে গাইতে *'সোনার কেল্লা'* বা' *'কাঞ্চনজঙ্ঘা'* না দেখতে যাওয়াই ভালো। *'সিকিম'* এর দিকটাতেও সমস্যা। এদিকে বাড়িতে থেকে থেকে ' *'চিড়িয়াখানা'* মনে হচ্ছে তো? কুছ পরোয়া নেহি, বাইরে বেরিয়ে লোকের ভিড়ে রোগ না ছড়িয়ে, *'গণশত্রু'* না হয়ে দুপুর বেলা *'হীরক রাজার দেশে'* বা *'গুপি গাইন বাঘা বাইন'* দেখুন। অকারণে *"অভিযান'* করতে গিয়ে রোগ বাঁধিয়ে সংসারে *'অশনি সংকেত'* ডেকে আনার মানে আছে মশাই? একটা কিছু ঘটে গেলে সংসারটাই
*'মণিহারা'* হয়ে যাবে যে। বরং এই কদিন *'অরণ্যের দিন রাত্রি'* কে ফুলে ফলে ভরে উঠতে দিন। আপনার
*'চারুলতা'* কে নিয়ে বাড়িতেই থাকুন। *'মহানগর'* এ ঘুরে না বেরিয়ে একটু ঘরে থেকে ধৈর্য্য ধরুন তবেই না বোঝা যাবে আপনি কত বড় *'শতরঞ্জ কে খিলাড়ি'*? এখানেই তো প্রমাণ হবে কে *'কাপুরুষ - মহাপুরুষ'*.
সংগৃহীত
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের এড়াতে মেমারির ক্ষুদে বিজ্ঞানীর মাস্ক
সেখ জাহির আব্বাস
মারণ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী মাস্ক আবিষ্কার স্কুল পড়ুয়া দিগন্তিকার, বিজ্ঞানী মহলে আলোড়ন।। নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিশেষ করে মাস্ক নিয়ে যখন চলছে কালোবাজারি। ঠিক সেই সময় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী অভিনব এক মাস্ক বানিয়ে ফেলল পূর্ব বর্ধমানের মেমারী বিদ্যাসাগরস্মৃতি বিদ্যামন্দির – শাখা ২ এর একাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া দিগন্তিকা বোস। ইতিমধ্যেই তাঁর এই মাস্ক ভারত সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক কোভিড-১৯ সলিউশন চ্যালেঞ্জ এর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। অপরদিকে ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বশাসিত সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেশন ফাউন্ডেশন ইন্ডিয়ার বিজ্ঞানীরা কিভাবে দিগন্তিকার এই মাস্ক কাজ করছে তা খতিয়ে দেখা শুরু করছে। দিগন্তিকা এর পোশাকি নাম দিয়েছে 'Pure air provider and virus destroyer mask'। উল্লেখ্য, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে পরপর নতুন উদ্ভাবনের জন্য রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার জয় করেছে দিগন্তিকা। এই বছরেই দিগন্তিকা তৈরী করে দুর্ঘটনারোধে চালককে নিয়ন্ত্রণ করার যন্ত্র।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে,এর আগে দিগন্তিকা যে সমস্ত আবিষ্কার তথা নতুন উদ্ভাবন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সেগুলি হল – ১) সুন্দরবনে জীবিকার তাগিদে যাঁরা জঙ্গলে যান, তাঁদের ব্যবহারের জন্য বিশেষ চশমা, যা ব্যবহারে মাথা বা ঘাড় না ঘুরিয়েই পিছন দিকও দেখা যায়। ২) ডাষ্ট কালেক্টিং এটাচমেন্ট ফর ড্রিল মেশিন। এটি যেকোন হ্যান্ড ড্রিল মেশিনের সামনে সহজে যুক্ত করে ড্রিল বা ফুটো করলে কোন ধুলো উড়বেনা। ধুলো একটি চেম্বারে জমা হবে। আর এজন্য কোন অতিরিক্ত বিদ্যুত খরচও হবেনা। ড্রিল মেশিন এর কম্পন থেকেই শক্তি গ্ৰহণ করে এই কাজ করতে সক্ষম। ৩) স্মার্ট সার্ভিক্যাল কলার - বারনৌলির সূত্র কাজে লাগিয়ে বিশেষ কারিগরি পদ্ধতিতে তৈরি কলার সার্ভিক্যাল স্পন্ডিলাইটিস রোগী পড়লে তাঁর প্রচণ্ড ঘাম বা অস্বস্তি হবে না। বস্তুত, এই সমস্ত আবিষ্কারের পর চলতি সময়ে করোনা নিয়ে গোটা বিশ্ব জুড়ে আতঙ্ক আর মৃত্যু মিছিলের মাঝেই দিগন্তিকা এই বিশেষ মাস্ক তৈরী করায় রীতিমত হৈ চৈ শুরু হয়ে গেছে। এই মাস্কের জন্য খরচ পড়বে মাত্র ২০০ টাকা।
নভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে বঙ্গকন্যার নয়া আবিষ্কার, গবেষণায় নতুন দিক খুলে দেবে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীমহল। জানা গেছে,এই বিশেষ ধরনের মাস্ক, যা পরে প্রশ্বাস নিলে ধূলিকণা ও ভাইরাস মুক্ত বাতাস ফুসফুসে প্রবেশ করবে। অপরদিকে নভেল করোনা পজেটিভ কোনো ব্যক্তি পরলে তাঁর ত্যাগ করা নিঃশ্বাস ,হাঁচি , কাশি থেকে নির্গত ড্রপলেট এর মধ্যে থাকা করোনা ভাইরাস বা অন্য কোন ভাইরাসকে প্রতিনিয়ত নষ্ট করে দেবার ক্ষমতা রয়েছে এই মাস্কের। ফলে সংক্রমণের সম্ভাবনা কমে যাবে। এই মাস্কের দুটি অংশ। প্রথম অংশে রয়েছে দুটি একমুখী ভাল্ব এবং দ্বিতীয় অংশে রয়েছে দুটি আধার। প্রথমে প্রশ্বাস গ্ৰহণের বাতাস থেকে ধূলিকণা, জলকণাকে আটকে দেয় ও ভাইরাসের লিপিড প্রোটিনকে ধ্বংস করে বিশুদ্ধ বাতাস একমুখী ভাল্বের মধ্যে দিয়ে মাস্কের ভিতর দিয়ে ফুসফুসে যায়। আবার নিঃশ্বাস ত্যাগ করার সময় অন্য একটি একমুখী ভাল্বের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আর একটি আধারের ভিতরে প্রবেশ করে।ফলে ঐ আধারের মধ্যে বিশেষ প্রযুক্তি সাহায্য মাত্র কয়েক সেকেন্ডে ভাইরাসের লিপিড প্রোটিনের স্তরটি ভেঙে দেয়।তখন ভাইরাসটি নষ্ট হয়ে গিয়ে আর সংক্রমণ ঘটানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তাই, নভেল করোনা পজেটিভ ব্যক্তি এই মাস্ক পরলে তার থেকে নির্গত ড্রপলেটে আর ভাইরাসের অস্তিত্ব থাকবে না। তবে দিগন্তিকার বাবা সুদীপ্তবাবু জানিয়েছেন, যেহেতু এটি এখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে।তাই এখন দিগন্তিকার এই আবিষ্কার সম্পর্কে প্রকাশ্যে বেশি কিছু জানতে জানাতে চাই না
বলগনায় তিনশো পরিবার কে খাদ্য সামগ্রী বিলিতে বৃহন্নলাদের
আমিরুল ইসলাম
বৃহস্পতিবার সকাল বেলায় ভাতারের বলগোনা বাজারের বৃহন্নলাদের উদ্যোগে ৩০০টি পরিবারকে দেওয়া হলো খাদ্য সামগ্রী।করোনা মোকাবেলায় পুলিশ প্রশাসন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চালিয়ে যাচ্ছে জনজীবন কে ভালো করার কাজ। পাশাপাশি যে সমস্ত মানুষ গৃহবন্দি রয়েছেন তাদের সাহায্যার্থে এগিয়ে এসেছেন সরকার থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্লাব সংগঠন। আজ ভাতারের বলগোনা বাজারে রয়েছে ৮ জন বৃহন্নলা। তারা দারিদ্র্য মানুষের পাশে দাঁড়ালো। আজ ৩০০ টি পরিবারকে দিলেন খাদ্য সামগ্রী মানুষ।আলু - চাল - নুন - সাবান প্রভৃতি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছিল সেখানে।
বলগনা পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মোদক জানান - "সরকারিভাবে বিভিন্ন সাহায্য করা হচ্ছে দারিদ্র্য মানুষদের ।আজ আমাদের বলগোনা বাজারের এই বৃহন্নলা গুলি যে সাধারণ গরিব মানুষের পাশে এসে দাঁড়ালেন, সত্যিই আমরা অবাক হয়ে গেছি । উনারাও যে ভাল মনের মানুষ হয় তা আজ প্রমান দিলেন"।
সোমবার, মার্চ ৩০, ২০২০
দুস্থ শিশুদের গরুর দুধ বিলি মঙ্গলকোট পুলিশের
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
শতাধিক ভবঘুরেদের নিয়মিত ডিমভাত খাওয়ানোর আয়োজন করার পর ফের মানবিক উদ্যোগ নিতে দেখা গেল মঙ্গলকোট থানার পুলিশ কে। শনিবার সকালে সদর মঙ্গলকোট এলাকার পঞ্চাশের বেশি শিশু - নাবালক পরিবারদের গড়ে এক লিটার করে গরুর দুধ দেওয়া হল। লকডাউনে কর্মহীন হওয়া এইরুপ প্রান্তিক পরিবার গুলির কাছে বাচ্ছাদের জন্য এক লিটার করে গরুর দুধ পাওয়া 'হাতের কাছে চাঁদ পাওয়ার' সমান বিষয়। এদিন মঙ্গলকোট থানার পুলিশ অফিসাররা করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিধিনিষেধ বজায় রেখে দুস্থ শিশুদের পরিবারের হাতে গরুর দুধ তুলে দেন।মঙ্গলকোট ওসি মিথুন ঘোষ জানিয়েছেন -" এদিন মাঝিপাড়া, বক্সিনগর, মঙ্গলকোট, পদিমপুর, বড়াগড়, মজলিদিঘির পাড় প্রভৃতি এলাকা থেকে পরিবার গুলি এসে দুধ সংগ্রহ করতে"। জানা গেছে, এইরুপ দুুুধ বিলি কর্মসূচি প্রায় নেওয়া হবে। অপরদিকে মঙ্গলকোটের নুতনহাটে কৃষাণমান্ডিতে এক স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ত্রিশ চল্লিশজনের দলবল নিয়ে নিয়মিত বাজার করতে যাচ্ছেন, তাতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় বিধিনিষেধ নিয়ে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন দেখা গেছে ।
রবিবার, মার্চ ২৯, ২০২০
ব্যাঙ্গালোরে আটকে এই রাজ্যের ২৪ জন বাসিন্দা
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
চিকিৎসার জন্য দক্ষিণভারতে গত ১৭ মার্চ গিয়েছিলেন এই রাজ্যের ২৪ জন বাসিন্দা। তারা লকডাউনর জেরে ফিরতে পারেননি নিজ নিজ বাড়ী। সাউথ ব্যাঙ্গালোরের বনসঙ্করি ফাস্ট ফেজ ( কুমারস্বামী লে আউট, ৫০ ফুট রোড, পিন ৫৬০০৭৮) এলাকায় অর্ধাহারে - অনাহারে দিন কাটছে তাদের। সাগর ইন্টার ন্যাশনাল, বাসবি প্রভৃতি হাসপাতালে কিডনি - হার্ট - গাইনি সংক্রান্ত চিকিৎসার জন্য এইসব রোগীরা এই রাজ্য ছেড়ে দক্ষিণভারত গিয়েছিলেন। পূর্ব বর্ধমান সহ দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগণা, হুগলি, হাওড়া,মুর্শিদাবাদ, পূর্ব মেদনীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গত ১৭ মার্চ এরা গিয়েছিলেন সাউথ ব্যাঙ্গালোরে। মঙ্গলকোটের মাহাতুর্বা এলাকার লালচাঁদ মন্ডল ও টাপি দাস রয়েছে। আটকে পড়াদের মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা ( সোনালি দাস, লক্ষ্মীবালা দাস প্রমুখ) গত সপ্তাহে সারাদেশ ধরে লকডাউন ঘোষনার মধ্যেই আটকে গেছেন। যেটুকু অর্থ ছিল এদের মধ্যে তাও লকডাউনে বাজারে চড়ামূল্যে খাবার দাবার কিনে এবং হোটেল ভাড়া দিয়ে শেষ হয়ে গেছে। এদের সাথে যোগাযোগকারী নাম্বার গুলি হল ৭০০১২৯৪৮৫৪, ৯৭৪২৪৩৬৪৭৩। প্রায় অনাহারে থাকা এইবিধ ২৪ জনের মানবিক আবেদন - "রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেন তাদের ব্যাঙ্গালোরে দুবেলা আহার সহ থাকবার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করেন "
শনিবার, মার্চ ২৮, ২০২০
করোনার জেরে ভবঘুরেদের ডিমভাত খাওয়াচ্ছে গুসকারা পুলিশ
মোল্লা জসিমউদ্দিন
জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি,
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় কখনো নিষ্ঠুর হয়ে লাঠি হাতে অপ্রয়োজনীয় ভিড় সামলাতে হচ্ছে,কখনো বা দুস্থদের দিকে বাড়িয়ে দিচ্ছে সহযোগিতার হাত। ঠিক এই দুই ভূমিকায় দেখা গেল পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা বিট হাউসের পুলিশ আধিকারিকদের। রেলস্টেশনে জনা কুড়ি ভবঘুরে থাকে। ট্রেনে বা অন্য কোথাও ভিক্ষা করে ওরা কোনোরকমে দিন গুজরান করে। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা - ওরা রেলস্টেশন চত্বরেই পড়ে থাকে। লক ডাউনের কারণে ট্রেন সহ সমস্ত যানবাহন বন্ধ। ফলে ঐ মানুষগুলো চরম সমস্যায় পড়ে। এক সময় মনে হয় মানুষগুলো হয়তো না খেতে পেয়ে বা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাবে। খবর পেয়েই বিট হাউসের পুলিশ গত ২৫ শে মার্চ ওদের উদ্ধার করে গুসকরা বালিকা বিদ্যালয়ে রাখার ও খাওয়ার ব্যবস্হা করে। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় স্থানীয় পৌর কর্তৃপক্ষ।ওদের দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতিকে। জানা গেছে, প্রত্যেকদিন ওদের দু'বার টিফিন ও দু'বার ভাত দেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে প্রোটিন জাতীয় খাবার হিসেবে ডিম থাকছে।ভবঘুরেদের বক্তব্য - "ট্রেন যখন বন্ধ হয়ে গেল তখন ভাবলাম না খেয়ে মরতে হবে। বারবার শুনছি ঘরের মধ্যে থাকতে হবে।নাহলে রোগে মরতে হবে। দুশ্চিন্তায় মাথা খারাপের অবস্থা।তখনই পুলিশ বাবুরা আমাদের উদ্ধার করে আনে এবং থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্হা করে দেয়।ওদের প্রণাম"।
বিট হাউসের ওসি অরুণ সোম বললেন - "খবর পেয়েই ঐ মানুষগুলোকে আমরা উদ্ধার করে আনি এবং থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করি।চোখের সামনে তো কোনো মানুষকে অসহায় ভাবে মরতে দেওয়া যায় না।এটা আমাদের সামাজিক দায়িত্ব। জেলা পুলিশ সুপার ও আউসগ্রাম থানার আই.সি সবসময় আমাদের পরামর্শ ও উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন। পৌর কর্তৃপক্ষ এবং বালিকা বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমাদের কাজটা সহজ হচ্ছে"।তিনি আরও বললেন - পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ওরা এখানেই থাকবে।
একই কথা বললেন পৌরসভার কার্যকরী আধিকারিক আকলিমা খাতুনও ।এলাকায় যাতে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে না পারে তার জন্য সবাইকে তিনি সতর্ক থাকার অনুরোধ করেন।অন্য দিকে পরিচালন সমিতির সভাপতি কুশল মুখার্জ্জী বললেন - "পুলিশ আধিকারিকদের মানবিক রূপ দেখে আমরা গর্বিত।উদ্ধার করেই দায়িত্ব শেষ করেননি,এলাকার আইন-শৃঙ্খলা বজায় রেখে উনারা দু'বেলা মানুষগুলোর খোঁজ নিয়ে যাচ্ছেন"। কুশল বাবু নিজেদের স্বার্থে পুলিশ প্রশাসনের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য এলাকার মানুষদের অনুরোধ করেন।
শুক্রবার, মার্চ ২৭, ২০২০
মঙ্গলকোট পুলিশের তরফে ভবঘুরেদের জন্য ডিমভাত
মঙ্গলকোট থানার পুলিশের উদ্যোগে নুতনহাট, নিগন, কৈচর প্রভৃতি সড়কমোড়ে থাকা ভবঘুরেদের অন্নভোগের ব্যবস্থা করা হল। পুলিশের এহেন ভূমিকায় খুশি এলাকাবাসী। চলতি লকডাউনে ভবঘুরে সহ ভিক্ষুকেরা একপ্রকার অনাহারে দিন কাটাচ্ছিল বেশ কয়েকদিন ধরে। এদিন মঙ্গলকোট ওসি মিথুন ঘোষের নির্দেশে শতাধিক অসহায় ব্যক্তিদের ডিম সহ সবজিভাত খাওয়ানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় পুলিশের তরফে।
করোনায় চিতার আগুন কিংবা কবরের মাটি
জীবন আর মৃত্যুর মাঝামাঝি করোনা ভাইরাস। 'জন্মিলে মরিতে হবে' এই চিরন্তন সত্য জানলেও আজ করোনা বীভৎসতার শেষ পয্যায়ে। এই ভাইরাসে মারা পড়লেও শেষকৃত্যের নির্মম ছবি আজ কঠিন বাস্তব। চিতার আগুন কিংবা কবরের মাটি নসিব হওয়ার চান্স নেই...
তাই আবেদন 'ঘরে থাকুন' নিজে বাঁচুন, অপর কে বাঁচান। করোনা নামক যমদূত কে দূর করুন এই বিশ্ব থেকে।
মোল্লা জসিমউদ্দিন ( সম্পাদক - বাংলার খবরাখবর নিউজ নেটওয়ার্ক)
মঙ্গলকোটে জুম্মা নামাজ আদায় হলো দুরত্ব বজায় রেখে
মোল্লা জসিমউদ্দিন
সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মঙ্গলকোট ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ১৩৫ টি মসজিদে জুম্মা নামাজ আদায় হলো করোনা বিধিনিষেধ বজায় রেখে। মঙ্গলকোট ওসি মিথুন ঘোষ সদর মঙ্গলকোট - বড়বাজার সহ বিভিন্ন মসজিদের ইমাম সাহেবদের দুরত্ব বজায় রেখে জুম্মা নামাজ আদায় করবার অনুরোধ রেখেছিলেন।
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৬, ২০২০
এগরার ব্যক্তির করোনা এলো বিয়ের ভোজে
জুলফিকার আলি
পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় বিদেশি আমন্ত্রিত-বেষ্টিত বিয়েবাড়ি থেকেই করোনা সংক্রমণ ৬৬ বছরের প্রৌঢ়ের

রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হলেন, নয়াবাদের ৬৬ বছর বয়সী প্রৌঢ়। গত ১৪ মার্চ এক পারিবারিক বিয়েবাড়িতে যোগ দিতে, কলকাতা থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরাতে এসেছিলেন ওই বৃদ্ধ। ওইদিনই রাত্রে তিনি জ্বর ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন।
এরপরই তাঁকে কলকাতায় নিয়ে এসে চিকিৎসা শুরু করা হয় এবং করোনা টেস্টের জন্য নমুনা পাঠানো হয়।

আজ সকালেই তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তিনি এখন কলকাতার পিয়ারলেস নার্সিংহোমের আইসিসিইউতে ভর্তি আছেন। ওই বৃদ্ধকে এইচআইভির ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এবং অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধপত্র প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে চিকিৎসকেরা জানালেন। চিকিৎসক ডাঃ অজয় সরকার জানালেন, বর্তমানে ওই ব্যক্তির শ্বাসকষ্ট থাকলেও, অবস্থা মোটামুটি স্থিতিশীল।

ওই ব্যক্তির পরিবারের চারজন সদস্যকেও কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের দাবি, ১৪ মার্চ অনুষ্ঠিত এগরার বিয়ে বাড়িতে দু-চার'জন বিদেশি আমন্ত্রিতও ছিলেন। সম্ভবত সেখান থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এই মুহূর্তে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় খোঁজখবর শুরু করেছে, ওই বিদেশি ব্যক্তিদের সম্পর্কে এবং ওই বিয়ে বাড়িতে
লকডাউনে অসহায় দের পাশে দাঁড়াতে চলেছে 'সুসম্পর্ক '
সমাজের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন প্রত্যেকটি মানুষের কাছে 'সুসম্পর্ক' এর পক্ষ থেকে আবেদন আমরা গ্রহণ করতে চলেছি একটি অভিনব উদ্যোগ যেখানে লকডাউন এর ফলে বাজারের অত্যাধিক মূল্যবৃদ্ধির শিকার যে সকল অসহায় শিশু ও দরিদ্র মানুষ তাদের হাতে আমরা তুলে দেবো নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার সামগ্রী।
লকডাউনের জের, পূর্ব বর্ধমানে আটক রয়েছে চার হাজার শ্রমিক
সুকান্ত ঘোষ
গত মঙ্গলবার থেকে চলছে সারাদেশ ব্যাপি লকডাউন। তিন কেটে গেলেও পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্তর্গত প্রায় ৪০টি হিমঘরে ৪০০০ এরও অধিক শ্রমিক লকডাউনের কারণে আটকে আছে। ঐ শ্রমিকরা মূলতঃ উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা ও মুর্শিদাবাদ জেলার বাসিন্দা।জেলা প্রশাসন ও পুলিশের কাছে বারবার আবেদন করেও কোন ফল পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ ।ওয়েস্ট বেঙ্গল কোল্ড স্টোরেজ এসোসিয়েশনের তরফে গত ২৫ মার্চ পূর্ব বর্ধমান জেলাশাসক কে এব্যাপারে তথ্যসমৃদ্ধ স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট, আউশগ্রাম, মেমারি, খন্ডঘোষ, রায়না প্রভৃতি এলাকার কোল্ড স্টোরেজের শ্রমিক এরা।
মঙ্গলবার, মার্চ ২৪, ২০২০
দক্ষিণ ভারত থেকে ফিরেছে হাজারের কাছাকাছি শ্রমজীবী , করোনা ভয় মঙ্গলকোটে
মোল্লা জসিমউদ্দিন
সারা বিশ্বে করোনা থাবায় প্রাণহানি অব্যাহত। এই রাজ্যেও সোমবার করোনা ভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যুর ঘটনা শুরু হয়ে গেছে। তাই করোনা নামক 'যমদূত' প্রতিটি মানুষকে চরম দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা । ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে মঙ্গলকোট ব্লক এলাকার প্রায় হাজারের কাছাকাছি ভিনরাজ্যে কাজ করা শ্রমিকরা ফিরেছে নিজ নিজ বাড়িতে। বেশিরভাগই কেরালা - চেন্নাই - মুম্বাই - পাঞ্চাব থেকে এসেছে গত সপ্তাহে । এদের সিকিভাগ প্রতিনিধিদের কাছে ব্লক প্রশাসন পৌঁছাতে পারলেও বেশিরভাগই 'বিদেশ থেকে ফিরে এসে কার না ভালো লাগে' সূরে স্থানীয় ভ্রমণে ব্যস্ততায় কাটাচ্ছে। আর এতেই মঙ্গলকোটের বিশেষত লাখুরিয়া - গোতিস্টা - পালিগ্রাম - চাণক অঞ্চলগুলিতে এলাকাবাসীদের কাছে তৈরি করেছে করোনা নিয়ে চাপা আতঙ্কের পরিবেশ। ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে হোম কোয়ারেন্টাইন থাকবার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ভিনরাজ্যে কর্মরত থাকা আসা শ্রমিকদের কে। ওই পরামর্শটুকু দেওয়া ছাড়া আর কোন স্বাস্থ্য পরিক্ষার কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ। গত রবিবার প্রধানমন্ত্রীর ডাকে 'জনতা কারফিউ' এর কোন প্রভাব পড়েনি মঙ্গলকোটে। অন্যান্য দিনের মতনই বাজার - ঘাটে ব্যস্ত থেকেছে মঙ্গলকোট। তবে পুলিশের তরফে বারবার প্রচার শুরু হয়েছে লকডাইনের মুখ্য উদ্দেশ্য নিয়ে। ভিনরাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের বড় অংশ মোটরবাইক কিংবা সাইকেলে বিভিন্ন গ্রামের মেঠোপথ গুলিতে 'স্বদেশী' হাওয়া লাগাতেই ব্যস্ত! তাই প্রশ্ন উঠা শুরু করেছে - এইভাবেই যদি হোম কোয়ারেন্টাইন চলে, তাহলে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কা দেখা যাবে বেশি মঙ্গলকোটের বুকে। ভিনরাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের কেউ কেউ বাড়ী ফেরার রেলপথে আসবার সময় থার্মাল গানে সম্মুখিন হওয়ার ছবি দেখিয়েছে। তবে সেটি হাতেগোনা কয়েকজনের। হাজারের কাছাকাছি ভিনরাজ্যে কাজ করা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরিক্ষায় ঠিকমতো নজর না দিলে করোনা ভাইরাস অধ্যুষিত এলাকা হিসাবে মঙ্গলকোট দ্রুত চলে আসবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। যদিও কাটোয়া মহকুমাশাসক জানিয়েছেন - "এত সংখ্যক ব্যক্তিদের হাসপাতালে পর্যবেক্ষণ করে রাখার মত পরিকাঠামো আমাদের নেই " । অপরদিকে মঙ্গলকোট ওসি মিথুন ঘোষ জানিয়েছেন - " স্থানীয় সিভিক / ভিলেজ পুলিশের মাধ্যমে আমরা ভিনরাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের উপর নজরদারি চালাচ্ছি, সেই সাথে দফায় দফায় প্রচার গাড়ি যাচ্ছে প্রায় গ্রামে। এত কিছুর পর যদি কেউ হোম কোয়ারেন্টাইন এড়িয়ে যান, তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে " ।
করোনা তুমি যতই শক্তিশালী হওনা, তবে অপারেজয় নও
গৌতম তালুকদার
করোনা: অমিত শক্তিশালী, কিন্তু অপরাজেয় নয়
কথাটা একদমই সত্যি যে করোনা ভাইরাস যতই ক্ষমতাবান হোক, তাকে পরাজিত করা সম্ভব। এই শত্রুকে সমূলে ধ্বংস করতে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অমোঘ অবিনশ্বর সেই অস্ত্রের প্রয়োগ করতে হবে, যার নাম অসহযোগিতা। হ্যাঁ, করোনার সঙ্গে কোনোরকম সহযোগিতা করা চলবে না। *মনে রাখতে হবে, সে একাই একশো হলেও শেষপর্যন্ত কিন্তু একা। আর তাই অসহায়,দুর্বল। তাকে যদি নির্দিষ্ট সময় পযর্ন্ত একা রাখা যায়, তবে সে নিজের মৃত্যু নিজেই ডেকে আনে। এমনই করোনার জীবনের সংজ্ঞা। কিন্তু যদি সে একবার কোনো মনুষ্য শরীরে প্রবেশ করতে পারে এবং এক দেহ থেকে অন্য দেহে পৌঁছে যেতে সক্ষম হয়, তাহলে তার মারণক্ষমতা যে কত গুণ বেড়ে যেতে পারে তা আমাদের কল্পনাতীত। এই মুহূর্তে আমরা কিছুটা হলেও সেই ক্ষমতা প্রত্যক্ষ করেছি বা করছি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। *নিয়ম মেনে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে যদি চিকিৎসকের পরামর্শ মতো আলাদা রাখা যায় (যা এমন কিছু শক্ত কাজ নয়), তবে করোনার জারিজুরি একেবারেই শেষ হয়ে যাবে। সে হয়ে যাবে নখদন্তহীন। এই জন্য আমাদের সবাইকে কিছুদিনের জন্য হলেও নিজঘরে স্বেচ্ছাবন্দী হয়ে থাকতে হবেই। অকারণে ঘোরাঘুরি করা চলবে না*। নিয়ম মেনে নিজেদের পরিষ্কার রাখতে হবে। এটা করলেই হবে করোনার সঙ্গে চরম অসহযোগিতা। আর এই অসহযোগিতাই হল করোনার মারণাস্ত্র।
*ভারতবাসী এই লড়াইয়ে হারবে না। হারতে পারে না। কারণ অসহযোগিতার যে কী প্রবল শক্তি, তা সারা বিশ্বকে একদিন শিখিয়েছে এই দেশ। মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলনের একদিন ঝাঁপিয়ে পড়েছিল অগণিত ভারতবাসী। সেই লড়াইয়ের বীজ প্রত্যেক ভারতবাসীর প্রতিটি রক্তবিন্দুতে নিহিত রয়েছে যুগ যুগ ধরে।* তাই আমরা আজ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ-- অতি প্রয়োজন না থাকলে আগামী কয়েকটি দিন আমরা ঘর থেকে বেরোব না। ব্যস। এটুকু করতে পারলেই করোনা আমাদের দেশ ছেড়ে পালাবার পথ পাবে না।
*বিধান শিশু উদ্যানের আমরা সবাই-- ছোটো থেকে বড়ো-- এই অসহযোগ লড়াইয়ে সামিল। প্রতিদিন কয়েকশ কচিকাঁচার কলকাকলিতে উদ্যানের সুইমিং পুল, খেলার মাঠ থেকে দোলনা, চরকি মুখরিত হয়ে থাকে। বিধান সরোবরের জল ঝলমলিয়ে হাসতে থাকে। প্রয়াসের অফিস ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ কর্মীদের কর্মব্যস্ততায় চঞ্চল হয়ে থাকে। আজ সেখানে 'সেই বুড়োটা' একা পাহারা দিচ্ছেন তাঁর সাধের উদ্যানকে। সেই শুরুর সময় থেকেই তিনি নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন উদ্যানের প্রতিটি ধুলিকণার সঙ্গে। তাই তো বলি-- দাদু, তোমার ভাবনায় আমাদের পথচলা।*
আর একটা কথা। *আসুন আমরা সমস্ত ভারতবাসী সেই দেবতার কাছে সর্বান্তকরণে আত্মসমর্পণ করি, যাঁর নাম বিজ্ঞান*। যিনি সত্যি সত্যিই এই মানবজাতিকে রক্ষা করতে পারবেন। এবং কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করি-- বিজ্ঞানদেবতার সেইসব একনিষ্ঠ সাধক, সেইসব বিজ্ঞানী, যাঁরা রাতদিন জীবনের ঝুঁকির তোয়াক্কা না করে গবেষণা করে চলেছেন এই মারণ ভাইরাস COVID-19 ওরফে করোনার প্রতিষেধক তৈরি করতে,তাঁরা যেন অচিরেই সাফল্য অর্জন করতে পারেন।
*সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শত্রু বদলেছে। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী, জাতির বিপদে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বারবার লড়াই করেছি এবং জয়ী হয়েছি। এবারও আমরা হারবো না।*
শনিবার, মার্চ ২১, ২০২০
৩১ মার্চ অবধি রাজ্যের আদালত গুলিতে শুনানিতে অংশ নেবেন না আইনজীবীরা
মোল্লা জসিমউদ্দিন
শুক্রবার দুপুরে কলকাতার সিটি সেশন কোর্টের ষষ্ঠতলায় বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের অফিসে করোনা কেন্দ্রিক জরুরি বৈঠক চলে। সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে আগামী ৩১ শে মার্চ অবধি রাজ্যের সমস্ত আদালতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় কর্মবিরতি চলবে বলে জানিয়েছেন বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের ভাইস চেয়ারম্যান সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্ট, জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের আওতাধীন সমস্ত আদালতে মামলার জন্য এজলাস মুখি হবেন না আইনজীবীরা। আন্দাবান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে আদালতগুলিতেও এই নির্দেশিকা প্রযোজ্য বলে জানান বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের ভাইস চেয়ারম্যান সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায় । এহেন ভাইরাসে সংক্রমণের শঙ্কায় কর্মবিরতি এটি দ্বিতীয় পয্যায়ে কর্মবিরতি। গত সপ্তাহ থেকেই করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় রাজ্যের সমস্ত আদালত গুলি ছিল একপ্রকার অচল। যার মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক গেটে রয়েছে থার্মাল গান সহ করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে নানা পদক্ষেপ। গত সপ্তাহে কলকাতার সিটি সিভিল আদালতে ষষ্ঠতলায় বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের বিশেষ বৈঠকে সির্দ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল - ২১ শে মার্চ অবধি আইনজীবীরা আদালতমুখি হবেন না। বার কাউন্সিল এর পক্ষে আনসার মন্ডল, শ্যামল ঘটক, সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন - " করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে ২০ মার্চ পুনরায় বৈঠকে বসবে বার কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী কমিটির পদাধিকারীরা "। ২১ মার্চ অবধি আদালত না আসবার বিজ্ঞপ্তি টি কলকাতা হাইকোর্ট সহ সার্কিট বেঞ্চের জলপাইগুড়ি শাখা এবং আন্দাবান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এর আওতাধীন আদালতগুলিতে প্রযোজ্য । গত ১৭ মার্চ থেকে ২০ মার্চ রাজ্যের সমস্ত আদালত একপ্রকার অচল ছিল। আদালতে কর্মীদের সংখ্যা অর্ধেক করে থাকতে বলা হয়েছিল। রোটেশন অনুযায়ী কাজকর্ম চলবে। কেউ অনুপস্থিত থাকলে তাকে 'অন ডিউটি' ধরা হবে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বিচারধীন বন্দিদের আদালতে পেশ করতে হবেনা৷ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিচারক এবং জেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক বন্দিদের হাজিরা কনফার্ম করবেন। জরুরি মামলা ছাড়া অন্য সাধারণ মামলাগুলির শুনানি হবেনা। কোনটা জরুরি সেটি ঠিক করবেন সংশ্লিষ্ট বিচারক / বিচারপতি। শুধু আদালত গুলি বন্ধ নয়, বন্ধ রয়েছে রাজারহাটে অবস্থিত জুডিশিয়াল একাডেমিও। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের তিন বিচারপতির জরুরি বৈঠকে ঠিক হয়েছিল ১৭ মার্চ থেকে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সব নিম্ন আদালত গুলি একপ্রকার অচল থাকবে। সৌজন্যে করোনা ভাইরাস। বার এসোসিয়েশন গুলি বন্ধ থাকবে, সেইসাথে নিম্ন আদালতে বিচারধীন বন্দি পেশেও থাকছে নিষেধাজ্ঞা। ভিডিও কনফারেন্সে বিচারধীন বন্দিদের বিচারপর্ব চলবে। তবে কলকাতা হাইকোর্টে জরুরি মামলা গুলির শুনানি চলবে।গত সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের তিন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত, সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে জরুরিকালীন সভা করেছিলেন। গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করোনা ভাইরাস নিয়ে নির্দেশিকা জারী নিয়ে সেদিন কলকাতা হাইকোর্টে জরুরি সভা বসেছিল। সেখানে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিধিনিষেধ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা চলে। সেখানে তিন বিচারপতি সার্বিক মতামত জানিয়ে ১৭ মার্চ থেকে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সব নিম্ন আদালতে স্বাভাবিক কাজকর্ম স্থগিত রাখা নিয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যা কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল রাই চট্টোপাধ্যায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গত সপ্তাহে জানিয়ে দেন। খুব প্রয়োজনীয় মামলা ছাড়া সাধারণ মামলাগুলির শুনানি স্থগিত থাকবে। আদালতের কর্মীদের হাজিরাতে কড়াকড়ি থাকছেনা। বার এসোসিয়েশন গুলির পাশাপাশি প্রায় আদালত ভবন বন্ধ রয়েছে । জুডিশিয়াল একাডেমিও বন্ধ রয়েছে । উকিলবাবুদের প্রতি মক্কেলদের সাথে আদালতের ভেতর আলোচনা বন্ধ রাখার অনুরোধ রাখতে বলা হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টের এ, বি, এফ গেট গুলিতে থার্মাল গান রয়েছে করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের চিহ্নিতকরণ নিয়ে। আদালতে প্রবেশ করতে প্রত্যেক কে মুখে মাস্ক এবং হেনিটাইজার দিয়ে হাত ধুতে বলা হয়েছে। জরুরি মামলার গুলির শুনানিতে শুধুমাত্র মামলাকারী এবং সংশ্লিষ্ট আইনজীবী উপস্থিত থাকবেন এজলাসে। এই রুপ নানান বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে আদালত গুলিতে। প্রথম পয্যায়ে ১৭ মার্চ থেকে ২০ মার্চ আদালত গুলি একপ্রকার অচল থাকার পর আজ অর্থাৎ শুক্রবার বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের জরুরি বৈঠকে দ্বিতীয় পয্যায়ে ৩১ শে মার্চ অবধি করোনার জেরে কর্মবিরতি চলবে বলে জানান বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের এর ভাইস চেয়ারম্যান সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায়। ৩১ শে মার্চ বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের পুনরায় বৈঠক বসবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে। উল্লেখ্য, বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের চেয়ারম্যান অশোক দেব শারীরিক অসুস্থতার কারণে আজ বৈঠকে থাকতে পারেননি , এছাড়া বার কাউন্সিল মেম্বার আনসার মন্ডলও অসুস্থ রয়েছেন।
শুক্রবার, মার্চ ২০, ২০২০
করোনা ভাইরাস নিয়ে সচেতনতা মঙ্গলকোটে
মোল্লা জসিমউদ্দিন
বৃহস্পতিবার দুপুরে মঙ্গলকোটের নুতনহাট বাসস্ট্যান্ডে পথচলতি এলাকাবাসীদের করোনা ভাইরাস নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগী হলো স্থানীয় পুলিশ - প্রশাসন। এদিন মঙ্গলকোট ওসি মিথুন ঘোষ, বিডিও মুস্তাক আহমেদ, বিএমওএইচ ডঃ জুলফিকার আলি প্রমুখ ছিলেন সচেতনতা শিবিরে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিধিনিষেধ নিয়ে নানান পথপ্রচার চলে। খুব প্রয়োজন না হলে ট্রেন - বাসে যাতায়াত এড়ানোর অনুরোধ রাখা হয়। সর্দি-জ্বর- কাশি সহ শ্বাসকষ্ট হলে নিকটবর্তী হাসপাতালে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়। কেন্দ্র থেকে রাজ্য প্রশাসন অত্যন্ত তৎপর করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি আটকাতে। কোথায় কোথায় করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের রক্তপরীক্ষা সহ চিকিৎসা চলছে তা বিস্তারিত আলোচনা হয় এই সচেতনতা শিবিরে।অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার আবেদন সহ করোনা ভাইরাস নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ( ফেসবুক - হোয়াটসঅ্যাপে) গুজব ছড়ালে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মঙ্গলকোট ওসি মিথুন ঘোষ মহাশয়।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
OLD POSTED
আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
মোল্লা জসিমউদ্দিন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER
-
বাকুঁড়ার কোতলপুর ব্লক তৃনমূল কমিটির পরিচালনায় বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদসভা হয়।উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শ্যামল সাতঁরা, সাংসদ সৌমিত্র খান, জেলা স...