বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ০৪, ২০১৮

ট্রেনসংখ্যা না বাড়ানোয় মঙ্গলকোটের শোলা শিল্পীরা দুশ্চিন্তায়

মোল্লা জসিমউদ্দিন ,

প্রত্যেক বছর শারদীয়ার সময় জমজমাট থাকে মঙ্গলকোটের শোলা শিল্পীদের গ্রাম বাজার বনকাপাসি। হাতের কাজের জন্য এই গ্রামের বেশ কয়েকজন রাস্ট্রপ্রতি পুরস্কারও পেয়েছেন। শুধু ভিন্ন জেলা কিংবা ভিন্ন রাজ্য নয়   , প্রত্যেক বছর শারদীয়ার কাজের বরাত আসে আমেরিকা - বৃটেন প্রভৃতি দেশ থেকেও। মঙ্গলকোটের বাজার বনকাপাসি গ্রামে হাজারের বেশি মানুষ  যুক্ত এই শোলা শিল্পের সাথে। রাজ্য সরকার ২০১৩ সালে প্রায় ২ কোটি অনুদানে এখানে 'শোলা হাব' গড়ে দিয়েছে। তবে সড়ক যোগাযোগের উপর শোলা বাণিজ্য চলছে মূলত। বৃটিশ আমলে গড়া কাটোয়া বর্ধমান ন্যারোগেজ গত বছরে আধুনিকরণে বড়রেলে পরিণত হলেও, ট্রেন সংখ্যা মাত্র ১ টি। তাই যাত্রী পরিবহনে বিপুল প্রত্যাশা যেমন সময়ের তালে হারিয়েছে। ঠিক তেমনি এই রেলরুটের মধ্যে থাকা শোলা শিল্প নিয়ে রেল যোগাযোগের সম্ভাবনা ক্রমশ হারিয়ে গেছে। ট্রেন সংখ্যা বাড়ালে শারদীয়ার সময় শোলা শিল্পীদের নানান কারুকাজ অল্প খরচে রেলের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলায় - রাজ্যে পৌছে যেত। যার বাণিজ্যিক লাভ আসতো শোলা শিল্পীদের ঘরে ঘরে। বিদ্যুৎ মালাকার নামে এক স্থানীয় শোলা শিল্পী জানান - "কাটোয়া বর্ধমান রেল নিয়ে আমাদের প্রত্যাশা ছিল একটু বেশি,  ট্রেনসংখ্যা মাত্র ১ টি থাকায় আমাদের বেশি খরচে সড়কে শোলার জিনিশপত্র পাঠাতে বা আনতে হয় "। জানা গেছে এই রেলপথের মধ্যে থাকা কাটোয়া, মঙ্গলকোট, ভাতার, সদর বর্ধমান থানা এলাকার নিত্যযাত্রীরা অবস্থান বিক্ষোভ সহ ট্রেন বাড়ানোর দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষর কাছে। শুধু কাটোয়া থেকে বর্ধমান ৫২ কিমি রেলপথের জন্য নয়, আহমেদপুর থেকে কাটোয়া ৫৬ কিমি রেলপথেও ট্রেন বাড়ানোর দাবিতে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে।   মঙ্গলকোটের বাজার বনকাপাসি গ্রামে শুধু শোলা শিল্প নয়, এখানকার কুইন্ট্যাল কুইন্ট্যাল ছানা প্রত্যেকদিন ভোরে বর্ধমান স্টেশন থেকে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমানের বিভিন্ন এলাকায় যায়। বনকাপাসি থেকে সড়কে  বর্ধমান আসতে ঘন্টা খানেক লাগে। তাই কাটোয়া থেকে বর্ধমানগামী ট্রেন বাড়লে শোলা শিল্পীরা যেমন লাভবান হবে, ঠিক তেমনি এই এলাকার কয়েকশো ঘোষ পরিবার ছানা ব্যবসায় উপকৃত হবে বলে আশা করা যায়।                                         

বঙ্গ বিজয়ে গেরুয়া শিবিরের তুরুপের তাস সেই মুকুল রায়

মোল্লা জসিমউদ্দিন,

বুধবার সন্ধেয় বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে - আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গ বিজেপির নির্বাচনী কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে মুকুল রায় কে। আর এতেই রাতের ঘুম ছুটেছে বাংলার পুলিশ - প্রশাসনের অনেক কর্তাব্যক্তির। ডিসেম্বর মাস থেকেই ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজবে। সেইসময় কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা মূখ্য হয়ে দাঁড়াবে বাংলার রাজনীতি বলয়ে। ইতিমধ্যেই সিবিআই - ইডির জোর তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে। যেখানে আইপিএস থেকে সাংসদ নোটিশ পেতে শুরু করেছেন। বিগত বাম জমানায় 'কমরেড' পুলিশ - প্রশাসনের আধিকারিকদের দলবাজি - স্বজনপোষণ - আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে তথ্য সমৃদ্ধ তালিকা তৃনমূলের পক্ষে নির্বাচন কমিশন কে তুলে দিতেন মুকুল রায়। তাতে অনেকেরই বদলী, তদন্ত, ভৎসনা, এমনকি সার্ভিস জীবনে লাল কালির দাগ পড়েছে। সেই অতীতের অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ   মুকুল রায় এবার বিজেপিতে সেই একই টেকনিক প্রয়োগ করবেন তৃনমূলের খাস ওসি থেকে পুলিশসুপার আধিকারিকদের নিয়ে। এই আশংকা যে অমূলক নয়, তা গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকদের বায়োডাটা উল্লেখ করে হুশিয়ারি দিয়েছেন মুকুল রায় বিভিন্ন মঞ্চে। মুকুল ঘনিষ্ঠ পূর্ব বর্ধমানের এক বিজেপি নেতা জানান - মঙ্গলকোট - নানুর - পূর্বস্থলী - বোলপুর প্রভৃতির মত এলাকার পুলিশ প্রশাসনের কর্তাদের লিস্ট দাদা ইতিমধ্যেই সেরে ফেলেছেন। প্রসঙ্গত বিজেপিতে যোগদানের পূর্বে মুকুল রায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের 'দলদাস' অফিসারদের নাড়িনক্ষত্র দলীয়ভাবে নজরদারি চালাতেন। আর এতেই তৃনমূলের অন্দরে মাথাব্যথা বেড়েছে বহুগুণ। দলবদলে মুকুল প্রথম দিকে কোন ভালো পদ না পেলেও সময়ের গতিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দায়িত্ব পাওয়া, কার্যনির্বাহী কমিটিতে স্থান পাওয়া, সর্বশেষ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গ বিজেপির চেয়ারম্যান পদে আসীন হওয়া মুকুল অনুগামীদের উৎসাহিত করছে। কেন্দ্রে আবার বিজেপি ক্ষমতায় থাকাতে মুকুল রায়ের রাজনৈতিক কলাকুশলীতা বহুগুণ বেড়েছে। মুকুল রায়ের হাত ধরে যারা তৃনমূলের বিধায়ক - সাংসদ - মন্ত্রী পদ পেয়েছেন, তাদের অনেকেরই সাথে মুকুল রায় যোগাযোগ বাড়াচ্ছেন বলে প্রকাশ। এমনকি বাম জমানায় তৃনমূলের কাছে ২০০৯ সালে যেমন অনেক পুলিশ প্রশাসনের একাংশ গোপনে সংযোগ আগাম রেখেছিল। অনুরুপভাবে ২০১৯ সালে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সাথে একই সংযোগ রাখার ট্রাডিশন দেখা যাচ্ছে বলে বিভিন্ন সুত্র মারফত প্রকাশ।                                                                              

রবিবার, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৮

এবার প্রকাশিত সংবাদ যাচাই করতে ওয়েব পোর্টাল কে নোটিশ পূর্বস্থলী পুলিশের, পাল্টা লিগ্যাল নোটিশ পোর্টাল কর্তপক্ষেরও




এবার প্রকাশিত সংবাদ যাচাই করতে ওয়েব পোর্টাল কে নোটিশ পূর্বস্থলী পুলিশের, পাল্টা লিগ্যাল নোটিশ পোর্টাল কর্তৃপক্ষেরও 

নিজস্ব প্রতিবেদক; ভারতীয় গনতন্ত্রে চতুর্থ স্তম্ভ হিসাবে সংবাদমাধ্যম পড়ে। আর এই সংবাদমাধ্যম মূলত তিনপ্রকার হলেও চলতি সময়ে পোর্টাল নিউজ সংবাদমাধ্যমের আরেকটি রুপে এসেছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্যসরকারের  সাংবাদিকদের পেনশন সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে ( তারিখ ২৯/০৩/২০১৮, নাম্বার ১২১৯/ডিআই/আইসিএ /এন)  ২ নাম্বার সিরিয়ালে 'এ' বিভাগে পরিস্কার উল্লেখ রয়েছে যে - সাংবাদিক হিসাবে ওয়েব পোর্টাল সাংবাদিকেরাও পড়ছে। অপরদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গঠিত 'প্রেস কাউন্সিল ' আছে সংবাদ সম্পকিত অভিযোগগুলি পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নিতে। সাধারণত কোন সংবাদমাধ্যমে কোন খবর নিয়ে কারও অসন্তোষ, অভিযোগ থাকলে সেই সংবাদমাধ্যম কে লিখিতভাবে  অভিযোগ জানাতে হয় সংবাদটি সংশোধন করার জন্য। এতে কোন কিছু না হলে আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠাতে হয় নিদিস্ট সময়সীমা উল্লেখ করে। কেননা প্রকাশিত কোন খবর নিয়ে পুলিশ কিংবা নিম্ন আদালত কোন মামলা সরাসরি গ্রহন করতে পারেনা। উল্লেখ্য গত ৩০/১০/০৬ তারিখে হাইকোর্টে সৌমিত্র পালের এজলাসে ( সিরিয়াল নাম্বার ৫৭, রিট নাম্বার ডাবলু পি ২১০৩৭১)  গুসকারা নিবাসী জীবরাজ প্যাটেল নামে এক ব্যবসায়ী স্থানীয় এক পাক্ষিক পত্রিকায় প্রকাশিত খবর নিয়ে রিট পিটিশন করেছিলেন।সেখানে উক্ত পাক্ষিক পত্রিকার পাশাপাশি রাইটার্সের হোম বিভাগ, পুলিশসুপার ( বর্ধমান),  জেলাশাসক (বর্ধমান)  এবং আইসি  ( আউসগ্রাম)  দের কে পক্ষ করা হয়। বিচারপতি এই রিট মামলা খারিজ করার আদেশনামায় উল্লেখ রাখেন যে - ' সংবাদ বিষয় অভিযোগটি নিদিষ্ট ফোরামে অনুমোদন আগে দরকার '। অর্থাৎ প্রেস কাউন্সিলের অনুমোদন।  ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে এক ওয়েব পোর্টাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষ কে লিখিত প্রতিবাদপত্র না পাঠিয়ে, আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ না দিয়ে সরাসরি প্রকাশিত সংবাদ  নিয়ে     বিচারকের ভুমিকায় অবতীর্ণ হল পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী থানার পুলিশ। হ্যা সেই নরকঙ্কাল, গাঁজা পাচারের মুক্তাঙ্গন পূর্বস্থলী থানা এলাকা   । গত ৩০/০৮/১৮ তারিখে রুজু করা    (পিএস কেস নাম্বার ৩১৯/১৮) মামলায় চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে নোটিশ পাঠানো হল অভিযুক্ত মিডিয়া হাউসের সম্পাদক ও সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বাড়ীর ঠিকানায়। পুলিশের এহেন অতি সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।   ৫০৫ (২) ধারায় মামলার নোটিশে তিনদিনের মধ্যে থানায় হাজিরার তলব হল।   'মঙ্গলকোট ডটকম' নামে ওই ওয়েব পোর্টাল এহেন থানার নোটিশের প্রত্যুত্তরে আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছে সংশ্লিষ্ট থানার আইসি, তদন্তকারী পুলিশ অফিসার সহ পূর্ব বর্ধমানের পুলিশসুপারকেও। কেননা প্রকাশিত খবরে একাংশ যেমন খুশি হয়, ঠিক অপরাংশ অখুশি বা অসন্তোষ হয়। তাহলে খবরে অসন্তুষ্ট ব্যক্তিরা থানার মাধ্যমে এইরুপ নোটিশ মিডিয়া হাউসদের পাঠাতে লাগলে। সেইসাথে  থানায়   খবর নিয়ে বিচারকের ভুমিকায় পুলিশ বারবার হস্তক্ষেপ করলে নির্ভীক সাংবাদিকতা  করাটা দুস্কর হয়ে উঠবে বলে মানে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। কোন খবর নিয়ে অভিযোগ থাকলে মিডিয়া হাউস কে লিখিত প্রতিবাদপত্র, আইনজীবীর লিগ্যাল নোটিশ সর্বপরি প্রেস কাউন্সিল কে জানানো। তা না করে সরাসরি পুর্বস্থলী থানার পুলিশ কিভাবে সংবাদ কেন্দ্রিক মামলা রুজু করলো?  এই প্রশ্ন নিয়ে লিগ্যাল নোটিশ টি পাঠানো হয়েছে মিডিয়ার তরফে। পরবর্তী দশদিনে কোন সন্তোষজনক প্রতুত্তর না এলে হাইকোর্টে পুলিশের এহেন সংবাদমাধ্যমে বে আইনি  হস্তক্ষেপ নিয়ে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন ওই ওয়েব পোর্টাল নিউজের সম্পাদক মোল্লা জসিমউদ্দিন মহাশয়।পাশাপাশি রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী সহ বিভিন্ন প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষদের লিখিতভাবে জানিয়ে সুবিচারের চাইবে ওই ওয়েব পোর্টাল  মিডিয়া । উল্লেখ্য পূর্ব বর্ধমান জেলায় অপরাধের অবাধ মুক্তাঞ্চল    হিসাবে পরিচিত পূর্বস্থলী। নরকঙ্কাল থেকে গাঁজা পাচারের নিরাপদ করিডর বিষয়ক নানান তথ্য সমৃদ্ধ সংবাদ ওই পোর্টাল নিউজে নিয়মিত প্রকাশিত হয়েছে।  এই অপরাধ মূলক যোগসাজশে স্থানীয় পুলিশের ভুমিকা নিয়েও বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন দেখা গেছে। ২০০৮ সালে পুলিশেরই এক কনস্টেবল কে এইবিধ নানান অভিযোগে তৎকালীন পুলিশসুপার আসানসোল পুলিশ লাইনে বদলি পর্যন্ত করেছিলেন অভিযুক্ত পুলিশকর্মী কে। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, পুলিশের একাংশ তাদের অপদার্থতার জন্য মানসিক নির্যাতন - হয়রানি করার উদ্দেশ্যে এই মামলাটি রুজু করেছে।                                                                                           

বুধবার, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮

ওয়েব পোর্টাল নিউজের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে পূর্বস্থলীতে

ওয়েব পোর্টাল এর বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে পূর্বস্থলীতে

মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

গণমাধ্যমের  প্রধান অংশ হচ্ছে সংবাদমাধ্যম। এই সংবাদমাধ্যম আগে ছিল তিনধরণের। যথা ১/ বেতার (রেডিও),  ২ /কাগজ, ৩/ টিভি। বর্তমানে চতুর্থ সংবাদমাধ্যম হিসাবে সম্প্রতি এসেছে ওয়েব পোর্টাল। একাধারে বৃহত খবরের কাগজ কিংবা  নিউজ চ্যানেলরা যেমন তাদের ওয়েব পোর্টাল স্বতন্ত্র ভাবে খুলেছে। ঠিক তেমনি আমাদের মত যারা দীর্ঘদিন সাংবাদিকতায় যুক্ত তারাও নিজ খরচে পোর্টাল নিউজ চালাচ্ছে। গত পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের পেনশন প্রকল্পে ওয়েব পোর্টাল সাংবাদিকদের এনে, নুতন দিশার পথ দেখিয়েছেন।  গত ২৯/০৩/ ২০১৮ তারিখে নোটিফিকেশন নাম্বার ১২১৯/ডিআই/সিএ/এন রাজ্যসরকার ২ নাম্বার সিরিয়ালে এ বিভাগে অবগত করে যে ওয়েব পোর্টালের সাংবাদিকেরাও সরকারি পেনশন প্রকল্পে আওতাভু৷ যা বিভিন্ন প্রেসক্লাবের তরফে সাধুবাদ জানানো হয়। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে আমাকে এক জনৈক সাংবাদিক বলেন - পূর্বস্থলী থানায় নাকি আমাদের পোর্টাল ( মঙ্গলকোট ডটকম)  নিউজের বিরুদ্ধে মামলা (পিএস কেস নাম্বার ৩১৯/১৮) হয়েছে। বাড়ীর ঠিকানায় এক নোটিশ আসে। সেখানে সংশ্লিস্ট আদালত বলুন, কিংবা সংশ্লিষ্ট থানা অথবা ডেলিভার করা থানার স্ট্যাম্প ছিলনা।  কলকাতায় সাংবাদিকতা নিয়ে পড়াশোনা করার সুবাদে এহেন নোটিশ ঘিরে একরাশ প্রশ্ন উঠে। খবর নিয়ে কারও অসন্তোষ সর্বপরি অভিযোগ থাকলে সেই মিডিয়ার সম্পাদক কে লিখিত প্রতিবাদপত্র পাঠানো উচিত। সেখানে কোন সদুত্তর না পেলে আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো উচিত নিদিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ রেখে। সরাসরি কোন থানা সংবাদটি ভুল না সঠিক, কিংবা উদ্দেশ্যপ্রনোদিত কিনা সেই বিষয়ক মামলা গ্রহণ করতে পারেনা। গত ২০০৬ সালে ৩০ অক্টোবর হাইকোর্টের জাঁদরেল বিচারপতি সৌমিত্র পালের এজলাসে ( সিরিয়াল নাম্বার ৫৭) গুসকারা নিবাসী জীবরাজ প্যাটেল নামে এক কাঠ  ব্যবসায়ী  লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো পরবর্তী এক রিট পিটিশন করেছিলেন। সেখানে বিচারপতি তাঁর অর্ডারশিটে - সংবাদ সম্পকিত মামলা নিদিষ্ট ফোরামে ( প্রেস কাউন্সিল)  অনুমোদনের কথা জানিয়েছিলেন। উল্লেখ্য ওই ব্যবসায়ী রিট পিটিশনের পূর্বে গুসকারা পুলিশ ফাঁড়ি এবং আউশগ্রাম আইসির কাছে সংবাদ বিষয়ক মামলা করতে গিয়েছিলেন।  সেখানে পুলিশ কেস রুজু না হওয়ায় উক্ত পত্রিকা ( কৃষি সমবায় পত্রিকা)  রাইটার্স ( হোম বিভাগ) , পুলিশসুপার (বর্ধমান) , জেলাশাসক ( বর্ধমান)  আইসি (আউশগ্রাম) দের পার্টি করা হয়। উল্লেখ্য ওই পত্রিকার সহ সম্পাদক ছিলাম আমি।         অতএব কোন সংবাদ কেন্দ্রিক মামলা পুলিশের সরাসরি গ্রহনের আইনি অধিকার আছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠাটাই স্বাভাবিক। যদি এইরুপ নোটিশ সারারাজ্যের প্রায় থানা মিডিয়ার সম্পাদক কে পাঠাতে লাগে। তাহলে সাংবাদিকতা ছেড়ে থানায় থানায় হাজিরা দিতেই সময় লেগে যাবে। কেননা প্রতিটি খবরে একাংশ যেমন খুশি হয়, ঠিক তেমনি আরেক অংশ বিরুপ হয়।তাহলে বিরুপ ব্যক্তিদের ক্ষোভ মেটাতে থানার অপব্যবহার ঘটবে বলে আমরা মনে করি।ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে আমরা আইনি দিকে যেমন লড়াই করছি। অপরদিকে প্রেস কাউন্সিল, রাজ্যপাল, সাংবাদিক সংগঠন  সহ বিভিন্ন দপ্তরে আমরা লিখিত আকারে জানাচ্ছি।
এটা শুধু আমার ব্যক্তিগত লড়াই নয়, সমগ্র ওয়েব পোর্টাল  হাউসের সংবাদ স্বাধীনতার লড়াই। সাংবাদিক বন্ধুরা আপনারা আছেন তো?

# পূর্বস্থলী থানার নোটিশ  

রবিবার, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৮

মঙ্গলকোটে রাজ্যসরকারের কোটি কোটি অর্থ চুরি, পুলিশ প্রশাসনের ভুমিকায় প্রশ্ন



মোল্লা জসিমউদ্দিন,

হিংস্বা হানাহানিতে রক্তাক্ত মঙ্গলকোটে নবতম সংযোজন কোটি কোটি সরকারি অর্থ চুরি। তবে নগদ নয়, ঘুরপথে চুরি। চলতি আর্থিক বর্ষে মঙ্গলকোটের নুতনহাট সাব স্টেশন হতে ২২ কোটি ৮০ লক্ষ টাকার মত বিদ্যুৎ চুরি হয়েছে বলে দপ্তরের হিসাবে উঠে এসেছে। আবার মঙ্গলকোটে অজয় নদে বালির রাজস্ব বাবদ ২০ কোটির বেশি অর্থ আদায় হলেও সেটি   আদৌও ঠিক থাকবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেননা যারা বালিঘাটের জন্য অগ্রিম অর্থ দিয়ে টেন্ডারে অংশগ্রহন করেছিল। তাদের সেইসব বালিঘাট গুলি বেশিরভাগই চালু হয়নি। উল্টে সেইসব ঘাটে স্থানীয় পুলিশের একাংশের মদতে স্থানীয় প্রভাবশালীরা বালির ঘাট দখল করে বসে আছেন!  এইরুপ নানান অভিযোগ উঠেছে মঙ্গলকোটে। শুধু বিদ্যুৎ কিংবা বালি নয়, নুতনহাটে গাড়ী চুরি, বুইচির মোড়ে দোকানে চুরি, পশ্চিম মঙ্গলকোটে সাইকেল কিংবা সাবমারসেবল পাম্প চুরি। এমনকি থানার পাশে থাকা পদিমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জল তোলার পাম্প মেশিন পর্যন্ত চুরি হয়েছে। এককথায় বলা যায় চোরেদের অবাধ মুক্তাঙ্গন হিসাবে মঙ্গলকোট ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে জেলার অন্য থানা এলাকা থেকে। জরুরি পরিষেবা প্রদানে বিদ্যুৎ বিভাগ হল অন্যতম। চলতি আর্থিক বর্ষে পূর্ব বর্ধমান জেলায় ২০০ কোটির কাছাকাছি বিদ্যুৎ চুরি হয়েছে। বিদ্যুৎ চুরিতে প্রথমসারিতে   চলে এসেছে মঙ্গলকোট। ২৩ কোটির বিদ্যুৎ হাপিস হয়ে গেছে এই ব্লকে। তাও আউশগ্রামের গুসকারা সাবস্টেশন থেকে পশ্চিম মঙ্গলকোটের চারটি অঞ্চল অর্থাৎ পঞ্চাশের কাছাকাছি গ্রাম   নুতনহাট সাবস্টেশন থেকে বিদ্যুৎ পরিষেবা পায়না। তাহলে বিদ্যুৎ চুরিতে আরও অতিরিক্ত ১০ কোটি যোগ হত মঙ্গলকোটের সাথে!  কেন এত বিপুল পরিমানের বিদ্যুৎ চুরি মঙ্গলকোটে?  নুতনহাট সাব স্টেশনের কর্তারা মুখ খুলতে চাননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মী বলেন - " শুধুমাত্র বাড়ীতে বিদ্যুৎ চুরি করে এত কোটি কোটি টাকা যায়না, এটা বিভিন্ন মাঠের সাবমারসেবল, বিভিন্ন বাজারে তেলকল, আইসক্রিম  ফাক্টরি,   ইটভাঁটা,    প্রভৃতি জায়গায় চুরি বেশি হয় "। তাহলে অভিযান কেন নয়?  এই প্রশ্ন করতেই ওই বিদ্যুৎ কর্মীদের অভিযোগ - পুলিশ ছাড়া এইসব অভিযানে গেলে মারধর খেতে হয়, পুলিশের একাংশের সাথে ওদের যা সম্পর্ক সেখানে আমরা সাহস পায়না অভিযানে "। জানা গেছে, পঞ্চায়েত সমিতির এক বিদায়ী পদাধিকারী নিগন এলাকায় বেশকয়েকটি মৌজায় নামে বেনামে দশের বেশি সাবমারসেবল চালায় সারা বছর ধরে। সেগুলি বেশিরভাগই অবৈধ বলে স্থানীয়দের দাবি। শুধু নিগন নয় মঙ্গলকোট ব্লকজুড়ে হাজারের বেশি সাবমারসেবল আছে এইধরনের। যেগুলি সাময়িক অনুমতি নিয়ে সারাবছর চলে। কৈচর এলাকায় শাসকদলের ব্লক নেতার অনুগামী হিসাবে পরিচিতদের গ্রিল ফাক্টরি রয়েছে যেখানে বিদ্যুৎ চুরি চলে বলে অভিযোগ। উল্লেখ্য ২০০৯ সালে তৎকালীন জেলাপরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ ফাল্গুনী মুখার্জি খুনে বিদ্যুৎ চুরির ঘটনার পরিণতি হিসাবে প্রকাশ্যে এসেছিল   নিগন এলাকায় অবৈধ বিদ্যুৎ চুরির অভিযান  ।    বাড়ীগুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগ মিটার ঠিকঠাক আছে কিনা , তার থেকে বেশি বিভিন্ন মাঠের সাবমারসেবলগুলির বৈধতা, সময়সীমা দেখা উচিত। সেইসাথে বিভিন্ন ইটভাটায় বিদ্যুতের ব্যবহার পরখ করলেই বিদ্যুৎ চুরি অনেকটাই রোখা যাবে।    এখন প্রশ্ন বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে?  কেননা বিরোধীশুন্য মঙ্গলকোটে শাসকদলের অনুগামীদের কাছে অভিযান চালানো দুস্কর স্থানীয় অফিসের কাছে। কোন সক্রিয়তা দেখাতে গেলে অফিস ভাঙ্গচুরের পাশাপাশি দপ্তর কর্মীদের মারধর করার ঘটনাও ঘটেছে। ২৩ কোটি অর্থের বিদ্যুৎ চুরির অর্থ হয়তো আর উঠে আসবেনা। তবে জেলাস্তরে বিদ্যুৎ দপ্তর  কড়া ভূমিকা নিলে ভবিষ্যতে কোটি কোটি অর্থ চুরি রোধে  বাঁচবে, এটা বলা যায়। অপরদিকে বিদ্যুতের পাশাপাশি বালিচুরিতেও এগিয়ে মঙ্গলকোট। চলতি আর্থিক বর্ষে ২০ কোটি সরকারী রাজস্ব আদায় হয়েছে অজয় নদের বালিঘাট ঘিরে। মূলত বিভিন্ন ঘাটগুলির টেন্ডারে অগ্রিম লিজ নেওয়া এই অর্থরাশি। যারা ঘাট পেয়েছে, তাদের সিংহভাগই তাদের বালিঘাটে 'পজিশন' পাইনি বলে অভিযোগ। উল্টে মঙ্গলকোট থানার পুলিশের একাংশের মদতে বেশকিছু প্রভাবশালী নেতা বালিঘাটগুলি জবরদখল করে বসে আছে, তাও সশস্ত্র বাহিনী পাহাড়া দিয়ে।মঙ্গলকোট  থানায় এবেলা ওবেলা  যাওয়া মঙ্গলকোট সদর এলাকার এক উঠতি নেতা কোগ্রাম ও সাগিরার মাঝামাঝি একটি বালিঘাট যেমন দখল করে রয়েছেন। ভূমি সংস্কার দপ্তরে বিষয়টি নিয়ে ক্রমশ মাথাব্যথা হয়ে উঠেছে বিষয়টি।হাইকোর্টের এক আইনজীবী জানান - যারা সরকারিভাবে টেন্ডারে অংশগ্রহন করে লিজ বাবদ টাকা জমা দিয়েছেন বালিঘাটের জন্য, তারা যদি বালিঘাটে দখল না পান তাহলে মামলা করলে ভুমি সংস্কার দপ্তর ওই অর্থ সুদসহ দিতে বাধ্য "।  শুধু বিদ্যুৎ কিংবা বালি চুরি নয়। গাড়ী চুরি, দোকানে চুরি, বিদ্যালয়ে পাম্প মেশিন চুরি  সবেতেই এগিয়ে মঙ্গলকোট। উল্লেখ্য কাটোয়া মহকুমা আদালতে আইনি পরিষেবা কেন্দ্রের সম্পাদক সুশোভন মুখার্জির মোটরবাইক কৈচর বাজারে দিনেদুপুরে মাসকয়েক পূর্বে চুরি হয়েছিল। তার কিনারা পুলিশ এখনও করতে পারেনি। উল্টে অনেক চুরি যাওয়া জিনিশের মালিক থানায় জিডি করতে গেলে হয়রানি এমনকি অভিযোগপত্র গ্রহণ না নেওয়ার  অভিযোগ এনেছেন। যদিও পুলিশের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।                                                                                           

বৃহস্পতিবার, আগস্ট ৩০, ২০১৮

মঙ্গলকোটে বিদ্যুৎ চুরি ২৩ কোটি!

মোল্লা জসিমউদ্দিন,

উন্নয়নের স্বর্গরাজ্য মঙ্গলকোটে বিদ্যুৎ চুরি প্রায় ২৩ কোটি!কেন এত বিদ্যুৎ চুরি হয়েছে, উন্নয়নের কান্ডারীরা থাকতে? তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ সুত্রে জানা গেছে, শাসকদলের বেশকিছু নেতার নামে বেনামে অনেকগুলি সাবমারসেবল, চালকল, তেলকল রয়েছে। যেগুলি বেশিরভাগই অবৈধ বলে অভিযোগ।   এগুলিতে অভিযান চালাতেও ভয় পান বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা। জেলা পুলিশের একাংশের সাথে মাখামাখি ছাড়াও সশস্ত্র লোকেদের নিয়ে ঘুরাঘুরি করেন এরা। এখন প্রশ্ন রাজ্যসরকারের ২৩ কোটি বিদ্যুৎ চুরিতে শাসকদলের স্থানীয়দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কতটা তৎপর হয় শীর্ষ তৃনমূল নেতৃত্ব?           

রবিবার, আগস্ট ১৯, ২০১৮

পূর্ব বর্ধমানের আদি তৃনমূলীরা ক্রমশ গেরুয়ামুখি



মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

মুকুল রায় বিজেপিতে যোগদানের আগে পূর্ব বর্ধমান জেলায় কালনা মহকুমার বেশকিছু অঞ্চল ছাড়া গেরুয়া শিবিরের অস্তিত্ব ছিলনা।  চারিদিকে দলবদলের হিড়িক শাসকদলের দিকে ভীড়লেও,  পূর্ব বর্ধমান জেলায় ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে গেরুয়া  শিবির। ইতিমধ্যেই জেলাপরিষদের কর্মাধ্যক্ষ গোলাম জার্জিস সহ আরেকজন সদস্য রুবি ধীবর বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। সাংগঠনিকস্তরে দুজন নেতা অশোক মালাকার, শিবনাথ সিং এসেছেন। এছাড়া তৃনমূলের প্রতীকে মঙ্গলকোটে একদা লড়াকু প্রার্থী চন্দ্রনাথ মুখার্জি  এসেছেন পূর্ব বর্ধমানের গেরুয়া বলয়ে। আরও জানা যাচ্ছে, রাজ্যের পালাবদলের আগে ২০১০ সালে বামদূর্গ চুরমার করে দেওয়া তৃনমূল নেতা এবং সেসময়কার গুসকারা পুরচেয়ারম্যান চঞ্চল গড়াই যোগ দিতে চলেছেন বিজেপিতে। ইতিমধ্যেই তাঁর মেয়ে গতমাসে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপির পতাকা ধরেছেন। আগামী  গুসকারা পুরভোটের     আগেই    চঞ্চল গড়াই   সদলবলে আসবেন বলে প্রকাশ। কেননা তিনি রাজ্যের এক বড় নেতার    সৌজন্যে  দলের অন্দরে  গুরত্বহীন এবং মিথ্যা পুলিশ কেসে জেল খেটেছেন বলে অভিযোগ। শুধু চঞ্চল গড়াই নয় জেলাপরিষদের আরেক বিদায়ী সদস্য তথা বামজামানায় মঙ্গলকোটের তৃনমূলের আরেক মুখ বিকাশ চৌধুরীও বিজেপিতে নাম লেখাতে পারেন। বর্তমানে তিনি দলীয় কর্মী ডালিম সেখ খুনে বিচারধীন বন্দি।তাঁর এহেন পরিণতিতে দলের ক্ষমতাসীন গ্রুপ দায়ী বলে অনুগামীদের জানিয়েছেন। একদা সিপিএম নেতা ফাল্গুনী মুখার্জি খুনে মূল অভিযুক্ত হলেও সেসময় তৃনমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব কে এই বিকাশ চৌধুরীর নিরপরাধ প্রমাণে থানার সামনে সহ মঙ্গলকোটের বিভিন্ন জায়গায় সভা করতে দেখা গেছে।      রায়নার বামাপদ মন্ডল, কাটোয়ার পুর কাউন্সিলর জঙ্গল সেখ সহ মন্তেশ্বর পূর্বস্থলীর অনেক আদি তৃনমূল নেতাদের দলবদলে গেরুয়া শিবিরে দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। যদিও জেলা তৃনমূল নেতৃত্ব এদের দলবদলে চিন্তিত নয় বলে দাবি করেছে। তবে গোলাম জার্জিস, রুবি ধীবর, অশোক মালাকার, শিবু সিং, চন্দ্রনাথ মুখার্জি, যারা ইতিমধ্যে তৃনমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন। কিংবা চঞ্চল গড়াই, বামাপদ মন্ডল, জঙ্গল সেখ প্রমুখরা বিজেপির দিকে পা বাড়িয়ে রয়েছে।এইবিধ একদা তৃনমূলের আদি নেতারা দলে দলে গেরুয়া শিবিরে যাওয়াতে তৃনমূলের ক্ষতি হচ্ছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন জেলা রাজনীতিবিদরা। বাম জামানায় যাদের উপর ভর করে জেলায় সাফল্য পেয়েছিল তৃনমূল, তাদের প্রত্যেকেরই স্বক্ষেত্রে নিজস্ব ব্যাপ্তি রয়েছে।উদাহরণ স্বরুপ বলা যায়,  রাজ্যে ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে তৃনমূলের একক দখলে আসা গুসকারা পুরসভার কান্ডারী চঞ্চল গড়াই বামবিরোধীদের কাজে রোলমডেল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। সেসময় বিধানসভার নির্বাচনী প্রচারে অবিভক্ত বর্ধমান সহ বীরভূম জেলার সভাগুলিতে দলনেত্রীর পাশে দেখা যেত। এইরুপ ব্যক্তি দলের অন্দরে কোনঠাসা হয়ে পুলিশি ঝামেলায় পড়ে দলত্যাগ করলে তার রেশ সেই এলাকাগুলিতে কমবেশি পড়বেই। এইরুপ দাবি রাজনীতি মহলে। একদা নড়বড়ে সংগঠন   হিসাবে পূর্ব বর্ধমান জেলায় ছিল বিজেপি। সেখানে জেলাপরিষদের বিদায়ী সদস্যদের  , সেইসাথে তৃনমূলের প্রতীকে বিধানসভায় দাড়ানো, ব্লকস্তরের নেতা, শ্রমিক সংগঠনের জেলা নেতাদের পেয়ে উজ্জীবিত পূর্ব বর্ধমানের গেরুয়া শিবির। জানা গেছে এরা প্রত্যেকেই মুকুল রায়ের অনুগামী। সম্প্রতি জাতীয় স্তরে মুকুল রায় পদ পাওয়ায় আর অনেকে এদের মধ্যে একদা পুরপিতা সহ বেশ প্রাত্তন বিধায়ক পুজোর আগেই তৃনমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন।                                                

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER