শনিবার, ডিসেম্বর ০১, ২০১৮

বাংলা কে দিল্লি সামলায় না , মুখ্যমন্ত্রী

মোল্লা জসিমউদ্দিন ,




শুক্রবার দুপুরে পূর্ব বর্ধমানের কালনার অঘোরনাথ স্টেডিয়ামে জনসভা সারেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । একাধারে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার কে তুলোধুনো করেন তিনি।বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা খনি হিসাবে উঠে এসেছে বীরভূমের পাঁচামী এলাকা। এই এলাকায় রাজ্য সরকার ১২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নিতে চাইছে। তবে কেন্দ্রীয় ছাড়পত্র মিলছেনা। এদিন কালনার জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ তুলে বলেন - কেন্দ্রীয় সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে  ছাড়পত্র দিচ্ছেনা। তাই কয়েক লক্ষ যুবকের কর্মসংস্থান ঘটছেনা। তবে এক আইএএস অফিসার নাম গোপন রাখার শর্তে জানান - মাটির নিচে অর্থাৎ ভূগর্ভস্থ খনিজ সম্পদ তোলার ক্ষেত্রে অধিকারবলে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই তারা সবদিক বিবেচনা করে  সির্দ্ধান্ত গ্রহন করে থাকে। এক্ষেত্রে তাই হয়েছে। আবার আরও একটি সমস্যা রয়েছে এই পাঁচামী এলাকায়। সেটি হল - যারা ভূমিপুত্র আদিবাসী সম্প্রদায় তারাও রাজ্যসরকারের বিরুদ্ধে। গত দুবছর পূর্বে বীরভূমে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায় কয়েকজন উচ্চশিক্ষিত আদিবাসী যুবক জেলাশাসক সহ এক দাপুটে শাসকদলের নেতার চোখে চোখ রেখে ভারতীয় সংবিধানে খনিজ সম্পদে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা এবং জঙ্গলে আদিবাসীদের অধিকার নিয়ে যে তথ্য সমৃদ্ধ বক্তব্য রেখেছিলেন, তা আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায়।  তাই পাঁচামী সমস্যা শুধু কেন্দ্রীয় সরকার কে নিয়ে নয়, আদিবাসীদের বড় অংশ রয়েছে মূল সমস্যায়। কালনায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন -     বাংলা কে দিল্লি সামলায় না, দিল্লি কে সামলায় বাংলা। এহেন বক্তব্য পেশে মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দেন - উন্নয়নের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারই যথেষ্ট। সারাদেশে পশ্চিমবাংলা এমন একটি রাজ্য যেখানে জমির খাজনা মকুব হয়। রেকর্ড সংশোধনের  মিউটেশন ফি লাগেনা,  সেইসাথে চাষীদের জমির বিমার অর্থ  রাজ্য সরকার দিয়ে দেয়। সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের আওতায়,  তাই এই বিনামূল্যের শস্যবিমা টি কে কেন্দ্রীয় প্রকল্প বলে অপপ্রচার চলে বলে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ তুলেন এদিনের জনসভায়। ২০২২ সালে যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার চাষীদের আয় দ্বিগুণ করার কথা বলছে,  সেখানে বাংলার চাষীরা তিনগুণ কৃষি ক্ষেত্রে আয় করছে। ২০১২ সালে পূর্ব বর্ধমানে রাজ্য সরকার 'মাটি তীর্থ উৎসব ' চালু করে। তা দেখে ২০১৩ সালে রাস্ট্রপুঞ্জ অনুরুপ প্রকল্প শুরু করে বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ -জিএসটির জন্য রাজ্যে চাকরি কমে গেছে। তবুও রাজ্য সরকার ৪০% বেকারত্ব কমিয়েছে। আজ দুপুর দুটোয় কালনার জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী এসে বলেন - গত ৭ বছরে ৪৩০ টি প্রশাসনিক সভা করেছি,  এলাকাবাসীদের আর কলকাতায় আসতে হয়না,  কলকাতা পৌঁছে যায় জেলায় জেলায়। এদিন কালনার অঘোরনাথ স্টেডিয়াম টি উদ্বোধন হয়। কালনার পুরাতত্ব নিয়ে রাজ্য পর্যটন দপ্তরের বিভিন্ন উদ্যোগের প্রসঙ্গ আসে। পূর্ব বর্ধমানে নুতন সরকারের আমলে ৬ টি কলেজ হয়েছে, সেইসাথে ২৭৬৮ কোটি অনুদানে এই জেলার দামোদর নদের নিম্ন অববাহিকা জুড়ে সেচের আধুনিকরণ ঘটবে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান। এতে শস্যগোলা পূর্ব বর্ধমানে সেচজল নিয়ে সমস্যা আর হবেনা। সেইসাথে ৩২০০ কোটি খরচে মেছোগ্রাম থেকে মারগ্রাম ফোরলেন সড়ক হচ্ছে।এতে দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গ যোগাযোগে সময় অনেক কমে যাবে। এছাড়া ডানকুনি - বর্ধমান - পানাগড় রাস্তা নিয়ে ব্যবসায়ীক যোগাযোগ বাড়াতে আরও প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। পূর্ব বর্ধমানের কালনা এবং নদীয়ার শান্তিপুরের মধ্যে ভাগীরথী নদীর উপর হাজার কোটি অনুদানে সেতু হচ্ছে। ৫০০ কোটি আর্থিক মঞ্জুরি মিলেছে রাজ্য সরকারের তরফে। জমি অধিগ্রহণের জন্য স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন কে চাষীদের সাথে বুঝিয়ে সমস্যা থাকলে মেটাতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জোর করে জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে তা বুঝিয়ে দেন। যে সিপিএম কে কয়েক সপ্তাহ পূর্বে তৃনমূল নেত্রী ব্রিগেডের দলীয় আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন,  সেই সিপিএম কে হাঙ্গরের দল বলে এদিন কটাক্ষ করেন তিনি। গতকালকের সিপিএমের সিঙ্গুরে  মহামিছিল নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেন মমতা। তিনি বলেন - সিপিএম হাঙরের দল। ওরা সিঙ্গুর নেতাই নন্দীগ্রাম করেছে। আমাদের আমলে ৬৫ হাজার কৃষক বয়সজনিত ভাতা পাচ্ছে। আগে ৭৫০ টাকা মাসিক পেত, এখন সেটা ১ হাজারে দাঁড়িয়েছে। ১ কোটি ৬৭ লক্ষ সংখ্যালঘু স্কলারশিপ পাচ্ছে। ১২০ বেডের হাসপাতাল হচ্ছে ভাতারে। এইরুপ নানান উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী।    ১০০ দিনের প্রকল্পে রাজ্যের সেরা জেলা হওয়ার জন্য পূর্ব বর্ধমানের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী। ভুমি এবং আবগারী দপ্তর কে শক্ত হাতে কাজকর্ম করার নিদানও দেন মুখ্যমন্ত্রী।  রেশনের চাল বিতরণ নিয়ে দুর্নীতি হলে পুলিশ প্রশাসনকে কড়া ব্যবস্থাগ্রহণের নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী।                                                                                                                        

শুক্রবার, নভেম্বর ৩০, ২০১৮

আজ মুখ্যমন্ত্রীর রোষানলে পড়তে পারেন পুলিশের বেশ কিছু আধিকারিক

  

মোল্লা জসিমউদ্দিন , 

আজ অর্থাৎ শুক্রবার দুপুর দুটোয় পূর্ব বর্ধমানের কালনার অঘোরনাথ স্টেডিয়ামে জনসভা করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী কি বার্তা দিতে চলেছেন,  তার দিকে তাকিয়ে জেলা রাজনৈতিক মহল। একগুচ্ছ প্রশাসনিক উন্নয়ন প্রকল্প তুলে ধরার পাশাপাশি পুলিশ নিয়ে কড়া হতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। এইরুপ আশংকায় কাঁপছে   জেলা পুলিশের বেশকিছু আধিকারিক। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে পূর্ব বর্ধমানের চারটি থানায় দশের বেশি ঘটনায় বিব্রত জেলা পুলিশমহল। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী কে  হস্তক্ষেপ   পর্যন্ত করতে হয়েছে। পুলিশসুপার এক সাব ইনস্পেক্টর, দুই এসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেকটর,  এক কনস্টেবল কে সাসপেন্ড করে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ পর্যন্ত দিয়েছেন। নবান্নের নির্দেশে আইসির শাস্তিমূলক বদলী হয়েছে। তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন - পুলিশি অনুশাসনে কড়া বার্তা দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এই সম্ভাবনার জন্য জেলা পুলিশের অনেক কর্তায় তটস্থ রয়েছেন বলে জানা গেছে। সর্বশেষ সংযোজন বিষমদের বলি ১২ জনের ঘটনায়। জানা গেছে,  বিষমদের মূল কেন্দ্র রয়েছে ঘটনাস্থলের ওপারে থাকা কালনা থানা এলাকা। নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে পূর্ব বর্ধমানের খন্ডঘোষ থানার ভুমিকা নিয়ে রাজ্য তোলপাড় হয়। এক ইভটিজিং মূলক অভিযোগের ভিক্তিতে চার অভিযুক্ত যুবক কে উলঙ্গ করে বিচুটি পাতা ঘষে ছবি তুলে ফেসবুকে ভাইরাল করবার হুমকি দিয়েছিলেন খোদ ওসি। এইরুপ অভিযোগ উঠার পরবর্তীতে এক যুবক বিষ খেয়ে এবং আরেক যুবক গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হবার চেস্টা করে থাকে। জেলা পুলিশ অবশ্য এই ঘটনায় সেভাবে কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে প্রকাশ। এরপরে কাটোয়ার ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ উঠে। গোটা শহর জনরোষে ফেটে পড়ে,  পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে স্থানীয় বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টপাধ্যায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীদের বোঝান। গাড়ীর কাগজপত্র দেখার নামে কাটোয়া ট্রাফিক শহরের বিভিন্ন প্রান্তে তোলা তুলে বলে অভিযোগ। অভিযোগকারী প্রাত্তন সেনা কর্মী  কে অবশ্য সরকারি কাজে বাধাদান মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। কালনা আদালতে অফিস টাইমে জিআরও বিভাগে এক হাজতবাবু ( এএসআই)  আরেক কনস্টেবল কে নিয়ে ডিউটির সময় মদ্যপান করছিলেন বলে অভিযোগ। আদালতে পেশ করা অভিযুক্তদের পরিবারদের সাথে মাতলামি এবং হুমকির ঘটনা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য পড়ে সেদিন। যে ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল, সেই পূর্বস্থলী থানার কালিপুজোর নামে কোটি টাকার তোলাবাজি ঘটনায় ডাকমাস্টার ( এএসআই )  কবিরুদ্দিন খান কে সাসপেন্ড করা হয়। আইসি সোমনাথ দাস কে শাস্তিমূলক বদলী তে কালিম্পং জিআরও তে    পাঠানো হয়। এই থানাতে চোর সন্দেহে ধৃত এক ব্যক্তি পালিয়ে যাওয়ায় ডিউটি অফিসার ( এএসআই)  এবং সেন্ট্রিম্যান ( কনস্টেবল)  সাসপেন্ড হয়। আবার এক পরোপকারী ব্যক্তিকে থানার লকআপে ঢুকিয়ে মারধরের ঘটনায় ডিউটি অফিসার (এসআই )  সাসপেন্ড হয়। গত ৬ নভেম্বর মঙ্গলকোটের ব্লক মোড়ের সামনে জিয়ারুল হক নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে বছর তেরোর এক নাবালক মিসিং হয়। ৭ নভেম্বর মঙ্গলকোট থানায় গেলেও অভিযোগপত্র গ্রহণ কিংবা মিসিং ডাইরী দেয়নি বলে দাবি। নাবালক নিখোজ ঘটনায় মঙ্গলকোট থানার চরম নিস্ক্রিয়তা জেলা পুলিশের কানে গেছে বলে বিশেষ সুত্রে প্রকাশ। এইরুপ নানান ঘটনায় পুলিশ নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে পূর্ব বর্ধমানে।তাই আজ অর্থাৎ শুক্রবার দুপুরে কালনার জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ নিয়ে কড়া বার্তা দিতে পারেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।   পুলিশের পাশাপাশি পুলিশ ঘনিস্ট বেশকিছু নেতা কে নিশানা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। যেভাবে একের পর এক ঘটনায় পূর্বস্থলী থানা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। সেখানে পঞ্চায়েত সমিতির এক পদাধিকারীর ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। মূলত তাঁর জন্যই পুলিশের ভাবমূর্তি জনমানসে কু প্রভাব পড়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ আধিকারিক জানাচ্ছেন। রক্তদান শিবিরে তোলা না দেওয়া এক পরিবারের নাবালক কে থানার লকআপে   মারধরের ঘটনায় গত বছর রাজ্য মানবাধিকার কমিশন হস্তক্ষেপ করেছিল। এবারেও থানার আরজি পার্টির নামে তোলাবাজির শিকার এক সংখ্যালঘু যুবক কে তার বাড়ীর সামনে গুন্ডাদের পাঠিয়ে এবং মোবাইলে অভিযোগ প্রত্যাহার করানোর দাবিতে প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিল ওই নেতা। মুখ্যমন্ত্রী কে তোলাবাজির অভিযোগ জানানো এই যুবক অবশ্য  পুলিশসুপারের কাছে প্রাণভয়ে  সশস্ত্র নিরাপত্তা কর্মী পাবার লিখিত আবেদন রেখেছেন। তাই পূর্বস্থলী থানার ঘনিষ্ঠ এই দাপুটে নেতা কে হুশিয়ারি দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য গত বিধানসভা নির্বাচনে এই তৃনমূল প্রার্থী  হেরেছেন সিপিএম প্রার্থীর কাছে। তাই তুমুল তৃনমূল হাওয়া মধ্যে হেরে যাওয়া এই বিতর্কিত নেতা কালনা জনসভায় মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় থাকাটায় স্বাভাবিক। প্রসঙ্গত কালনা বিধানসভার পাশেই রয়েছে এই পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র। অন্যদিকে বালির সিন্ডিকেট নিয়ে পুলিশ ও প্রশাসন কে নিরপেক্ষ এবং সক্রিয় অবস্থান নেওয়ার আহবান দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, গত তিনমাস আগে নবান্ন থেকে ভূমি সংস্কার দপ্তর কে 'ফ্রি   হ্যান্ড' দেওয়া হয়েছে। সেখানে শাসকদলের কেউ জড়িত থাকলেও তার বিরুদ্ধে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। মঙ্গলকোটে কয়েকজন এইরুপ নেতা কেও চলতি মাসে কাটোয়া মহকুমা ভূমি সংস্কার দপ্তরে তলব করা হয়েছিল। তাই আজকের কালনা জনসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে  প্রমোদ গুনছেন অনেকে....                                                                                                                                                                

শুক্রবার, নভেম্বর ১৬, ২০১৮

পঞ্চায়েতের প্রতিশোধ লোকসভায় নিতে চলেছেন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী?


মোল্লা জসিমউদ্দিন,


লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজতে আর বেশি দেরি নেই। এবার বাংলার দিকে 'পাখির চোখ' করে  রেখেছে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি।অপরদিকে তৃনমূল শুধু এই রাজ্যে ৪২ এর ৪২ করা শুধু নয়,  অন্য রাজ্য থেকেও আসন জিতে কেন্দ্রের নির্ণায়ক দল হিসাবে প্রতিস্টা পেতে অত্যন্ত তৎপর। কেন্দ্রের শাসকদল এবং রাজ্যের শাসকদলের ভোট অঙ্কে বাংলার ত্রিশভাগ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিয়ে সবাই ভীষন আগ্রহী। কেননা বাংলার রাজনীতিতে লোকসভার বেশিরভাগ আসনে জেতা - হারার হিসেব পাল্টে দেয় এই সংখ্যালঘু মানুষজন। তাই কট্টর হিন্দুত্বে বিশ্বাসী বিজেপি কে পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘু দরদি হতে দেখা যাচ্ছে। বিদ্রোহী কবি  কাঁজি নজরুল ইসলাম কে অন্য মোড়কে ব্যবহার করতে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে বিজেপির মধ্যে।    বিশেষত লোকসভা নির্বাচনের বিজেপির আহবায়ক মুকুল রায় ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মুসলিম সংগঠনের নেতা সহ পীরসাহেব - আলেম - উলেমাদের সাথে যোগাযোগ বাড়াচ্ছেন বলে প্রকাশ । আর এতেই রাতের ঘুম ছুটেছে শীর্ষ তৃনমূল নেতাদের। যদিও তারা প্রকাশ্যে কিছু বলছেন না। বিগত বাম জমানায় মাদ্রাসা সহ ওয়াকফ জনিত আন্দ্রোলন গুলিতে তৃনমূলের একদা সেনাপতি মুকুল রায় কে দেখা যেত ম্যানেজ করতে  । ফুরফুরা শরীফ সহ বিভিন্ন জায়গায় অন্দরমহলে তাঁর অবাধ যাতায়াত।  এই মুহূর্তে তৃনমূলের যারা সংখ্যালঘু নেতা রয়েছেন,  তাদের মধ্যে একমাত্র সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ছাড়া কারও সারারাজ্য ব্যাপি বিস্তার নেই। রেজ্জাক মোল্লা - আবু আয়েষ মন্ডলদের মত যারা বাম প্রন্থী ছেড়ে জোড়াফুল শিবিরের নাম লিখিয়েছেন,  তাদেরও মুসলিম সমাজে প্রভাব নেই বললেই চলে। জমিয়ত উলেমা হিন্দের এই রাজ্যের সর্বাধিনায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে নিয়ে সমস্যা রয়েছে তৃনমূলের অন্দরে। যেভাবে শীর্ষ তৃনমূলের অলিখিত নির্দেশে মঙ্গলকোটের রাজনীতিতে পুলিশি সন্ত্রাসে 'রাজনৈতিক  সন্ন্যাসী' হয়েছেন সিদ্দিকুল্লাহ। তাতে তৃনমূল আসন্ন লোকসভায় এই সংখ্যালঘু নেতা কে কতটা আন্তরিকভাবে পাশে ভাবে তাতে প্রশ্ন থেকেই যায়। বিশেষত মঙ্গলকোটের শিমুলিয়া ১ নং অঞ্চল সভাপতি ডালিম সেখ খুনে মূল অভিযুক্ত হিসাবে সিদ্দিকুল্লাহের ভাই রহমতুল্লা চৌধুরী রয়েছে। সিআইডি  তদন্তে গত দেড় বছর ধরে 'আন্ডারগ্রাউন্ড'  মন্ত্রীর ভাই। সুতোর পুতুলের মত গত পঞ্চায়েত ভোটে এই মামলার জেরে কার্যত হাত গুটিয়ে থাকতে হয়েছে একদা সিঙুর - নন্দীগ্রাম - মাখড়ার লড়াকু সিদ্দিকুল্লাহ কে। ঘনিষ্টমহলে সিদ্দিকুল্লাহ নাকি  জানিয়েছেন  - " ২০১৬ সালেব বিধানসভা নির্বাচনে নবান্নে চা বিস্কুট খেয়ে মাত্র ২ টি আসনে যে সমঝোতা করেছিলেন, তা ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে সেই ভূল করবেন না। অন্তত ৩ থেকে ৪ টি আসন চাইবেন দিদির কাছে "। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে বেশ কিছু মুসলিম সংগঠন একাধারে কেন্দ্রের শাসকদলের সংখ্যালঘুপ্রীতি এবং অন্যাধারে রাজ্যের শাসকদলের অন্দরে মুসলিমদের গুরত্ব অনুধাবন করে পথে নেমেছে। সম্প্রতি রাজ্যসরকারের সংখ্যালঘু উন্নয়নে ভাঁওতাবাজি অভিযোগ তুলে কলকাতার রাজপথে হাজার হাজার সংখ্যালঘু মানুষদের প্রতিবাদে সোচ্চার হতে দেখা যায়। তারা দাবি তোলে পশ্চিমবঙ্গের ৪২ টি আসনের মধ্যে ১৪ টি আসনে মুসলিম ব্যক্তিদের দাঁড় করাতে হবে। একতৃতীয়াংশের এই অংক টা এসেছে সেই ত্রিশভাগ মুসলিম জনসংখ্যার অধ্যায় থেকে। তৃনমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব এই আসনরফা নিয়ে উচ্চবাচ্য না করলেও,  ইতিমধ্যেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বাংলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে বেশি বেশি যোগ্য ব্যক্তিদের দাঁড় করাতে চায় ঘোষণা করেছে। আর এতেই বঙ্গ রাজনীতিতে দর কষাকষি শুরু হয়ে গেছে। বিভিন্ন সংখ্যালঘু সংগঠনের কর্মকর্তারা বিজেপির অন্য নেতাদের সাথে যোগাযোগ না করলেও মুকুল রায়ের সাথে সরাসরি যোগাযোগ রাখছেন। আসলে মুসলিমদের একাংশে বিজেপির অন্য নেতাদের থেকে মুকুল রায়ের বিশ্বাসযোগ্যতা অনেক বেশি। পদ্মফুল আর জোড়াফুলের দড়ি টানাটানির মধ্যে বেশকিছু মুসলিম সংগঠন তৃনমূলের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে আবার পরেরদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে ' বিজেপি কে একটি ভোটও নয়' বার্তা দিতেও দেখা যাচ্ছে। তবে যাদের নিয়ে এক ব্লাকমেল রাজনীতি করে লোকসভা নির্বাচনের দাড়াবার স্বপ্ন দেখছেন সংখ্যালঘু নেতারা। সেইসব সাধারণ মুসলিম মানুষদের অনেকেই জানাচ্ছেন -    "কারা কতটা উন্নয়ন করেছে, তা আমরা জানি। কাকে ভোট দিতে হবে, সেটা কোন কোন সংখ্যালঘু নেতাদের ব্যক্তিস্বার্থ পুষিয়ে নেওয়ার জন্য নয়।    "                                                                                                             

      

বুধবার, নভেম্বর ১৪, ২০১৮

কালিপুজোর চাঁদার নামে তোলাবাজির অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী কে জানানোর জের, প্রাণভয়ে অভিযোগকারী


মোল্লা জসিমউদ্দিন  ;

মুখ্যমন্ত্রী কে পুলিশের তোলাবাজি নিয়ে অভিযোগ জানানো জের , প্রাণ সংশয়ে পূর্বস্থলীর এক সংখ্যালঘু যুবক।গতকাল অর্থাৎ ১০ নভেম্বর পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশসুপারের অফিসে প্রাণভয়ে পুলিশি নিরাপত্তা চাইলো পূর্বস্থলীর সেই প্রতিবাদী যুবক। যার পাঠানো অভিযোগে পূর্বস্থলী থানার ডাকমাস্টার ( এএসআই)  কবীরুদ্দিন খান সাময়িক বরখাস্ত হয়েছে এবং সেইসাথে ওই থানার আইসি সোমনাথ দাস  কে    উত্তরবঙ্গে   শাস্তিমূলক বদলীর প্রাপ্তিযোগ ঘটেছে। উল্লেখ্য পূর্বস্থলীর খড়দত্তপাড়ার এক সংখ্যালঘু যুবক থানার বেশকিছু পুলিশ আধিকারিকদের কাছে মিথ্যা মামলায় ফেসে যাওয়ার ভয়ে কালিপুজোর চাঁদা হিসাবে ৫ হাজার টাকা দিতে বাধ্য হয়েছিল। গত ২ নভেম্বর পূর্বস্থলী থানার আরজি পার্টির বিলবইতে পুলিশ অফিসারের সাক্ষর করা রশিদটি পুলিশের বিভিন্ন মহলে পাঠিয়েছেন। তার জেরেই এক এএসআই  পদমর্যাদার পুলিশ অফিসার সাসপেন্ড এবং ইনস্পেক্টর লেভেলের পুলিশ অফিসার কে কম গুরত্বপূর্ণ পদে পাঠানো হয়। অভিযোগকারীর বাড়ীতে উকিল নিয়ে পূর্বস্থলী থানার   এক সাব ইনস্পেক্টর অভিযোগ প্রত্যাহার করতে যায় বলে এলাকাসুত্রে প্রকাশ   । সেইসাথে এক শাসকদলের চট্টপাধ্যায় নেতা মোবাইলে বারংবার প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছিল। প্রতিবাদী যুবকের পাড়ায় অচেনা সশস্ত্র ম্যাসলম্যানদের আনাগোনা ক্রমশ বাড়ছে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে প্রাণভয়ে পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে জেলা পুলিশসুপারের অফিসে     লিখিত আবেদন জানালো সে। পুলিশ সুত্রে জানা গেছে,  মুখ্যমন্ত্রী কে অভিযোগ জানানো যুবকের আবেদন খতিয়ে দেখা হবে। উল্লেখ্য এই পূর্বস্থলী থানার কাজকর্ম নিয়ে বিভিন্ন মহলে বারবার অভিযোগ উঠেছে। কখনও আন্তর্জাতিক নরকঙ্কাল কিংবা গাঁজা পাচারের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সেভাবে ব্যবস্থা না নেওয়া। আবার কখনও বা হামিদপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় অস্ত্র কারবারীদের মূল হোতাদের না গ্রেপ্তার করা।শাসকদলের বিক্ষুব্ধ  সহ বিরোধী দলের কর্মী সমর্থকদের গাঁজা সহ নানান মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়া। এমনকি থানার লকআপে   নাবালককে মারধোর করার অভিযোগ উঠেছে। সেইসাথে 'না পসন্দ' এক ওয়েব পোর্টাল নিউজ কে এক্তিয়ার বহির্ভূতভাবে মামলার নোটিশ পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। ওই পোর্টাল কর্তৃপক্ষ সাথেসাথেই লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো সহ রাজ্যপাল, পিআইবি   প্রভৃতি জায়গায় লিখিতভাবে দরবারও করেছে। সোমনাথ দাস আইসি পদে থাকাকালীন তাঁর এক পোষা কুকুর নিয়ে সিভিক পুলিশদের ডিউটি ছেড়ে সেবাযত্নে ব্যস্ত থাকতে হত বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ কর্মীরা জানিয়েছেন। ঠিক এইরকম নানান অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দু পূর্বস্থলী থানার কালিপুজোর চাঁদার নামে কোটির কাছাকাছি তোলা আদায় নিয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়ে প্রাণভয়ে 'আন্ডারগ্রাউন্ড' হয়ে গেছে পূর্বস্থলীর ওই অভিযোগকারী। সশস্ত্র পুলিশি নিরাপত্তার দাবি রেখে লিখিত আবেদন জানিয়েছে সে। এখন দেখার জেলা পুলিশ এহেন আবেদনে কতটা সাড়া দেয় এবং অভিযুক্ত আইসির বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তে রিপোর্টে কি উঠে আসে?                                                                                                      

মঙ্গলবার, নভেম্বর ১৩, ২০১৮

শাঁসালো থানার আইসি থেকে আদালতের জিআরও

মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

ছিলেন দক্ষিণবঙ্গের শাঁসালো থানার আইসি, হলেন উত্তরবঙ্গের কম গুরত্বপূর্ণ আদালতের কোর্ট বাবু। নেপথ্যে কালিপুজোর নামে কোটির কাছাকাছি তোলাবাজি। জেলা পুলিশের ভাবমূর্তি ফেরাতে ফের সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গেল রাজ্য পুলিশ প্রশাসন কে। দুদিন পূর্বে পূর্বস্থলী থানার  এক এএসআই  কবিরুদ্দিন খান   কে সাময়িক বরখাস্ত করার পর  , ওই থানার আইসি সোমনাথ দাস কে শাস্তিমূলক বদলী করা হল। পুলিশ সুত্রে জানা গেছে,  উত্তরবঙ্গের কালিম্পং মহকুমা আদালতে জিআরও  ( কোর্ট ইনস্পেক্টর)  পদে বদলী করা হয়েছে এই পুলিশ আধিকারিক কে । পুলিশের অপেক্ষাকৃত কম গুরত্বপূর্ণ পদ এটি।গত ২ নভেম্বর পূর্বস্থলীর এক সংখ্যালঘু যুবক থানার জোরপূর্বক চাঁদা তোলার অভিযোগ আইজি পার্সোনাল,  ডিজি,  হোম সেক্রেটারী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে তথ্য প্রমাণ সহ পাঠিয়ে ছিলেন। এহেন পুলিশ আধিকারিকদের নামে স্পর্শকাতর অভিযোগ আসায় নড়েচড়ে বসে রাজ্যের সদর প্রশাসনিক দপ্তর। নবান্নের নির্দেশে পূর্ব বর্ধমানের পুলিশসুপার ভাস্কর মুখার্জী নিজে তদন্তে নামেন। আইসি লেভেলের পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে গুরতর অভিযোগ উঠায়   বিশেষ টিম নামানো হয় এক্ষেত্রে  । প্রাথমিকভাবে তদন্তে উঠে আসে,  শুধু ওই সংখ্যালঘু যুবক নয়,  এলাকার ৯০ জন রেশন ডিলার, ৪২ টি ইটভাটা, ৭০০ টি লরির মালিক, ৬৫০ টি ট্রাক্টর মালিক, পেট্রলপাম্প মালিক সর্বপরি নরকঙ্গাল - গাঁজা - অস্ত্র কারবারীদের কাছ থেকে গড়ে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকার কূপন  ছাপিয়ে তোলা তুলা হয়। রাজ্যপুলিশের সেফ ড্রাইভ লোগো সাঁটা ক্রমিকসংখ্যাহীন বিলবই তে থানার এক এএসআই এর নামে তোলাবাজিতে চলছিল। চাঁদা দিতে অস্বীকার করা ব্যক্তিদের গাঁজার মামলা দেওয়ার হুমকি প্রদর্শন চলছিল। উল্লেখ অস্ত্র সহ অন্যান্য মামলায় ফাসানো হলে তিনমাসের মধ্যে জামিন মেলে। তবে গাঁজা পাচারের মত মাদক মামলায় কমপক্ষে দুবছর জেলখানায় বিচারধীন বন্দি থাকতে হয়। তাই পূর্বস্থলী থানার গাঁজা পাচারের মামলার ব্লাকমেলে তটস্থ ছিল এলাকার ব্যবসায়ীরা। পুজোর চাঁদার নামে তোলা আদায়ের অভিযোগের তদন্ত চলাকালীন পূর্বস্থলী থানার এক সাব ইনস্পেকটর কালনা মহকুমার এক অনুগামী আইনজীবী সাথে নিয়ে অভিযোগকারীর বাড়ি যায় বলে এলাকা সুত্রে প্রকাশ। সেখানে আইনসিদ্ধভাবে অভিযোগ প্রত্যাহার করা নিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। তাই নয় পূর্বস্থলী পঞ্চায়েত সমিতির এক পদাধিকারী অভিযোগকারীর মোবাইলে 'অভিযোগ না তুললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন '। বহিরাগত সশস্ত্র বাহিনীর রুটমার্চ শুরু হয়ে যায় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো যুবকের পাড়ায়। প্রাণহানির আশংকায় অতিরিক্ত জেলা পুলিশসুপার ( গ্রামীন) রাজ নারায়ণ মুখার্জী   কে অভিযোগকারী পুরো বিষয়টি জানান। এরপরেই দুদিন আগে বিলবই তে সাক্ষর করা ওই থানার এএসআই তথা ডাকমাস্টার কবিরুদ্দিন খান কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। আজ পূর্বস্থলী থানার আইসি সোমনাথ দাস কে অপেক্ষাকৃত কম গুরত্বপূর্ণ পদে কালিম্পং মহকুমা আদালতে জিআরও পদে শাস্তিমূলক বদলী করা হল। তবে বিরোধীদের দাবি এটা পুলিশের 'আই-ওয়াস'   ছাড়া কিছুই নয়,  আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য পুলিশ প্রশাসন ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ওসি/আইসি স্তরের পুলিশ আধিকারিকদের বদলী করবে। তাই পূর্বস্থলীর আইসি কে দেড়মাস পূর্বে একটু তাড়াতাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হল উত্তরবঙ্গে।একাধারে জনমানসে ভাবমূর্তি উজ্বল করার চেস্টা করা হল,  অপরদিকে নামমাত্র শাস্তি দিয়ে গুরতর অভিযোগ থেকে আইসমুক্ত করার প্রয়াস চালানো হল   বলে   মনে করছে অনেকেই।                                                                                                                  

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER