সোমবার, জুলাই ০৮, ২০১৯

সাত দফা দাবি তে পঞ্চায়েতে স্মারকলিপি ভাতার বিজেপির

আমিরুল  ইসলাম ,

সাত দফা দাবি নিয়ে বিজেপির পঞ্চায়েত ঘেরাও।

পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার ব্লকের বনপাস গ্রাম পঞ্চায়েত আজ বিজেপির পক্ষ থেকে ঘেরাও ও ডেপুটেশন দেওয়া হয়। সাত দফা দাবি জানানো হয় আজকে। 100 দিনের কাজ ,প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ,গ্রামীণ সড়ক যোজনা, বিভিন্ন সরকারি যে প্রকল্প রয়েছে সেই প্রকল্পের প্রচুর পরিমাণে কাঠ মানি খেয়েছে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা তার সঠিক তদন্ত করে সঠিক বিচার হোক এই দাবিতে সোচ্চার হোন আজ।

পঞ্চায়েতের প্রধান দীপ্তি মন্ডল জানান আজকে ওরা সাত দফা দাবি জানিয়েছে আমি এক সপ্তাহ টাইম নিয়েছি  ওদের প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য।

32 নম্বর জেড পির সভাপতি কৃষ্ণ সিংহ জানান বনপাস গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রচুর দুর্নীতি রয়েছে ।সেই সমস্ত দুর্নীতি সঠিক তদন্ত হোক এই দাবিতে কয়েক হাজার কর্মী নিয়ে আজকে পঞ্চায়েত ঘেরাও করি আমরা। এবং আমাদের দাবি দাবা পঞ্চায়েতের প্রধান কে জানাই তিনি এক সপ্তা টাইম নিয়েছেন যদি সদুত্তর দিতে পারেন তো ভালো যদি না দেন আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলন হবে।

বনপাশ পঞ্চায়েত চত্বর ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে এই মুহূর্তে প্রচুর পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করেছে ভাতার থানা।

বিচারপতি কম থাকায় মামলার পাহাড় ল্যান্ড ট্রাইবুনাল আদালতে



মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

বাম আমলে জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু রাজ্য জুড়ে ভূমিহীনদের পাট্টা বিলিতে জোর দিয়েছিলেন। ব্যাপকভাবে পাট্টা বিলি কর্মসূচিতে দেখা যায় জমি নিয়ে আইনী জটিলতা। তাই তখন অর্থাৎ ১৯৯৯ সালে বিধাননগরে ল্যান্ড ট্রাইবুনাল আদালত চালু করেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু   ৷ এটি কলকাতা হাইকোর্টের আওতায় থাকে। সেইসাথে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিরা সারা রাজ্যের ভূমি বিষয়ক মামলা গুলি দেখেন৷ ৬ টি পদে বিচারপতিরা থাকলেও ৩ জন ভূমি আধিকারিকদের প্রশাসনিক বিষয় গুলি দেখেন। এবং বাকি ৩ জন ৩ টি আলাদা বেঞ্চে ভূমি মামলাগুলি পর্যবেক্ষণ, শুনানি, রায়দান দিয়ে থাকেন৷ মামলার সংখ্যা পাহাড়তুল্য হওয়ায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রায়দান কম ঘটে। তাই ২০১০ সালে কলকাতা হাইকোর্টে ল্যান্ড ট্রাইবুনাল আদালতে বিচারপতি সংখ্যা বাড়ানোর জন্য মামলা হয়। তাতে ৬ জন বিচারপতি বেড়ে ৮ জনে দাঁড়ায়৷ তবে প্রশাসনিক বিচারপতি ৪ জনের জায়গায় ২ জন এবং বিচারবিষয়ক ৪ জনের জায়গায় ৩ জন রয়েছেন। অর্থাৎ ৮ টি পদে বর্তমান বিচারপতি সংখ্যা ৫ জন৷ ল্যান্ড ট্রাইবুনাল আদালত সুত্রে প্রকাশ, প্রত্যেক বছর ৫ হাজারের বেশি মামলা দাখিল হয় এই আদালতে।  উত্তরবঙ্গে সার্কিট বেঞ্চ হওয়ায় ৫ টি জেলার মামলার চাপ কলকাতা হাইকোর্টে আসে না বললেই চলে। তবে ল্যান্ড ট্রাইবুনাল আদালতে রাজ্যের সব জেলার ভূমি মামলাগুলি রুজু হয়৷ অর্থাৎ মামলার চাপ অত্যন্ত বেশি। অপরদিকে ৪ টি বেঞ্চে প্রত্যেকদিন গড়ে ৩০ টি সর্বমোট ১২০ টির মত মামলার শুনানি হয়৷ তাতে অর্ধেক মামলার কোন শুনানি না হয়ে পরবর্তী তারিখ পরে। কেননা বিচারবিষয়ক বিচারপতিরা আদালত চালুর প্রথম পর্যায়ে নিজের বেঞ্চে বসলেও দ্বিতীয় পর্যায়ে ভিন্ন বেঞ্চে মামলার শুনানি শোনেন। সেক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে একটা বেঞ্চে ৩০ টি মামলা থাকলে ১৫ টির শুনানি হয় বাকি ১৫ টির পরবর্তী শুনানির তারিখ পরে। মামলাকারীদের অভিযোগ, এক একটি মামলার ডেট পরে নুন্যতম ছয়মাস  পর। কেউ কেউ আবার পরের বছরে মামলার দিন পান।এইরূপ পরিস্থিতিতে মামলার পাহাড় জমছে, তবে মামলার নিস্পত্তি ঘটছে না সেভাবে। দেওয়ানি মামলার অন্যতম বিষয় হচ্ছে ভূমি ( জমি/ জায়গা) । মহকুমা আদালত কিংবা জেলা আদালতে সিভিল মামলা হারলে মামলাকারীরা বিধাননগরের করুনাময়ী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এই ল্যান্ড ট্রাইবুনাল আদালতে আসেন।   আবার কলকাতা হাইকোর্টে কেউ সিভিল মামলা রুজু করতে গেলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিচারপতিরা নিদিষ্ট ফোরাম অর্থাৎ ল্যান্ড ট্রাইবুনাল আদালতে যাওয়ার নির্দেশিকা দেন। শতাধিক আইনজীবী রয়েছেন ল্যান্ড ট্রাইবুনাল আদালতে। তাঁরা অর্থাৎ বার এসোসিয়েশন বারবার মামলা নিস্পত্তিতে গতি আনতে বিচারপতির সংখ্যা বাড়ানোর দাবিতে সরব হয়েছেন। বিধাননগর ল্যান্ড ট্রাইবুনাল আদালতের বার এসোসিয়েশনের সম্পাদক বিশ্বপ্রিয় রায় ওরফে ডালু বাবু জানান - "বিষয়টি আমরা রাজ্যের আইনমন্ত্রী এবং ভূমিমন্ত্রী অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী কে  জানিয়েছি। যাতে বিচারপতির সংখ্যা বাড়ে "।  নুতন এবং পুরাতন মামলার চাপ যেভাবে বাড়ছে তাতে দীর্ঘমেয়াদি পরবর্তী শুনানির তারিখ পাওয়া ছাড়া সুবিচার পাওয়া দুস্কর বলে মামলাকারীদের দাবি। সুপ্রিম কোর্ট যেখানে মামলার পাহাড় কমাতে স্বতন্ত্র বিষয়ে ভিন্ন কোর্ট তাও কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের দিয়ে চালু করেছে। সেখানে শুন্য পদগুলি পূরণে রাজ্য কিংবা কেন্দ্রীয় সরকার কি উদ্যোগী হতে পারেনা। যদিও দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি কেন্দ্রীয় সরকার কে বিচারপতিদের সংখ্যা বাড়ানোর দাবিতে লিখিত ভাবে জানিয়েছে৷ এখন দেখার জনগণ দ্বারা নির্বাচিত সরকার আদৌও জনমুখী উদ্যোগ নেয় কিনা?                                                                                                                                                                                       

      

সোমবার, জুলাই ০১, ২০১৯

কাটমানি দাওয়াই দিতে গিয়ে নিচুস্তরের কর্মী দের প্রাণ বাজি রেখেছেন মমতা ?



মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

লোকসভা নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণা পরবর্তী সময়ে বঙ্গ রাজনীতিতে  সবথেকে বড় আলোচিত ইস্যু হচ্ছে কাটিমানি। যার রেশ এখনও দাপটের সাথে রয়েছে।যা পরিস্থিতি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে, তাতে বলা যায় বিক্ষোভের আঁচের আগুন আরও বাড়বে। ইতিমধ্যেই শখানেক শাসক দলের কর্মীসমর্থকদের বাড়ীতে অভিযোগকারী সরকারি প্রকল্পে  উপভোক্তারা চড়াও হয়েছে। সেইসাথে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাড়ীতে ব্যাপকভাবে ভাঙচুর চলেছে। যতদিন যাচ্ছে ততই শাসকদলের নেতা কর্মীরা এলাকাছাড়া হচ্ছেন। মঙ্গলকোটের চারটি অঞ্চলের দাপুটে নেতা প্রদীপ মুখার্জি ইতিমধ্যেই তার 'উপপ্রধান' স্ত্রী, 'যুব নেতা' ছেলে কে নিয়ে জনরোষ আতঙ্কে পগারপার।কালনা ১ নং ব্লকের অকালপৌষ এক সুপারভাইজার বিক্ষোভকারীদের ভয়ে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেস্টা করেছেন। চিকিৎসাধীন এই কর্মী দেখতে কালনা হাসপাতালে গিয়েছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। আবার কোথাও কোথাও শাসকদলের স্থানীয় নেতা - জনপ্রতিনিধিরা কাটমানি আদায়ে স্বীকোরক্তি পত্র দিয়ে টাকা ফেরতের সময়সীমা বেঁধে দিচ্ছেন। সবথেকে বেশি আতঙ্ক গ্রাস করছে পঞ্চায়েতের  প্রধান / উপপ্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি / সহ সভাপতি সহ বিভিন্ন কর্মাধ্যক্ষদের মধ্যে। বুথ কমিটির নেতাদের জ্বালাও কম না। তারা এইসব নেতাদের কালেকশান এজেন্ট হওয়ায় তারা ছুটে বেড়াচ্ছে প্রাণ বাঁচাতে। দলের নিচুস্তরের কর্মী সমর্থক বলতে এরাই মূলধন। তাই বিরোধী দলের টার্গেট হিসাবে এরাই হিটলিস্টে রয়েছেন।এখন আবার বিরোধী বলতে বিজেপি নয় কাটমানি নিয়ে রাস্তায় নেমেছে বামেরাও।      যেকোনো ভোটের সময় নিচুস্তরের কর্মীসমর্থকদের   ভূমিকাটায় সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। এখন তারা ই সবথেকে বেশি বিপদে। কাটমানি নিয়ে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে, হাতেপায়ে পড়েও নিস্তার মিলছে না। ঠিক এইরকম পেক্ষাপটে কাটমানি দাওয়াই নিয়ে তৃনমূলের অন্দরে চাপানউতোর চলছে। তাদের প্রশ্ন একটায় - সততা দেখাতে গিয়ে নিচুতলার কর্মী সমর্থকদের রীতিমতো 'ফায়ারিং স্কোয়াডে'র সামনে ফেলে দিয়েছেন তৃনমূল নেত্রী। হাজার হাজার কর্মী সমর্থকদের একপ্রকার প্রাণ  কে বাজি রেখে আগামী বিধানসভা ভোটে জিততে চাইছেন নেত্রী। লোকসভা নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণায় পরিস্কার শহরের পাশাপাশি গ্রামে আর শাসকদলের একছত্র অধিপত্য নেই। বিজেপি ১৮ টি লোকসভার আসন দখল করে  কাটমানি ইস্যুতে বাড়তি অক্সিজেন পেয়েছে। তারা দলগত রণনীতিতে একাধারে অভিযোগকারী উপভোক্তাদের পাশে যেমন লোকবল দিচ্ছে। আবার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলে আদালতগুলিতে গেরুয়া আইনজীবীদের বিনামূল্যে সার্ভিস দিচ্ছে মামলা লড়তে। আবার জেল কিংবা পুলিশি হেফাজতে থাকা সেই পরিবারের পাশে দাঁড়াতে আর্থিকভাবে সাংসারিক খরচও বহন করতে দেখা যাচ্ছে। আবার পুলিশের বড় অংশে লোকসভা নির্বাচনে ফলাফল দেখে পরিবর্তন এসেছে। তারাও কোন কোন ক্ষেত্রে বিক্ষোভ বা হামলা হওয়ার পর যাচ্ছে। কিংবা সাময়িক আটক করে পরে বিক্ষোভকারীদের ছেড়ে দিচ্ছে। এইসব দেখে তৃনমূলের নিচুস্তর থেকে দলের শীর্ষ নেতৃত্বর প্রতি চরম ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। কেন তাদের 'বলির পাঁঠা'    করা হচ্ছে কাটমানি ইস্যুতে?  এই প্রশ্ন তাদের অন্দরে ঘুরছে। বীরভূমের তিনবারের সাংসদ শতাব্দী রায় কাটমানি কান্ডে দলের চেন সিস্টেম তোলাবাজির অভিযোগ তুলেছেন। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের টাকা বুথ কমিটি ভায়া ব্লক কমিটি হয়ে জেলা ও রাজ্যস্তরের নেতাদের পকেটে যায়। সেটায় হয়তো তিনি বোঝাতে চেয়েছেন। তাহলে এটা পরিস্কার কাটমানি আদায়ে বুথ কমিটির ভূমিকা সর্বাপেক্ষা গুরত্বপূর্ণ হলেও সেই অর্থের সিকিভাগ তাদের মিলে না। দলের সেজো, মেজ, বড় নেতারাও সেই অর্থ হজম করে বসে আছে। তাই বুথ কমিটির নেতাদের প্রশ্ন - দলের স্বচ্ছ ইমেজ আনতে শুধুমাত্র তাদের কেই কেন বিক্ষুব্ধদের সামনে ফেলা হচ্ছে?  শুধু তারা নয়, তাদের সাথে নিরীহ পরিবারকেও প্রাণভয়ে থাকতে হচ্ছে। অপরদিকে প্রশ্ন উঠছে শীর্ষ তৃনমূলের বড় অংশ এবং রাজ্য মন্ত্রীসভার বেশ কয়েকজন সদস্য যেখানে সারদা - রোজভ্যালি - আইকোর - নারদা প্রভৃতি দূর্নীতিতে সরাসরি অভিযুক্ত। তাও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত এমনকি বিচারধীন বন্দিও রয়েছেন তালিকায়। তাহলে সেখানে দলের স্বচ্ছতা বাড়াতে গেলে এইসব প্রভাবশালী নেতাদেরও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। সেক্ষেত্রে ঠগ বাছতে গাঁ উজারের মত পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যাবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কাটমানি দাওয়াই শুধুমাত্র দলের চুনোপুঁটি ধরলে আদৌও কোন কাজ হবে?  এই প্রশ্ন উঠছে গোটা রাজ্য জুড়ে। আর যারা ভোট পরিচালনায় থাকেন বুথস্তরে, তাদের কে ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে রাখলে আগামী বিধানসভায় শাসক দল কি এদের পাবে তখন।? এইবিধ নানান প্রশ্নচিহ্ন শাসকদলের অন্দরমহলে।                                                                                                                                                                                                                                                            

বৃহস্পতিবার, জুন ২৭, ২০১৯

বধূ হত্যায় স্বামী কে যাবৎজীবন কারাবাসের নির্দেশ কালনা আদালতের

পারিজাত  মোল্লা ,

বৃহস্পতিবার দুপুরে কালনা মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক তপন মন্ডলের এজলাসে এক বধূ খুনে স্বামীর যাবৎজীবন কারাবাসের রায়দান দেওয়া হয়। সেইসাথে নিহত বধূর প্রতি মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালানোর দায়ে শ্বশুর ও শ্বাশুড়ির তিন বছরের কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালত সুত্রে প্রকাশ, ২০১৭ সালে ৮ এপ্রিল মন্তেশ্বরের দেনুর গ্রামে সন্তোষী মন্ডলের মেয়ে অঞ্জু মন্ডলের সাথে বিবাদ হয় কৃষ্ণরজক ( অসুর)  এর সাথে। ভালোবেসে বিবাহের বন্ধন অবশ্য বেশিদিন টিকে নি। বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে বধূর প্রতি মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠে শ্বশুর, শ্বাশুড়ি সহ স্বামীর বিরুদ্ধে। দু সপ্তাহ কেটে যাওয়ার পর স্থানীয় এলাকার 'ভোরের দিঘি' নামে এক পুকুরে বধূর দেহ উদ্ধার হয়। নিহতের মা সন্তোষী মন্ডল মন্তেশ্বর থানায় বধূ নির্যাতন সহ খুনের মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় ১৮ জন সাক্ষ্যদান করে থাকে। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ আজ দুপুরে কালনা মহকুমা আদালতের  অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক তপন মন্ডলের এজলাসে খুনের মামলায় রায়দান হয়। বধূর স্বামী কৃষ্ণরজক ( অসুর)  কে ৩০২/২০১ ধারায় যাবৎজীবন কারাবাস এবং ৫ হাজার টাকার জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত ৫ মাসের কারাবাসের নির্দেশ দেন বিচারক তপন মন্ডল। সেইসাথে শ্বাশুড়ি সহ শ্বশুর দুজন কে ৪৯৮(এ)  ধারায় ৩ বছরের কারাবাস এবং ৩ হাজার টাকার জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত ৩ মাসের কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয় কালনা মহকুমা আদালতে। এই রায়ে খুশি নিহত বধূর মা সন্তোষী মন্ডল। তিনি বলেন - মেয়ের আত্মা আজ কিছুটা শান্তি পাবে।                                                                                                                

কাটোয়ায় লেলিনের মূর্তি নিরাপদ নয়

পুলকেশ  ভট্টাচার্য ,

 বুধবার  সাতসকালে ই তীব্র চাঞ্চল্য  কাটোয়া শহরে লেলিনের মূর্তি তে  লালরং  দেওয়া কে কেন্দ্র করে  । কাটোয়া শহরে লেলিনের নামাঙ্কিত লেলিন সরণী মোড়ে রাতের অন্ধকারে কে , বা কারা মার্ক্সবাদী  লেলিনের মূর্তিতে লাল রং লাগিয়ে দেয়।তা সকাল হতেই পথচারীদের নজরে আসে ছড়িয়ে পড়ে গোটা শহরের  বুকে।   স্থানীয় সিপিএমের পক্ষ থেকে কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। উল্লেখ্য ১৯৮২ সালে কাটোয়া পৌরসভার পক্ষ থেকে মূর্তিটি বসানো হয়। চলতি বছরে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত কাটোয়া পৌরসভার পক্ষ থেকে রং দিয়ে সাজানো হয়। এই ঘটনায় কাটোয়া শহরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।এই ঘটনার কথা জানতে পেরে সিপিএমের জেলা নেতা অঞ্জন চট্টপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শখানেক কর্মী সমর্থক ঘটনাস্থলে হাজির হন। কিছুক্ষণ অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি চলে। সিপিএম নেতা অঞ্জন চট্টপাধ্যায় বলেন - "কয়েকজন বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনৈতিক কর্মী এই কান্ড ঘটিয়েছে বলে অনুমান। পুলিশ যথাযথ তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বের করুক"। ইতিপূর্বে  এই ধরনের  ঘটনা  ঘটার নজির রয়েছে  কাটোয়ায়। সেবার অবশ্য পুলিশ কাওকে চিহ্নিত  করতে  পারেনি মূর্তি তে  কালিমালিপ্ত  করার  জন্য।

শনিবার, জুন ২২, ২০১৯

ভাতারে ক্লাস নাইনের ছাত্র নিখোঁজ, চাঞ্চল্য

সুদিন মন্ডল,ভাতার :-বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারার জন্য স্কুল কামাই করার কারনে  ছেলেকে বকাঝকা ও মারধর করে বাবা ! ফলস্বরূপ  কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে নিখোঁজ ছেলে !ছেলেকে খুঁজে পাবার চেষ্টায় পুলিশের শরণাপন্ন বাবা!  ভাতারের বিজিপুর গ্রামের ঘটনা! পলাতক ছেলের  নাম অর্জুন সোরেন !বিজিপুর হাই স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র সে !শনিবার সকালে ভাতার থানা দাঁড়িয়ে বাবা শ্যামলাল সোরেন জানান বৃহস্পতিবার বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে অযথা স্কুল কামাই করে অর্জুন! সন্ধ্যায় কাজ সেরে বাড়ি ফিরে এসে সেকথা জানতে পেরে শ্যামলাল অর্জুনকে বকাঝকা ও হালকা মারধর করে ! শুক্রবার সকালে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় অর্জুন! দিনভর নানান আত্মীয়স্বজনের বাড়ি খোঁজাখুঁজি ফোন  করেও কোনো সন্ধান না পেয়ে শনিবার ভাতার থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করে বাবা শ্যামলাল সোরেন !সমগ্র বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ভাতার থানার পুলিশ!

মানবিক মুখ্যমন্ত্রীতে খুশি ডাক্তাররা, তবে অমানবিকতায় অখুশি আইনজীবীরা


মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

লোকসভা নির্বাচনের   আগে এবং ভোট পরবর্তী সময়ে রাজ্যে যে দুটি ঘটনা শুধু  এই রাজ্য নয় সমগ্র দেশে প্রভাব ফেলেছিল। সেগুলি হল আইনজীবীদের কর্মবিরতি এবং চিকিৎসকদের কর্মবিরতি। সময়ের ব্যবধানে অবশ্য দুটি কর্মবিরতি উঠে গেছে।তবে আপামর সাধারণ মানুষের মনে এখনো জ্বলজ্বল করছে এই দুই ধরনের কর্মবিরতির কুপ্রভাব গুলি। অনেকেই অনেককিছু হারিয়েছে এইসব কর্মবিরতির ফলে। একাধারে যেমন আইনজীবীদের সৌসৌজন্যে বিচারধীন বন্দিরা কারাগারে পচেছে। ঠিক তেমনি আবার রোগ যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালের সামনে অসহায়ভাবে ছটভট করতে দেখা গেছে রোগীদের কে। গত সপ্তাহে শিয়ালদহের এনআরএস হাসপাতালে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামলার অভিযোগে রাজ্যব্যাপী চিকিৎসকরা কর্মবিরতির ডাক দেন। দিন পাঁচ ছয় চলার পর মুখ্যমন্ত্রীর আলোচনায় তা উঠে। যদিও প্রথম পর্যায়ে মুখ্যমন্ত্রীর রনং দেহী অবস্থানে চিকিৎসকরা তীব্র অসন্তোষ অনেকখানিই মিটেছে। রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবায় স্বাভাবিক গতি এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের কর্মবিরতির সপ্তাহ না ঘুরতেই যেভাবে আলোচনার মাধ্যমে প্রশাসনিক ও পুলিশগত দাবি গুলি পূরণ করেছেন। তাছাড়া তিনি নিজেও হাসপাতালে গিয়েছিলেন সরজমিন ঘটনার গভীরতা দেখতে। তাতে চিকিৎসকদের সিংহভাগই খুশি। এইরুপ অবস্থান মুখ্যমন্ত্রী আইনজীবীদের কর্মবিরতির সময় নিতে পারতেন। তাহলে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সমস্ত মহকুমা ও জেলা আদালতগুলিতে অচলাবস্থা থাকত না। এমনকি তিনি সেসময় মিডিয়ায় কোন উচ্চবাক্য করেন নি আইনজীবীদের কর্মবিরতি নিয়ে। তাঁর দলীয় এক বিধায়ক যিনি আবার 'বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ' এর পদাধিকারী তাঁর মাধ্যমে বিষয়টি দেখছি দেখব বলে বার্তা অবশ্য দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সারা রাজ্য জুড়ে আইনজীবীদের টানা একমাসের কর্মবিরতিতে পঞ্চাশ হাজারের কাছাকাছি আইনজীবী, লাখের কাছাকাছি ল ক্লাক ( মুহুরি), টাইপিস্ট   , আদালত চত্বরে থাকা শয়ে শয়ে  খাবার দোকান, জেরক্স, ডিটিপি দোকানগুলি যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল, তার ক্ষতিপূরণ কে দেবে?  মুখ্যমন্ত্রী যদি একটু আইনজীবীদের প্রতি সহৃদয় হতেন, তাহলে আদালতের উপর নির্ভর করা সারা রাজ্যের লাখ খানেক মানুষদের পেশাগত এত দুর্দিন আসত না। হাজার হাজার বিচারধীন বন্দি জেলের কারাগারে কিংবা পুলিশ লকআপে জামিনের অভাবে পচতো না। এমন পরিস্থিতি হয়েছিল যে জেলখানা গুলিতে তাদের বন্দি রাখার ভরণ ক্ষমতার বাইরে বন্দি রাখতে হচ্ছিল। বিভিন্ন আদালতে এজলাস গুলিতে বিচারকেরা মামলায় ডেটের পর ডেট ফেলা ছাড়া আর কিছুই তেমন করতে পারছিলেন না।  আদালতে থাকা পুলিশের জিআরও বিভাগগুলিতেও অনুরুপ পরিস্থিতি হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী কি পারতেন না একটু মানবিক হতে?  এই প্রশ্ন রাজ্যের বিভিন্ন আদালতের বার এসোসিয়েশন গুলির। নির্বাচনী বিধির দোহাই দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সপ্তাহের পর সপ্তাহ চুপ ছিলেন আইনজীবিদের কর্মবিরতিতে। যেখানে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি দিন তিনেকের মধ্যেই সক্রিয়তা দেখা যায় রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান কে। আইনজীবীদের কর্মবিরতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সম্মাদার এর এজলাসে মামলায় বিচারপতি সেসময় এক আদেশনামায় রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত কে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের প্রতি রাজ্যের অভিমত জানতে চেয়েছিলেন। সেখানে দেখা যায় রাজ্যের তরফে কোন সুস্পষ্ট অবস্থান অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের নিয়ে বলেনি রাজ্য। অথচ বিচারপতি বারবার শুনানিতে বলেছিলেন -' পুলিশ অফিসারদের নিয়ে    রাজ্যের অভিমত পেলে নির্বাচন কমিশন কে কোন নির্দেশ দেওয়া হতে পারে'।  সিংহভাগ আইনজীবীদের প্রশ্ন - মুখ্যমন্ত্রী তো তখন রিপোর্ট দিতে পারতেন, কিন্তু তা করেন নি। এমনকি দেখা গেছে তৃনমূল প্রভাবিত রাজ্যের বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর কর্মবিরতির  অবস্থান  নিয়ে রাজ্যের বেশিরভাগ আইনজীবী প্রকাশ্যে বিদ্রোহী হয়েছেন। কখনো সিটি সিভিল কোর্টের মূল গেটে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে। আবার কখনও সংবাদমাধ্যমের সামনে। বারবার অফিস ঘেরাও এর সম্মুখীন হতে হয় বার কাউন্সিল এর প্রতিনিধিদের কে। সেইসাথে বীরভূমের ডাকসাইটে নেতা অনুব্রত মন্ডলের হয়ে মামলা লড়তে গেলে আইনজীবী ( বার কাউন্সিল এর সদস্য) বৈশ্বানর চট্টপাধ্যায় কে তুমুল সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়। পরে অবশ্য বার কাউন্সিল লোকদেখানো শোকজ ইস্যু করে থাকে। আইনজীবীদের প্রশ্ন ছিল,  যে সংগঠন  সারা রাজ্য জুড়ে আইনজীবীদের কর্মবিরতি ডাকলো, সেই সংগঠনের সদস্য কিভাবে কর্মবিরতি চলাকালীন কলকাতা হাইকোর্টে মামলা লড়তে গেলেন সেই নিয়ে।   পরে দেখা যায় বার কাউন্সিল কর্মবিরতি তুলে নিলেও রাজ্যের বেশিরভাগ বার এসোসিয়েশন তাতে সহমত পোষণ করেনি।।গত ২২ মে বিচারপতি বিশ্বনাথ সম্মাদার আইনজীবীদের কর্মবিরতি মামলায় আদেশনামায় উল্লেখ রাখেন - হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের সাতজন পুলিশ কর্মী ক্লোজ থাকবেন, সেইসাথে হাওড়ায় কোন পুলিশি কাজে যুক্ত হতে পারবেন না। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কল্যাণ জ্যোতি সেনগুপ্তের নেতৃত্বে এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিশন গড়া হয়। আগামী ২৬ শে আগস্ট রিপোর্ট পেশ করবে এই তদন্ত কমিশন।গত ২৪ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত আইনজীবীদের বিরুদ্ধে  ১১ টি ফৌজদারি মামলাগুলি পর্য্যালোচনা করবে এই তদন্ত কমিশন। পুলিশ কোন একশন নিতে পারবেনা এইবিধ মামলায় অভিযুক্তআইনজীবীদের প্রতি। গত ২৪ এপ্রিল হাওড়া জেলা আদালতে গাড়ী রাখা নিয়ে আইনজীবীদের উপর পুলিশি সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠে। যেভাবে আদালতে ঢুকে এমনকি এজলাস গুলিতে পুলিশি সন্ত্রাস দেখা যায়। তাতে রাজ্যে আইনজীবীদের মধ্যে তুমুল অসন্তোষ দেখা যায়। পরে কলকাতা হাইকোর্ট অবশ্য আদালতে ঢুকতে গেলে এসিজেম ( মহকুমা আদালত) ,  ডিস্ট্রিক্ট জাজ ( জেলা আদালত), রেজিস্ট্রার জেলারেল ( কলকাতা হাইকোর্ট) এঁদের অনুমতি ছাড়া আদালতের ভেতরে পুলিশের প্রবেশ নিষেধজারী করে থাকে। চিকিৎসকদের কর্মবিরতির আন্দ্রোলনে সাড়া দিয়ে মাত্র দিন পাঁচ ছয় দিনেই মুখ্যমন্ত্রী সাড়া দিলেন। সেইসাথে একগুচ্ছ নির্দেশিকাজারীও করলেন। সেখানে টানা ত্রিশ দিনের আইনজীবীদের কর্মবিরতিতে মুখ্যমন্ত্রী কোন সাড়া দেন নি। তাতে মুখ্যমন্ত্রীর এহেন ভিন্ন অবস্থান নিয়ে তীব্র অসন্তোষ আইনজীবীদের মধ্যে।  কাটোয়া মহকুমা আদালতের ক্রিমিনাল মামলার আইনজীবী অনিন্দ চট্টরাজ বলেন - আমাদের কর্মবিরতির প্রথম দিকে মুখ্যমন্ত্রী একটু মানবিক হলে আমরা পেশাগত আয়ে এত ক্ষতির সম্মুখীন হতাম না।                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                        

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER