নিজস্ব সংবাদদাতা, ক্যানিং:- কাপড় সেলাইয়ের কারখানার আড়ালে গোপনে চলত অস্ত্র তৈরি।অভিযান চালিয়ে সেই অস্ত্র কারখানার হদিশ পেল পুলিশ ।এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিংয়ের আমতলা গ্রামে।এই ঘটনায় পুলিশ সিদ্দিক লস্কর ওরফে খোঁড়া সিদ্দিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।এদিন রাতে পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে ধৃতের বাড়িতে অস্ত তৈরি কারখানা আছে। সেইমতো বারুইপুর জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের ওসি লক্ষ্মীরতন বিশ্বাস ও ক্যানিং থানার আইসি সতীনাথ চট্টরাজের নেতৃত্বে বিরাট পুলিশ বাহিনী ওই বাড়িতে অভিযান চালায়।
পুলিশ জানিয়েছে ওই অস্ত্র কারখানা থেকে পাঁচটি একনলা বন্দুক,দুটি ৬ চেম্বার পাইপ গান,১২ টি একনলা পাইপ গান,২০ টি গুলি,৪ টি বন্দুকের নল এবং অস্ত্র তৈরির ড্রিল মেশিন,লোহার রড,বন্দুক তৈরির যন্ত্রাংশ, স্প্রিং সহ অন্যান্য সরঞ্জাম।
এ বিষয়ে বারুইপুর জেলা পুলিশ সুপার রশিদ মুনির খাঁন বলেন,বছর তিনেক আগে সিদ্দিককে একবার গ্রেফতার করা হয়েছিল।পরে সে ছাড়া পায়।বাড়ি ফিরে সে আবার নতুন করে অস্ত্র তৈরি কারখানা খুলে বসে।তাকে জেরা করে জানার চেষ্টা হচ্ছে কোথায় কোথায় সে এই আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করতো।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ক্যানিং,কুলতলী, জয়নগর সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সে অস্ত্র সরবরাহ করত।ধৃত ওই ব্যক্তি ৪ থেকে ১০ হাজার টাকায় অস্ত্র বিক্রি করতো।হাওড়া থেকে কিনে আনত অস্ত্র তৈরীর সরঞ্জাম।
শুক্রবার, জুলাই ২৬, ২০১৯
কাপড়ের সেলাইয়ের দোকানের আড়ালে অস্ত্র কারখানা
সোমবার, জুলাই ১৫, ২০১৯
৩য় মৃত্যুবাষিকী আজ প্রয়াত বিচারক মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লার
মোল্লা শাহজাহান - নিপু,
আজ অর্থাৎ সোমবার প্রয়াত সাংবাদিক /বিচারক /অধ্যাপক /শিক্ষক /আইনজীবী মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লার ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী।অবিভক্ত বর্ধমানের এইরূপ গুনী ব্যক্তিত্ব হাতে গোনা। যিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদে কাজ করেগেছেন। সেইসাথে উচ্চশিক্ষিত হিসাবে সবার কাজে পরিচিত ছিলেন। আশির দশকের প্রাক্কালে তিনটি বিষয়ে এমএ, বিএড, বিএ অর্নাস, এলএলবি, সর্বপরি ১৯৮৩ সালে ডাবলুবিসিএসএস ( জুডিশিয়াল) পরীক্ষায় টপারদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে প্রথম ব্যাচ, এছাড়া রাস্ট্রবিজ্ঞান ও ইংরেজি তে এমএ করেছিলেন। কাটোয়ার শ্রীখন্ডে তাঁর জন্মভূমি হলেও মঙ্গলকোটের পদিমপুরে বসবাস করতেন। কর্মসুত্রে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ছিলেন। কাটোয়ার কাশিরাম দাস শিক্ষানিকেতনে শিক্ষক, কাটোয়া কলেজে রাস্ট্রবিজ্ঞানে আংশিক অধ্যাপক, কাটোয়া মহকুমা আদালতে বর্ষীয়ান আইনজীবী তারাপদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জুনিয়ার এবং সরকার নিযুক্ত উকিল হিসাবে কাজ করেছেন। দ্য স্টেটসম্যান ও বর্তমান পত্রিকায় সাংবাদিকতা করার পর বর্ধমান সদর আদালত (দুবার), আরামবাগ মহকুমা আদালত, কালনা মহকুমা আদালত, সিউড়ি সদর আদালত (দুবার), দাঁতন আদালত, আলিপুর সিভিল কোর্ট, আলিপুরদুয়ার মহকুমা আদালত, বসিরহাট আদালত, মেদনীপুর সদর আদালত, গড়বেতা আদালত, শ্রীরামপুর আদালতগুলিতে কখনো সিভিল আবার কখনও বা ক্রিমিনাল কোর্টে বিচারক পদে কাজ করে গেছেন। ১৯৮৩ সালের ব্যাচের হলেও সার্ভিসে জয়েন্ট করেন ১৯৮৯ সালে এবং অবসরগ্রহণ করেছিলেন ২০১৩ সালে। ২০১৬ সালে ১৫ জুলাই তিনি ব্রেণ স্টোকে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁর স্ত্রী এবং দুই পুত্র বর্তমান। প্রয়াত এই বিচারক স্মরণে প্রতিবছর ৩ রা মার্চ মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদ রঞ্জন মল্লিকের জন্মদিন উপলক্ষে কুমুদ সাহিত্য মেলায় 'নুরুল হোদা রত্ন' সম্মান জানানো হয়। গত দুবছরে দুই চিকিৎসক (রেজাউল করিম চৌধুরী, মহম্মদ বদরুদ্দোজা) দের সংবর্ধনা জানানো হয়েছে । এই প্রয়াত বিচারক মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লার বড়ছেলে মোল্লা জসিমউদ্দিন পেশায় সাংবাদিক।
পারিবারিক সুত্রে প্রকাশ, আজ অর্থাৎ সোমবার সারাদিন ধরে প্রয়াত বিচারকের বসতবাড়ি মঙ্গলকোটের পদিমপুরে দোওয়ার মজলিস রয়েছে। আশেপাশে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি এলাকাবাসীরা থাকবেন।
রবিবার, জুলাই ১৪, ২০১৯
আগামীকাল প্রয়াত বিচারক/সাংবাদিক /অধ্যাপক /শিক্ষক /আইনজীবী মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লার মৃত্যুবার্ষিকী
মোল্লা শাহজাহান - নিপু,
আগামীকাল প্রয়াত সাংবাদিক /বিচারক /অধ্যাপক /শিক্ষক /আইনজীবী মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লার ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী।
অবিভক্ত বর্ধমানের এইরূপ গুনী ব্যক্তিত্ব হাতে গোনা। যিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদে কাজ করেগেছেন। সেইসাথে উচ্চশিক্ষিত হিসাবে সবার কাজে পরিচিত ছিলেন। আশির দশকের প্রাক্কালে তিনটি বিষয়ে এমএ, বিএড, বিএ অর্নাস, এলএলবি, সর্বপরি ১৯৮৩ সালে ডাবলুবিসিএসএস ( জুডিশিয়াল) পরীক্ষায় টপারদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে প্রথম ব্যাচ, এছাড়া রাস্ট্রবিজ্ঞান ও ইংরেজি তে এমএ করেছিলেন।
কাটোয়ার শ্রীখন্ডে তাঁর জন্মভূমি হলেও কর্মসুত্রে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ছিলেন। কাটোয়ার কাশিরাম দাস শিক্ষানিকেতনে শিক্ষক, কাটোয়া কলেজে রাস্ট্রবিজ্ঞানে আংশিক অধ্যাপক, কাটোয়া মহকুমা আদালতে বর্ষীয়ান আইনজীবী তারাপদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জুনিয়ার এবং সরকার নিযুক্ত উকিল হিসাবে কাজ করেছেন। দ্য স্টেটসম্যান ও বর্তমান পত্রিকায় সাংবাদিকতা করার পর বর্ধমান সদর আদালত (দুবার), আরামবাগ মহকুমা আদালত, কালনা মহকুমা আদালত, সিউড়ি সদর আদালত (দুবার), দাঁতন আদালত, আলিপুর সিভিল কোর্ট, আলিপুরদুয়ার মহকুমা আদালত, বসিরহাট আদালত, মেদনীপুর সদর আদালত, গড়বেতা আদালত, শ্রীরামপুর আদালতগুলিতে কখনো সিভিল আবার কখনও বা ক্রিমিনাল কোর্টে বিচারক পদে কাজ করে গেছেন। ১৯৮৩ সালের ব্যাচের হলেও সার্ভিসে জয়েন্ট করেন ১৯৮৯ সালে এবং অবসরগ্রহণ করেছিলেন ২০১৩ সালে। ২০১৬ সালে ১৫ জুলাই তিনি ব্রেণ স্টোকে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁর স্ত্রী এবং দুই পুত্র বর্তমান। প্রয়াত এই বিচারক স্মরণে প্রতিবছর ৩ রা মার্চ মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদ রঞ্জন মল্লিকের জন্মদিন উপলক্ষে কুমুদ সাহিত্য মেলায় 'নুরুল হোদা রত্ন' সম্মান জানানো হয়। গত দুবছরে দুই চিকিৎসক (রেজাউল করিম চৌধুরী, মহম্মদ বদরুদ্দোজা) দের সংবর্ধনা জানানো হয়েছে । এই প্রয়াত বিচারক মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লার বড়ছেলে মোল্লা জসিমউদ্দিন পেশায় সাংবাদিক ।
বৃহস্পতিবার, জুলাই ১১, ২০১৯
দলীয় মীরজাফর দের শায়েস্তা করতেই কি কাটমানি দাওয়াই মমতার
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
কাটমানির রেশ অব্যাহত বাংলার বুকে। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম। সর্বত্রই উত্তাল বাংলা। এরেই মধ্যে গত সপ্তাহে তৃনমূলের বিশেষ বৈঠকে দলনেত্রীর ঘোষণা - 'কাটমানি নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ আনা যাবেনা'। আবার পঞ্চায়েত মন্ত্রী কাটমানি প্রসঙ্গে বলেছেন - 'তথ্য প্রমাণ দিয়ে পুলিশ প্রশাসন কে অভিযোগ করুন '। কাটমানি অর্থাৎ দলের নামে তোলাবাজি টি হয়েছে বিভিন্ন সরকারী প্রকল্পে, তাই স্বচ্ছতা আনতে এই দাওয়াই । মূলত ঘর, শৌচাগার, বিভিন্ন ঋণপ্রদানে সরকারি ভতুর্কি দেওয়া প্রকল্প গুলিতে কাটমানি আমদানির ঘটনা গুলি বেশি ঘটেছে। দলনেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখন কাটমানি নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ আনা যাবেনা কিংবা পঞ্চায়েত মন্ত্রী যখন তথ্য ও প্রমাণ ছাড়া কাটমানির অভিযোগ নয় বলে জানাচ্ছেন তখন বিভিন্ন ভাবে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি কাটমানি কান্ডে ইতি টানতে চাইছে শাসকদল? কেননা সরকারি প্রকল্পগুলির বেশিরভাগ উপভোক্তা হচ্ছে গরীব মানুষ। তাদের কে যখন পঞ্চায়েত স্তরে ইন্দিরা আবাস / গীতাঞ্জলি প্রকল্প / প্রধানমন্ত্রী আবাস / বাংলা আবাস যোজনার ঘর দেওয়া হয়েছে। তখন দলীয় ঘুষ অর্থাৎ কাটমানিতে তো কোন লিখিত বায়নামা হয়নি? যে এই প্রকল্পটি পেতে এত টাকা লাগবে, তার অগ্রিম এত দেওয়া হলো কিংবা বাকিটা অমুক সময়ের মধ্যে দেওয়া হবে? যা হয়েছে তার সবটাই মৌখিক পরম্পরায়। ঘরের ১ লক্ষ ২০ হাজার পেতে গেলে ৩০ হাজার লাগবে এটিই গ্রামবাংলার সহজ অংক এই প্রকল্প পেতে । চারটি কিস্তিতে উপভোক্তারা এই সরকারি অনুদান টি পান। তাই কাটমানির কমিশন ঠিকঠাক না পেলে ব্লক অফিসে পঞ্চায়েত সমিতির পদাধিকারীরা মুখ্যত পূর্ত বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ তা আটকে দেন বলে অভিযোগ । তাই বাস্তবিক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে কাটমানি নিয়ে গরীব মানুষদের 'জনরোষ' ক্রমশ উদ্ধমূখী। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর মিথ্যা অভিযোগ আনা যাবেনা কিংবা পঞ্চায়েত মন্ত্রীর তথ্য ও প্রমাণ ছাড়া অভিযোগ গ্রাহ্য নয়, বার্তা গুলি কাটমানি নিয়ে তৃনমূলের ইতি টানার একপর্যায়ের প্রয়াস বলা যায়।
এখন প্রশ্ন গত লোকসভা নির্বাচনে অপ্রত্যাশিত পরাজয়ের কারণ খুজতে এবং আগামী বিধানসভার ভোটে হারানো সাফল্য আনতে তৃনমূল নেত্রী যে 'ভোটগুরু' পি.কে অর্থাৎ প্রশান্ত কিশোরের দারস্থ হয়েছেন। সেখানে পি.কে এর প্রেসক্রিপশনে যেসব 'দাওয়াই' রয়েছে তার মধ্যে কাটমানি অন্যতম। দিন পনেরো - কুড়িতে সারা রাজ্যজুড়ে কাটমানি ইস্যুতে বুথস্তরের কয়েকজন চুনোপুঁটি ছাড়া রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি শাসকদল। যেখানে কাটমানি আদায়ে বুথ কমিটির নেতাদের ভূমিকা গুরত্বপূর্ণ হলেও কাটমানির সিংহভাগ অর্থ ব্লক কমিটি থেকে জেলা কমিটি ভায়া হয়ে রাজ্য নেতাদের একাংশের পকেটে ঢুকেছে বলে অভিযোগ। এখন শয়ে শয়ে বুথ কমিটির লোকেরা 'বলির পাঁঠা' হয়েছেন বলে দলের বড় অংশের অভিমত। কার্যত তাদের কে ' ফায়ারিং স্কোয়ার্ডে'র সামনে ফেলে দেওয়া হয়েছে দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে। বাড়ী ভাঙচুর, মুচলেকা আদায় সহ মারধর পর্যন্ত খেতে হচ্ছে কাটমানি আদায়কারী নেতাদের কে। যদিও রাজনৈতিক মহলে শোনা যাচ্ছে, সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনে ১৮ টি আসনে বিজেপির জয়ে তৃনমূলের বুথ কমিটির ভূমিকা গুরত্বপূর্ণ। কেননা স্থানীয়স্তরে বুথে ভোট পরিচালনা এরাই করে থাকে। তাই দলীয় মীরজাফরদের শায়েস্তা করতে কাটমানি দাওয়াই প্রয়োগ করে ভোটে অন্তর্ঘাতের বদলা নিলেন দলনেত্রী। এইবিধ নানান মত কাটমানি নিয়ে থাকলেও মূল লক্ষ পূরণে তৃণমূল অনেকটাই ব্যর্থ বলে বিরোধীদের দাবি। তারা লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যব্যাপী কমন ইস্যুতে আন্দ্রোলন করার জ্বলন্ত হাতিয়ার পেয়েছে। চারদিকে যেভাবে কাটমানি কে সামনে রেখে বিজেপি স্থানীয়স্তরে রাজনৈতিক মাটি শক্ত করতে চাইছে, সেখানে বিক্ষুব্ধ তৃনমূলীদের পর্দার আড়ালে নয় সম্মুখসমরে পেয়ে যাচ্ছে গেরুয়া শিবির। তাই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব কাটমানি নিয়ে ইতি টানার চেস্টা করলেও তা হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে দিন কে দিন।
পি.কে এর প্রেসক্রিপশনে কাটমানির পাশাপাশি আটজন দলীয় নেতা - মন্ত্রীদের কালো তালিকায় রাখতে বলা হয়েছে আগামী বিধানসভার ভোট অবধি। সেখানে দেখা যাচ্ছে দলের বিদ্রোহী নেতাদের প্রতি ব্যবস্থাগ্রহণের হুমকি ছাড়া কার্যক্ষেত্রে তেমন কিছু হয়নি। বিগত বাম জমানায় কখনো সিঙ্গুর আবার কখনওবা নন্দীগ্রাম নিয়ে বিমান বসু - বিনয় কোঙ্গার - লক্ষ্মণ শেঠরা কু মন্তব্যে বিরোধীদের অপদস্ত করতো। যার পরিণতি স্বরুপ ২০১১ এর বিধানসভায় ক্ষমতা হারায় বামেরা। যখন বামফ্রন্ট নিজেদের ভূল বুঝলো, তখন সব কিছু শেষ।যদি আচার আচরণে সরকারি পদক্ষেপে মেপে চলত। তাহলে হয়তো এতটা রাজনৈতিক পরাজয় ঘটত না একদা ক্ষমতার অলিন্দে থাকা বামেদের। এইরুপ পরিস্থিতিতে জাতীয় স্তরের ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরের প্রেসক্রিপশন না মানলে আদৌও তৃণমূল তাদের ক্ষয় রুখতে পারবে? সে নিয়েও উঠেছে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন। দক্ষিণবঙ্গের শাসকদলের এক রাজ্য নেতা। যিনি পুলিশ কে বোমা মারার নিদান থেকে বিরোধীশুন্য ভোট করতে সিদ্ধহস্ত। তাঁকে কালো তালিকায় রাখার অনুরোধ রেখেছেন ভোটগুরু। এইরুপ খবর সংবাদমাধ্যম সুত্রে। সেখানে ব্যবস্থাগ্রহণের কোন ইংগিত দেননি তৃনমূল নেত্রী। অপরদিকে পুলিশি নির্ভরশীলতা কমাতে দলীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন দলনেত্রী। বাস্তবিক ক্ষেত্রে সেই নির্দেশ কার্যকর কোথাও হয়নি বলা যায়। মঙ্গলকোট থানায় সকাল নটা বাজলেই এক উপপ্রধান তার দলবল নিয়ে প্রতিদিন ঢুকে যান থানার মধ্যে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তিনি ওসির কোয়াটারে থাকেন বলে বিরোধীদের অভিযোগ। যদিও পুলিশের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বেলা এগারো বাজলে ব্লক তৃণমূল সভাপতি কে দেখা যায় সরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে থানায় ঢুকতে। পঞ্চায়েত সমিতির দুই জগাইমাধাই কর্মাধ্যক্ষ পুলিশের সব প্রোগ্রামে দেখা যায় পুলিশ আধিকারিকদের ডাইনেবাইয়ে।
পি.কে খ্যাত প্রশান্ত কিশোরের দাওয়াই আদৌও কি মানা সম্ভব তৃনমূলের কাছে? আবার তৃনমূল নেত্রী যেসব নির্দেশ গুলি দিচ্ছেন ব্লক / জেলা কমিটির নেতাদের কে, সেগুলিও বাস্তবিক ক্ষেত্রে প্রতিফলন ঘটছেনা তৃণমূলের অন্দরে। প্রকাশ্যে বিরোধীদলে নাম না লেখা অবধি নেতা কর্মীদের উপর কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে দোটানায় রয়েছে শাসক শিবির। দলীয় পরিকাঠামোয় যথাযথ নেতৃত্বে আমুল সংস্কার না আনলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ফলাফল ভালো না হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল রয়েছে বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে।
সোমবার, জুলাই ০৮, ২০১৯
সাত দফা দাবি তে পঞ্চায়েতে স্মারকলিপি ভাতার বিজেপির
আমিরুল ইসলাম ,
সাত দফা দাবি নিয়ে বিজেপির পঞ্চায়েত ঘেরাও।
পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার ব্লকের বনপাস গ্রাম পঞ্চায়েত আজ বিজেপির পক্ষ থেকে ঘেরাও ও ডেপুটেশন দেওয়া হয়। সাত দফা দাবি জানানো হয় আজকে। 100 দিনের কাজ ,প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ,গ্রামীণ সড়ক যোজনা, বিভিন্ন সরকারি যে প্রকল্প রয়েছে সেই প্রকল্পের প্রচুর পরিমাণে কাঠ মানি খেয়েছে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা তার সঠিক তদন্ত করে সঠিক বিচার হোক এই দাবিতে সোচ্চার হোন আজ।
পঞ্চায়েতের প্রধান দীপ্তি মন্ডল জানান আজকে ওরা সাত দফা দাবি জানিয়েছে আমি এক সপ্তাহ টাইম নিয়েছি ওদের প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য।
32 নম্বর জেড পির সভাপতি কৃষ্ণ সিংহ জানান বনপাস গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রচুর দুর্নীতি রয়েছে ।সেই সমস্ত দুর্নীতি সঠিক তদন্ত হোক এই দাবিতে কয়েক হাজার কর্মী নিয়ে আজকে পঞ্চায়েত ঘেরাও করি আমরা। এবং আমাদের দাবি দাবা পঞ্চায়েতের প্রধান কে জানাই তিনি এক সপ্তাহ টাইম নিয়েছেন যদি সদুত্তর দিতে পারেন তো ভালো যদি না দেন আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলন হবে।
বনপাশ পঞ্চায়েত চত্বর ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে এই মুহূর্তে প্রচুর পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করেছে ভাতার থানা।
বিচারপতি কম থাকায় মামলার পাহাড় ল্যান্ড ট্রাইবুনাল আদালতে
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
বাম আমলে জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু রাজ্য জুড়ে ভূমিহীনদের পাট্টা বিলিতে জোর দিয়েছিলেন। ব্যাপকভাবে পাট্টা বিলি কর্মসূচিতে দেখা যায় জমি নিয়ে আইনী জটিলতা। তাই তখন অর্থাৎ ১৯৯৯ সালে বিধাননগরে ল্যান্ড ট্রাইবুনাল আদালত চালু করেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু ৷ এটি কলকাতা হাইকোর্টের আওতায় থাকে। সেইসাথে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিরা সারা রাজ্যের ভূমি বিষয়ক মামলা গুলি দেখেন৷ ৬ টি পদে বিচারপতিরা থাকলেও ৩ জন ভূমি আধিকারিকদের প্রশাসনিক বিষয় গুলি দেখেন। এবং বাকি ৩ জন ৩ টি আলাদা বেঞ্চে ভূমি মামলাগুলি পর্যবেক্ষণ, শুনানি, রায়দান দিয়ে থাকেন৷ মামলার সংখ্যা পাহাড়তুল্য হওয়ায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রায়দান কম ঘটে। তাই ২০১০ সালে কলকাতা হাইকোর্টে ল্যান্ড ট্রাইবুনাল আদালতে বিচারপতি সংখ্যা বাড়ানোর জন্য মামলা হয়। তাতে ৬ জন বিচারপতি বেড়ে ৮ জনে দাঁড়ায়৷ তবে প্রশাসনিক বিচারপতি ৪ জনের জায়গায় ২ জন এবং বিচারবিষয়ক ৪ জনের জায়গায় ৩ জন রয়েছেন। অর্থাৎ ৮ টি পদে বর্তমান বিচারপতি সংখ্যা ৫ জন৷ ল্যান্ড ট্রাইবুনাল আদালত সুত্রে প্রকাশ, প্রত্যেক বছর ৫ হাজারের বেশি মামলা দাখিল হয় এই আদালতে। উত্তরবঙ্গে সার্কিট বেঞ্চ হওয়ায় ৫ টি জেলার মামলার চাপ কলকাতা হাইকোর্টে আসে না বললেই চলে। তবে ল্যান্ড ট্রাইবুনাল আদালতে রাজ্যের সব জেলার ভূমি মামলাগুলি রুজু হয়৷ অর্থাৎ মামলার চাপ অত্যন্ত বেশি। অপরদিকে ৪ টি বেঞ্চে প্রত্যেকদিন গড়ে ৩০ টি সর্বমোট ১২০ টির মত মামলার শুনানি হয়৷ তাতে অর্ধেক মামলার কোন শুনানি না হয়ে পরবর্তী তারিখ পরে। কেননা বিচারবিষয়ক বিচারপতিরা আদালত চালুর প্রথম পর্যায়ে নিজের বেঞ্চে বসলেও দ্বিতীয় পর্যায়ে ভিন্ন বেঞ্চে মামলার শুনানি শোনেন। সেক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে একটা বেঞ্চে ৩০ টি মামলা থাকলে ১৫ টির শুনানি হয় বাকি ১৫ টির পরবর্তী শুনানির তারিখ পরে। মামলাকারীদের অভিযোগ, এক একটি মামলার ডেট পরে নুন্যতম ছয়মাস পর। কেউ কেউ আবার পরের বছরে মামলার দিন পান।এইরূপ পরিস্থিতিতে মামলার পাহাড় জমছে, তবে মামলার নিস্পত্তি ঘটছে না সেভাবে। দেওয়ানি মামলার অন্যতম বিষয় হচ্ছে ভূমি ( জমি/ জায়গা) । মহকুমা আদালত কিংবা জেলা আদালতে সিভিল মামলা হারলে মামলাকারীরা বিধাননগরের করুনাময়ী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এই ল্যান্ড ট্রাইবুনাল আদালতে আসেন। আবার কলকাতা হাইকোর্টে কেউ সিভিল মামলা রুজু করতে গেলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিচারপতিরা নিদিষ্ট ফোরাম অর্থাৎ ল্যান্ড ট্রাইবুনাল আদালতে যাওয়ার নির্দেশিকা দেন। শতাধিক আইনজীবী রয়েছেন ল্যান্ড ট্রাইবুনাল আদালতে। তাঁরা অর্থাৎ বার এসোসিয়েশন বারবার মামলা নিস্পত্তিতে গতি আনতে বিচারপতির সংখ্যা বাড়ানোর দাবিতে সরব হয়েছেন। বিধাননগর ল্যান্ড ট্রাইবুনাল আদালতের বার এসোসিয়েশনের সম্পাদক বিশ্বপ্রিয় রায় ওরফে ডালু বাবু জানান - "বিষয়টি আমরা রাজ্যের আইনমন্ত্রী এবং ভূমিমন্ত্রী অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী কে জানিয়েছি। যাতে বিচারপতির সংখ্যা বাড়ে "। নুতন এবং পুরাতন মামলার চাপ যেভাবে বাড়ছে তাতে দীর্ঘমেয়াদি পরবর্তী শুনানির তারিখ পাওয়া ছাড়া সুবিচার পাওয়া দুস্কর বলে মামলাকারীদের দাবি। সুপ্রিম কোর্ট যেখানে মামলার পাহাড় কমাতে স্বতন্ত্র বিষয়ে ভিন্ন কোর্ট তাও কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের দিয়ে চালু করেছে। সেখানে শুন্য পদগুলি পূরণে রাজ্য কিংবা কেন্দ্রীয় সরকার কি উদ্যোগী হতে পারেনা। যদিও দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি কেন্দ্রীয় সরকার কে বিচারপতিদের সংখ্যা বাড়ানোর দাবিতে লিখিত ভাবে জানিয়েছে৷ এখন দেখার জনগণ দ্বারা নির্বাচিত সরকার আদৌও জনমুখী উদ্যোগ নেয় কিনা?
সোমবার, জুলাই ০১, ২০১৯
কাটমানি দাওয়াই দিতে গিয়ে নিচুস্তরের কর্মী দের প্রাণ বাজি রেখেছেন মমতা ?
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
লোকসভা নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণা পরবর্তী সময়ে বঙ্গ রাজনীতিতে সবথেকে বড় আলোচিত ইস্যু হচ্ছে কাটিমানি। যার রেশ এখনও দাপটের সাথে রয়েছে।যা পরিস্থিতি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে, তাতে বলা যায় বিক্ষোভের আঁচের আগুন আরও বাড়বে। ইতিমধ্যেই শখানেক শাসক দলের কর্মীসমর্থকদের বাড়ীতে অভিযোগকারী সরকারি প্রকল্পে উপভোক্তারা চড়াও হয়েছে। সেইসাথে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাড়ীতে ব্যাপকভাবে ভাঙচুর চলেছে। যতদিন যাচ্ছে ততই শাসকদলের নেতা কর্মীরা এলাকাছাড়া হচ্ছেন। মঙ্গলকোটের চারটি অঞ্চলের দাপুটে নেতা প্রদীপ মুখার্জি ইতিমধ্যেই তার 'উপপ্রধান' স্ত্রী, 'যুব নেতা' ছেলে কে নিয়ে জনরোষ আতঙ্কে পগারপার।কালনা ১ নং ব্লকের অকালপৌষ এক সুপারভাইজার বিক্ষোভকারীদের ভয়ে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেস্টা করেছেন। চিকিৎসাধীন এই কর্মী দেখতে কালনা হাসপাতালে গিয়েছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। আবার কোথাও কোথাও শাসকদলের স্থানীয় নেতা - জনপ্রতিনিধিরা কাটমানি আদায়ে স্বীকোরক্তি পত্র দিয়ে টাকা ফেরতের সময়সীমা বেঁধে দিচ্ছেন। সবথেকে বেশি আতঙ্ক গ্রাস করছে পঞ্চায়েতের প্রধান / উপপ্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি / সহ সভাপতি সহ বিভিন্ন কর্মাধ্যক্ষদের মধ্যে। বুথ কমিটির নেতাদের জ্বালাও কম না। তারা এইসব নেতাদের কালেকশান এজেন্ট হওয়ায় তারা ছুটে বেড়াচ্ছে প্রাণ বাঁচাতে। দলের নিচুস্তরের কর্মী সমর্থক বলতে এরাই মূলধন। তাই বিরোধী দলের টার্গেট হিসাবে এরাই হিটলিস্টে রয়েছেন।এখন আবার বিরোধী বলতে বিজেপি নয় কাটমানি নিয়ে রাস্তায় নেমেছে বামেরাও। যেকোনো ভোটের সময় নিচুস্তরের কর্মীসমর্থকদের ভূমিকাটায় সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। এখন তারা ই সবথেকে বেশি বিপদে। কাটমানি নিয়ে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে, হাতেপায়ে পড়েও নিস্তার মিলছে না। ঠিক এইরকম পেক্ষাপটে কাটমানি দাওয়াই নিয়ে তৃনমূলের অন্দরে চাপানউতোর চলছে। তাদের প্রশ্ন একটায় - সততা দেখাতে গিয়ে নিচুতলার কর্মী সমর্থকদের রীতিমতো 'ফায়ারিং স্কোয়াডে'র সামনে ফেলে দিয়েছেন তৃনমূল নেত্রী। হাজার হাজার কর্মী সমর্থকদের একপ্রকার প্রাণ কে বাজি রেখে আগামী বিধানসভা ভোটে জিততে চাইছেন নেত্রী। লোকসভা নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণায় পরিস্কার শহরের পাশাপাশি গ্রামে আর শাসকদলের একছত্র অধিপত্য নেই। বিজেপি ১৮ টি লোকসভার আসন দখল করে কাটমানি ইস্যুতে বাড়তি অক্সিজেন পেয়েছে। তারা দলগত রণনীতিতে একাধারে অভিযোগকারী উপভোক্তাদের পাশে যেমন লোকবল দিচ্ছে। আবার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলে আদালতগুলিতে গেরুয়া আইনজীবীদের বিনামূল্যে সার্ভিস দিচ্ছে মামলা লড়তে। আবার জেল কিংবা পুলিশি হেফাজতে থাকা সেই পরিবারের পাশে দাঁড়াতে আর্থিকভাবে সাংসারিক খরচও বহন করতে দেখা যাচ্ছে। আবার পুলিশের বড় অংশে লোকসভা নির্বাচনে ফলাফল দেখে পরিবর্তন এসেছে। তারাও কোন কোন ক্ষেত্রে বিক্ষোভ বা হামলা হওয়ার পর যাচ্ছে। কিংবা সাময়িক আটক করে পরে বিক্ষোভকারীদের ছেড়ে দিচ্ছে। এইসব দেখে তৃনমূলের নিচুস্তর থেকে দলের শীর্ষ নেতৃত্বর প্রতি চরম ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। কেন তাদের 'বলির পাঁঠা' করা হচ্ছে কাটমানি ইস্যুতে? এই প্রশ্ন তাদের অন্দরে ঘুরছে। বীরভূমের তিনবারের সাংসদ শতাব্দী রায় কাটমানি কান্ডে দলের চেন সিস্টেম তোলাবাজির অভিযোগ তুলেছেন। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের টাকা বুথ কমিটি ভায়া ব্লক কমিটি হয়ে জেলা ও রাজ্যস্তরের নেতাদের পকেটে যায়। সেটায় হয়তো তিনি বোঝাতে চেয়েছেন। তাহলে এটা পরিস্কার কাটমানি আদায়ে বুথ কমিটির ভূমিকা সর্বাপেক্ষা গুরত্বপূর্ণ হলেও সেই অর্থের সিকিভাগ তাদের মিলে না। দলের সেজো, মেজ, বড় নেতারাও সেই অর্থ হজম করে বসে আছে। তাই বুথ কমিটির নেতাদের প্রশ্ন - দলের স্বচ্ছ ইমেজ আনতে শুধুমাত্র তাদের কেই কেন বিক্ষুব্ধদের সামনে ফেলা হচ্ছে? শুধু তারা নয়, তাদের সাথে নিরীহ পরিবারকেও প্রাণভয়ে থাকতে হচ্ছে। অপরদিকে প্রশ্ন উঠছে শীর্ষ তৃনমূলের বড় অংশ এবং রাজ্য মন্ত্রীসভার বেশ কয়েকজন সদস্য যেখানে সারদা - রোজভ্যালি - আইকোর - নারদা প্রভৃতি দূর্নীতিতে সরাসরি অভিযুক্ত। তাও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত এমনকি বিচারধীন বন্দিও রয়েছেন তালিকায়। তাহলে সেখানে দলের স্বচ্ছতা বাড়াতে গেলে এইসব প্রভাবশালী নেতাদেরও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। সেক্ষেত্রে ঠগ বাছতে গাঁ উজারের মত পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যাবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কাটমানি দাওয়াই শুধুমাত্র দলের চুনোপুঁটি ধরলে আদৌও কোন কাজ হবে? এই প্রশ্ন উঠছে গোটা রাজ্য জুড়ে। আর যারা ভোট পরিচালনায় থাকেন বুথস্তরে, তাদের কে ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে রাখলে আগামী বিধানসভায় শাসক দল কি এদের পাবে তখন।? এইবিধ নানান প্রশ্নচিহ্ন শাসকদলের অন্দরমহলে।
OLD POSTED
আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
মোল্লা জসিমউদ্দিন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER
-
বাকুঁড়ার কোতলপুর ব্লক তৃনমূল কমিটির পরিচালনায় বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদসভা হয়।উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শ্যামল সাতঁরা, সাংসদ সৌমিত্র খান, জেলা স...