সোমবার, মার্চ ১৯, ২০১৮

তৃনমূলের প্রথম পুরসভার জয়ের কাণ্ডারি চঞ্চল গড়াই কি ডাক পাবেন মুখ্যমন্ত্রীর সভায়?



মোল্লা জসিমউদ্দিন

আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে পূর্ব বর্ধমান জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক ঘিরে তুমুল আগ্রহ তৈরি হয়েছে জেলা রাজনীতিমহলে।প্রশাসনিক সভায় রাজনৈতিক বিষয় না আসাটাই স্বাভাবিক, তবে কয়েকটি বিষয় কে সামনে রেখে অংক কষছে অনেকেই।সাধারণত মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে সংশ্লিষ্ট বিধানসভা, লোকসভার জনপ্রতিনিধিরা থাকেন, এক্ষেত্রে দলীয় লোকসভার সাংসদ অনুপম হাঁজরা আগামী ২০ মার্চ প্রশাসনিক বৈঠকে থাকবেন কিনা? সে নিয়ে বিস্তর জল্পনা তৈরি হচ্ছে।কেননা বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অধিন পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম মঙ্গলকোটের পাশাপাশি আউশগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে।অনুব্রত মন্ডলের সাথে বোলপুর সাংসদ অনুপম হাঁজরার সাপেনেউলে সম্পক সর্বজনখ্যাত। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় অনুব্রত কে চটিয়ে সাংসদ অনুপম কে পাওয়া যাবে কিনা, তা নিয়ে উঠছে বিস্তর প্রশ্ন।উল্লেখ্য বীরভূম জেলার দলীয় সভাপতি হওয়ার পাশাপাশি এই তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের দলীয় পর্যবেক্ষক হচ্ছেন অনুব্রত মন্ডল।তাই ২০১৪ সালের পর থেকে সাংসদ তহবিলে উন্নয়ন নিয়ে নানান সমস্যা হয়েছে শাসকদলের নেতা অনুব্রত ও সাংসদ অনুপম কে ঘিরে।এমনকি বরাদ্দকৃত পঞ্চায়েত সমিতিতে লক্ষ লক্ষ টাকা অনুদান ফিরে গেছে সাংসদ তহবিলে।তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়নকাজ নিয়ে যখন সারারাজ্যে চষে বেড়াচ্ছেন। সেখানে সাংসদ তহবিলের উন্নয়নকাজ নিয়ে সমস্যা সমাধানে কি দেখা যাবে সাংসদ অনুপম হাঁজরা কে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায়? অপরদিকে ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে পরিবর্তন হবার পূর্বে অর্থাৎ ২০১০ সালে রাজ্যে সর্বপ্রথম যে গুশকরা  পুরসভা তৃনমূল এককভাবে  দখল পেয়েছিল।সেই জয়ের কারিগর তৎকালীন পুর চেয়ারম্যান চঞ্চল গড়াই আজ উপেক্ষিত শাসকদলের  অন্দরে।গুশকরা পুরসভার টেন্ডার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে চঞ্চল বাবু একপ্রকার রাজনৈতিক সন্ন্যাস নিয়েছেন।যেখানে বারবার তৃনমূলের তরফে পুরানো কর্মী সমর্থদের প্রতি সম্মান জানাবার ( পঞ্চায়েত ভোটের মুখে) কথা বলা হচ্ছে।সেখানে কি রাজ্যের প্রথম পুরসভা দখল করার 'হিরো' চঞ্চল গড়াই গুশকরা এলাকায় মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ডাক পাবেন?  সে নিয়ে নানান গুঞ্জন জেলার রাজনীতির আঙ্গিনাতে।আগামী ২০ মার্চ পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায় জেলার দুই মন্ত্রীর মধ্যে স্বপন দেবনাথ ও সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী পড়েন।এক্ষেত্রে প্রশাসনিক সভাস্থল লাগোয়া মঙ্গলকোট বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে মুখ্যমন্ত্রী পুরস্কার না তিরস্কার করেন।তার দিকেও নজর অনেকেই।এটা সত্য সারারাজ্যে গ্রন্থাগার পরিষেবার মান কে দিন কে দিন বাড়াচ্ছেন সিদ্দিকুল্লাহ।তবে বিধায়ক হিসাবে সেভাবে সফল নন মঙ্গলকোটের বুকে।যদিও অনুব্রত প্রভাবিত মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতি,গ্রাম পঞ্চায়েত গুলিতে অবিরত কৃত্তিম বাঁধার শিকার সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। তদাপিও বিধায়ক তহবিলে বরাদ্দকৃত আম্বুলেন্স গুলি ঠিকঠাক ব্যবহার না করা,কৃষির ক্ষতিপূরণ অনুদানে ভুয়ো তালিকা করা, গীতাঞ্জলী প্রকল্পে বিধায়ক কোটায় বড়লোক সহ নিজ ঘনিষ্ঠদের আর্থিক অনুদান পাইয়ে দেওয়া বিষয়গুলি মঙ্গলকোট বিধায়কের চিন্তা কে বহুগুণ বাড়িয়েছে। আবার ব্লক তৃনমূল নেতাদের তৈরি মঙ্গলকোটের আটঘড়া মোড়ে মহিলাদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ সহ জুতো ঝাঁটা কান্ডে মুখ্যমন্ত্রী সরব হন কিনা, তা নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় রয়েছে।এই ঘটনায় বিধায়ক নিজের প্যাডে মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ পূরবী গড়াই সহ তৃনমূল নেতাদের দায়ী করেছেন। এমনকি জমিয়ত উলেমা হিন্দের জেলা কমিটি কে দিয়ে পুলিশসুপার কে কর্তব্য পালনে ব্যর্থতা প্রসঙ্গ টেনে মঙ্গলকোট ওসি প্রসেনজিত দত্ত কে অত্যাচারী উল্লেখ রেখে স্মারকলিপি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সিদ্দিকুল্লাহ যেমন পুরস্কারের (প্রশংসা, ব্যবস্থা নেওয়া)  সম্ভাবনা রয়েছে।ঠিক তেমনি তিরস্কারের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বিভিন্ন অতীত ঘটনাকাল সামনে রেখে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকে কমন এজেন্ডা হিসাবে বরাবর দেখা গেছে বালি সিন্ডিকেট বিষয়টি।এক্ষেত্রে আগামী ২০ মার্চ বেআইনী বালিঘাট অধ্যুষিত মঙ্গলকোট,গলসি,কেতুগ্রাম, কাটোয়া প্রভৃতি এলাকার ওসি,বিডিও, বিএলআরও সর্বোপরি দলীয় নেতাদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রী কি বার্তা দেন? তার দিকেও নজর রেখেছে পূর্ব বর্ধমান জেলাবাসি।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER