বুধবার, এপ্রিল ১১, ২০১৮

প্রতিবেশী যুবকের প্রেমে সাড়া না দেওয়ায়, নাবালিকার দাদু কে পিটিয়ে খুন

মানস দাস,মালদা

প্রতিবেশী যুবকের প্রেম প্রস্তাবে বরাবরই নারাজ ছিলো নাবালিকা।অবশেষে নাবালিকাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা যুবকের।আর তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় নাবালিকার দাদু।ঘটনায় যুবকের সহ পরিবার মিলে দাদুকে বেধরক মারধর করে বলে অভিযোগ।ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নাবালিকার দাদুর।ঘটনায় নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে যুবক সহ তার পরিবারের পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।ঘটনাটি ঘটেছে মালদার কালিয়াচক থানার আলীনগর অঞ্চলের নাসিরুদ্দিন বিশ্বাস পাড়া এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, মৃতার নাম সিদ্দিক শেখ(৬৫)।পুলিশ মৃতদহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে,একই গ্রামের বাসিন্দা মানু শেখ ও আব্দুল বারেক।পরিবারের অভিযোগ,বেশ কয়েক মাস ধরে আব্দুল বারেকের ছেলে মজহিত শেখ উত্যক্ত করতো মানু শেখের নাবালিকা মেয়েকে।মজহিত শেখের প্রেমের প্রস্তাব বরাবরই প্রত্যাখ্যান করেছিলো নবম শ্রেণীর পড়ুয়া নাবালিকা।এই উত্যক্তের জেরে নাবালিকা প্রায় গৃহবন্ধী হয়ে পড়েছিল।স্কুল-টিউশন যাওয়ার পথে চলতো যুবকের প্রেম নিবেদন।সেমতো সোমবার সন্ধ্যায় নাবালিকা রেশন দোকান থেকে ফেরার পথে অভিযুক্ত প্রতিবেশী যুবক মজহিত শেখ আবারও নাবালিকাকে উত্যক্ত করতে থাকে।এমনকি নাবালিকার বাড়িতে ঢুকে পড়ে অভিযুক্ত যুবক।সেইসময় নাবালিকার মা ওই যুবককে বকাবকি করতেই নাবালিকাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্ত যুবক।তখন পথ আটকায় নাবালিকার দাদু সিদ্দিক শেখ।অভিযোগ সেই সময় দাদুকে বেধরক মারধর শুরু করে অভিযুক্ত যুবক সহ তার পরিবার।মারধরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দাদুর।স্থানীয়রা বৃদ্ধ ডাহুকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।ঘটনার পরই অভিযুক্ত যুবক মজহিত শেখ,বাবা আব্দুল বারেক এবং তার পরিবারের সদস্য নুরফুল শেখ,মাইনুরা খাতুন,সেলিম শেখ মোট পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে মৃতার পরিবার।ঘটনার তদন্তে নেমে রাতেই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে কালিয়াচক থানার পুলিশ।পাশাপাশি মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER