উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়
সারা রাজ্য যখন তৃনমূলের শক্তির কাছে বিরোধীরা পরাজিত। ঠিক তখনই তৃনমূলের সাথে সমানে সমানে টক্কর দিলো সিপিএম ও এসইউসি। এদের মধ্য তৈরী হওয়া গোপন জোটের কাছে প্রায় নিরুপায় দেখাল তৃনমূল কে।একসময় জয়নগর ও কুলতলিতে এসইউসি ছিলো প্রধান শক্তি।সিপিএমের সাথে তাদের প্রবল যুদ্ধ ছিলো।গত পঞ্চায়েত ভোটে জয়নগর ও কুলতলিতে সিপিএম পঞ্চায়েত সমিতি দখল করে।তৃনমূলের শক্তি এখানে ভালো ছিলো না।২০১৬সালের বিধানসভার পর থেকে এই সব এলাকাজুড়ে তৃনমূলের শক্তি বাড়ে।কুলতলি পঞ্চায়েত সমিতি সহ ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮টি ই তাদের দখলে চলে যায়।তৃনমূল জয়নগর ১ ও ২নং ব্লক চেস্টা করেও দখলে আনতে পারে নি।গত ৬-৭মাস ধরে এই সব এলাকাজুড়ে তৃনমূল কে আটকাতে সিপিএম ও এসইউসি এক হয়।সেই কারনে সারা রাজ্য মনোনয়নে অশান্তুি হলেও এখানে তা হয় নি।এইসব এলাকাজুড়ে তাই এদের জোটের নির্দল দেখতে পাওয়া যায়।দুজনের শক্তি এক হয়ে যাওয়ায় তৃনমূল কমজোরি হয়ে পড়ে বেশ কিছু জায়গায়।কিছু এলাকায় বিজেপির সাথে ও অলিখিত জোট হয়ে যায়।তাই ভোটের দিন দুজন তৃনমূল করমি খুনের ঘটনা ও ঘটেকুলতলিতে।এ ব্যাপারে কুলতলির সিপিএম বিধায়ক রামশংকর হালদার বলেন,এখানকার মানুষ তৃনমূলের জোরজুলমে অতিস্ত হয়ে গেছিল তাই তারা আমাদের পাশে এসেছে।কুলতলির প্রাক্তন বিধায়ক এস ইউসির জয়কৃষ্ণ হালদার বলেন,তৃনমূলের অত্যাচারের কাছে মানুষ আর না পেরে আমাদের সাথে এসেছে।কুলতলির তৃনমূল ব্লক সভাপতি গোপাল মাঝি বলেন,ওরা এলাকাজুড়ে সন্তাস চালাবে বলে এক হয়েছে।বিজেপির জেলা নেতা সুনীপ দাস বলেন,জয়নগর কুলতলিতে তৃনমূলের অত্যাচার দিন দিন বেড়ে চলেছে।মানুষ শান্তি চাইছে।