শনিবার, মার্চ ০৯, ২০১৯

লাশ ফেলার এ কি খেলা মঙ্গলকোটে?

গত  শুক্রবার সকালে মঙ্গলকোটের কৈচর হল্ড স্টেশনে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির দেহ উদ্ধার ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য পড়ে গোটা এলাকাজুড়ে। কেউ কেউ  ঘটনাটি  দুর্ঘটনা বললেও অনেকেই বলছেন এটি পরিকল্পিত খুন করে লাশ পাচার। যাতে স্থানীয় থানার পুলিশ ঝামেলায় না পড়ে, সেজন্য দেহটি করুই কৈচর সড়ক রুটে থাকা কাটোয়া বর্ধমান  রেললাইনে দেহটি ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অনেকেরই ধারণা  ।স্বভাবতই কাটোয়া থেকে জিআরপিএফ এবং আরপিএফ দেহটি উদ্ধার করে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। কাটোয়া রেলপুলিশের  ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক জানিয়েছেন - একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে,  ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী তদন্ত চলবে।তাছাড়া বিভিন্ন থানা, জিআরপিএফ,আরপিএফ গুলিতে মৃত ব্যক্তির ছবি পাঠানো হবে।এলাকাসুত্রে জানা যায়,  শুক্রবার সাতসকালেই মঙ্গলকোটের কৈচর হল্ড স্টেশনে বছর পয়ত্রিশের এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। মুখের নাকের কাছে আঘাত ছাড়া দেহের কোন অংশে আঘাত নেই বললেই চলে। তাই এক্ষেত্রে রেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এটা নিশ্চিতভাবে  বলা যায় না। এই রেলরুটে সারাদিন রাতে  মাত্র চারটি লোকাল ট্রেন চলাচল করে থাকে। এক্সপ্রেস কিংবা মালগাড়ি এখনও চালু হয়নি।যদি চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হত, কিংবা রাস্তা পারাপারে মৃত্যু হত। তাতে চলন্ত ট্রেনের সহযাত্রী কিংবা রেললাইনের সামনে থাকা বাড়ীঘর মালিকদের প্রতক্ষদর্শী হিসাবে পাওয়া গেত। সর্বপরি রেললাইনে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তি স্থানীয় হলে, তার পরিচয় সহজেই মিলতো। কিন্তু এক্ষেত্রে মেলেনি  । সেইসাথে দূরের ব্যক্তি হলে সাইকেল কিংবা মোটরসাইকেল  পড়ে থাকত ঘটনাস্থলে। এক্ষেত্রে কিছুই মিলেনি। তাই অনেকেই বলছেন, কৈচর বাসস্ট্যান্ডে নিয়মিত আসা পূর্বস্থলীর গড়গাছা - হামিদপুরের দুস্কৃতি দলের এই কান্ড হতে পারে।তদন্তের অভিমুখ ঘুরিয়ে দিতে রেললাইনে দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলকোট থানার অধিন এই এলাকা ভৌগোলিকভাবে পড়লেও নব নির্মিত রেললাইনে আইনশৃঙ্খলার কাজে কাটোয়া আরপিএফ এবং জিআরপিএফ পড়ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন - এই ঘটনাটি কে সাধারণ দুর্ঘটনা হিসাবে দেখলে ভবিষ্যতে আরও এভাবে লাশ ফেলে দেওয়ার প্রবনতা বাড়বে দুস্কৃতিদের। উল্লেখ্য পূর্বস্থলীর গড়গাছা হামিদপুর থেকে মঙ্গলকোটের কৈচর মোড় মাত্র পনেরো কিমির পথ। অতীতে সিপিএম নেতা ফাল্গুনী মুখার্জি খুন পরবর্তী মঙ্গলকোট উত্তপ্ত তে পূর্বস্থলীর ভাড়াটে দুস্কৃতিদের দৌরাত্ম ছিল। সিঙ্গির বটডাঙ্গা মোড় থেকে কৈচর সড়ক রুট টি কে সেফ করিডর হিসাবে ব্যবহার করতো তারা। এই রুটের মধ্যেই পড়ছে নব নির্মিত কাটোয়া থেকে বর্ধমানগামী রেলপথ। আর এই রেলপথেই উদ্ধার হলো অজ্ঞাত দেহ। তাই অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন,  লোকসভা নির্বাচনের আগে শুক্রবারের  লাশ উদ্ধারের ঘটনা উচ্চপর্যায়ে তদন্ত না হলে আগামীতে এই রেললাইন কেই লাশ ফেলে দেওয়ার নিরাপদ স্থান হিসাবে মনে করবে রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রিত ভাড়াটে দুস্কৃতিরা।                                                                                                                                   

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER