মঙ্গলবার, এপ্রিল ০৯, ২০১৯

অজয়ের লোচনদাস সেতুতে নজরদারি না করলে অবাধ ভোট গ্রহণ কি সম্ভব ?


  মোল্লা জসিমউদ্দিন , 

পূর্ব বর্ধমানের সীমান্ত লাগোয়া মঙ্গলকোটের নুতনহাট এলাকায় লোচনদাস সেতুতে নিয়মিত পুলিশি  নজরদারি চালাবার দাবি উঠলো। সিপিএম থেকে কংগ্রেস দলের স্থানীয় নেতৃত্বের পাশাপাশি বিজেপিও সরব এই দাবিতে। রাজ্য বিজেপি নেতা চন্দ্রনাথ মুখার্জি জানান - "আমরা যথাযথ জায়গায় এই বিষয়টি লিখিতভাবে জানাব।"তবে স্থানীয় মঙ্গলকোট থানার পুলিশ মাঝেমধ্যে  লোচনদাস সেতুর সামনে টোলট্যাক্সের কাছে টহলদারি ভ্যান রেখে দেয়।  অভিযোগ উঠছে, বালি কিংবা পাথর বোঝাই গাড়িগুলিতে তোলাবাজি চালানো ছাড়া আর কোন কাজ নেই স্থানীয় পুলিশের। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে পুলিশের তরফে। জানা গেছে, শুধু পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট নয়, অজয় নদের সেতুর উপর লোচনদাস সেতুটি জুড়েছে বীরভূমের নানুর কে। রাজনৈতিকগত দিক দিয়ে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট এবং বীরভূমের নানুর উভয় থানা এলাকাটি অতি উত্তেজনা প্রবণ হিসাবে চিহ্নিত। শুধু তাই নয় লোচনদাস সেতুর উপর বয়ে গেছে গুরত্বপূর্ণ  ৭ নং রাজ্য সড়করুট টি। উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গ এর যোগাযোগকারী এই লোচনদাস সেতু। প্রত্যেহ দিন দুশোর কাছাকাছি যাত্রীবাহী বাস   যাতায়াত করে থাকে। হাজারের বেশি যানবাহন চলে এই সেতুর উপর দিয়ে। বেশিরভাগই বালি / পাথর বোঝাই গাড়ি যাতায়াতে ব্যস্ত থাকে এই সেতু    । এইসব গাড়ীর একাংশে বেআইনি অস্ত্র সহ কালো টাকা নিয়মিত লেনদেন চলে বলেও দাবি কোন কোন পক্ষের। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দপ্তরে ( আইবি)  ওয়েস্ট বেঙ্গল উইংস শাখার এক আধিকারিক জানান - "আমরাও বিষয় সম্পকে অবগত আছি, মাঝেমধ্যে সিভিলে আমাদের লোক খবরাখবর নেয় "  । জানা গেছে, বে আইনি অস্ত্র, কালো টাকা সহ গাঁজা পাচার নিয়ে  অতীতে বেশ কয়েকবার এখানে বিশেষ অভিযানও চলেছে গোয়েন্দা / পুলিশের তরফে। নির্ভরযোগ্য এক সুত্র মারফত জানা যায় - এই রুটটিতে লাল / নীল বাতি জ্বালিয়ে হর্ণ মেরে রাস্তা ফাকা করে শয়ে শয়ে আম্বুলেন্স যাতায়াত করে থাকে এই লোচনদাস সেতুর উপর দিয়ে। কিছু আম্বুলেন্সে রোগী সেজে বে আইনি অস্ত্র সহ কালো টাকার কারবার দক্ষিণবঙ্গ এর বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে চলছে। এই সড়ক টি কলকাতার দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে সাঁতরাগাছি - ডানকুনি - পালসিট - বর্ধমান শহর হয়ে নর্জা মোড় - মুরাতিপুর - নুতনহাট - ফুটিসাঁকো উপর দিয়ে চলে যাচ্ছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। এহেন অতি গুরত্বপূর্ণ সেতুতে বালি কারবারিতে রুখতে জেলাপ্রশাসনের তরফে  সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হলেও বর্তমানে সেটি বিকল বলে জানা গেছে। এই সেতুর টোলট্যাক্সে গাড়ী নাম্বার সহ বিল দেওয়া হয়না, দুর্নীতি চালাতে । কূপন ধরিয়ে দেওয়া হয়। যা রাস্তাতেই পড়ে থাকে। যারফলে কোন কোন  গাড়িগুলি যাতায়াত করছে তার সুনিদিস্ট তথ্য প্রমাণ থাকেনা টোলট্যাক্সের কাছে ।নির্বাচনের সময় সরকারি  'অন ডিউটি' বোর্ডের গাড়ীর বহর বেড়েছে বহুগুণ। সেগুলি নিয়েও জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে এলাকায় । সম্প্রতি ভুয়ো বোর্ডের গাড়ী নিয়ে হইচই পড়ে যায় লোচনদাস সেতু চত্বরে। ঠিক এইরকম নানা অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দু মঙ্গলকোটের নুতনহাট এলাকায় থাকা অজয় নদের উপর লোচনদাস সেতুটি। পুলিশের তোলাবাজি থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা বিকল থাকা, আবার আম্বুলেন্সে রোগী সাজিয়ে বে আইনি কারবার থেকে ভুয়ো সরকারি বোর্ড লাগানো গাড়ি। সর্বপরি টোল আদায়কারী সংস্থার বিলে গাড়ী নাম্বার রেজিস্ট্রার হয়না।     ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে বে আইনি অস্ত্র কিংবা কালো টাকা আমদানি সহ সুপারি কিলারদের যাতায়াত ক্রমশ বাড়বে এই সেতুর উপর দিয়ে। এই সুবিশাল নেটওয়ার্ক কে রুখতে স্থানীয় একটি থানার পুলিশের পক্ষে তা সম্ভব নয়। আবার লোচনদাস সেতুর ওপারে পড়ছে ভিন্ন জেলার থানা। তাই দুই জেলার সীমান্তবর্তী এহেন গুরত্বপূর্ণ সেতুতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারি চেয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তাও কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের আওতায় রেখে।পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট এবং বীরভূমের নানুর উভয় থানা দুটি অপরাধ মূলক কাজে রাজ্যের প্রথম সারিতে আছে। বিশেষত বে আইনি অস্ত্র, গাঁজা পাচার এই দুটি থানার গত তিনবছরের মামলাগুলি পর্যবেক্ষণ করলে বোঝা যাবে। তাছাড়া রাজনৈতিক হানাহানিতেও এগিয়ে 'সূচপুর গনহত্যা ' খ্যাত নানুর এবং আজাদ মুন্সি খুনে ঘটনাস্থল মঙ্গলকোট এলাকা। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর তৎপরতা শুরু হোক এই লোচনদাস সেতুতে, তা চাইছে বিরোধীরা। সম্প্রতি মঙ্গলকোটের 

চাণক এলাকায় পতাকা টাঙানো নিয়ে বিজেপি কর্মীর ভাগ্নে কে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠে তৃণমূল আশ্রিত সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে। লোচনদাস সেতুর উপর দিয়ে বেশ কিছু বালির গাড়িতে বালির নিচে বে আইনি অস্ত্র পূর্বস্থলী থেকে আমদানি হয় বলে বিশেষ সুত্রে দাবি। একদা পূর্বস্থলীর হামিদপুরে এক অস্ত্র মাফিয়ার দশের কাছাকাছি লরি / ডাম্পার প্রত্যেহ আসে মঙ্গলকোটের এই লোচনদাস সেতুর নিচে অজয় নদের বালি তুলতে।সেখানেই বালির ইজারাদার একাংশের মাধ্যমে অত্যাধুনিক অস্ত্রের কারবার চলে বলে স্থানীয় সুত্রে প্রকাশ।                                                                                                                                                                                                                                                                                       

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER