মোল্লা জসিমউদ্দিন।,
চুরির হাত থেকে রক্ষা পেলনা সতীপীঠ খ্যাত কেতুগ্রামের অট্টহাস মন্দির।শুধু এই প্রথম নয়, এর আগে তিনবার চলেছে চোরেদের চুরি। পুলিশ ক্যাম্প বসেও ছিল, তবে লোকসভা নির্বাচনে ডিউটি পড়াতে পুলিশ না থাকায় ফের চুরির ঘটনা ঘটলো এখানে। গত সোমবার গভীর রাতে মন্দিরের দরজা ভেঙে এক ভয়াবহ চুরির ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সাধারণ মানুষ ও মন্দির সূত্রে জানা প্রকাশ, প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার গহনা নিয়ে চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। কেতুগ্রাম থানার পুলিশ চুরির ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে। মঙ্গলবার সকালে মন্দিরের লোকজনেরা এসে দেখতে পান মন্দিরের মেন দরজা খোলা। জিনিসপত্র সব লন্ডভন্ড হয়ে রয়েছে এবং দেখতে পাওয়া যায় যে মায়ের মূর্তি থেকে তিন লক্ষাধিক টাকার সোনার গহনা উধাও।মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কেতুগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।অথচ এই সতীপীঠ অট্টহাস ঘিরে পর্যটন দপ্তরের আর্থিক সহযোগিতায় ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু হয়েছে। প্রায় দেড় থেকে দুই কোটি টাকার কাজ হচ্ছে এই মন্দিরে। এই ধরনের চুরির ঘটনা ঘিরে এলাকার মানুষ হতবাক। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি দ্রুত মন্দির চুরির ঘটনার তদন্ত হোক এবং প্রকৃত দোষীদের ধরা পড়ুক।মন্দির চুরির ঘটনাতে দ্রুত চোরেদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হবে বলে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। চুরির ঘটনা ঘিরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।অথচ এই মন্দিরে প্রতিদিন বহু পর্যটক সতীপীঠ পরিদর্শন করতে আসেন। তাই এলাকার গুরুত্ব অনেকটাই বেড়েছে, পরিবর্তন ঘটেছে এলাকার অর্থনৈতিক ব্যবস্থারও ।ঠিক এইরকম পেক্ষাপটে বারবার চুরির ঘটনায় মন্দিরের ভাবমূর্তি কমছে দর্শনপ্রার্থীদের কাছে। পর্যটন বাড়াবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও আইনশৃঙ্খলা অবনতি হওয়ায় পর্যটকদের মধ্যে বহুগুণ নিরাপত্তাহীনতা বাড়িয়ে দিচ্ছে এইবিধ ধারাবাহিক চুরির ঘটনা গুলি।