বুধবার, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৯

কংগ্রেস মুখপাত্র নির্যাতন কান্ডে খড়দহ থানার সিসিটিভি ফুটেজ তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন  

মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে কংগ্রেস মুখপাত্র সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর পুলিশি সন্ত্রাস বিষয়ক মামলাটি উঠে। এদিন বিচারপতি পরবর্তী নির্দেশ অবধি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ পুলিশ নিতে পারবেনা ওই মামলায় যেমন নির্দেশ জারী করেছেন। ঠিক তেমনি খড়দহ থানায় গ্রেপ্তারের দিন সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ তলব করেছেন বিচারপতি। এতে মামলাকারীরা একপ্রকার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে খুশি। পুলিশ মহলে 'কি হয় কি হয়' বাতাবরণ তৈরি হয়েছে বলে বিশেষ সুত্রে জানা গেছে। উল্লেখ্য, প্রবীণ সাংবাদিক তথা রাজ্য কংগ্রেসের মুখপাত্র সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় সোশাল মিডিয়ায় তৃণমূল তথা রাজ্যসরকারের কঠোর সমলোচক হিসাবে দীর্ঘদিন ধরে পরিচিত।চলতি বছরে অক্টোবর মাসে পুরুলিয়ার এক থানায় অভিযোগকারীর  অভিযোগের ভিক্তিতে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ থানার পুলিশ আগরপাড়ায় বাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করে এই কংগ্রেসী নেতা কে। যেদিন গ্রেপ্তার করা হয়। সেদিন এই নেতার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠে। খড়দহ থেকে পুরুলিয়া জেলায় আনা হয়েছিল সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় কে। পরে অবশ্য সংশ্লিষ্ট এসিজেম এজলাসে বেশকিছু শর্ত আরোপিত জামিন পান তিনি। লকআপের মধ্যে খাবার এমনকি জল না দেওয়া, দুঃব্যবহার  করার পাশাপাশি শারীরিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠে। উত্তর ২৪ পরগণা এবং পুরুলিয়া জেলা পুলিশ বিশেষত খড়দহ থানার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ সবচাইতে বেশি। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে পুলিশি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। মঙ্গলবার ছিল এই মামলার শুনানি। সেখানে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য পুলিশ কে কোন ব্যবস্থা নিতে বারণ করেছেন পরবর্তী নির্দেশ ছাড়া। সেইসাথে গুরত্বপূর্ণ নির্দেশ অর্থাৎ খড়দহ থানায় কংগ্রেস মুখপাত্র গ্রেপ্তারির দিন সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ তলব করেছেন বিচারপতি। উল্লেখ্য,  সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রতিটি থানায় সেন্ট্রি ( থানার প্রবেশপথ) , ডিউটি অফিসারের ঘর, লকআপের ঘর,সাব ইনস্পেকটরদের বসার ঘর  এমনকি ওসির অফিসঘরে সিসিটিভি ক্যামেরা রাখার নির্দেশিকা রয়েছে। মূলত পুলিশি সন্ত্রাস রুখতে সুপ্রিম কোর্টের এহেন দাওয়াই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। ঠিক এইরকম পেক্ষাপটে খড়দহ থানার সিসিটিভি ফুটেজ তলব খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রকৃত তথ্য অনুসন্ধানে। প্রসঙ্গত, বর্ধমান জেলায় বামদেব মন্ডল তার উপর মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ এনে বর্ধমান সিজেএম এজলাসে মামলা করেছিলেন। সেসময় ওই এজলাসের বিচারক বর্ধমান সদর থানার সিসিটিভি ফুটেজ তলব করেছিলেন। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখাতে পারেনি। পুলিশের তরফে বর্ধমান জেলা আদালতে  সরকারি আইনজীবী জানিয়েছিলেন - ইঁদুরে নাকি সিসিটিভির তার কেটে দিয়েছিল! তাই সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ সম্ভব নয়।   এখন প্রশ্ন উঠেছে বর্ধমান সদর থানার মত খড়দহ থানা এইরকম কোন যুক্তি দেখাবে না তো??                                                                                                                                                                          

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER