বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ২৫, ২০১৮

মুখ্যমন্ত্রী এত সাংস্কৃতিক প্রেমী, তবুও মঙ্গলকোটে অধরা জেলা গ্রন্থাগার মেলা

মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

আগামী ২২ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর অবধি বাংলার প্রতিটি জেলায় জেলায় গ্রন্থাগার মেলা হচ্ছে। এই বিষয় নিয়ে চলতি মাসে কেন্দ্রীয় রাজ্য পাঠাগারে গ্রন্থাগার মন্ত্রী  সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী মেলার প্রস্তুতি নিয়ে প্রশাসনিক সভাও সেরে ফেলেছেন। গতবছর মন্ত্রী তাঁর নির্বাচনী বিধানসভা কেন্দ্র মঙ্গলকোটে চেয়েছিলেন, তবে প্রশাসনের একাংশের রিপোর্টে তা হয়নি। জেলা গ্রন্থাগার মেলাটি হয়েছিল মঙ্গলকোট লাগোয়া মন্তেশ্বরে। নিজ বিধানসভা কেন্দ্র বলে নয়, মঙ্গলকোটে রয়েছে বিশ্বখ্যাত মনিষীদের নানান স্মৃতি।কেউ কেউ আবার ভূমিপুত্র।  সে মুঘল সম্রাট শাহজাহান বাদশার শিক্ষা ও দীক্ষাগুরু হামিদ বাঙালি বলুন কিংবা বৈষ্ণব কবি লোচনদাস। পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক,  কিংবা বিদ্রোহী কবি কাঁজি নজরুল ইসলাম কে চিনেন না এমন কোন বাঙালি ভূ-ভারতে  নেই বললেই চলে। এঁদের প্রত্যেকেরই স্মৃতি রয়েছে এই মঙ্গলকোটে। এহেন মঙ্গলকোটে স্থানীয় বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী তাঁর মন্ত্রিত্বে থাকা গ্রন্থাগার দপ্তরের পরিচালনায় জেলা গ্রন্থাগার মেলাটি করতে চাইছেন। গতবছর চেয়েছিলেন, আপ্রাণ চেস্টা করেও তা হয়নি। হয়েছিল মন্তেশ্বরে। এবছরও মনেপ্রাণে চাইছেন মঙ্গলকোটে হোক। এবারেও সেই পথে কাঁটা হচ্ছেন অনেকেই। লোচনদাস - হামিদ বাঙালি - কুমুদরঞ্জন মল্লিক - কাঁজি নজরুল ইসলামের লালনভূমি মঙ্গলকোটে জেলা গ্রন্থাগার মেলা না হওয়াটা খুবই বেদনাদায়ক বলে জেলা সাহিত্যিক  মহলে প্রকাশ।  সাড়ে তিন লক্ষ অনুদানে শতাধিক স্টলের ব্যবস্থাপনায় রাজ্য গ্রন্থাগার দপ্তর জেলায় জেলায় এই সাংস্কৃতিকমূলক বইমেলার আয়োজন করে থাকে। যেখানে স্টলে থাকা গড়ে দুজন করে অর্থাৎ দুশোজনের দুবেলা খাবারও দিয়ে থাকে রাজ্য গ্রন্থাগার দপ্তর । গত ১৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলকোটের নুতনহাট মিলন পাঠাগারে এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী  সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী  কাটোয়া মহকুমার ৩০ জন লাইব্রেরীয়ানদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে পাঠাগারের উন্নয়ন কর্মসূচির পাশাপাশি মঙ্গলকোটে 'জেলা গ্রন্থাগার মেলা ' করার প্রস্তাবনা চুড়ান্ত পর্বে  উঠে। গতবারে ব্লক প্রশাসন মেলা নিয়ে সন্তোষজনক রিপোর্ট দেয়নি জেলা প্রশাসন কে। তাই জেলা গ্রন্থাগার মেলাটি হয়েছিল মন্তেশ্বরে। এবারেও কি হয়, তা নিয়ে জোর চর্চা মঙ্গলকোটের বুকে। গ্রন্থাগারমন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী জানিয়েছেন - "যাতে মঙ্গলকোটে গ্রন্থাগার মেলাটি হয়, সেই বিষয়ে সবরকম চেস্টা চালাচ্ছি।"     তবে যতই চেস্টা চলুক না কেন এবারেও না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। প্রথমত গ্রন্থাগার মেলা করার জায়গা পাওয়া যাচ্ছেনা মঙ্গলকোটের বুকে। বিধায়ক বিরোধী শিবির এই মুহুর্তে পঞ্চায়েত সমিতি,  সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষমতাসীন রয়েছে। ব্লক প্রশাসন সর্বপরি স্থানীয় থানাও ব্লক তৃনমূলের নেতাদের বাইরে যাওয়ার সাহস নেই বললেই চলে। এইরুপ দাবি বিধায়ক শিবিরে। যে মঙ্গলকোটে প্রতিটি কোনায় কোনায় মাঠের ধান উঠলে জুয়া খেলা সহ লেটো নাচ (অশ্লীল নাচ )  ভালো কথায় 'বুগি উগি ড্যান্স' এর মেলা প্রতি রাতে হয়। এমনকি মঙ্গলকোট থানা,  ব্লক অফিসের পাঁচশো মিটারের মধ্যে চলে। সেই মঙ্গলকোটের ইতিহাসে 'জেলা গ্রন্থাগার মেলা ' করার সুযোগ দু দুবার এলেও রাজনীতির বেড়াজালে সেই সৌভাগ্য লোচনদাস - হামিদ বাঙালি - কুমুদরঞ্জন মল্লিক - কাঁজি নজরুল ইসলাম স্মৃতি ধন্য মঙ্গলকোটে হচ্ছেনা। অথচ ব্লক তৃনমূলের নানান কর্মকাণ্ড মঞ্চ বেঁধে 'রাতারাতি' অনুমতির অনুমোদন পাওয়া যায়। মঙ্গলকোট বিধায়ক তথা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী মঙ্গলকোটের নুতনহাট মিলন পাঠাগারের সামনে জায়গায় করার চেস্টা করলেও,  সেই জায়গার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের দলীয় অফিসে ডেকে চকমকানি দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় সুত্রে প্রকাশ। অভিযোগ, বিধায়ক অনুগামীদের মত গাঁজার মামলায় ফাসিয়ে জেলে বছরের পর বছর থাকার বন্দোবস্ত করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। দলীয় ও পুলিশি সন্ত্রাসের ভয়ে কেউ 'জেলা  গ্রন্থাগার মেলা' করার নো অবজেকশন তে সই করতে চাইছেনা। জানা গেছে,  এইসব কলকাঠি দিচ্ছেন বাম আমলের টপ ঠিকেদারের গাড়ীতে চাপা এক ব্লক তৃনমূল নেতা। যার সাথে বিধায়কের আদায় কাঁচকলা সম্পক। বিধায়ক বিরোধী শিবিরের আশংকা,  জেলাস্তরের এই বইমেলা ঘিরে সিদ্দিকুল্লাহ স্থানীয় রাজনীতিতে মাইলেজ পেতে পারে। তাই কোনমতেই গতবারের মত এবারেও জেলা  গ্রন্থাগার মেলা করতে দেওয়া চলবেনা। যদিও অভিযুক্ত পক্ষ সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এত সাংস্কৃতিকপ্রেমী,  সেই মুখ্যমন্ত্রীর মন্ত্রিসভার এক বর্ষীয়ান সদস্য বিশ্বখ্যাত মনিষীদের চারণভূমি মঙ্গলকোটে বইমেলা করতে চাইছেন। অথচ পারছেননা, তা নিয়েও উঠছে একরাশ প্রশ্নচিহ্ন।

সোমবার, অক্টোবর ১৫, ২০১৮

আগামী চারদিন বিশেষ ট্রেন কাটোয়া বর্ধমান রুটে


মোল্লা জসিমউদ্দিন ,

এখনও ছয়মাস হয়নি কাটোয়া থেকে বর্ধমান রেলরুটে বড় ট্রেন চালু হওয়া। এরেই মধ্যেই রেলের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, আগামী ১৬, ১৭,১৮,১৯  অক্টোবর তারিখে দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিশেষ ট্রেন চলবে এই রেলরুটের মধ্য দিয়ে । আর এই ঘোষনায় কাটোয়া মহকুমার পাশাপাশি সদর বর্ধমান মহকুমার বাসিন্দারা খুবই খুশি। এবার পুজোয় জেলার সদর কিংবা মহকুমার সদরের মধ্যে সর্বপ্রথম এই বিশেষ ট্রেন চলবে কাটোয়া থেকে বর্ধমান  রেলরুটে।     বর্ধমান স্টেশনে ট্রেনটি ছাড়বে  রাত ৮ টা ২০ মিনিটে। কাটোয়ায় ট্রেনটি পৌছাবে রাত ৯ টা ৪০ মিনিটে। আবার এই ট্রেনটি কাটোয়ায় বর্ধমান স্টেশনের উদ্দেশ্যে ছাড়বে রাত ১০ টায়। এবং জেলার সদরে পৌছাবে রাত ১১ টা ২০ মিনিটে। ৫২ কিমি এই রেলরুটে বাস সন্ধের পর থেকেই পাওয়া যায়না। তাও গভীররাতে পুজোর চারটি দিন কাটোয়া এবং বর্ধমান শহরের পুজো দেখতে যাওয়া আগে ছিল ব্যয়বহুল এবং পথেঘাটে নিরাপত্তাহীণতায় ভোগার বিষয়। শুধু কাটোয়া মহকুমার পাঁচটি ব্লক কিংবা বর্ধমান সদরের চারটি ব্লক এলাকার বাসিন্দারা নয়।কাটোয়া লাগোয়া বীরভূম - নদীয়া - মুর্শিদাবাদের সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা পুজোর এই বিশেষ ট্রেনে কাটোয়া থেকে জেলার সদরে বড় বড় মন্ডপে পুজো দেখতে ভীষণ আগ্রহী বলে জানা গেছে। মঙ্গলকোটের কৈচর এলাকার বাসিন্দা তথা বিচার বিভাগের কর্মী   সুশোভন মুখার্জি জানান - "আমাদের এলাকা থেকে রাতে বর্ধমান শহরে পুজো দেখতে গেলে ব্যক্তিগত গাড়ী ভাড়া করে যেতে হত, যা ব্যয়বহুল পাশাপাশি গভীররাতে এই সড়কে ফেরাটা দুশ্চিন্তার কারণও। তবে এবার ট্রেন দেওয়ায় সপরিবারে কম খরচে পুজো দেখতে যাওয়াটা খুব আনন্দের "।                             

ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় দুর্ঘটনাময় বাগমারী কবরস্থানের সামনে রাস্তা


সোমবার  সন্ধে ৬ টা নাগাদ কলকাতার  বাগমারী  কবরস্থানের সামনে রাস্তায় যাত্রীবাহী  এক বাস ( WB 25F 3858) সিগন্যাল  না মেনে দ্রুত যেতে গেলে এক সাইকেল  আরোহী  কে চাপা দেয়। আশংকাজনক অবস্থায়  তাকে স্থানীয়রা নিকটবর্তী  হাসপাতালে নিয়ে গেছে। কলকাতার বৃহৎ  কবরস্থান  হিসাবে পরিচিত বাগমারী কবরস্থানের সামনে  ট্রাফিক বিট থাকলেও সেখানে পুলিশের কেউ থাকে না বরাবরই । উল্টোডাঙ্গার  হাডকো মোড় থেকে কাকুরগাছি এই রুটটি খুবই ব্যস্ততম বলে জানা গেছে ।অজশ্র যানবাহন যাতায়াত করে থাকে। সর্বপরি মুসলিম ধর্মাবলম্বী কেউ মারা গেলে জানাজা (দাফন করতে)  পড়তে এখানে শয়ে শয়ে লোক আসে। তাই ট্রাফিক বিটটি তে পুলিশ মোতায়েন হোক দ্রুত, এই দাবি স্থানীয়দের।            

শনিবার, অক্টোবর ১৩, ২০১৮

ঈদ - শারদীয়ায় বস্ত্রবিলিতে বিধায়ক না আসায়, মঙ্গলকোটে বাড়ছে ক্ষোভ


মোল্লা জসিমউদ্দিন,


আজ থেকে দুবছর আগে মঙ্গলকোটের নুতনহাট কৃষান মান্ডি চত্বরে শারদীয়া উপলক্ষে বিধায়ক কোটায় বস্ত্রবিলি চালিয়ে ছিলেন এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী  সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। তখন তাঁর পাশে দেখা গিয়েছিল ব্লক তৃনমূল সভাপতি অপূর্ব চৌধুরী সহ মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতির সমস্ত পদাধিকারীদের কে। এই দুছরে অজয় - কুনুর দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল। স্থানীয় ক্ষমতার দখল বেদখল নিয়ে মঙ্গলকোটের দুই যুযুধান শিবিরের সৌজন্যে বারবার উত্তপ্ত হয়েছে মঙ্গলকোট। ব্লক তৃণমূল শিবিরের নিহত ডালিম সেখ খুনে নাম জড়িয়েছে বিধায়কের ভাইয়ের নাম। যদিও এই মামলার তদন্তকারী সিআইডি বিধায়কের ভাই নিয়ে কোন উচ্চবাচ্য করেনি। তবে বিদায়ী জেলাপরিষদের বিধায়ক অনুগামী সদস্য বিকাশ চৌধুরী এখনও জেলে বন্দি। ব্লক তৃনমূলের ক্ষমতাসীন গ্রুপের একাংশের দাবি,  "মুসলিম সংগঠনের সর্বভারতীয় নেতা না হলে বিধায়ক কেও এই খুনের মামলায় জেল খাটতে হত। " ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে মঙ্গলকোটে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী যে নিজস্ব অফিস  নুতনহাট বাইপাসে পদিমপুর মোড়ে করে ছিলেন। ঘর মালিক সেই অফিসও বন্ধ করে দিয়েছেন রাজ্যের একজন মন্ত্রীর জন্য! গত দেড় বছরে মঙ্গলকোট থানার এককিমির মধ্যে থাকা এই অফিসে তিন থেকে চারবার সশস্ত্র হামলা চালাবার অভিযোগ উঠেছিল ব্লক তৃনমূলের আশ্রিত দুস্কৃতিদের বিরুদ্ধে। বোমাবাজি থেকে মারধর সবকিছু হয়েছিলো। এমনকি আক্রান্ত ব্যক্তিদের নামে মিথ্যা   পুলিশি মামলাও রুজু হয় সেসময়। এইবিধ নানান ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে কিংবা দলের একাংশের বিরুদ্ধে সিদ্দিকুল্লাহ সেভাবে সরব না হওয়ায় ঘরমালিক অফিস করতে ঘরভাড়া দিতে অনিচ্ছুক হন বলে স্থানীয় সুত্রে প্রকাশ। তবে অজয় নদের বালিঘাট নিয়ে পুলিশ ও দলীয় নেতাদের একাংশের অশুভ আঁতাতের অভিযোগ বারবার শোনা গিয়েছিল রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রীর গলায়। পুলিশের বিরুদ্ধে এহেন সরব হওয়ার পরিণতির ফলস্বরূপ অনুগামীদের গাঁজা সহ অস্ত্র মামলায় মঙ্গলকোট পুলিশ অতি সক্রিয়তা দেখিয়েছে বলে দাবি। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী সময়ে যতদিন এগিয়েছে, ঠিক ততটাই ক্রমশ কোনঠাসা হয়েছেন মঙ্গলকোট বিধায়ক। থানা, পঞ্চায়েত  সমিতি,  ব্লক প্রশাসনে নুন্যতম পাত্তা পাননা বলে বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিদ্দিকুল্লাহ। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কাছে বৃহত উৎসব ঈদে যখন রাজ্যের শাসকদলের বিধায়করা বস্ত্রবিলিতে জনসংযোগ বাড়িয়েছেন। তখন মঙ্গলকোট বিধায়কের অনুপস্থিতি দেখা গেছে মঙ্গলকোটে। যেহেতু তিনি গ্রন্থাগার মন্ত্রী, তাই মঙ্গলকোটের নুতনহাট মিলন পাঠাগারে তাঁর কোটায় বস্ত্রবিলি করা হয়েছিল ফ্লেক্স দেখিয়ে। ঈদের মতন অনুরুপ ছবি দেখা গেলো এবার শারদীয়াতেও। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে হাতে গোনা কয়েকজন পাঠাগার কর্মীর পরিচালনায় বিধায়কের বস্ত্রবিলি কর্মসূচি পালিত হলো!   রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহের শেষ ঠিকানা বলতে মঙ্গলকোটের নুতনহাট মিলন পাঠাগার। আর কোথাও তিনি 'জায়গা' পাচ্ছেন না মঙ্গলকোটে। গতবছর জেলা গ্রন্থাগার মেলা করার সমস্ত প্রয়াস নিয়েছিলেন তাঁর নির্বাচনী ক্ষেত্র মঙ্গলকোটের জন্য। কিন্তু সেবার প্রশাসনের একাংশের রিপোর্টে হয়নি। গ্রন্থাগারমেলা টি হয়েছিল মন্তেশ্বরে। এবারেও চেস্টা চালাচ্ছেন মঙ্গলকোটের মধ্যে করানোর। তবে এবারেও না হওয়ার সমস্ত সম্ভাবনা তৈরি করছে বিধায়কের বিপক্ষে থাকা  ব্লক তৃনমূলের  ক্ষমতাসীন গ্রুপের নেতারা। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে ব্লক তৃণমূলের নেতারা। এলাকাবাসীদের প্রশ্ন,  যদি ঈদে / শারদীয়ায় বস্ত্রবিলিতে বিধায়ক না আসেন, তাহলে কেন তৃনমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে মঙ্গলকোটের বিধায়ক পদে আনলো?                                                                                                                

শুক্রবার, অক্টোবর ১২, ২০১৮

বিদ্রোহী কবি কাঁজি নজরুল ইসলামের মঙ্গলকোটে 'জেলা গ্রন্থাগার মেলা ' অধরাই

মোল্লা জসিমউদ্দিন,

বৈষ্ণব কবি লোচনদাস,   মুঘল সম্রাট শাহজাহান বাদশার শিক্ষা গুরু হামিদ বাঙালি, পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক,  কিংবা বিদ্রোহী কবি কাঁজি নজরুল ইসলাম কে চিনেন না এমন কোন বাঙালি বিশ্বে নেই বললেই চলে। এঁদের প্রত্যেকেরই স্মৃতি রয়েছে মঙ্গলকোটে। এহেন মঙ্গলকোটে স্থানীয় বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী তাঁর মন্ত্রিত্বে থাকা গ্রন্থাগার দপ্তরের পরিচালনায় জেলা গ্রন্থাগার মেলা করতে চাইছেন। গতবছর চেয়েছিলেন, তা হয়নি। হয়েছিল মন্তেশ্বরে। এবছরও মনেপ্রাণে চাইছেন মঙ্গলকোটে হোক। এবারেও সেই পথে কাঁটা হচ্ছেন অনেকেই। বাম আমলের টপ ঠিকেদারের বোলোরা গাড়ীতে চাপা এক 'জননেতা' এই কর্মকান্ডের মূল হোতা বলে স্থানীয় সুত্রে প্রকাশ।  লোচনদাস - হামিদ বাঙালি - কুমুদরঞ্জন মল্লিক - কাঁজি নজরুল ইসলামের লালনভূমি মঙ্গলকোটে জেলা গ্রন্থাগার মেলা না হওয়াটা খুবই বেদনাদায়ক বলে সাহিত্যিক  মহলে প্রকাশ।        

( বিস্তারিত আসছে)                               

মঙ্গলবার, অক্টোবর ০৯, ২০১৮

লোকসভার প্রাক্কালে বোলপুরে আরএসএস মহালয়ার রুটমার্চ করে তাক লাগালো

মোল্লা জসিমউদ্দিন,

কেস্টর বাড়ির সামনে প্রায় হাজার খানেক আরএসএস কর্মী মহালয়া উপলক্ষে রুটমার্চ চালালো গত সোমবার সকালেই। স্থানীয় থানা, জেলা পুলিশ, ডিআইবি, সিআইডি সর্বপরি শাসকদলের কোন সংগঠন এই রুটমার্চ সম্পর্কে আগাম কোন তথ্য পাইনি। নেটওয়ার্ক ব্যর্থতা নিয়ে সব মহলেই প্রশ্ন উঠছে। ওয়াকিবহাল মনে করছে,  পুলিশের বড় অংশ বীরভূমের বেতাজ বাদশা তৃনমূল নেতা কে নিয়ে অন্দরে অন্দরে ক্ষুব্ধ। ২০১৩ সালে পুলিশ কে বোমা মারুন কিংবা চলতি বছরে পুলিশ কে এক ঘন্টা সময় দিয়ে গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়ার প্রকাশ্য হুমকি পুলিশের বড় অংশ কে দিন কে দিন ক্ষুব্ধ করে তুলছে। তাই মহালয়ার আরএসএসের বোলপুর শহরে তিনজায়গায় হাজার খানেক কর্মীদের রুটমার্চের কোন খবর পুলিশের একাংশ পেলেও, তা বেমালুম চেপে গেছেন তাঁরা বলে পুলিশের একাংশের দাবি । অপরদিকে বিজেপির  পথনির্দেশক আরএসএস যে খুবই শৃঙ্খলাযুক্ত সংগঠন, তা ফের ফের টের পাওয়া গেলো। জানা গেছে,  বীরভূমের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোটরবাইকের টুল বক্সে  সাংগঠনিক পোশাকগুলি রেখে সাধারণ মানুষের ছদ্মবেশে বোলপুরে আগত হয় হাজারের কাছাকাছি আরএসএসের প্রশিক্ষিত কর্মীরা। তারপর তারা পোশাক বদল করে রাস্তার দুধারে বাজনা বাজিয়ে মহালয়ার রুটমার্চ সারে। বোলপুরের তিনটি প্রধান সড়কে এই কর্মকান্ডে হতচকিত হয়ে যায় গোটা এলাকা। এই রুটমার্চ টি বীরভূম জেলা তৃনমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের বাড়ীর সামনে দিয়ে চলে যায়। আগামী লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বীরভূমের শাসকদলের  নেতাদের রীতিমতো দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে।  নানান রাজনৈতিক অংকে সরগরম গোটা বীরভূম।                                

শাসক বদলালেও, পাল্টাই নি মঙ্গলকোটের খুন রাহাজানি

মোল্লা  জসিমউদ্দিন , 

ঘটনা ১,  মাস কয়েক পূর্বে মঙ্গলকোটের লাখুরিয়া এলাকায় অজয় নদের চরে মিনা বিবি নামে এক গৃহবধূর বালিচাপা দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনা ২,  মঙ্গলকোট থানার এক কিমির মধ্যে থাকা নুতনহাট বাইপাসে ভোলাই সেখ নামে এক গ্রামবাসীর বীভৎস দেহ দিনের আলোয় উদ্ধার হয়। ঘটনা ৩,  মঙ্গলকোটের বকুলিয়ায় বালির ঘাট দখল ঘিরে বোমায় হত হয় এক স্থানীয় বাসিন্দা। এতো শুধু খুনের খতিয়ানের নমুনামাত্র। চুরি - ছিনতাই -  রাহাজানি - বোমাবাজি - লুটপাট  বিষয়ক ঘটনা গুলি মঙ্গলকোট কে সেই আগের মতনই রেখেছে। বিদ্যুৎ চুরিতে চলতি আর্থিক বর্ষে এই ব্লকে লুট হয়েছে ২৩ কোটি সরকারি অর্থ। বালি চুরিতে আরও কয়েক কদম এগিয়ে মঙ্গলকোট। যে বিপুল রাজস্ব আদায় হয়েছে, তার বেশিরভাগ বালিঘাটে টেন্ডারে অংশগ্রহণকারীরা পজিশন পাইনি বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে। পুলিশ দেখলে সাধারণত চোর ডাকাতরা পালিয়ে যায়। তবে মঙ্গলকোটের ক্ষেত্রে রসায়নটা আলাদা বলে স্থানীয় সুত্রে প্রকাশ । বেলা দশটা বাঁজলে মঙ্গলকোট থানায়  ' হাইপ্রোফাইল' মার্ডার কেসের অভিযুক্তেরা কুড়ি থেকে ত্রিশ জন নিয়ে ঢুকে পড়েন।এমনকি পুলিশ কোয়াটারেও তাদের অবাধ গতিবিধি বলে অভিযোগ । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মী  বলেন -  "অজয় নদের বালিঘাটের প্রাত্যহিক হিসাবপত্র ও বিভিন্ন ফৌজদারি মামলায় তদন্তে সুবিধা করতে এরা আসেন "!   থানায় যেসব জায়গায় সিসিটিভি থাকার কথা, সেইসব জায়গায় সিসিটিভির কোন কার্যকারিতা নেই বললেই চলে। তাই মঙ্গলকোট ব্লক এলাকা জুড়ে অপরাধ বেড়ে চললেও, থানা অফিসেই এহেন হাল থাকার জন্য মঙ্গলকোট ক্রমশ অপরাধীদের কাছে অবাধ মুক্তাঙ্গন হয়ে উঠছে।   বিগত তিনবছর ধরে  মঙ্গলকোটের বুইচি মোড়, কৈচর হাটতলা, পুরাতনহাট, পদিমপুর বাইপাস, চাণক, জয়পুর, প্রভৃতি এলাকায় মিস্টির দোকানে, মাঠের সাবমারসেবল পাম্প, সাইকেল, মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে। থানায় অভিযোগ জানাতে এলে, উল্টে অভিযোগগ্রহনের জিডি পর্যন্ত দেওয়া হয়নি বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।    প্রতিবছর ধান উঠলে সেইসব রাস্তার ধারে জমিগুলিতে জুয়াখেলা সেইসাথে অশ্লীল লেটোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে। মঙ্গলকোট থানার তিন কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে কয়েকমাস ধরে এহেন টাকা লুট করার মেলার আয়োজন হয়ে আসছে। যারফলে চুরি ছিনতাই তো বটেই  অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে পারিবারিক অশান্তি ক্রমশ বেড়েছে। ধানের প্রায় অর্থ লুট হয়ে যায় এইবিধ জুয়া মেলায়। রাজনৈতিক কিংবা অরাজনৈতিক খুন, সেইসাথে চুরি ছিনতাই রাহাজানি বোমাবাজি একটুও কমেনি মঙ্গলকোটে। বর্তমানে অজয় নদের বালিলুট শিল্পাঞ্চল বর্ধমানের বেআইনি   কয়লা সিন্ডিকেটের মত অবস্থান করছে।  শাসকদলের স্থানীয় অঞ্চলস্তরের প্রায় নেতারা ডাম্পার গাড়ি - জেসিপি মেশিন  কিনে স্বতন্ত্রভাবে সিন্ডিকেট চালাচ্ছে।  এই দলে পঞ্চাশের বেশি ভাড়াটে দুস্কৃতি কাজ করে। তারাও নানা অপরাধে যুক্ত হয়ে পড়ে। আবার অন্যদিকে অজয় - কুনুর নদীর উপকূলে অত্যন্ত গোপনে পোস্ত চাষাবাদ চলে। কাঁচা পোস্ত স্থানীয় চাষীরা পেলেও পোস্তগাছের আঁঠা নিতে  আসে  মাদক কারবারীদের দলবল।   গত তিনবছরে দশের বেশি ব্যক্তিত কাছে গড়ে কুড়ি কেজির বেশি গাঁজা উদ্ধার দেখিয়েছে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ।  তাহলে গাঁজা পাচারকারীদের অবাধ মুক্তাঞ্চল যে মঙ্গলকোট তা পুলিশি পরিসখ্যন দেখলেই বোঝা যায়। যদিও শাসকদলের বিপক্ষ শিবিরের দাবি - মাদক মামলা মূলত দেওয়া হয়েছে  জামিন তাড়াতাড়ি যাতে না পায় সেজন্য। এইবিধ নানান অভিযোগে সরগরম মঙ্গলকোটের বিভিন্ন এলাকা। পুলিশে অভিযোগ জানাতে এসে থানার সামনে থাকা এক দলীয় অফিসে মারধরের শিকারও হতে হয়েছে অনেককেই। যদিও এইরুপ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়ে পুলিশের তরফে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী জানান - ২০১০ সালে ৪ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলকোট থানায় আলাউদ্দিন সেখ থানায় অভিযোগ জানিয়ে ফেরার পথে ডাবলু আনসারীর দলবলের হাতে খুন হয়েছিল, আবার ২০০৮ সালে ৮ আগস্ট অনুরুপ কায়দায় সাইফুল মুন্সি খুন হয়েছিল সেই থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়ে।বাম জমানায় ঝিলু ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তপন ঘোষ থানা চত্বরেই ব্যাপক মারধর খেয়েছিল ডাবলু আনসারীর লোকেদের হাতে। তাই রাজ্যে পালাবদল ঘটলেও সেই একই ট্রাডিশন বজায় রয়েছে মঙ্গলকোটের বুকে। অপরাধ যেমন বেড়েছে, ঠিক তেমনি অপরাধে যুক্তদের প্রতি পুলিশের একাংশের মদতদান একফোঁটাও কমেনি নুতন সরকারের আমলেও।                          

শুক্রবার, অক্টোবর ০৫, ২০১৮

এসিড মামলায় কালনা আদালতে আমৃত্যু কারাবাস


মোল্লা জসিমউদ্দিন,


বৃহস্পতিবার দুপুরে পূর্ব বর্ধমানের কালনা মহকুমা আদালতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক তপন কুমার মন্ডলের এজলাসে এসিড হামলা সংক্রান্ত মামলার রায়দান হয়। সেখানে বিচারক ৩২৬ এ ধারায় আমৃত্যু কারাবাস, সেইসাথে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন। এছাড়াও ৪৪৮ ধারায় ১ বছরের কারাবাস সহ ১ হাজার টাকার জরিমানা ধার্য করেছেন। কালনা মহকুমা আদালত সুত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর পূর্বস্থলী থানার নুতন দামালচর গ্রামে বোমকেশ মাহাতোর বাড়ীতে রাত ১ টার সময় অভিযুক্ত গৌরব মন্ডল এসিড হামলা চালায়। মাহাতো বাবুর স্ত্রীর পাশাপাশি নাবালিকা মেয়ের মুখে এসিড ছোড়ে অভিযুক্ত। ওই নাবালিকার একটি চোখ নস্টের মুখে। পূর্বস্থলী থানার পুলিশ এই মামলায় তদন্তে নেমে অভিযুক্ত কে গ্রেপ্তার করে। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গৌরব মন্ডল ওই নাবালিকা কে বারবার প্রণয়ঘটিত সম্পর্কে রাখার চেস্টা করতো। তবে ওই নাবালিকা অভিযুক্ত কে এড়িয়ে চলত। প্রতিশোধ মানসিকতা থেকেই গত ১২ ডিসেম্বর ওই নাবালিকার বাড়ীতে হামলা চালায়। আজ কালনা মহকুমা আদালতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক তপন কুমার মন্ডলের এজলাসে এই মামলার রায়দান ঘটে। অভিযুক্তের আমৃত্যু কারাবাসের পাশাপাশি সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে অভিযুক্তের বাবা গৌরাঙ্গ মন্ডল এবং বন্ধু সুকান্ত বাকবী মুক্তি পায়। অভিযুক্তের আইনজীবী জানিয়েছেন - " আগামী তিনমাসের মধ্যেই এই মামলার অর্ডারশিট তুলে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। "                                                     

                                                  

বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ০৪, ২০১৮

ট্রেনসংখ্যা না বাড়ানোয় মঙ্গলকোটের শোলা শিল্পীরা দুশ্চিন্তায়

মোল্লা জসিমউদ্দিন ,

প্রত্যেক বছর শারদীয়ার সময় জমজমাট থাকে মঙ্গলকোটের শোলা শিল্পীদের গ্রাম বাজার বনকাপাসি। হাতের কাজের জন্য এই গ্রামের বেশ কয়েকজন রাস্ট্রপ্রতি পুরস্কারও পেয়েছেন। শুধু ভিন্ন জেলা কিংবা ভিন্ন রাজ্য নয়   , প্রত্যেক বছর শারদীয়ার কাজের বরাত আসে আমেরিকা - বৃটেন প্রভৃতি দেশ থেকেও। মঙ্গলকোটের বাজার বনকাপাসি গ্রামে হাজারের বেশি মানুষ  যুক্ত এই শোলা শিল্পের সাথে। রাজ্য সরকার ২০১৩ সালে প্রায় ২ কোটি অনুদানে এখানে 'শোলা হাব' গড়ে দিয়েছে। তবে সড়ক যোগাযোগের উপর শোলা বাণিজ্য চলছে মূলত। বৃটিশ আমলে গড়া কাটোয়া বর্ধমান ন্যারোগেজ গত বছরে আধুনিকরণে বড়রেলে পরিণত হলেও, ট্রেন সংখ্যা মাত্র ১ টি। তাই যাত্রী পরিবহনে বিপুল প্রত্যাশা যেমন সময়ের তালে হারিয়েছে। ঠিক তেমনি এই রেলরুটের মধ্যে থাকা শোলা শিল্প নিয়ে রেল যোগাযোগের সম্ভাবনা ক্রমশ হারিয়ে গেছে। ট্রেন সংখ্যা বাড়ালে শারদীয়ার সময় শোলা শিল্পীদের নানান কারুকাজ অল্প খরচে রেলের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলায় - রাজ্যে পৌছে যেত। যার বাণিজ্যিক লাভ আসতো শোলা শিল্পীদের ঘরে ঘরে। বিদ্যুৎ মালাকার নামে এক স্থানীয় শোলা শিল্পী জানান - "কাটোয়া বর্ধমান রেল নিয়ে আমাদের প্রত্যাশা ছিল একটু বেশি,  ট্রেনসংখ্যা মাত্র ১ টি থাকায় আমাদের বেশি খরচে সড়কে শোলার জিনিশপত্র পাঠাতে বা আনতে হয় "। জানা গেছে এই রেলপথের মধ্যে থাকা কাটোয়া, মঙ্গলকোট, ভাতার, সদর বর্ধমান থানা এলাকার নিত্যযাত্রীরা অবস্থান বিক্ষোভ সহ ট্রেন বাড়ানোর দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষর কাছে। শুধু কাটোয়া থেকে বর্ধমান ৫২ কিমি রেলপথের জন্য নয়, আহমেদপুর থেকে কাটোয়া ৫৬ কিমি রেলপথেও ট্রেন বাড়ানোর দাবিতে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে।   মঙ্গলকোটের বাজার বনকাপাসি গ্রামে শুধু শোলা শিল্প নয়, এখানকার কুইন্ট্যাল কুইন্ট্যাল ছানা প্রত্যেকদিন ভোরে বর্ধমান স্টেশন থেকে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমানের বিভিন্ন এলাকায় যায়। বনকাপাসি থেকে সড়কে  বর্ধমান আসতে ঘন্টা খানেক লাগে। তাই কাটোয়া থেকে বর্ধমানগামী ট্রেন বাড়লে শোলা শিল্পীরা যেমন লাভবান হবে, ঠিক তেমনি এই এলাকার কয়েকশো ঘোষ পরিবার ছানা ব্যবসায় উপকৃত হবে বলে আশা করা যায়।                                         

বঙ্গ বিজয়ে গেরুয়া শিবিরের তুরুপের তাস সেই মুকুল রায়

মোল্লা জসিমউদ্দিন,

বুধবার সন্ধেয় বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে - আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গ বিজেপির নির্বাচনী কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে মুকুল রায় কে। আর এতেই রাতের ঘুম ছুটেছে বাংলার পুলিশ - প্রশাসনের অনেক কর্তাব্যক্তির। ডিসেম্বর মাস থেকেই ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজবে। সেইসময় কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা মূখ্য হয়ে দাঁড়াবে বাংলার রাজনীতি বলয়ে। ইতিমধ্যেই সিবিআই - ইডির জোর তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে। যেখানে আইপিএস থেকে সাংসদ নোটিশ পেতে শুরু করেছেন। বিগত বাম জমানায় 'কমরেড' পুলিশ - প্রশাসনের আধিকারিকদের দলবাজি - স্বজনপোষণ - আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে তথ্য সমৃদ্ধ তালিকা তৃনমূলের পক্ষে নির্বাচন কমিশন কে তুলে দিতেন মুকুল রায়। তাতে অনেকেরই বদলী, তদন্ত, ভৎসনা, এমনকি সার্ভিস জীবনে লাল কালির দাগ পড়েছে। সেই অতীতের অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ   মুকুল রায় এবার বিজেপিতে সেই একই টেকনিক প্রয়োগ করবেন তৃনমূলের খাস ওসি থেকে পুলিশসুপার আধিকারিকদের নিয়ে। এই আশংকা যে অমূলক নয়, তা গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকদের বায়োডাটা উল্লেখ করে হুশিয়ারি দিয়েছেন মুকুল রায় বিভিন্ন মঞ্চে। মুকুল ঘনিষ্ঠ পূর্ব বর্ধমানের এক বিজেপি নেতা জানান - মঙ্গলকোট - নানুর - পূর্বস্থলী - বোলপুর প্রভৃতির মত এলাকার পুলিশ প্রশাসনের কর্তাদের লিস্ট দাদা ইতিমধ্যেই সেরে ফেলেছেন। প্রসঙ্গত বিজেপিতে যোগদানের পূর্বে মুকুল রায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের 'দলদাস' অফিসারদের নাড়িনক্ষত্র দলীয়ভাবে নজরদারি চালাতেন। আর এতেই তৃনমূলের অন্দরে মাথাব্যথা বেড়েছে বহুগুণ। দলবদলে মুকুল প্রথম দিকে কোন ভালো পদ না পেলেও সময়ের গতিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দায়িত্ব পাওয়া, কার্যনির্বাহী কমিটিতে স্থান পাওয়া, সর্বশেষ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গ বিজেপির চেয়ারম্যান পদে আসীন হওয়া মুকুল অনুগামীদের উৎসাহিত করছে। কেন্দ্রে আবার বিজেপি ক্ষমতায় থাকাতে মুকুল রায়ের রাজনৈতিক কলাকুশলীতা বহুগুণ বেড়েছে। মুকুল রায়ের হাত ধরে যারা তৃনমূলের বিধায়ক - সাংসদ - মন্ত্রী পদ পেয়েছেন, তাদের অনেকেরই সাথে মুকুল রায় যোগাযোগ বাড়াচ্ছেন বলে প্রকাশ। এমনকি বাম জমানায় তৃনমূলের কাছে ২০০৯ সালে যেমন অনেক পুলিশ প্রশাসনের একাংশ গোপনে সংযোগ আগাম রেখেছিল। অনুরুপভাবে ২০১৯ সালে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সাথে একই সংযোগ রাখার ট্রাডিশন দেখা যাচ্ছে বলে বিভিন্ন সুত্র মারফত প্রকাশ।                                                                              

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER