রবিবার, মার্চ ২৪, ২০১৯

কাটোয়ায় প্রয়াত বিচারক পরিবারের পৈতৃক জমি জালিয়াতিতে ভূমি দপ্তরের ভূমিকা?

পুলকেশ  ভট্টাচার্য ,

কখনো  শুনেছেন,  মারা যাওয়ার পর জমি রেজেস্ট্রি করে গেছে মৃত ব্যক্তি!!
আবার  কখনো কি দেখেছেন,  লিখিত অভিযোগে দলিল খারিজ হওয়া মামলার কথা জানালো হলেও সেটি নথিভুক্ত করা হয় ।
শুধু তাই নয় ২০১৪ এর মিউটেশন অর্ডারে দলিল নাম্বার উল্লেখ না রেখে  আবার সেটি কে ২০১৭ এর পর এন্ট্রি করানো হয়। সর্বপরি  তৎকালীন অভিযোগকারী একজন রাজ্যের বিভিন্ন আদালতে দেওয়ানী বিচারক হিসাবে সু পরিচিত ছিলেন। তিনি তাঁর  শিক্ষক পিতার সইটি জালিয়াতি করে দলিল করা হয়েছে বলেও বিএলআরও, এসডিআরএলও, এসডিও এবং ডিএলআরও দের লিখিত  অভিযোগও জানিয়ে যান। সার্ভিস বুক থেকে অতীতে কেনা বেচার দলিল দেখলেই আসল সাক্ষর উঠে আসবে। রেকর্ড জালিয়াতিতে অভিযুক্ত  ব্যক্তি পিওন পদের অপব্যবহার  করে রেজাস্টি মিউটেশন নোটিশ গায়েব করে বলেও অভিযোগ জমা পড়ে জেলা ডাক আধিকারিকের অফিসে, তাও দুবার। এমনকি রাজ্য ডাক অধিকর্তা কেও লিখিত  অভিযোগ জানানো হয়।

এইবিধ নানান  অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দু কাটোয়া ১ নং ভূমি সংস্কার দপ্তর। ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে ইমেলে পুরো ঘটনার সততা জানতে 'ফরেন্সিক' এবং সাইবার ইনভেস্টিগেশন তদন্তের দাবি তোলা হয়েছিল। সাক্ষর যাচাইয়ের  জন্য ফরেন্সিক এবং ২০১৪ এর মিউটেশন অর্ডারে দলিল  নথিভুক্ত না থাকা সর্বপরি সেটি ২০১৭ এর দলিল এন্ট্রি করানো নিয়ে সাইবার  ইনভেস্টিগেশন দাবি উঠছে। জেলা ভুমি সংস্কার  দপ্তরের আপিল নাম্বার ১৭২/১৬ তে অভিযুক্ত দশমাসে চারবার নোটিশ পেয়েও গড়হাজির থাকে, শেষের শুনানিতে প্রতিনিধি পাঠালেও কোন দলিল এন্ট্রি করেননি তৎকালীন জেলা ভুমি সংস্কার  আধিকারিক। তিনি অবশ্য কায়দা করে 'ফেস  হিয়ারিং' সেই অভিযুক্ত কাটোয়া ১ নং ভূমি দপ্তরেই পাঠিয়েছিলেন।
ফেস হিয়ারিং তে মামলায় খারিজ হওয়া দলিল যেমন পিট দলিল হিসাবে উল্লেখ করা হয়। ঠিক তেমনি অভিযুক্তের মালিকানা দলিল টিতে দেখা যায়, দাতা দলিল সম্পাদিত তারিখের ১৬ মাস আগেই মারা গেছেন!!!

শনিবার, মার্চ ২৩, ২০১৯

আইনজীবী আনসার মন্ডলের উপর আস্থা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী



 মোল্লা জসিমউদ্দিন ,

গত বুধবার বিকেলে রাজ্য প্রশাসনের প্রধান কার্যালয় 'নবান্ন' তে বার কাউন্সিল এর আইনজীবীদের নিয়ে রুদ্ধশ্বাস বৈঠক সারলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই সভায় পশ্চিমবঙ্গ বার কাউন্সিলের নির্বাচিত ১৫ জন প্রতিনিধির পাশাপাশি, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক সহ ছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। আসন্ন লোকসভায় সারারাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নির্বাচনী প্রচারে বার কাউন্সিলের আইনজীবীদের নিয়ে সভা করানোর পরিকল্পনার পাশাপাশি এই ১৫ জন আইনজীবীদের দ্রুত দলের সাংগঠনিক পরিকাঠানোয় কোর কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলীয় রাজ্য সভাপতি সুব্রত বকসী কে। ওইদিন বিকেলে কলকাতা হাইকোর্টে তৃনমুল লিগ্যাল সেলের ভূমিকা নিয়ে কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন মামলায় রাজ্যসরকার কে বিচারপতিদের সামনে অপদস্ত হতে হচ্ছে। সেজন্য মুখ্যমন্ত্রী প্রাক্তন রাজ্য বার কাউন্সিলের রাজ্য চেয়ারম্যান  তথা কলকাতা হাইকোর্ট এর বর্ষীয়ান আইনজীবী আনসার মন্ডল এবং  আইনজীবী প্রসূন কুমার দত্ত কে দলীয় আইনজীবী সেলের পূর্ণ  দায়িত্ব দিলেন। দায়িত্ব পেয়ে আইনজীবী আনসার মন্ডল জানিয়েছেন - "মুখ্যমন্ত্রীর এহেন নির্দেশে আমরা আরও ভালো কাজ করতে চাই " ।  উল্লেখ্য গত দেড়বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গ বার কাউন্সিলের নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে অচলাবস্থা চলছিল। মাস খানেক পূর্বে সুপ্রিম কোর্টের তত্বাবধানে থাকা 'বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া' র তিন সদস্য বিশিষ্ট অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি তাঁদের রায়দানে তৃনমূলপ্রন্থী আইনজীবীদের পক্ষে  নির্বাচন টি বৈধ বলে জানায়। সারা রাজ্যে প্রতিটি জেলায় একজন করে আইনজীবী প্রতিনিধিত্ব করে সর্বমোট পনেরোজন রয়েছেন রাজ্য বার কাউন্সিলে ।এই  সংগঠনের বিজয়ী আইনজীবীদের নিয়ে বুধবার বিকেলে নবান্ন অফিসে বৈঠক সারেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকও ছিলেন। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টপাধ্যায়ের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি জরুরী কাজে ব্যস্ত থাকার জন্য উপস্থিত থাকতে পারেন নি। এই বৈঠকে  মূলত   কলকাতা হাইকোর্টে তৃণমূলের লিগ্যাল সেল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে দুই বর্ষীয়ান আইনজীবী  আনসার মন্ডল এবং প্রসূন কুমার দত্ত কে মুখ্যমন্ত্রী পূর্ন দায়িত্ব দেন। এরপরে আনসার সাহেব  দলের মাদার সংগঠনে কোর কমিটিতে বিজয়ী পনেরো জন বার কাউন্সিলের আইনজীবীদের অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবনা দেন। সাথে সাথেই মুখ্যমন্ত্রী দলীয় রাজ্য সভাপতি  সুব্রত বকসী কে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেন। সেইসাথে আসন্ন লোকসভায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নির্বাচনী প্রচারে সেই জেলার নির্বাচিত বার কাউন্সিলের আইনজীবী কে সভায় থাকবার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।কলকাতা হাইকোর্টে তৃণমূলের লিগ্যাল সেলের দায়িত্ব পাওয়া তথা গত ২০০১ এবং ২০০৬ সালে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী উত্তর কেন্দ্রের তৃনমূল প্রতীকে লড়াই করা   আনসার মন্ডল জানান - "মুখ্যমন্ত্রী আমাদের যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তা আমরা সফল করার চেস্টা রাখব " । বুধবার বিকেলে রাজ্য প্রশাসনের প্রধান কার্যালয়ে হওয়া বৈঠকে বিভিন্ন জেলা ও মহকুমা আদালতের পরিকাঠামো সহ আইনজীবীদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে - আসন্ন লোকসভা নির্বাচন এইপ্রকার কঠিন মনে করেই মুখ্যমন্ত্রী বার কাউন্সিলের আইনজীবীদের শরণাপন্ন হলেন। আইনী ঝামেলা এড়াতে আইনজীবীদের গুরত্ব অনুভব করে   দলের কোর কমিটিতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। একাধারে বিভিন্ন আদালতে যেমন তারা সরকারপক্ষে সক্রিয় থাকবেন, ঠিক তেমনি দলের সাংগঠনিক ভিক্তিকে আরও মজবুত করবেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন - এত আইনজীবি একসাথে দলের কোর কমিটিতে আগে কখনো স্থান পাইনি। এবার লোকসভার প্রাক্কালে তা ঘটতে চলেছে । অর্থাৎ এই রাজ্যের শাসক দল তাদের আইনী সেল কে শক্তিশালী করলো বিপক্ষে বিরোধী দলের কথা ভেবেই।যা লোকসভা নির্বাচনে লড়াই কে সামনে রেখেই।                                                                                                                                                                                                                             

মঙ্গলবার, মার্চ ১৯, ২০১৯

দুজনের যাবৎজীবন কারাবাস রায়দান হল কালনায়


 মোল্লা জসিমউদ্দিন ,

সোমবার দুপুরে কালনা মহকুমা আদালতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক ( ফুল)  শ্রী তপন কুমার মন্ডলের এজলাসে এক খুনের মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে  দুজনের যাবৎজীবন কারাবাস রায়দান হল। সেইসাথে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয়মাস সশ্রম কারাদণ্ড এর নির্দেশ দেন বিচারক। এই মামলায় আরও দুজন ফেরার রয়েছে।   কালনা মহকুমা আদালতে সেশন মামলা ১৩৫/০৬  ( কালনা পিএস কেস নাম্বার  ৮৩/০৬)  তে  জানা যায়, ২৭/০৫/০৬ তারিখে কালনার সিমলন গ্রামে টোটন চন্দ্র (১৯) নামে এক যুবকের দেহ স্থানীয় এক পিএই উদ্ধার হয়। নিহতের দাদা পিন্টু চন্দ্র কালনা থানায় লিখিত অভিযোগে জানায় যে, রাজু টুডু ভীম হাজরা পলাশ সাঁতরা সঞ্জয় দাস নামে চার বন্ধু শ্বাসরোধ করে খুন করে থাকে। টাকা চুরির ঘটনা থেকে এই খুন। উল্লেখ্য আসামি চারজনের সাথে নিহত যুবক টোটন চন্দ্র হাওড়ায় একসাথে কাজ করতো। এই মামলায় ১৪ জন সাক্ষ্যদান করেছেন। ৩০২, ১২০ বি, ৩৪ আইপিসি ধারায় এই মামলায় সোমবার বেলা চারটে নাগাদ কালনা মহকুমা আদালতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (ফুল) তপন কুমার মন্ডল বিচারধীন দুই অভিযুক্ত কে দোষী সাব্যস্ত করে যাবৎজীবন কারাবাস দেন এবং পলাতক আরও দুই আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।                                                            

রবিবার, মার্চ ১৭, ২০১৯

অকালেই চলে গেলেন জিরো পয়েন্ট পত্রিকার সম্পাদক

মোল্লা  জসিমউদ্দিন ,

পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি শহর থেকে প্রকাশিত 'জিরো পয়েন্ট' সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক সেখ আনসার আলী রবিবার সকাল নটায় এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন। বছর পঞ্চাশের এই বর্ষীয়ান সাংবাদিক এবং স্বনামখ্যাত সাহিত্যিক অকালেই চলে গেলেন। ব্রেণ স্টোকে মারা যান তিনি। সপ্তাহ খানেক পূর্বে মেমারি রেললাইনে অন্যমনস্কায় পড়ে গিয়েছিলেন। বছর কয়েক পূর্বে হার্ট ব্লক হয়ে যাওয়ার জন্য ভিন রাজ্য থেকে বাইপাস সার্জারিও হয়েছিল তাঁর। তিনি সাপ্তাহিক পত্রিকা সম্পাদনার পাশাপাশি নিজস্ব প্রকাশনায় খ্যাত অখ্যাত লেখকদের বই প্রকাশ করেছেন।দুই বাংলার সাহিত্যিক বলয়ে অতি পরিচিত নাম সেখ আনসার আলী। মেমারিতে 'নজরুল উৎসব ' করাতে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। বাংলাদেশ সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সম্মানিত হয়েছেন তিনি।২০১৮ সালে মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের বসতভিটায় কুমুদ সাহিত্য মেলায় তিনি অন্যতম অতিথি ছিলেন। ২০০৭ সালে রাজ্যসরকারের গণমাধ্যম কেন্দ্রের সাংবাদিকতা নিয়ে সাতদিনের প্রশিক্ষণশালায় ৭৮ জনের মধ্যে ৫ জন ছিলেন বর্ধমান জেলার। তাদের মধ্যে সেখ আনসার আলী এবং এই প্রতিবেদক অন্যতম। সেখ আনসার আলীর হাত ধরে অসংখ্য মফস্বল সাংবাদিক ও সাহিত্যিক উঠে এসেছে বলে নিজের অভিজ্ঞতায় জানালেন সাপ্তাহিক 'সুবক্তা' পত্রিকার সম্পাদক সেখ সামসুদ্দিন। এই প্রতিবেদক জীবনে প্রথম প্রেসকার্ড পেয়েছিল সেখ আনসার আলীর পথ ধরেই। আজ সবকিছু যেন উলটপালট হয়ে গেল। স্মৃতির সরণীতে রইলো অনেক অনেক কথা...

শনিবার, মার্চ ১৬, ২০১৯

অবাধ নির্বাচনে থানার সিসিটিভি ফুটেজ কার্যকরী হয়ে উঠবে


মোল্লা জসিমউদ্দিন ,

শুক্রবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ১০ কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান নেমেছেন এবং ধাপে ধাপে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলার বুক । মূলত আসন্ন লোকসভায় ভোটারদের মধ্যে ভীতি কমাতে। সর্বপরি অবাধ এবং সুস্ট নির্বাচনের স্বার্থে এই পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের । প্রত্যেকবারের কেন্দ্রীয় বাহিনী স্থানীয়গত পরিচালনায় গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সংশ্লিষ্ট থানা। ইতিমধ্যেই রাজ্যসরকার পুলিশের মধ্যে আইসি / ওসিদের প্রায় বদলী করেছে। যারা একই মহকুমা এলাকায় তিন বছরের বেশি সময়কাল থেকেছেন তাদের কে বদলী করা হয়েছে জেলারই অন্য মহকুমার থানাগুলিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে । ভোটপর্ব শুরুতেই থানার কোথাও অতিসক্রিয়তা আবার কোথাও চরম নিস্ক্রিয়তা চোখে পড়ে। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে তপ্ত হয় রাজনীতির বলয়। অভিযোগ উঠে, খুনের মামলায় ওয়ারেন্ট আসামি দিব্যি ঘুরে বেড়ায়। আবার কোথাও জামিনযোগ্য ধারায় মামলায় অভিযুক্তদের পুলিশি সন্ত্রাসের মুখে পড়তে হয়। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে পৌঁছাতে পারে অল্প সংখ্যক ভুক্তভোগী। তবে কমিশন অত্যন্ত দ্রুততায় অভিযোগের রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেয়। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে, ভোটারদের বড় অংশ চাইছেন - জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিটি থানার সিসিটিভি ব্যবস্থা কতটা বাস্তব সম্মত তা ভোটের পূর্বে খতিয়ে দেখুক কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। একাধারে ভোটারদের মধ্যে পুলিশি সন্ত্রাস যেমন কমবে, ঠিক তেমনি কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিচালনার ক্ষেত্রে পরোক্ষভাবে সুবিধা পাবে কমিশন কর্তৃপক্ষ। তা মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। যেখানে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলকারী নিয়ে পুরো ভিডিওগ্রাফি চাইছে জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে । পূর্ব বর্ধমান জেলার বেশকিছু থানার ভূমিকা নিয়ে বরাবর বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে বিভিন্ন সময় । কখনো লকয়াপে মারধর , আবার কোথাও ডিউটি অফিসারের রুমে মানসিক হেনস্থা। এইবিধ নানান অভিযোগে তপ্ত হয়েছে পূর্বস্থলী থানা।এমনকি গাঁজার মত মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার জন্য বর্ধমান সদর আদালতে এসিজেম একদা বর্ধমান সদর থানার সিসিটিভি নিয়ে ভৎসনাও করেছেন। তাই অবাধ এবং সুস্ট নির্বাচনের স্বার্থে থানার সিসিটিভি নিয়ে বাস্তব সম্মত রিপোর্ট নিক কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। তা চাইছেন গনতন্ত্র প্রেমী ভোটাররা। থানার সেন্ট্রি, ডিউটি অফিসার, হাজতখানা, সাব ইন্সপেক্টর রুম গুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকার নির্দেশিকা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভোটের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি নানান বিবাদে জড়াবে। সেখানে ঘটনা পরবর্তী তারা অভিযোগ নিয়ে সর্বপ্রথম থানায় পৌছাবে। অভিযোগপত্র গ্রহণ নিয়ে পুলিশের একাংশের ভূমিকা নিয়ে প্রায়শ প্রশ্ন উঠে। বিচারপ্রার্থীরা অনেক সময় অভিযোগই জানাতে পারেন না। পরবর্তী ক্ষেত্রে আদালতের কিংবা নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপে পুলিশ সক্রিয় হলেও অভিযোগকারী থানায় আসেননি বলে পুলিশ রিপোর্ট জমা পড়ে। তাই আসন্ন লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে থানার সিসিসিটিভি গুলি আদৌও চলে কিনা কিংবা রেকর্ডিং সিস্টেম ঠিকঠাক আছে কিনা তা খতিয়ে দেখবার দাবি উঠেছে গনতন্ত্র প্রেমী ভোটারদের মধ্যে। এখন দেখার অবাধ এবং সুস্ট নির্বাচনের স্বার্থে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন থানার সিসিটিভি নিয়ে রিপোর্ট নেয় কিনা!

বুধবার, মার্চ ১৩, ২০১৯

বিনোদ বিহারি দেবনাথ আজ রাজনীতি তে এক সততার প্রতীক

মোল্লা জসিমউদ্দিন ,
দীপঙ্কর  চক্রবর্তী ,

"বর্তমান  রাজনীতিতে সততার খুবই অভাব,মানুষের সেবার জন্য রাজনীতি কদাচিৎ নেতা নেত্রীই করেন।হয়তো তরুন প্রজন্ম তাই রাজনীতির ধারে কাছে আসতে চায় না"।এইবিধ নানান অভিজ্ঞতার ঝুলি নিয়ে পঞ্চাশ বছর রাজনীতিতে কাটানো এক রাজনীতিবিদের উপসংহার এটি । একের পর এক দলবদল করে জেলা রাজনৈতিক মহলে বিতর্কিত থেকেছেন বরাবর।   পূর্বস্থলীর ৮৪ বছরের তেলিনিওপাড়ার বাসিন্দা বিনোদ বিহারী দেবনাথ মহাশয়ের রাজনৈতিক জীবন শুনলে অবাক লাগবে । ১৯৬২ সালে প্রথম রাজনীতি শুরু করেন প্রজা স্যোসালিষ্ট পার্টি(psp)তে।১৯৬৭ সালে পূর্বস্থলী  বিধানসভায় এই দলের হয়ে দাঁড়ান।এর পর ছয় বার বিধানসভায় দাঁড়িয়েছেন তিনি।কিন্তু মতানৈক্যের কারনে দল বদল করেছেন পাঁচ বার।দ্বিতীয়  দল সংযুক্ত স্যোসালিষ্ট পার্টি(ssp)।পরে এই দলটি জনতা দলের সাথে মিশে যায়।তৃতীয় দল  জনতা দল করেন।চতুর্থ দল  সমাজবাদী পার্টি।পঞ্চম দল স্যোসালিষ্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া।বর্তমানে এই দলেই তিনি এখনও রয়েছেন।এখনও তিনি দুই বর্ধমানের জেলা সভাপতি এবং রাজ্যের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট।পূর্বস্থলী বিধান সভায় ২০১৪ সালে তিনি শেষ বার দাড়িয়েছিলেন।প্রতি পঞ্চায়েত ভোটে সারা জেলার তার দলের টিকিটে প্রার্থী দাঁড় করাতেন।কোনবারের ভোটেই বিনোদ বাবু বা তার দলের পঞ্চায়েত প্রার্থীরা তেমন সারা জাগানো ভোট হয়তো পায় নি।তবুও এত বছরের রাজনীতিতে সাধারন মানুষের পাশেতাদের আপদে বিপদে ছিলেন।পূর্বস্হলীর বন্যার সময় বা অন্য কোন দূর্যোগে ভিন রাজ্য থেকে ত্রান,ওষধ,খাবার,পোষাক,ত্রিপল এনে ওই মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।বর্তমানে বার্ধক্য জনিত কারনে বিনোদ বাবু খুবই অসুস্হ।হাটা চলা বন্ধ।সবসময় বিছানায় শুয়ে থাকতে হয়।সোমবারও শুয়ে শয়েই বললেন তাঁর রাজনৈতিক জীবনের কথা।   বিশ্বরম্ভা বিদ্যাপীঠে ৩৪ বছর শিক্ষকতা করেছেন।১৯৬২ থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত পূর্বস্হলীতে একটি সাপ্তাহিক কাগজ 'লোকবার্তা' পত্রিকা  চালিয়েছেন।বর্তমানে কাগজটি বন্ধ।এখন তিনি বিছানায় শুয়ে রাজনীতির জেলা,রাজ্য,কেন্দ্রের বিভিন্ন ঘটনা দেখেন।কিন্তু আর শরীর চলেনা, কোন মতামতও আর জানাতে পারেন না। তেমন কেউ আসেও না তার কাছে। তিনি বলে চলেন চন্দ্রশেখর,দাশরথী তা,কিরন্ময় নন্দ,লীলা রায়,সমর গুহ,সুনীল দাস,রমনী মোহন চক্রবর্তীর সাথে বিভিন্ন সময় একসাথে রাজনীতি করেছেন।আবার আদর্শে অমিলও হয়েছে কারো সাথে।এখন বিছানায় শুয়ে দীর্ঘ ৫০ বছরের রাজনীতি, ৩৪ বছরের শিক্ষকতা,আর সাংবাদিকতা জীবনের বিভিন্ন স্মৃতি রোমন্থন করে চলেছেন।কারন আর কিছু তার পক্ষে করা বা বলা সম্ভব নয়।বিনোদ বাবুর স্ত্রী নিলীমা দেবনাথ বলেন -  আমাদের দুই ছেলে,তারা বেকার।উনি এত বছর রাজনীতি

করেছেন, ভোটে দাঁড়য়েছেন।পঞ্চায়েত ভোটে  অন্য কর্মীদের দাঁড় করিয়েছেন।মাঝে মাঝে কর্মীদের আর্থিক সাহায্য, এই সব কিছু খরচ উনি নিজের টাকা খরচ করে গেছেন।এখন ওনার খুবই দূর্দশা চলছে শরীরে এবং আর্থিকভাবে  অসহায়ও।বর্তমান রাজনীতিতে নেতা নেত্রীদের বিপুল আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি মাঝেও বিনোদ বিহারি দেবনাথদের মত ব্যক্তিত্ব রাজনীতিতে সততার প্রতীক হয়ে দাঁড়ান সমাজের বুকে।         

মঙ্গলবার, মার্চ ১২, ২০১৯

পঞ্চায়েত ভোটে নিঃস্ব সিদ্দিকুল্লাহ কে কি লোকসভায় গুরত্ব দেবেন মমতা

মোল্লা  জসিমউদ্দিন ,

আজ বিকেলে তৃনমূল সুপ্রিমো রাজ্যের ৪২ টি আসনের প্রার্থীপদ ঘোষণা করতে চলেছেন। পুরাতনদের পাশাপাশি নুতন মুখদের পাওয়া যাবে সম্ভাব্য এই তালিকায়। যারা টিকিট পাবেন বলে আশা করে আছেন, অথচ পাবেন না প্রতীক। তাদের জন্য মন্ত্রীপদ সহ নানান লোভনীয় প্রস্তাব দেওয়ার কাজ চলছে বলে প্রকাশ। 'বাহুবলী' বিধায়ক অর্জুন সিং তাদের মধ্যে একজন। এইরূপ পরিস্থিতিতে মঙ্গলকোট বিধায়ক তথা রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর কোন নিকটাত্মীয় কে প্রার্থীপদ দিতে পারে তৃণমূল নেতৃত্ব। যেভাবে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে নেত্রীর সবুজসংকেত থাকা সত্বেও কোন আসনে অনুগামীদের দাঁড় করাতে পারেননি সিদ্দিকুল্লাহ। তাতে তিনি মন্ত্রীসভার মাসিক পর্য্যালোচনা বৈঠক থেকে সচিবালয় না যাওয়া। এমনকি সরকারি নিরাপত্তারক্ষী ছেড়ে দিয়েছিলেন। তখনি নাকি নেত্রী সিদ্দিকুল্লাহ কে আসন্ন লোকসভায় ১ টি আসন দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন! এইরূপ কানাঘুষো আলোচনা শুনতে পাওয়া যায় বিধায়ক ঘনিষ্ঠ শিবির থেকে। এখন দেখার আদৌও নেত্রী কোন আসনে সিদ্দিকুল্লাহ মনোনীত ব্যক্তি কে টিকিট দেন কিনা? পুনরায় আবার কোন লোভনীয় প্রস্তাব ( ক্যাবিনেট মন্ত্রী) আসে কিনা লোকসভায় জমিয়ত উলেমা হিন্দ কে নামিয়ে.... জমিয়ত উলেমা হিন্দ এর একাংশ সিদ্দিকুল্লাহের এহেন আচরণে ক্ষুব্ধ বলেও জানা যায়। বিশেষত বিভিন্ন জেলা কমিটি গঠন করা নিয়ে মতানৈক্য ঘটেছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে ১০০ আসনে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী তাঁর পুরাতন দল পিডিসিআই তরফে দাঁড় করাবার প্রস্তুতি নিয়ে ছিলেন। নবান্ন অফিসে চা বিস্কুট খেয়ে মাত্র ২ টিতেই সন্তুষ্ট হন তিনি। এখন দেখার লোকসভায় তাঁর বরাতে জুটে কিনা কোন আসন। নাকি পঞ্চায়েত ভোটের মত শুন্য হাতে স্বতন্ত্র রাজনীতিতে নিঃস্ব হবেন তিনি ।

সোমবার, মার্চ ১১, ২০১৯

মাত্র ২৪ ঘন্টায় ৯০ টি মামলা ডিসপোজাল হল কালনা লোক আদালতে


 মোল্লা জসিমউদ্দিন , 

জমে থাকা পাহাড় সমান মামলার চাপ কমাতে সুপ্রিম কোর্ট 'জাতীয় লোক আদালত' পরিষেবা চালু করে থাকে। আগে মাসিক পর্যায়ে বিশিষ্ট স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ দের নিয়ে আদালতের বিচারকেরা আইনজীবীদের মাধ্যমে মামলার দ্রুত নিস্পত্তি করতেন। এখন সেটা ত্রৈমাসিক হিসাবে প্রতিটি আদালতের এজলাসে বসে জাতীয় লোক আদালত।  কাটোয়া এবং কালনা মহকুমা আদালতে গতকাল বসেছিল এই বিচার বিভাগের জনস্বার্থ প্রয়াসটি। কালনা মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক ( ফুল) শ্রী তপন কুমার মন্ডল মাত্র ২৪ ঘন্টাতেই ৭৩ টি মামলার নিস্পত্তি সারলেন।অপরদিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (ফাস্ট ট্রাক)  শ্রী রাজেশ চক্রবর্তী ১৭ টি মামলার নিস্পত্তি ঘটালেন। সেইসাথে ১ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা উঠে এলো বিভিন্ন মামলার বিশেষত ব্যাংক / অনুমোদিত ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গুলির অনাদায়ী বন্ধকী লোন থেকে। কালনা মহকুমা আদালতে 'আইনী পরিষেবা কেন্দ্র' এর মহকুমা সম্পাদক রঞ্জিত মজুমদার বলেন - "      জাতীয় লোক আদালতে মূলত ব্যাংক, বিদ্যুত, টাইটেল স্যুট, নন জিআর কেস গুলি দ্রুত নিস্পত্তি করা হয়।" জানা গেছে যেসব গ্রাহকেরা ব্যাংক অথবা ঋণ দেওয়া সংস্থা থেকে জমি /জায়গা /সোনা প্রভৃতি দেখিয়ে ঋণ নিয়েছিলেন। অথচ দীর্ঘদিন পরিশোধ করছেন না কিংবা সূদ দিতে পারছেন না। তাদের কে সাধ্যমতো আর্থিক পরিমাণ কমিয়ে সেইসব ঋণ গুলি ডিসপোজাল করা হয় জাতীয় লোক আদালতের মাধ্যমে। এছাড়া মহকুমার বিভিন্ন থানায় জুয়া, ছোটখাটো ঘটনা নিয়ে অর্থ্যাৎ নন জিআর (থানায় জামিন মেলে)  কেসগুলি নিস্পত্তি করা হয়  এখানে।   সিভিল আদালতে টাইটেল স্যুট মামলাগুলি বাদী ও বিবাদী পক্ষের উভয় সম্মতিতে মামলার নিস্পত্তি করেন জাতীয় লোক আদালতে বিচারকেরা।কালনা মহকুমা আদালতের এডিজে (ফুল) শ্রী তপন কুমার মন্ডল যেভাবে মাত্র একদিনে ৭৩ টি মামলার নিস্পত্তি সারলেন। তাতে আইনজীবীদের বড় অংশ তাঁর এহেন অবস্থানে খুব খুশি। কলকাতা হাইকোর্টে বর্ষীয়ান আইনজীবী আনসার মন্ডল মহাশয় বলেন - সুপ্রিম কোর্ট জাতীয় লোক আদালতের মাধ্যমে যে লক্ষমাত্রা নিয়ে মামলার পাহাড় কমাতে উদ্যোগী, তাতে কালনা মহকুমা আদালতের রায়দানে অবস্থান সেই লক্ষমাত্রা কে গতিশীল রাখলো বলা যায়।                                                                                                     

শনিবার, মার্চ ০৯, ২০১৯

লটারি কেড়ে নিলো ব্যবসায়ীর জীবন



মোল্লা জসিমউদ্দিন

মঙ্গলকোটের নুতনহাট শহরের প্রতিস্টিত কাঁসা ব্যবসায়ী লাট্টু সাধু (৪৭) এর মৃত্যু ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য পড়লো এলাকায়। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার দুপুরে বিষ খান ওই ব্যবসায়ী। সাথেসাথেই  মঙ্গলকোট ব্লক হাসপাতালে আনা হয় চিকিৎসার জন্য। অবস্থার অবনতি হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান সদর হাসপাতালে। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। শুক্রবার হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত ঘটে। এলাকাসুত্রে জানা যায়, মঙ্গলকোটের নুতনহাটের 'জগবন্ধু স্মৃতি বাসনালয়' এর মালিক লাট্টু সাধু বিগত দুবছর ধরে লটারি খেলার নেশায় বুঁদ ছিলেন। প্রত্যেকদিন পাঁচ থেকে দশ হাজার টিকিট কাটতেন। লটারি বিক্রেতারাও এলাকার প্রতিস্টিত এই ব্যবসায়ী কে ধারে টিকিট দিতেন। অসমর্থিত সুত্রে প্রকাশ, বিভিন্ন জনদের কাছে চড়া সাপ্তাহিক সূদে কুড়ি লাখের উপর ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। প্রথম প্রথম ঠিকঠাক থাকলেও সাপ্তাহিক সূদ দিতে না পারায় মহাজনদের তাগাদায় পড়তেন ওই ব্যবসায়ী। লটারির নেশায় পড়ে নিজের কাঁঁসা পিতলের ব্যবসাও লাটে উঠে। ক্রমাগত মানসিক চাপে পড়ে গত মঙ্গলবার দুপুরে বিষ খায় এই ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার রাতে  মারা যায় সে। জানা যায়, মঙ্গলকোটের নুতনহাটে শতাধিক ব্যক্তি খুচরা লটারি বিক্রি করে। দশ লাখের উপর প্রত্যেকদিন বিক্রিও হয়। পুরস্কার হিসাবে এই এলাকায় ৫১ লক্ষ টাকা পেয়েছে এক এলাকাবাসী। 'জুয়ার নেশা সর্বনাশা'র মতনই লোভে পড়েন অনেকেই। এমনকি একমুহূর্তে মঙ্গলকোটের বেশ কিছু জায়গায় বুগিডুগি ড্যান্স সহ জুয়া খেলার মেলাও চলছে। লটারির মত জুয়ার নেশায় বিষ খেয়ে আত্মঘাতী ব্যবসায়ীর ঘটনাতেও চলছে মঙ্গলকোটে জুয়ার মেলা....                                                                                   

     

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER