বৃহস্পতিবার, জুন ২৭, ২০১৯

বধূ হত্যায় স্বামী কে যাবৎজীবন কারাবাসের নির্দেশ কালনা আদালতের

পারিজাত  মোল্লা ,

বৃহস্পতিবার দুপুরে কালনা মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক তপন মন্ডলের এজলাসে এক বধূ খুনে স্বামীর যাবৎজীবন কারাবাসের রায়দান দেওয়া হয়। সেইসাথে নিহত বধূর প্রতি মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালানোর দায়ে শ্বশুর ও শ্বাশুড়ির তিন বছরের কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালত সুত্রে প্রকাশ, ২০১৭ সালে ৮ এপ্রিল মন্তেশ্বরের দেনুর গ্রামে সন্তোষী মন্ডলের মেয়ে অঞ্জু মন্ডলের সাথে বিবাদ হয় কৃষ্ণরজক ( অসুর)  এর সাথে। ভালোবেসে বিবাহের বন্ধন অবশ্য বেশিদিন টিকে নি। বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে বধূর প্রতি মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠে শ্বশুর, শ্বাশুড়ি সহ স্বামীর বিরুদ্ধে। দু সপ্তাহ কেটে যাওয়ার পর স্থানীয় এলাকার 'ভোরের দিঘি' নামে এক পুকুরে বধূর দেহ উদ্ধার হয়। নিহতের মা সন্তোষী মন্ডল মন্তেশ্বর থানায় বধূ নির্যাতন সহ খুনের মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় ১৮ জন সাক্ষ্যদান করে থাকে। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ আজ দুপুরে কালনা মহকুমা আদালতের  অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক তপন মন্ডলের এজলাসে খুনের মামলায় রায়দান হয়। বধূর স্বামী কৃষ্ণরজক ( অসুর)  কে ৩০২/২০১ ধারায় যাবৎজীবন কারাবাস এবং ৫ হাজার টাকার জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত ৫ মাসের কারাবাসের নির্দেশ দেন বিচারক তপন মন্ডল। সেইসাথে শ্বাশুড়ি সহ শ্বশুর দুজন কে ৪৯৮(এ)  ধারায় ৩ বছরের কারাবাস এবং ৩ হাজার টাকার জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত ৩ মাসের কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয় কালনা মহকুমা আদালতে। এই রায়ে খুশি নিহত বধূর মা সন্তোষী মন্ডল। তিনি বলেন - মেয়ের আত্মা আজ কিছুটা শান্তি পাবে।                                                                                                                

কাটোয়ায় লেলিনের মূর্তি নিরাপদ নয়

পুলকেশ  ভট্টাচার্য ,

 বুধবার  সাতসকালে ই তীব্র চাঞ্চল্য  কাটোয়া শহরে লেলিনের মূর্তি তে  লালরং  দেওয়া কে কেন্দ্র করে  । কাটোয়া শহরে লেলিনের নামাঙ্কিত লেলিন সরণী মোড়ে রাতের অন্ধকারে কে , বা কারা মার্ক্সবাদী  লেলিনের মূর্তিতে লাল রং লাগিয়ে দেয়।তা সকাল হতেই পথচারীদের নজরে আসে ছড়িয়ে পড়ে গোটা শহরের  বুকে।   স্থানীয় সিপিএমের পক্ষ থেকে কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। উল্লেখ্য ১৯৮২ সালে কাটোয়া পৌরসভার পক্ষ থেকে মূর্তিটি বসানো হয়। চলতি বছরে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত কাটোয়া পৌরসভার পক্ষ থেকে রং দিয়ে সাজানো হয়। এই ঘটনায় কাটোয়া শহরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।এই ঘটনার কথা জানতে পেরে সিপিএমের জেলা নেতা অঞ্জন চট্টপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শখানেক কর্মী সমর্থক ঘটনাস্থলে হাজির হন। কিছুক্ষণ অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি চলে। সিপিএম নেতা অঞ্জন চট্টপাধ্যায় বলেন - "কয়েকজন বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনৈতিক কর্মী এই কান্ড ঘটিয়েছে বলে অনুমান। পুলিশ যথাযথ তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বের করুক"। ইতিপূর্বে  এই ধরনের  ঘটনা  ঘটার নজির রয়েছে  কাটোয়ায়। সেবার অবশ্য পুলিশ কাওকে চিহ্নিত  করতে  পারেনি মূর্তি তে  কালিমালিপ্ত  করার  জন্য।

শনিবার, জুন ২২, ২০১৯

ভাতারে ক্লাস নাইনের ছাত্র নিখোঁজ, চাঞ্চল্য

সুদিন মন্ডল,ভাতার :-বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারার জন্য স্কুল কামাই করার কারনে  ছেলেকে বকাঝকা ও মারধর করে বাবা ! ফলস্বরূপ  কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে নিখোঁজ ছেলে !ছেলেকে খুঁজে পাবার চেষ্টায় পুলিশের শরণাপন্ন বাবা!  ভাতারের বিজিপুর গ্রামের ঘটনা! পলাতক ছেলের  নাম অর্জুন সোরেন !বিজিপুর হাই স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র সে !শনিবার সকালে ভাতার থানা দাঁড়িয়ে বাবা শ্যামলাল সোরেন জানান বৃহস্পতিবার বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে অযথা স্কুল কামাই করে অর্জুন! সন্ধ্যায় কাজ সেরে বাড়ি ফিরে এসে সেকথা জানতে পেরে শ্যামলাল অর্জুনকে বকাঝকা ও হালকা মারধর করে ! শুক্রবার সকালে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় অর্জুন! দিনভর নানান আত্মীয়স্বজনের বাড়ি খোঁজাখুঁজি ফোন  করেও কোনো সন্ধান না পেয়ে শনিবার ভাতার থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করে বাবা শ্যামলাল সোরেন !সমগ্র বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ভাতার থানার পুলিশ!

মানবিক মুখ্যমন্ত্রীতে খুশি ডাক্তাররা, তবে অমানবিকতায় অখুশি আইনজীবীরা


মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

লোকসভা নির্বাচনের   আগে এবং ভোট পরবর্তী সময়ে রাজ্যে যে দুটি ঘটনা শুধু  এই রাজ্য নয় সমগ্র দেশে প্রভাব ফেলেছিল। সেগুলি হল আইনজীবীদের কর্মবিরতি এবং চিকিৎসকদের কর্মবিরতি। সময়ের ব্যবধানে অবশ্য দুটি কর্মবিরতি উঠে গেছে।তবে আপামর সাধারণ মানুষের মনে এখনো জ্বলজ্বল করছে এই দুই ধরনের কর্মবিরতির কুপ্রভাব গুলি। অনেকেই অনেককিছু হারিয়েছে এইসব কর্মবিরতির ফলে। একাধারে যেমন আইনজীবীদের সৌসৌজন্যে বিচারধীন বন্দিরা কারাগারে পচেছে। ঠিক তেমনি আবার রোগ যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালের সামনে অসহায়ভাবে ছটভট করতে দেখা গেছে রোগীদের কে। গত সপ্তাহে শিয়ালদহের এনআরএস হাসপাতালে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামলার অভিযোগে রাজ্যব্যাপী চিকিৎসকরা কর্মবিরতির ডাক দেন। দিন পাঁচ ছয় চলার পর মুখ্যমন্ত্রীর আলোচনায় তা উঠে। যদিও প্রথম পর্যায়ে মুখ্যমন্ত্রীর রনং দেহী অবস্থানে চিকিৎসকরা তীব্র অসন্তোষ অনেকখানিই মিটেছে। রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবায় স্বাভাবিক গতি এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের কর্মবিরতির সপ্তাহ না ঘুরতেই যেভাবে আলোচনার মাধ্যমে প্রশাসনিক ও পুলিশগত দাবি গুলি পূরণ করেছেন। তাছাড়া তিনি নিজেও হাসপাতালে গিয়েছিলেন সরজমিন ঘটনার গভীরতা দেখতে। তাতে চিকিৎসকদের সিংহভাগই খুশি। এইরুপ অবস্থান মুখ্যমন্ত্রী আইনজীবীদের কর্মবিরতির সময় নিতে পারতেন। তাহলে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সমস্ত মহকুমা ও জেলা আদালতগুলিতে অচলাবস্থা থাকত না। এমনকি তিনি সেসময় মিডিয়ায় কোন উচ্চবাক্য করেন নি আইনজীবীদের কর্মবিরতি নিয়ে। তাঁর দলীয় এক বিধায়ক যিনি আবার 'বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ' এর পদাধিকারী তাঁর মাধ্যমে বিষয়টি দেখছি দেখব বলে বার্তা অবশ্য দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সারা রাজ্য জুড়ে আইনজীবীদের টানা একমাসের কর্মবিরতিতে পঞ্চাশ হাজারের কাছাকাছি আইনজীবী, লাখের কাছাকাছি ল ক্লাক ( মুহুরি), টাইপিস্ট   , আদালত চত্বরে থাকা শয়ে শয়ে  খাবার দোকান, জেরক্স, ডিটিপি দোকানগুলি যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল, তার ক্ষতিপূরণ কে দেবে?  মুখ্যমন্ত্রী যদি একটু আইনজীবীদের প্রতি সহৃদয় হতেন, তাহলে আদালতের উপর নির্ভর করা সারা রাজ্যের লাখ খানেক মানুষদের পেশাগত এত দুর্দিন আসত না। হাজার হাজার বিচারধীন বন্দি জেলের কারাগারে কিংবা পুলিশ লকআপে জামিনের অভাবে পচতো না। এমন পরিস্থিতি হয়েছিল যে জেলখানা গুলিতে তাদের বন্দি রাখার ভরণ ক্ষমতার বাইরে বন্দি রাখতে হচ্ছিল। বিভিন্ন আদালতে এজলাস গুলিতে বিচারকেরা মামলায় ডেটের পর ডেট ফেলা ছাড়া আর কিছুই তেমন করতে পারছিলেন না।  আদালতে থাকা পুলিশের জিআরও বিভাগগুলিতেও অনুরুপ পরিস্থিতি হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী কি পারতেন না একটু মানবিক হতে?  এই প্রশ্ন রাজ্যের বিভিন্ন আদালতের বার এসোসিয়েশন গুলির। নির্বাচনী বিধির দোহাই দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সপ্তাহের পর সপ্তাহ চুপ ছিলেন আইনজীবিদের কর্মবিরতিতে। যেখানে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি দিন তিনেকের মধ্যেই সক্রিয়তা দেখা যায় রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান কে। আইনজীবীদের কর্মবিরতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সম্মাদার এর এজলাসে মামলায় বিচারপতি সেসময় এক আদেশনামায় রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত কে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের প্রতি রাজ্যের অভিমত জানতে চেয়েছিলেন। সেখানে দেখা যায় রাজ্যের তরফে কোন সুস্পষ্ট অবস্থান অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের নিয়ে বলেনি রাজ্য। অথচ বিচারপতি বারবার শুনানিতে বলেছিলেন -' পুলিশ অফিসারদের নিয়ে    রাজ্যের অভিমত পেলে নির্বাচন কমিশন কে কোন নির্দেশ দেওয়া হতে পারে'।  সিংহভাগ আইনজীবীদের প্রশ্ন - মুখ্যমন্ত্রী তো তখন রিপোর্ট দিতে পারতেন, কিন্তু তা করেন নি। এমনকি দেখা গেছে তৃনমূল প্রভাবিত রাজ্যের বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর কর্মবিরতির  অবস্থান  নিয়ে রাজ্যের বেশিরভাগ আইনজীবী প্রকাশ্যে বিদ্রোহী হয়েছেন। কখনো সিটি সিভিল কোর্টের মূল গেটে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে। আবার কখনও সংবাদমাধ্যমের সামনে। বারবার অফিস ঘেরাও এর সম্মুখীন হতে হয় বার কাউন্সিল এর প্রতিনিধিদের কে। সেইসাথে বীরভূমের ডাকসাইটে নেতা অনুব্রত মন্ডলের হয়ে মামলা লড়তে গেলে আইনজীবী ( বার কাউন্সিল এর সদস্য) বৈশ্বানর চট্টপাধ্যায় কে তুমুল সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়। পরে অবশ্য বার কাউন্সিল লোকদেখানো শোকজ ইস্যু করে থাকে। আইনজীবীদের প্রশ্ন ছিল,  যে সংগঠন  সারা রাজ্য জুড়ে আইনজীবীদের কর্মবিরতি ডাকলো, সেই সংগঠনের সদস্য কিভাবে কর্মবিরতি চলাকালীন কলকাতা হাইকোর্টে মামলা লড়তে গেলেন সেই নিয়ে।   পরে দেখা যায় বার কাউন্সিল কর্মবিরতি তুলে নিলেও রাজ্যের বেশিরভাগ বার এসোসিয়েশন তাতে সহমত পোষণ করেনি।।গত ২২ মে বিচারপতি বিশ্বনাথ সম্মাদার আইনজীবীদের কর্মবিরতি মামলায় আদেশনামায় উল্লেখ রাখেন - হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের সাতজন পুলিশ কর্মী ক্লোজ থাকবেন, সেইসাথে হাওড়ায় কোন পুলিশি কাজে যুক্ত হতে পারবেন না। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কল্যাণ জ্যোতি সেনগুপ্তের নেতৃত্বে এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিশন গড়া হয়। আগামী ২৬ শে আগস্ট রিপোর্ট পেশ করবে এই তদন্ত কমিশন।গত ২৪ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত আইনজীবীদের বিরুদ্ধে  ১১ টি ফৌজদারি মামলাগুলি পর্য্যালোচনা করবে এই তদন্ত কমিশন। পুলিশ কোন একশন নিতে পারবেনা এইবিধ মামলায় অভিযুক্তআইনজীবীদের প্রতি। গত ২৪ এপ্রিল হাওড়া জেলা আদালতে গাড়ী রাখা নিয়ে আইনজীবীদের উপর পুলিশি সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠে। যেভাবে আদালতে ঢুকে এমনকি এজলাস গুলিতে পুলিশি সন্ত্রাস দেখা যায়। তাতে রাজ্যে আইনজীবীদের মধ্যে তুমুল অসন্তোষ দেখা যায়। পরে কলকাতা হাইকোর্ট অবশ্য আদালতে ঢুকতে গেলে এসিজেম ( মহকুমা আদালত) ,  ডিস্ট্রিক্ট জাজ ( জেলা আদালত), রেজিস্ট্রার জেলারেল ( কলকাতা হাইকোর্ট) এঁদের অনুমতি ছাড়া আদালতের ভেতরে পুলিশের প্রবেশ নিষেধজারী করে থাকে। চিকিৎসকদের কর্মবিরতির আন্দ্রোলনে সাড়া দিয়ে মাত্র দিন পাঁচ ছয় দিনেই মুখ্যমন্ত্রী সাড়া দিলেন। সেইসাথে একগুচ্ছ নির্দেশিকাজারীও করলেন। সেখানে টানা ত্রিশ দিনের আইনজীবীদের কর্মবিরতিতে মুখ্যমন্ত্রী কোন সাড়া দেন নি। তাতে মুখ্যমন্ত্রীর এহেন ভিন্ন অবস্থান নিয়ে তীব্র অসন্তোষ আইনজীবীদের মধ্যে।  কাটোয়া মহকুমা আদালতের ক্রিমিনাল মামলার আইনজীবী অনিন্দ চট্টরাজ বলেন - আমাদের কর্মবিরতির প্রথম দিকে মুখ্যমন্ত্রী একটু মানবিক হলে আমরা পেশাগত আয়ে এত ক্ষতির সম্মুখীন হতাম না।                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                        

শনিবার, জুন ১৫, ২০১৯

কেন্দ্র ও রাজ্যের রাজনীতির শিকার কাটোয়ার প্রস্তাবিত তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প




 মোল্লা জসিমউদ্দিন,

এবারে উন্নয়ন নিয়ে রাজনীতির আসরে শ্রীখণ্ড তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পটি।  কোন রাজনৈতিক দল নয়, সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধেই  উন্নয়ন  নিয়ে নোংরা রাজনীতির অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী  শোভনদেব চট্টপাধ্যায়। আজ অর্থাৎ  শুক্রবার দুপুরে পূর্ব বর্ধমান  জেলার কাটোয়া সংলগ্ন দাঁইহাট পুর এলাকার হাউসিং দাস পাড়ায়  ৩৩/১১ কেবি ক্ষমতাসম্পর্ণ বিদ্যুৎ এর  সাবস্টেশন উদঘাটনে  এসে এই উন্নয়ন নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ টি তুলেন। বিদ্যুৎ মন্ত্রীর পাশাপাশি  স্থানীয়  বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টপাধ্যায়, দাঁইহাট  পুর চেয়ারম্যান  শিশির মন্ডল, জেলাস্তরের বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকরা   ছিলেন এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে  । বিদ্যুৎ মন্ত্রী  বলেন - কেন্দ্রীয়  সরকারের রাজনীতির জন্যই কাটোয়ার শ্রীখণ্ড এলাকায় তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পটি মাঝপথে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। উন্নয়ন নিয়ে সদিচ্ছার  অভাব রয়েছে বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে। ইতিমধ্যেই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ার সংস্থা এনটিপিসি তাদের বড় অফিসারদের  এখান থেকে বদলী করিয়েছে। কবে এই প্রকল্পে গতি আসবে তা রাজ্য সরকারের কাছেও অজানা বলে মন্ত্রী  জানান। এমনকি প্রকল্পটি যাতে দ্রুত হয়, সেইব্যাপারে দিল্লিতে এনটিপিসির অফিসেও মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছিলেন বলে মন্ত্রীর দাবি।    দেশের মধ্যে বেশকিছু রাজ্যের মত এই রাজ্যে বিদ্যুৎ এর দাম বেশি বলে প্রকান্তরে মেনে নিলেও কবে থেকে দাম কমবে তার নিশ্চয়তা তিনি দেননি। তবে বিদ্যুৎ এর দাম  কমানোর আশ্বাস দিয়েছেন।দাম নির্ধারণে বিদ্যুৎ দপ্তরের স্বতন্ত্র বোর্ড রয়েছে। তবে রাজ্য সরকার ভুর্তুকি দিয়ে দাম কমাতে পারত অন্যান্য রাজ্যের মত। তবে বিগত বাম সরকারের ঋণের বিপুল বোঝার জন্য এই রাজ্য সরকার তা পারেনি বলে মন্ত্রীর অভিমত।              

উল্লেখ্য  বিগত বাম জমানায় ২০০৬ সালে তৎকালীন বিদ্যুৎ মন্ত্রী  নিরুপম সেনের উদ্যোগে  কাটোয়া শহর সংলগ্ন  শ্রীখণ্ড গ্রামে দুটি মেগা ইউনিটের তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প করার ঘোষণা করা হয়। প্রায় ১২০০ একর জমির উপর দুটি ইউনিট গড়ার প্রস্তাবনা রাখা হয় সেখানে ।২০০৭-০৮ বর্ষে প্রথম  পর্যায়ে ৫৫৬ একর জমি অধিগৃহীত হয় কোন বাধা ছাড়ায়। ২০০৯ সালে দ্বিতীয়  পর্যায়ে  জমি অধিগ্রহণ শুরু করতে গেলে জমি আন্দ্রোলনে নামে তৃণমূল ও এসইউসি দল। ২০১১ সালের বিধানসভার  ভোট নিয়ে  বাম সরকার কাটোয়ার শ্রীখন্ডে জমি অধিগ্রহণ বিষয়ে ধীরে চলো নীতি নেয়। সেবারের ভোটে পালা বদল হলে তৃণমূল সরকার আগ্রহী হয় তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প  গড়তে। নির্মাণ কারী সংস্থা রাজ্যের পিসিডিএল এর কাছ থেকে জমির মালিকানা স্বত্ব কেন্দ্রের এনটিপিসি কে  দেওয়া হয়।

 এমনকি ১০০ একর খাস জমি রাজ্যসরকারের তরফে এনটিপিসি কে দেওয়া হয় তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য   । এনটিপিসিও জোর কদমে নামে। তারা কাটোয়া বর্ধমান  ন্যারোগেজ রেল আধুনিকরণে ১২০ কোটি টাকা দেয়। যার ফলে এখন এই রেলরুটে বড় লাইনের ট্রেন চলছে। মূলত কয়লা পরিবহনের জন্য এই রেলপথ আধুনিকরণে সচেস্ট হয় সব পক্ষ। প্রকল্পের   আশেপাশে রাস্তা উন্নয়ন, বিদ্যালয়গুলিতে উন্নত শৌচাগার  ব্যবস্থা সহ স্থানীয় পঞ্চায়েতের মাধ্যমে বেকার যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থানের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এনটিপিসির তরফে।  দ্বিতীয়  পর্যায়ে ২০১২ সালে জমি অধিগ্রহণ করতে গেলে জমির দাম নিয়ে চাষীদের মতবিরোধ  উঠে আসে। সেইসাথে তৃণমূল ঘেঁষা ঠিকেদারদের  ইমারতি দ্রবের সিন্ডিকেট  নিয়ে বোমাবাজিও হয় এই শ্রীখণ্ড তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প অফিসের সামনে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে রাজ্য বিদ্যুৎ মন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারের রাজনীতির অভিযোগ তুললেন তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প না হওয়ার জন্য।এনটিপিসি সুত্রে প্রকাশ, ইতিমধ্যেই  প্রকল্পের পেছনে দুশো কোটির অধিক ইনভেস্ট করেছে। রেলপথের পাশাপাশি সড়কপথ এমনকি নদীপথে পরিবহনের উদ্যোগ নিয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে জমি অধিগ্রহণে রাজ্য সরকারের সেভাবে 'সহযোগিতা' মেলেনি বলে অভিযোগ। প্রকল্পের কাজ না এগুলে মাসের পর মাস শুধু শুধু শ্রীখণ্ড অফিসে বড় অফিসারদের বসিয়ে রাখা যায়না। সেজন্য তারা দামি যন্ত্রপাতিগুলিও সরিয়েছে এখান থেকে। যদি রাজ্য সরকার জমি অধিগ্রহণ নিয়ে পূর্ন সহযোগিতা করে, তাহলে শ্রীখণ্ড তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পথ দেখতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।                                  

শুক্রবার, জুন ১৪, ২০১৯

এক আবেদনকারী কে দ্রুত রাজ্য বিধবা পেনশন ভাতা দিয়ে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন , 

বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের ৮ নং ঘরে বিচারপতি দেবাংশ বসাকের এজলাসে সুন্দরবনে এক সরকারি প্রকল্পে ভাতা সংক্রান্ত মামলা উঠে। বিচারপতি তাঁর নির্দেশিকায় পরিস্কার ভাবে জানিয়ে দেন - কোটার দোহাই দিয়ে বিধবাভাতা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবেনা। সেইসাথে সংশ্লিষ্ট বিডিও কে সাতদিনের মধ্যে বিধবা ভাতা চালু করার নির্দেশজারি করেছেন। আবেদনকারীর আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায় চৌধুরী বলেন - "মহামান্য বিচারপতির এই রায় শুধু কোন নিদিষ্ট ব্যক্তির নয়, এইরূপ যারা রয়েছেন তারা প্রত্যেকেই এই সরকারি প্রকল্পে ভাতা পাওয়াতে আবেদন যোগ্য"।  আদালত সুত্রে প্রকাশ, ২০১৮ সালে জুলাই মাসে দক্ষিণ ২৪ পরগণার সুন্দরবন অঞ্চলে মনোজ বিশ্বাস (৩৮) নামে এক দুস্থ  ব্যক্তি মারা যান।রেখে যান স্ত্রী স্বপ্না বিশ্বাস (৩২)  সহ দুই সন্তান কে।  এরেই মাঝে রাজ্য সরকার 'পশ্চিমবঙ্গ বিধবা পেনশন ভাতা ' নামে এক প্রকল্প চালু করে থাকে। যেখানে আবেদনকারী মহিলার স্বামী কে মৃত এবং মাসিক আয় এক হাজারের নিচে হতে হবে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে ওই বিধবা মহিলা গোসাবা ব্লক প্রশাসনের কাছে দারস্থ হন। বহু আবেদন নিবেদন করেও কোন সুরাহা পাননি। এমনকি বিডিওর দর্শনপ্রার্থী হলেও অফিসে বিডিওর দেখা পাননি বলে অভিযোগ। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে বিভিন্ন প্রশাসনিক অফিসে ছোটাছুটি করেও কোন লাভ হয়নি। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায় চৌধুরীর হাত ধরে   কলকাতা হাইকোর্টের দেবাংশু বসাকের এজলাসে মামলা টি উঠে। গত ১৬ এপ্রিল শুনানির প্রথম পর্যায়ে বিচারপতি রাজ্য সরকারের আইনজীবির কাছে জানতে চান, কেন আবেদনকারী আবেদন জমা দিয়েও বিধবা পেনশন ভাতা পাচ্ছেন না?  কেননা এই প্রকল্পের শর্ত হিসাবে যে দুটি রয়েছে যথা স্বামী কে মৃত হতে হবে এবং মাসিক আয় এক হাজারের নিচে হতে হবে। সেদুটি শর্ত সাপেক্ষে আবেদনকারী যোগ্য। তখন গোসাবার বিডিও রিপোর্ট দেন - প্রকল্পে কোটা পূর্ন হয়েছে পরবর্তীতে আবার নেওয়া হবে। বিচারপতি দেবাংশ বসাক এহেন সরকারি অবস্থানের তীব্র সমালোচনা করেন। সেইসাথে পুরো বিষয়টি তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলেন। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের দেবাংশু বসাকের এজলাসে পুনরায় মামলা টি উঠে। সেখানে বিডিও কে সাতদিনের মধ্যে ওই আবেদনকারী বিধবা মহিলা কে বিধবা পেনশন ভাতা চালু করার নির্দেশ জারি করা হয়। এই নির্দেশিকা গোসাবা বিডিও, ক্যানিং মহকুমাশাসক, আলিপুরে জেলাশাসক কে কার্যকর করতে বলা হয়েছে।  এদিন কলকাতা হাইকোর্টের এহেন রায়ে চোখে জল এসেছে ওই বিধবা মহিলার। তিনি বলেন - "স্বামী চলে যাওয়ার পর লোকের বাড়ীতে কাজ করে দুই সন্তান কে মানুষ করছি। বিডিও অফিস থেকে ডিএম অফিসে বহুবার গিয়েছি। কোন কাজ হয়নি। আজ কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে জীবনযুদ্ধে আর্থিকভাবে লড়াই করার শক্তি পেলাম"।                                                                                                                                                       

মঙ্গলবার, জুন ১১, ২০১৯

বিজেপির বিজয় মিছিল হল ভাতারের খুরুল গ্রামে

আমিরুল  ইসলাম ,

ভাতারের  খুরুল গ্রামে বিজেপির বিজয় মিছিল।বর্ধমান- দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী এস এস আহলুওয়ালিয়া জয়লাভ করেছেন।তাই ভাতার ব্লকেরখুরুল গ্রামে আজ সকালে বিজেপি প্রার্থী এস এস আহলুওয়ালিয়া  সমর্থনে বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কিন্তু প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই ভাতারে খুরুল গ্রামের বিজেপির বিজয় মিছিল। অবশ্য খুরুল গ্রামের বিজেপির দলীয় কর্মীরা জানিয়েছেন গ্রামে শান্তি বজায় রাখার জন্য তারা এই বিজয় মিছিল বা বিজয় উৎসব তারা পালন করছে।

আজ সকালে খুরুল বাস স্ট্যান্ড থেকে  শুরু হয় এই বিজয় মিছিল   গোটা গ্রাম ঘুরে শেষ হয় খুরুল বাসস্ট্যান্ডে।

কয়েকশো বিজেপি কর্মী সমর্থক আজকের এই মিছিলে পা মিলানো।গ্রামের পথচলতি মানুষদের কে লাড্ডু খাইয়ে  মিষ্টিমুখ করানো হয়। পাশাপাশি গেরুয়া আবীরে গ্রামের বিজিপি কর্মী সমর্থকদের কে রাঙ্গিয়ে তুলে।শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় বিজয় মিছিল।

শুক্রবার, জুন ০৭, ২০১৯

লোকসভার ফলাফল মুক্ত আকাশ এনে দিল নানুরের কাজল সেখ কে

মোল্লা জসিমউদ্দিন,

বিজেপির বাড়বাড়ন্তে মুক্ত আকাশ পেল নানুরের কাজল সেখ। ২০১১ এর আগে রাজ্যে সিপিএম শাসনকালে লুকিয়েচুরিয়ে থাকতেন এই কাজল সেখ । রাজ্যে পালাবদল হলেও সেই একই ছবি দেখা যেত নানুরের মাটিতে । সূচপুরের গনহত্যা নিয়ে যে রাজনৈতিক মাইলেজ পেয়েছিলেন তৃনমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা ক্ষমতায় এসে বেমালুম ভুলে যান নেত্রী। ২০০০ সালে নানুরের বাসাপাড়ায় শহীদ বেদীর সামনে 'আল্লার' নামে কসম খেয়ে মমতা বলেছিলেন - যতদিন বাঁচবো ততদিন ২৭ জুলাই শহীদ দিবস পালনে আসবো"। শহীদ পরিবারের কাজল সেখের মা কে নিজের মা বলে ডেকে ছিলেন মমতা।এমনকি কাজল সেখের ভাই সেখ শাহনওয়াজ কে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে দুবার দলীয় বিধায়ক বানান তৃনমূল নেত্রী। সেই মমতা শহীদ দিবস পালনের দিনে ২০১২ সালে বোলপুরে প্রশাসনিক বৈঠক করেছেন। অথচ ২০ কিমি দূরে থাকা বাসাপাড়ায় আসার সূযোগ হয়নি তাঁর। অনুব্রত মন্ডল ওরফে কেস্টর দাপটে সিপিএমের আমলের মতনই কাজল সেখ আত্মগোপন করে থাকতেন নানুরে । এরেই মাঝে শহীদ দিবস পালনে সবথেকে বড় সংগঠক সোনা চৌধুরী খুন হন দুস্কৃতিদের গুলিতে । খুন হন বাম আমলে সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করা কেতুগ্রামের জাহির সেখ, মঙ্গলকোটের আজাদ মুন্সি। নিন্দুকেরা বলেন - মঙ্গলকোট - নানুর - কেতুগ্রামের রাজনৈতিক কাঁটা তুলতে বোলপুরের এক নেতা এইসব খুনের ষড়যন্ত্র ঘটিয়েছেন৷ সম্প্রতি লোকসভায় বিজেপির বাড়বাড়ন্তে মুসলিমদের কদর বেড়েছে তৃনমূলের কাছে। নানুরের কাজল সেখ অনুব্রত মন্ডলের ডাকে সাড়া দিয়ে বোলপুরে ঘরোয়া বৈঠকও সেরেছেন। যদিও গত দেড় বছর আগে থেকেই অনুব্রত মন্ডলের পাড়ায় বোলপুরে বাড়ি করার কাজ শুরু করে ছিলেন কাজল সেখ। নানুরের এক পুলিশ অফিসার এই মিডলম্যানের কাজ করেছিলেন বলে পুলিশ সুত্রে প্রকাশ। বিজেপির বাড়বাড়ন্তে মুক্ত আকাশ পেল নানুরের কাজল সেখ। কাজল সেখ এখন নানুরে প্রকাশ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলছেন। আগে নানুরের মাটিতে কাজলের প্রকাশ্য দেখা মিলতো না। এমনকি গ্রুপবাজির জন্য ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটে জেতে সিপিএম। অনুব্রত মন্ডল ওরফে কেস্টর পৈতৃকভিটা হচ্ছে এই নানুর। তাই এহেন বিধানসভায় তৃনমূল হারাটা পেস্টিজ ইস্যু ছিল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বর কাছে। নানুরের রাজনৈতিক নেতারা মনে করেন - কাজল সেখের জন্য তৃণমূলের এই পরাজয়। আবার গত পঞ্চায়েত ভোটে এমন পরিস্থিতি ছিল যে, থানার ওসি কে সরাসরি তৃনমূল নেত্রী ফোন করে কার কোনটা পঞ্চায়েত থাকবে তা জানিয়ে দেন! নিজস্ব সংগঠনের জন্য বাম আমলের মত তৃনমূল আমলেও আত্মগোপন করে থাকতেন নানুরের কাজল সেখ। লোকসভায় বিজেপির বাড়বাড়ন্তে মুসলিমদের কদর বেড়েছে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে নানুরের কাজল সেখ কে ডেকে নেন অনুব্রত মন্ডল, তাও দলনেত্রীর নির্দেশে।তাই বলা যায়, বিজেপির বাড়বাড়ন্তে মুক্ত আকাশ পেল নানুরের কাজল সেখ।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER