সোমবার, মে ০৪, ২০২০

করোনা মোকাবিলায় এপ্রিল মাসের বেতন দিলেন এই এএসআই

সুরজ প্রসাদ
 

চলতি লকডাউনের সময় রাজ্যে সরকারের ত্রান তহবিলে আর্থিক সাহায্য করলেন এক পুলিশ কর্মী। পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের এই কর্মী অতিরিক্ত সাব-ইন্সপেক্টর বিনয় কুমার ঘোষ শক্তিগড় থানায় কর্মরত রয়েছেন ।  সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিনয় বাবু জেলা পুলিশের প্রধান কার্যালয়ে এসে অতিরিক্ত পুলিশসুপারের হাতে  'ওয়েষ্ট বেঙ্গল এমারজেন্সি রিলিফফান্ড' ত্রান তহবিলের জন্য ৩৫,১০৮টাকার চেক তুলে দেন। এই কাজে খুশি জেলা পুলিশের কর্তারা।
অতিরিক্ত পুলিশসুপার কল্যান সিংহরায় জানান, -"নিজস্ব উদ্যোগে রাজ্যে সরকারে ত্রান তহবিলে ৩৫,১০৮টাকা দিয়েছেন বিনয় বাবু। এই অনুদান দেওয়ায় আমরা গর্বিত ।এই কাজ আমাদের সবাইকে অনুপ্রানিত করবে"। বিনয় বাবু বলেন, - "আমি আমার এপ্রিল মাসের সম্পূর্ণ বেতন রাজ্যে সরকারের ত্রান তহবিলে দান করেছি। আমার কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে সহকর্মীরা সরকারের ত্রান তহবিলে সাহায্য হাত বাড়িয়ে দেয় এটা আশা করি" ।



নন্দকুমারে মদের দোকানে ভীড় সামলাতে পুলিশের লাঠিচার্জ

জুলফিকার আলি
  

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার থানার অন্তর্গত বাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি মদের দোকান খোলায়, সকাল থেকে দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ার মতো। মদ হাতে পেতে দেরি হয় ধৈর্য হারিয়ে সাধারণ মানুষের ব্যাপক উত্তেজনা র সৃষ্টি হয়, এরপর  ইটপাটকেল ফোড়া দোকান ভাঙচুরের চেষ্টা করে মানুষজন, এর ফলে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয় গোটা এলাকায়, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে নন্দকুমার থানার পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি আনে। এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নন্দকুমার থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়।

বাংলাদেশী নিরক্ষর রিকশা চালকের মানবিকতা শেখায় অনেককিছু

একজন নিরক্ষর রিক্সা চালক তারা মিয়া। করোনা যুদ্ধেও থেমে নেই তাঁর মানবিকতার কাজ।
বাবুল সাহা

 
করোনা যুদ্ধে একজন নিরক্ষর রিক্সাচালক তার মানবিকতার হাত প্রসারিত করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন।
বাংলাদেশের ময়মনসিংহ বিভাগের দুর্গাপুর উপজেলার চকলেঙ্গুরা গ্ৰামের বাসিন্দা। এই রিক্সা চালক তারা মিয়া(৩৩)। তিনি ১মে শুক্রবার আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে, দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে জনসম্মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১০ হাজার ২০০ শত টাকা সংসদ সদস্য মানু মজুমদারের হাতে তুলে দেন। তারা মিয়া প্রতিনিধিকে ৩০ সেপ্টেম্বর মোবাইল ফোনে এ কাজটি যে তিনি করতে যাচ্ছেন তা জানিয়েছিলেন। তিনি হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান। এরকম পরিবারে জন্ম হওয়ায় তিনি লেখাপড়া করতে পারেননি। তার বাবা আব্দুল হেলিম ছিলেন একজন দিনমজুর। এই গরীব দিনমজুরের তিন সন্তানের মধ্যে তারা মিয়া সবার বড় সন্তান। ছোটবেলা থেকেই ঘাত, প্রতিঘাতের মধ্যেই তার বেড়ে ওঠা। তার বাড়ির অদূরে সোমেশ্বরী নদীতে সে এবং তার স্ত্রী নাজমা আক্তার (২৯) নদী থেকে কয়লা উত্তোলন করে বিক্রি করে সংসার চালাতো। তাদের দুটো সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে রিফাত মিয়া (১১) বাড়ির পাশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়াশোনা করছে। ১ বছরের একটি কন্যা সন্তান আছে। এক পর্যায়ে তারা মিয়া কিছু অর্থ সঞ্চয় করে একটি রিক্সা করে চালানো শুরু করেন। তার স্ত্রী এখনও কয়লা শ্রমিক। তারা মিয়ার স্বপ্ন ছিল নিজে অর্থের অভাবে যেহেতু পড়ালেখা করতে পারেনি ,তারমত যেন কোন গরিবের সন্তান লেখাপড়া থেকে ঝড়ে না পরেন। সেই মানষিকতা নিয়ে দীর্ঘ প্রায় একযুগ ধরে অন্ততঃ ১৫ টি প্রাইমারি স্কুলের অতি গরিব ছেলেমেয়েদের ও প্রতিবন্ধী শিশুদের খাতা ,কলম, পোশাক, টিফিন বক্স, খেলার বল দিয়ে তার সহযোগীতা অব্যাহত রেখেছেন। তার এই কাজের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সন্মানিত হয়েছেন  এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে এ যাবৎ যত অর্থ পেয়েছেন তাও তিনি হতদরিদ্রদের মাঝে বিলিয়ে দিয়েছেন। তিনি প্রতিদিন রিক্সা চালিয়ে যা আয় করেন তা থেকে প্রতিদিন ২০/২৫ টাকা করে নিয়মিত তার বাড়িতে নিজস্ব মাটির ব্যাংকে জমা করে , সেই টাকা দিয়েই তিনি মানুষের পাশে দাঁড়ান। সংসদ সদস্য মানুষ মজুমদারের হাতে টাকা তুলে দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন ইউএনও ফারজানা খানম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন আল আজাদ, আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলী আজগর, পৌরসভার মেয়র আব্দুস সালাম, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, স্থানীয় সুসঙ্গ বার্তা পত্রিকার সম্পাদক জামাল তালুকদার সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। করোনার কারনে স্কুল বন্ধ থাকায় , রিক্সা চালক তারা মিয়া তার জমানো ১০ হাজার ২০০ শত টাকা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে তুলে দেন। তারা মিয়া বলেন, আমি নিজেও গরীব মানুষ । তবু আমি নিজে আয় করে পরিবার নিয়ে খেতে পারছি। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি গত কারনে আমার চেয়ে যারা আরো গরিব , তাঁদের জন্য আমার এই উদ্যোগ। ত্রাণ তহবিলে আমি টাকা জমা দিতে পেরে খুশি। সংসদ সদস্য মানু মজুমদার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা খানম বলেন, হতদরিদ্র এই মানুষটির মহানুভবতা দেখে সমাজের বিত্তবানদের শিক্ষা নেওয়া উচিত।

রবিবার, মে ০৩, ২০২০

আটাঘরে রমজান সামগ্রী বিলিতে কর্মাধ্যক্ষ

সেখ জাহির আব্বাস

  

     বর্ধমান-২ ব্লকের আটাঘরে তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে রবিবার জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ মেহবুব মণ্ডলের সহায়তায় প্রায় ২০০ জন মানুষের হাতে ইফতার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।এছাড়া,তফসিলি জাতি, উপজাতি মানুষের মধ্যেও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক, ব্লক সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি সেখ জাহাঙ্গীর, বুথ সভাপতি নজরুল মণ্ডল ও যুব নেতা মিরাজ মন্ডল প্রমুখ।এলাকার মানুষ ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী  পেয়ে খুশি। নিশীথবাবু করোনা নিয়ে সতর্ক করতে বলেন, এই সময় সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলাই একমাত্র ঔষধ। যে যেমন ভাবে পারবেন রাজনীতি ভুলে এক হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ান। মেহবুব বাবু জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় লক ডাউনের এই  কঠিন সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতেই এই উদ্যোগ। সরকারি নির্দেশিকা মেনেই আমরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। রমজান মাসে  মুসলিম সম্প্রদায় সরকারি বিধি মেনেই রোজা ব্রত পালন করছেন বলে তিনি দাবি করেন।
           

আযমার লেখা চিঠি - রুনু ভট্টাচার্য

আযমার লেখা চিঠি                  
            রুনু ভট্টাচার্য
 


   আমার প্রিয় পারিজাত,
 কেমন আছো ? সেবার কাঠমান্ডুতে তোমাকে নিয়ে কিছু দিন খুব আনন্দে কাটিয়েছি। আসার সময় তুমি বলেছিলে চিঠি লিখতে। তাই আজ লিখতে বসেছি...... তোমার কথা ভীষণ মনে পড়ে।তোমার ও কি মনে পড়ে আমাকে? তোমার সাথে অনেক গল্প তো হয় কিন্তু মন বলে আর ও করি জানি না, কেন ?  তোমাকে এত ভালবাসি।অবশ্য তুমিও যে ভালবাসার মতই, তাই তো তুমি স্বৰ্গীয়। তোমার কাছে কিছু প্রশ্ন আছে আমার। অমৃতের সন্ধানে দেবতা ও অসুররা মন্দার পর্বতকে মন্থনদন্ত হিসাবে ব্যবহার করে সমুদ্র থেকে তুলে এনেছিল একের পরে এক আশ্চর্য সব বস্তু।সেই মন্থনে উদ্ভাসিত হয়ে ছিল লক্ষ্মীদেবী, ঐরাবত হস্তী,উচ্চৈ‍‍শ্রবা অশ্ব, অপ্সরাকুল,কামধেনু, চন্দ্র ইত্যাদি,এবং অব‌‌শ্যই হলাহল বিষ ও অমৃত। এ সব ছাড়াও সেই মন্থনে উঠে এসেছিল এক আশ্চর্য বৃক্ষ, যার নাম পারিজাত। ইন্দ্রের নন্দন কাননের প্রধান গাছটিই হলো পারিজাত,এমন কথা হিন্দু পূরাণে গভীর বিশ্বাসের সঙ্গে উল্লিখিত।স্বর্গের ইন্দ্র মহারাজ আর মর্তের কৃষ্ণ ভগবান নাকি জোর করেই পারিজাত তোমাকে মর্তে আনেন........সত্যিই কি তাই !!  তুমি চিঠি লিখে আমাকে বলো, অনেক ভালো থেকো আমি আবার আসবো। 
              ইতি 
                    রিসোনা।

রেশন নিয়ে অশান্তি নন্দীগ্রামে

জুলফিকার আলি
  

রেশন নিয়ে বিক্ষোভের জেরে ধুন্ধুমার নন্দীগ্রামে। রেশন ডিলারের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ। 
নন্দীগ্রামের সাঁইবাড়ি এলাকার রেশন ডিলার তপন সাহুর বিরুদ্ধ্যে অভিযোগ, তিনি দীর্ঘদিন ধরে রেধনে বরাদ্দের কম চাল, চিনি, গম দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু লকডাউনের সময় প্রাপ্য রেশনের কম দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। আর সেই অভিযোগে রেশন দোকানে সকাল থেকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। এমনকি রেশন ডিলারের মোটরবাইকও ভেঙে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। পরে নন্দীগ্রাম থানার বিশাল পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

দুস্থ সাংবাদিকদের পাশে সর্বভারতীয় এই সাংবাদিক সংগঠন

জুলফিকার আলি
    


ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট এন্ড অল এডিটর অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় সরদার দুস্থ সাংবাদিক  ও হতদরিদ্র পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিচ্ছেন।


ছোটবেলা থেকে গুরুজনের কাছে শিখেছিল মানব সেবাই পরম ধর্ম। মানুষের জন্য তিনি আজ সমাজে কলম ধরেছে সমাজ সংস্কারের করার জন্য।স্বয়ং ঈশ্বর তাকে দিয়ে যা করায় তিনি তাই করে স্বামী বিবেকানন্দর কথামতো একথা তার মুখ থেকে প্রকাশ পায়। তিনি আর কেউ নয়, ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট এন্ড অল এডিটর অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় সরদার।যত দিন যাচ্ছে ততই তিনি চিন্তায় মগ্ন হয়ে পড়ছে,এই লকডাউন এর সময় কিভাবে মানুষের অনাহারের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়, তার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রায় এক মাস ধরে ।নিজের দুবেলা-দুমুঠো অন্নসংস্থান করার মতন পরিস্থিতি নেই তবুও আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সাংবাদিক পরিবার সহ অসহায় পরিবারের জন্য।মুর্শিদাবাদের ১৫ টি সাংবাদিক পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি , সম্পূর্ণরূপে সহযোগিতা করেছিলেন প্রাক্তন পুলিশ সুপার অজিত সিং যাদব ও অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় সভাপতি বাশিরুল হক মহাশয়। এবারের তানার পাশে সহযোগিতার জন্য এগিয়ে এলেন মেহেরপুর দিশারী রুরাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির কর্ণধর বিপ্লব হালদার মহাশয়। তবে মৃত্যুঞ্জয় সরদার
 একজন সৎ ও সুহৃদয় ব্যক্তি মানুষের পাশে এই দুর্দিনে দাঁড়াতে পেরে তিনি নিজেকে ধন্য মনে করছে।মানুষের কাছে হাত পেতে নিয়ে, অন্য হাতে মানুষের সেবা করা তার পরম ধর্ম। ছোটবেলা থেকে এ কাজটি তিনি নিষ্ঠার সাথে করে চলেছে।তাই অসহায় মানুষের কথা তিনি একটু না হলো বেদনা সহিত ভাবতে শুরু করেছে। সোসাইটির কর্ণধর বিপ্লব হালদার কে অসংখ্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন মৃত্যুঞ্জয় সদ্দার ও অ্যাসোসিয়েশনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা।যেভাবে রাজ্যজুড়ে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে ঘরবন্দী সকলে। কলকারখানা, যানবাহন, দোকানপাট, হোটেল, বাজার  সমস্ত কিছু একেবারেই বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের একেবারে করুন অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে দীন দরিদ্র মানুষ এক বেলা খেতে পেলে অপরবেলা কি খাবে তা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এবার এগিয়ে এলো ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট এন্ড অল এডিটরস অ্যাসোসিয়েশন জাতীয় সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় সরদার । তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক চন্দ্রশেখর সরকার। কয়েকদিন যাবত দু একজন সাংবাদিক পরিবারসহ সাধারণ অসহায় মানুষ গুলোকে আমঝারা, সোনারপুর, হেদিয়া  প্রায় ৪০ জনের হাতে চাল, ডাল, আলু, সোয়াবিন, - সহ নানা রেশন সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় অ্যাসোসিয়েশন ও সোসাইটির তরফ থেকে । পাশাপাশি স্থানীয় এলাকার বেশকিছু অসহায় ভবঘুরেদের কথা মাথায় রেখে সংগঠনের জন্য এগিয়ে আসতে চাইছে দিশারি স্কুল এডুকেশন শিক্ষক অনুপ আচার্য মহাশয়।    সরকারি নিয়ম মেনে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী হাতে স্যানিটাইজার ও  মুখে মাক্স পরে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এদিন খাদ‍্য সামগ্রী বিলি করা হয় পাড়ায় ঘুরে ঘুরে।  লকডাউন না ওঠা পর্যন্ত তাঁদের এভাবে খাদ্য সামগ্রী দেওয়া চলবে।তবে সমাজের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষদের এভাবে এগিয়ে আসা উচিত।"  কিন্তু  গ্রামের এই সমস্ত মানুষের কাছে মৃত্যুঞ্জয় সরদাররের  মানবিক উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয় বলে মনে করছেন, স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা। উপস্থিত ছিলেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি সহ ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট এন্ড অল এডিটর এসোসিয়েশনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ  প্রমুখ।

করোনা মোকাবিলায় অনুদান মারিশদা সপ্তর্ষি ক্লাবের

জুলফিকার আলি
  
মূখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান মারিশদা সপ্তর্ষি ক্লাবের। পূর্ব মেদিনীপুর।
করোনা ভাইরাসের মহামারীতে সারা পৃথিবীর সঙ্গে ভারতবর্ষ ও আমাদের রাজ্য পশ্চিমবাংলাও বিপর্যস্ত। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপের দিকে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষকে ত্রাণ তহবিলে দান করার জন্যআহ্বান জানিয়েছেন। মাননীয়া মূখ্যমন্ত্রীর  আহ্বানে আজ   "মারিশদা সপ্তর্ষি ক্লাবের পক্ষ থেকে  ১০,৫০০টাক(দশহাজার পাঁচশত টাকা)মাত্র চেক প্রদান করা হয়।

করোনায় কাজ করে চলেছে কাঁকসা পুলিশ

সেখ নিজাম আলম  
দেশ  ও জাতীয় জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করা পুলিশ প্রশাসনের নিয়মিত দায়িত্ব কর্তব্য কাজ হলেও দেশ জুড়ে দু দফার লক ডাউনে রাজ্য এবং জেলা পুলিশের পাশাপাশি কাঁকসা থানা পুলিশ প্রশাসনেরও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এলাকার মানুষের নজরে এসেছে। 
"বিশ্বত্রাস" মারণ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আক্রমণ থেকে বাঁচতে জন সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচার প্রসারের লক্ষ্যে কাঁকসার মত বিশাল এলাকায় সামাজিক শারিরীক দূরত্ব রক্ষার পাশাপাশি এলাকার ভবঘুরে, দূর্বল- অসহায় - অসুস্থ মানুষদের ত্রাণ বিলি,খাদ্য সামগ্রী, ঔষধ-পথ্য পৌছানো প্রশংসার দাবি রাখে। প্রয়োজনে এলাকায় ব্যারিকেট করে অবাধ্য যুব সমাজকে বাগে আনতে লাঠি উঁচিয়ে শাসন -ভীতি প্রদর্শন করার দৃশ্যও নজর এড়ায়নি। তবে স্নেহ মিশ্রিত শাসনে পুলিশের মানবিক রূপও মানুষের চোখে পড়ে। লক ডাউন অবস্থায় এলাকায় শান্তি সংহতি সম্প্রীতি রক্ষার্থে প্রশাসনের স্নেহ শাসনের "কঠোর-কোমল" চরিত্র রূপও এলাকার মানুষ দেখেছে। লক ডাউনের মত জটিল পরিস্থিতিতে এক শ্রেণির মানুষ যারা মাসে একবার ৫-৭ কেজি সরকারি ত্রাণ (খাদ্য সামগ্রী) পেলেও প্রয়োজনে কারো কাছে হাত পাততে পারে না। সংকোচে দ্বিধায় পারিবারিক সম্মানে প্রকাশ্যে (ভিক্ষা) দান গ্রহণ করতে পারে না। যাদের কোন (পূর্ব থেকে) আর্থিক সংস্থান থাকে না,সেভাবে বেসরকারিও কোন "ত্রাণ রসদ " সামগ্রী পায় না। এলাকার নেতানেত্রীদের নজরে পড়ে না " প্রদীপের নীচে অন্ধকার " এমন মানুষের উত্তরণের কথা কারা ভাববে?

ধনিয়াখালিতে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য রক্তদান

সুভাষ মজুমদার
   

হুগলীর ধনিয়াখালি থানার অন্তর্গত গোপীনাথপুর ১অঞ্চলের অধীন  ধরমপুর এলাকায় থ্যালাসেমিয়া রোগী থেকে বহু সাধারণ মানুষ যেভাবে রক্ত সংকটে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে,এমনকি ব্লাড ব্যাংকে  রক্ত নেই বললেই চলে, সেই কথাকে  হাতিয়ার করে  আজ   ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী হেলথ মিশনের পক্ষ থেকে হুগলি জেলা কমিটির উদ্যোগে এক স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির আয়োজন করা হয়,যেখানে  ৫০ জন রক্তদাতা রক্তদান করেছেন ৷ এই উদ্যোগকে সবাই সাধুবাদ জানিয়েছেন, উক্ত মহতী কাজে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সহ-সভাপতি অমিত ক্ষেত্রপাল সহ কমিটির বিভিন্ন কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ৷

দুনিয়া আছে জুড়ে - কাজী একরাম আলী

।।দুনিয়া আছে জুড়ে।।
কাজী একরাম আলী
  

দুনিয়া আছে জুড়ে, 
একটার সাথে আর একটা ঘরে। 
উৎপাদিত প্রতিটি কম্পন সারা বিশ্ব ঘোরে। 
তোমার মায়া মমতা ভালোবাসার কম্পন,  
আমার হিংসা ঘৃণা অহঙ্কারের কম্পন। 
প্রতিটি কম্পনেই মানুষ কম্পিত হয়, 
কেউ তোমার কেউ আমার তরে ।

শনিবার, মে ০২, ২০২০

লকডাউনে নবদ্বীপে সাংবাদিক আক্রান্ত ঘিরে চাঞ্চল্য

শ্যামল রায়
  
করোনাভাইরাস এর জেরে দ্বিতীয় দফায় চলছে সারা দেশজুড়ে লকডাউন। লকডাউন চলাকালীন সরকারের তরফ থেকে যেমন সাহায্যের হাত বাড়ানো হয়েছে তেমনি বিভিন্ন সংস্থা ও এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে চলছে ত্রাণ বিতরণ । কিন্তু ত্রাণ বিতরণ নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই । কিন্তু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাংবাদিকরা যেভাবে নিয়মিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এটা এই সময়ের মধ্যে চ্যালেঞ্জের বিষয় । জীবনকে বাজি রেখে বিভিন্ন জায়গায় ছুটে বেড়াচ্ছেন সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহের জন্য । কিন্তু লকডাউন ভঙ্গ করে বিভিন্ন জায়গায় লোক জমায়েত করে ত্রাণ সামগ্রী দেয়ারও অভিযোগ উঠেছে । সাংবাদিকদের কাজ সত্যতা খুঁজে নেওয়া এবং পুলিশ ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করবার জন্য খবর খুঁজে নেওয়া । আর সেই কাজটি করতে বের হয়েছিলেন নবদ্বীপের একটি স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদক এবং সাংবাদিক হিমাঙ্কর ভট্টাচার্য । কিন্তু লক ডাউন এর নিয়ম সম্পর্কে জানার জন্য প্রশ্ন করতেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছিলেন ওই জনৈক ব্যাক্তি । একজন সাংবাদিককে যেভাবে তার সাথে আচরণ করা হয়েছে ভাষায় বলা কঠিন । বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সাংবাদিককে নানান ধরনের কায়দায় হেনস্তা এবং হুমকি যেন নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়াচ্ছে । অনেকেই বলছেন সাংবাদিকরাই সাংবাদিকের শত্রু । অনেকে রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় ঘুরে বেড়ান আসল সত্যতা খুঁজে বের করে প্রকাশ করার ক্ষমতা রাখেন না । সাংবাদিক হিমাঙ্কর ভট্টাচার্য সত্য সংবাদ প্রকাশের জন্য বের হয়েছিলেন । নবদ্বীপের বিশিষ্ট চিকিৎসক দিলীপ চৌধুরীর নার্সিংহোমে খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার কাজ চলছিল লকডাউন উপেক্ষা করে । সত্য কথা জিজ্ঞাসা করতেই তার উপর আক্রমণ । ওই চিকিৎসক দিলীপ চৌধুরী এবং তার ছেলের বিরুদ্ধে  লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নবদ্দীপ থানায় সাংবাদিক হিমাঙ্ক ভট্টাচার্য ।
হিমাঙ্কর ভট্টাচার্য্য শনিবার জানালেন লকডাউনের মধ্যে ত্রাণ দেওয়ার নামে হাজারও মানুষের জমায়েত করেছিলেন নবদ্বীপের এক চিকিৎসক। সে কথা মনে করতেই স্থানীয় এক পত্রিকার সম্পাদক ও সাংবাদিক কে চরম হেনস্থার শিকার হতে হয়। 
আরো জানা গিয়েছে যে এই ঘটনার কথা জানতে পেরে শহরের সমস্ত সাংবাদিক ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ঘটনায় ওই চিকিৎসকের নামে  নবদ্বীপ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন হেনস্থার শিকার হওয়া ওই সাংবাদিক। লক ডাউনকে উপেক্ষা করে সামাজিক দূরত্বের নিয়মকে কোনও রকম তোয়াক্কা না করেই নবদ্বীপের এক চিকিৎসক দিলীপ চৌধুরী ত্রান বিতরণ করেন নবদ্বীপ দেয়াড়া পাড়া এলাকায়। অভিযোগ, সেই সময় ত্রান বিতরণ কেন্দ্রের সামনে কয়েক হাজার মানুষের ভিড়। সেই ভিড়ে শুরু হয় চরম বিশৃঙ্খলা। খবর পেয়ে স্থানীয় পুরাতন মুক্তিদূত পত্রিকার সম্পাদক ও  সাংবাদিক হিমঙ্কর ভট্টাচার্য ঘটনাস্থলে পৌঁছে, ওই চিকিৎসক কে এই বেআইনি জমায়েতের বিষয়ে প্রশ্ন করলে মেজাজ হারিয়ে ওই চিকিৎসক সাংবাদিক কে হেনস্তা করেন বলে অভিযোগ। পাশাপাশি তাকে এই কাজে সহযোগিতা করেন তার পুত্র চিকিৎসক অনিন্দ্য চৌধুরী ও আরও অনেকে। অভিযোগ এক প্রকার ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তাকে ওই ত্রাণ কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়।এ ব্যাপারে নবদ্বীপ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন সাংবাদিক  হিমঙ্কর ভট্টাচার্য। ডাক্তার দিলীপ চৌধুরী বলেন ত্রান বিতরণের সময় সাময়িক ভুল বোঝাবুঝি হয়।আমি বুঝতে পারিনি উনি একজন সাংবাদিক।আর এখানেই উঠেছে প্রশ্ন।একজন সাংবাদিক যেখানে প্রশ্ন করতে গিয়ে আক্রান্ত।তখন সাধারণ মানুষ প্রশ্ন করবে কার ঘাড়ে কটা মাথা? অভিযুক্তরা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।    

বিদ্যুৎ বিল মকুবের দাবি নদীয়া বিজেপির

শ্যামল রায়

 

লকডাউন চলাকালীন কর্মহীন হয়ে পড়ায় মানুষ অভাবের মধ্যে পড়েছেন। অথচ সরকারি সাহায্য যেমন মিলছে না তেমনি চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছেন সাধারণ মানুষ।
শনিবার নদীয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ইলেকট্রিক অফিসের সামনে ইলেকট্রিক বিল দাবিতে অবস্থান-বিক্ষোভ ভারতীয় জনতা পার্টির যুব মোর্চার সদস্যদের। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিভিন্ন দাবি নিয়ে লেখা ব্যানার সম্মিলিত ছিল  কর্মীদের হাতে। এদিন যুব মোর্চার জেলা সভাপতি ভাস্কার ঘোষ জানিয়েছেন যে মানুষের এখন করুন অবস্থা। অথচ বাড়িতে বাড়িতে ইলেকট্রিক কর্মীরা মিটার রিডিং না নিয়ে বিল পাঠাচ্ছে। অথচ সাধারণ মানুষের হাতে কোন পয়সা করি নেই। বিল পরিশোধ করার মত সামর্থ্য নেই লকডাউন চলাকালীন সাধারণ মানুষের। তাই ইলেকট্রিক বিল মুকুবের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এই অবস্থান-বিক্ষোভ সদস্যদের জানিয়ে দিলেন জেলা নেতা।

সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিনে মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

জুলফিকার আলি
  
আজ সত‍্যজিৎ রায়ের জন্মদিনে টুইটারে শুভেচ্ছা মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

করোনা ভাইরাসের জেরে রাজ‍্যে জুড়ে লকডাউনের মেয়াদ বেড়েই চলেছে। শনিবার রাজ‍্যের মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে বিশ্ব বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এর সঙ্গে মুখ‍্যমন্ত্রী লিখেছেন মহারাজা তোমাকে সেলাম।

গলসির ঈষানচন্ডী মন্দিরে পুজো হলো

সেখ নিজাম আলম
  
গলসি থানার খানো গ্রামে জাগ্রত মা ঈষানচন্ডী মন্দিরে সমগ্র পৃথিবীসহ ভারতবাসীর জনগণ  যাতে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পায় এবং আগের মতো যাতে সমস্ত মানুষ জীবনযাপন করতে পারেন,তারজন্য বিশেষ পূজার আয়োজন করা হয়। এই পূজায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পূজা সম্পূর্ণ করেন পুরোহিত পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এলাকার মানুষ এই পূজার্চনায় অংশগ্রহণ করেন বলে জানা গেছে। ব্যাবস্থাপনায় ছিলেন প্রমোদ রায়।

স্ত্রীর সাথে অভিমান, ভাতারে আত্মঘাতী

আমিরুল ইসলাম

  
 স্ত্রীর সঙ্গে অভিমানে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা  ভাতারের এক ব্যক্তি।

পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের পুরাতন বিডি অফিস পাড়ায় এক ব্যক্তি স্ত্রীর সঙ্গে অভিমানে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলেন, এলাকায় শোকের ছায়া।
ওই ব্যক্তির নাম চন্দন মজুমদার, বয়স 48 বছর।

স্থানীয় সূত্রে খবর চারদিন ধরে স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল চন্দন মজুমদারের।
চার দিন ধরে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হচ্ছিল চন্দন বাবু।

অবশেষে মানসিক অবসাদে, স্ত্রীর সঙ্গে অভিমানে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলেন। স্থানীয়রা প্রথমে উদ্ধার করে ভাতার হসপিটালে নিয়ে যান। চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে ।এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া । 

রমজান সামগ্রী বিলিতে মানকরের কং নেতা

সেখ নিজাম আলম

  
 মুসলিমদের এখন চলছে রমজান মাস। এই লক ডাউনে  রমজান মাসে বেশ কিছু মুসলিম পরিবারের ইফতারের আয়োজন করতে ভালোরকম কষ্ট হচ্ছে। তা উপলব্ধি করে জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষে মানকরের  কংগ্রেস নেতা জয়গোপাল দে মানকরের ব মুসলিম পরিবারদের কে ইফতারের আয়োজন করেন এবং প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বাড়ী বাড়ী পৌছিয়ে দেওয়া হয়। এই লকডাউনে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পেয়ে মুসলিমদের বেশ কতক পরিবার খুশী।

ঔষধ ব্যবসায়ীদের পক্ষে বর্ধমান স্টেশনে খাদ্য সামগ্রী বিলি

সুরজ প্রসাদ

 

ফার্মাসিউটিক্যাল ট্রেডার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল এবং লরেল কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হলো শুক্রবার। এদিন সংগঠনের সদস্যরা বর্ধমান রেলস্টেশন চত্বরে বহু অসহায় মানুষের হাতে খাদ্যদ্রব্য তুলে দেন। এই কর্মসূচিতে ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, প্রাক্তন কাউন্সিলর খোকন দাস,  সমাজসেবী ইফতিকার আহমেদ সহ অন্যান্য

তমলুকে সেন্ট্রাল কো অপারেটিভ ব্যাংকের করোনা মোকাবিলায় উদ্যোগ

জুলফিকার আলি
  

 মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী মহাশয়ের সহযোগিতায় ,তমলুক ঘাটাল সেন্ট্রাল কোঃ অপারেটিভ ব্যাঙ্কে চেয়ারম্যান  গোপাল চন্দ্র মাইতি মহাশয় ও ভাইস চেয়ারম্যান মাননীয় মেঘনাদ পাল মহাশয় ও secretary  কৌশিক কুলভী মহাশয়  নির্দেশে তমলুক সাব ডিভিশন , হলদিয়া সাব ডিভিশন ,ঘাটাল সাব ডিভিশন দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তমলুক ঘাটাল সেন্ট্রাল কোঃ অপারেটিভ ব্যাঙ্ক,আজ ঘাটাল মহকুমা দুঃস্থ মানুষদের মধ্যে চাল,ডাল, আলু,সয়াবিন, তেল,আঁটা বিতরণ করছেন তমলুক ঘাটাল সেন্ট্রাল কোঃ অপারেটিভ ব্যাঙ্কে secretary ম কৌশিক কুলভী মহাশয় ।

করোনায় বামফ্রন্টের নীরব অবস্থান বিক্ষোভ পূর্ব মেদনীপুরে

জুলফিকার আলি

  

বামফ্রন্ট ও সহযোগী দলসমূহের সম্মিলিত অাহ্বানে অাজ জেলা জুড়ে করোনা সংক্রমণ ও লকডাউন জনিত পরিস্থিতিতে স্থগিত প্রচেষ্টা প্রকল্পের অাবেদন অনলাইনে চালু করা, রেশনে কালো বাজারী ও দলবাজি রোধ করা, করোনা নিয়ে প্রকৃত তথ্য প্রদান করা, কর্মহীন মানুষজন কে অ্যাকাউন্টে ৭৫০০ টাকা করে প্রদান করা, পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ী ফেরানোর ব্যবস্হা করা প্রভৃতি দাবী সমূহের ভিত্তিতে অাজ জেলা জুড়ে লকডাউন বিধি মেনে নীরব প্রতিবাদ কর্মসূচী রূপায়িত হয়। তমলুকে নেতৃত্ব দেন সিপিঅাইএম জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি,হিমাংশু দাস,নির্মল জানা প্রমুখ। দেশপ্রাণ ব্লকের মুকুন্দপুরে নেতৃত্ব দেন মামুদ হোসেন, সঞ্জিত দাস, সুতনু মাইতি, সেক সফিউল অালি, সেক সাত্তার প্রমুখ। কাঁথি শহরে নেতৃত্ব দেন সিপিঅাইএম নেতা  হরপ্রসাদ ত্রিপাঠী, কানাই মুখার্জি, অতুল্যসুন্দর উকিল, সলিল বরণ মান্না, কৃষ্ণেন্দু বারিক, জয়দেব পণ্ডা, তরুণ মাইতি,তন্ময় অাদক,মধুসূদন জানা, সিপিঅাই নেতা স্বপন পণ্ডা,অার,এসপি নেতা হোসেন অালি প্রমুখ। মারিশদায় নেতৃত্ব দেন সিপিঅাইএম নেতা কালীপদ শীট, হিমাংশু পণ্ডা,অনন্ত পণ্ডা,রাজনারায়ণ দাস,ঝাড়েশ্বর বেরা প্রমুখ।হেঁড়িয়া তে নেতৃত্ব দেন গোকুল ঘোড়াই,যাদবেন্দ্র সাহু,জাহারাজ অালি,অাশীষ দেবনাথ,প্রবীর দেবনাথ, রাসবিহারী দাস প্রমুখ। রামনগরে নেতৃত্ব দেন সিপিঅাইএম নেতা অাশীষ প্রামাণিক, নীতিশ দাস,অাকাশ প্রামাণিক, ধীরেন্দ্র নাথ পুষ্টি, তাপস চৌধুরী,সুকুমার মৈশাল।বালিসাই তে নেতৃত্ব দেন সব্যসাচী জানা, প্রদীপ দাস,বিষ্ণুপদ দাস,বনবিহারী মাইতি প্রমুখ। সিপিঅাইএম নেতা মামুদ হোসেন জানান এগরা,বালিঘাই,পটাশপুর, মঙলামাড়ো,ভগবানপুর, কলাবেড়িয়া,বাজকুল,মুগবেড়িয়া সর্বত্র এই কর্মসূচী রূপায়িত হয়।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER