বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ০৭, ২০১৯
দীর্ঘদিনের চিত্র সাংবাদিকতার জন্য ভারত স্বজন সম্মান পেলেন গোপাল দেবনাথ
বলগনায় সুদের কারবার নিয়ে চলছে সিন্ডিকেট
ভাতার ব্লকের বলগোনা গ্রামে এক ফুচকা ব্যবসায়ী কচি দাস কে সুদের উপর টাকা দিয়ে ধার দিয়েছিল বলগোনা গ্রামের সান্টু শেখ ও নয়ন শেখ।
এরপর সে টাকা শোধ না করতে পারলে বুধবার সকালে কচি দাস কে প্রথমে হুমকি তারপরে মারধর ও বাড়িতে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ।কচি দাস কে বেঁধে রাখা হয় বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এরপর ভাতার থানার পুলিশ খবর পেলে কচি দাস কে উদ্ধার করে থাকে । ভাতার থানার পুলিশ অভিযুক্ত সান্টু শেখ ও নয়ন শেখ কে আটক করেছে ।স্থানীয় সূত্রে প্রকাশব, সান্টু শেখ ও নয়ন শেখ সুদের উপর টাকা দেয় গ্রামে গ্রামে । কচি দাস কুড়ি হাজার টাকা ধার নিয়েছিল। সেই টাকা সুদে আসলে ৯৮ হাজার টাকা হয়ে যায় ।এক কাটা জায়গা বিক্রি করে প্রায় ৫৮ হাজার টাকার মতো পরিশোধ করেছে কচি দাস ।বাকি ৪০ হাজার টাকা দিতে না পারায় আজ কে তাকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের ।পরিবারের লোকেদের দাবি অবিলম্বে এই ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের সাজা দেওয়া হোক। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় বলগোনা গ্রামে।
পুলিশ কে সন্তুষ্ট রাখতে লিগ্যাল সেলের লাগাদার ধর্ণা বাতিল তৃণমূলের
আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে কলকাতা হাইকোর্টের সামনে এক মঞ্চে লাগাদার ধর্ণায় নামার কথা ছিল তৃনমূল লিগ্যাল সেলের আইনজীবীদের । এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিবেন বলে ঠিক হয়েছিল রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এর নাম । ইতিমধ্যেই গত সোমবার রাজ্যজুড়ে দিল্লির তিসহাজারি কান্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে তৃনমূল লিগ্যাল সেল। সেখানেও কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে বিক্ষোভে দেখা গেছে রাজ্যের আইনমন্ত্রী কে। বৃহস্পতিবার থেকে লাগাদার ধর্ণা কর্মসূচিটি শুরু হত। দলনেত্রীর সবুজ সংকেত মিললে রাজভবনে রাজ্যপালের কাছেও স্মারকলিপি দিতে দেখা যেতে পারে শাসক দলের আইনজীবীদের কে । বুধবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের সামনে ধর্ণা মঞ্চ নির্মাণের কাজ তদারকি করেও যান আইনমন্ত্রী স্বয়ং। সাথে দলীয় আইনজীবীদের রাজ্য নেতৃত্ব ছিলেন।ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে বুধবার বিকেলে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়ে দেয় দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে লাগাদার ধর্ণা কর্মসূচি নেওয়া যাবেনা। কেননা দিল্লি পুলিশের সপক্ষে সমর্থন দিয়েছে এইরাজ্যের পুলিশের বড় অংশ। তাই পুলিশের বিরুদ্ধে লাগাদার ধর্না চালালে এই রাজ্যে পুলিশ মহলে বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে। সেজন্যই তড়িঘড়ি লিগ্যাল সেলের নেতাদের ডেকে বৃহস্পতিবার থেকে ধর্না কর্মসূচি বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। দিল্লির তিসহাজারি আদালতের ঘটনা যেন হাওড়া আদালত কান্ডে পুনরাবৃত্তি। তবে রাজনৈতিক পেক্ষাপট অন্যরকম।গত ২৪ এপ্রিল হাওড়া জেলা আদালতে গাড়ি পার্কিং ঘিরে স্থানীয় থানার পুলিশ আদালতের ভেতরে তান্ডবলীলা চালায়। সেই ঘটনায় মাস খানেক রাজ্যের সমস্ত আদালতে কর্মবিরতি চলে আইনজীবীদের। শাসক দলের আইনজীবীরা প্রায় কোনঠাসা হয়ে পড়েছিলেন হাওড়া কান্ডে রাজ্য পুলিশের ভূমিকায়। বিজেপির উথান ঘটে কলকাতা হাইকোর্টের বার এসোসিয়েশন ভোটে। তবে জেলার প্রায় সব বার এসোসিয়েশন ভোটে নিজেদের দখলে রাখতে সফল হয় শাসক শিবিরের আইনজীবীরা। এরেই মাঝে গত সপ্তাহে দিল্লির তিসহাজারি আদালতে সেই গাড়ি পার্কিং নিয়ে ঘটলো অশান্তি। তাতে কয়েকটি আইনজীবী গুরতর জখম সহ পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের শিকার হলেন বলে অভিযোগ। দিল্লীর এই আদালতের ঘটনায় রেশ পড়লো বঙ্গীয় রাজনীতিতে। দিল্লির রাজ্য সরকার বিজেপি বিরোধী দলের হাতে থাকলেও পুলিশ নিয়ন্ত্রিত হয় কেন্দ্রীয় সরকারের মনোনীত লেফটেন্যান্ট জেনারেলের হাত ধরে। তাই বিজেপির পুলিশের সন্ত্রাস কে হাতিয়ার করে এইরাজ্যে আইনজীবী মহলে জনমত গড়ে হারানো ভিত শক্ত করতে চেয়েছিল তৃনমূল শিবির। দিল্লির তিসহাজারি আদালতে পুলিশ কর্মীদের সাথে কুকুরের তুলনা রেখে ব্যানার পড়েছে। এমনকি এক পুলিশ কর্মী কে ঘটনার পর আদালত চত্বরে গাড়ি পার্কিং করতে এলে মারধর চলে। এইরকম অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে তপ্ত দিল্লি। দিল্লি পুলিশ সমস্ত আদালতে বিচারকদের নিরাপত্তারক্ষী তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। রাজপথে আইনজীবীদের বিরুদ্ধে নেমেছে দিল্লী পুলিশ। তাতে দেশের রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলার প্রভাব পড়েছে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে জ্বলন্ত ইস্যুতে বিজেপি পরিচালিত দিল্লী পুলিশের সন্ত্রাসে সরব হয়েছে বাংলার শাসক দল। ইতিমধ্যেই গত সোমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সমস্ত আদালতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন তৃনমূল লিগ্যাল সেলের আইনজীবীরা। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে কলকাতা হাইকোর্টের সামনে এক মঞ্চে লাগাদার ধর্ণা কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা ছিল। চুড়ান্ত প্রস্তুতিও ছিল, তাতে নেতৃত্ব দেবেন স্বয়ং আইনমন্ত্রীর।এইরুপ পেক্ষাপট প্রস্তুত ছিল। ঠিক এরেই মাঝে দিল্লি পুলিশের পাশে সমর্থন জানায় এই বাংলার পুলিশের বড় অংশ। বিশেষত পুলিশের উচুমহল। দিল্লিতে আইনজীবী বনাম পুলিশের লড়াইয়ে তৃণমূল শিবির পড়ে যায় দোটানায়। লাগাদার ধর্ণা কর্মসূচি চালালে পুলিশমহলে বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে। এই আশংকায় সব প্রস্তুতি চুড়ান্ত হয়েও বাতিল হল হাইকোর্টের সামনে তৃনমূল লিগ্যাল সেলের ধর্না কর্মসূচি। যদিও লিগ্যাল সেলের চেয়ারম্যান ভাস্কর বৈশ্য জানান - " আমরা ইতিপূর্বে রাজ্যজুড়ে দিল্লি কান্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছি "।
বুধবার, নভেম্বর ০৬, ২০১৯
উপনির্বাচনের আগে আইনী রক্ষাকবচ মিললো মুকুল রায়ের
আগামী ২৫ নভেম্বর রাজ্যের ৩ টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হতে চলেছে। এইসব আসনে ত্রিমুখী রাজনৈতিক লড়াই চললেও মুখোমুখি লড়াই মূলত তৃনমুল বনাম বিজেপির। আর বিজেপির তরফে মুকুল রায় রয়েছেন নির্বাচনে দলগত পরিচালনায়। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ফৌজদারি মামলায় বিজেপি নেতা মুকুল রায় সাময়িক স্বস্তি পেলেও বেহালার সরশুনা প্রতারণা মামলায় আইনী জটে ক্রমশ পড়ছিলেন। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী এক দল মুকুল রায় কে জেরা চালিয়েছে। আবার সম্প্রতি বেহালায় কলকাতা পুলিশের এক অফিসে ডেকে মুকুল রায় কে জেরা চালিয়েছেন তদন্তকারীরা। কলকাতা হাইকোর্টে এই আর্থিক প্রতারণা মামলায় আইনী রক্ষাকবচের মেয়াদ ছিল ৮ নভেম্বর পর্যন্ত। এরেই মধ্যে আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শহিদুল্লা মুন্সির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলাটি পুনরায় উঠে। সেখানে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে - 'তদন্তে পূর্ন সহযোগিতার শর্তে আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত কলকাতা পুলিশ মুকুল রায় কে গ্রেপ্তার করতে পারবে না'। আগেকার শর্তাবলি গুলি এবারেও প্রযোজ্য। অর্থাৎ পুলিশের তরফে মুকুল রায় কে জেরা করতে গেলে তিনদিন আগে মুকুল রায় কে আগাম নোটিশ করে জানাতে হবে। এই মামলায় পরবর্তী শুনানি আগামী ৩ ডিসেম্বর। অর্থাৎ বলা যায় আসন্ন বিধানসভার উপনির্বাচনে আইনী স্বস্তি পেলেন বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতা। গত শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল - 'আগামী ৮ নভেম্বর অবধি এই মামলায় অভিযুক্ত মুকুল রায় আইনী রক্ষাকবচ পাবেন। সেইসাথে তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের তদন্তে পূর্ন সহযোগিতা করতে হবে মুকুল রায় কে। তবে জিজ্ঞাসাবাদের তিনদিন আগে নোটিশ করে অবগত করতে হবে পুলিশ কে'। ইতিপূর্বে ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন তুলেছিল পুলিশের তদন্তপ্রক্রিয়ার উপর - জানুয়ারি তে অভিযোগগ্রহণ হওয়ার পর কেন এতদিন পর সক্রিয়তা নিয়ে ? অভিযোগগ্রহণের প্রায় সাত মাস পর পুলিশ এই মামলায় তৎপরতা দেখায়। সেখানে তদন্তে পূর্ন সহযোগিতার শর্তে আগামী ৪ ডিসেম্বর অবধি রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়ানো হয়। তবে এই মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার কে অভিযুক্ত মুকুল রায় কে নির্ধারিত জিজ্ঞাসাবাদের তিনদিন আগে নোটিশ জারী করে অবগত করতে হবে। আগামী ৩ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি আছে। এই মামলায় অভিযুক্ত বাবান ঘোষ কে গত ২১ শে আগস্ট গ্রেপ্তারের পর কলকাতার বাবুঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়ের আরেক ঘনিষ্ঠ বলয়ে থাকা সাদ্দাম আলী কে।একসময় ধৃত বাবান ঘোষ কে জেরা করে নাম উঠে আসে সাদ্দাম আলীর নাম। তাই সাদ্দাম আলী কে পুলিশ গ্রেপ্তার করে থাকে বাবুঘাট এলাকা থেকে। সরশুনা ঘুষকান্ডে দুজন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ায় ক্রমশ চাপে ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়। পুলিশি সুত্রে প্রকাশ, এই মামলায় বাবান ঘোষের পাশাপাশি নাম রয়েছে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের। তাই গ্রেপ্তারির আশংকা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছেন মুকুল রায়। জানা গেছে, আর্থিক প্রতারণা (৪২০ ধারা) , এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র (১২০ বি) এর জামিন অযোগ্য ধারা গুলি রয়েছে এফআইআর কপিতে।বেহালার সরশুনার বাসিন্দা সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের তার অভিযোগপত্রে লিখেছেন - গড়িয়াহাটের বাসিন্দা তথা বিজেপির মজদুর ইউনিয়নের নেতা বাবান ঘোষ ২০১৫ সালে রেলের স্থায়ী কমিটির পদ পাইয়ে দেওয়ার নামে ৪৬ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। সেসময় কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী ছিলেন সুরেশ প্রভু। কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটে যোগাযোগ ভালো আছে বোঝানোর জন্য সংসদ ভবনে এই বাবান ঘোষ বেহালার সন্তু গঙ্গোপাধ্যায় কে নিয়ে গিয়েছিল বলে দাবি। রেলমন্ত্রকের নানা কাগজপত্র নাকি দিয়েছিল অভিযুক্ত বাবান ঘোষ। এই কাগজপত্রের সততা জানতে পূর্ব রেলের সদর দপ্তর কলকাতার ফেয়ারলি প্লেসে গিয়েছিলেন অভিযোগকারী। আর সেখানেই জানতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। যদিও বাবান ঘোষ শিবিরের দাবি - 'সম্প্রতি টালিগঞ্জের একঝাঁক শিল্পীদের তৃনমূল থেকে বিজেপিতে নাম লেখানোর কাজে মুখ্য ভূমিকা নিয়ে ছিলেন বাবান ঘোষ। এই রাজনৈতিক শত্রুতা থেকেই জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু এবং গ্রেপ্তার সে'।প্রশ্ন উঠে ২০১৫ সালের বিষয়টি কেন প্রায় চার বছরের মাথায় তুললেন অভিযোগকারী এবং রেলের স্থায়ী কমিটিতে পদ পেতে কেন এত টাকা দিতেও গেলেন সেই বিষয়েও উঠেছে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন ? এই মামলায় আজ ৪ ডিসেম্বর অবধি মুকুল রায়ের রক্ষাকবচ বাড়লো। ৩ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ। মুকুল রায় সংবাদমাধ্যম কে জানিয়েছেন - 'দলবদল করার পর মমতার সরকার তাঁর বিরুদ্ধে ত্রিশটির মত ফৌজদারী মামলা রুজু করেছে। বেশিরভাগ মামলায় অভিযোগকারীরা হলফনামায় মামলা প্রতাহার করে নিয়েছে' । এইসব করে আগামী বিধানসভায় তৃনমূল তাদের ভরাডুবি রুখতে পারবেনা বলেও হুশিয়ারি দিয়েছেন মুকুল রায়।
দিল্লি আদালতের পুলিশি সন্ত্রাসের প্রতিবাদে তৃণমূল লিগ্যাল সেল
গত সপ্তাহে দিল্লীর তিসহাজারী আদালতে গাড়ী পার্কিং কে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল আদালত চত্বর। বেশ কয়েকজন আইনজীবী গুরতর জখম হয়েছিলেন। কয়েকজন আইনজীবী কে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। দিল্লীর এই আদালতে আইনজীবী বনাম পুলিশের ঝামেলায় এক দাগী আসামি উত্তরপ্রদেশ পুলিশের হাত থেকে পালিয়েও যায়। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ইতিমধ্যেই 'বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া' জানিয়েছে। সোমবার দুপুরে তৃণমূল লিগ্যাল সেলের উদ্যোগে রাজ্যব্যাপী মহকুমা / জেলাস্তরের আদালতগুলির পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টেও তিসহাজারি কান্ডের প্রতিবাদ মিছিল হয়। এদিন তৃনমূল লিগ্যাল সেলের এহেন বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সামিল হয়েছিলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। তিনি নিজেও দীর্ঘদিন ধরে আসানসোল আদালতে আইনজীবী হিসাবে কাজ করে গেছেন। এদিন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন - "দিল্লীর পুলিশ কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা পরিচালিত, তারা যে সন্ত্রাস সেদিন ঘটিয়েছে তার সুবিচার চাই "। তৃনমূল লিগ্যাল সেলের উদ্যোগে আজ হাইকোর্ট এর গেটে ধর্নায় উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মুখাপাধ্যায়, লিগ্যাল সেলের চ্যেয়ারম্যান ভাস্কর ভৈশ্য, বার কাউন্সিল মেম্বার আনসার মন্ডল , নীলমাধব গাঙ্গুলি ,আইনজীবি স্বপন ব্যানাজী, রাতুল বিশ্বাস , দ্বারিকানাথ মুখার্জি প্রমুখ। আজ বেলা একটা নাগাদ কলকাতা হাইকোর্টের গেটে শয়ে শয়ে আইনজীবীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এরপর সিটি সেশন কোর্টের গেট অবধি মিছিল চালান। তৃনমূল লিগ্যাল সেলের চেয়ারম্যান ভাস্কর বৈশ্য এবং বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের ভাইস চেয়ারম্যান সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায় জানান - " রাজ্যজুড়ে প্রতিটি আদালতে আজ আমরা দিল্লীর আদালতে পুলিশি সন্ত্রাসের প্রতিবাদ জানিয়েছি "।
রবিবার, নভেম্বর ০৩, ২০১৯
টালিনালা সংস্কারের প্রয়াস
মোল্লা জসিমউদ্দিন
'আদি গঙ্গা না হাইড্রেন!' এই বিষয়ক সংবাদ ছবিসহ আপডেট হয় আমাদের পোর্টালে । আর তাতেই টনক নড়ে প্রশাসনের। দেখা যায় গীতাঞ্জলি মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন আদি গঙ্গায় নোংরা আবর্জনা স্তূপ সরাতে ব্যস্ত পুর কর্মীরা। এই আদি গঙ্গা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে পবিত্র নদী। সেই নদী বর্তমানে স্থানীয় প্রশাসনের অবহেলায় হাইড্রেনের রুপ নিলেও তাতে ভক্তদের ভক্তি কমেনি। প্রতিদিনই যারা জাগ্রত কালিঘাট মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। তারা মন্দিরে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি আদি গঙ্গার ঘাটে এসে পুজোর অঞ্জলি দেন। মহানগরের বিভিন্ন নিকাশি নালা নর্দমার জল এই আদি গঙ্গায় মিশে। তার উপর নোংরা আবর্জনার স্তুপ এই আদি গঙ্গার উভয় পাড় গুলিকে সংকীর্ণ করে তুলেছে।আদি গঙ্গা কিংবা টালি নালার সংস্কারে উদ্যোগ ক্ষুদ্রতর হলেও এটি এক ইতিবাচক দিক বলে মনে করেন স্থানীয়৷
মোমরেজগড় গ্রামীণ হাসপাতালে সর্বদা চিকিৎসক সুনিশ্চিত করার নির্দেশ হাইকোর্টের
শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জয়নগর এলাকার এক গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসক না থাকা বিষয়ক এক মামলা উঠে। তাতে ডিভিশন বেঞ্চ দক্ষিণ ২৪ পরগনার সিএমওএইচ কে নির্দেশজারী করেছে যাতে ওই হাসপাতালে সর্বদা চিকিৎসক থাকে। এখানে চার সপ্তাহ সময়সীমা দেওয়া হয়েছে এই আদেশনামা টি কার্যকর করার জন্য। আদালত সুত্রে প্রকাশ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর এলাকার মোমরেজগড় গ্রামীণ হাসপাতাল টি একদা বিধান চন্দ্র রায়ের মুখ্যমন্ত্রীত্বের আমলে গড়া হয়েছিল। বছর দশ আগে ছোটখাটো অপারেশনও হত। ২০১৭ সালে ১৫ অক্টোবর গৌড় সর্দার নামে এক এলাকাবাসী হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা ফেরাতে শতাধিক বাসিন্দাদের সাক্ষর নিয়ে লিখিত দাবিপত্র রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর, জেলাশাসক এবং বিডিও কে দিয়েছিল। আশেপাশে দশের বেশি গ্রামের বাসিন্দারা এই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল। সাধারণত গ্রুপ ডি এবং নার্সরা রোগীদের চিকিৎসা করতো বলে অভিযোগ। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে ২০১৭ সালে নভেম্বর মাসে এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা উঠে আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায় চৌধুরীর হাত ধরে। সেসময় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে একজন চিকিৎসক নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। গত দুবছর ধরে পুনরায় এই হাসপাতালে চিকিৎসক অনিয়মিত হয়ে উঠে। আবার কলকাতা হাইকোর্টের দৃস্টি আকর্ষণ করানো হয় হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবার গতি বাড়াতে। শুক্রবার দুপুরে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলাটি পুনরায় উঠে। তখন ডিভিশন বেঞ্চ দক্ষিণ ২৪ পরগনার সিএমওএইচ কে এই গ্রামীণ হাসপাতালে সর্বদা চিকিৎসক থাকার বিষয়ে নির্দেশজারী করে এবং তা কার্যকর করার জন্য একমাসের সময়সীমা দেওয়া হয়। মামলাকারীর আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায় চৌধুরী জানান - " গ্রমের দিকে স্থানীয় হাসপাতালের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সরকার যেখানে স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতিকরণে এত তৎপর, সেখানে একটি হাসপাতালে অধিকাংশ সময় চিকিৎসক না থাকাটা দুর্ভাগ্যজনক। "
শনিবার, নভেম্বর ০২, ২০১৯
বর্ধমান শহরে ডিজেলসেট এলাকায় দুর্ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য
সানি প্রসাদ
শুক্রবার, নভেম্বর ০১, ২০১৯
শিয়ালদহ হাসপাতালে কুকুর হত্যা মামলায় চার্জশিট দাখিল এন্টালি থানার
মোল্লা জসিমউদ্দিন
শিয়ালদহ আদালতে এসিজেম এজলাসে এনআরএস হাসপাতালে কুকুর হত্যা মামলায় চার্জশিট দাখিল করলো এন্টালি থানার পুলিশ। প্রায় ৯ মাস পর ২০৪ পাতা বিশিষ্ট চার্জশিটে দুজন কে পুলিশি রিপোর্টে দোষী হিসাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। যদিও এই মামলায় ৫ জন সন্দেহভাজন ছিলেন। কুকুর হত্যা মামলায় এনআরএস হাসপাতালে নার্সিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী বাঁকুড়ার মৌটুসী মন্ডল এবং নাসিং বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী কাকদ্বীপের সোমা মন্ডলের নাম রয়েছে। ঘটনার প্রথমভাগে এরা দুজন গ্রেপ্তার হলেও বর্তমানে ব্যক্তিগত জামিনে মুক্ত রয়েছেন। চার্জশিটে পশু হত্যা, খুনের নৃশংসতা এবং তথ্য প্রমাণ লোপাটের ধারা গুলি আছে। ১৬ টি কুকুর শাবক হত্যায় তোলপাড় হয়েছিল বাংলা। বিশেষত কুকুর শাবক খুনের ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছিল সোশাল মিডিয়ায়। কলকাতার বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংগঠন এই ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতাল চত্বর সহ কলকাতার রাজপথে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছিল। যদিও এই হাসপাতালের ডেপুটি সুপারের নেতৃত্বে এক তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছিল। আদালত সুত্রে প্রকাশ, গত ১৩ জানুয়ারী কলকাতার শিয়ালদহ সংলগ্ন এনআরএস হাসপাতালের মেটারনিটি ওয়ার্ডে বস্তাবন্দি কুকুর শাবকদের মারতে দেখা যায় কয়েকজন কে। যা পরে ভাইরাল ভিডিও হিসাবে ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। ঘটনাস্থলের পাশেই রয়েছে নার্সিং বিভাগের হোস্টেল। তাই সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী সহ নার্সিং বিভাগের ছাত্রীদের পুলিশি তদন্তে সন্দেহভাজন হিসাবে রাখা ছিল। এন্টালি থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ চালানোর পাশাপাশি হাসপাতালের বিভিন্ন প্রান্তের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে থাকে। ১৬ টি কুকুর শাবক হত্যায় প্রায় ৯ মাস পর ২০৪ পাতার চার্জশিট দাখিল পেশ করা হয় এদিন শিয়ালদহ আদালতে। যেখানে নার্সিং বিভাগের দুই ছাত্রী মৌটুসী মন্ডল এবং সোমা বর্মনের বিরুদ্ধে পশু হত্যা, খুনের নির্মমতা এবং তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগগুলি আনা হয়েছে। এই গুরত্বপূর্ণ মামলায় এন্টালি থানার পুলিশ চার্জশিট দাখিল করতে এত সময়সীমা কেন নিল, তা নিয়েও আইনজীবীদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন।
আইনজীবী খুনে জেলা পুলিশের তদন্তে সন্তুষ্ট বার কাউন্সিল
মোল্লা জসিমউদ্দিন
পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর থানার আঝাপুরে মহিলা আইনজীবী মিতালি ঘোষ খুনে পুলিশি তদন্তে আস্থা জানালো বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টে নাগাদ বর্ধমান সদরে পুলিশসুপার অফিসে পুলিশসুপারের সাথে ঘন্টা খানেক বৈঠক হয় বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রতিনিধিদের। বৈঠক শেষে বার কাউন্সিলের সদস্যরা জানিয়েছেন - 'যেভাবে খুনের পাঁচদিনের মাথায় ফরেন্সিক রিপোর্ট, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট সহ দশের বেশি নিহত আইনজীবীর প্রতিবেশী সহ যাতায়াতকারীদের উপর জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছে। তাতে তদন্তে আস্থা রাখা যায়"। পুলিশ সুত্রে প্রকাশ, ওই মৃতা আইনজীবীর মোবাইল ফোনের কললিস্ট সহ টাওয়ার লোকেশন খুজবার জন্য সাইবার শাখা আলাদাভাবে খতিয়ে দেখছে। এদিন বর্ধমান সদর আদালতে বিক্ষোভ প্রদর্শন এবং পুলিশসুপার অফিসে স্মারকলিপি কর্মসূচিতে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের পক্ষে ছিলেন আনসার মন্ডল, সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায়, শ্যামল ঘটক, প্রসূন দত্ত, কৈলাশ তামুলি, মিহির বন্দ্যোপাধ্যায়, রবীন ভট্টাচার্য, নীলমাধব গাঙ্গুলি, উত্তম মজুমদার প্রমুখ। ৯ সদস্য বিশিষ্ট বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের এই প্রতিনিধিদল এদিন দুপুরের মধ্যেই বর্ধমান সদর আদালতে পৌছায়। জেলা বার এসোসিয়েশনের সাথে আলোচনা সেরে আদালতের মূল গেটে কালো ব্যাচ পড়ে প্রতীকি প্রতিবাদ জানায় বার কাউন্সিল। এরপরে বর্ধমান জেলা বার এসোসিয়েশনের পদাধিকারীদের নিয়ে পুলিশসুপার অফিসে যান তাঁরা। কেন খুন হল? পুলিশ তদন্তে কি কি করছে? কোন তথ্য প্রমাণ মিলেছে কিনা? ব্যক্তিগত খুন না পেশাগত শত্রুতায় খুন? এই বিধ নানান প্রশ্ন তাঁরা পুলিশসুপারের কাছে রাখেন। পুলিশসুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রতিনিধিদের জানান - এই খুনের সংবাদ পাওয়া মাত্রই তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। সিআইডির ফরেন্সিক শাখা কে জরুরি তলবে আনা হয় জামালপুরের আঝাপুরে। তারাও প্রাথমিক রিপোর্ট দিয়েছে। এই মামলায় গুরুত্ব অনুভব করে বর্ধমান সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তাড়াতাড়ি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই রিপোর্ট দিয়েছে তাদের কে "। পুলিশ সুপারের এহেন ভুমিকায় খুশি বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রতিনিধিরা। বার কাউন্সিল এর পক্ষে আনসার মন্ডল - সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায় জানান - " আমরা পুলিশি তদন্তে আস্থা রাখি, যেভাবে তদন্ত চলছে তার গতি যেন কমে না যায়। সেই বিষয়েও আমরা নজর রাখব "। উল্লেখ্য, গত ২৬ অক্টোবর জামালপুরের আঝাপুরে নিজ বাড়ীতে খুন হন বর্ধমান সদর আদালতের সিভিল ও ক্রিমিনাল বিভাগের আইনজীবী মিতালি ঘোষ। হাত পা বাঁধা অবস্থায় বিবস্ত্রভাবে দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। এই খুনের প্রতিবাদে বর্ধমান সদর আদালতে গত বুধবার কর্মবিরতি পালিত হয়। জেলা বার এসোসিয়েশন বিষয়টি দ্রুত বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল কে জানায়। বুধবার বিকেল বার কাউন্সিলের পক্ষে রাজ্যব্যাপী আদালতগুলিতে আইনজীবীদের কর্মবিরতি ডাকা হয়। তা আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাজ্যের সর্বত্র আদালতে কালো ব্যাচ পড়ে প্রতীকি প্রতিবাদ জানিয়ে কর্মবিরতি চলে। এরপর আজ বিকেল ৩ টায় পূর্ব বর্ধমানের পুলিশসুপারের সাথে ৯ জন বার কাউন্সিল মেম্বার স্মারকলিপি কর্মসূচি সহ খুনের মামলায় তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা চালায়। তাতে পুলিশি তদন্তে আস্থা জানালো বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল। তৃনমূল লিগ্যাল সেলের চেয়ারম্যান ভাস্কর বৈশ্য জানান - " জামালপুরে মহিলা আইনজীবী খুনে পুলিশ অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার করুক, এটা আমরা দলের লিগ্যাল সেলের পক্ষে দাবি জানাই "।
বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ৩১, ২০১৯
বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে সহবাস, বিয়ে না করায় গ্রেপ্তার যুবক
বিয়ের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গে গ্রেপ্তার ১,উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাদুড়িয়া থানার অন্তর্গত ফতুল্লপুর গ্রামে আশরাফুল মিস্ত্রি (২৪) নামে এক যুবক বহুদিন ধরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্থানীয় এক মেয়ের সাথে সহবাস করে। সূত্রের খবর তাদের মধ্যে সম্পর্ক দীর্ঘদিনের, এমতাবস্থায় আশরাফুল মিস্ত্রি তার সমস্ত প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মেয়ের বাড়ির লোকজন বাদুড়িয়া থানায় পুলিশের দ্বারস্থ হন এবং লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাদুড়িয়া থানার পুলিশ আশরাফুল মিস্ত্রিকে গ্রেপ্তার করে আজ তাকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।
বর্ধমানে মহিলা আইনজীবী খুনের প্রতিবাদে আজ আইনজীবদের আদালতে কর্মবিরতি
পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার আঝাপুরে মহিলা আইনজীবী মিতালি ঘোষ খুনের প্রতিবাদে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট সহ সারা রাজ্যের সমস্ত দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালতে কর্মবিরতি চলবে। সেইসাথে কালো ব্যাচ পড়ে আইনজীবীরা এই নির্মম খুনের ঘটনায় প্রতিবাদ জানাবেন আদালত চত্বরে। বুধবার দুপুরে সিটি সিভিল কোর্টের ষষ্ঠতলায় বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের জরুরি বৈঠক হয়, সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে এই কর্মবিরতি বিষয়ে সির্দ্ধান্ত গ্রহণ হয় বলে জানিয়েছেন বার কাউন্সিল এর পক্ষে সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায়, আনসার মন্ডল প্রমুখ। তাঁরা বলেন - " বৃহস্পতিবার দুপুরে এই মহিলা খুনে প্রকৃত দোষীদের খুঁজতে পুলিশসুপারের অফিসে ৭ সদস্যর দল যাবেন "। পূর্ব বর্ধমানের সদর আদালতের বার এসোসিয়েশনের সহ সম্পাদক সঞ্জয় ঘোষ জানিয়েছেন - " আমরা জেলা বার এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বার কাউন্সিল কে প্রতিবাদ জানাবার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি করেছিলাম "। মহিলা আইনজীবী খুনের তদন্তে ইতিমধ্যেই জামালপুর থানার পুলিশ কোমর বেঁধে তদন্তে নেমেছে। খুনের তিন দিনের মধ্যেই খুনের ঘটনাস্থলে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ থেকে প্রতিবেশী সহ যারা বাড়ীতে আসতেন ( কাজের মেয়ে, পেপারওয়ালা, দুধওয়ালা) তাদের একপ্রস্ত জিজ্ঞাসাবাদ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন জামালপুর থানার ওসি পুস্পেন্দু জানা। যদিও এই মামলায় সুনির্দিষ্টভাবে কারও নামে অভিযোগ হয়নি। এলাকা সুত্রে জানা গেছে, পূর্ব বর্ধমান জেলার আদালতে সিভিল ও ক্রিমিনাল বিভাগের আইনজীবী মিতালি ঘোষ একাই বাড়ীতে থাকতেন। গত ২৭ অক্টোবর সকালে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বিবস্ত্রভাবে মাঝবয়সী মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। ওই বাড়ীতে গৃহপরিচারিকার কাজ করা মেয়েই প্রথমে ডাকাডাকি করে দেখতে না পেয়ে আশেপাশের প্রতিবেশীদের এনে ক্ষতবিক্ষত দেহের সন্ধান পায়। ঘটনার পরেই পূর্ব বর্ধমান জেলা আদালতে বার এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থলে আসে এক প্রতিনিধিদল। এরপর গত মঙ্গলবার জরুরি বৈঠক সেরে বুধবার জেলা আদালতে কর্মবিরতির সির্দ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এবং বিষয়টি রেজুলেশন করে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল কে পাঠানো হয় বলে জানান জেলা আদালতের বার এসোসিয়েশনের সহ সম্পাদক সঞ্জয় ঘোষ মহাশয় । তাতে বুধবার দুপুরে কলকাতার সিটি সিভিল আদালতে ষষ্ঠতলায় অবস্থিত বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের অফিসে জরুরিসভা চলে। সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে মহিলা আইনজীবী খুনের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে আইনজীবীদের কর্মবিরতি এবং কালো ব্যাচ পড়ে প্রতীকি প্রতিবাদ জানানোর জন্য সির্দ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের ভাইস চেয়ারম্যান সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে বার কাউন্সিল এর ৭ জন মেম্বার জেলা বার এসোসিয়েশনের পদাধিকারীদের নিয়ে পূর্ব বর্ধমান এসপি অফিসে স্মারকলিপি কর্মসূচি সহ তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে আলোচনা চালাবেন। এই প্রতিনিধিদলে নেতৃত্ব দেবেন বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা কলকাতা হাইকোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী আনসার মন্ডল মহাশয়। জামালপুরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মহিলা আইনজীবী খুনের ঘটনায় জানিয়েছেন - "নিহত ওই মহিলা আইনজীবী জেলা সদর আদালতে যেসব মামলায় যুক্ত ছিলেন, সেইসব মামলায় পক্ষে বিপক্ষে যারা রয়েছেন, তাদের কে জিজ্ঞাসাবাদ চালালে খুনের আসল কারণ উঠে আসতে পারে"। কেননা নিছকই চুরি - ডাকাতির জন্য এই খুন নয়, তা মনে করেন তারা।মামলার কাগজপত্র হাতাতে কিংবা কোন গুরত্বপূর্ণ মামলায় ওই আইনজীবীর না থাকাটা খুনিদের কাছে লাভবান হতে পারে।
নারদা মামলায় ব্যাংকশাল আদালতে জামিন মিললো না আইপিএস মির্জার
মোল্লা জসিমউদ্দিন
যিনি অন্যের অভাব অভিযোগ শুনতেন, সাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণও করতেন। আজ তিনি নিজেই অন্যায় অবিচারের শিকার! ঠিক এইরুপ অভিযোগ আইনজীবীর মাধ্যমে তুলে জেল বদলের দাবি তুললেন অবিভক্ত বর্ধমান জেলার পুলিশসুপার সৈয়দ হোসেন আলী মির্জা। বুধবার দুপুরে কলকাতার ব্যাংকশাল আদালতে পেশ করা হয় নারদা আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ধৃত আইপিএস সৈয়দ হোসেন আলী মির্জা কে।মির্জার আইনজীবী জামিনের পক্ষে সওয়াল চালালেও সিবিআইয়ের আইনজীবী জামিনের কড়া বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে ব্যাংকশাল আদালতে সিবিআই এজলাসের বিচারক ধৃত আইপিএস কে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেন। অর্থাৎ আগামী ১৩ নভেম্বর পুনরায় পেশ করা হবে এই এজলাসে ধৃত আইপিএস কে। গত ২৬ শে সেপ্টেম্বর সিবিআই অফিসে জেরা চলাকালীন গ্রেপ্তার দেখানো হয় নারদা আর্থিক দুর্নীতির মামলার অভিযুক্ত পুলিশ কর্তা কে। এই নিয়ে চারবার তাঁকে সিবিআই আদালতে এই এজলাসে পেশ করা হল। যদিও জেলে থাকাকালীন কোন জিজ্ঞাসাবাদ চালায়নি তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। বুধবার আইনজীবির মাধ্যমে প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন এই পুলিশ কর্তা।যা নিয়ে রাজ্যরাজনীতেতে রীতিমতো হইচই শুরু হয়ে গেছে। যদিও সিবিআই এজলাসের বিচারক এইসব অভিযোগ শুনবার এক্তিয়ার নেই বলে জানিয়েছেন৷ তিনি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ জেল কর্তৃপক্ষ কে লিখিতভাবে জানাবার পরামর্শ দিয়েছেন। শুধু একটি - দুটি অভিযোগ নেই জেল হেফাজতে থাকা বরখাস্ত আইপিএস সৈয়দ হোসেন আলী মির্জার। অনেকগুলিই অভিযোগ তাঁর। প্রথমত, তাঁর মুখের মাক্স খুলে নেওয়া হচ্ছে, দ্বিতীয়ত প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র মিলছেনা ( তিনি বেশকিছু রোগে অসুস্থ) , তৃতীয়ত নিম্নমানের খাবার দেওয়া হচ্ছে। চতুর্থত তাঁর সাথে খারাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি মেন্ট্রাল ট্রমার মধ্যে আছেন তাই পরিবারের সাথে বেশিবার দেখা করার অনুমতি মিলছেনা। সাধারণত জেলবন্দিদের সপ্তাহে একবার দেখা করতে দেওয়া হয়। মির্জা সাহেবের আইনজীবী সপ্তাহে তিনবার পারিবারিক সদস্যদের সাথে জেলে দেখা করার অনুমতি চেয়েছেন। এই বিধ জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ গুলি এজলাসে তোলা হলেও বিচারক বিষয়টি জেল কর্তৃপক্ষ কে জানাবার পরামর্শ দিয়েছেন।গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে নারদা স্টিং অপারেশন প্রকাশ্যে আসতেই দেশজুড়ে হইচই শুরু হয়ে যায়। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলায় তদন্তভার যায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই এর কাছে। তারা প্রায় অভিযুক্তের কলকাতা অফিসে জেরাপর্ব চালান। সাথে তাদের ভয়েস রেকর্ড সংগ্রহ করে ফরেন্সিকের জন্য। এই মামলায় এই রাজ্যের হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রী সাংসদ পুলিশ কর্তারা অভিযুক্ত। গত ২৬ সেপ্টেম্বর সিবিআই জেরা চলাকালীন পূর্ব বর্ধমানের প্রাক্তন পুলিশসুপার সৈয়দ হোসেন আলী মির্জা কে গ্রেপ্তার করে। প্রথমে ৫ দিনের সিবিআই হেফাজত এরপর তিনধাপে ১৪ দিন করে জেল হেফাজতে রয়েছেন এই পুলিশ কর্তা।এই মামলায় মূল অভিযুক্ত মুকুল রায়ের সাথে মুখোমুখি জেরা চলে। সেইসাথে টাকা লেনদেনের ভিডিওগ্রাফি হয়। এক মাসের বেশি জেলবন্দি রয়েছেন প্রাক্তন পুলিশসুপার। নারদা মামলায় তদন্তে কোন অগ্রগতি হয়নি, তবুও কেন জেলে আইপিএস মির্জা? এই প্রশ্নও এদিন এজলাসে তুলেন মির্জার আইনজীবী।
টোটো চালকের সততায় মুগ্ধ ভাতার
ফের সততার নজির দেখা গেল এক টোটো চালকের। ফেরালেন নব্বই হাজার টাকার সোনার অলঙ্কার।ভাতারের ঘটনা এটি। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতে ভাতারের বড়বেলুনের বড়কালির বিসর্জন ছিল ।সেই বিসর্জনে হাজার হাজার মানুষ সামিল হয়েছিলেন। ভাতারের রবীন্দ্রপল্লীর এক পরিবারের মা ও ছেলে গিয়েছিলেন এই বিসর্জন দেখতে । অভিজিৎ মন্ডল, ও পুষ্প মন্ডল নাম তাদের।পুষ্প দেবী যখন তার পোশাক পরিবর্তন করছিলেন তখন লক্ষ্য করেন তার গলার মধ্যে থাকা দুই ভরি ওজনের সোনার হারটি নেই।
এরপরই বাড়ির সকল সদস্যের মন খারাপ হয়ে যায়। এত ভিড়ের মধ্যে মনে হয় যেন কেউ ছিনিয়ে নিয়েছে এ রকমই চিন্তা-ভাবনা করেন পরিবারের লোকজন।অপরদিকে যে টোটোতে পুষ্প দেবী এসেছিলেন তার বাড়ি ভাতারের খুন্না গ্রামে।টোটো চালকের নাম সঞ্জীব সামন্ত। প্রায় দুই বছর ধরে তিনি টোটো চালাচ্ছেন ভাতারের বিভিন্ন সড়কপথে ।গতকাল রাত্রে তিনি যখন টোটো তে ব্যাটারির চার্জ দিতে যান, তখন তিনি দেখতে পান তার টোটোর মধ্যে একটি সোনার হার পড়ে রয়েছে। তিনি অনুমান করেন ভাতার বাজারের রবীন্দ্রপল্লী যে কাকিমাকে নিয়ে এসেছিলেন তারই হতে পারে হারটি। বুধবার সকালে তিনি রবীন্দ্রপল্লীতে এসে অভিজিৎ মন্ডলের বাড়িতে জিজ্ঞাসা করেন তাদের কোন সোনার জিনিস গতকাল কে খোয়া গেছে কিনা ।তখন তারা জানায় তাদের গলার হার হারিয়ে গেছে।সঙ্গে সঙ্গে সেই হার টি ফিরিরে দেয় টোটো চালক সঞ্জীব সামন্ত।তার এই সততা দেখে খুশি ভাতার এলাকার মানুষজন। অপরদিকে টোটো চালক জানান - " আমাকে খুবই ভালো লাগছে, আমি এই হারটা ওনাকে ফিরিয়ে দিয়েছি"।
একই বাড়ীতে বারবার চুরি, কাঁকসা পুলিশের নিস্ক্রিয়তায় প্রশ্ন
ফের চুরির ঘটনা ঘটলো কাঁকসার বিরুডিহা গ্রামে। চলতি মাসের এক তারিখে চুরির ঘটনা ঘটেছিল। কাঁকসা থানায় অভিযোগ জানানোর পরেও চুরির কিনারা হয় নি বলে অভিযোগ। ফের মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই একই বাড়িতে চুরির ঘটনায় রীতিমত আতংক ছড়িয়েছে ওই পরিবারের মধ্যে। বারবার একই বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটায় বুধবার সকাল থেকেই পরিবারের সদস্যরা ও এলাকার বাসিন্দারা কাঁকসা থানার সামনে ধর্ণায় বসে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা।যদিও পুলিশের তরফে তদন্ত চলছে বলে দাবি করা হয়েছে।
পথশিশুদের ভাইফোঁটা জানালো প্রসেনজিৎ ফ্যানরা
বিভিন্ন সুপারস্টারদের ফ্যানরা সংগঠন গড়ে বিভিন্ন জনহিতকর উদ্যোগ নেয়। দক্ষিণভারতের মেগাস্টার কমল হাসানের ফ্যানরা যেমন নানান সমাজসেবামূলক কাজ করে।ঠিক তেমনি দুই বাংলার সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টপাধ্যায় এর ফ্যানরাও এহেন উদ্যোগ নেয়। কলকাতার উল্টোডাঙ্গা সংলগ্ন তেলেঙ্গাবাগান ( মুচিপাড়া) এলাকায় 'প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি সোশাল অরগানাইজেশান' নামে এইরুপ এক সংগঠন রয়েছে। যারা দীর্ঘদিন ধরে অভিনেতা প্রসেনজিৎ কে উদেশ্য করে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়। মাস কয়েক পূর্বে এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পান্ডে কে এনে শতাধিক অনাথ শিশুদের জন্মদিন পালন করে থাকে। গত মঙ্গলবার সন্ধেবেলায় প্রায় জনা পঞ্চাশ পথশিশুদের এনে ভাইফোঁটা পালন করলো তারা। এই সংগঠনের কর্ণধার বিপ্লব দে জানান - "বুম্বাদার ( প্রসেনজিৎ চট্টপাধ্যায়) নির্দেশে আমরা বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিদের নিয়ে সামাজিক অনুষ্ঠান করে থাকি। কাজ করতে গিয়ে অনেক বাধাও এসেছে তবে বুম্বাদার আর্শীবাদ মাথায় আছে তাই মানুষের পাশে আমরা থাকবই "।
নির্মল বাংলায় আদি গঙ্গা হয়েছে হাইড্রেন
আদি গঙ্গা না হাইড্রেন? দেখলে মনে হতেই পারে এটা সবচেয়ে বড় নিকাশিনালা। তবে কলকাতার কালিঘাট মন্দিরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে আদি গঙ্গা। এখনো মন্দিরের দর্শনার্থীরা এলে এই আদি গঙ্গার ঘাটে আসেন। পুজোও দেন ঘাটে। আদি গঙ্গা টি খিদিরপুর থেকে বয়ে এসেছে। এলাকাবাসীরা জানান - "আদি গঙ্গা কে অনেকেই আবার 'টালি নালা' বলে থাকেন, বৃটিশ আমলে টালি নামে এক ইংরেজ সাহেব এই মজে যাওয়া আদি গঙ্গাটি সংস্কার করেছিলেন। তাই আদি গঙ্গা কে টালি নালাও বলে অনেকে"। বর্তমানে কালিঘাট সহ বিভিন্ন এলাকার ড্রেনের অভিমুখ এই আদি গঙ্গাতে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। তাই আদি গঙ্গা কে দেখলে ভাবতেই পারেন এটি কোনো হাইড্রেন।কেন্দ্রীয় সরকারের স্বচ্ছ ভারত অভিযান কিংবা রাজ্য সরকারের নির্মল বাংলা কর্মসূচি কতটা ফিকে তা কালিঘাটের আদি গঙ্গা দর্শন করলেই বোঝা যায়!
সোমবার, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
সারেঙ্গাতে বস্ত্রবিলি হল
রবিবার, অক্টোবর ২৭, ২০১৯
গরুপাচারে তৃণমূল কে সিবিআই দিয়ে জব্দ করতে চায় বিজেপি!
উরশেও এনআরসি ইস্যু তুললেন রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী
মোল্লা জসিমউদ্দিন
শনিবার সারাদিনব্যাপি পূর্ব বর্ধমানের সদর মঙ্গলকোট গ্রামে আস্তানা শরীফে হল পীর হজরত মাওলানা সৈয়দ শাহ রাশাদ আলি আল কাদেরীর ১৪ তম বাৎসরিক উরস মোবারক ।এই উরস মোবারকে এসেছিলেন রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বোলপুর সাংসদ অসিত মাল, রাজ্যসভার সাংসদ আহমদ হাসান ইমরান, বাংলাদেশের ঢাকার সাংসদ নাগিদ সোহাগ, বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের মেম্বার তথা কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী আনসার মন্ডল, সেহেরাবাজার আল আমিন মিশন এর পদাধিকারী সফিকুল ইসলাম প্রমুখ। কয়েকশো বছর আগে পীর হজরত মাওলানা সৈয়দ শাহ রাশাদ আলি আল কাদেরী ধর্মীয় প্রচারে সূদুর ইরাকের বাগদাদ থেকে ভারত বর্ষে এসেছিলেন। সুফিবাদের প্রচারে মঙ্গলকোট কেই বেছে নিয়েছিলেন এই ধর্মীয় প্রচারক। শনিবার এই উরশ উৎসব মঞ্চে সভাপতিত্ব করেন সৈয়দ শাহ ফাদিল এরশাদ রাশুদ আলি আল কাদেরী। এরপর অধ্যাপক সৈয়দ শাহ মারহুনুল এরশাদ আলি আল কাদেরী কোরান ও হাদিসের পেক্ষাপটে কিভাবে সৌভ্রাত্ব বাড়ানো যায় সেই বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। সৈয়দ শাহ ওয়ামিকুল এরশাদ আলি আল কাদেরী হুজুর কেবলার জীবন আদর্শের উপর আলোকপাত করেন এদিন মঞ্চে। শনিবার সদর মঙ্গলকোট গ্রামে সকালেই উরশের সূচনা ঘটে মিলাদ মেহফিলের মাধ্যমে। দুপুর একটা নাগাদ দ্বিতীয় পয্যায়ের সভা শুরু হয়। রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা এই পবিত্রস্থানে এসে মনে তৃপ্ত হয়েছেন, তা ব্যক্ত করেন৷ সেইসাথে এনআরসি নিয়ে বাংলা কে অশান্ত করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে তার বিরুদ্ধে একতা এবং সৌভাতৃত্বের পক্ষে সওয়াল চালান। কাজি নজরুল ইসলামের 'মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম' কবিতার বাস্তবতা খুবই জরুরি তা সভায় আগত শত শত ভক্তদের বলেন মন্ত্রী। এরপর বোলপুর সাংসদ অসিত মাল 'ধর্ম কাউকে ছোট করাতে শেখায়নি' তা নিয়ে সপক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন। রাজ্যসভার সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরান বক্তব্য পেশে মুঘল সম্রাট শাহজাহান বাদশার শিক্ষাগুরু ও দীক্ষাগুরু আব্দুল হামিদ দানেশখন্দ ( হামিদ বাঙ্গালী) এর সুফিবাদের প্রচারে মঙ্গলকোট তথা বাংলার অবস্থান তুলে ধরেন৷ কয়েশ বছর ধরে মুসলিমরা দিল্লীতে রাজত্ব চালালেও উত্তর - দক্ষিণ - পশ্চিম ভারতে মুসলিমদের সংখ্যা বাড়েনি। তবে পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মুসলিম সংখ্যা বেড়েছে কেননা সুফিবাদের প্রচারের সার্বিক বিকাশ ঘটেছিল এইখানে।এই সুফিবাদের প্রচার সমসাময়িক ক্ষেত্রে আরও দরকার, তা নিয়ে কোরান শরীফের বিভিন্ন অংশ তুলে ধরেন ইমরান সাহেব। এই উরশে শুধু এই বাংলা নয় ভারতবর্ষে বিভিন্ন প্রান্তের শত শত ধর্মপ্রাণরা এসেছিলেন। বাংলাদেশ থেকেও এসেছিলেন অনেকেই । ঢাকার সাংসদ নাগিদ সোহাগ, বাংলাদেশের শিল্পপতি মহম্মদ জাকারিয়া এই বাংলায় এসে অভিভূত তা বারবার ব্যক্ত
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
OLD POSTED
আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
মোল্লা জসিমউদ্দিন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER
-
বাকুঁড়ার কোতলপুর ব্লক তৃনমূল কমিটির পরিচালনায় বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদসভা হয়।উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শ্যামল সাতঁরা, সাংসদ সৌমিত্র খান, জেলা স...