রবিবার, এপ্রিল ২৬, ২০২০

আইনজীবীদের আর্থিক সাহায্য করলো হাইকোর্টের বার এসোসিয়েশন

মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)    

কলকাতা হাইকোর্টের বার এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ৪০০ জন আইনজীবীদের ২ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হল। এখনও ৬০০ এর বেশি আইনজীবীদের আবেদন রয়েছে। আইনজীবীদের একাংশের কাছে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার অনুরোধ রেখেছেন বার এসোসিয়েশন এর সভাপতি অশোক কুমার ঢনঢনিয়া।               করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় বিধিনিষেধ বজায় রেখে গত ১৬ মার্চ থেকে রাজ্যের সমস্ত আদালত একপ্রকার অচল হয়েছে। যা মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ  অবধি ধাপেধাপে সময়সীমা বাড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুধুমাত্র কলকাতা হাইকোর্টে ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি চলছে তাও মাসে ৭ থেকে ৮ দিন মত। গত ১৬ মার্চ থেকে রাজ্যের আইনজীবীরা একপ্রকার বেকারত্বের শিকার বলা যায়। গোটা রাজ্যে ৪২ হাজার মত নিয়মিত / অনিয়মিত আইনজীবী রয়েছেন। এর মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে আইনী পেশার সাথে যুক্ত প্রায় ১০ হাজার আইনজীবী। টানা ৪০ দিন আদালতমুখী হয়নি এই রাজ্যের আইনজীবীমহল। আর্থিক সমস্যায় আইনজীবীদের বড় অংশ। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে ডিভিশন বেঞ্চে বারাসাতের এক আইনজীবী আইনজীবীদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া সহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে মামলাও করেছেন। ১৬ এপ্রিল এই মামলার শুনানির  জন্য নির্ধারিত হলেও  আগামী ৩০ এপ্রিল এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে। গত ৩০ মার্চ ব্যক্তিগতভাবে আইনজীবী সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এবং রাজ্য আইনমন্ত্রী কে ইমেল মারফত চিঠি লিখে আইনজীবীদের পাশে দাঁড়াবার জন্য আবেদন রেখেছেন। গত ৮ এপ্রিল বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের বর্ষীয়ান সদস্য আনসার মন্ডল কেন্দ্রীয়  বার কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান কে   চিঠি লিখে আইনজীবীদের পাশে দাঁড়াবার অনুরোধ জানিয়েছেন। এই চিঠিও প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য আইনমন্ত্রী কে। সেইসাথে রাজ্যের বার কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান অশোক দেব মহাশয়কে ও    অবগত করানো হয়েছে। আনসার বাবু রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ৩৭ টি বেসরকারি আইন কলেজ কর্তৃপক্ষ কে আইনজীবীদের এহেন দুসময়ে পাশে দাড়ানোর আহবান জানিয়েছেন। অপরদিকে কলকাতা হাইকোর্টের বার এসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক কুমার ঢনঢনিয়ে অত্যন্ত তৎপরতায় এক রিলিফ ফান্ড গড়েছেন। ইতিমধ্যেই ৮০০ এর বেশি আইনজীবী বার এসোসিয়েশনের পদাধিকারীদের কাছে ইমেল মারফত আর্থিক অনুদান দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।হাইকোর্টের  বার এসোসিয়েশন সুত্রে প্রকাশ, এহেন আইনজীবীদের ২ হাজার টাকা করে মাসিক আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে  । ইতিমধ্যেই ৮ লক্ষ টাকা উঠে এসেছে আইনজীবীদের আর্থিক অনুদান দেওয়ার জন্য। এর মধ্যে বার এসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক কুমার ঢনঢনিয়া দিয়েছেন ২ লাখ, ক্যালকাটা হাইকোর্ট কালচারাল সোসাইটির তরফে ২ লাখ, মিলন মুখোপাধ্যায় দিয়েছেন ১ লাখ অনুদান অন্যতম । বার এসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক কুমার ঢনঢনিয়া জানিয়েছেন    - "আরও ১০ লাখ টাকার অনুদান দরকার। হাওড়ার এক বেসরকারি ব্যাংকে একটি জরুরি কালিন রিলিফ ফান্ড একাউন্ট খোলা হয়েছে"। অপরদিকে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ইমেল মারফত অভাবী আইনজীবীদের আর্থিক অনুদান দেওয়ার প্রয়াস নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বার কাউন্সিল এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্তমান সদস্য আনসার মন্ডল মহাশয়।                                                                                                                                                                                                              


অভুক্তদের খাদ্য সামগ্রী বিলিতে দীঘার 'সূচনা'


জুলফিকার আলি
   আজ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘায় "সূচনা" স্চ্ছোসেবী সংগঠনের সমস্ত সদস্যের উদ্যোগে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ (D.S.D.A) এর কর্মরত সাফাই কর্মীদের হাতে কিছু খাদ্যসামগ্রী যেমন চাল,ডাল,আলু,মুড়ি,সোয়াবিন,তেল, পিয়াজ ইত্যাদি বিতরণ করা হয়।
উপস্থিত ছিলেন বিপ্রদাস চক্রবর্তী,অজিত শাহু,লুৎফা খাতুন,কৌশিক শুঁই,চন্দন পয়ড়্যা, সুশান্ত ঘন্টা,বিদুৎপোর্না মিত্র,সেখ বারজাহান মহম্মদ ও অন্যান্য সদস্য বৃন্দ।
সমস্ত কিছুই তারা প্রশাসনিক নিয়ম মেনে করে চলেছেন। এবং আগামী দিনগুলোতেও তারা একই নিয়ম মেনে অনেক কর্মসূচি পালন করবেন বলে জানিয়েছেন।

হলদিয়ায় পঞ্চায়েত প্রধানের মাস্ক বিলি নিয়ে উত্তেজনা

জুলফিকার আলি
  

রেড জোনে পঞ্চায়েত প্রধান মাস্ক বিলি করতে যাওয়ায় বাধা, ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায় এলাকাবাসী। 

হলদিয়া ::::  নুতন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পূর্ব মেদিনীপুরে বাড়ার ফলে রেড জোনে রয়েছে।সংক্রমন বাড়ার ফলে সতর্ক করছেন প্রশাসন। হলদিয়ার জয়নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে করোনা পজিটিভ পাওয়ার পর নড়ে চড়ে প্রধান।লকডাউন বিষয়ে বরাবরই তৎপর রয়েছে প্রশাসন তবে আরও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা গেল বিশেষ করে "মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক" নির্দেশ জারির পর। নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে আবারও পথে নেমেছে পুলিশ। প্রথমত লকডাউন, দ্বিতীয়ত করোনা সংক্রমণ এড়াতে রাস্তায় একে অপরের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক ব্যবহার বিষয়ের উপরেই বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে প্রশাসন। মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক হওয়ার পর রাস্তায় মাস্ক ছাড়া ব্যক্তিদের আটক করা ও দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে বিশেষ করে মোটরবাইকে একাধিক জন দেখা গেলে বাইক সহ বাইক চালককেও আটক করছে স্থানীয় দূর্গাচক থানা।
হলদিয়া দূর্গাচক থানা এলাকায় পাথরবেড়িয়া  রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত করণ হয়েছে। জয়নগর পঞ্চায়েত এলাকার আশা কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিদর্শন করছেন। তার সঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধান তিনিও মাস্ক বিলি করতে এলাকায়  যান। পাথরবেড়িয়া এলাকাবাসী পঞ্চায়েত প্রধানকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায় এবং মাস্ক বিলি করতে বাধা দেয়।এলাকাবাসীর অভিযোগ যে তারা ঠিকমতো রেশন পায় না ,খাদ্যদ্রব্য পায়না  তাদের খাবার ব্যবস্থা করুন। তারা লকডাউন  অমান্য করে। ঘটনাস্থলে দুর্গাচক থানার বিশাল পুলিশবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে  তাদেরকে বারবার জানানো হয় যে, আপনারা বাড়ির মধ্যে থাকুন। আপনাদের যা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তা বাড়ির মধ্যেই পৌঁছে যাবে। জয়নগর পঞ্চায়েত প্রধান রবীন্দ্রনাথ পাই স্বীকার করেন যে , সরকারি রেশন পত্র সমস্ত ডিষ্ট্রিবিউশন হয়েছে , অযথা বাধার মুখে পড়তে হয়েছে।

অব্যক্ত - প্রণব সমাদ্দার

অব্যক্ত 
        প্রণব সমাদ্দার
হাসিকেই সত্যি ভেবে নিলে?
তুমি দেখলে না চক্ষের বুকে চিক্ চিক্ করা জল,
সূর্যস্নাত দীঘির মতো ;
অস্থি-গারদে আবদ্ধ ব্যথা-আসামীকে 
খুঁজলে না,
শুধু নিরবয়ব সম্ -এর বন্ধনে ,
আমার মুমূর্ষু সঙ্গীতকে
সীমায়িত করো তুমি,
অকরুণ!

অনেক  খেয়ালী বর্ষণের পর,
আকাশ যখন নিজেকে প্রকাশ করার 
নির্লজ্জ আশায় ব্যাকুল --
ঠিক তখনই,
সারা পৃথিবীর কৃষ্ণকায় মেঘে,
তাকে ঢেকে দাও  :
এ কেমন খেলা তব, দুঃশাসন?

যখনই স্বল্প সম্ভারে অর্ঘ্য সাজিয়ে ,
মৌন হস্তে সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বালি  আনত নম্রে 
তখনই লক্ষ  দীর্ঘশ্বাস,
একসাথে পড়ে কোথা হ'তে,
নিভে যায় সে প্রদীপ,
দেবতা অন্ধকারে  থাকে!

দুর্নিবার লিপ্সাহত প্রকৃতিকে,
যখনই ত্যাগের কুঠারে খণ্ডিত করতে উদ্যত হই  :
ঠিক তখনই,
অধরা অমৃতভান্ড সামনে ধরো,
কেন?

তুমি নিজেও জানলে না কী চাও,
আমাকেও জানালে না ।।

অসহায়দের ঔষধ ও খাদ্য সামগ্রী দিচ্ছে বর্ধমান প্রেসক্লাব

সুরজ প্রসাদ
 

কথা রাখল বর্ধমান প্রেস ক্লাব | ওষুধের চাহিদা ফোন করেছিল স্থানীয় যুবক | গত পরশু বর্ধমান প্রেস ক্লাব ওষুধ পৌঁছে দিয়েছে আজ পুনরায় সমাজসেবী শেখ হালিম এর সহযোগিতায় বর্ধমান প্রেসক্লাব পৌঁছায় সেই হৃদরোগীর বাড়িতে | দেওয়া হয় খাদ্য সামগ্রী ও কিছু টাকা  |আবার খবর আসে হীরামনি টুডু 95 বছর বয়স্কা বৃদ্ধা খেতে পারছেন না | বর্ধমান প্রেসক্লাব পৌঁছায় সোনা পলাশীর তার বাড়িতেও | দেওয়া হয় খাদ্য সামগ্রী ও অর্থসাহায্য | 

লকডাউনে করোনার প্রকৃত তথ্য চেয়ে বর্ধমানে বিজেপির অবস্থান বিক্ষোভ

সুরজ প্রসাদ
 

কোরোনার হানাহানির  তথ্য চুরি, রেশনের চাল দুর্নীতি ও বিজেপি সাংসদদের ত্রাণ দিতে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে বর্ধমান জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে। লকডাউনের মধ্যেই বর্ধমান শহরের বিভিন্ন জায়গায় এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।  বিজেপির জেলা সহসভাপতি প্রবাল রায় বলেন, কেন্দ্র সরকার পশ্চিমবঙ্গ বাসিদের জন্য প্রযাপ্ত রেশনের চাল,গম পাঠিয়েছে, কিন্তু দেখা যাচ্ছে বেশির ভাগ মানুষ তা পাচ্ছে না। তৃনমূল নেতারা সেই চাল,গম রেশন দোকান থেকে নিয়ে নিজেদের পার্টি কর্মীদের মধ্যে বিলিয়ে দিচ্ছে। এছাড়া কোরানা সংক্রমণের এখম পর্যন্ত কতজনের মৃত্যু হয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান দিচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সংক্রামণ রুখতে যে পরিমান  র‍্যাপিড টেস্ট করা দরকার  তার ১শতাংশও হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন প্রবাল বাবু।  অন্যদিকে তৃনমূল কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমান সাধারণ সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্ত বলেন, রাজ্যে সরকার যে ভাবে  সকলের মধ্যে রেশন সামগ্রী বন্টন করছে তা দেশের বিজেপি শাসিত রাজ্যে গুলো করছে কি না সন্দেহ আছে। তিনি আরো বলেন, কেন্দ্রের উচিত ছিলো আরো আগে থেকে লকডাউন করা, সেই সাথে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ করা। তা না করায় বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের থেকে দেশে মধ্যে বিশাল আকারে করোনা সংক্রমণ  ঘটেছে। বিজেপি মানুষের এই দুসময়ে পাশে না দাঁড়িয়ে অযথা রাজনীতি করছে। 

দেড় হাজার মানুষদের আহারের আয়োজন গুসকারা তৃণমূলের



সেখ নিজাম আলম
  গুসকরা পৌরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডে ১৫০০ জন বিপর্যস্ত মানুষের হাতে অন্ন তুলে দিলেন আউশগ্রাম বিধানসভার বিধায়ক অভেদানন্দ মহাশয় । উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড সভাপতি, মুন্না সাউ এবং শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি  কুশল মুখোপাধ্যায় মহাশয় ।।

ভাতারের দুরন্ত ক্লাব তিনশো মানুষদের চাল ও মাস্ক দিলো

প্রতাপ চট্টোপাধ্যায়
 

আজ ২৭/০৪/২০২০ ভাতার থানার আমারুন 2 নং পঞ্চায়েতের খেরুর দুরন্ত ক্লাবের পক্ষ থেকে 300 জন পরিবারকে চাল এবং মাক্স দেওয়া হল । সংগঠনের সদস্যরা বাড়ী বাড়ী গিয়ে দুঃস্থ মানুষদের এই সামগ্রী বিতরণ করেন ।

লকডাউনে জাঙ্গিপাড়ার আজাদ হিন্দ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ

সুভাষ মজুমদার
  

জাঙ্গিপাড়া ব্লকে তারাজল গ্রামে ,আজাদ হিন্দ ফাউন্ডেশন পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত ১০৭ টা পরিবারের হাতে , ত্রান সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় ।

দুস্থ পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন সাব ইনস্পেকটর রতন দাস

সেখ রতন
 
আবার মানবিক উদ্যোগ পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের | আজ সকালে স্টেশন এলাকায় ডিউটি করার সময় বর্ধমান সদর থানার এসআই রতন দাস খবর পান লকডাউন এর জন্য বাড়ি ফিরতে পারছেন না মশাগ্রাম এর এক দুস্থ পরিবার | বর্ধমান সদর থানার আইসি পিন্টু সাহার 
নির্দেশে তিনি ওই এলাকায় খবরের সঙ্গে যুক্ত থাকা বর্ধমান প্রেস ক্লাবের সদস্য সাংবাদিক শেখ রতন ও পাপাই সরকারের সাহায্যে গাড়ি ভাড়া করে তাদের পাঠানোর ব্যবস্থা করেন, সঙ্গে প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং হাতে কিছু টাকা এবং খাবার জিনিসপত্র | 

পটাসপুরে ফেসবুক লাইভ ক্লাস

জুলফিকার আলি, 
  

লকডাউনের দিন গুলিতে সমস্ত স্কুল কলেজ বন্ধ তাই ছাত্র ছাত্রীদের কথা ভেবে একটি লাইভ ক্লাস রুমের ব্যবস্থা করলো পটাশপুর ২ নং ব্লকের পঁচেট জুয়েল স্টার ক্লাব ও পঁচেটগড় সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি ব্যবস্থাপনায়  শুক্রবার থেকে এই লাইভ ক্লাসের শুরু হয় প্রত্যহ সন্ধ্যা ৭ টায় দশম শ্রেনীর ছাত্র ছাত্রীদের জন্য বিভিন্ন বিষয়ের ক্লাস  থাকছে ক্লাবের ফেসবুক পেজ থেকে সরাসরি  বাড়িতে বসে দেখতে পাবে ছাত্র ছাত্রীরা. এছাড়া ছাত্র ছাত্রীদের জন্য থাকছে  লাইভ চলাকালিন সরাসরি প্রশ্ন করার সুবিধা সঙ্গে সঙ্গে লাইভে উত্তর দিবেন শিক্ষক মন্ডলি

শনিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২০

চোখের ইশারায় ভালোবাসা

চোখের ইশারায় ভালবাসা 


ফারুক আহমেদ 


উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হচ্ছে শুক্রবার। তারপর থেকে অফুরন্ত সময় নাফিকের হাতে। রেজাল্ট বের হলে কলেজ জীবন ও ভালবাসার আকাশে জ্বলজ্বল করবে নাফিক। সে এসব ভাবতে থাকে। সে চায় প্রকৃত মানুষ হতে। সমাজের জন্য কিছু করতে। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই সমাজের কল্যাণে ছোট্ট ছোট্ট কাজ করে সে। রাস্তায় পড়ে-থাকা বিপদ সরিয়ে রাখে নিরাপদ জায়গায়। ইটের টুকরো, কলার খোসা বা ভাঙা কাচের টুকরো, ডাবের খোলা দেখলে সে সরিয়ে রাখে নিরাপদ আশ্রয়ে। আর সময় পেলেই নজরুল-সুকান্ত পাঠাগারে গিয়ে রফিকুল ইসলাম কাকুর সঙ্গে নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। ঘটকপুকুর হাই স্কুলে পড়তে পড়তেই পাঠাগারের লাইব্রেরিয়ান কাকুকে আপন করে নেয়। কত বইয়ের সম্ভারে সাজানো আছে পাঠাগারটি। লাইব্রেরিয়ান কাকুকে সে জ্ঞানের সমুদ্র মনে করে।

মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে গরিব মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে নাফিক আহমেদ। সে ভালো রেজাল্ট করা ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্কলারশিপের ফর্ম সংগ্রহ করে এবং সেই ফর্ম পূরণ করে জমা দিয়ে আসে বিভিন্ন দফতরে। অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীরা তাঁর সাহায্যে স্কলারশিপ পেয়েও যায়। গরিব ছাত্র স্বপন ও নিজামের জন্য বইও কিনে দেয়, টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে। নাফিকের বন্ধু মহম্মদ গোরাচাঁদ আলি পরবর্তীতে ডাক্তার হয়ে বড়ালী গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করেছে।  

একবার নাফিক স্কুল জীবনে বাড়ির বিনা অনুমতিতেই স্কুলের বন্ধু কুতুবউদ্দিন গাজীর সঙ্গে চৈতালি প্রেক্ষাগৃহে শাহরুখ খানের  "ডর" সিনেমা দেখতে যায়। সেই থেকে সে শাহরুখ খানের অভিনয়ের ভক্ত। জাদু তেরি নজর... গানটি বেশ মনে দাগ কাটে। 

মনে পড়ে আম বাগানের ফাঁক-দিয়ে-দেখা দুটো চোখ আজও তাকে বাঁচার আকাশ দেখায়।  

বেশ চলছিল স্কুল ও খেলাধুলা। সে শাহরুখ খানের জবরদস্ত ফ্যান হয়ে ওঠে। ঘটকপুকুর ও ভাঙড় হাই স্কুলের অনেকেই জানে নাফিক শাহরুখ খানের ভক্ত। টিউশানি থেকে খেলার মাঠের সমস্ত বন্ধুরাই জানে নাফিক শাহরুখ খান-এর সব থেকে বড় ফ্যান।

সানির সঙ্গে শাহরুখ খান নিয়ে আলোচনা চলে। সানি কলকাতার নামি স্কুলে পড়ে,কলকাতাতেই থাকে। বড় ছুটি পেলেই সে মা-বোনের সঙ্গে ঘটকপুকুরের বাড়িতে চলে আসে। আর তখন নাফিকের সঙ্গে সানির দেখা হয়। খেলার মাঠে। তখন কত গল্প করে দুজনে। শাহরুখ খানের নতুন চলচ্চিত্র নিয়ে তুমুল আলোচনা চলে। ভালো অভিনয় করার জন্য কী কী পুরস্কার পেয়েছে, কোন ছবি সব থেকে বেশি হিট হয়েছে– এইসব নিয়ে। 

একাবার সানিদের বাড়ির ছাদে চড়ুই ভাতির আয়োজন আজও ভুলতে পারেনি নাফিক। "দিল তো পাগল হে" সিনেমার গান শুনতে শুনতে চড়ুই ভাতের আয়োজন আজও মনে পড়ে। আর সেই গান, চাঁদনী কুছ কাহাঁ রাতনে কুছ শুনা....। সেদিন মাংসের কি দারুণ টেস্ট হয়েছিল। সানির মায়ের হাতের মাংস রান্নার তারিফ করেছিল নাফিক। 

অন্য দিকে শাহরুখ খান নিয়ে খেলার মাঠে, স্কুলে, কলেজে অন্য অনেকেই বেশ মজা করে নাফিককের সঙ্গে। 

একবার "সংবাদ প্রতিদিন" পত্রিকার শারদীয় সংখ্যায় শাহরুখ খানের জীবনী প্রকাশিত হয়। জীবনী পড়ে অনুপ্রেরণা পায় নাফিক। শাহরুখ খান স্কুল জীবন থেকেই খেলাধুলা ও পড়াশোনায় খুব ভালো। নাফিক ভালো পড়াশোনা করে না। সে ভালো খেলাধুলাও করে না।

সেবার নাফিক তখন ক্লাস সেভেনে পড়ে। স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় নাম দিয়ে সব খেলায় শেষের দিক থেকে প্রথম হয়। ঘটকপুকুর হাই স্কুল ও গার্লস স্কুল পাশাপাশি হওয়ায় খেলার একটাই মাঠ। নাফিক দৌড়ে সবার পিছনে পড়ে যায়, এতে অনেকেই হাসাহাসি করে। দৌড়ে সবার পিছনে পড়ে যাওয়ার জন্য সে লজ্জাও পায়।

সে শাহরুখ খানের এতো বড় ফ্যান। আর সে সবার সামনে হেরে যাবে তা হতে পারে না। 

বাড়ি ফিরে সে মাকে সব বললো। তার মায়ের পরামর্শ মতো নিয়মিত সারা বছর সে দৌড় অনুশীলন করলো। কবিতা আবৃত্তি, বক্তৃতা ও কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে নিজেকে তৈরি করলো।  পরের বছর নাফিক দৌড়ে প্রথম হলো। আবৃত্তি, বক্তৃতা ও কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রাইজও পেল। মনে মনে ঠিক করল সে চেষ্টা করলে পড়াশোনাতেও ভালো করতে পারবে। একটা জেদ চেপেছিল তার ভালো রেজাল্ট করতেই হবে। 

ক্লাস নাইনে উঠে সে শপথ নিল নিজের মনে, প্রথম বিভাগে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে। তাদের স্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার সিট পড়ে বোদরা হাইস্কুলে। সেবার তার দাদা মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। নাফিক তা দেখতে একদিন বোদরা হাইস্কুলে উপস্থিত হলো।

আম বাগানের ফাঁক দিয়ে দেখা সেই মায়াবী চোখের ভালবাসার চাউনি আবারও দেখতে পেল। 

সে যেন স্বপ্ন দেখছে...
তোমার বিনুনী করা চুলের প্রতিটি খাঁজে খাঁজে অফুরন্ত প্রেম যা ডাকে আমায়। আমার ভালবাসার মেঘ জমে ওঠে... খুঁজে ফিরি প্রতিনিয়ত তোমার ভালবাসা চোখের ইশারা। তোমার শরীর ও মনের মধ্যে কত জমেছে শিশিরের টুপটাপ ফোঁটা। এক ফোঁটা বৃষ্টিও পড়েনি কত বছর কত মাস কত দিন তা জানি না। জানি মুখোমুখি হতে পারলে এ জীবন ধন্য। তোমার হৃদয় আকাশ প্রেমিক।

নাফিক তখন ক্লাস নাইনে পড়ে। একটা ভাঙা-চোরা সাইকেল। গায়ে ঘটকপুকুর চৌমাথার ফুটপাত থেকে কেনা সবুজ রঙের গোলগলা গেঞ্জি। স্কুল যাওয়ার জন্য একটিমাত্র প্যান্ট। তাতে ধুলো লেগে থাকে সবসময়। সেই প্যান্ট আর গেঞ্জি পরেই ছুটে এসেছে বোদরা হাইস্কুল। 

আম বাগানের ফাঁক দিয়ে দেখা সেই চোখ। স্বপ্নের পরীর মতো অপূর্ব সুন্দরী রাজকন্যা মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে আসছে। গেটের মুখে দাঁড়িয়ে-থাকা নাফিক তা দেখে চমকে ওঠে। নাফিকের চোখ পড়লো যখন তার চোখে, তখন সে দেখল তার হাতে মোমবাতি পিজবোর্ড কলম রাখার জন্য পেন্সিল বাক্স। বাবরি কাট চুল আর ভুবন জয়ের হাসিতে সে যে কি জাদু, তা শুধু নাফিকই জানে। 
 
এদিকে নাফিকের ভাঙা টালির ছাউনি দিয়ে বৃষ্টি পড়ে টাপুরটুপুর। ভিজে যায় বিছানার চাদর। মা-আব্বার আশা জাগায় নাফিক। সে নতুন আকাশ দেখার সাহস জোগায়। 

অন্য দিকে ভালবাসার জন্য কিছু করে দেখানোর জেদ। বই কলম খাতা নিয়ে সেই যে পড়তে বসা, আজও সে লিখছে, পড়ছে। প্রকৃত মানুষ হতে। 

একদিন সে তার ভালবাসার সামনা সামনি হয়ে সব মনের কথা খুলে বলবে। 

ভালবাসার যোগ্য হতে সে স্কুল জীবনে দু'টো পরীক্ষাতেই প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়।

কলেজ জীবন শেষ করে ভালবাসাকে পাওয়ার জন্য ‌সে একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অফিস সেক্রেটারি পদে কাজ জোগাড় করেছে। সে মানুষের মতো মানুষ হওয়ার দৌড়ে ছুটে চলেছে। শিক্ষামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে নাফিক রাত দিন সোসাইটির কাজে আত্মনিয়োগ করে। 

জীবনে চলার পথে জুটেছে কত তাচ্ছিল্যের শেল, কত যন্ত্রণা, তা কেউ বোঝে না। অবজ্ঞার পাহাড় মাথায় নিয়ে পবিত্র ভালবাসার অপেক্ষায় প্রহর গুনে গুনে রাত কাটে নাফিকের। 

অবচেতন মনে বলে চলে নাফিক ফিরে এসো প্রেসিডেন্সি। মনে পড়ে কলেজ জীবনের ফেলে আসা সেই সব দিন। আর তোমার অফুরন্ত দোয়ায় প্রথম চাকরি পাওয়া। তবুও তোমাকে না পাওয়ার সকাল আসে। সূর্য উঠে। খাদহীন প্রেম টলমল করে এ বুকে।

সে স্বপ্নের মধ্যে বিড় বিড় করে কত কথা বলে--- এই নাও তোমার জন্য উদার বিস্তীর্ণ খোলা আকাশ। ভাবনার আসমান জুড়ে ভেসে ওঠে এ কার ছবি? কোন ছবি? বেলা অবেলায় এ কোন আত্মশুদ্ধি?  

নাফিকের লেখা না পাঠানো খামে ভালবাসার চিঠি। কত সুপ্ত প্রতিভার স্ফূরণ দেখি তোমার অণুপ্রেরণায়। মনে পড়ে ফেলে আসা দিন। মুষ্টিবদ্ধ হাত জেগে ওঠার আহ্বান। ভালবাসা প্রেমের গান। আইএসএসএন নম্বরের জন্য উৎসাহ দিলে। আবেদন মঞ্জুর ২৩২০-৩৪৯৮।.....

বসন্তপুরে চাকরি করতে করতে দূর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাহিত্য ও ইতিহাস বিভাগে এমএ পাশ করে নাফিক। নিষ্ঠার সঙ্গে বসন্তপুর এডুকেশন সোসাইটির সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সমৃদ্ধ করার কাজে মন দেয়। নাফিকের উদ্যোগেই বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ফুলে ফেঁপে উঠে। তার অক্লান্ত পরিশ্রমে মডেল স্কুল ও এডুকেশন কলেজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিল। সে সব অতীত ইতিহাস।

কচি কলাপাতার মতো নরম হাতে হাত, চোখে চোখ রেখে আবারও নাফিকের অগ্নিশপথ। নতুন করে বাঁচার লড়াই। এবার নাফিক তাঁর প্রিয় নায়ক শাহরুখ খানের উপর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করতে ভর্তি হয়েছে স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে। 

ভুলতে না পারা পাপ-কথন। আকাশ কাড়ার মিছিলে ওরা কারা? ওরা ছুটছে... ওদের বিরামহীন ছুটে-চলা দেখে গর্জে ওঠে নাফিকের বিবেক। রুখে দেওয়ার মিছিলে পথ হাঁটে। বিভেদকামী শক্তিকে প্রতিহত করতে লিখে ফেলে মহান সহিষ্ণু উদার ভারতকথা।

খোলা জানালায় কত মুখ আর মুখের মিছিল।

মার্বেল শীতল টেবিল আর প্রকৃতির মধ্যে আজও সে খুঁজে ফিরছে আম বাগানের ফাঁক দিয়ে দেখা সেই অপরূপা চোখের ইশারায় ভালবাসা। সে চোখে মুখে আনন্দের অনুভূতি ভালবাসা সাত রঙের আবির। বাঁচার আকাশ। এ দেখা কখনও শেষ হয় না নাফিকের। সে স্বপ্ন দেখে। ছবি আঁকে। হঠাৎ করে তার মনের ক্যানভাস জুড়ে ভেসে ওঠে এ কোন ছবি? কার ছবি? বেলা অবেলায় এ কোন আত্মশুদ্ধি? 

শেষ চিঠি আজও পোস্ট করতে পারেনি নাফিক। হে আকাশ-চারিণী, মূল্যবান তারা জানো কি? তোমার জন্য এ বুকে আজও আকাশ রাখা। ভালবাসা চোখবৃষ্টি।

ভোরের নিস্তব্ধতায়, পিউকাঁহা পাখির ডাকে আজও ঘুম ভাঙে।

তখন তুমি দখিনা হাওয়ায় বিছানা ছেড়ে, শীতের চাদর জড়িয়ে আসো, লাল রঙের সোয়েটার আর কালো শালে শরীর মুড়ে। পরির মতো রাজকন্যা হয়ে। তখনও আধো ঘুমে, ভাঙা স্বপ্নে লীন হতে হতে হাতড়াতে থাকে মাটি। আলতোভাবে হাত রাখো কপালে।

লিচু ফুলে মৌমাছি তখনও খুঁজে ফিরছে মধু। অস্থির চোখে দেখা ঘড়ির চঞ্চল কাঁটা ঘুরে ঘুরে কখন হয়েছে সময়ের নদী। রাজকন্যা তুমি যেন নদীর গুঞ্জরণে প্রতীক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে আপন মনে গাইছো প্রেমের গান, কল্যাণপুর ষ্টেশনে। 

একবার একগুচ্ছ লাল গোলাপ ছাড়াই জানিয়ে ছিলাম 'একুশের বাংলা ভাষায়', ভালবাসি তোমায়।

পরীর মতো রাজকন্যা তখন তুমি ঠায় দাঁড়িয়ে, নির্বাক! আকাশের দিকে তাকিয়ে খুঁজছো শিমুল পলাশের মাঝে ভালবাসার রঙ। 

নতুন হাতে ড্রাইভিং, কাঁপা কাঁপা হাতে স্টিয়ারিং.....

ভালবাসার আসমান জুড়ে এ কোন ছবি? কার ছবি? বেলা অবেলায় এ কোন আত্মশুদ্ধি?

নাফিক আবারও সে স্বপ্নের মধ্যে বিড়বিড় করে--তোমার জন্য বিস্তীর্ণ আকাশ।
দিগন্তব্যাপী খোলা মাঠ। হাতে হাত রেখে প্রাণের বাংলা ভাষাতেই জানাই... ভালবাসি তোমায়। 

প্রিয়া, মনে পড়ে ২৯ জুলাই! তোমার জন্য, বাঁচার জন্য, এ বুকে আজও ভালবাসার আকাশ রাখা। ভালবাসার জন্য বাঁচো, বাঁচার মতো বাঁচো। অনন্ত ভালবাসা নিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে আছি। আম বাগানের ফাঁক দিয়ে দেখা সেই ভালবাসা চোখের ইশারায় ডাকছো আমায়।
আমাদের ভালবাসার একটা চুম্বন অপেক্ষায় অপেক্ষায় প্রহর গুনতে গুনতে কখন অপেক্ষালয় হয়েছে জানা হয়নি। এই চোখের দিকে তাকাও। অফুরন্ত সৃষ্টি খেলা করে চোখে। মেরো না, বাঁচতে দাও।
চেয়ে নাও...মিত্রতা-ভালোবাসা-মনুষ্যত্ব-মানুষ। অবাঞ্ছিত ভেবে ঘৃণা করো না। জেনো অবাঞ্ছিত শুঁয়োপোকা আজও প্রজাপতি হয়।

জানো প্রিয়া, অনেক বছর পেরিয়ে গেল, মানুষ স্বাধীন হয়েছে। আজও আমরা সাম্প্রদায়িকতামুক্ত ভুবন গড়ে তুলতে পারিনি। বিশ্ব জুড়ে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে, সম্প্রীতির বন্ধন অগ্রাহ্য করে বেড়ে চলেছে হানাহানি। মানুষ কবে আর মানুষ হবে? প্রকৃতি বুমেরাং মোকাবিলার বিজ্ঞান কই?

স্বপ্নের রেশ না কাটতেই ফোনের রিংটোন শুনে বিছানায় থেকে উঠে পড়ে নাফিক।

আউশগ্রামের বেলেমাঠ এলাকার যুবকদের মহতি উদ্যোগ

সেখ নিজাম আলম
  

25.04.2020 তারিখে আউশগ্রাম ২ নং ব্লকের অমরপুর অঞ্চলে,
বেলেমাঠ গ্রামের কয়েক জন যুবক ছেলেদের উদ্যগে বিভিন্ন গ্রামে করোনা ভাইরাসের জন্য, 300 জন অসহায় গরীব পরিবারকে চাল,আলু, পিঁয়াজ,ডাল ও লবন বিতরন করল। এই খাদ্যদ্রব্য পেয়ে অসহায় মানুষরা খুব খুশী।

ক্যানিং এলাকায় অভুক্তদের খাদ্য সামগ্রী বিলিতে এক সমাজসেবী সংগঠন

চন্দনা বন্দ্যোপাধ্যায়
 
 ক্যানিং : বাড়িতে বাড়িতে শুকনো খাবার পৌঁছে দিলেন ক্যানিং এর একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। করোনা ভাইরাস যেভাবে সারা পৃথিবীতে থাবা বসিয়েছে ও লকডাউনের জেরে  দুঃস্থ মানুষজন পড়ে গেছে অতিসংকটে। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ জনের খাদ্যের ভাঁড়ারে পড়েছে টান। আর এমন মহামারী বিপর্যয় থেকে সাধারণ দরিদ্র মানুষজন যাতে করে অনাহারে না থাকেন তাঁর জন্য মঠেরদিঘী পল্লী সেবা সদনের সম্পাদক খোকন মন্ডল, অর্পন দাস ও তাপস দাস শুকনো খাদ্য সামগ্রী কিনে  বেরিয়ে পড়েছে ক্যানিং ব্লকের বিভিন্ন আদিবাসী অধুষ্যিত ও দরিদ্র এলাকায়। ক্যানিং ১ ব্লকের দুমকি,জয়রামখালি,নলিয়াখালি,হেড়োভাঙ্গা,ডাবু সহ অন্যান্য প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে প্রায় ১৫০ টি পরিবারের হাতে এই শুকনো খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন তাঁরা।ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে ছিল  মুড়ি, দুই ধরনের বিস্কুট, ডাল, সোয়াবিন, সাবান।এছাড়া ৩০ জন বাচ্চাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বেবিফুড। বেবিফুড টা এই সময় বাচ্চা দের বিশেষ প্রয়োজন আছে।বাসন্তী ব্লকের কুলতলি আদিবাসী পাড়া ও ফুলমালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ও দেওয়া হয়েছে এই সব সামগ্রী।এই সংস্থা শুধু এ সময় নয় সারা বছরই বিভিন্ন ধরনের সমাজ সেবা মূলক কাজ করে থাকেন।

জয়নগরে পথকুকুরদের খাওয়াচ্ছে বেশ কয়েকজন যুবক

চন্দনা বন্দ্যোপাধ্যায়
 
কুলতলি : লকডাউনে অসহায় মানুষদের সেবায় নিরলস কাজ করে চলেছে বহু সংস্থা থেকে শুরু করে বহু মানুষ। শুক্রবার কুলতলির দেউলবাড়ি ও চুপড়িঝাড়া এবং মৈপীঠ এলাকার ২৫০ জন গরীব মানুষ দের হাতে  চাল, ডাল, আলু,পিঁয়াজ, সরিষার তেল, সোয়াবিন, বিস্কুট, সাবান ও মাক্স তুলে দিলেন নিমপীঠ লোকমাতা রাণী রাসমনি মিশনের সদস্যরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে। অন্যদিকে, জয়নগরের দক্ষিন বারাশতের সৌমেন দাস নামে জনৈক এক যুবক তাঁর কয়েক জন বন্ধুকে নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে অসহায় মানুষদের খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়ার পাশাপাশি এলাকার পথ কুকুরদের মুখে তুলে দিচ্ছেন ভাত ও তরকারি।                
                      

আশাতীত প্রত্যাশা - স্বপ্না ব্যানার্জি

আশাতীত প্রত্যাশা
           স্বপ্না ব্যানার্জি 
 
নীল আকাশকে সাক্ষী রেখে,
সূর্যের সাথে নিবিড় করে ভালবেসে ছিলাম,
আটোসাটো বাঁধন আমার নেই 
যা দিয়ে তোমাকে কাছে বেঁধে রাখবো,
বয়সটা এখন বাড়ছে,সকালের সূর্যকে দেখার ইচ্ছা
চাদরে মুড়ে ফেলি নিজের পুরনো চাওয়া পাওয়া,
আমার পুরানো সত্তাগুলো ছিল শুধু তোমার,
তোমার হাতের ব্যস্ততা জানান দিয়েছিল কয়েক দিন আগেই
নিস্পৃহ চাহনিতে চেয়েছিলাম তোমার দিকে,
আর ক্ষত-বিক্ষত করেছিলাম নিজের প্রত্যাশার নিরাপত্তা,
মনে পড়ে শোলে সিনেমার বিরু আর অমিতকে,
আর ওই হেড-টেল এর কয়েনটাকে,
যতবারই টস করেছি হেড পড়েছে, ভাবিনি
আমিও সেই হেড, আমার জীবনে টেল নেই,
যখন আমি হিমশীতল শরীরে ঘুমিয়ে যাব তখন দেখো আমারও দুপিঠেই হেড আছে !
তাইতো আমি আজ বাজিগর,
তোমাকে জেতাতে চেয়েছি আর তোমার 
জেতার আনন্দ উপভোগ করেছি,
অনেক তো আমি জিতলাম আর ফল পেলাম শুধু শূন্য,
তাই হেরে জেতার মজাটাও অনেক সুন্দর,
হিমালয়ের মত আশাতীত প্রত্যাশা যখন
পুরোনো পথে আবার হয়তো দেখা হবে,
হৃদপিন্ডের কাছাকাছি স্পষ্ট শুষ্ক শ্যাওলা জমা স্মৃতি,
অহেতুক অচেতন মনে নেই কোন বিস্ময়ের স্মৃতি,
এক আকাশ দুঃখের সিঁড়ি বেয়ে
শিশির সিক্ত ভোর হয়তো আর কোনদিনও আসবে না!

লকডাউনে দোকান মালিকরা এখন সবজি বিক্রেতা

শ্যামল রায়
 
কালনা কাটোয়া রাস্তার ধারের খাবারের দোকান বন্ধ, পেটে খিদে থাকলেও নেই রোজগার চিন্তিত ব্যবসায়ীরা।

পেটে খিদে থাকলেও বন্ধ কালনা কাটোয়া রাস্তার ধারের খাবারের দোকান। নেই রোজগার চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কালনা থেকে কাটোয়া পর্যন্ত কয়েকশো দোকানদার।শনিবার ওই রাস্তার দোকানদাররা জানিয়েছেন যে এতদিন রাস্তার ধারে খাবার বেঁচে বাড়ির সকলের সংসার চলত। লকডাউন এর কারণে দোকানপাট সব বন্ধ রোজগার নেই। কোন উপার্জন না থাকায় কি করব ভেবে উঠতে পারছি না জানালেন ওই রাস্তার ধারের দোকানদাররা। ওই রাস্তার ধারের কেউ হোটেল ব্যবসায়ী ছিলেন, কেউ রেস্টুডেন্ট খুলে বসে ছিলেন কেউ চায়ের দোকান খুলে বসে ছিলেন এছাড়াও নানান ধরনের ব্যবসা করে সংসার চালাতেন বর্তমানে তাদের ব্যবসা লাটে উঠেছে।অনেকেই জানালেন যে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই সমস্ত ব্যবসা করে আমরা সংসারের খরচ যোগাড় করতাম কিন্তু বর্তমানে লকডাউন এর কারণে চরম আর্থিক সংকটে পড়েছি।
আরো জানা গিয়েছে যে লকডাউন এর আগে কালনা কাটোয়া রাস্তা সম্প্রসারণ হবার কারণে বহু দোকান ভাঙা পড়েছে সেক্ষেত্রেও ব্যবসায়ীরা চরম সংকটের মধ্যে পড়েছিলেন। তারপর শুরু হয়েছে লকডাউন। ফাস্টফুড দোকান থেকে শুরু করে চপ ভাজা বুঝি রুটি সমস্ত দোকান বন্ধ থাকায় চরম বিপদের মধ্যে পড়তে হয়েছে ব্যবসায়ীদের। নিজেদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে দুবেলা পেট ভরা তেই হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের জানালেন ব্যবসায়ীরা। জমানো টাকা থেকে খরচ করে বর্তমান সংসার চালাতে হচ্ছে। সরকার থেকে জন্য যা চালা টা পাচ্ছি তা কিঞ্চিৎ অতএব এই পরিস্থিতিতে আগামী দিন আরো কি সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে ভাবতে হচ্ছে আমাদের। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যা করোনাভাইরাস নিয়ে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কবে নাগাদ লকডাউন উঠবে আর কবেই বা দোকান খুলে ব্যবসা করে সংসার চালাবো? পেটে  খিদে থাকলেও রোজগার নেই মাঝেমধ্যে সবজি বিক্রি করে সংসার চালাতে হচ্ছে জানিয়ে দিলেন বিমল দেবনাথ গৌড় বিশ্বাস সঞ্জয় রাজবংশী সহ একাধিক রাস্তার ধারের ব্যবসায়ীরা।

৫২ টি পরিবার কে নিয়মিত খাদ্য সামগ্রী দিয়ে যাচ্ছে সুসম্পর্ক

সামাজিক সংগঠন সুসম্পর্ক এর তরফে    14 এপ্রিল থেকে যে 52 টি অসহায় শিশু ও তাদের পরিবারকে দৈনন্দিন -  3কেজি চাল, 2কেজি আলু, 500 গ্রাম ডাল, 500 গ্রাম মুড়ি, সাবান ছাড়াও বেবি ফুড (হরলিক্স) এবং আজ মহিলাদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে বিশেষ প্রয়োজনীয় দ্রব্য (স্যানিটারি ন্যাপকিন) দেওয়া হোলো l 

বিদ্রঃ ছবি গুলি অন্যদের উৎসাহিত করার জন্য কাউকে মনে আঘাত বা ছোট করার জন্য না l

শুক্রবার, এপ্রিল ২৪, ২০২০

বিদ্যালয়ের আলু - চাল বিলি নিয়ে উত্তেজনা ভাতারে

আমিরুল ইসলাম
  
 প্রাথমিক বিদ্যালয় চাল ও আলু ঠিক সময়ে না দেওয়ায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ভাতার বিধানসভার তেঁতরাল গ্রামে।


পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার বিধানসভার অন্তর্গত খেতিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে তেঁতরাল প্রাথমিক বিদ্যালয় সঠিক সময়ে চাল ও আলু না দেওয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই এলাকায়।
অভিযোগের তির  স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিমলকুমার মালিকের দিকে।কারণ তিনি গত বেশ কয়েকদিন ধরে বিদ্যালয় আসেননি।

 অবশেষে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের সহযোগিতায় ওই প্রাথমিক বিদ্যালয় চাল দেয়া হলো আজ, খুশি এলাকার মানুষ।

জানা যায় রাজ্য সরকার দ্বিতীয় দফায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলিকে চাল দেওয়ার নির্দেশ দেন এ মাসের ২০ তারিখ থেকে 23 তারিখ পর্যন্ত।
কিন্তু ভাতার বিধানসভার সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে চাল বিতরণ শেষ হয়ে যায় গতকাল অর্থাৎ 23 তারিখে। কেবলমাত্র তেঁতরাল গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে  চাল দেওয়া হয়নি।
অভিযোগ ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিমল কুমার মালিক গত এক সপ্তাহ ধরে বিদ্যালয় আসেননি এবং ওনার ফোনেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না ।অবশেষে এলাকার মানুষজন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শুকতারা বেগমকে বিষয়টি জানান ।
গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শুকতারা বেগমের সহযোগিতায় ওই বিদ্যালয়ে আজ চাল বিতরণ হল।
পাশাপাশি ওই চাল বিতরনে সহযোগিতা করেন তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা।

আজকের এই চাল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শুকতারা বেগম, তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে সৌমেন হাটি, প্রহ্লাদ দাস ,আব্দুল নঈম, অসিত কুমার পাঠক।

গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শুকতারা বেগম জানান আমার কাছে বারবার অভিযোগ করছিল গ্রামের অভিবাবকরা। আমি খোঁজ খবর নিয়ে দেখি স্কুলে সঠিক সময়ে চাল আসেনি।স্কুলে চালাসে 22 তারিখে। এরপর আমি প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি উনি ফোন ধরেননি ।তাই আমি আমার এলাকার মানুষজনদের নিয়ে আজ চাল বিতরণ করলাম এলাকার মানুষ খুশি।

অপরদিকে স্কুল পরিদর্শক  সৌমেন মন্ডল জানান আমার কাছে অভিযোগ আসে তেঁতরাল স্কুলে চাল দেয়া হয়নি ।আমি খোঁজ নিয়ে দেখি প্রধান শিক্ষক স্কুলেই আসেননি। ওনার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তার উত্তর পাইনি। তাই অবশেষে আজকে চাল বিতরণ হয়েছে প্রধানের  সহযোগিতায় সরকারি নিয়ম মেনেই।
অপরদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিমলকুমার মালিক এর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি কারণ ফোনের সুইচ অফ ছিল।
সব মিলিয়ে দেরিতে চাল পেলেও প্রধানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিভাবকরা। 

সর্বভারতীয় মিডিয়ার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগদায়ের কাঁকসায়

সেখ নিজাম আলম
  

জাতীয় কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে অসংবিধানিক ভাষায় অপমানিত করার জন্য , রিপাব্লিক টিভি এবং সাংবাদিক অর্নব গোস্বামীর বিরুদ্ধে, আজ কাঁকসা ব্লক কংগ্রেস ও মানকর ব্লক কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কাঁকসা থানা ও বুদবুদ থানায়  একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। কংগ্রেস  নেতা এআইসিসি সদস্য ও পশ্চিম বর্ধমানের প্রাক্তন জেলা সভাপতি মাননীয় দেবেশ চক্রবর্তীর নির্দেশে এবং মানকরের কংগ্রেস নেতা জয় গোপাল দে তার অঞ্চলকে নিয়ে কাকসা ব্লক কংগ্রেসে ও মানকর  কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই লক ডাউনে দূরত্ব বজায় রেখে এই অভিযোগ পত্র দায়ের করা হয়। দাবী থাকে সোনীয়া গান্ধীকে অপমান করার জন্য যেন এই সাংবাদিকের উপযুক্ত শাস্তির ব্যাবস্থা করা হয়।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER