রবিবার, মে ১৭, ২০২০

লকডাউনের মধ্যেই নিয়মবিধি মেনে খুলছে সমুদ্রগড়ের তাঁতের হাট

শ্যামল রায়
  
রবিবার থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলার সর্ববৃহৎ তাঁতিদের জন্য তাত হাট চালু হলো। সমুদ্রগড় গণেশ চন্দ্র কর্মকার তাঁত কাপড়ের হাট চালুতে খুশি এলাকার তাঁতিরা। এই তাঁতের হাট চালুর আগের দিন শনিবার রাজ্যের অন্যতম মন্ত্রী স্থানীয় বিধায়ক স্বপন দেবনাথ নেতৃত্বে তার সমস্ত বিল্ডিং জীবানুনাশক স্প্রে করা হয়েছে। হাটের অন্যতম কর্ণধার সুবীর কুমার কর্মকার জানিয়েছেন যে সপ্তাহে চার দিন হাট বসবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এই তাঁতের হাটে কেনা বেচা হবে বলে জানানো হয়েছে।
সমুদ্রগড় এলাকায় অধিকাংশ মানুষ তাঁত শিল্পের উপর নির্ভরশীল। সামনে পূজোর মরশুম শুরু হয়ে গিয়েছে তাই বাড়িতে বসে তাঁতের শাড়ি বুনন করলেও শাড়ির দাম ছিল খুব কম। তাঁতিরা কম দামে মহাজন খপ্পরে পড়ে শাড়ি বিক্রি করছিল। তাঁতের হাট চালুতে এলাকার গরিব তাঁতিরা তাদের শাড়ি বিক্রি করতে পারবে এবং সংসার চালাতে পারবেন। তবে সুবীর কুমার কর্মকার জানিয়েছেন যে লকডাউন এর কারণে বাইরে থেকে বড় বড় ব্যবসায়ী আসতে পারবেন না তবে এলাকার তাঁতিরা তাদের উৎপাদিত শাড়ি এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন বলে তিনি মনে করছেন। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন যে লকডাউন এর ফলে বহু মানুষ আছেন যারা অভাবের মধ্যে পড়েছেন সেই সমস্ত তাঁতিদের সূরাহা হবে হাটে কেনাবেচা করায়। তিনি সমস্ত রকম সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন।

হাইকোর্টে হুগলিতে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করার কথা জানালো রাজ্য

মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)    

আজ অর্থাৎ রবিবার থেকে হুগলিতে চালু হচ্ছে স্বাভাবিক ইন্টারনেট পরিষেবা। শনিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণন এবং বিচারপতি অরিজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের তরফে এজি কিশোর দত্ত জানান - 'ভদ্রেশ্বরের  তেলিনিপাড়ায় এক গন্ডগোলের জেরে শ্রীরামপুর এবং চন্দননগর মহকুমা এলাকায় বিক্ষিপ্ত উত্তেজনার ঘটনা ঘটে। গুজবে যাতে অশান্তি না হয় সেজন্য হুগলি জেলা পুলিশ ও প্রশাসন গত ১২ মে থেকে ১৭ মে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখে বিজ্ঞপ্তি জারী করে। বর্তমানে ওই এলাকায় কোন অশান্তি নেই। এখন স্বাভাবিক,তাই রবিবার থেকে স্বাভাবিক হচ্ছে ইন্টারনেট পরিষেবা '। যদিও এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী শুক্রবার। উল্লেখ্য, মে মাসের ১১ তারিখে হুগলির ভদ্রেশ্বর এলাকায় তেলিনিপাড়ায় এক গোস্টি সংঘর্ষর ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পরবর্তীতে বিভিন্ন সোশ্যালমিডিয়ায় নানান ভিডিও - ছবি ভাইরাল হয়ে উঠে। তাতে হুগলি জেলার শ্রীরামপুর এবং চন্দননগর মহকুমা এলাকায় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষর ঘটনা ঘটে। এতে তড়িঘড়ি জেলা পুলিশ ও প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১২ মে থেকে ১৭ মে অবধি বন্ধ রাখে ইন্টারনেট পরিষেবা।এই ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যহত হওয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসা থেকে অনলাইন কেনাকাটা বন্ধ হয়ে যায় একপ্রকার। তাও লকডাউনে মানুষ যেখানে গৃহবন্দি। সময় কাটাতে ইন্টারনেট অত্যন্ত জরুরি। এইবিধ নানান দাবি সামনে রেখে আইনজীবী সৌমাভ মুখোপাধ্যায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ইমেলে চিঠি দেন। এটি জনস্বার্থ মামলা হিসাবে গ্রহণ করে থাকে কলকাতা হাইকোর্ট। এর পাশাপাশি আরও দুটি মামলা দাখিল হয় এই ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করার দাবিতে। গত শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। সেইসাথে রাজ্যের বক্তব্য পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। মামলার গুরত্ব বুঝে শুক্রবারের পর শনিবারও  অনলাইন শুনানি চলে। সেখানে রাজ্যের পক্ষে এজি কিশোর দত্ত জানান - ' আগে গুজব সন্ত্রাস রুখতে এহেন নির্দেশিকা জারী করে ছিল জেলা পুলিশ ও প্রশাসন। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তাই ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করতে কোন অসুবিধা নেই। তাই রবিবার থেকে হুগলির ওই অংশ গুলিতে চলবে ইন্টারনেট '। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী শুক্রবার।                                                                                                                                                                 

ভারত চেতনা - হুমায়ুন কবীর

ভারত চেতনা
হুমায়ুন কবীর

 

কে না জানে শিক্ষার সাথে জ্ঞান কোথায় যেন ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে, আর জ্ঞান বিকশিত করে  চেতনাকে। চেতনার ইতিহাস বড্ড পুরাতন আর এই ইতিহাস পুরাকালে ভারতবর্ষেরই ছিল একচেটিয়া। মানুষের ১৩৫০ গ্রাম মস্তিস্কের কোষে কোষে সঞ্চিত জ্ঞানই হল চেতনার আধার। চার হাজার বছরেরও বেশী পুরাতন ভূর্জপত্রে লেখা ঋক বেদ পৃথিবীতে অন্যতম পুরান গ্রন্থ আর তার জন্মভিটে ভারতবর্ষ, গ্রন্থ আকারে ঋক বেদ শিক্ষার শুধু নয় জ্ঞান আর চেতনার শক্তপোক্ত প্রমান। তবে শিক্ষ ছাড়া চেতনা হয় না বা শুধু মানুষেরই চেতনা আছে তাতো নয়, নইলে ফি’বছর সাইবেরিয়া থেকে গুচ্ছের হাঁস উড়ে আসতে পারতো না সাঁতরাগাছি ঝিলে, ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা বড় করে ফিরেও যেতে পারত না বছরের পর বছর, এমন হাজারো উদাহরনের ছড়াছড়ি জীববিজ্ঞানের বইগুলোতে। মজার ব্যপার হল ঋক বেদেই আছে ভারতের উল্লেখ, দুশ্মন্ত আর শকুন্তলার সন্তান রাজচক্রবর্তী ভরত চেয়েছিলেন অখণ্ড ভারতে হাজারো ভাষাভাষী আর ভিন্ন ভিন্ন ঈশ্বর বিশ্বাসের ভিতের উপর দাঁড়িয়ে থাকা মনুষ্যের মধ্য জাতীয় চেতনা জাগাতে, ভৌগলিক বা রাজনৈতিক বাঁধনে নয়, জ্ঞানের উন্মেষ ঘটিয়ে। অভিজ্ঞতা জ্ঞান আর চেতনার বিকাশের সঙ্গে জড়িয়ে থাকলেও আধুনিক মানুষের গুহা ছেড়ে দুপায়ে হেঁটে বেরিয়ে আসা নয় নয় করে হয়ে গেল ষাট সত্তর হাজার বছর, চেতনা তখনও ছিল, আজও আছে তবে আমাদের ভারতবর্ষে এটি বহু প্রাচীন হলেও চেতনার জাগরন পরবর্তীকালে সেভাবে হয়নি, আমাদের সামনে দিয়ে হামাগুড়ি মেরে বেরিয়ে আসা য়্যুরোপ-আমেরিকা ড্যাং ড্যাং করে অনেকখানি এগিয়ে গেছে চেতনার হাইওয়েতে আর আমরা বহু পুরাতন তামাদি হয়ে যাওয়া চেতনা নিয়ে দিন দুপুরে মিথ্যাচারন করছি গলি-ঘুঁজিতে।   
আরও একটু এগিয়ে এলে তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক চানক্যকে পেয়ে যাই খ্রিষ্ট পূর্বের শ’তিনেক বছর আগে, মৌর্য বংশের চন্দ্রগুপ্ত-বিন্দুসারদের নীতি আর চেতনার অথেন্টিক গুরু চেতনার সুগন্ধ আজও ছড়িয়ে থাকেন অন্তরজালে, কুলকুচি করার মত অবলীলাক্রমে পঙক্তি পঙক্তিতে নীতির মাধ্যমে চেতনা ছড়িয়ে আসছেন এতগুলো বছর, খুব প্রাসঙ্গিক চিরকালীন এক চিন্তক। চানক্য নীতিতে ম ম করত তখনকার রাজনীতি আর অর্থনীতি। তাঁর নীতিই ছিল তখনকার রাজা রাজড়াদের পথনির্দেশিকা আর বর্তমানের মারপ্যাঁচের যুগের রেফারেল উপদেশ।  
পৃথিবী জুড়ে সাড়া ফেলে দেওয়া চেতনার কথা যদি ভারতবর্ষের বাইরে গিয়ে ভাবি, যদি উঁকি মারি পশ্চিমে, খ্রিষ্টপূর্বে ইহুদিদের রমরমা বাজার, এমনই এক ইহুদি মা মেরীর কোল আলোকিত করে যীশু জন্মালেন বেথলেহেমের পশুখোঁয়াড়ে, খ্রিষ্টীয় ক্যালেন্ডার শুরুর বছর চারেক আগে। আজ পর্যন্ত পৃথিবীর ইতিহাসে সবচাইতে প্রভাবশালী ব্যক্তি যীশুর বানীর ছত্রে ছত্রে চেতনার উন্মেষ, ছড়িয়ে পড়ল ভালোবাসার কথা, ক্ষমা আর শান্তির বার্তা। ভক্ত হয়ে গেল বহু ইহুদি। ভগবান আসলে কেমন, তাঁকে কেমন করে ডাকব তাই নিয়ে ইহুদিদের সঙ্গে গোল বাধল, ইহুদিরা মানল না ওঁর চেতনার বাণী, বিরুদ্ধাচারনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই হয় ইহুদি কতৃপক্ষকে, রোমান সম্রাট পন্টিয়াস পাইলেটর হুকুমে ক্রুশ বিদ্ধ হলেন যীশু কিন্তু মৃত্যু হল কোথায়? চমকপ্রদভাবে জেগে উঠলেন প্রভু হয়ে, তাঁর চেতনা বিকশিত হল পৃথিবী জুড়ে। পৃথিবীতে আজও এক তৃতীয়াংশ মানুষ যীশুর সেই জাগিয়ে যাওয়া চেতনার আনুগামী।  
ষষ্ঠ শতাব্দীর শেষভাগে জন্মালেন আর এক মহাপুরুষ, মধ্যপ্রাচ্যের বেদুঈনদের অরাজকাতার মাঝে আবু আল কাশিম মুহাম্মদ ইবন আদব্দুল্লাহ ইবন হাশিম আকা মুহাম্মদ। আল্লাহ্‌র দূত পয়গম্বর মুহাম্মদ একাত্ববাদ আর বাস্তববোধ সম্বল করে বিচার বিবেচনাবোধ তরঙ্গের মত বইয়ে দিলেন সমাজে, মহান আল্লাহ্‌র বানী সুরাতে সুরাতে ভরে দিলেন মানুষের মধ্যে চেতনা জাগাতে, মক্কার মাটিতে জন্ম নিল নতুন ধর্ম ইসলাম। মূর্তি পুজার বিরোধী এই পয়গম্বর প্রতিরোধের মুখে পড়লেন এমনকি তাঁর নিজস্ব কুরাইশ বংশের মধ্যেও। মক্কা ছেড়ে পাড়ি দিলেন মদিনায়, হিজরার পর বছর পাঁচেকের রক্তক্ষয়ী লড়াই লড়তে হল মুহাম্মদকে, জিতলেন মুহাম্মদ। বছর আটেক পরে ফিরে এলেন মক্কায় প্রায় বাধাহীন অসম  যুদ্ধের মাধ্যমে, মুক্তি দিলেন বন্দীদের, ক্ষমা করে দিলেন তাঁর বিরধীদের, নতুন এক চেতনার জন্ম হল মক্কার মাটিতে। হু হু করে ছড়িয়ে পড়ল ইসলাম, বহু মানুষ হয়ে উঠলেন ইসলাম আর মুহাম্মদের আনুগামী।  
যদি ফিরে তাকাই ভারতের ইতিহাসের দিকে, অষ্টম শতাব্দী শুরুর দিকে আরব থেকে মোহাম্মাদ বিন কাশিম দখল করলেন সিন্ধু আর মুলতান, তারপর মাহমুদ গজনি, মুহম্মদ ঘোরি হয়ে দাস বংশ, খিলজি বংশ আর তুঘলক বংশ পেরিয়ে ভারত দেখল লোদি বংশ। ভারতে শুরু হল মুসালমান শাসকদের একছত্র জয়জয়কার। যুদ্ধ আর জয় করে নেওয়া একের পর এক ভূখণ্ড, শক্তির আস্ফালনের সঙ্গে জয়ের নেশা, শাসকদের মধ্যে বিক্ষিপ্ত ভাবে মানবিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ দেখা গেলেও মধ্যযুগ হল অবিশ্বাস,বাহাদুরি আর হানাহানির কাল। হৃদয়ের বা মনের জয় নয় ভূখণ্ডের দখলদারির সাথে সাথে আস্ত মানুষ আর সম্পদের জয়, শৌর্য- বীর্যের ঝঙ্কার তাই মানবিক চেতনার অভাবের অভিযোগ তোলাই যায় এই সময়টাতে।
দক্ষিণ ভারতে চোল, চালুক্য, হয়শল, বাহমানি সুলতানি আমল, দাক্ষিনাত্যের আরও সুলতান এবং নিজামদের শাসনে মানব চেতনার সঙ্গে সঙ্গে চেতনার অবক্ষয়ের উদাহরনও রয়েছে ভুরি ভুরি।   
ষোড়শ শতাব্দীর তৃতীয় দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে মোঘল সাম্রাজ্যের শুরু। শাসন, উন্নয়ন, শিল্পকলার মিশেল এই অধ্যায়ে চেতনার বিকাশ নিশ্চয়ই ঘটেছে তবে মধ্যযুগীয় মাপ মত। মাঝের পনেরটা বছর শের শাহ সুরী জাতীয়তাবাদের চেতনা জাগিয়েছেন তাঁর মত করে। আকবর থেকে শাজাহানের সময় পর্যন্ত নানান সামাজিক উদারতা, দূরদর্শিতা, শিল্পকলার বিকাশের জুগেও মানবিক চেতনার বিকাশ ঘটে। ঔরঙ্গজেব দক্ষ প্রশাসক হিসাবে সাফল্য পেয়ে সাম্রাজ্য বিস্তার করলেও তাঁর নিয়ত নিয়ে সন্দেহ ছিলই। ভিন্ন ধর্মের প্রতি তাঁর অসহিষ্ণুতা, সন্দেহবাতিক চরিত্র আর মানবিকতার অভাব মোঘল সাম্রাজ্যকে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে দেয় অনেকখানি। উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি পর্যন্ত টিমটিম করে টিকে থাকলেও শেষ মোঘল সম্রাট অভিমানী বাহাদুর শাহ জাফরের হাত থেকে ইংরেজরা ক্ষমতা দখল করে নেয় সিপাহী বিদ্রোহের বছর ১৮৫৭ সালেই, এর পরেই পুরোদমে ভারতবর্ষে শুরু হয়ে গেল পুরদস্তুর ইংরেজ শাসন। রেঙ্গুনে ইংরেজদের জেলে কবি এবং শেষ মোঘল সম্রাট বাহদুর শাহ জাফর  মৃত্যু বরন করলেন ১৮৬২ সালে, ‘না ম্যায় কিসিকা আঁখ কা নুর হুঁ, না কিসিকা দিল কা করার হুঁ’। ভারতের মাটিতে অবসান হল মুসলমান শাসনের কিন্তু মুসলমানরা মিশে গেল আমজনতার সাথে, হাজার বছরেরও বেশী মিলে মিশে থাকতে থাকতে ভারতবর্ষই হয়ে গেল তাদের দেশ।      
১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধ ছিল শঠতা আর বিশ্বাসঘাতকতার চূড়ান্ত এক নিদর্শন। দেখতে দেখতে একশ বছরের মধ্যে পুরো ভারতবর্ষ দখল করে নিল ব্রিটিশ শাসকরা, কঠোর শাসন ব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গে দমন পীড়ন ছিল নিত্যাকার দিনলিপি তবে ইংরেজ শাসকদের মধ্যেও চেতনার বিচ্ছুরন দেখেছে ভারতবাসী। 
পরাধীন ভারতে বহু ঘটনার মধ্যে অনেক ঘটনাই উল্লেখ করার মত, তাঁর মধ্যেও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা উনবিংশ শতাব্দীর ষাটের দশক, জন্ম নিলেন রবীন্দ্রানাথ ঠাকুর, নরেন্দ্রানাথ দত্ত এবং মোহনদাস করমচাঁদ গাঁধী। ভারতে চেতনার উন্মেষ ঘটাতে আলাদা আলাদা কাজের মধ্য দিয়ে এঁদের প্রভাব আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।  
সালটা ১৮৬১, জন্ম নিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ভারতবাসী পেয়ে গেল এক অসামান্য কবি, সাহিত্যিক, গীতিকার-সুরকার, আধ্যাত্মিক চিন্তক, দার্শনিক এবং সৃষ্টিশীল এক মহাপুরুষ। তাঁর লেখার বারে বারে উঠে এসেছে ভালোবাসা, প্রেম, আবেগ, আনুভতি, বিরহ, ব্যথা-বেদনা, সমস্ত আঙ্গিকে সব রকম মানুষের ভাবাবেগের কথা সহজ ভাবে – জটিল চরিত্র বিশ্লেষণের মাধ্যমে, পরতে পরতে বিচ্ছুরিত হয়েছে নানা রঙের জীবনকথা। পরাধীন ভারতে জন্মেছেন রবীন্দ্রনাথ আবার মৃত্যুও এসেছে পরাধীন ভারতেই, স্বাধীনতার আন্দোলনে সরাসরি জড়িয়ে পড়েননি তবে মোহনদাস গাঁধীর বন্ধু লিখেছেন ‘বনিকের মানদণ্ড দেখা দিল, পোহালে শর্বরী, রাজদণ্ড রূপে’ কিংবা জালিওয়ানাবাগ হত্যাকাণ্ডের পর প্রতিবাদ জানালেন নাইট উপাধি ত্যাগ করে। এমন ভুরি ভুরি উদাহরন তাঁর কর্মকাণ্ড আর লিখনিতে প্রকাশ পেয়েছে বারে বারে, ভালোবাসার মাধ্যমে জয় আর ক্ষমাই ছিল কবির চেতনার মূলমন্ত্র,তাই তিনি ‘প্রশ্ন’ করতে পারেন ‘ভগবান, তুমি যুগে যুগে দূত পাঠায়েছ বারে বারে দয়াহীন সংসারে- তারা বলে গেল ‘ক্ষমা করো সবে’, বলে গেল ‘ভালবাসো- অন্তর হতে বিদ্বেষবিষ নাশো...।  কবির চেতনার বহিপ্রকাশ শুধু তাঁর সৃষ্টির পাতায় লেখা রয়েছে তাই নয়  তিনি মানুষের চেতনায় সেই যে প্রভাব বিস্তার করলেন আজও একইভাবে রয়ে গেছেন প্রজন্মের পর প্রজন্মের মধ্যে।  
ভারত মহাপুরুষদের জন্য উর্বর মাটি, ১৮৬৩ সালে জন্ম নিলেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত। প্রখর বুদ্ধির ছাত্র নরেন্দ্রনাথ পড়াশুনার পাঠ চুকানোর পর পুরোদমে শ্রী রামকৃষ্ণের সংস্পর্শে এলেন হিন্দু ধর্ম আর আধ্যাত্মিক শিক্ষার আনুশীলনে। ভগবানের খোঁজ সেই শুরু, শেষটায় উপলব্ধি ‘বহুরূপে সম্মুখে তোমার, ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর, জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর’। গুরুকে ছাপিয়ে বিশ্বের দরবারে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করলেন তরুন এই সন্ন্যাসী, জীবে প্রেমই ঈশ্বরের সাধনা, পৃথিবীতে সব ধর্মই সত্য আর সবার উপরে মানুষ সত্য। বিশ্বভাতৃত্বে বিশ্বাসী চিন্তাশীল এই দার্শনিক সন্ন্যাসী ছিলেন ভারতীয় সংস্কৃতির ধারক ও বাহক আবার পশ্চিমী দর্শনের এক আদর্শ ছাত্র। ১৮৯৩ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর শিকাগোতে বিশ্ব ধর্ম সম্মেলনে তাবৎ বিশ্বকে চমকে দিলেন তাঁর আধ্যাত্মিক চিন্তা ভাবনায়, দর্শনে আর অন্য ধর্মের প্রতি সম বিশ্বাসে। রামকৃষ্ণ মিশনের এই প্রতিষ্ঠাতা ন্যুইয়র্কে বেদান্ত সমাজ গড়ে তুলেন আত্মচেতনা আর আত্মশুদ্ধির জন্য। বিংশ শতাব্দীর গোড়ায় তরুন এই সন্ন্যাসীর মৃত্যু পৃথিবীকে নাড়িয়ে দিল তবে যে মানব চেতনার ভাবধারা ছড়িয়ে গিয়েছেন বিশ্বজুড়ে তা আজও সমান ভাবে প্রাসঙ্গিক এবং অনুকরণীয়।   
হালফিলের জ্ঞান আর চেতনা যদি খুঁজি তারও ঘাটতি নেই ভারতবর্ষের মাটিতে,  ১৮৬৯ সালে ২রা অক্টোবর জন্ম নিলেন মোহনদাস করমচাঁদ গাঁধী, এলোমেলো ভাবে কেটে গেল শৈশব-কৈশোর, লন্ডনে পাড়ি দিয়ে আইনি ডিগ্রি নিয়ে ফিরে এলেন ভারতবর্ষে, উকিল হিসাবে কাজ নেই। বন্ধুর পরামর্শে পাড়ি দিলেন দক্ষিন আফ্রিকা। ট্রেন সফরে ফার্স্ট ক্লাসের টিকিট কেটেও ঘাড় ধাক্কা খেয়ে বাইরে বেরুতে হল গায়ের চামড়া কালো বলে। শুরু হল এক নতুন ধরনের চেতনার, সত্যের ক্ষমতা যাচাইয়ের আন্দোলন সত্যাগ্রহ। ডারবানের কাছে ফোয়েনিক্স ফার্ম গড়লেন শান্তিপূর্ণ এবং অহিংস সত্যাগ্রহের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাতে। পরবর্তী কালে তলস্তয় ফার্ম থেকে সত্যাগ্রহের মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় তুললেন বিভিন্ন অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে, জেল খাটলেন এসব করতে গিয়ে। বছর কুড়ি দক্ষিন আফ্রিকায় কাটিয়ে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস এর নেতা গোপাল কৃষ্ণ গোখলের আমন্ত্রনে ফিরে এলেন দেশে, ঝাঁপিয়ে পড়লেন ইংরেজদের বিরুদ্ধে।  বহু প্রতিকূলতা পেরিয়ে হিংস-অহিংস লড়াইয়ের পর ভারতছাড় আন্দোলনের মাধ্যমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এল কাঙ্খিত স্বাধীনতা, নতুন এক চেতনার উন্মেষ ঘটল স্বাধীন ভারতে। ধর্মোন্মাদ শক্তির হাতে গাঁধীর মৃত্যু বরনের মধ্যে দিয়ে অদ্ভুত এক শূন্যতা তৈরী হলেও সামলে নিল ভারতবর্ষ শুধু মানবিক চেতনা আর গাঁধীজির শিখিয়ে যাওয়া অহিংসার শিক্ষায়।
স্বাধীনতা পেয়ে আমরা ভারতবাসী আনন্দে ঊর্ধ্ববাহু হলাম, গর্বে বুক ফুলে ওঠে যখন শুনি ‘ভারতবর্ষ সূর্যের এক নাম, আমরা রয়েছি সেই সূর্যের দেশে’। নাৎসি জামানায় জার্মান শব্দটাই যেমন তাতিয়ে দিত হের হিটলারের সমর্থকদের, তেমনি ভারতীয় শব্দটাই ভাষা, জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সমস্ত ভারতবাসীর উপলব্ধিতে ছিল জাতীয়তাবাদের দ্যোতক। ধনী-দরিদ্র, ছোটবড় সব দেশ আর জাতি নিজেদের জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ হবে, গর্ববোধ করবে এ আর নতুন কি? একসময় ব্রিটিশরা বলত তাদের অধিকৃত এলাকায় সূর্য অস্ত যায় না, এতটাই ছিল তার বিস্তৃতি। এখনটা যেমন দাপট দেখায় আমেরিকা, তারা আজ অহঙ্কারের শিখরে, মুখনিঃসৃত কথাই শেষ কথা, পৃথিবীর বাকিদের জন্য ফরমান। 
সদ্য স্বাধীন দ্বিখণ্ডিত ভারত নয়, টুকরো টুকরো দীর্ণ ভারতে (বিভিন্ন প্রিন্সলে স্টেটের দৌলতে) সামাজিক অবস্থান, অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিকাঠামো, পরিষেবা, মিলিটারি ক্ষমতা ইত্যাদি হাজারো নেই এর লম্বা ফিরিস্তি আর তা নিয়ে গর্ব করার মত কিছুই ছিল না তবুও জাতীয়তাবাদে ঘাটতি ছিল না কোন ভারতীয়র। কোন ভারতীয়র ছিল না সুইস ব্যাঙ্কে জমানো টাকা বা দেশে বিদেশে গোপন সম্পদের পাহাড়, ছিল সুগভীর আত্মোপলব্ধি আর গর্ববোধ ছিল জাতিকে নিয়ে, দেশ ছিল শুধু তার বহিঃপ্রকাশ। 
ব্রিটিশের ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ পলিসির ফলে খণ্ডিত ভারত সাম্প্রদায়িক বিষবাস্পে জর্জরিত হয়ে এসেছে বরাবর আর আজকের ভারতও চরম উগ্রপন্থার শিকার। সেই কোন মুদ্দত থেকে আমরা হেঁকে চলেছি ‘ভারত মানবতার আর এক নাম’, তার মেলা কারনও ছিল। বিভেদ কিছু ছিলই তবে আজকের মত জাতের নামে চোরাস্রোত বইত না রন্ধ্রে রন্ধ্রে, ব্যক্তিগত বা দলীয় স্বার্থসিদ্ধির নামে পরিকল্পনা মাফিক বিষ গাছ বপন করাও নয়। সাদাসিদে কিংবা অশিক্ষিত-অর্ধ শিক্ষিত, শিক্ষিত সব মানুষের মনে সন্দেহ আর অবিশ্বাসের বিষ নিশ্চিতভাবেই আর্সেনিকের বিষের চাইতেও মারাত্মক এবং দীর্ঘস্থায়ী হতে বাধ্য। যে ভারতকে আমরা চিনি স্বামী বিবেকানন্দের জীবন আর লেখার ছত্রে ছত্রে যেখানে ব্রাহ্মন থেকে চণ্ডাল, আপামর ভারতবাসী তাঁর ভাই, বিভিন্ন জাত আর পেশার মানুষ তাঁর স্বপ্নের ভারতের ধমনীতে বয়ে চলা রক্তস্রোত। ব্রিটিশের অধীন ভৌগলিক ভূমিখন্ড ভারতের মুক্তির চাইতে তাঁর কাছে বেশী জরুরী ছিল জাতির অভ্যন্তরে ঘুনপোকার মত ভিতর থেকে ক্ষয় করে চলা জাতপাতের লড়াই তাই অভিশাপ দেওয়ার মত করে সাবধান করে দিয়ে গেছেন আত্মম্ভরি উচ্চবর্ণের মানুষদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর পরামর্শ দিয়ে। রবীন্দ্রনাথের গলাতেও সেই সুর মিলে গেছে, ‘মৃত্যুমাঝে হবে তবে চিতাভস্মে সবার সমান’। 
বিশ্বায়নের যুগে চেতনার লোপ না পেলেও বিস্তর ক্ষয় ক্ষতির প্রমাদ গুনছে চেতনার তাড়নায় রাতের ঘুম হারাম করা ভারতবাসী। সামাজিক মূল্যবোধের অধঃপতন থাবা বসিয়েছে আমাদের রাজনৈতিক, ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক চিন্তা-চেতনাতেও। সংস্কৃতির অবক্ষয় এগিয়ে চলার পথে অবশ্যম্ভাবী কিন্তু চলমান ক’বছরে চেতনার সামগ্রিক পতন এককথায় বিস্ময়কর। যেখানে পারিবারিক শ্রদ্ধা-ভালবাসার জায়গায় টান পড়েছে অন্তরজালের যুগে সেখানে জাতিসত্ত্বার ঐতিহ্যের ঝাণ্ডা ধরার চওড়া কাঁধ কোথায়? আজকের বস্তুতান্ত্রিক স্বার্থবাদের যুগে অহম এক বিশাল সমস্যা। প্রকৃত জাতীয়তাবাদ তাই দূরবীন লাগিয়ে খুঁজতে হয়। 
আধুনিককালে ভারতের যে চেতনার মিউটেশন বা পরিব্যপ্তি ঘটেছে তা কি অতীতের বহুযুগ ধরে বহমান চেতনার শর্টকাট রুট? আমরা কি আবার মধ্যযুগে ফিরে যেতে চাই রেট্রোগেশিভ ইভোলিউশনের মাধ্যমে? আমরা কি কোনদিন অবসর মত বসে ভেবে দেখব না যে ধর্ম নিয়ে আমরা মাতোয়ারা সেই ধর্ম জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আমাদের কোন কাজে আসে? ধর্ম বাদ দিয়ে কি মানুষ বেঁচে নেই? বেঁচে থাকতে পারে না? মেকি জাতীয়তাবাদ আর ধর্মের জিগির তুলে হানাহানি কাটাকাটি ঘরে ঘরে, লুটপাট, ধর্ষণ, যুদ্ধের জয়-পরাজয়? ব্রিটিশের পলিশি সামান্য পরিবর্তন করে ‘পোলারাইজ অ্যান্ড রুল’? আমি জাতীয়তাবাদী, আমার কাছে যাহা পুরান তাই বিজ্ঞান, আমার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হও, হয় আমার পেছনে দাঁড়াও নয়তো উল্টো দিকে দাঁড়াও, গনতন্ত্র আর সংখ্যার গলার জোরে তোমাকে দেগে দিই দেশদ্রোহী বলে, আমার একটা শত্রু চাই এই মুহূর্তে, কাল্পনিক হলেও চলবে নইলে আর জয় আসবে কার বিরুদ্ধে? জয়ের আস্ফালনের মধ্যে দিয়ে বাকি সমস্ত চেতনা, প্রয়োজনীয়তা, উন্নয়ন, এগিয়ে যাওয়া এসবই আমার কড়া ডোজের জাতীয়তাবাদের কাছে তুচ্ছ, আমাদের মধ্যে আর কোন ইস্যু নেই, নেই কোন লক্ষ্য। 
এই একবিংশ শতাব্দীর দু’দশক শেষের মুখে আমদের চেতনাও কেমন যেন অবশ হয়ে আসছে, বার বার চোখ কচলে নিজের চোখে দেখা অনাচার, দুর্নীতি, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি সব ঢোক গিলে কেমন যেন মেনে নিই, প্রতিবাদ তো নয়ই বরং অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত আর অহংকারী সেই সব কেষ্টবিষ্টুদের পিছনে ভিড় বাড়াই, হাঁটতে হাঁটতে গলা চিরে আকাশের দিকে হাত ছুঁড়ে আস্ফালন করি, সমর্থন জোগাই আমাদের সেই অসাড় চেতনাকে মেরে ফেলে। 
বিপ্রতীপ আশা, ভারতের চেতনার উন্মেষ ঘটবে ঠোক্কর খেতে খেতে, আবার একটা রাঙা সূর্য উঠবে গাঢ় নীল আকাশে, জন্ম হবে কোন এক মহামানবের, মন চাইবে, ‘দেবতা এদেশে মানুষ হয়েছে জানি, মানুষকে দেখি গনদেবতার বেশে’। 
   Last year this article was published in the 'Desh' Patrika on 17.05.2019 as the cover story.

বিঃ দ্র - গত বছর আজকের দিনে  দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত এই কপি । সময়ের সাথে আজও এই লেখাটি সমসাময়িক      

শনিবার, মে ১৬, ২০২০

কলকাতার বিভিন্ন ফুটপাতে টিফিন নিয়ে ঘুরছে বিপ্লব

গোপাল দেবনাথ

  

মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান বিপ্লব দে নিজে ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়ে প্রতিদিন কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারদের হাতে সন্ধ্যায় তুলে দিচ্ছে টিফিন তার সাথে সাথে ভবঘুরে, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দুধ ফেরিওয়ালা, ফুটপাতবাসী, মৃৎশিল্পী, প্রত্যেকের হাতেই সন্ধ্যায় টিফিন এর ব্যবস্থা করেছে বিপ্লব  তিনি এটাও জানান - মানুষের  জন্য কাজ করা তার হবি, বছরের প্রতিটা সময় বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে থেকে এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়ে বহু কাজ করেন তিনি তাই এই লকডাউন এর দিনেও ঘরে বসে না থেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়ে রাস্তায় নেমে গেছেন তিনি এবং তার সাধ্যমতো যতদিন পারবে তিনি এই কাজ চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন  আর তার এই কাজকে সমর্থন জানিয়  উপস্থিত ছিলেন শ্রীমতি শুপ্তি পান্ডে মহাশয়া

কলকাতার বিভিন্ন ফুটপাতে টিফিন নিয়ে ঘুরছে বিপ্লব

গোপাল দেবনাথ

  

মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান বিপ্লব দে নিজে ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়ে প্রতিদিন কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারদের হাতে সন্ধ্যায় তুলে দিচ্ছে টিফিন তার সাথে সাথে ভবঘুরে, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দুধ ফেরিওয়ালা, ফুটপাতবাসী, মৃৎশিল্পী, প্রত্যেকের হাতেই সন্ধ্যায় টিফিন এর ব্যবস্থা করেছে বিপ্লব  তিনি এটাও জানান - মানুষের  জন্য কাজ করা তার হবি, বছরের প্রতিটা সময় বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে থেকে এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়ে বহু কাজ করেন তিনি তাই এই লকডাউন এর দিনেও ঘরে বসে না থেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়ে রাস্তায় নেমে গেছেন তিনি এবং তার সাধ্যমতো যতদিন পারবে তিনি এই কাজ চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন  আর তার এই কাজকে সমর্থন জানিয়  উপস্থিত ছিলেন শ্রীমতি শুপ্তি পান্ডে মহাশয়া

ক্ষুধার্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের খাওয়ালেন নবদ্বীপের পুরোহিত

শ্যামল রায়
  
লকডাউন চলাকালীন নবদ্বীপে বিভিন্ন সংস্থার থেকে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কাজ

লকডাউন চলছে। কেউ কেউ ভিন্ন দেশ থেকে বাড়ি ফিরছেন আবার কেউ কেউ এলাকার গরীব মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে সামাজিক দায়িত্ব পালন করছেন।
শনিবার নবদ্বীপ শহরের জাহান্নবি পাড়ায় সামাজিক সংগঠনের তরফ থেকে এলাকার গরিব মানুষের মধ্যে বিনামূল্যে সবজি বাজার করা হয়। বিনামূল্যে সবজি পেয়ে এলাকার গরিব মানুষ ভীষণ খুশি বলে জানা গিয়েছে।
অন্য দিকে অন্ধপ্রদেশ থেকে কুড়িজন পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফেরার পথে নবদ্বীপ গৌরাঙ্গ সেতু রেল গেটের কাছে এই সকল ক্ষুদার্থ শ্রমিকদের জন্য এগিয়ে আসেন নবদ্বীপের একজন বিশিষ্ট পুরোহিত মানিক লাল ভট্টাচার্য। তিনি বাসে থাকা শ্রমিকদের জন্য জল এবং বিভিন্ন ধরনের শুকনো খাবার পরিবেশন করেন। ক্ষুধার্ত শ্রমিকরা খাবার খেয়ে ভীষণ খুশি আনন্দিত বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে নবদ্বীপ পৌরসভার  ১৯ নম্বর  তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে এলাকার গরীব মানুষের জন্য খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর এবং নবদ্বীপ পৌরসভার চেয়ারম্যান সহ অনেকে। লকডাউন চলাকালীন খাদ্যসামগ্রী পেয়ে খুশি এলাকার গরিব মানুষ। তবে অনেকেই বলছেন লাগাতারভাবে লকডাউন চললে আগামী দিন তারা কিভাবে বেঁচে থাকবেন এই  প্রশ্নেহতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন শহরের দিন আনা দিন খাওয়া কর্মহীন অসংগঠিত শ্রমিক ও সাধারণ মানুষ।

প্রখর রোদে সিক্ত শ্রমিকদের রানাঘাটে পাঠালো শালবনীর পঞ্চায়েত সমিতি

প্রচন্ড দাবদাহে হাঁটতে থাকা শ্রমিকদের শালবনীতে আটকে মেডিকেল ও গাড়ির ব্যবস্থা করে পাঠানো হলো। তাদের বাড়ি নদীয়া জেলার রানাঘাটে
গতকাল শালবনী ব্লকের ফাৰ্মরোড প্রচন্ড রোদের মধ্যে মাথায় ব্যাগ বোচকা নিয়ে  হাঁটতে দেখে তাদের আটকান শালবনির পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সন্দীপ সিংহ ও সভাপতি মিনু কোয়ারি , তাদের জিজ্ঞেস করে জানতে পারেন তারা খড়্গপুর থেকে হাঁটছেন ও নদীয়া জেলার রানাঘাট যাবে , সন্দীপ বাবু তাদের অপেক্ষা করতে বলে সেক ইমরানের কে বলে একটা গাড়ি ব্যবস্থা করে শালবনি হাসপাতালে পাঠান সেখানে কাঞ্চন ডাঙরের সহযোগিতা করে তাদের ডাক্তারি পরীক্ষা করান, সকলে সুস্থ থাকায় সন্দীপ বাবু তাদের শালবনি হাইস্কুলে থাকার ও খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করেন , গতকাল শালবনীতে ওনারা থাকেন এবং আজকে তাদের রানাঘাট ফিরে যাওয়ার সরকারি অনুমোদন ও গাড়ির ব্যবস্থা করে সেই সাতজন শ্রমিক ভাইদের আজ রানাঘাটে পাঠানো হলো ۔۔ সন্দীপ সিংহের কথায়  সুমন সরকার ও অন্যান্য দলীয় কর্মীরা সেই শ্রমিকদের সহযোগিতা করেন

বিভিন্ন দাবিতে সরব দেশপ্রাণ ব্লকের সিটু নেতৃত্ব

জুলফিকার আলি
  

সিঅাইটিইউ, দেশপ্রাণ ব্লক কমিটির ডাকে জেলা কর্মসূচীর অংশ হিসেবে অাজ বসন্তিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও দুরমুঠ উপস্বাস্হ্য কেন্দ্রের সামনে সমস্ত সরকারী হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, উপস্বাস্হ্য কেন্দ্র, নার্সিং হোমে করোনা মোকাবিলার সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসক, নার্স,স্বাস্থ্য কর্মীদের পিপিই,মাস্ক সহ চিকিৎসা সুরক্ষা প্রদান ও ৫০ লক্ষ টাকার বীমার অাওতাভূক্ত করা সহ ৮ দফা দাবীর ভিত্তিতে নিরব বিক্ষোভ কর্মসূচী রূপায়িত হয়। উভয় কর্মসূচী তে সামাজিক দূরত্ব বিধি বজায় রেখে নেতৃত্ব দেন সিঅাইটিইউ নেতা মামুদ হোসেন, সুতনু মাইতি, সঞ্জিত দাস, তাপস মিশ্র, তরুণ মাইতি, জহর লাল দাস,দিলীপ চন্দ, বাপ্পা খুঁটিয়া,নন্দন খুঁটিয়া,শক্তিপদ পণ্ডা,মানিক গারু প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। সিঅাইটিইউ নেতা মামুদ হোসেন বলেন করোনা মোকাবিলায় সার্বজনীন টেস্টিং,সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহ, জনস্বাস্থ্য সচেতনতা সুনিশ্চিত করন, গরীব মানুষজনকে বিনা মূল্যে রেশন, খাদ্যসামগ্রী ও নগদ অর্থ প্রদান প্রভৃতি দাবী সমূহের ভিত্তিতে অাজ কের মত অাগামীদিনে লকডাউন বিধি মেনে লাগাতার অান্দোলন সংগঠিত করা হবে।

একগুচ্ছ জনস্বার্থ দাবি নিয়ে বিক্ষোভে সিটু

জুলফিকার আলি
  

পরিযায়ী শ্রমিকদের বিনা ব্যয়ে শ্রমিক ট্রেনের অায়োজন করে রাজ্য সরকার ও রেল দপ্তর কে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক উদ্যোগ গ্রহণ, কর্মহীন দের প্রয়োজনীয় অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা, প্রচেষ্টা প্রকল্পের অাওতায় সবাই কে অন্তর্ভুক্ত করা, ঘরের ছেলে মেয়ে দের ঘরে ফেরাও সহ চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মী দের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা প্রদান ও বীমার পরিমাণ বৃদ্ধি করা,বিদ্যুৎ বিল মকুব করা প্রভৃতি দাবী সমূহের ভিত্তিতে অাজ দেশপ্রাণ, কাঁথি -১,কাঁথি-৩, হেঁড়িয়া, খেজুরী,রামনগর, বালিসাই, পটাশপুর, মুগবেড়িয়া, ভগবানপুর, এগরা,বালিঘাই প্রভৃতি ব্লকে বিক্ষোভ, ডেপুটেশন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। দেশপ্রাণ ব্লকে নেতৃত্ব দেন সিঅাইটিইউ নেতা মামুদ হোসেন, সুতনু মাইতি, তাপস মিশ্র, তরুণ মাইতি, ইউনুস উদ্দিন, গৌতম দাস,পৃথ্বীরাজ শীট,জহর দাস,দিলীপ চন্দ,সেক সফিউল অালি, প্রবীর বেরা প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। কাঁথি-১ ব্লকের কর্মসূচি তে নেতৃত্ব দেন সিঅাইটিইউ জেলা নেতা হরপ্রসাদ ত্রিপাঠী,মামুদ হোসেন  কানাই মুখার্জি, অতুল্য সুন্দর উকিল, জয়দেব, পণ্ডা, তেহরান হোসেন,প্রনব করণ,নন্দন রাউত,সলিলবরণ মান্না,সেক সাত্তার,বাসুদেব রাউল,বিদ্যুৎ পাত্র,প্রভাকর হাজরা,অনন্ত দাস,সেক জান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। কাঁথি-৩ব্লকের কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দেন সিঅাইটিইউ নেতা কালীপদ শীট, হিমাংশু পণ্ডা, রাজনারায়ণ দাস, অশোক পণ্ডা, খাজা অাবুল অালি,অনন্ত পণ্ডা প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। সিঅাইটিইউ নেতা মামুদ হোসেন বলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা দেশের সম্পদ সৃষ্টির কারিগর। অথচ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে শ্রমিকরা অাজ উপেক্ষিত । কর্মহীন দের নগদ অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী প্রদান করার জায়গায় পুঁজিপতিদের অর্থনৈতিক প্যাকেজ দিতে ব্যস্ত।সর্বস্তরের মানুষকে জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে গণঅান্দোলন গড়ে তোলা র অাহ্বান জানান মামুদ হোসেন।

পাঁচশো কিমি পাঁয়ে হেটে বাড়ী ফিরলেন পটাসপুরের শ্রমিকেরা

জুলফিকার আলি
  
দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন সেই লকডাউন থাকার কারনে এদিন শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর দু'নম্বর ব্লকে ভিন্ন রাজ্যে আটকে থাকা  শ্রমিক বাড়ি ফিরলেই পায়ে হেঁটে প্রায় ৫০০কিলোমিটার পথ। তাদের কে তার পরিবারও গ্রামের মানুষ ঘরের মধ্যে ঢুকতে না দিয়ে প্রশাসনিক দিক থেকে ১৪দিনের হোম করেন্টিন থাকার ব্যবস্থা করল বাল্যগোবিন্দপুর বালিকা বিদ্যালয় মধ্যে।

করোনা মোকাবিলায় আর্থিক অনুদানে কালনার প্রাথমিক শিক্ষকরা

শ্যামল রায়

  

 ;   শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির তরফে বর্ধমান জেলা সংগঠনের তরফে ৭৯ হাজার টাকার একটি চেক মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দেওয়া হয়েছে ।প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের শিক্ষকরা কালনা মহকুমাশাসক দপ্তরে এসে মহকুমাশাসক সুমন সৌরভ মোহান্তির হাতে চেকটি  তুলে দেন।সংগঠনের তরফে অভিজিৎ কুণ্ডু  জানান - "প্রাথমিক পর্যায় আজ এটুকু দেওয়া হল. আগামী দিনে অধিক টাকার চেক তুলে দেওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের জন্য"।

শুক্রবার, মে ১৫, ২০২০

মঙ্গলকোটে ত্রাণ দেবেন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী?


কবিরুল ইসলাম 


কাটোয়া মহকুমাশাসক অফিসের মাধ্যমে মঙ্গলকোটে অসহায়দের  পাশে দাঁড়াতে  ত্রাণ পেলেন এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী    ।       

ঈদে দোকানপাট খুলতে হবেনা, স্মারকলিপিতে ইমামরা

সুরজ প্রসাদ 

ঈদের কারণে দোকান না খোলার আবেদন  করল বেঙ্গল ইমাম’স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।  শুক্রবার এই মর্মে জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। তিনি আবেদন করেছেন, ঈদের কারণে দোকান পাঠ খোলার কোন প্রয়োজন নেই, তারা চান মানুষের স্বার্থে এই লকডাউন এই মাসের শেষ পর্যন্ত।

তমলুক ঘাটাল সেন্ট্রাল কোওপারেটিভ ব্যাংকের খাদ্য সামগ্রী বিলি

জুলফিকার আলি  

মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী মহাশয়ের সহযোগিতায় ,তমলুক ঘাটাল সেন্ট্রাল কোঃ অপারেটিভ ব্যাঙ্কে চেয়ারম্যান গোপাল চন্দ্র মাইতি মহাশয় ও ভাইস চেয়ারম্যান  মেঘনাদ পাল মহাশয় ও secretary ম কৌশিক কুলভী মহাশয় উদ্যেগে তমলুক সাব ডিভিসান ,হলদিয়া সাব ডিভিসান,ঘাটাল সাব ডিভিসনে দুঃস্থ মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিচ্ছেন তমলুক ঘাটাল সেন্ট্রাল কোঃ অপারেটিভ ব্যাঙ্ক,আজ নন্দকুমার বিধানসভা অন্তর্গত বরগোদা গোদার সমবায় সমিতিতে প্রায় 600 মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদে সভাধিপতি দেবব্রত দাস মহাশয় ও তমলুক ঘাটাল সেন্ট্রাল কোঃ অপারেটিভ ব্যাঙ্ক চেয়ারম্যান  গোপাল চন্দ্র মাইতি মহাশয়

করোনা পরীক্ষা করা নিয়ে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে হইচই

উচ্চশিক্ষা মন্ত্রীর ভৎসর্না: কাঠগড়ায় কল্যাণীর উপাচার্য

নিজস্ব প্রতিবেদক 


আগ বাড়িয়ে করোনা টেস্ট করতে চেয়ে কাঠগড়ায় কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শংকর কুমার ঘোষ। আইসি‌এম‌আরের অধিকর্তার কাছে উপাচার্য চিঠি দিয়েছেন বলেও জানা যায়। করোনা আক্রান্তের নমুনা সংগ্রহ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস‌এন‌বোস‌ ইনোভেশন সেন্টারে পরীক্ষা চালাতে চান বলে জানিয়েছেন। আর এতেই বেড়েছে বিপত্তি। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে চাপান-উতোর অব্যাহত। করোনার মতো একটা মারাত্মক ও মারণ রোগের ঝুঁকিপূর্ণ পরীক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক স্তরে যে ধরনের আলোচনার দরকার ছিল তা তিনি করেননি।

 কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্ৰহণের জন্য যে এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল বা কোর্টের মতো বিধিবদ্ধ কমিটি রয়েছে সেখানে আলোচনা ব্যতীত অগণতান্ত্রিকভাবে নিজের মর্জি মতো এধরনের একটি বড়ো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন একাই উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ। এমনকি রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দপ্তরকেও অবজ্ঞা করে মুখ্যমন্ত্রী ও আইসিএমআর-এর কাছে অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছেন তিনি। এতেই বিতর্কের সূত্রপাত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিয়ে উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী ড. পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে অবজ্ঞা করেন এবং উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ যখন তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্য আধিকারিকদেরকে হুমকি দিয়ে বলেন তিনি মনে করলে সবার চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে পারেন। কথায় কথায় ভয় দেখান। সম্প্রতি রেজিস্ট্রার দেবাংশু রায়কে ছুটিতে পাঠিয়ে বির্তক তৈরি করে উচ্চশিক্ষা দফতরের কড়া আদেশ মেনে নিয়ে রেজিস্ট্রারকে দায়িত্বে ফিরিয়ে আনতে বাদ্য হয়েছেন উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ।

 কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, গবেষক, শিক্ষাকর্মী, শিক্ষকদের অনেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তাঁর পাগলামীর জন্য। আপদকালীন মুহূর্তে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন, তারা বিষয়টা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। কেননা তাদের এখনো পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় যেতে হচ্ছে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরেই চলবে আক্রান্তের নমুনা নিয়ে করোনা পরীক্ষা। 

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন সন্নিকটে রয়েছে আন্তর্জাতিক গেস্ট হাউস এবং ক্যান্টিন। স্বাভাবিক ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় চলা অবস্থায় ছাত্র-ছাত্রী, গবেষক, শিক্ষাকর্মী, শিক্ষকদের অনেকেই ক্যান্টিনে যান। এ নিয়ে সকলের মধ্যে একটা সংশয় দেখা দিয়েছে। কল্যাণী জেএনএম মেডিকেল কলেজে করোনা আক্রান্তকারীদের যারা চিকিৎসা করছেন, সেই সব নার্স ও ডাক্তারদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক গেষ্ট হাউসে। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছেন তারা রীতিমত বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। এই গেস্ট হাউসের কাছেই রয়েছে একটি এটিএম। সেখানে আতঙ্কে মানুষের যাওয়া প্রায় বন্ধ হয়েছে। উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাব, প্রশিক্ষিত ডাক্তার-নার্স ব্যতীত, পর্যাপ্ত পিপি‌ই ছাড়া সংক্রামক ব্যাধি পরীক্ষা করা যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। 

কল্যাণী জনবহুল এলাকা। এই সংক্রামক ব্যাধি যদি একবার ছড়িয়ে পড়ে তা চরম মাত্রা নিতে পারে এই এলাকায়। অগণতান্ত্রিকভাবে উপাচার্য নিজের মর্জি মতো এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতে রাজ্য সরকার যথেষ্ট সমস্যায় হয়তো পড়তে হবে আগামীতে। উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী ড. পার্থ চট্টোপাধ্যায় উপাচার্যদের সঙ্গে এক কনফারেন্সে মিলিত হলে এনিয়ে শংকর ঘোষকে তিনি  ভৎসর্না করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে সমস্ত প্রক্রিয়াটি করোনা টেস্ট বন্ধ করতে নির্দেশ দেন। 

সমস্ত ঘটনা জানিয়ে ওয়েবকুপার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট এই গুরুতর ঘটনাটি উচ্চশিক্ষা দপ্তরের নজরে আনেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিবদ্ধ কমিটির সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করে, রাজ্য উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অনুমোদন ব্যতীত টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞ ছাড়া, প্রয়োজনীয় ইকুইটমেন্টহীন অবস্থায় অননুমোদিত কোভিড ১৯ টেষ্ট নিয়ে লিখিত আকারে প্রতিবাদ জানায়। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজনীয় ইকুইটমেন্ট দিয়ে যেভাবে সাহায্য করছে সেভাবেই সাহায্য করার প্রস্তাব দেন। উচ্চশিক্ষা দপ্তরের প্রতিনিধি তাদের আশ্বস্ত করে জানান, উচ্চশিক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে উপাচার্যের এনিয়ে কনফারেন্সে কথা হয়েছে। উপাচার্যদের সঙ্গে এক কনফারেন্সে শিক্ষামন্ত্রী ড. পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গের উত্থাপন করে শঙ্কর ঘোষকে রীতিমত ভৎসর্না করেন এবং উপাচার্যকে পঠন পাঠনে মনোযোগ দিতে বলেন।

কল্যাণীতে বেশ কয়েকটি উচ্চমানের চিকিৎসা কেন্দ্র এবং মেডিকেল কলেজ রয়েছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় যেমন নিজেদের যন্ত্রপাতি দিয়েই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তারাও এই ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ পরীক্ষা করতে চাননি। জাতীয় স্তরের চিকিৎসা কেন্দ্র এইমস বর্তমানে কল্যাণীতে অবস্থিত। তারাও কাজকর্ম শুরু করেছে। এছাড়াও বেশ কিছু সরকারি গেস্ট হাউস‌ও রয়েছে। যেগুলি জনবহুল এলাকা থেকে একটু দূরে। সেখানেও চিকিৎসকদের রাখার ব্যবস্থা করা যেত। খবরে প্রকাশ, কল্যাণী কার্নিভালে যেখানে করোনার চিকিৎসা হচ্ছে, তার পাশের হোটেলেই চিকিৎসকদের থাকার কথা হয়েছিল। 

এদিকে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে শংকর ঘোষ
করোনা টেস্ট বিষয়ে লেখেন, 'কল্যাণী ইউনিভার্সিটি ইজ রেডি এন্ড ওয়েটিং ফর অ্যাপ্রুভাল'। সংবাদ মাধ্যমেও এ নিয়ে নিউজ কভার করা হয়েছে। করোনা টেস্ট করতে প্রস্তুত কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়। বিষয়টা নিয়ে বিতর্ক শুরু হবার পর উপাচার্য জানাচ্ছেন, জেলা প্রশাসনের প্রস্তাবে‌ সাই দিতেই বিশ্ববিদ্যালয় এই উদ্যোগ নিয়েছিল। সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের নজরে আসার জন্য‌ই উপাচার্য এই ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে তাঁকে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রী, গবেষক, শিক্ষক,  আধিকারিক ও শিক্ষা কর্মীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল উপাচার্যকে। বিগত দুই বছর তিনি ইসি মিটিং করছেন না। নিজের ইচ্ছে মতোই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করছেন। অগণতান্ত্রিক উপায়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা নিয়ে সোচ্চার হয়েছিল সমস্ত অধ্যাপক ও আধিকারিকরা। 

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় এনআইআরএফ র‌্যাঙ্কিং ৪৬ থেকে এই কয় বছরে নেমে এসেছে এখন ১০০ ছুইছুই অবস্থান। র‌্যাঙ্কিং-এর চরম অবনমন ঘটেছে উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষের আমলেই। সামনের ডিসেম্বরেই শঙ্কর কুমার ঘোষের কার্যবিধির সময়সীমা শেষ হচ্ছে। রাজ্য সরকারের নজরে আসতে চাইছেন তিনি। এমনটাই অভিযোগ। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবকুপার যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক নন্দকুমার ঘোষ ও সুজয় কুমার মণ্ডল জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব কিছু বিধি আছে, সেই বিধি অনুসারে যে সকল কমিটি আছে, যেমন ইসি, কোর্ট, কাউন্সিল সেখানে আলোচনা না করেই এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উপাচার্য। উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অনুমতি ছাড়াই এই সিদ্ধান্ত। পাবলিক ইন্টারেস্টের দিক থেকে দেখলে এটি আত্মঘাতী একটি সিদ্ধান্ত। এই প্রচেষ্টা চালু হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ভয় আছে।

উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ বহু বেআইনি নিয়োগ করেছেন সে নিয়েও চরম মতদ্বৈধতা দেখা দিয়েছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরমহলে। 

উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ দুর্নীতি গ্রস্ত পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক বিমলেন্দু বিশ্বাস ও বিজেপির ঘনিষ্ঠ শিক্ষক অলোক ঘোষকে সঙ্গে নিয়েই একটার পর একটা দূর্নীতি করেই চলেছেন। উচ্চশিক্ষা দফতর তদন্ত কমিটি করে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষকে সচেতন করেছেন এবার তার বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নেন সেটাই দেখার।

হরিপালে ৬০০ দুস্থদের খাদ্য সামগ্রী বিলিতে বেচারাম মান্না

সুভাষ মজুমদার

  

হরিপালের মালিয়া হামিরাগাছি ব্রাহ্মণপাড়া বিশ্বনাথ সেবা সমিতি তে  প্রেম মিলনের  সেবা ট্রাস্ট এর  কর্ণধার চন্দ্রকান্ত শরাপ এর উদ্যোগে হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্নার সহযোগিতায় করোনা ভাইরাসে এই লকডাউনে ৬০০ দুঃস্থ পরিবারের হাতে মুদিখানা সহ  খাদ্য সামগ্রীক তুলে দেওয়া হয় এলাকার মানুষদের ৷ উপস্থিত ছিলেন হরিপাল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা প্রধান দেবাশিস পাঠক,ছাত্রনেতা তথা আশুতোষ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুমিত সরকার, জয় হিন্দ বাহিনীর ব্লক সভাপতি স্বরূপ মিত্র সহ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব থেকে সেবা ট্রাস্টের কর্মকর্তারা ৷

মেমারিতে শিক্ষক সংগঠনের খাদ্য সামগ্রী বিলিতে ভাইস চেয়ারম্যান

সেখ সামসুদ্দিন

 

 পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের মেমারি ব্লক কমিটির উদ্যোগে তৃতীয় দফায় খাদ‍্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় অসহায় পরিবারের হাতে। উপস্থিত ছিলেন মেমারি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রিয় সামন্ত, জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সহসভাপতি মুকেশ শর্মা, সমাজসেবী শুভেন্দু গুহ, শিক্ষক সংগঠনের ব্লক সভাপতি কৌশিক মল্লিক, শিক্ষক পীযূষ বোস সহ বিশিষ্ট ব‍্যক্তিবর্গ। কৌশিক মল্লিক জানান এদিন ৯৫ টি পরিবারের মধ্যে চাল, আলু, পিঁয়াজ, কুমড়ো, ডাল, বিস্কুট, সাবান ইত্যাদি দেওয়া হয়। তারা ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রিয় সামন্তের সঙ্গে সম্মিলিত ভাবে হাজার অধিক মানুষের জন্য অন্নক্ষেত্র চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ওয়ার্ডের গরীব পরিবারের হাতে খাদ‍্য সামগ্রী তুলে দিচ্ছেন।

৩১ শে মে অবধি বন্ধ থাকছে রাজ্যের সমস্ত আদালত

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  


গত ১৬ মার্চ থেকে বিশ্বব্যাপী মারণ ভাইরাস করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এই রাজ্যের সমস্ত আদালত একপ্রকার বন্ধ শুরু হয়েছে। যা পর্যায়ক্রমে আগামী ৩১ শে মে অবধি বহাল রাখলো কলকাতা হাইকোর্ট। গত বুধবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্দেশক্রমে রেজিস্ট্রার জেনারেল রাই চট্টোপাধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তা জানিয়ে দেন। আজ অর্থাৎ শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি রয়েছে জনস্বার্থ সহ গুরত্বপূর্ণ মামলা গুলির। এদিনই আবার জারি হতে পারে আগামী ৩১ শে মে অবধি কোন কোন তারিখে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে মামলার শুনানি হতে পারে সেই বিষয়ে।ইতিমধ্যেই দফায় দফায় কলকাতা হাইকোর্টের বিভিন্ন ভবন জীবাণু মুক্ত করা হয়েছে। সেইসাথে হাইকোর্ট সংলগ্ন ব্যাংকশাল - সিটি সেশন আদালত গুলিও জীবাণু মুক্ত করা হয়েছে। তবে বার এসোসিয়েশন ভবন গুলি স্যানিটাইজ করা হয়নি বলে আইনজীবীদের একাংশের অভিযোগ। সারাদেশ ব্যাপি আগামী ১৭ মে তৃতীয় দফার লকডাউন শেষ হচ্ছে। যদিও প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন সময়ে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তারই মধ্যে কলকাতা হাইকোর্ট আগামী ৩১ শে মে অবধি রাজ্যের সমস্ত জেলা /মহকুমা সর্বপরি কলকাতা হাইকোর্ট করোনার জেরে বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারী করে থাকে। চলতি সপ্তাহে আলিপুর আদালতে এক আইনজীবীর সন্দেহভাজন করোনায় মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য দেখা গেছে আইনজীবীদের মধ্যে।তবে পুরোপুরি বিচারপ্রক্রিয়া বন্ধ হয়নি। জনস্বার্থ সহ গুরত্বপূর্ণ মামলা গুলি সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন যেমন পাঁচটি বেঞ্চের মাধ্যমে অনলাইন শুনানি চালু রেখেছে কলকাতা হাইকোর্ট। ঠিক তেমনি জেলা ও মহকুমাস্তরের আদালত গুলিতে প্রতিদিন ধৃতদের জামিন সংক্রান্ত মামলার এজলাসটি চালু রয়েছে। তবে মামলা গ্রহণের ক্ষেত্রে পুলিশি ভুমিকা বড় হয়ে উঠেছে বিগত দুমাসের লকডাউনে। কেননা পুলিশ কেস ( জিআর)  রুজু করা গেলেও কোর্ট কেস ( সিআর) গুলি রুজুর জন্য সংশ্লিষ্ট এজলাসে সেই ব্যবস্থা শুরু হয়নি। এতে সাধারণ মানুষ তাদের অভাবঅভিযোগ আদালতের কাছে ঠিকমতো পৌঁছাতে পারছেনা বলে অভিযোগ। আবার পুলিশের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ উঠলে তা নিম্ন আদালতের কাছে এন্ট্রি থাকার ব্যবস্থা নেই। আইনজীবীদের বড় অংশ নিম্ন   আদালতে কোর্ট কেস গ্রহণে কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন ।                                                                                                                                                            


    

বৃহস্পতিবার, মে ১৪, ২০২০

কবিতার নাম - ঘুম নেই

'ঘুম নেই'
       সুদীপ রায়
 

ঘুমোব কী, 
চোখের জটিল আলো জেগে থাকে আজকাল সারা রাত l
আজ এগারোই মে ...
শুনছ কি আজ এগারোই মে। 
দুপুরে খেয়েছি আজ পাবদার  ঝোল।
রাতে তিন পিস ইন্ডিয়ান ট্যাকো।
বিছানায় যাওয়ার আগে বিটোফেন, 
এলজোলাম পয়েন্ট টু ফাইভ।
তবু চোখে ঘুম নেই।
চোখে ঘুম নেই।
ঘুম নেই। নেই নেই নেই।
এবারে কী করবে বল ? 
এক কাজ করতে পার তুমি, 
পাহাড় ভাঙতে থাকো।

স্নেহযাত্রায় চেপে এরা বাড়ি ফিরছেন

সুরজ প্রসাদ
 

'স্নেহযাত্রা' নামে একটি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন আজ কেরালার আলাফুজা থেকে বিহারের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। সেই ট্রেন বর্ধমান স্টেশনে কিছুক্ষণ দাঁড়ায়। যদিও আজও কোনো যাত্রী ওঠানামা করে নি বর্ধমানে। তবে যাত্রীরা জানিয়েছেন তারা কেরালায় কেউ শ্রমিকের কাজে  কেউবা রাজমিস্ত্রির কাজে গিয়েছিল। আজ তারা ফিরতে পেরে খুশি।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER