শনিবার, মে ১১, ২০১৯

প্রকাশিত নিউজ ঘিরে চাঞ্চল্য কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীদের মধ্যে





মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

গত ২৪ এপ্রিল হাওড়া জেলা আদালতে গাড়ী রাখা নিয়ে আইনজীবীদের উপর পুলিশি সন্ত্রাস নিয়ে দুদফায় টানা ১৬ দিন আইনজীবীদের  কর্মবিরতি চলেছে রাজ্যের সব আদালত গুলিতে। আজ অর্থাৎ শুক্রবার সিটি সিভিল কোর্টের ষষ্ঠতলায় 'বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল' এর অফিসে কর্মবিরতি বিষয়ে গুরত্বপূর্ণ বৈঠক হল। সেখানে সারা রাজ্যের আদালত গুলিতে   আইনজীবীদের কর্মবিরতি আগামী ১৪ মে অবধি চালু থাকার ঘোষণা করা হয়। সেইসাথে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে হাওড়া কান্ডের স্বতঃস্ফূর্ত মামলায়   'বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল' এর পক্ষে আনসার মন্ডল, উত্তম মজুমদার, মিহির বন্দ্যোপাধ্যায় ও পিনাকী গাঙুলি মামলায় সওয়াল করার কথা জানানো হয়।আইনজীবীদের একপক্ষ চাইছেন যেখানে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল বি  রাধাকৃষ্ণণ সিরিয়াসলি স্বতঃস্ফূর্ত মামলায় বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন, সেখানে কর্মবিরতির সময়সীমা বাড়ানোর কোন দরকার ছিলিনা , পক্ষান্তরে বিচারপতিদের প্রতি একপ্রকার অনাস্থা নেওয়ার সামিল হয়ে যায় বিষয়টি । উল্টোদিকে আইনজীবীদের অন্যপক্ষ বিশেষত হাওড়া জেলা আদালতে বার এসোসিয়েশন মনে করছে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের প্রতি কড়া ব্যবস্থাগ্রহণ না করা অবধি কর্মবিরতি বহাল থাকুক।যেভাবে সেদিন (২৪ এপ্রিল)  সকাল দশটা থেকে রাত সাতটা পর্যন্ত টানা নয় ঘন্টা হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট আইনজীবীদের উপর তান্ডবলীলা চালিয়েছে, সেখানে জীবনের নিরাপত্তা কোথায়?  ইতিমধ্যেই গত ৮ মে অর্থাৎ বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির  ডিভিশন বেঞ্চে সেদিনের নিগৃহীত আইনজীবী তনুশ্রী দাসের তরফে কর্মস্থলে মহিলাদের সার্বিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা রাস্ট্রের কর্তব্য বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। এটিকে 'বিশেষ মামলা' হিসাবে হাইকোর্টে গ্রহণ করা হয়েছে, তবে অন্য কোন  মামলায়  মামলাকারীরা এটি কে 'রেফারেন্স' হিসাবে নথিভুক্ত করতে পারবেনা বলে উল্লেখ করা  হয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশিকায়। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে কর্মবিরতি বিষয়ে দুভাগ আইনজীবীমহল। তার রেশ পড়েছে  বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর আজকের বৈঠকে। প্রথম পর্যায়ে ২৪ এপ্রিল থেকে ২ মে কর্মবিরতি ঘোষণা শান্তিপূর্ণ ভাবে হলেও, গত ২ মে কর্মবিরতি বাড়ানোর ঘোষণা নিয়ে আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতি পর্যায়ে পৌঁছে যায়। আইনজীবীদের একাংশের  দাবি, রাত সাতটা পর্যন্ত সেদিন বার কাউন্সিল এর প্রতিনিধিদের অফিস ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখে কয়েকশো ক্ষুব্ধ  আইনজীবী। পরে অবশ্য ১০ ই মে অবধি রাজ্যজুড়ে আদালতে আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলার ঘোষণা করা হয়। এরেই মধ্যে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর সদস্য তথা কলকাতা হাইকোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী বৈশ্বানর চট্টপাধ্যায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এর এজলাসে বীরভূম জেলা তৃনমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের 'নজরবন্দী' নির্দেশিকার বিরুদ্ধে মামলা দাখিল করেন। যা নিয়ে প্রবল চাপের মধ্যে পড়ে যায়  বার কাউন্সিল।  উক্ত সংগঠনের এর তরফে শোকজ করা হয় ওই আইনজীবী কে। কেন তিনি ঘোষিত কর্মবিরতির মাঝেই মামলা লড়তে গেলেন, সেই বিষয়ে। এই বিষয়টি নিয়েও আইনজীবীদের বড় অংশ অবশ্য ক্ষুব্ধ। টানা ১৬ দিন আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলেছে। সেখানে পেশাগত দিকদিয়ে আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত আইনজীবীদের বড় অংশ। বিশেষত মহকুমা ও জেলাস্তরের আইনজীবীদের উপর আর্থিক মন্দার প্রভাব সবচেয়ে বেশি ঘটেছে বলে আইনজীবীরা জানাচ্ছেন। সেইসাথে আইনজীবিদের ল ক্লাক (মুহুরি) , স্ট্যাম্প পেপার বিক্রেতা, টাইপিস্ট, আদালত চত্বরে জেরক্স / ডিটিপি দোকানদাররাও এই টানা কর্মবিরতির ফলে কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আবার ২৪ মে থেকে ৯ জুন অবধি কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সমস্ত সিভিল ( দেওয়ানি)  আদালতে গরমের ছুটি পড়বে। তাই সেসময় পেশাগত আয়ের কোন সুযোগ পাবেন না বেশিরভাগ আদালতের সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা।  আগামী ১৩ মে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ কোন নির্দেশ দিতে পারে হাওড়া কান্ডের পরিপেক্ষিতে। সেক্ষেত্রে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ১৪ মে অবধি কর্মবিরতি বহাল রাখার ঘোষণা করলো আজকের বৈঠকে । উল্লেখ্য গত ৮ মে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ হাওড়ার ঘটনা  নিয়ে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল কে মামলায় যুক্ত করে এবং ১৩ মে এর মধ্যে হলফনামা মারফত বক্তব্য পেশের নির্দেশিকা জারী হয়েছে। এছাড়াও  ১০ মে এর মধ্যে হাওড়া বার এসোসিয়েশন কেও হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানবিচারপতি। হাওড়া বার এসোসিয়েশন এর পক্ষে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হলেও রাজ্যের পক্ষে এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত কোন নিদিষ্ট আবেদন পেশ হয়নি বলে সওয়াল করেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। ঠিক এইরকম পেক্ষাপটে জমজমাট হয়ে উঠেছে হাওড়া জেলা আদালতে আইনজীবী দের উপর পুলিশি সন্ত্রাসের ঘটনা টি । কেউ কেউ বলছেন, ২০০২ সালে কোর্টে স্ট্যাম্প ফি নিয়ে রাজ্যজুড়ে টানা ২২ দিনের আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলেছিল। সেই কর্মবিরতির রেকর্ড ভাঙতে দরকার আরও ৬ দিন। ২২ দিনের রেকর্ড ভাঙতে হাওড়া কান্ড আর কতদূর পথ এগিয়ে যায়, তার দিকে নজর রাখছেন অনেকেই।  গত ২৪ শে এপ্রিল থেকে ১৪ মে অর্থাৎ টানা কুড়িদিন সারা রাজ্য জুড়ে আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলছে। কেউ কেউ বলছেন এটা ২৩ শে মে অর্থাৎ লোকসভার ফলাফল ঘোষণার দিন অবধিও  চলতে  পারে। আজ অর্থাৎ শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির   ডিভিশন বেঞ্চে হাওড়া কান্ডে মামলায় সওয়াল জবাব পর্বে দৈনিক স্টেটসম্যান কাগজে প্রকাশিত ' হাওড়া কান্ড কি পরিকল্পিত কোন ষড়যন্ত্র? শীর্ষক সংবাদটি আলোচিত হয় এজলাসে উপস্থিত আইনজীবীদের মধ্যে।আইনজীবীদের কেউ কেউ গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার বলেও দাবি তুলেন। আগামী ১৩ মে পুনরায় শুনানির দিনে প্রকাশিত নিউজ ঘিরে তর্ক বিতর্কের সম্ভাবনা প্রবল রয়েছে বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                            

শুক্রবার, মে ১০, ২০১৯

আইনজীবীদের কর্মবিরতি কি চলবে? উত্তর মিলবে আজই


মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

গত ২৪ এপ্রিল হাওড়া জেলা আদালতে গাড়ী রাখা নিয়ে আইনজীবীদের উপর পুলিশি সন্ত্রাস নিয়ে দুদফায় টানা ১৬ দিন আইনজীবীদের  কর্মবিরতি চলছে রাজ্যের সব আদালত গুলিতে। আজ অর্থাৎ শুক্রবার সিটি সিভিল কোর্টের ষষ্ঠতলায় বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর অফিসে কর্মবিরতি বিষয়ে গুরত্বপূর্ণ বৈঠক হতে চলেছে। আইনজীবীদের একপক্ষ চাইছেন যেখানে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল বি  রাধাকৃষ্ণণ সিরিয়াসলি স্বতঃস্ফূর্ত মামলায় বিষয়টি দেখছেন সেখানে কর্মবিরতির সময়সীমা বাড়ানোর কোন দরকার নেই, পক্ষান্তরে বিচারপতিদের প্রতি একপ্রকার অনাস্থা নেওয়ার সামিল হয়ে যাবে। উল্টোদিকে আইনজীবীদের অন্যপক্ষ বিশেষত হাওড়া জেলা আদালতে বার এসোসিয়েশন মনে করছে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের প্রতি কড়া ব্যবস্থাগ্রহণ না করা অবধি কর্মবিরতি বহাল থাকুক।যেভাবে সেদিন (২৪ এপ্রিল)  সকাল দশটা থেকে রাত সাতটা পর্যন্ত হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট আইনজীবীদের উপর তান্ডবলীলা চালিয়েছে, সেখানে জীবনের নিরাপত্তা কোথায়?  ইতিমধ্যেই গত ৮ মে অর্থাৎ বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির  ডিভিশন বেঞ্চে সেদিনের নিগৃহীত আইনজীবী তনুশ্রী দাসের তরফে কর্মস্থলে মহিলাদের সার্বিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা রাস্ট্রের কর্তব্য বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। এটিকে 'বিশেষ মামলা' হিসাবে হাইকোর্টে গ্রহণ হয়েছে, তবে অন্য কোন মামলাকারী এটি কে রেফারেন্স হিসাবে নথিভুক্ত করতে পারবেনা বলে উল্লেখ হয়েছে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে কর্মবিরতি বিষয়ে দুভাগ আইনজীবীমহল। তার রেশ পড়তে চলেছে আজকের বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর বৈঠকে। প্রথম পর্যায়ে ২৪ এপ্রিল থেকে ২ মে কর্মবিরতি ঘোষণা শান্তিপূর্ণ ভাবে হলেও, গত ২ মে কর্মবিরতি বাড়ানোর ঘোষণা নিয়ে আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতি পর্যায়ে পৌঁছে যায়। দাবি, রাত সাতটা পর্যন্ত সেদিন বার কাউন্সিল এর প্রতিনিধিদের অফিস ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখে কয়েকশো আইনজীবী। পরে অবশ্য ১০ ই মে অবধি রাজ্যজুড়ে আদালতে আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলার ঘোষণা করা হয়। এরেই মধ্যে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর সদস্য তথা কলকাতা হাইকোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী বৈশ্বানর চট্টপাধ্যায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এর এজলাসে বীরভূম জেলা তৃনমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের 'নজরবন্দী' নির্দেশিকার বিরুদ্ধে মামলা দাখিল করেন। যা নিয়ে প্রবল চাপের মধ্যে বার কাউন্সিল এর তরফে শোকজ করা হয় ওই আইনজীবী কে। কেন তিনি কর্মবিরতির মাঝেই মামলা লড়তে গেলেন, সেই বিষয়ে। এই বিষয়টি নিয়েও আইনজীবীদের বড় অংশ ক্ষুব্ধ। টানা ১৬ দিন আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলছে। সেখানে পেশাগত দিকদিয়ে বিপর্যস্ত আইনজীবীদের বড় অংশ। বিশেষত মহকুমা ও জেলাস্তরের আইনজীবীদের উপর আর্থিক মন্দার প্রভাব সবচেয়ে বেশি ঘটেছে বলে আইনজীবীরা জানাচ্ছেন। সেইসাথে আইনজীবিদের ল ক্লাক (মুহুরি) , স্ট্যাম্প পেপার বিক্রেতা, টাইপিস্ট, আদালত চত্বরে জেরক্স / ডিটিপি দোকানদাররাও এই টানা কর্মবিরতির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আবার ২৪ মে থেকে ৯ জুন অবধি কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সমস্ত সিভিল ( দেওয়ানি)  আদালতে বর্ষার ছুটি পড়বে। তাই সেসময় পেশাগত আয়ের কোন সুযোগ পাবেন না বেশিরভাগ আদালতের সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা। তাই ১০ মে অর্থাৎ আজকের বৈঠকে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল কি ঘোষণা করে আইনজীবিদের কর্মবিরতি নিয়ে?  তার দিকে তাকিয়ে গোটা রাজ্যবাসী। তবে আগামী ১৩ মে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ কোন নির্দেশ দিতে পারে হাওড়া কান্ডের পরিপেক্ষিতে। সেক্ষেত্রে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ১৪ মে অবধি কর্মবিরতি বহাল রাখার ঘোষণাও করতে পারে বলে আইনজীবীদের একাংশ মনে করছে। উল্লেখ্য গত ৮ মে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ হাওড়ার ঘটনা  নিয়ে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল কে মামলায় যুক্ত করে এবং ১৩ মে এর মধ্যে হলফনামা মারফত বক্তব্য পেশের নির্দেশিকা জারী হয়েছে। এছাড়াও  ১০ মে এর মধ্যে হাওড়া বার এসোসিয়েশন কেও হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানবিচারপতি। হাওড়া বার এসোসিয়েশন এর পক্ষে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হলেও রাজ্যের পক্ষে এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত কোন নিদিষ্ট আবেদন পেশ হয়নি বলে সওয়াল করেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। ঠিক এইরকম পেক্ষাপটে জমজমাট হয়ে উঠেছে হাওড়া জেলা আদালতে আইনজীবী দের উপর পুলিশি সন্ত্রাসের ঘটনা টি । কেউ কেউ বলছেন, ২০০২ সালে কোর্টে স্ট্যাম্প ফি নিয়ে রাজ্যজুড়ে টানা ২২ দিনের আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলেছিল। সেই কর্মবিরতির রেকর্ড ভাঙতে দরকার আরও ৬ দিন। ২২ দিনের রেকর্ড ভাঙতে হাওড়া কান্ড আর কতদূর পথ এগিয়ে যায়, তার দিকে নজর রাখছেন অনেকেই।                                                                                                                                                                                                                                                                                                     

বৃহস্পতিবার, মে ০৯, ২০১৯

হাওড়া কান্ডের অন্তরালে কারা?


মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

যত দিন যাচ্ছে ততই যেন হাওড়া আদালতের ঘটনায় সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে।টানা চৌদ্দ দিন সারা রাজ্যে সমস্ত আদালতে আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলছে। এই কর্মবিরতির  সময়সীমা  আরও বাড়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। আজ অর্থাৎ  বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে স্বতঃস্ফূর্ত মামলার ( হাওড়া কান্ড) শুনানি হয়। তাতে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে তেরো মে। উল্লেখ্য  'বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল' এর ঘোষণা অনুযায়ী আগামী দশ মে অবধি চলবে উকিলবাবুদের কর্মবিরতি। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, যেহেতু তেরো মে পরবর্তী শুনানি রয়েছে, তাই কর্মবিরতি টা  আবার বাড়বে। সুতরাং চৌদ্দ  মে এর আগে রাজ্যে আদালতগুলি সচল হবার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তাহলে ধরে নেওয়া যায় গত চব্বিশ  এপ্রিল থেকে চৌদ্দ মে অবধি আইনজীবীদের কর্মবিরতি চালু থাকবে। এই কুড়ি দিনের মধ্যে চলতি লোকসভার চতুর্থ দফা এবং পঞ্চম দফা নির্বাচন ঘটেছে এবং আগামী বারো মে আবার ষষ্ঠ দফার নির্বাচন রয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীদের একাংশ সুত্রে প্রকাশ, এই কর্মবিরতি পর্ব শেষ দফা অর্থাৎ আগামী উনিশে মে অবধিও চলতে পারে। তাহলে বোঝা যাচ্ছে হাওড়া কান্ডের আগে তিন দফা ভোটপর্ব মিটেছে এবং বাকি চার দফা ভোট হাওড়া কান্ডের পর। ইতিমধ্যেই বাকি চার দফার মধ্যে দু দফা হয়েছে এবং আগামীতে আরও দুদফা ভোট হবে। শেষ দফায় কলকাতা সহ শহরতলী কেন্দ্র গুলির ভোট রয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, গত চব্বিশ এপ্রিল হাওড়া জেলা আদালতে গাড়ী রাখা নিয়ে আইনজীবীদের উপর পুলিশি সন্ত্রাস কি সুপরিকল্পিত কোন ষড়যন্ত্র?  কেননা সেদিন পুলিশ এতটাই বেপরোয়াভাবে আইনজীবীদের মারধর চালিয়েছে শুধু আদালত চত্বরে নয় এমনকি বিভিন্ন বিচারকের এজলাসে ঢুকে পুলিশের অতি সক্রিয়তা চোখে পড়েছে। এই ঘটনায় কুড়ির বেশি আইনজীবী আহত হন। অনেকেই সরকারি হাসপাতাল / নার্সিংহোমে ভর্তি হন। এখন প্রশ্ন সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র টা কি? মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে নবান্ন তে হঠাৎই মুখ্যমন্ত্রী সদ্য নির্বাচিত বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর প্রতিনিধিদের ডেকে নেন জরুরি বৈঠকে।সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল পন্থী আইনজীবিদের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সক্রিয় হবার বার্তাও দেন। সেইসাথে বৈঠকে উপস্থিত এক আইনজীবির সুপারিশে বার কাউন্সিলের নির্বাচিত আইনজীবীদের দলের কোর কমিটিতে যুক্ত করার নির্দেশ সুব্রত বকসী কে দেন তৃণমূল নেত্রী  ।এহেন বৈঠকে উৎফুল্ল হন তৃণমূল প্রন্থী আইনজীবীরা। এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী এক প্রাক্তন বিচারক হাওড়া কান্ড নিয়ে মন্তব্য করেন - " লোকসভায় প্রচারের সুবিধা দিতেই হাওড়া কান্ড ঘটানো হয়েছে "। গত চব্বিশ এপ্রিলের পরেই কলকাতা হাইকোর্টের তরফে হাওড়া জেলা জজের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়। সেই রিপোর্ট অবশ্য একদিনের মধ্যেই দিয়ে দেন হাওড়া জেলাজজ। হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতি হাওড়া আদালতে যান পুরো ঘটনা জানতে। সেইসাথে দফায় দফায় হাইকোর্টে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর প্রতিনিধিদের সাথে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হয়। স্বতঃস্ফূর্তভাবে কলকাতা হাইকোর্ট হাওড়া কান্ডে মামলা রুজু করে। এরেই মাঝে গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার দুপুরে সারা রাজ্যের বিভিন্ন আদালতের একাংশ আইনজীবী সিটি সিভিল কোর্টের গেট থেকে লালবাজার হয়ে রাজভবনের গেট অবধি প্রতিবাদ মিছিলে হাঁটে।আইনজীবীদের এক প্রতিনিধিদল রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন। রাজ্যপাল অবশ্য বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে বিষয় টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন।  দেখা যাচ্ছে, হাওড়া কান্ডে চৌদ্দ দিন কেটে গেলেও সেভাবে কোন সমাধানের সুত্র বের হয়নি। নিশ্চুপ রাজ্য প্রশাসনও। কেউ কোন উচ্চবাচ্য করেনি। কর্মবিরতির মাঝে অবশ্য বীরভূম জেলা তৃনমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের হয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের ',নজরবন্দি' র বিরুদ্ধে    মামলা লড়তে গিয়ে আইনজীবী বৈশ্বানর চট্টপাধ্যায় আইনজীবীমহলে তুমুল সমলোচিত হন। আইনজীবীদের একাংশ মনে করছে যে, 'হাওড়া কান্ড এর মাধ্যমে  কর্মবিরতির অস্ত্র ব্যবহার করা হলেও হতে পারে'। একদিকে যেমন শাসক দলের হয়ে প্রচার প্রসারের ব্যাপক সুযোগ মিললো অপরদিকে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের ওয়ারেন্ট তালিকা গুলি ডিসপোজাল করার নির্দেশিকা দুর্বল হল। প্রকান্তরে দাগী অপরাধীরা আদালতের আইনজীবীদের কর্মবিরতির দোহাই দিয়ে ভোটের দিন ভাল 'অফার' পাচ্ছে। ষষ্ঠ এবং সপ্তম দফার আসনগুলিতে বেশিরভাগ বুথই উত্তেজনাময়। বিশেষত কলকাতা মহানগরের লোকসভা আসনগুলিতে মস্তানদের দৌরাত্ম প্রতিবারেই দেখা যায় । ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে আশার আলো দেখা গেছে, হাওড়া জেলা আদালতে এসিজেম এজলাসে ২০০ সিআরপিসি ধারায় সেদিনকার ঘটনায় অভিযোগপত্র গ্রহণ নিয়ে।তবে হাওড়া আদালতে এই মামলা কিংবা কলকাতা হাইকোর্টের স্বতঃস্ফূর্ত মামলার শুনানিপর্ব গুলি সময়সাপেক্ষ অর্থাৎ লোকসভা ভোট মিটে যাওয়ার পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণের ইংগিত মিলবে। কিন্তু যারা হাওড়া কান্ডে পুলিশের অতি সক্রিয়তার পেছনে ভূমিকা নিল এবং কর্মবিরতি প্রক্রিয়া কে দীর্ঘায়িত করতে ইন্ধন দিল,  তারা কি অন্তরালেই থাকবেন এই প্রশ্ন উঠতে  শুরু করেছে আইনজীবীদের একাংশ মহলে।                                                                                                                                                                                                                                                                                   

বুধবার, মে ০৮, ২০১৯

নরকঙ্কাল উদ্ধারে তীব্র চাঞ্চল্য কাটোয়ায়

সুকান্ত  ঘোষ ,

ভোটের মরসুমে এক নরকঙ্কাল উদ্ধারে তীব্র চাঞ্চল্য দেখা দিল কাটোয়া শহরের বুকে। গত সোমবার সন্ধেবেলায় কাটোয়া শহরের মন্ডলহাট এলাকায় এক ঝোঁঁপঝড় থেকে উদ্ধার হল এই নরকঙ্কাল টি। স্থানীয় থানার পুলিশ অবশ্য উদ্ধার করে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত এর জন্য পাঠিয়েছে। নরকঙ্কাল টি তে পুরোপুরি মাংস না থাকলেও তদন্তকারী পুলিশের তরফে মনে করা হচ্ছে মাস খানেক পূর্বে কোথাও খুন করে এটি কে ফেলে দিয়েছে দুস্কৃতিরা। এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে।উল্লেখ্য ঘটনাস্থল থেকে খুব কাছে পড়ছে  নরকঙ্কাল কারবারের মুক্তাঞ্চল পূর্বস্থলী এলাকা। তাই পরিকল্পিত ভাবে খুন করে আধ পচা লাশ ফেলে দেওয়া নাকি নরকঙ্কাল পাচারের কোন সিন্ডিকেট কাজ করছে এখানে?  তা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত অনেকেই। তবে ভোটের মরসুমে এই ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী। মাস খানেক পূর্বে মঙ্গলকোটের কৈচর স্টেশনে এক অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য দেখা গিয়েছিল। সেই ঘটনায় পুলিশি তদন্তে কোন অগ্রগতি দেখা যায়নি। আবার গত সোমবার সন্ধেবেলায় কাটোয়া শহরের বুকে নরকঙ্কাল উদ্ধারে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন রেখে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।                                                                           

মঙ্গলবার, মে ০৭, ২০১৯

ভাতারে কারেন্টে শর্ক খেয়ে মৃত ১

আমিরুল  ইসলাম ,

ভাতারে বিদ্যুৎ পিষ্ট হয়ে মারা গেল এক ব্যক্তি।

পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার ব্লকের পলসোনা গ্রামে এক ব্যক্তি গতকাল বিকাল বেলায় বিদ্যুৎ পিষ্ট হয়ে মারা যান।

স্থানীয় সূত্রে খবর মৃত ব্যক্তির নাম আইয়ুব নবী  শেখ ,বয়স 33 বছর ।তার বাড়িতে রয়েছে মিটারের কারেন্ট ।বেশ কয়েকদিন আগে সেই কারেন্টের সমস্যা হয় এবং সে তড়িঘড়ি বিদ্যুৎ দপ্তর বিষয়টি জানাই।গতকাল কে পুনরায় বিদ্যুৎ দপ্তর কে সে জানায়।বিদ্যুৎ দপ্তরে লোক এসে তার মিটার বক্স চেক করেন এবং তাকে জানিয়ে দিয়ে যান তার কেবেল তার নষ্ট হয়ে গেছে। প্রচন্ড গরম থাকার জন্য সে নিজে ওই  কারেন্ট মেরামত করতে যাই তখনই তাকে কারেন্টের শক লাগে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভাতার হসপিটালে নিয়ে আসে। ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে ।আজ ওই মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ওই এলাকায়।

তার মামাতো ভাই শেখ আবীর আলী জানান, আমার দাদা দিনমজুর ছিলেন, খুব দারিদ্র পরিবার। তার একটি সাত বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে।

সোমবার, মে ০৬, ২০১৯

মেমারিতে পত্রিকা সম্পাদক স্মরণে সভা হল

সেখ সামসুদ্দিনঃ মেমারি থেকে প্রকাশিত জিরো পয়েন্ট  পত্রিকার দপ্তরে আয়োজিত হল জিরো পয়েন্ট  সাহিত্য আড্ডা ও প্রয়াত সম্পাদক সেখ আনসার আলির স্মরণ সভা। সভায় উপস্থিত ছিলেন মেমারি বিধানসভার বিধায়িকা নার্গিস বেগম, প্রাক্তন জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক এবং সচিব অরবিন্দ সরকার, সিপিএম জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য তথা মেমারি ১ পূর্ব কমিটির সম্পাদক অভিজিৎ কোঙার, বিশিষ্ট চিকিৎসক অভয় সামন্ত, মেমারি পুরসভার ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার বিদ্যুৎ দে, ছাত্র নেতা মুকেশ শর্মা, শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি কৌশিক মল্লিক, সাহিত্যিক প্রভাত কিরণ মুখোপাধ্যায়, লেখিকা মিনতি নায়েক, শিক্ষক কাজী মহঃ ইয়াসিন, সাংবাদিক সেখ সামসুদ্দিন, পার্থসখা অধিকারী, সুফি রফিক উল ইসলাম, নূর আহমেদ, লেখক স্বদেশ মজুমদার, শুভাষিস মল্লিক, সেখ আব্দুল হামিদ, আনসার সাহেবের মা, স্ত্রী আঞ্জুমনোয়ারা আনসারী, পুত্র আনোয়ার আলি, পুত্রবধূ ব্রততী, সহ পরিবার পরিজন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। আনসার সাহেবের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, পুষ্পার্ঘ প্রদান ও নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে কার্যসূচী শুরু হয়। সঞ্চালক হামিদ সাহেব হৃদয় ছোঁয়া স্বরচিত উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন। পরে উপস্থিত সকলে স্মৃতিচারণা, কবিতা পাঠ, আবৃত্তি ইত্যাদি পরিবেশন করেন। পরিবারের পক্ষ হতে পত্রিকা প্রকাশ ও নজরুল উৎসব সবই চলবে ঘোষণা করা হয়।

কাটোয়া শহরের বুকে শ্যাবল দিয়ে জামাই খুন

মোল্লা  জসিমউদ্দিন ,

রবিবার দুপুরে কাটোয়া শহরে এক যুবককে শাবল দিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম মিরাজ শেখ (৩০)। নিহতের  বাড়ি কাটোয়া শহরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কেশিয়া মাদ্রাসা পাড়া এলাকায়। মৃতের পরিবারের লোকজনের দাবি , শ্বশুরবাড়ির লোকজন ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করে। এলাকায় খুনের পর তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।স্থানীয় পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় ভ্যান চালক মিরাজ শেখের শ্বশুরবাড়ি ওই ওয়ার্ডেই কেশিয়া দরগাতলা মল্লিকপাড়া এলাকায়। এদিন দুপুরে মিরাজ  তার শ্বশুরবাড়িতে ছেলে মেয়েদের জন্য খাবার  কিনে দিতে গিয়েছিল। অভিযোগ, তারপরেই মিরাজের কয়েকজন মামাশ্বশুর শাবল দিয়ে মিরাজকে পিটিয়ে মেরে তারাই  আবার গুরতর জখন অবস্থায়  কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর পুরো  ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই  এলাকার বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। তারপর কাটোয়ার এসডিপিও ত্রিদিব সরকারের নেতৃত্বে পুলিস বাহিনী এলাকায় গিয়ে ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে ।এলাকা সুত্রে প্রকাশ , দশ বছর আগে মিরাজের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল আফরোজা বিবির। স্ত্রী ও তিন ছেলে মেয়ে নিয়েই মিরাজের সংসার চলছিল। কয়েকমাস আগেই মিরাজের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী আফরোজা বিবির ঝগড়া  শুরু হয়। সম্প্রতি  স্ত্রী আফরোজা বিবি তাঁর তিন ছেলে মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতে শুরু করে দেয়। এদিকে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদেহের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আবার বেশ কয়েক জায়গায় ধারাল অস্ত্রের কোপানোর দাগ রয়েছে। তবে এদিন সন্ধ্যে পর্যন্ত কাটোয়া থানায় এ নিয়ে কারও বিরুদ্ধে কোনও লিখিত অভিযোগদায়ের না করলেও পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তেরা ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা। এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে।      

প্রাকৃতিক দুর্যোগে কাটোয়া কালনায় ক্ষতিগ্রস্ত কাঁচাবাড়ি

মোল্লা  জসিমউদ্দিন ,

গত শুক্রবার রাতে ফণী ঝড়ের তান্ডবে কাটোয়া কালনা মহকুমা জুড়ে দুই শতাধিক মাটির বাড়ি ধসে যাওয়ার খবর মিলেছে প্রশাসন সুত্রে। কাটোয়া মহকুমার পাঁচটি ব্লক এলাকায় সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মঙ্গলকোট ব্লক এলাকা। এছাড়া কালনার পাঁচটি ব্লকেও অনুরূপ অবস্থা।  মঙ্গলকোটে পঞ্চাশের কাছাকাছি খড়ের ছাউনি বিশিষ্ট  মাটির বাড়ি  ধসে গেছে। মঙ্গলকোটের আটঘড়া সহ বেশকিছু জায়গায় ইলেক্ট্রিক পোল পড়ে গেছে। সারারাত জুড়ে মঙ্গলকোটের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বিছিন্ন ছিল। স্থানীয় হাসপাতালে বিএমওএইচ ডঃ প্রণয় ঘোষ এর নেতৃত্বে মেডিকেল টিম রেডি ছিল জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায়।                                  

স্ত্রীর পরিবার হামলা চালালো স্বামীর বাড়ীতে

মোল্লা  জসিমউদ্দিন ,

কেতুগ্রামে স্বামীর ঘরে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য।শ্বশুরবাড়িতে বাপের বাড়ির লোকজন নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল এক গৃহবধুর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকেলের দিকে কেতুগ্রামে কান্দরা কলেজ পাড়ায়।আরো অভিযোগ যে ওই বধুর শশুর কে লক্ষ্য করে দু রাউন্ড  গুলি চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। বরাত জোরে প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন শশুর। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বধু সহ তার বাপের বাড়ির লোকজনকে ( সাতজন) পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।কেতুগ্রাম থানার পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে -  কেতুগ্রাম থানার কান্দরা কলেজ পাড়ার বাসিন্দা শিশির  মাঝির বাড়িতে আচমকা তাণ্ডব চালায় তার বৌমা ও তার দলবল । অভিযোগ,  বাড়িতে ঢুকেই বধুর বাবা মা ও দুই কাকা সহ আরো কয়েকজন জামাইয়ের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় জিনিসপত্র লন্ডভন্ড করে দেয়। বাড়ির বাইরে থাকা স্বামীর চার চাকা গাড়িটি ও ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে বধুর বাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে।বধুর এক কাকা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এই বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ।এই ঘটনার কথা জামাইয়ের বাড়ির লোকজনের তরফ থেকে কেতুগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় বধুর লোকজনদের বিরুদ্ধে।

কেতুগ্রাম থানার পুলিশ কে শিশির মাঝি জানিয়েছেন,  প্রায় পাঁচমাস আগে তার ছেলে বুদ্ধদেব মাঝি বীরভূম জেলার লাভপুর থানার থিবা গ্রামে বিয়ে হয়।অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর সঙ্গে নানা কারণে ছেলের অশান্তি চলছিল। হঠাৎ করেই বধু তার বাবা-মায়ের সাথে করে তাদের বাড়িতে আসে এবং হামলা চালায় এমনকি পিস্তল দিয়ে গুলি ও করা হয় তাকে লক্ষ্য করে কিন্তু অল্পের জন্য তিনি প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন।প্রতিবেশীরা চিৎকার চেঁচামেচি শুনে বাড়িতে আসেন এবং  বউমা সহ তার বাড়ির লোকজনদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।ইতিমধ্যে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ জানিয়েছে অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত শুরু হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য।শনিবার কাটোয়া মহকুমা আদালতে এসিজেম এজলাসে হামলার ঘটনায় জড়িত সাতজন কে পেশ করা হলে নববধূ ও তার মা কে শর্ত সাপেক্ষে জামিন দেন বিচারক। সেইসাথে বধূর কাকা কে তিনদিনের পুলিশি হেফাজত এবং বাকিদের সাতদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। কেতুগ্রাম থানার পুলিশ এই ঘটনায় সেভেন এমএমের পিস্তল সহ চার রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে ধৃতদের কাছ থেকে।                      

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER