সোমবার, জানুয়ারী ২৭, ২০২০

প্রজাতন্ত্র দিবস পালনে প্রগেসিভ ইয়ুথ ফাউন্ডেশন

পুলকেশ ভট্টাচার্য
  


উত্তর 24 পরগনা জেলার গাইঘাটা ব্লকের মধ্য ময়না অস্কার ক্লাবের উদ্যোগে 71 তম প্রজাতন্ত্র দিবস বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়। উপস্থিত ছিলেন প্রগ্রেসিভ ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের রাজ্য সভাপতি সিয়ামত আলী বলেন বর্তমান দেশের যা অবস্থা তাতে আমাদের সকলকে এই 71 তম প্রজাতন্ত্র দিবসে ও আমরা দেশবাসী হিসেবে নাগরিক হিসেবে দেশের পবিত্র সংবিধান রক্ষার শপথ নিতে হবে। এমন কোন কর্মের দ্বারা দেশের সাধারণ নাগরিকের অসুবিধা হবে সেই সমস্ত কার্য আর যাই হোক দেশে চলতে পারে না। সংবিধানের উপরে কোন রকম আঘাত আসলে দেশের নাগরিক হিসেবে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে জোট বদ্ধ ভাবে এগিয়ে আসতে হবে এবং তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাস বলেন আজ এই প্রজাতন্ত্র দিবসে দেশে সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠান উদযাপিত করে থাকি। বিভেদ সৃষ্টি করে আমাদের মধ্যে কারো হিংসা ছড়াতে দেব না। কারণ এদেশে এমনই এক মহান দেশ বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য এটাই আমাদের গর্ব, এটাই দেশের ঐতিহ্য। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষক মিঠুন, অনুষ্ঠানের সম্মানীয় সভাপতি নন্দদুলাল মল্লিক, ক্লাবের সম্পাদক পিন্টু মণ্ডল, সভাপতি জয় প্রকাশ মল্লিক, শান্ত মন্ডল, সমস্ত অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে সঞ্চালনা করেন পীযূষ কান্তি মল্লিক ।

শনিবার, জানুয়ারী ২৫, ২০২০

নদীয়ার বিধায়ক খুনে রক্ষাকবচ মিললো সাংসদ জগন্নাথ সরকারের

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  

শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে তৃনমূল বিধায়ক খুনে অভিযুক্ত বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি চলে। ডিভিশন বেঞ্চ উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে বেশকিছু শর্তাবলী রেখে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত রানাঘাট সাংসদ জগন্নাথ সরকারের অন্তবর্তী জামিনের মেয়াদ রাখে। সেইসাথে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির জেরাপর্বের জন্য আগামী ৮, ৯, ১৫ এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি সকাল দশটা থেকে বেলা চারটে পর্যন্ত তদন্তকারীদের সামনে থাকবার নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চে নদীয়ার তৃণমূল বিধায়ক খুনের আগাম জামিনের মামলাটি উঠে। ইতিপূর্বে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে - ' নদীয়ার বিধায়ক খুনে অভিযুক্ত মুকুল রায় কে আগামী এপ্রিল মাস অবধি গ্রেপ্তার করা যাবেনা। সেইসাথে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি মার্চ মাসের মধ্যেই এই মামলার অগ্রগতি নিয়ে রিপোর্ট পেশ করবে'। এই মামলার পরবর্তী শুনানি এপ্রিল মাসে রয়েছে। সম্প্রতি সিআইডি এই খুনের মামলায় তদন্তে অভিযুক্তদের মধ্যে একজনের সাথে মুকুল রায়ের মোবাইলে কথপোকথন পেয়েছে বলে দাবি। সেই সুত্র ধরেই নুতন করে তদন্তের নির্দেশ দেয় নদীয়ার নিম্ন আদালত। নিহত বিধায়কের স্ত্রীর নিম্ন আদালতে পুনরায় তদন্তের আবেদন মঞ্জুর হওয়ায় মুকুল রায় তড়িঘড়ি কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছেন বলে প্রকাশ। ২০১৭ সালে নভেম্বর মাসের পর একদা তৃনমূলের 'চাণক্য' মুকুল রায়  দলবদলের পর রাজনৈতিক আক্রোশে ৫০ টি ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ। বেশিরভাগ মামলায় আদালতের তরফে খারিজ হয়েছে। এইমুহূর্তে  সরশুনায় রেলবোর্ড প্রতারণা মামলা, বড়বাজারে তোলাবাজির মামলার পাশাপাশি বীরভূমের লাভপুরের তিনভাই খুনের মামলার সাথে নদীয়ার তৃনমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে নাম জড়িয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়ের। প্রায় মামলায় আইনী রক্ষাকবচ মিললেও নদীয়ার বিধায়ক খুনে আইনী রক্ষাকবচ ছিল না। উল্লেখ্য, এই খুনের মামলায় তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি নিম্ন আদালতে দ্বিতীয় পয্যায়ে পুনরায় তদন্তের আবেদন করলেও তা মঞ্জুর হয়নি। সেসময় অভিযুক্ত মুকুল রায় কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হলেও তা খারিজ হয়। কেননা নিম্ন আদালতে সিআইডির আবেদন টি খারিজ হয় বলে। তবে সম্প্রতি নিহত বিধায়কের স্ত্রী দিপালী  বিশ্বাস নিম্ন আদালতে সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে পুনরায় তদন্তের আর্জি রাখেন। তাতে সংশ্লিষ্ট এজলাসের বিচারক সেই আর্জি মঞ্জুর করায়,  মুকুল রায়ের গ্রেপ্তারির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই তড়িঘড়ি কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন রাখেন টি মুকুল রায়।  উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ৯ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পূজার দিন সন্ধেবেলায় নদীয়ার  হাঁসখালি এলাকায় এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। এই খুনে সুজিত মন্ডল এবং কার্তিক মন্ডল নামে   দুজন এলাকাবাসী  গ্রেপ্তার হয়। এই দুজন ছাড়াও নদীয়ার বিজেপির জেলা সভাপতি তথা বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার এবং বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়ের নাম জড়ায় মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে। এই খুনে পুলিশি নিস্ক্রিয়তার জন্য তৎকালীন ওসি অনিন্দ বসু সাময়িক বরখাস্ত হন। সেইসাথে নিহত বিধায়কের দেহরক্ষীও বরখাস্ত হন। বর্তমানে এই দুই পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে।খুনের দিন নিহতের বিধায়কের সাথে দেহরক্ষী ছিলেন না। কেননা সেসময় ছুটিতে ছিলেন দেহরক্ষী। কেন দেহরক্ষীর ছুটি মঞ্জুর করা হয়েছিল। তাও পুলিশের বিভাগীয় তদন্তে বারবার উঠে এসেছে। এই খুনের মামলায় তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি নিম্ন আদালতে চার্জশিট দাখিল করে থাকে। এরপর দ্বিতীয় পয্যায়ে পুনরায় তদন্তের পিটিশন জানায় সংশ্লিষ্ট এজলাসে। সেসময় সেই পিটিশন খারিজ হয়। সম্প্রতি নিহতের স্ত্রী নিম্ন আদালতে পুনরায় তদন্তের আবেদন রাখেন। তাতে সেই আবেদন মঞ্জুর হয়। আর এতেই সিঁদুরে কালো মেঘ দেখে মুকুল শিবির। সেজন্য আগাম জামিন পেতে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হন মুকুলের আইনজীবী। চলতি মাসে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার সমস্ত রিপোর্ট দেখে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি কে আগামী মার্চ মাসের মধ্যেই রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেয়। সেইসাথে আগামী এপ্রিল মাস অবধি মুকুল রায় কে আইনী রক্ষাকবচ দেয় বেশকিছু শর্ত আরোপ করে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে আরেক অভিযুক্ত বিজেপির সাংসদ জগন্নাথ সরকার এই বেঞ্চে আগাম জামিনের আবেদন জানায়। তাতে শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রানাঘাটের বিজেপির সাংসদ জগন্নাথ সরকার কে বেশকিছু শর্ত আরোপ করে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত অন্তবর্তী জামিন দেয়। সেইসাথে ফেব্রুয়ারি মাসের ৮, ৯, ১৫ এবং ১৬ তারিখ সকাল দশটা থেকে বেলা চারটে পর্যন্ত তদন্তকারীর সামনে থাকবার আদেশনামা রয়েছে।                                                                                                                                                                                                                   


শুক্রবার, জানুয়ারী ২৪, ২০২০

নেতাজি জন্মবার্ষিকীতে দুস্থ পড়ুয়াদের ব্যাগ বিলি করলো সুসম্পর্ক


নেতাজীর জন্মজয়ন্তীতে দুস্থ পড়ুয়াদের ব্যাগ বিলি     


পারিজাত মোল্লা  

বৃহস্পতিবার  কলকাতার ঠাকুরপকুর এলাকার  জেমসলং সরণির সংযোগস্থলে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম দিবস উপলক্ষে 'সুসম্পর্ক' এর উদ্যোগে  আরো একটি অনবদ্য প্রয়াস নেওয়া হলো  ।প্রথমে দুস্থ শিশুদের নিয়ে   প্রভাতফেরি হয়। এর প্রতিনিধিত্ব করেন 'সুসম্পর্কে'র  কোষাধক্ষ্য শোভন ভট্টাচার্য l নেতাজির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন প্রধান অথিতি ডাক্তার নীলাদ্রি শেখর দোলুই এরপরেই  পঞ্চাশের বেশি দুস্থ শিশুর হাতে তুলে দেয় স্কুলের ব্যাগ এবং অন্যান্য উপহার সামগ্রী।উপস্থিত ছিলেন এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার শ্রীঅরবিন্দ সিংহ, অতিথি অন্তরা সেন প্রমুখ । অনুষ্ঠানের শেষে সংস্থার  কর্ণধার জানিয়েছেন - "আরও মানুষ এগিয়ে এলে  ভবিষৎতে অনেকবেশি এইরুপ সমাজসেবা করতে পারবে 'সুসম্পর্ক' "l

মহাকাশ বিজ্ঞানের পাঠ নিতে বিধান শিশু উদ্যানে পড়ুয়ারা


মহাকাশ বিজ্ঞান প্রদর্শনী চলছে বিধান শিশু উদ্যানে

গোপাল দেবনাথ  

মহাকাশ বিজ্ঞান প্রদর্শনী চলছে বিধান শিশু উদ্যানে। গত বুধবার দুপুরে শুরু হয়েছে চলবে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত। কলকাতার হাডকো মোড় সংলগ্ন    বিধান শিশু উদ‍্যানে মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে প্রদর্শনীতে আজ সাধারণ মানুষের ঢল নামে।  প্রদর্শনী দেখতে  সকাল থেকেই হাজার হাজার মানুষ বিধান শিশু উদ‍্যান মুখী। এখন পযর্ন্ত প্রায় কুড়ি হাজারেরও বেশি দর্শনার্থী এসেছেন বলে জানা গেছে   । মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে ছোটদের মধ্যে আগ্রহ চোখে পড়ার মতো। তাদের হাজারো প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন আহমেদাবাদ থেকে আসা ইসরোর বিজ্ঞানীরা। তাদের যোগ্য সহযোগিতা করছে কলকাতার বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা।  প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য,গতকাল সকাল এগারোটায় এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ইসরোর সিনিয়র এডভাইজার তথা বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড.তপন মিশ্র। উপস্থিত ছিলেন মধ‍্য শিক্ষা পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি(একাডেমিক) ড.পার্থ কর্মকার,ড.চন্দন কুমার পাল,ড.শৈবাল রায়, বিশিষ্ট সাহিত‍্যিক সাংবাদিক একরাম আলি প্রমুখ । প্রদর্শনী চলবে শুক্রবার  সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত। এর পাশাপাশি চলছে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেনির ছাত্র ছাত্রীদের কুইজ,তাৎক্ষনিক বক্তৃতা,বিতর্ক এবং মডেল তৈরির প্রতিযোগিতা চলছে বলে জানান বিধান শিশু উদ্যানের কর্মকর্তা গৌতম তালুকদার।          

শিয়ালদহের কৃষ্ণপদ মেমোরিয়াল হলঘরে মননের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নক্ষত্র সমাবেশ

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  

বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতার শিয়ালদহ সংলগ্ন কৃষ্ণপদ মেমোরিয়াল হলঘরে সাহিত্য সংগঠন 'মনন' এর বাৎসরিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হলো। উপস্থিত ছিলেন পান্ডব গোয়েন্দা খ্যাত ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়, কবি মন্দাক্রান্তা সেন, বিদ্রোহী কবি কাজি নজরুল ইসলামের নাতনি সাহিত্যিক সোনালি কাজি,  সাহিত্য সম্রাটের পঞ্চম বংশধর তথা সাহিত্যিক জয়দীপ চট্টপাধ্যায়, বাচিক শিল্পী আরণ্যক বসু প্রমুখ। তিন শতাধিক কবি সাহিত্যিকদের নিয়ে ঘন্টা পাঁচের সভা চলে। "এই বাংলার বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি সূদুর বাংলাদেশ থেকে আগত  সাহিত্যানুরাগীদের আবৃত্তি - গান চলে। বেশকিছু বই প্রকাশের পাশাপাশি মননের অষ্টম সংখ্যা প্রকাশ করা হয়" বলে জানান মননের কর্মকর্তা স্নেহাশিস চক্রবর্তী  । এদিন  সাহিত্য - সংস্কৃতি জগতের বেশ কয়েকজন গুণীজনদের সংবর্ধনা জানানো হয়। এই মঞ্চে 'কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি'র সম্পাদক মোল্লা জসিমউদ্দিন আগামী ৩ রা মার্চ মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের জন্মদিন উপলক্ষে সংবর্ধনা প্রাপক  ২০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করেন। ঘোষিত কর্মসূচি হিসাবে  কুমুদ সাহিত্য মেলার দিন অর্থাৎ ৩ রা মার্চ মঙ্গলকোটের কোগ্রামে কুমুদ ভিটেয়     সাহিত্য সংগঠন  'মননে'র তরফে ১৫০ জন দুস্থদের বস্ত্রবিলি এবং অন্নভোগ করা হবে। সেইসাথে সমাজসেবী সংগঠন 'সুসম্পর্ক' এর পক্ষে ১০০ জন দুস্থ পড়ুয়াদের শিক্ষাসামগ্রী তুলে দেওয়া হবে।                                                                                                    

বৃহস্পতিবার, জানুয়ারী ২৩, ২০২০

কুমুদ সাহিত্য মেলায় কারা সংবর্ধনা পাচ্ছেন? জানুন আজ

আজ সন্ধ্যাবেলায় কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটির পক্ষে সংবর্ধনা প্রাপকদের নাম প্রকাশ  করা  হবে। 


একসময় ছিল যখন কুমুদ সাহিত্য মেলায় সংবর্ধনা জানানোর জন্য অনুরোধ /আবেদন - নিবেদন করে তালিকা প্রকাশ করা হত। কেউ কেউ ওইদিন জন্মদিন  অনুষ্ঠানে পুরস্কার নিতে আসেন নি। তাদের বাড়িতে গিয়ে আমাকে মানপত্র দিয়ে আসতে হয়েছে!

ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে আজ কুমুদ সাহিত্য মেলা অঙ্গুরিত বীজ থেকে বটবৃক্ষ না হলেও চারাগাছ হিসাবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। দক্ষিণবঙ্গের ১১ টি জেলা থেকে ৫০+ নামের তালিকা এসেছে বিভিন্ন সোর্স ধরে।  যারা নিয়মিত কুমুদ মেলার দিনে আসেন সেইসব কবি সাহিত্যিকদের আমরা অগ্রাধিকার দিই। খ্যাত - অখ্যাতদের মেলবন্ধনের ৩ রা মার্চ মঙ্গলকোটের  কোগ্রাম হয়ে উঠে সাংস্কৃতিক রাজধানী। 
 আমরা এবার ২০ জন বিশিষ্টজনদের সম্মান জানাবো, তার তালিকা আজ সন্ধেবেলায় প্রকাশ পাবে। যাদের নাম এবারে থাকছেনা, তাদের আগামী বছর অবশ্যই সম্মান জানাবো। 


💐মোল্লা জসিমউদ্দিন ( সম্পাদক কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি)

জাজেস ক্লক উদ্বোধনে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি



মোল্লা জসিমউদ্দিন  

বুধবার বিকেলে কলকাতা হাইকোর্টের ই গেটে চালু হল জার্জেস ক্লক  / বিচার ঘড়ি। শুভ উদঘাটন করেন প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করন নায়ার রাধাকৃষ্ণন। ছিলেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত সহ বেশ কয়েকজন বিচারপতি।     এরাজ্যে বিচার প্রক্রিয়ায় গতি বাড়াতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট কর্তৃপক্ষ। ২২ জানুয়ারি অর্থাৎ বুধবার বিকেলে কলকাতা হাইকোর্টের 'ই' গেটে বসলো জাস্টিস ক্লক /বিচার ঘড়ি। যার সূচনা করেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করন নায়ার রাধাকৃষ্ণন। জাস্টিস ক্লক আসলে কি?  সেখানে কিভাবে উপকৃত হবেন বিচারপ্রার্থীরা?  জাস্টিস ক্লক আসলে একটি জায়েন এলইডি স্কিন। যেখানে রাজ্যের সমস্ত জেলা ও মহকুমা আদালতের ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলার বিস্তারিত তথ্য থাকবে। কতগুলি মামলা বিচারধীন রয়েছে, মামলার পরবর্তী শুনানি কবে, কত মামলার নিস্পত্তি হয়েছে।এইবিধ নানান মামলা সম্পকিত তথ্য থাকবে এই বিচার ঘড়ির মধ্যে। তবে কলকাতা হাইকোর্ট সহ দুটি সার্কিট বেঞ্চের ( জলপাইগুড়ি ও আন্দাবান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ)  অধীনে মামলাগুলির তথ্য এখনই থাকছেনা বলে জানা গেছে । তবে আগামী দিনে এইসব বেঞ্চের মামলা কেন্দ্রিক তথ্য থাকবে । উল্লেখ্য, গোটা রাজ্যে প্রায় ২৩ লক্ষ মামলা বিচারধীন রয়েছে। এর মধ্যে আবার প্রায় ১৮ লক্ষ মামলা ফৌজদারিভুক্ত। এটি হাইকোর্টের 'ই'  গেটে জায়েন এলইডি স্কিনের মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে।                                                                                                


হাইকোর্টে এনআরসি বাতিলের মিছিলে হাঁটলেন আইনজীবীরা

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  


কেন্দ্রীয় সরকারের সিএএ এবং এনআরসির বিরোধিতায় সার্বিক ঐক্য দেখা গেল কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে  । যেখানে জাতীয় কংগ্রেস থেকে বামপন্থী এমনকি এই রাজ্যের শাসক দলের মতাদর্শে বিশ্বাসী আইনজীবীদের একসাথে হাটতে দেখা গেল কেন্দ্রের এনআরসি বাতিলের মিছিলে। কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা বাম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, কংগ্রেস নেতা  অরুণাভ ঘোষ, আবার রাজ্য তৃনমূল লিগ্যাল সেলের চেয়ারম্যান ভাস্কর বৈশ্য। প্রত্যেকে আলাদা দলের মতাদর্শে বিশ্বাসী হলেও আজ আইনজীবীদের একসূরে সিএএ বিরোধীতা দেখা যায়। সোমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের মেন গেট থেকে সিটি সিভিল আদালতের গেট অবধি কয়েকশো আইনজীবীদের রাজনৈতিক প্লাটফর্মের বাইরে এনআরসি বাতিলের মিছিলে দেখা যায়। এই প্রতিবাদ মিছিলে থাকা কলকাতা হাইকোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী মাসুদ করীম বলেন    - " ভারতে বসবাসকারী প্রত্যেককে নাগরিক হিসাবে মান্যতা দিতে হবে। ভোটার কার্ড যদি নাগরিকত্বের প্রমাণ না হয়, তাহলে নির্বাচনগুলিতে ভোটাধিকার প্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সরকার কি ভাবে বৈধ হয়?  "।  উল্লেখ্য, এই আইনজীবী জনমানসে এনআরসি  আতঙ্ক কাটাতে বিভিন্ন সেমিনারে নিয়মিত অংশগ্রহণ করে থাকেন।                                                          

      

বুধবার, জানুয়ারী ২২, ২০২০

দক্ষিণবঙ্গের ব্যস্ততম সড়ক সেতু বন্ধ, হয়রানি যাত্রীদের

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  
উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের সবথেকে ব্যস্ততম সড়কসেতু মঙ্গলকোটের অজয় নদের উপর লোচনদাস সেতুটি এক মাস বন্ধ থাকবে। সেতুর পিচ এবং পিলার মেরামতের জন্য ২১জানুয়ারি থেকে এই সেতুটি বন্ধ হয়েছে । চারচাকার সমস্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে সাইকেল - মোটরসাইকেল সহ পথচারীদের উপর কোন বিধিনিষেধ থাকছেনা বলে প্রশাসন সুত্রে প্রকাশ। পূর্ব বর্ধমান এবং বীরভূম জেলা দুটি সংযোগকারী অজয় নদের উপর প্রায় এক কিমি দৈঘ্য বিশিষ্ট লোচনদাস সেতুটির অধিকাংশ সেতু পিলার গুলি বসে গেছে। যার ফলে সেতুর স্বাভাবিক ভরণ ক্ষমতা হারিয়েছে। সেতুর পিলারে বিশেষত নদী গর্ভে থাকা পিলার গুলিতে চিড় ধরেছে। সাথে সেতুর উপর পিচে ছোটবড় গর্তও তৈরি হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে পূর্ত দপ্তরের মেরামতির প্রস্তাবনায় ৮০ লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদান মঞ্জুর করে রাজ্য সরকার। সেই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে ২১ জানুয়ারি থেকে। কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ সহ দক্ষিণবঙ্গের দশের বেশি জেলায় কয়েক হাজার যানবাহন এই সেতুর উপর যাতায়াত করে থাকে। ২১ জানুয়ারি থেকে এই গাড়ি গুলি বর্ধমান শহর থেকে একাধারে কাটোয়ার যাজীগ্রাম - ফুটিসাকো রুটে যাতায়াত করতে হবে। আরেকটি বর্ধমান শহর দিয়ে ভেদিয়া - বোলপুর রুটে চলবে। অজয়ের এপারে মঙ্গলকোটের নুতনহাট এবং অজয় নদের ওপারে নানুরের পালিতপুর মোড়ে স্থানীয় বাসগুলি চলাচল করবে বলে প্রশাসন সুত্রে প্রকাশ। লোচনদাস সেতুর নিচে অজয় নদের বেআইনী যততত্র বালিঘাট এবং সেতুর উপর দিয়ে বীরভূমের পাঁচামী থেকে পাথর বোঝাই আগত গাড়ীর বেহিসেবী যাতায়াত লোচনদাস সেতুর এই বিপর্যয়ের মূল কারণ। ১৯৯৮ সালে ৮ জুলাই চালু হওয়া এই সেতুর বয়স সবে কুড়ি বছর পেরিয়েছে। তাই আগামীদিনে এই সেতুর নিচে অজয় নদের বালিঘাট নিয়ন্ত্রণে এবং অত্যাধিক পাথর বোঝাই গাড়ী যাতায়াতে বিধিনিষেধ না রাখলে এই সেতু ক্রমশ বিপদজনক হয়ে উঠবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।                                                                                                          

কুমুদ সাহিত্য মেলার পাশে রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী

কুমুদ সাহিত্য মেলার পাশে দাঁড়ালেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী 


স্বপ্ন কোনদিন বাস্তবে এলে, তার বহিঃপ্রকাশ  করার ভাষা খুঁজে পাওয়া যায়না। তবুও মনের অন্দরে থাকা সেই খুশি বা আনন্দ জানাতেই হয়। 
গত দশ বছর ধরে মঙ্গলকোটের  কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর জন্মদিন উপলক্ষে কুমুদ  সাহিত্য মেলা করে আসছি।এতদিন  কোথাও কোন সরকারি সাহায্য পাইনি। তিনশোর বেশি কবি সাহিত্যিক আসেন, তাঁদের কাছে কোন ডেলিকেট ফি গ্রহণ করেনি এবং করবোও না। বিভিন্ন শুভাকাঙ্ক্ষী ব্যক্তিদের কাছে হাত পাতি।লজ্জা করিনা,অনেকেই সাধ্যমতো সহায়তা করেন। সাংবাদিকতা পেশার আয়ের সিংহভাগ খরচ হয় এই কুমুদ সাহিত্য মেলা ঘিরে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী আমাদের পাশে দাঁড়ালেন। রাজ্যের গুরত্বপূর্ণ মন্ত্রীর নজরে কুমুদ সাহিত্য মেলা! এটা উপলব্ধি করতে পেরেই আমরা আপ্লূত।  আগামী ৩ রা মার্চ  আসছেন পান্ডব গোয়েন্দা খাত ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়, কবি মন্দাক্রান্তা সেন, বিদ্রোহী কবির নাতনি সোনালি কাজি, সাহিত্য সম্রাটের পঞ্চম বংশধর জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়, সাহিত্যক আরণ্যক বসু প্রমুখ। ওইদিন 'মনন' এর  তরফে ১৫০ জন দুস্থদের বস্ত্রবিলি, 'সুসম্পর্ক' এর তরফে ১০০ জন দুস্থ পড়ুয়াদের শিক্ষাসামগ্রী, 'উদার আকাশ' এর তরফে ৩ সাংবাদিক কে সংবর্ধনা , 'আরএনঘোষ  মেমোরিয়াল ট্রাস্ট' এর তরফে ২ জন দুস্থ কৃতিদের আর্থিক অনুদান সর্বপরি ২০ জন গুনীজনদের সংবর্ধনা জানানো হবে। ওইদিন সপরিবারে আসুন। দেখতে পাবেন বৈষ্ণব কবি লোচনদাসের সমাধিস্থল, সতীপীঠ খ্যাত মঙ্গলচণ্ডীর মন্দির , মহাদেবের নীললোহিত মন্দির, মুঘল সম্রাট  শাহজাহান বাদশার  শিক্ষা  ও  দীক্ষাগুরু  আব্দুল  হামিদ  বাঙ্গালীর  কবরস্থান, হোসেন শাহ বাদশার মসজিদ প্রমুখ দর্শনীয় স্থান। 


💐🙏 মোল্লা  জসিমউদ্দিন সম্পাদক  (কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি)

মঙ্গলবার, জানুয়ারী ২১, ২০২০

পুলিশের স্বাস্থ্য শিবির হল মঙ্গলকোটের চাণকে

মোল্লা জসিমউদ্দিন
আমিরুল ইসলাম
    

সোমবার সারাদিন ব্যাপি   পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের উদ্যোগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির হল মঙ্গলকোটে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের উদ্যোগে ও মঙ্গলকোট থানার সহযোগিতায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত হয় মঙ্গলকোটের চাণকের আদিবাসী পাড়ায়।আজ প্রায় চারশো  জন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন এখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান।সমস্ত ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল এই স্বাস্থ্য শিবিরে। পাশাপাশি রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা ছিল।
এখানে উপস্থিত হয়েছিলেন  পূর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (কাটোয়া ও কালনা) ধ্রুব দাস,  কাটোয়া এসডিপিও ত্রিদিব বাসু , মঙ্গলকোট থানার ওসি  মিঠুন ঘোষ, কৈচর আইসি সুজিত ভট্টাচার্য প্রমুখ  ।আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন খুশি পুলিশের এই উদ্যোগে। স্থানীয় বাসিন্দা  সোমনাথ কোঁড়া জানান - "পুলিশ এত মানুষের কাছে আসতে পারে তা আজকে বাস্তবে আমরা বুঝলাম ।প্রায় সমস্ত রকম স্বাস্থ্যপরিসেবা আমাদের আদিবাসী পাড়ায় চললো । এজন্য মঙ্গলকোট থানার সমস্ত পুলিশকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই "।উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে আদিবাসী মহল্লার ৬০ জন ক্ষুদেদের নিয়ে অজয় নদের চরে পুলিশ পিকনিক করে থাকে। অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার ধ্রুব দাস জানান - "  শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা নয়,  পুলিশ এইধরনের সামাজিক ক্ষেত্রে নিয়মিত কাজ করে থাকে "।

শনিবার, জানুয়ারী ১৮, ২০২০

বিচারের গতি বাড়াতে হাইকোর্টে বসছে জাস্টিস ক্লক


বিচারের গতি বাড়াতে হাইকোর্টে বসছে 'জাস্টিস ক্লক'

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  

এরাজ্যে বিচার প্রক্রিয়ায় গতি বাড়াতে অভিনব উদ্যোগ নিচ্ছে কলকাতা হাইকোর্ট কর্তৃপক্ষ। আগামী ২২ জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের 'ই' গেটে বসছে জাস্টিস ক্লক /বিচার ঘড়ি। যার সূচনা করবেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করন নায়ার রাধাকৃষ্ণন। একথা আজ অর্থাৎ শুক্রবার দুপুরে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে জানালেন কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল রাই চট্টোপাধ্যায়। জাস্টিস ক্লক আসলে কি?  সেখানে কিভাবে উপকৃত হবেন বিচারপ্রার্থীরা?  জাস্টিস ক্লক আসলে একটি জায়েন এলইডি স্কিন। যেখানে রাজ্যের সমস্ত জেলা ও মহকুমা আদালতের ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলার বিস্তারিত তথ্য থাকবে। কতগুলি মামলা বিচারধীন রয়েছে, মামলার পরবর্তী শুনানি কবে, কত মামলার নিস্পত্তি হয়েছে।এইবিধ নানান মামলা সম্পকিত তথ্য থাকবে এই বিচার ঘড়ির মধ্যে। তবে কলকাতা হাইকোর্ট সহ দুটি সার্কিট বেঞ্চের ( জলপাইগুড়ি ও আন্দাবান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ)  অধীনে মামলাগুলির তথ্য এখনই থাকছেনা বলে সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল রাই চট্টোপাধ্যায়। তবে আগামী দিনে এইসব বেঞ্চের মামলা কেন্দ্রিক তথ্য থাকবে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, গোটা রাজ্যে প্রায় ২৩ লক্ষ মামলা বিচারধীন রয়েছে। এর মধ্যে আবার প্রায় ১৮ লক্ষ মামলা ফৌজদারিভুক্ত।জাস্টিস ক্লক  পরিষেবা টি আগামী ২২ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন  কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করন নায়ার রাধাকৃষ্ণন। এটি হাইকোর্টের 'ই'  গেটে জায়েন এলইডি স্কিনের মাধ্যমে দেখা যাবে।                                                                                                

৫৮তম বার্ষিকী পালন হল বাগমারী মানিকতলা উচ্চবিদ্যালয়ে


বাগমারী - মানিকতলা উচ্চবিদ্যালয়ের ৫৮ তম বার্ষিকী  

মোল্লা জসিমউদ্দিন  

কলকাতার কাঁকুড়গাছি সংলগ্ন বাগমারী - মানিকতলা গভঃ স্পন্সর্ড উচ্চ বিদ্যালয়ে মহাসমারোহে পালিত হল ৫৮ তম বার্ষিকী। গত বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার দুদিনব্যাপি চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।কৃতি ছাত্রদের পুরস্কার বিতরণী, ছাত্রদের পরিবেশিত চারুচলা এবং বিজ্ঞান প্রদর্শনী চলে। সেইসাথে কবিতা পাঠ, নৃত্য পরিবেশন তো ছিলই। প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি অবধি কৃতিদের বইপত্র উপহার হিসাবে তুলে দেওয়া হয়। 'এল এন্ড টি' সংস্থার তরফে পুরস্কার দেওয়া হয় এদিন। উল্লেখ্য, এই সংস্থাটি  ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণি অবধি আগ্রহী পড়ুয়াদের কম্পিউটার শিক্ষা, স্পোকেন ইংলিশ শিক্ষা প্রদানে শিক্ষক ও বইপত্র বিনামূল্যে সরবরাহ করে থাকে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীদের বিধান শিশু উদ্যানে 'প্রয়াস' বিভাগে কোচিং করানোর ব্যবস্থাও রয়েছে। শুক্রবার বিকেলে স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শ্রী বাসুদেব মাইতি, স্কুল পরিচালন সমিতির পদাধিকারী শ্রী দেবাশীষ সরকার, প্রধান শিক্ষক ডক্টর দেবীপ্রসাদ আচার্য প্রমুখ।   এই স্কুল টি ১৯৬৩ সালে চালু হয়। বর্তমানে হাজারের কাছাকাছি পড়ুয়া রয়েছে। প্রাতবিভাগে প্রাইমারি ( প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণি)  শিক্ষার পঠনপাঠন চলে। দুপুরে ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণি অবধি পড়ানো হয়। উচ্চমাধ্যমিকে কলা, বিজ্ঞান, কর্মাস তিনটি বিভাগেই পড়ানো হয়।শুক্রবার দিন ক্ষুদে পড়ুয়ায়াদের সচেতনতামূলক প্রদর্শনীতে পথ নিরাপত্তা থেকে জল ধরো জল ভরো প্রকল্পের বার্তা দিতে নানান কর্মকান্ড করতে দেখা যায়। শুধু তাই নয় প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য পেশ করতেও দেখা যায় তাদের কে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ডক্টর দেবীপ্রসাদ আচার্য বলেন - " প্রতিবছরই আমরা এইরুপ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ বিজ্ঞান প্রদর্শনী করে থাকি "।                                                                                 

শুক্রবার, জানুয়ারী ১৭, ২০২০

পথ হারানো বৃদ্ধা কে বাড়ি ফেরালো মঙ্গলকোট পুলিশ

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  

  বছর পঞ্চাশের এক বৃদ্ধা গভীর রাতে পথ হারিয়ে একাকী ছিল চরম অনিশ্চয়তায়। ঠিক সেইসময় টহলরত পুলিশ কর্মীরা তাকে দেখতে পান। "কোথায় বাড়ী?  এত রাতে কি করছেন?  এখানে কারও বাড়ী এসেছেন কিনা?  " এই বিধ নানান প্রশ্নের উত্তর মেলেনি তখন, তাই থানায় এনে রাতের খাবার খাইয়ে মানবিক পুলিশ খুঁজে পেল তার ঠিকানা। ঠিকানা জানবার সাথেসাথেই সেখানকার থানায় খবর দিয়ে তুলে দেওয়া হল পরিবারের হাতে। পরিবারের লোকজন খুবই খুশি পুলিশের এহেন ভূমিকায়। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলকোট থানার সিঙ্গত গ্রামে।মঙ্গলকোট ওসি মিঠুন ঘোষ জানিয়েছেন - " গত বুধবার  গভীররাতে টহলকারী পুলিশের গাড়ি নুতনহাট কাটোয়া সড়কপথে সিঙ্গত বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বছর পঞ্চাশের এক বৃদ্ধা কে দেখতে পান। আংশিক স্মৃতিভ্রংশ ওই বৃদ্ধা সঠিক ঠিকানা বলতে পারেননি। তাই আমরা দায়িত্ব করে থানায় এনে ঠিকানা উদ্ধার করে বাড়ির লোকজনদের হাতে তুলে দিই"। জানা গেছে, আরতি সাঁতরা নামে ওই বৃদ্ধা নিকটাত্মীয় বাড়ীতে যাবার সময় ভূল বাসে চেপে পড়লে এই বিপত্তি ঘটে। দেওয়ানদিঘী থানার বালিশা গ্রামে ধানু সাঁতরার স্ত্রী আরতি সাঁতরা আংশিক স্মৃতিভ্রংশ। তাই সহজেই ঠিকানা না বলতে পারায় এই পথ হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা টি ঘটে।বৃহস্পতিবার দুপুরে মঙ্গলকোট থানায় বৃদ্ধা কে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়  । মঙ্গলকোট থানার এহেন মানবিক সক্রিয়তার ঘটনায় সাধুবাদ জানিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের গ্রামীণ (কাটোয়া ও কালনা) পুলিশসুপার ধ্রুব দাস  ।                                                                                 

বৃহস্পতিবার, জানুয়ারী ১৬, ২০২০

৭৪ তম বার্ষিকী পালিত হল রবীন্দ্র ভারতী সোসাইটিতে

মোল্লা জসিমউদ্দিন  


বুধবার সন্ধেবেলায় কলকাতার গিরিশপার্ক এলাকায় জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে রথীন্দ্র মঞ্চে রবীন্দ্র ভারতী সোসাইটির ৭৪ তম প্রতিস্টা বার্ষিকী পালন হল। এই বার্ষিকী পালনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এসেছিলেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়, সাহিত্যিক সবিতেন্দ্র নাথ রায়, বিশ্ববভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন
উপাচার্য ডক্টর সুজিত কুমার বসু  প্রমুখ।স্বাগত ভাষন দেন আয়োজক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায়। তিনি বিগত বছর গুলিতে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক উদ্যোগ নেওয়া নিয়ে বিস্তারিত তথ্য পেশ করেন। উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশনে রবীন্দ্র ভারতী সোসাইটির কলাকুশলীরা ছিলেন। এরপর বাংলাদেশের  প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা এবং এপার বাংলার বিখ্যাত নাট্য ব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত কে সংবর্ধনা জানানো হয় আয়োজক সংস্থার তরফে। 'নহি সামান্য নারী' শিরোনামে নৃত্যানুষ্ঠান  হয়। 'মুক্তি' শীর্ষক গীতি আলেখ্য চলে। এটি পুনার উপাসানা সংস্থার পক্ষে মঞ্চস্থ হয়। পুরো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান টি সঞ্চালনায় ছিলেন শ্রী অলক রায় ঘটক মহাশয়। রবীন্দ্র ভারতী সোসাইটির সভাপতি পদে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি চিত্ততোষ মুখোপাধ্যায়  এবং সাধারণ সম্পাদক আছেন  বর্ষীয়ান আইনজীবী সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায়। এঁরা জানান - " রবীন্দ্র ভাবনার নিয়মিত বিকাশে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে রবীন্দ্র ভারতী সোসাইটি"।                                                                     

পথ নিরাপত্তা বাড়াতে উদ্যোগী মঙ্গলকোট পুলিশ


মোল্লা জসিমউদ্দিন  


দুর্ঘটনা প্রবণ মঙ্গলকোটে পথ দুর্ঘটনা রোধে সক্রিয় ভূমিকা নিল মঙ্গলকোট থানা। এদিন মঙ্গলকোট থানা থেকে নুতনহাট শহর জুড়ে পুলিশের সচেতনা মূলক শোভাযাত্রা বের হয়। বাদশাহী সড়ক পথে হেলমেটহীন চালকদের গোলাপ ফুল উপহার দিয়ে পথদুর্ঘটনার বীভৎসতা নিয়ে প্রচার চালান ওসি মিঠুন ঘোষ মহাশয়।                

বুধবার, জানুয়ারী ১৫, ২০২০

সরশুনা প্রতারণা মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বড় স্বস্তি পেলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়




মোল্লা জসিমউদ্দিন  

     
মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শহিদুল্লা মুন্সির ডিভিশন বেঞ্চে সরশুনা প্রতারণা মামলায় শুনানি চলে। সেখানে বাদী এবং বিবাদী উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয় - 'পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া অবধি মুকুল রায় কে গ্রেপ্তার করা যাবে না। মামলার তদন্তে অগ্রগতি হলে সেটা পুলিশ কে জানাতে হবে ডিভিশন বেঞ্চ কে '। এহেন নির্দেশ অনেকখানি স্বস্তি আনলো বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায় কে। গত শুনানিতে রাজ্যের তরফে আইনজীবী আর্থিক প্রতারণা মামলায় বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের জামিনের বিরুদ্ধে কড়া সওয়াল চালিয়ে ছিলেন । তাঁর যুক্তি ছিল -" এই মামলায় ধৃত রাহুল সাউ এর ব্যাংক লেনদেনে ব্যাপক গড়মিল পাওয়া গেছে। উত্তরপ্রদেশ - বিহার - ঝাড়খণ্ড রাজ্যগুলিতে রেলের চাকরি - সদস্যপদ পাইয়ে দেওয়ার নামে এক সিন্ডিকেটের হদিস মিলেছে। এমনকি এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এক আপ্ত সহায়কের বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করা হচ্ছে। তাই মুকুল রায় জামিন পেলে এই মামলার তদন্তে ব্যাঘাত ঘটবে "। অপরদিকে মুকুল রায়ের আইনজীবী এইসব অভিযোগ ভিক্তিহীন দাবি করে রাজনৈতিক প্রতিশোধের যুক্তি দেখিয়েছিলেন। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে নির্দেশ দিয়েছিল - 'এই মামলার নিস্পত্তি না হওয়া পযন্ত মুকুল রায়ের অন্তবর্তী জামিন বহাল থাকবে'। ১৪ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি ছিল।যা আজকে এই মামলায় শুনানি চললো। যেখানে পরবর্তী নির্দেশ না অবধি মুকুল রায় কে গ্রেপ্তার নয় তা জানিয়ে দেওয়া হয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী এক দল মুকুল রায় কে জেরা চালিয়েছে। আবার সম্প্রতি বেহালায় কলকাতা পুলিশের এক অফিসে ডেকে মুকুল রায় কে জেরা চালিয়েছেন তদন্তকারীরা। কলকাতা হাইকোর্টে এই আর্থিক প্রতারণা মামলায় আইনী রক্ষাকবচের মেয়াদ ছিল ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত।  ইতিপূর্বে ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন তুলেছিল পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়ার উপর - জানুয়ারি তে অভিযোগ গ্রহণ হওয়ার পর কেন এতদিন পর সক্রিয়তা নিয়ে ?  অভিযোগ গ্রহণের প্রায় সাত মাস পর পুলিশ এই মামলায় তৎপরতা দেখায়।  এই মামলায় অভিযুক্ত   বাবান ঘোষ কে গতবছর ২১ শে আগস্ট গ্রেপ্তারের পর কলকাতার বাবুঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়ের আরেক ঘনিষ্ঠ বলয়ে থাকা সাদ্দাম আলী কে।একসময় ধৃত বাবান ঘোষ কে জেরা করে নাম উঠে আসে সাদ্দাম আলীর নাম। তাই সাদ্দাম আলী কে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল বাবুঘাট এলাকা থেকে। সরশুনা ঘুষকান্ডে দুজন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ায় ক্রমশ চাপে ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়। পুলিশি সুত্রে প্রকাশ, এই মামলায় বাবান ঘোষের পাশাপাশি নাম রয়েছে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের। তাই গ্রেপ্তারির আশংকা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছেন মুকুল রায়। জানা গেছে, আর্থিক প্রতারণা (৪২০ ধারা) , এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র (১২০ বি)  এর জামিন অযোগ্য ধারা গুলি রয়েছে এফআইআর কপিতে।বেহালার সরশুনার বাসিন্দা সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের তার অভিযোগপত্রে লিখেছেন - গড়িয়াহাটের বাসিন্দা তথা বিজেপির মজদুর ইউনিয়নের নেতা বাবান ঘোষ ২০১৫ সালে রেলের স্থায়ী কমিটির পদ পাইয়ে দেওয়ার নামে ৪৬ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। সেসময় কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী ছিলেন সুরেশ প্রভু। কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটে যোগাযোগ ভালো আছে বোঝানোর জন্য সংসদ ভবনে এই বাবান ঘোষ বেহালার সন্তু গঙ্গোপাধ্যায় কে নিয়ে গিয়েছিল বলে দাবি। রেলমন্ত্রকের নানা কাগজপত্র নাকি দিয়েছিল অভিযুক্ত বাবান ঘোষ। এই কাগজপত্রের সততা জানতে পূর্ব রেলের সদর দপ্তর কলকাতার ফেয়ারলি প্লেসে গিয়েছিলেন অভিযোগকারী। আর সেখানেই জানতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। যদিও বাবান ঘোষ শিবিরের দাবি - 'সম্প্রতি টালিগঞ্জের একঝাঁক শিল্পীদের তৃনমূল থেকে বিজেপিতে নাম লেখানোর কাজে মুখ্য ভূমিকা নিয়ে ছিলেন বাবান ঘোষ। এই রাজনৈতিক শত্রুতা থেকেই জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু এবং গ্রেপ্তার সে'।প্রশ্ন উঠে ২০১৫ সালের বিষয়টি কেন প্রায় চার বছরের মাথায় তুললেন অভিযোগকারী এবং রেলের স্থায়ী কমিটিতে পদ পেতে কেন এত টাকা দিতেও গেলেন সেই বিষয়েও উঠেছে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন ? এরেই মাঝে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ মুকুল রায় কে গ্রেপ্তার করা যাবেনা পরবর্তী আদেশনামা জারী না অবধি। তাতে মুকুলের স্বস্তি বাড়িয়ে দিল বহুগুণ। ২০১৭ সালের দলবদলের পর থেকে এই সময়কাল অবধি ৪৯ টি ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন মুকুল রায়। বেশিরভাগ মামলায় আদালতে টিকে নি অভিযোগকারীদের পক্ষে। বীরভূমের লাভপুরের তিন ভাই খুনের মামলা এবং নদীয়ার বিধায়ক খুনের মামলায় অবশ্য চাপে আছেন মুকুল রায়।                                                                                                                                                                                                                                                                                                   


গরীবিদের পাশে সুনীল সাহা সমাজসেবা সংগঠন

গরীব মানুষের সেবায় পঞ্চমবর্ষে সুনীল সাহা সমাজসেবা সংস্থা

রাজকুমার দাস  

অনেকেই সমাজসেবার সাথে যুক্ত থাকে সারাবছর ধরে।কিন্তু একটু ব্যাতিক্রমী ভাবে বিগত পাঁচ বছর ধরে সমাজ কল্যাণের কাজে নিজের স্বর্গীয় বাবার স্মৃতির উদ্দেশ্য তার ছোট ভাই,বোন ও মা কে সাথে নিয়ে গরীবদের সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে বেলেঘাটা র জেলে পাড়া শীতলা মন্দিরের বাসিন্দা সোমনাথ সাহা।
আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া বেশ কিছু  দুঃস্থ ছাত্র ছাত্রীদের বই খাতা পেন সহ  গরীব দের হাতে কম্বল বিতরণ করা হয় সোমবার।স্বর্গীয় সুনীল সাহা ছিলেন উদার মনের একজন সমাজ সেবক কর্মী।তারই সুযোগ্য পুত্র দ্বয় এই প্রথা চালু রেখেছেন।এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পন্ডিত জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের সুযোগ্য পুত্র শ্রী মল্লার ঘোষ ,চিত্র সাংবাদিক মৃত্যুঞ্জয় রায়,চিত্রপরিচালক বিমল দে, রাজকুমার দাস,শিউলি গোমস,সাংবাদিক আশীষ বসাক,সুবোধ মল্লিক,জনপ্রিয় অভিনেতা গুড্ডু,কবি পলাশ পাল,সহ একঝাঁক সাংস্কৃতিক প্রিয় মানুষ।সোমনাথ সাহা জানান প্রতি বছর শুধুই বাবাকে স্মরণ করা নয় তার চিন্তাধারাকে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে মানুষের সেবাকে পিরম ধর্ম করে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়াটাই মূল উদ্দেশ্য।এই সামাজিক সেবামূলক কর্মসূচি প্রতিবছরই পালিত করা হয়।এবছর ও তার সেই গতিপথ একই ভাবে মানুষের কাছে সমাদৃত আছে এবং থাকবে বলে জানান।
এই প্রয়াস আরও সুচারু ভাবে প্রসারতা লাভ করুক।শুভ কামনা করি।অনুষ্ঠান শেষে অমিত এর ডান্স ও তার দলের পারফরমেন্স ছিল বেশ উপভোগ্য।

কুমুদ সাহিত্য মেলায় সরকারি সাহায্য মেলেনা

কুমুদ সাহিত্য মেলায় সরকারি  সাহায্য মেলেনা
 

প্রতিবছর ৩ রা মার্চ মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর বাসভবনে 'কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি' এক সাহিত আসরের আয়োজন করে থাকে। ওইদিন সমাজের বিভিন্নস্তরের গুণীজন দের সম্মানিত করা হয়। টিফিন মধ্যাহ্নভোজনের ব্যবস্থা থাকে। কারও কাছে কোন ডেলিকেট ফি নেওয়া হয়না।সাধারণত বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ধরনের সাহিত্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ডেলিকেট ফি হিসাবে নূন্যতম দেড়শ থেকে দুশো টাকা নেওয়া হয়। আমরা গত দশ বছর কারও কাছে নিইনি এবং নেব না। 
গত ৯ বছর ধরে রাজ্যে এই ধরনের উদ্যোগ কে অনুপ্রাণিত করতে আর্থিক সহযোগিতা করা হয় সরকারের তরফে  । তবে আমরা সরকারি সাহায্য পাইনা বললেই চলে । স্থানীয় বিধায়ক থেকে প্রশাসন কে লিখিত আবেদন করা সত্বেও কেউ দেখেনি। দেখেনি বলে আমরা হাল ছাড়েনি, শত শত মানুষের কুমুদ সাহিত্য মেলায় আগমন আমাকে অনুপ্রেরণা  জোগায়। সাংবাদিকতা থেকে যা বাৎসরিক বেতনের আয় হয় তার সিংহভাগ খরচ হয়ে যায় এই কুমুদ সাহিত্য মেলায়। জনা দশ শুভাকাঙ্ক্ষী আছেন, যারা যতই ব্যস্ত থাকুন কুমুদ সাহিত্য মেলায় অনুদান সাধ্যমতো দেন। অনেকেই ভিক্ষুক বলে উপহাস করে, আবার কেউ কেউ সিন্ডিকেট গড়ে ষড়যন্ত্র করে বদনাম করার। এত কিছুর মাঝেও ৩ রা মার্চ দিনটিতে আমি চাতক পাখির মতন অজয় নদের চর পানে চেয়ে থাকি শত শত কবি সাহিত্যিক সাংবাদিকদের অপেক্ষায়... 

মোল্লা জসিমউদ্দিন   (সম্পাদক - কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি)

৭ ফেব্রুয়ারি শিয়ালদহ আদালতে কুকুর হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ

মোল্লা জসিমউদ্দিন        



সোমবার দুপুরে কলকাতার শিয়ালদহ আদালতে এনআরএস হাসপাতালে কুকুর হত্যা মামলার শুনানি হয়।এদিন কুকুর শাবক হত্যায় অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হল ।৪২৯, ২০১ এবং ১১ (এল) ধারায় চার্জ গঠন করা হয়। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে। এই মামলায় অভিযোগকারী পুতুল রায় প্রথমে সাক্ষ্য দেবেন বলে জানা গেছে। যদিও অভিযুক্তরা নিজেদের নিরপরাধ বলে দাবি রাখে আদালতে । মাস খানেক পূর্বে শিয়ালদহ আদালতে এসিজেম এজলাসে এনআরএস  হাসপাতালে কুকুর হত্যা মামলায় চার্জশিট দাখিল করে এন্টালি থানার পুলিশ। প্রায় ৯ মাস পর ২০৪ পাতা বিশিষ্ট চার্জশিটে দুজন কে পুলিশি রিপোর্টে দোষী হিসাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। যদিও এই মামলায় ৫ জন সন্দেহভাজন ছিলেন। কুকুর হত্যা মামলায় এনআরএস হাসপাতালে নার্সিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী বাঁকুড়ার মৌটুসী মন্ডল এবং নাসিং বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী কাকদ্বীপের সোমা মন্ডলের নাম রয়েছে। ঘটনার প্রথমভাগে এরা দুজন গ্রেপ্তার হলেও বর্তমানে ব্যক্তিগত জামিনে মুক্ত রয়েছেন। চার্জশিটে পশু হত্যা, খুনের নৃশংসতা এবং তথ্য প্রমাণ লোপাটের ধারা গুলি আছে। ১৬ টি কুকুর শাবক হত্যায় তোলপাড় হয়েছিল বাংলা। বিশেষত কুকুর শাবক  খুনের ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছিল সোশাল মিডিয়ায়। কলকাতার বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংগঠন এই ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতাল চত্বর সহ কলকাতার রাজপথে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছিল। যদিও এই হাসপাতালের ডেপুটি সুপারের নেতৃত্বে এক তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছিল। আদালত সুত্রে প্রকাশ, গত বছরের ১৩ জানুয়ারী কলকাতার শিয়ালদহ সংলগ্ন এনআরএস হাসপাতালের মেটারনিটি ওয়ার্ডে বস্তাবন্দি কুকুর শাবকদের মারতে দেখা যায় কয়েকজন কে। যা পরে ভাইরাল ভিডিও হিসাবে ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। ঘটনাস্থলের পাশেই রয়েছে নার্সিং বিভাগের হোস্টেল। তাই সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী সহ নার্সিং বিভাগের ছাত্রীদের পুলিশি তদন্তে সন্দেহভাজন হিসাবে রাখা ছিল। এন্টালি থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ চালানোর পাশাপাশি হাসপাতালের বিভিন্ন প্রান্তের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে থাকে। ১৬ টি কুকুর শাবক হত্যায় প্রায় ৯ মাস পর ২০৪ পাতার চার্জশিট দাখিল পেশ করা হয় শিয়ালদহ আদালতে। যেখানে নার্সিং বিভাগের দুই ছাত্রী মৌটুসী মন্ডল এবং সোমা বর্মনের বিরুদ্ধে পশু হত্যা, খুনের নির্মমতা এবং তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগগুলি আনা হয়েছে। এই গুরত্বপূর্ণ মামলায় এন্টালি থানার পুলিশ  চার্জশিট দাখিল করতে এত সময়সীমা কেন নিয়েছিল, তা নিয়েও আইনজীবীদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন।  সোমবার দুপুরে শিয়ালদহ আদালতে এই মামলায় দুজন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হল । এই মামলায় পরবর্তী শুনানি ৭ ফেব্রুয়ারিতে রয়েছে। ওইদিন থেকেই এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে।                                                                                                       


সোমবার, জানুয়ারী ১৩, ২০২০

পঞ্চাশজন পড়ুয়াদের ব্যাগ দেবে সুসম্পর্ক

আগামী ২৩  শে জানুয়ারি নেতাজীর জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে কলকাতায় ৫০ জন দুস্থ পড়ুয়াদের ব্যাগ তুলে দেবে 'সুসম্পর্ক' নামে এক সমাজসেবী সংগঠন। ওইদিন এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে বলে জানান সংগঠনের কর্মকর্তা অরবিন্দ সিংহ।                

হাইকোর্টের নির্দেশে ব্যাংকশাল আদালতে মুকুলের গলার স্বর রেকর্ড হল

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  




গত শুক্রবার দুপুরে কলকাতার ব্যাংকশাল আদালতে ম্যাজিস্ট্রেট মৌমিতা রায়ের এজলাসে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়ের গলার স্বর নথিভুক্তিকরণ হল। উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের এজলাসে বড়বাজার আর্থিক দুর্নীতির মামলায় মুকুল রায়ের গলার স্বর নথিভুক্তিকরণের নির্দেশিকাজারী হয়েছিল। সেজন্য ১০ জানুয়ারি সংশ্লিষ্ট আদালতে অর্থাৎ ব্যাংকশাল আদালতের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এই গলার স্বর নথিভুক্তিকরণ ( ফরেন্সিক) টি হয়। তবে এই গলার স্বর রেকর্ড টি মুখবন্ধ খামে থাকবে। তা মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসারও দেখতে পাবেন না হাইকোর্টের নির্দেশ ছাড়া। যদিও এই মামলার পরবর্তী শুনানি টি প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থার। প্রধান বিচারপতিই ঠিক করবেন পরবর্তী শুনানি কোন বেঞ্চে হবে তা নিয়ে । কেননা মুকুল রায়ের আইনজীবী শুভাশিস দাশগুপ্ত এজলাসে প্রশ্ন তুলেছিলেন - "বড়বাজার আর্থিক দুর্নীতি মামলায় মুকুল রায় একজন সাক্ষী মাত্র, অভিযুক্ত নন। তাই একজন সাক্ষী কিভাবে নিজের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যদান করবেন? " উল্লেখ্য, ব্যাংকশাল আদালতে আডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুকুল রায়ের গলার স্বর নথিভুক্তিকরণ এর নির্দেশ দিয়েছিল। এই নির্দেশ কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিজেপি নেতা মুকুল রায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দাখিল করেন। এই মামলার শুনানিতে নিম্ন আদালতের নির্দেশ কে বহাল রাখলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থার। তবে সেইসাথে মামলাটি প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ৩১ জুলাই  কলকাতা পুলিশ বড়বাজার এলাকায় কল্যাণ রায় বর্মন নামে এক সরকারি কর্মীর কাছে নগদ ৮০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে থাকে। ধৃত কে জেরা করে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের নাম পায় বলে কলকাতা পুলিশের দাবি। এই টাকা উদ্ধারের আগে নাকি মুকুল রায়ের সাথে কথপোকথন হয় ধৃতের। ২০১৮ সালে ডিসেম্বর মাসে ১৬০ ধারায় মুকুল রায় কে সাক্ষী হিসাবে তলব করেন তদন্তকারী পুলিশ অফিসার। এরপর বেশ কয়েকটি নোটিশ অগ্রাহ্য করায় মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারী হয় ব্যাংকশাল আদালতে। এমনকি ব্যাংকশাল আদালতের সংশ্লিষ্ট এজলাসের বিচারক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করার জন্য একমাস সময়সীমাও বেঁধে দেন।  মুকুলের আইনজীবী দিল্লীর ভোটার কার্ড কে সামনে রেখে ওয়ারেন্ট এর বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ চেয়ে মামলা দাখিল করেন দিল্লির হাইকোর্টে।দিল্লি হাইকোর্ট ব্যাংকশাল আদালতের ওয়ারেন্ট খারিজ করে দশদিনের মধ্যে মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার কে দিল্লীর ঠিকানায় জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দেয়। পরবর্তী ক্ষেত্রে কলকাতা পুলিশের এক প্রতিনিধিদল দিল্লিতে মুকুল রায়ের বাসভবনে জিজ্ঞাসাবাদ চালায়। এরপর গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকশাল আদালতে 'সাক্ষী' মুকুল রায়ের গলার স্বর নথিভুক্তিকরণ এর আদেশনামা জারী করে থাকে। এই আদেশনামার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হন বঙ্গ বিজেপির হেভিওয়েট নেতা মুকুল রায়। এই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নিম্ন আদালতের রায় কে বহাল রেখে ১০ জানুয়ারী মুকুল রায়ের গলার স্বর ফরেনসিক টিমের উপস্থিতিতে রেকর্ড সংগ্রহ করার নির্দেশ দেন। তবে এই গলার স্বর রেকর্ডটি মুখবন্ধ খামে আদালতের হেফাজতে  থাকবে। তা দেখার এক্তিয়ার তদন্তকারী পুলিশ অফিসারেরও থাকবেনা বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই গলার স্বর অন্য কোন মামলায় ব্যবহার করা যাবেনা সে নির্দেশনা আছে এই আদেশনামায়।আইনী জটিলতার কারণে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে পাঠিয়েদেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থার। এরেই মধ্যে মুকুল রায়ের গলার স্বর নথিভুক্তিকরণ হল ব্যাংকশাল আদালতে ম্যাজিস্ট্রেট মৌমিতা রায়ের এজলাসে।
                                                                                                                                                                                                                             


রবিবার, জানুয়ারী ১২, ২০২০

রাজ্যের রুটেই বিজেপির মিছিল, কলকাতা হাইকোর্ট

মোল্লা জসিমউদ্দিন
   




শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে বিজেপির আজকের প্রতিবাদ মিছিলে  পুলিশি অনুমতি বিষয়ক মামলাটি উঠে। বিজেপির নির্ধারিত পথে নয়, রাজ্যের দেখানো সড়কপথেই বিকেল তিনটে থেকে  সাড়ে চারটের মধ্যে মিছিল শেষ করতে হবে  বলে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়।   রাজ্যের দেখানো পথেই মিছিল করতে হবে বিজেপি কে। রবীন্দ্রসদনের নন্দন সিনেমার সামনে দিয়ে মিছিল যাবে বিড়লা প্যালেটরিয়াম অবধি। তারপর ঘুরে সেই মিছিল ফের নন্দন সিনেমার সামনে আসবে বলে নির্দেশিকা জারী হয় হাইকোর্টের তরফে ।গত সপ্তাহে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ গ্রামের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় কলকাতায় মহাজাতি সদন থেকে হাজরা পর্যন্ত হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় নেতৃত্বে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে মিছিল করার কথা ছিল। এই মিছিলের জন্য আগাম ভবানীপুর থানা এবং জয়েন্ট সিপি হেডকোয়ার্টার কে অনুমতি চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য বিজেপি।তবেে আইন-শৃঙ্খলা দোহাই দেখিয়ে রাজ্য সরকার বিজেপির প্রস্তাবিত মিছিলের অনুমতি না দেওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি।শুুুক্রবার অর্থাৎ  আজ বেলা এগারোটার সময় বিজেপির পক্ষের আইনজীবীরা উচ্চআদালতে জানান - 'মিছিলের বেশ কয়েকদিন আগেই পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুমতি চেয়ে তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছিল তবে প্রশাসন সেই মিছিলের অনুমতি না দেওয়ায় বাধ্য হয়ে তারা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন'। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় - 'এ বিষয়ে তাদের কাছে কোন নির্দেশিকা নেই। তাই সরকারি আইনজীবীদের কিছুটা সময় দেওয়া হোক'। সেই মোতাবেক বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য দুপুর একটার সময় মামলার পুুুনরায় শুনানি শুনবেন বলে জানিয়ে দেন।বেলা একটার সময় রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে  আইনজীবীরা জানান- 'তারা পূর্বনির্ধারিত রুপ বদল করতে চায় অর্থাৎ মহাজাতি সদন থেকে হাজরা পর্যন্ত যে মিছিল হওয়ার কথা ছিল, সেই মিছিল তারা নন্দন সিনেমা হলের সামনে থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত সেই মিছিল তারা করতে চান'।  তার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারপক্ষের আইনজীবীরা জানান - 'তাদের প্রশাসনের কাছ থেকে এ বিষয়ে জানার প্রয়োজনীয়তা আছে যে, আদৌ শহরে এই সময় অন্য কোনো মিছিল রয়েছে কিনা'?  রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত আদালতে এসে জানান - 'ইতিমধ্যেই এসইউসিআই এর একটি মিছিল রয়েছে, তাই তারা নন্দন থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত বিজেপিকে মিছিলের কোনরকম অনুমতি দিতে পারবেন না'। বিজেপি পক্ষের আইনজীবীরা জানান - 'তাদের এই মিছিলে প্রায় পাঁচশো কর্মী-সমর্থকরা থাকবেন, তাহলে পুলিশের নিরাপত্তা দিতে অসুবিধা কোথায়'? এই প্রসঙ্গে রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত ফের জানান - 'তারা মিছিলের অনুমতি দিতে পারেন তবে সেটা নন্দন সিনেমা হলের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে বিড়লা তারামন্ডল এর সামনে দিয়ে ঘুরে ফের মিছিল নন্দন সিনেমার সামনে শেষ করতে হবে, তবেই তারা এই মিছিলের অনুমতি দিতে পারেন'।উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য - ' এদিন বিকেল তিনটা থেকে সাড়ে চারটের মধ্যে বিজেপির এই মিছিল নন্দন সিনেমাহল থেকে বিড়লা  তারামণ্ডল ঘুরে ফের নন্দন সিনেমা সামনে শেষ করার পক্ষে অনুমতি দেন'।


মঙ্গলকোট পুলিশের পিকনিকে আদিবাসী বাচ্চারা

                                                                                                

মোল্লা জসিমউদ্দিন  

জানুয়ারি মাস টি পিকনিক করবার মাস হিসাবেই বিবেচিত সর্বসাধারণের কাছে। শনিবার সকালে মঙ্গলকোট থানার উদ্যোগে এলাকার ৬০ জন আদিবাসী বাচ্ছাদের নিয়ে অজয় নদের চরে চললো পিকনিক। টিফিনে ঘুগনি মুড়ি কিংবা লুচি আলুর দম। এরপর দু-তিনরকমের সবজি দিয়ে মুরগির মাংস কিংবা মাছ ভাত খেলো এরা। এই আদিবাসী পরিবারের বাচ্ছাদের পাশাপাশি মঙ্গলকোট থানায় কর্মরত পুলিশ কর্মীদের বাচ্ছারাও ছিল এই পিকনিকে।দফায় দফায় অজয় নদের চরে চললো ক্ষুদেদের ফুটবল খেলা। পড়াশোনা বিশেষত কে কোন স্কুলে ভর্তি হয়েছে তা নিয়ে চললো গল্পগুজব। মঙ্গলকোট থানার এহেন উদ্যোগে খুশি মঙ্গলকোটের আদিবাসী মহল্লা। তাদের বক্তব্য - "সাধারণত পুলিশ কোন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় পুরস্কার বিতরণীতে উপস্থিত থাকে, এতো দেখছি পরিবারের সদস্যদের মত সম্পর্কের গভীরে ঢুকে যাওয়া "। মঙ্গলকোট ওসি মিঠুন ঘোষ জানিয়েছেন - " বছরের একটা দিন এদের কে নিয়ে আনন্দ উপভোগ করলাম 
"। জানা গেছে, গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই মঙ্গলকোটে বিশেষত পশ্চিম মঙ্গলকোটের পালিগ্রাম - চাণক অঞ্চলে আদিবাসীদের মধ্যে পুলিশ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছিল। বেশকিছু হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে সেসময়।কাটমানি কান্ডের জেরে দশের কাছাকাছি ফৌজদারি মামলা রুজু হয়। স্থানীয় পুলিশ নিয়ে বিক্ষোভ এমনকি তীর-ধনুক নিয়ে নুতনহাট - আউশগ্রাম সড়ক অবরোধ চলেছে সেসময় । পুলিশের কাছ থেকে মুচলেকাও আদায় করেছিল বিক্ষোভকারীরা। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে মঙ্গলকোট থানার ওসি পদে আসেন সাব ইনস্পেকটর মিঠুন ঘোষ। দায়িত্বভার নেওয়ার দুমাসের মধ্যেই একাধারে ইমাম মোয়াজ্জেনদের নিয়ে থানায় এনআরসির হিংসাত্মক ঘটনা রুখতে   শান্তি সভা করেন। পাশাপাশি আজ অর্থাৎ শনিবার বিক্ষুদ্ধ আদিবাসী মহল্লায় ৬০ জন ক্ষুদেদের নিয়ে পিকনিক আয়োজন করে পুলিশ যে 'সামজিক বন্ধু' সেই বার্তা দিলেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।                                                                                                          

শুক্রবার, জানুয়ারী ১০, ২০২০

ভাটপাড়া পুরসভার অনাস্থার ভোটে জেলাশাসকের রিপোর্টে সিলমোহর হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন  
        



বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি প্রতীকপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে ভাটপাড়া পুরসভার অনাস্থা মামলাটি উঠে। এদিন ডিভিশন বেঞ্চে ভাটপাড়া পুরসভার অনাস্থা ভোট নিয়ে রিপোর্ট পেশ করেন উত্তর ২৪ পরগণার ডিএম। ডিএম রিপোর্ট কে মান্যতা দিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয় - 'পুর আইনী প্রক্রিয়া মেনেই ভাটপাড়া পুরসভার অনাস্থা ভোট হয়েছে। পুরসভা পরিচালনায় কোন অসুবিধা নেই '। তবে বেশকিছু আইনী প্রশ্নের জন্য এই মামলাটি বিবেচনাধীন পর্যায়ে রেখেছে ডিভিশন বেঞ্চ। দু সপ্তাহ পরেই পুনরায় এই মামলার শুনানি রয়েছে। অপরদিকে বিজেপি সুত্রে প্রকাশ, কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের এহেন রায়ের বিরুদ্ধে তারা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করছে। ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের প্রতিলিপি নিয়ে তারা আগামী সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করতে চলেছে। গত ৬ জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি প্রতীকপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে ভাটপাড়া পুরসভার দ্বিতীয়বারর জন্য অনাস্থা ভোট করানোর নির্দেশিকা জারী হয়েছিল। প্রথমবারের মত দ্বিতীয়বারেরও ১৯-০ ব্যবধানে ভাটপাড়া পুরসভার পুন দখল নেয় তৃণমূল। সেদিন ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ ছিল - অনাস্থা ভোট পর্ব নিয়ে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট পেশ করবেন ডিএম। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুরে সেই রিপোর্ট জমা দেন উত্তর ২৪ পরগণা ডিএম। এই রিপোর্ট দেখে ডিভিশন বেঞ্চ শুনানিতে পর্যবেক্ষণে জানায় - 'পুরআইন মেনে ভাটপাড়া পুরসভার অনাস্থা ভোট হয়েছে। পুরসভা পরিচালনায় কোন অসুবিধা নেই'। গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম সিনহার সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় কে খারিজ করে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি প্রতীকপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল - 'মঙ্গলবার বেলা একটা নাগাদ  নির্বাচন কমিশনের উপস্থিতিতে ডিএম - এসপির পরিচালনায় অনাস্থা ভোট হবে। পুরো অনাস্থা ভোট প্রক্রিয়াটি ভিডিও রেকর্ডিং চলবে। বৃহস্পতিবার ডিএম মুখবন্ধ খামে এই অনাস্থা ভোট নিয়ে রিপোর্ট দেবেন '। সেইসাথে এই পুরসভার সমস্ত কাউন্সিলারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আদেশনামা জারী হয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চের তরফে। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম সিনহার এজলাসে এই মামলার রায়দানে সেদিনকার অনাস্থা ভোট বাতিল হয়েছিল। তড়িঘড়ি গত শুক্রবারেই কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে এই সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে ভাটপাড়া পুরসভার তিন তৃনমূল কাউন্সিলার। তবে রায়ের প্রত্যায়িত কপি পিটিশনে না থাকায় গত শুক্রবার দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ হয়।গত সোমবার দুপুরে পুনরায় এই মামলাটি উঠে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি প্রতীকপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানে সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় খারিজ করে মঙ্গলবার বেলা একটার মধ্যে নির্বাচন কমিশনের উপস্থিতিতে ডিএম - এসপির পরিচালনায় অনাস্থা ভোট করার নির্দেশ জারী হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ডিএম অনাস্থা ভোটপর্ব নিয়ে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ ছিল কলকাতা হাইকোর্ট এর ডিভিশন বেঞ্চের ।  ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল তাতে - 'গত ২ জানুয়ারি পুর চেয়ারম্যানের অনাস্থাপ্রস্তাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না '। প্রসঙ্গত, উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া পুরসভার ৩৫ টি ওয়ার্ড রয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনে একদা ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অর্জুন সিং সাংসদ হওয়ায় এই আসন টি খালি হয়। এছাড়া একজন কাউন্সিলার মারা গেছেন। অর্থাৎ ৩৩ জন কাউন্সিলার রয়েছেন।সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার ১৭ জন কাউন্সিলার। গত বৃহস্পতিবার অনাস্থা ভোটে তৃণমূলের পক্ষে ১৯ টি ভোট পড়েছিল। এই পুরসভায় একজন বামেদের কাউন্সিলার রয়েছেন। যিনি বরাবরই ভোটদানে বিরত থাকেন।  লোকসভা নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণা পরবর্তী ২৯ জন কাউন্সিলার তৃনমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। এদের মধ্যে অনেকেই ফিরেছেন পুরাতন দলে (তৃণমূল) ।   প্রথমবারের মত দ্বিতীয়বারেরও ভাটপাড়া পুরসভার অনাস্থা ভোটে ১৯-০ ব্যবধানে দখল নিল তৃনমূল। এখন দেখার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিলে আদৌও যায় কিনা বিজেপি। গেলেও সুপ্রিম কোর্ট ভাটপাড়া নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ নিয়ে কি অবস্থান নেয়?                                                                                                                                                       


বৃহস্পতিবার, জানুয়ারী ০৯, ২০২০

ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোরেল সম্প্রসারণ নিয়ে কেন্দ্রের রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন  

গত মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মেট্রোরেল সম্প্রসারণে বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট পেশের সময়সীমা ছিল রাজ্যের। তবে এদিন রাজ্যের তরফে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জানানো হয়েছে - 'রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরে মেট্রোরেল সম্প্রসারণ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা নেই'। জানা গেছে, একমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের রয়েছে এই ধরণের পাতাল রেললাইন গড়তে বিশেষজ্ঞ কমিটি। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষজ্ঞ কমিটি কলকাতা ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোরেল সম্প্রসারণে বর্তমানে কোন সমস্যা আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখুক বলে বিভিন্ন মহলে দাবি উঠেছে । জানা গেছে, এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় রিপোর্ট তলব করেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৭ ফেব্রুয়ারিতে। এর আগের শুনানিতে মেট্রোরেল অধীনস্থ কেএমআরসিএলের পক্ষে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোরেল সম্প্রসারণ করতে অনুমতি চাওয়া হয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। উক্ত সংস্থা কে মেট্রোরেল সম্প্রসারণ করার রিপোর্ট টি রাজ্য কে জানাবার নির্দেশ দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্য সেটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে জানাবে পুনরায় মেট্রোরেল সম্প্রসারণ করা যাবে কিনা। রাজ্যের আওতাধীন বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের বিশেষজ্ঞ কমিটি কেএমআরসিএলের রিপোর্ট টি পর্যবেক্ষণ করবে বলে নির্দেশিকা ছিল। রাজ্যের অনুমতি নিয়েই মেট্রোরেল সম্প্রসারণ করতে হবে, তা পরিস্কার করে জানিয়ে ছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য জানিয়ে দেয় - 'মেট্রোরেল সম্প্রসারণ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ নেই তাদের হাতে'। গত বছরের নভেম্বর মাসে দ্বিতীয় সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজে ৫ মিটার বোরিং করার ছাড়পত্র দিয়েছিল মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কে। বোরিং করার দ্বিতীয় মেশিন টি এই ৫ মিটার বোরিং করার ছাড়পত্র পায়। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ইতিপূর্বে মৌখিকভাবে জানিয়েছিল - 'গত ৩১ আগস্ট কলকাতার ৪৮ নং ওয়ার্ডে যে ঘরবাড়ি ভেঙ্গে পড়েছিল।সেখানে ওই এলাকা থেকে ৭৮ টি পরিবারেরর ৬৮২ জন কে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে। আর্থিক ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৮৩ টি পরিবার কে গড়ে ৫ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে '। উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্ট মাসের শেষের দিকে মেট্রোরেলের ইস্ট ওয়েস্ট রেললাইন  নির্মাণে  বড়বাজার এলাকায় বেশ কিছু বাড়ী ভেঙ্গে পড়ার ঘটনায় তোলপাড় হয় মহানগর। বড়বাজারের দূর্গা পিতুরি লেনের তিনতলা এক বাড়ী ভেঙ্গে পড়ে, আরও বেশ কয়েকটি বাড়ি ধসে যায় ।কোন প্রাণহানি না ঘটলেও প্রথম পয্যায়ে স্থানীয় ৩২৩ জন কে ঘটনাস্থলের বাড়ী গুলি থেকে সরিয়ে নেয় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। নিজ বাড়ী ঢুকতে না পারা এবং বিশেষজ্ঞ মহলের রিপোর্ট নিয়ে যৌক্তিকতা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জরুরি কালীন শুনানির পিটিশন দাখিল করে এক সমাজসেবী সংস্থা।কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল নায়ার রাধাকৃষ্ণন এবং বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এর এজলাসে মামলাটি উঠে । প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মেট্রোরেলের এই কাজ বন্ধে স্থগিতাদেশ জারী করে ছিলেন। প্রথম পয্যায়ে ১৬ সেপ্টেম্বর অবধি কোন কাজ করতে পারবেনা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ বলে নির্দেশজারী হয় এবং দ্বিতীয় পয্যায়ে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ জারী ছিল। এরেই মধ্যে বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট এবং মেট্রোরেলের রিপোর্ট জমা দেওয়ার আদেশনামা থাকে । মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কে এও জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল - যেসব বাড়ী মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কাজের জন্য সিল করে রেখেছে, সেই বাড়ীগুলিতে মালিকপক্ষ একজন করে ঢুকতে পারবেন জিনিসপত্র নেওয়ার জন্য। এই মামলায় আবেদনকারীর আইনজীবী ঋজু ঘোষাল রয়েছেন। শুনানিতে মেট্রোরেলের আইনজীবী জানিয়েছিলেন - "ইস্ট ওয়েস্ট পাতাল রেলপথের ১০.৮ কিমি রেলপথের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৯.৮ কিমি রেলপথের কাজ শেষ হয়েছে। শুধুমাত্র ১ কিমির পথ বাকি রয়েছে।  যার কাজ চলছিল"। মূলত বিবাগী মোড় থেকে ভায়া বড়বাজার হয়ে হাওড়া স্টেশন যাওয়ার পথটি। টানা বর্ষণে ভূ-গর্ভস্থ ট্যানেলে জল ঢোকে যাওয়াতেই এই বিপত্তি বলে কেউ কেউ দাবি করছেন। ইতিমধ্যেই প্রস্তাবিত  ভূ-গর্ভস্থ রেলপথের উপরে থাকা বাড়ী গুলিতে প্রথম পয্যায়ে ৩২৩ জন কে সরিয়ে রাখে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। গতমাসে বড়বাজারে বেশ কিছু বাড়ী ভেঙ্গে পড়েছিল। সেইসাথে ওই এলাকায় সিংহভাগ বাড়ীগুলিতে ফাটল দেখা যায়। যদিও মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ এইসব বাড়ীর মেরামতির পুরো দায়িত্ব নিয়েছে। তবে যখনতখন বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। সেইসাথে হতে পারে প্রাণহানি। তাই বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জরুরি কালীন শুনানির জন্য পিটিশন দাখিল হয়েছিল। এই মামলার প্রথম শুনানিতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল - ১৬ সেপ্টেম্বর অবধি মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কে কাজ বন্ধ রাখতে হবে ।এর পর ৭ নভেম্বর পর্যন্ত নির্মাণকাজে স্থগিতাদেশ জারী ছিল। নভেম্বর মাসে দ্বিতীয় সপ্তাহে মামলাটি পুনরায় উঠেছিল। তখন মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন রাখে দ্বিতীয় বোরিং মেশিন টি যাতে ৫ মিটার খনন করার অনুমতি পায়। এই আবেদন মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।৫ মিটার বোরিং করার পর পুনরায় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয় ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোরেল সম্প্রসারণ করতে। গত শুনানিতে এই মামলায় শুনানিতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশনবেঞ্চ জানিয়েছিল - কেএমআরসিলের রিপোর্ট টি দেখবে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর। দুপক্ষের আলোচনায় অনুমতি নিয়ে পর্য্যালোচনা চলবে। রাজ্য সম্মতি দিলেই বোরিং করার ছাড়পত্র মিলবে। ৭ জানুয়ারি অর্থাৎ মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি র ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানিতে রাজ্য জানায় - 'বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের অধীনে পাতাল রেললাইন সম্প্রসারণ নিয়ে বিশেষজ্ঞ নেই তাদের হাতে'। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৭ ফেব্রুয়ারিতে।                                                                                                                                                                


বুধবার, জানুয়ারী ০৮, ২০২০

মনন আগামী ২৩ জানুয়ারি শিয়ালদহে অষ্টম সংখ্যা প্রকাশ করছে

আগামী ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০, বিকেল সাড়ে তিনটের সময় কৃষ্ণপদ মেমোরিয়াল হলে আমাদের 'মনন' অষ্টম সংখ্যা প্রকাশের যে আয়োজন করা হয়েছে সেখানে আপনাদের সকলকে সাদর আমন্ত্রণ ।

এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সাহিত্য একেডেমী পুরস্কারপ্রাপ্ত সাহিত্যিক শ্রী ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়, আনন্দ পুরস্কারপ্রাপ্ত সাহিত্যিক শ্রী নলিনী বেরা বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও কবি শ্রী জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়, বিশিষ্ট কবি শ্রী আরণ্যক বসু, শ্রীমতী সোনালী কাজী, অল্প সময়ের জন্য আসবেন বিশিষ্ট কবি শ্রীমতী মন্দাক্রান্তা সেন এছাড়াও আকাশবানী ও দূরদর্শনের বিশিষ্ট কিছু ব্যক্তিত্ব ।

আমাদের এই সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হবে 'মনন সাংস্কৃতিক দলে'র পরিচালনায় । সমগ্র অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনার কাজ করবেন প্রখ্যাত বাচিক শিল্পী শ্রীমতী সোমা আইচ ।

আমাদের এই অনুষ্ঠানে যে আমন্ত্রিত কয়েকটি দল তাদের শ্রুতিপাঠ অনুষ্ঠান উপস্থাপন করবেন তারা হল -

১) অনুস্টুপ ২) আবাসা ৩) পেখম ৪) হৃদমাঝারে ৫ ) কথার তরী ৬) মনন সাংস্কৃতিক দল ৭) পটমঞ্জরী । ( দলের আগে আসার ভিত্তিতে তারা সময় পাবেন )

আপনারাও আগে এসে নাম লেখানোর ভিত্তিতে স্বল্প সময়কাল অবশ্যই আপনাদের পাঠ আবৃত্তি করতে পারেন, কিন্তু এসেই নাম লেখাবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির কাছে ।

সমগ্র অনুষ্ঠানটির প্রচারের দায়িত্ব আমাদের মিডিয়া পার্টনার 'বাংলার খবরাখবর গোষ্ঠী'র । বেশ কয়েকটি প্রিন্ট মিডিয়া, অন লাইন প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া হাজির থাকবেন ।

আপনাদের সকলের উপস্থিতি অবশ্যই অনুষ্ঠানকে সফল করে তুলবে সেই প্রত্যাশা আমাদের আছেই । চলে আসুন সকলে, আমরা অপেক্ষায় ।

স্নেহাশীষ চক্রবর্তী

প্রতিষ্ঠাতা

০৮/০১/২০২০

বনধে রাজ্য কে সচল রাখতে নির্দেশ হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন  

আজ অর্থাৎ ৮ জানুয়ারি দেশব্যাপী বাম এবং কংগ্রেসের শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে ধর্মঘট রয়েছে। এই ধর্মঘট কে আবার প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব সমর্থন করায় বামেরা কিছুটা উজ্জীবিত। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করণ নায়ার রাধাকৃষ্ণন এবং বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে  বনধ বিষয়ক মামলা উঠে। যেখানে প্রধান বিচারপতির  ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য কে নির্দেশ দেয় - গোটা রাজ্যে জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পরিবহন থেকে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে যা যা করণীয় তা পালনে তৎপরতা দেখাতে হবে'। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার তার অধীনস্থ সমস্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে। মাতৃত্বকালীন এবং জরুরিকালীন ছুটি কে এই নির্দেশের বাইরে রাখা হয়েছে। সরকারি কর্মীদের অফিস হাজিরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যারা আগে ছুটির আবেদন জানিয়েছিলেন, তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। অর্থমন্ত্রকের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে - কেউ গড়হাজিরা হলে তার বেতন কাটা যাবে। সেইসাথে শো কজ করা হতে পারে। রাজ্য সরকারের পরিবহন দপ্তর   বুধবারের বামেদের বনধ প্রতিরোধে অতিরিক্ত সরকারি বাস চালাবে বিভিন্ন সড়কপথে। পুলিশের তৎপরতাও থাকবে বিভিন্ন প্রান্তে। তবে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে - ব্যাংক গুলিতে এর প্রভাব পড়তে পারে। গ্রাহকেরা হয়রানির শিকার হতে পারেন। উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব আইন, বেসরকারিকরণ সহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে গোটা দেশ ব্যাপি বাম এবং কংগ্রেস সমর্থিত শ্রমিক ইউনিয়ন গুলি বুধবার বনধ ডেকেছে। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব আবার এই বনধে সমর্থন জানিয়েছে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে, রমাপ্রসাদ সরকার নামে এক আইনজীবী কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দাখিল করেন। মূলত জয়েন্ট এন্ট্রাসের পরীক্ষায় যাতে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারে। তাছাড়া রাজ্য যেন বনধের প্রতিরোধে কড়া অবস্থান নেয়। গত ৭ জানুয়ারি থেকে তিনদিনের জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বুধবার দিনও পড়ছে এই পরীক্ষা। তাই দ্রুত হস্তক্ষেপ চেয়ে মামলাটি দাখিল হয়। মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য কে জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দেয়।                                                                                                                                                      

মঙ্গলবার, জানুয়ারী ০৭, ২০২০

নদীয়ার বিধায়ক খুনে মুকুল কে এপ্রিল অবধি রক্ষাকবচ হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)   

সোমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চে নদীয়ার তৃণমূল বিধায়ক খুনের আগাম জামিনের মামলাটি উঠে। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে - ' নদীয়ার বিধায়ক খুনে অভিযুক্ত মুকুল রায় কে আগামী এপ্রিল মাস অবধি গ্রেপ্তার করা যাবেনা। সেইসাথে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি মার্চ মাসের মধ্যেই এই মামলার অগ্রগতি নিয়ে রিপোর্ট পেশ করবে'। এই মামলার পরবর্তী শুনানি এপ্রিল মাসে রয়েছে। সম্প্রতি সিআইডি এই খুনের মামলায় তদন্তে অভিযুক্তদের মধ্যে একজনের সাথে মুকুল রায়ের মোবাইলে কথপোকথন পেয়েছে বলে দাবি। সেই সুত্র ধরেই নুতন করে তদন্তের নির্দেশ দেয় নদীয়ার নিম্ন আদালত। নিহত বিধায়কের স্ত্রীর নিম্ন আদালতে পুনরায় তদন্তের আবেদন মঞ্জুর হওয়ায় মুকুল রায় তড়িঘড়ি কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছেন বলে প্রকাশ। ২০১৭ সালে নভেম্বর মাসের পর একদা তৃনমূলের 'চাণক্য' মুকুল রায়  দলবদলের পর রাজনৈতিক আক্রোশে ২৫ টি ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই ১২ টি মামলা আদালতের তরফে খারিজ হয়েছে। এইমুহূর্তে  সরশুনায় রেলবোর্ড প্রতারণা মামলা, বড়বাজারে তোলাবাজির মামলার পাশাপাশি বীরভূমের লাভপুরের তিনভাই খুনের মামলার সাথে নদীয়ার তৃনমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে নাম জড়িয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়ের। প্রায় মামলায় আইনী রক্ষাকবচ মিললেও নদীয়ার বিধায়ক খুনে আইনী রক্ষাকবচ ছিল না। উল্লেখ্য, এই খুনের মামলায় তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি নিম্ন আদালতে দ্বিতীয় পয্যায়ে পুনরায় তদন্তের আবেদন করলেও তা মঞ্জুর হয়নি। সেসময় অভিযুক্ত মুকুল রায় কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হলেও তা খারিজ হয়। কেননা নিম্ন আদালতে সিআইডির আবেদন টি খারিজ হয় বলে। তবে সম্প্রতি নিহত বিধায়কের স্ত্রী দিপালী  বিশ্বাস নিম্ন আদালতে সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে পুনরায় তদন্তের আর্জি রাখেন। তাতে সংশ্লিষ্ট এজলাসের বিচারক সেই আর্জি মঞ্জুর করায়,  মুকুল রায়ের গ্রেপ্তারির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই তড়িঘড়ি কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন রাখেন টি মুকুল রায়।  উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ৯ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পূজার দিন সন্ধেবেলায় নদীয়ার  হাঁসখালি এলাকায় এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। এই খুনে সুজিত মন্ডল এবং কার্তিক মন্ডল নামে   দুজন এলাকাবাসী  গ্রেপ্তার হয়। এই দুজন ছাড়াও নদীয়ার বিজেপির জেলা সভাপতি তথা বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার এবং বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়ের নাম জড়ায় মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে। এই খুনে পুলিশি নিস্ক্রিয়তার জন্য তৎকালীন ওসি অনিন্দ বসু সাময়িক বরখাস্ত হন। সেইসাথে নিহত বিধায়কের দেহরক্ষীও বরখাস্ত হন। বর্তমানে এই দুই পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে।খুনের দিন নিহতের বিধায়কের সাথে দেহরক্ষী ছিলেন না। কেননা সেসময় ছুটিতে ছিলেন দেহরক্ষী। কেন দেহরক্ষীর ছুটি মঞ্জুর করা হয়েছিল। তাও পুলিশের বিভাগীয় তদন্তে বারবার উঠে এসেছে। এই খুনের মামলায় তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি নিম্ন আদালতে চার্জশিট দাখিল করে থাকে। এরপর দ্বিতীয় পয্যায়ে পুনরায় তদন্তের পিটিশন জানায় সংশ্লিষ্ট এজলাসে। সেসময় সেই পিটিশন খারিজ হয়। সম্প্রতি নিহতের স্ত্রী নিম্ন আদালতে পুনরায় তদন্তের আবেদন রাখেন। তাতে সেই আবেদন মঞ্জুর হয়। আর এতেই সিঁদুরে কালো মেঘ দেখে মুকুল শিবির। সেজন্য আগাম জামিন পেতে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হন মুকুলের আইনজীবী। সোমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার সমস্ত রিপোর্ট দেখে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি কে আগামী মার্চ মাসের মধ্যেই রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেয়। সেইসাথে আগামী এপ্রিল মাস অবধি মুকুল রায় কে আইনী রক্ষাকবচ দেয় বেশকিছু শর্ত আরোপ করে।                                                                                                                                                                                                                   


কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে আজ অনাস্থা ভাটপাড়ায়

মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)   

সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি প্রতীকপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে ভাটপাড়া পুরসভার অনাস্থা মামলাটি উঠে। এদিন ডিভিশন বেঞ্চ গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি অরিন্দম সিনহার সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় কে খারিজ করে জানিয়ে দেয় - 'মঙ্গলবার বেলা একটা নাগাদ  নির্বাচন কমিশনের উপস্থিতিতে ডিএম - এসপির পরিচালনায় অনাস্থা ভোট হবে। পুরো অনাস্থা ভোট প্রক্রিয়াটি ভিডিও রেকর্ডিং চলবে।আগামী বৃহস্পতিবার ডিএম মুখবন্ধ খামে এই অনাস্থা ভোট নিয়ে রিপোর্ট দেবেন   '। সেইসাথে এই পুরসভার সমস্ত কাউন্সিলারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আদেশনামা জারী হয়েছে ডিভিশন বেঞ্চের তরফে। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম সিনহার এজলাসে এই মামলার রায়দানে সেদিনকার অনাস্থা ভোট বাতিল হয়েছিল। তড়িঘড়ি শুক্রবারেই কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে এই সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে ভাটপাড়া পুরসভার তিন তৃনমূল কাউন্সিলার। তবে রায়ের প্রত্যায়িত কপি পিটিশনে না থাকায় শুক্রবার দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ হয়। সোমবার দুপুরে পুনরায় এই মামলাটি উঠে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি প্রতীকপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানে সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় খারিজ করে মঙ্গলবার বেলা একটার মধ্যে নির্বাচন কমিশনের উপস্থিতিতে ডিএম - এসপির পরিচালনায় অনাস্থা ভোট করার নির্দেশ জারী হয়। আগামী বৃহস্পতিবার ডিএম অনাস্থা ভোটপর্ব নিয়ে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট পেশ করবেন বলে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে।      ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ - 'গত ২ জানুয়ারি পুর চেয়ারম্যানের অনাস্থাপ্রস্তাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না '। প্রসঙ্গত, উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া পুরসভার ৩৫ টি ওয়ার্ড রয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনে একদা ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অর্জুন সিং সাংসদ হওয়ায় এই আসন টি খালি হয়। এছাড়া একজন কাউন্সিলার মারা গেছেন। অর্থাৎ ৩৩ জন কাউন্সিলার রয়েছেন। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার ১৭ জন কাউন্সিলার। গত বৃহস্পতিবার অনাস্থা ভোটে তৃণমূলের পক্ষে ১৯ টি ভোট পড়েছিল। এই পুরসভায় একজন বামেদের কাউন্সিলার রয়েছেন। যিনি বরাবরই ভোটদানে বিরত থাকেন।  লোকসভা নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণা পরবর্তী ২৯ জন কাউন্সিলার তৃনমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। এদের মধ্যে অনেকেই ফিরেছেন পুরাতন দলে (তৃণমূল) । এখন দেখার দলবদলের খেলায় কারা বাজিমাৎ করে ভাটপাড়া পুরসভার অনাস্থা ভোটে।                                                                                                                                                            

শনিবার, জানুয়ারী ০৪, ২০২০

ভাটপাড়া পুরসভার অনাস্থার দ্রুত শুনানির আবেদন খারিজ ডিভিশন বেঞ্চে

মোল্লা জসিমউদ্দিন  

গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম সিনহারর সিঙ্গেল বেঞ্চে ভাটপাড়া পুরসভার অনাস্থা মামলায় ধাক্কা খাওয়ার পর আজ অর্থাৎ শুক্রবারও কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চে দ্রুত আপিলের জন্য পুনরায় ধাক্কা খেল এই রাজ্যের শাসক শিবির। সিঙ্গেল বেঞ্চের  রায়ের প্রতিলিপি ছাড়াই আপিল এবং পাল্টা মামলার পিটিশন দাখিল করেন ভাটপাড়ার ৩ জন তৃণমূল কাউন্সিলার। এই 'কাগজহীন' পিটিশনে আবার দ্রুত শুনানির আর্জি রাখা হয়। তাতে এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয় - ' কিসের ভিক্তিতে এই পিটিশন?  এত তাড়াহুড়ো করে শুনানি কেন?  আগামী সোমবার শুনানি হলে আকাশ থেকে স্বর্গ ভেঙ্গে পড়বেনা!'। বিচারপতি অবশ্য সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ের প্রতিলিপি নিয়ে সোমবার নুতন করে পিটিশন দাখিল করার পরামর্শ দিয়েছেন বলে আদালত সুত্রে প্রকাশ। সাধারণত কোন মামলার বিরুদ্ধে আপিল কিংবা পাল্টা মামলা  করতে গেলে আগেকার জাজমেন্ট এর প্রতিলিপি আবশ্যিক লাগে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম সিনহার এজলাসে ভাটপাড়া পুরসভার অনাস্থা বিষয়ক মামলার রায়দান ঘটে। সেই মামলা কলকাতা হাইকোর্টের নিজস্ব ওয়েবসাইটে আপলোড হতে নুন্যতম একদিন সময়সীমা লাগে। সেখানে গত বৃহস্পতিবার এজলাসে রায় দেখে শুক্রবার সকাল দশটা নাগাদই ডিভিশন বেঞ্চে আপিল পিটিশন দাখিল হয় আগেকার সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ের প্রতিলিপি ছাড়াই। এই পদ্ধতিগত বিষয়ের জন্য এদিন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মৃদু সমালোচিত হল রাজ্যের শাসক দল।  জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ২০১৬ সালে পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার মামলার রায়দান উল্লেখ করে বিচারপতি অরিন্দম সিনহা ভাটপাড়া পুরসভার অনাস্থা ভোট খারিজ করেন। উল্লেখ্য, গত   বৃহস্পতিবার কলকাতার হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম সিনহার এজলাসে উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া পুরসভার অনাস্থা বিষয়ক মামলাটি উঠেছিল। দফায় দফায় বাদী-বিবাদী পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে বিচারপতি অনাস্থা ভোট টি বাতিল করে দেন। সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অরিন্দম সিনহার পর্যবেক্ষণ ছিল - 'গত ডিসেম্বর মাসের তৃনমূলের তিনজন কাউন্সিলারের অনাস্থা প্রস্তাব টি অবৈধ।তাই বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় যে ভোটাভুটি হয়েছিল ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। সেটি অবৈধ '।গত ১৯ ডিসেম্বর পুর চেয়ারম্যান আগামী ২০ জানুয়ারি যে অনাস্থাপ্রস্তাব বৈঠক পাশ করেছেন, সেটি বৈধ বলে জানিয়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট এর বিচারপতি অরিন্দম সিনহার বেঞ্চ । গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় ১৯-০ ব্যবধানে ভাটপাড়া পুরসভার দখল নিয়েছিল তৃনমূল। এই অনাস্থা ভোটে বিজেপি গড়হাজির ছিল।একদিকে যেমন ভাটপাড়ায় অনাস্থা ভোট চলছিল, ঠিক তখনি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম সিনহার এজলাসে এই অনাস্থা ভোট নিয়ে দুপক্ষের আইনজীবীদের সওয়াল জবাব চলেছিল। বৃহস্পতিবার বেলা শেষে হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় - 'তৃনমূলের তিন কাউন্সিলারের অনাস্থা প্রস্তাব টি অবৈধ। তাই চেয়ারম্যান অপসারণের ভোটাভুটি টি বেআইনী। সেইসাথে খারিজ হল অনাস্থা টি'। পুরআইন মেনে চলতে হবে বলেও আদেশনামায় উল্লেখ রয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ এপ্রিল একদা পুর চেয়ারম্যান অর্জুন সিং কে ২২-১১ ব্যবধানে পরাজিত করে তৃনমূল। অর্জুন সিং এর তৃনমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করাতে এই রাজনৈতিক পরিণতি বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করে।লোকসভা ভোটে বাংলায় অভাবনীয় সাফল্য পেয়ে সাংসদ অর্জুন সিং তাঁর ভাইপো সৌরভ সিংহ কে পুর চেয়ারম্যান পদে বসান। এরপরে তৃনমূলের ৩ কাউন্সিলার বিজেপির পুর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গত ১৯ ডিসেম্বর অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। ইতিমধ্যেই পুর চেয়ারম্যান বৈঠকের মাধ্যমে জানিয়েছেন - আগামী ২০ জানুয়ারি অনাস্থা প্রস্তাব বৈঠক আনা হবে। তড়িঘড়ি তৃনমূল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় ১৯-০ ব্যবধানে দখল নিয়েছিল ভাটপাড়া পুরসভা।একই দিনে বিজেপির কাউন্সিলাররা এই অনাস্থা ভোটের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হন   । তাতে কলকাতা হাইকোর্ট এই অনাস্থা মামলায় জানিয়ে দেয় ভাটপাড়ার অনাস্থা ভোট বে আইনী। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চে শুক্রবার সকাল দশটা নাগাদ সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ের প্রতিলিপি ছাড়াই আপিল এবং পাল্টা মামলার পিটিশন দাখিল হয়। সেখানে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয় -' কিসের ভিক্তিতে জরুরি শুনানি? রায়ের প্রতিলিপি ছাড়া এই আবেদন গ্রাহ্য নয় '। সেইসাথে আগামী সোমবার সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ের প্রতিলিপি নিয়ে পিটিশন দাখিল করার পরামর্শ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। যেভাবে দ্রুত শুনানির আর্জি রাখা হয়েছিল, তা নিয়েও মৃদু সমালোচিত হয় তৃনমূল শিবির।                                                                                                                                                                                                    

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER