সেখ নিজাম আলম
মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৮, ২০২০
বর্ধমান শহরে বিভিন্ন বাজারে টাস্কফোর্স
বুঝে উঠা - প্রতিমা পাল
বুঝে উঠা
প্রতিমা পাল
ছোট একটা গল্প
লিখছি কিছু অল্প।
মনের মাঝে না রেখে
দূর করো তাকে দেখে।
দেবে মনে অনেক ব্যথা
সইতে পারবে তো তার কথা।
প্রথম প্রেম মিষ্টি বেশি
প্রথম প্রথম বেজায় খুশী।
দেখতে থাকি তুমি কতো ভালো
সারা জীবন কী করবে আলো।
কিছু হয় মনের কথা
কিছু আবার সত্যি কথা।
যাক রাখতে পারলে ভালো
না হলে হবে জীবন কালো।
নিউ ব্যারাকপুরের 'আরোহন আবাসন' অসহায়দের পাশে দাঁড়ালো
জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি
লকডাউনের পর সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে দৈনিক বেতনে কাজ করা শ্রমজীবি সম্প্রদায়ের মানুষ। কাজ বন্ধ থাকায় বেতন বন্ধ।ফলে পরিবারের সদস্যদের মুখে দু'মুঠো খাবার তুলে দেওয়া চরম সমস্যা হচ্ছে। সরকারি সাহায্য তো আছেই তার সঙ্গে বিভিন্ন ব্যক্তি বা সংস্থা বারবার তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। এব্যাপারে নিউ-ব্যারাকপুর পুরসভার দুস্থরা যথেষ্ট ভাগ্যবান। মাঝে মাঝেই তারা সাহায্য পেয়ে থাকছে।
এবার সংশ্লিষ্ট পুরসভার ১১ নং ওয়ার্ডের দুস্থদের সাহায্য করতে এগিয়ে এল ঐ ওয়ার্ডেরই "আরোহন আবাসন" এর আট জন বাসিন্দাদের হাতে গড়ে ওঠা 'আরোহন ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন'।গত ২৫, ২৬ ও ২৭ শে এপ্রিল - এই তিন ধরে তারা ঐ ওয়ার্ডের প্রায় ২০০ টি পরিবারের হাতে ৫ কেজি চাল, ২৫০ গ্রাম সরষে তেল, ২ কেজি আলু ২৫০ গ্রাম সয়াবিন ও ৫০০ গ্রাম পেঁয়াজ তুলে দেয়। শুধু তাই নয় পার্শ্ববর্তী ১২ ও ১৩ নং ওয়ার্ডেরও কিছু পরিবার সাহায্য পেয়েছে। সাহায্য পেয়ে অসহায় পরিবারগুলি খুব খুশি।
অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম সদস্য দেবাশীষ সিনহা রায় বললেন - এই সময় আমরা ভাল ভাল খাবার খাব আর আমাদের প্রতিবেশীরা উপোস থাকবে সেটা আমরা মন থেকে মেনে নিতে পারিনি। তাই নিজেদের সাধ্যমত ওদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। লকডাউন চলাকালীন আরও একাধিক বার ওদের সাহায্য করার ইচ্ছে আছে। একই সুর শোনা গেল অসীম তালুকদার, বাদল চক্রবর্তী, বিমল সাহা সহ অন্যান্য সদস্যদের কণ্ঠে।
নবদ্বীপের লায়ন্স শাখা তিন হাজার মানুষদের আহারের আয়োজন করেছে
শ্যামল রায়,
লায়ন্স অফ নবদ্বীপ শাখার উদ্যোগে তিন হাজার গরিব মানুষের মধ্যে রান্না করা খাবার বিতরণ
মঙ্গলবার লায়ন্স অফ নবদ্বীপ শাখার উদ্যোগে নবদ্বীপ শাখার উদ্যোগে নবদ্বীপ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে উন্নতমানের রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন লায়ন্স সভাপতি দিলীপ কুমার সাধুকা ও সম্পাদক অলোক দাস, অন্যতম কর্ণধার সুজিত কুমার দে সহ অন্যান্য সদস্য গণ।
সুজিত কুমার দে জানিয়েছেন যে মঙ্গলবার নবদ্বীপ শহরের ব্যাদরাপাড়া, ষষ্ঠীতলার মুচিপাড়া, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রফুল্ল নগর সমাজ বাড়ি রেললাইন পারের 3000 এলাকার গরীব অসহায় মানুষের মধ্যে উন্নত মানের রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়। লকডাউন মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অসহায় গরীব মানুষ মুখে মাস্ক পড়ে গোবিন্দ ভোগের খিচুড়ি আলুর দম মিষ্টি গ্রহণ করেন।
আরো জানা গিয়েছে যে কিছুদিন যাবত নবদ্বীপ শহরের বিভিন্ন প্রান্তের গরীব অসহায় মানুষদের মধ্যে মাঝেমধ্যেই লায়ন্স নবদ্দীপ তরফ থেকে উন্নত মানের খাবার এবং খাদ্য সামগ্রী সহ শিশুদের খাবার বিতরণ করার কাজ চলছে নিয়মিতভাবে। প্রফুল্ল নগর এ লায়ন্স অফ নবদ্বীপ শাখার উদ্যোগে যে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়েছে এখানে সহযোগিতায় ছিলেন সাংবাদিক শ্যামল রায়। খাবার পেয়ে ভীষণ খুশি এলাকার গরীব অসহায় মানুষ।
করোনার থাবায় ১৫ মে অবধি অচল থাকছে আদালত
মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)
মারণ ভাইরাস করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা অনুযায়ী গত ১৬ মার্চ থেকে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সমস্ত আদালত একপ্রকার অচল বলা যায়। নিম্ন আদালতে জামিন সংক্রান্ত মামলা ছাড়া অন্য সাধারণ মামলাগুলির বিচার প্রক্রিয়া থমকে। দফায় দফায় করোনা ভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে লকডাউন বৃদ্ধি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৫ মে অবধি আদালতে স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ থাকবে। তবে কলকাতা হাইকোর্টে বিশেষ দিন গুলিতে ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি চলছে। আলিপুর - শিয়ালদহ - বারুইপুর সহ বেশকিছু আদালতে অনলাইন শুনানি শুরু হতে চলেছে বলে জানা গেছে । কলকাতা হাইকোর্টে ২ টি করে ডিভিশন বেঞ্চ এবং ৩ টি করে সিঙ্গেল বেঞ্চ সর্বমোট ৫ টি বেঞ্চে চলবে ডিজিটাল বিচার-প্রক্রিয়া।২৮ এপ্রিল, ৩০ এপ্রিল, ৪ মে, ৭ মে, ১২ মে এবং ১৫ মে দিনগুলিতে জনস্বার্থ সহ গুরত্বপূর্ণ মামলার শুনানি হবে। প্রসঙ্গত, গত ১৬ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আদালতে স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ রাখার নির্দেশিকা। ধাপে ধাপে সেই মেয়াদ বৃদ্ধি পেয়ে ১৫ মে অবধি রাখা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টে ভিডিও কনফারেন্সে বিচার প্রক্রিয়ায় মামলার পিটিশন থেকে শুনানি এমনকি রায়দান / আদেশনামা সবই হচ্ছে অনলাইন প্রক্রিয়ায়। মামলার প্রাক্কালে মামলাকারী আইনজীবির ইমেল থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগাযোগকারী আইডি নাম্বার সব বিশদে জানানো হচ্ছে কলকাতা হাইকোর্টে। তারপর বাদী - বিবাদী উকিলবাবুদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি চলছে মামলাগুলির।
শিমুলিয়ায় খাদ্য সামগ্রী বিলিতে কৈচর পুলিশ
পারিজাত মোল্লা
; মঙ্গলবার সকালে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট ব্লক এলাকায় চললো পুলিশের তরফে খাদ্য সামগ্রী বিলি। কৈচর পুলিশ ফাঁড়ির পরিচালনায় শিমুলিয়া গ্রামে এলাকার দুশোর অধিক গরীবদের দেওয়া হয় এই খাদ্য সামগ্রী। ৫ কেজি চাল, ২ কেজি আলু এবং ৫০০ গ্রাম ডাল ছিল এই খাদ্য সামগ্রীতে বলে জানিয়েছেন কৈচর পুলিশ ফাঁড়ির আইসি সুজিত ভট্টাচার্য মহাশয়।লকডাউন কাটার একমাস পরে এই খাদ্য সামগ্রী পেয়ে খুশি এলাকাবাসী।
দুর্গাপুরে কং নেতার খাদ্য সামগ্রী বিলি
সেখ নিজাম আলম
পঞ্চাশ হাজারের অনুদান আইসিডিএস কর্মীদের
দারকানাথ দাস
কালনার পূর্বস্থলী ২ নং আইসিডিএস সহায়িকা দের পক্ষ থেকে করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ৫০০০০( পঞ্চাশ হাজার) টাকা প্রদান করা হয়। উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শ্রী স্বপন দেবনাথ, কালনা এসডিও শ্রী সুমন সৌরভ মহান্তি, সিডিপিও শ্রী অরিন্দম রায়, পূর্বস্থলী ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি শ্রী তপন চ্যাটার্জী প্রমুখ।
সোমবার, এপ্রিল ২৭, ২০২০
হিসাব মিলছেনা - তৃণা মুখার্জি
হিসাব মিলছে না (অনুগল্প )
তৃণা মুখার্জি
সবকিছু সেরে যখন বাড়ি ফিরছি তখন দেখলাম আমার প্রিয় ঘরটায় তালা দেওয়া। অনেক বড় তালা ।তালাটা কে দিল, কেন দিল , জানিনা। যে দিয়েছে ওই তালা , সে কি জানত না ওই ঘরে কোন দিন চুরি হবে না ।কারণ ওটা যে খুব ভালোবাসার ঘর । সেখানে যে কত ভালোলাগা আছে, তা হয়তো তারা জানেনা ।তারা শুধু জানে একটা তালা আর একটা চাবির হিসাব।
নিউ ব্যারাকপুরের ১১ এবং ২০ নং ওয়ার্ডে চলছে আহারের আয়োজন
জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি
লকডাউনের সময় এলাকার দুস্থ পরিবারগুলিকে সাহায্য করতে এগিয়ে এলো নিউ ব্যারাকপুর পৌরসভার প্রায় ২৫ জন যুবক। উত্তর দমদম বিধানসভার অন্তর্গত এই পৌরসভায় বেশ কিছু 'দিন আনি দিন খায়' পরিবার বাস করে। লকডাউনের কারণে কাজ বন্ধ থাকায় তারা বেশ সমস্যায় পড়ে। সংসার প্রতিপালন করা কষ্টকর হয়ে ওঠে। তখনই তাদের কাছে রান্না করা খাবার পৌঁছে দিচ্ছে ঐ যুবকরা।
স্হানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে গত ২৬ শে এপ্রিল ১১ নং ওয়ার্ড থেকে তারা এই কর্মসূচী শুরু করে। ১১ ও ২০ নং ওয়ার্ড মিলিয়ে দু'দিনে প্রায় ১০০ টির বেশি পরিবারের হাতে তারা ভাত, ডিমের ঝোল,চাটনি ইত্যাদি রান্না করা খাবারের প্যাকেট তুলে দেয়।দু:সময়ে রান্না করা খাবার পেয়ে অপূর্ব ঘোষ, তপন সাহা, সমীর পালরা খুব খুশি।
দলের এক সদস্য বললেন - আমাদের মূল লক্ষ্য হলো নিউ ব্যারাকপুর পুরসভার পরিস্থিতির শিকার এইসব দুস্থ পরিবারের হাতে রান্না করা খাবার পৌঁছে দেওয়া।অযথা ভিড় এড়ানোর জন্য এবং সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে চলার জন্য আমরা ঘরে ঘরে খাবারগুলি পৌঁছে দিচ্ছি। আগামীদিনে অন্যান্য ওয়ার্ডগুলিতেও আমরা যাব এবং যতদিন লকডাউন চলবে ততদিন এই পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করব।তিনি আরও বললেন - যাতে কোনো পরিবার কম খাবার না পায় তারজন্য আগেই পরিবারগুলির সদস্য সংখ্যার তালিকা তৈরি করে নেওয়া হচ্ছে এবং সেই অনুযায়ী খাবার দেওয়া হচ্ছে।
'ঘর থেকেই রক্তদান' চালু হলো মেমারিতে
সুরজ প্রসাদ
১৪ রকম সবজি সহ চাল বিলিতে বড়শুল কিশোর সংঘ
সেখ সামসুদ্দিন
মুখ্যমন্ত্রীর করোনা অনুদানে আইসিডিএস কর্মীদের আর্থিক সহযোগিতা
শ্যামল রায়
মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে আইসিডিএস কর্মীদের তরফ থেকে ৫০ হাজার টাকার চেক।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দিলেন আইসিডিএস কর্মীদের তরফ থেকে রাজ্যের অন্যতম মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ মহকুমাশাসক এর হাতে। সিডিপিও অরিন্দম রায় জানিয়েছেন যে সোমবার কালনা মহকুমা শাসকের হাতে পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লক আইসিডিএস কর্মী ও সহকারীদের তরফ থেকে এই আর্থিক মূল্যের চেক তুলে দেওয়া হয়। চেকটি তুলে দেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ।উপস্থিত সিডিপিও অরিন্দম রায় ও পূর্বস্থলী ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তপন চ্যাটার্জি। সিডিপিও অরিন্দম রায় জানিয়েছেন যে কোন ভাইরাসের মরণব্যাধি থাবা থেকে বাঁচতে চলছে দ্বিতীয় দফায় লকডাউন। লকডাউন চলাকালীন খেটে খাওয়া মানুষের চরম অভাব যেমন ঘটেছে তেমনি করোনাভাইরাস মোকাবিলার জন্য এগিয়ে আসা উচিত। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে আমরা এই চেক প্রদান করলাম। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন যে নিয়মিতভাবেই মহকুমাশাসক সুমন সৌরভ মহান্তি -র হাতে আমরা এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দিয়েছি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আমরাই চেকটি তুলে দিয়েছি।
মাথা ন্যাড়া করে রাজ্যের মন্ত্রী মাঠে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখালেন
সুভাষ মজুমদার
রাজ্য কিষাণ ক্ষেত মজদুর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা হরিপাল বিধায়ক বেচারাম মান্না
আজ মাথা নেড়া হয়ে কৃষি সরঞ্জাম নিয়ে মাঠে বসে প্রতিবাদ জানান ৷ পাশাপাশি বেচারাম বাবু আরো বলেন যে কেন্দ্রীয় সরকারের করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের কৃষককে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে মুখে বড় বড় কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ওলটে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠাছেন রাজ্যকে না জানিয়ে। দেশে পরিযায়ী শ্রমিক দের দুরবস্থার মধ্যে আছে তাদের কোনো সাহায্য করছেন না।
ভাতারের খেড়ুর দুরন্ত ক্লাব খাদ্য সামগ্রী বিলিতে
আমিরুল ইসলাম
ভাতারের খেরুর দুরন্ত ক্লাব উদ্যোগে আড়াইশো টি পরিবারকে দেয়া হল চাল ও মাস্ক ।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি করোনা মোকাবেলার জন্য সকলকে এগিয়ে আসতে বলেছেন।ভাতারের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক ও ক্লাব গুলি এগিয়ে এসেছেন সাহায্যে ।সেরকমই আজ খেরুর দুরন্ত ক্লাব প্রায় 250 জন পরিবারের হাতে তুলে দিলেন তিন কিলো করে চাল ও একটি করে মাস্ক ।
ক্লাব সদস্য বিধান ঘোষ জানান, আজ আমরা ক্লাবের পক্ষ থেকে আড়াইশো জন মানুষকে কিছু খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলাম। আগামীতেও বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকবে আমাদের ক্লাব। পাশাপাশি লকডাউন বাড়লে আবার আমরা গরিব মানুষদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসবো।
নারী - তৃণা মুখার্জি
নারী
তৃণা মুখার্জি
হঠাৎ মন বলে উঠলো-
হারিয়ে গেছি আমি।
জানি না কোন সূদূরের পাড়ে।
আমি কি সেই চণ্ডালিকা, যাকে থাকতে হয় নগর প্রান্তে?
নাকি সেই চিত্রাঙ্গদা,
যার স্থান সে নিজেই ঠিক করে?
নাকি সেই সারাদিন খেলা দেখানো ভানুমতী?
নাকি ঐ নীরব পশুদের সাথে কথা বলা নীরব সুভা?
তারপর উত্তর এলো,
আমি সেই নারী
যাকে যুগ যুগ ধরে পুরুষেরা করেছে বন্দনা ,
যার শক্তিতে সকলে হয় আলোকিত।
হ্যাঁ আমি সেই নারী।।
শালবনী ব্লক তৃণমূল সভাপতির উদ্যোগে দুশো পরিবার কে খাদ্য সামগ্রী
লকডাউনের এই পরিস্থিতিতে শালবনী ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নেপাল সিংহ মহাশয়ের উদ্যোগে শালবনির মাঝিপাড়া গ্রামে 200 বেশি পরিবারকে ত্রাণসামগ্রী এবং খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হল , ত্রাণ সমগ্রি তুলে দিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অজিত মাইতি মহাশয় , উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মিনু কোয়ারী, সন্দীপ সিংহ , অসিত ঘোষ ,শক্তি রানী পাল , লক্ষীকান্ত ঘোষ সহ অন্যান্য কর্মী এবং নেতৃত্ব গন
লকডাউনে মোবাইলে তৈরি হলো শর্টফিল্ম 'গৃহবন্দি'
মোবাইলে তৈরি হলো শর্ট ফিল্ম "গৃহবন্দী"
রাজকুমার দাস
করোনায় আজ গোটা বিশ্ব আক্রান্ত,লকডাউন এর মধ্যেই গৃহবন্দি থাকা অবস্থায় তরুণ পরিচালক রাহুল দত্ত চলমান যন্ত্রে বানিয়ে ফেললো খুব সুন্দর ছোট্ট একটি শর্ট ফিল্ম যার নাম "গৃহবন্দি"। এই শর্ট ফিল্মে যে যার বাড়িতে থেকে অভিনয় করেছে সপ্তর্ষি সোম চৌধুরী, তমাল চক্রবর্তী, শুভম পাল, প্রশান্ত নালুই, সায়ন মুখার্জি,সহ পরিচালক স্বয়ং।সংগীত পরিচালনায় অমিত মিত্র।শর্ট ফিল্মটির সম্পাদনা করেছেন বিজয় ঘোষ।এই শর্ট ফিল্মের কাহিনী চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন পরিচালক নিজেই।তাছাড়া ও সহযোগিতা সম্পূর্ণ টিম।এই শর্টফিল্মটির নেপথ্যে কণ্ঠ দিয়েছেন সায়ন মুখার্জি।এই "গৃহবন্দী "শর্ট ফিল্মটি রাহুলের প্রথম কাজ নয় এর আগেও বেশ কিছু শর্ট ফিল্ম ও মিউজিক ভিডিও বানিয়েছে।আগামীদিনে বড় পর্দার জন্য ছবিও করতে চলেছে রাহুল।ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে তার সদ্য বানানো শর্ট ফিল্মটি দর্শকদের ভালো লেগেছে।আমরা তার আগামী দিনে এগিয়ে চলার শুভেচ্ছা ,শুভ কামনা জানাই।সকলকে লকডাউনে বাড়িতে থাকতে অনুরোধের পাশাপাশি আগামী দিনে আমরা যেন এক নতুন রোগমুক্ত জীবাণু মুক্ত সকাল দেখতে পাই সেই আশায় রইলাম।
জয় বাংলা প্রকল্পে সাড়া পড়ছে গুসকারায়
জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি ,
রাজ্যের বিধবা, কৃষক, মৎস্যজীবী, তাঁতি, কারিগর সহ বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত বয়স্কদের সাহায্য করার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী 'জয় বাংলা' নামে একটি পেনশন প্রকল্প চালু করেন। ফেব্রুয়ারি (২০২০ ) মাসে বাজেট (২০২০-২০২১) পেশ করার সময় রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র 'জয় জহার' ও 'বন্ধু' নামে আরও দুটি প্রকল্প 'জয় বাংলা ' পেনশন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করেন। মূলত ৬০ বছর বা তার উর্দ্ধের তপশিলি জাতির মানুষের জন্য 'বন্ধু' ও তপশিলি উপজাতি মানুষের জন্য 'জয় জহার' প্রকল্প চালু করা হয়। অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী প্রতি মাসে যোগ্য ব্যক্তিরা তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১০০০ টাকা করে পাবে এবং এরফলে দুই সম্প্রদায়ের প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবে।
এই প্রকল্প সম্বন্ধে এলাকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের অবহিত করার জন্য গত ২৬ শে এপ্রিল পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা শহর তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি দেবব্রত শ্যামকে সঙ্গে নিয়ে শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কুশল মুখার্জ্জী গুসকরা পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের আদিবাসী মানুষদের কাছে যান। কারা এই প্রকল্পে সুযোগ পাবে এবং কিভাবে নাম নথিভুক্ত করতে হবে সেই বিষয়ে তারা তাদের অবহিত করেন।
পরে কুশল বাবু বলেন - রাজ্যের মানুষের সুবিধার্থে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী যেসমস্ত প্রকল্প চালু করেছেন সেগুলি যাতে যোগ্য ব্যক্তিরা পায় তার জন্য আমরা বিভিন্ন ওয়ার্ডে যাচ্ছি। আমাদের নেতা অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশ এলাকার একজন যোগ্য ব্যক্তি যাতে এই দুটি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত না হয় তার জন্য সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়াও করোনা মোকাবেলার জন্য এলাকার মানুষকে সরকারের নির্দেশ মেনে চলার জন্য অনুরোধ করি।
রবিবার, এপ্রিল ২৬, ২০২০
আইনজীবীদের আর্থিক সাহায্য করলো হাইকোর্টের বার এসোসিয়েশন
মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)
কলকাতা হাইকোর্টের বার এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ৪০০ জন আইনজীবীদের ২ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হল। এখনও ৬০০ এর বেশি আইনজীবীদের আবেদন রয়েছে। আইনজীবীদের একাংশের কাছে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার অনুরোধ রেখেছেন বার এসোসিয়েশন এর সভাপতি অশোক কুমার ঢনঢনিয়া। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় বিধিনিষেধ বজায় রেখে গত ১৬ মার্চ থেকে রাজ্যের সমস্ত আদালত একপ্রকার অচল হয়েছে। যা মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ অবধি ধাপেধাপে সময়সীমা বাড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুধুমাত্র কলকাতা হাইকোর্টে ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি চলছে তাও মাসে ৭ থেকে ৮ দিন মত। গত ১৬ মার্চ থেকে রাজ্যের আইনজীবীরা একপ্রকার বেকারত্বের শিকার বলা যায়। গোটা রাজ্যে ৪২ হাজার মত নিয়মিত / অনিয়মিত আইনজীবী রয়েছেন। এর মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে আইনী পেশার সাথে যুক্ত প্রায় ১০ হাজার আইনজীবী। টানা ৪০ দিন আদালতমুখী হয়নি এই রাজ্যের আইনজীবীমহল। আর্থিক সমস্যায় আইনজীবীদের বড় অংশ। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে ডিভিশন বেঞ্চে বারাসাতের এক আইনজীবী আইনজীবীদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া সহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে মামলাও করেছেন। ১৬ এপ্রিল এই মামলার শুনানির জন্য নির্ধারিত হলেও আগামী ৩০ এপ্রিল এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে। গত ৩০ মার্চ ব্যক্তিগতভাবে আইনজীবী সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এবং রাজ্য আইনমন্ত্রী কে ইমেল মারফত চিঠি লিখে আইনজীবীদের পাশে দাঁড়াবার জন্য আবেদন রেখেছেন। গত ৮ এপ্রিল বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের বর্ষীয়ান সদস্য আনসার মন্ডল কেন্দ্রীয় বার কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান কে চিঠি লিখে আইনজীবীদের পাশে দাঁড়াবার অনুরোধ জানিয়েছেন। এই চিঠিও প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য আইনমন্ত্রী কে। সেইসাথে রাজ্যের বার কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান অশোক দেব মহাশয়কে ও অবগত করানো হয়েছে। আনসার বাবু রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ৩৭ টি বেসরকারি আইন কলেজ কর্তৃপক্ষ কে আইনজীবীদের এহেন দুসময়ে পাশে দাড়ানোর আহবান জানিয়েছেন। অপরদিকে কলকাতা হাইকোর্টের বার এসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক কুমার ঢনঢনিয়ে অত্যন্ত তৎপরতায় এক রিলিফ ফান্ড গড়েছেন। ইতিমধ্যেই ৮০০ এর বেশি আইনজীবী বার এসোসিয়েশনের পদাধিকারীদের কাছে ইমেল মারফত আর্থিক অনুদান দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।হাইকোর্টের বার এসোসিয়েশন সুত্রে প্রকাশ, এহেন আইনজীবীদের ২ হাজার টাকা করে মাসিক আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে । ইতিমধ্যেই ৮ লক্ষ টাকা উঠে এসেছে আইনজীবীদের আর্থিক অনুদান দেওয়ার জন্য। এর মধ্যে বার এসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক কুমার ঢনঢনিয়া দিয়েছেন ২ লাখ, ক্যালকাটা হাইকোর্ট কালচারাল সোসাইটির তরফে ২ লাখ, মিলন মুখোপাধ্যায় দিয়েছেন ১ লাখ অনুদান অন্যতম । বার এসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক কুমার ঢনঢনিয়া জানিয়েছেন - "আরও ১০ লাখ টাকার অনুদান দরকার। হাওড়ার এক বেসরকারি ব্যাংকে একটি জরুরি কালিন রিলিফ ফান্ড একাউন্ট খোলা হয়েছে"। অপরদিকে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ইমেল মারফত অভাবী আইনজীবীদের আর্থিক অনুদান দেওয়ার প্রয়াস নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বার কাউন্সিল এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্তমান সদস্য আনসার মন্ডল মহাশয়।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
OLD POSTED
আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
মোল্লা জসিমউদ্দিন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER
-
বাকুঁড়ার কোতলপুর ব্লক তৃনমূল কমিটির পরিচালনায় বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদসভা হয়।উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শ্যামল সাতঁরা, সাংসদ সৌমিত্র খান, জেলা স...