বুধবার, মে ১৩, ২০২০
মঙ্গলবার, মে ১২, ২০২০
পরপর চার জায়গায় করোনা পজিটিভ, তটস্থ পূর্ব বর্ধমান
মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)
; সর্বপ্রথম খন্ডঘোষে কাকা - ভাইঝির করোনা পজিটিভ দেখা মেলে। এরপর সদর বর্ধমান শহরের সুভাষপল্লীর এক নার্সের করোনা পজিটিভ। তারপর মেমারি শহরে এক যুবকের রক্ত রিপোর্টে মিলে করোনার জীবাণু। গত একমাসে পূর্ব বর্ধমান জেলার তিনটি থানা এলাকায় এইরুপ করোনা পজিটিভ মেলায় চাপা আতঙ্কে ছিল পূর্ব বর্ধমান জেলা। এই চাপা আতঙ্কের মধ্যেই গত সোমবার রাতে কেতুগ্রামের পালিটা অঞ্চলে রতনপুরে এক মহিলার রক্ত রিপোর্টে এলো করোনা পজিটিভ। এখনও পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমানের চারটি ব্লক তথা দুটি মহকুমা এলাকায় চারটি করোনা পজিটিভ কেস সামনে আসায় গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলাজুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য দেখা গেছে। এই চারটি করোনা পজিটিভের অন্তরালে প্রত্যেকেরই কলকাতা ফেরত সংযোগ পাওয়া গেছে। তাতে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ ও প্রশাসন ডানকুনি - দূর্গাপুর সড়কপথে জামালপুর এবং পালসিটে পুলিশের কড়া চেকিং বসিয়েছে কলকাতা থেকে কারা কিভাবে কেন ফিরছে পূর্ব বর্ধমানে তা জানতে।
গত সোমবার রাতে বিধাননগরের রাজারহাট থানা থেকে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম থানায় ম্যাসেজ আসে যে, রাজারহাট কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের হেলফলাইনে কর্মরতা এক মহিলার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। গত তিনদিন আগে ওই মহিলা কলকাতার রাজারহাট থেকে নিজ বাড়ি অর্থাৎ পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম থানার পালিটা অঞ্চলে রতনপুর গ্রামে আসেন। কিভাবে তিনি এলেন? সেইসাথে কেন লালা রসের রিপোর্ট না থেকে রাজারহাট থেকে কেতুগ্রামে ফিরলেন তা ভাবিয়ে দিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ প্রশাসন কে। ইতিমধ্যেই ওই মহিলা কে দুর্গাপুরের বেসরকারি করোনা হাসপাতালে মঙ্গলবার সকালে ভর্তি করানো হয়েছে। সেইসাথে করোনায় আক্রান্ত এই মহিলার সংপর্শে আসা ৩ জন পারিবারিক সদস্য কে বর্ধমান সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে চিকিৎসার জন্য। এর বাইরে ওই মহিলার সংস্পর্শে আর কারা কারা এসেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেইসাথে গত সোমবার রাতেই কেতুগ্রামের পালিটা অঞ্চলে রতনপুর গ্রামে বাঁশের ব্যারিকেড গড়ে দিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। গ্রামবাসীদের ২১ দিন গ্রামের বাইরে যেতে বারণ করা হয়েছে। ৩ বর্গ কিলোমিটার বাঁশের এই ব্যারিকেডে পুলিশি কড়া নজরদারির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। খন্ডঘোষ - সদর বর্ধমান - মেমারির পর কেতুগ্রামে করোনা পজিটিভ দেখা যাওয়ায় গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলাজুড়ে চাপা আতঙ্ক দেখা গেছে।
কলকাতা পুর প্রশাসকমন্ডলীর মেয়াদকাল বৃদ্ধি হাইকোর্টের
মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)
মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ কলকাতা পুরসভার মেয়াদ বাড়িয়ে দিলো। সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় কে বহাল রেখে মেয়াদ ৮ জুন থেকে ২০ জুলাই অবধি বহাল রাখলো কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এরমধ্যে দুপক্ষকেই হলফনামা পেশের নির্দেশ দেওয়া রয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ২০ জুলাই। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় কে বহাল রেখেও কলকাতা পুরসভার এহেন মেয়াদবৃদ্ধির সাংবিধানিক বৈধতা এবং আইনী যৌক্তিকতা নিয়ে পরবর্তী শুনানিতে বিচার হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এই নির্দেশ বলে ডিভিশন বেঞ্চ আদেশনামায় উল্লেখ রেখেছে। ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়ে স্বস্তিতে রাজ্য।মহামারী পরিস্থিতিতে জনপরিষেবা সচল রাখতে রাজ্য সরকার সংবিধানের ১৫৪ ধারা ব্যবহার করে এই প্রশাসক মন্ডলী নিয়োগ করে। উল্লেখ্য, গত ৭ মে কলকাতা পুরসভার জনপ্রতিনিধিদের মেয়াদ শেষ হয়৷ তার আগের দিন অর্থাৎ ৬ মে রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর এক বিজ্ঞপ্তি জারী করে কলকাতা পুরসভা পরিচালনার জন্য এক প্রশাসক মন্ডলী গঠন করে। মেয়াদ উত্তীর্ণ এই প্রশাসক মন্ডলী নিয়োগ অবৈধ দাবি করে উত্তর কলকাতার বাসিন্দা শরদ সিংহ নামে এক ব্যক্তি কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের সিঙ্গেল বেঞ্চ আপদকালীন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে জনপরিষেবা সচল রাখতে রাজ্য সরকারের এহেন প্রশাসক মন্ডলী কে কেয়ারটেকার হিসাবে ৮ জুন অবধি কাজ চালিয়ে যেতে নির্দেশ দেয়। তবে এই প্রশাসক মন্ডলীর সাংবিধানিক বৈধতা এবং আইনী যৌক্তিকতা ঠিক না বেঠিক তা পরবর্তী শুনানিতে বিচার হবে বলে জানিয়েও দেয়। সিঙ্গেল বেঞ্চের এহেন নির্দেশের বিরুদ্ধে মামলাকারী সংবিধানের ১৪, ১৯ এবং ২১ নং ধারায় মেয়াদ উত্তীর্ণ জনপ্রতিনিধিদের প্রশাসক মন্ডলী নিয়োগ অবৈধ দাবি করে ফের দারস্থ হন৷ কিভাবে পুরমন্ত্রী নিজে নিয়োগ করে প্রশাসকমন্ডলীর প্রধান হন তা ক্ষমতার অপব্যবহার দাবি করে দারস্থ হন মামলাকারী। মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি তীর্থংকর ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চে ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি চলে। সেখানে দুপক্ষের বক্তব্য দেখে ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় কে বহাল রেখে কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর মেয়াদ ৮ জুন থেকে বাড়িয়ে ২০ জুলাই অবধি বহাল রাখলো। মূলত করোনা মহামারী পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এই নির্দেশ বলে জানা গেছে। তবে প্রশাসক মন্ডলীর সাংবিধানিক বৈধতা এবং আইনী যৌক্তিকতা নিয়ে পরবর্তী শুনানিতে বিচার হবে বলেও জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ২০ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে । দুপক্ষকে এই তারিখের মধ্যে নিজেদের বক্তব্য হলফনামায় জমা দিতে হবে।
বোরোধান চাষের ক্ষতিপূরণ চেয়ে দেশপ্রাণ ব্লকে ডেপুটেশন
জুলফিকার আলি
পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে বিক্ষোভে পূর্ব মেদনীপুর বিজেপি
জুলফিকার আলি
গুসকারা পুরসভার ১ এবং ২ নং ওয়ার্ডে খাদ্য সামগ্রী বিলিতে 'গিভস'
জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি
পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা পৌরসভার ১ ও ২ নং ওয়ার্ডের রূপ কুমার মণ্ডল, উৎপল দে, দেবাশিষ সরকার,সজল দে, নির্মল মণ্ডল সহ জনাদশেক যুবকের উদ্যোগে আউসগ্রাম বিধানসভার বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডার এবং গুসকরা শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কুশল মুখার্জ্জী ১২ ই মে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ২৫ জন দুস্থ মানুষের হাতে ২ কেজি চাল,২ কেজি আলু ও ১.৫ কেজি গম তুলে দেন।বিপদের সময় এইসব ত্রাণ সামগ্রী পেয়ে গোপাল বিশ্বাস,সুব্রত সরকার,রাশি দেরা খুব খুশি।
পরে কুশল বাবু বলেন - তিনি বা বিধায়ক একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি হলেও এলাকাবাসী হিসেবে এই অরাজনৈতিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। উদ্যোক্তা যুবকরা তার পূর্ব পরিচিত। তাই তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে আমি এখানে এসেছি।গুসকরাবাসী হিসেবে আমি এদের জন্য গর্বিত।
একই সুর শোনা গেল বিধায়কের কণ্ঠে।নিজের বিধানসভা এলাকার যুবকদের উদ্যোগ দেখে তিনি মুগ্ধ।ভবিষ্যতেও তিনি এদের পাশে দাঁড়ানোর এবং সম্পূর্ণ সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
'গিভস' নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য রূপ কুমার মণ্ডল বললেন - লকডাউনের জন্য কাজ বন্ধ থাকায় আমাদের এলাকার বেশ কিছু মানুষের অবস্থা খুবই খারাপ। তারা যাতে অভুক্ত না থাকে তারজন্য আমাদের সাধ্যানুযায়ী সামান্য কিছু জিনিস সংগ্রহ করে তাদের হাতে আমরা তুলে দিয়েছি। তিনি আরও বললেন - শহর সভাপতি হওয়ার অনেক আগে থেকেই কুশল বাবু বারবার আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আবার বিধায়কও যে এই অরাজনৈতিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সেটা আমাদের কল্পনাতীত ছিল। আমরা দুজনের কাছেই কৃতজ্ঞ।
শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ সেবা সমিতির ত্রাণ বিলি
শ্যামল রায়
তৃতীয় দফায় চলছে লকডাউন। লকডাউন এর জেরে বহু মানুষ অভাবের মধ্যে পড়েছেন। এই সকল গরীব অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছে শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ সেবা সমিতি। মঙ্গলবার শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ সেবা সমিতির উদ্যোগে নবদ্বীপ ক্ষৌরকার্য কাজে যুক্ত গরিবদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেয়া হয়। মঙ্গলবার সেবা সমিতির সম্পাদক সন্দ্বীপ পাল জানিয়েছেন যে নবদ্দীপ বাসস্ট্যান্ডে ১০৬ টি পরিবারের হাতে খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেট তুলে দেয়া হয়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গরিবদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। আরো যারা গিয়েছে যে শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ সেবা সমিতি লকডাউন চলাকালীন ইটভাটার শ্রমিক দের সাহায্য করতে প্যান্ডেল শ্রমিকদের সাহায্য করতে এবং ট্রেনে যারা হকারি করে জীবনযাপন করেন তাদের পাশাপাশি নবদ্বীপ বাসস্ট্যান্ডে বাস শ্রমিকদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছেন। আগামী দিন আরো সামাজিক কাজে যুক্ত থেকে গরিবদের সাহায্য করতে এগিয়ে যাবেন জানিয়েছেন সমিতির সদস্যরা।
সোমবার, মে ১১, ২০২০
হরিপালে এম্বুল্যান্স চালকদের পিপিই কিট বিলি
সুভাষ মজুমদার
মেচেদা মাতঙ্গিনী গেস্ট হাউসে রক্তদান শিবির
জুলফিকার আলি
তমলুকে বিশ্বকবি স্মরণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
জুলফিকার আলি
শিশুদের পুস্টিকর খাদ্য সামগ্রী বিলিতে প্রগতি
শ্যামল রায়
পূর্বস্থলী ১ নং ব্লকে শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় শিশুদের মধ্যে পুষ্টিকর খাবার বিতরণ করল স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রগতি । শনিবার প্রগতির সদস্যরা জানান - " তিন শতাধিক শিশুকে বিস্কুট কলা ও ডিম বিতরণ করা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রত্যেক বাড়িতে গিয়ে শিশুদের হাতে এই ধরনের খাবারের প্যাকেট তুলে দেওয়া হয় "।
শুক্রবার, মে ০৮, ২০২০
নেটিজেন বিদ্যাসাগর পল্লীর তরফে কাটোয়ায় ত্রাণ বিলি
সুকান্ত ঘোষ
কাটোয়া "নেটিজেন বিদ্যাসাগর পল্লী" গ্রুপের উদ্যোগে ০৬.০৫.২০২০ তারিখে বাড়ি বাড়ি ও ০৭.০৫,২০২০ তারিখে কোভিড-১৯ উপলক্ষ্যে লকডাউন চলাকালীন অবস্থায় কর্মহীন জনিত কারণে অার্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের সাহায্য করতে কাউন্টারের মাধ্যমে কাটোয়া বিদ্যাসাগর পল্লীর দুঃস্থ মানুষ, রিকশাচালক. পরিচারিকা,বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের প্রায় ১৫০ টি পরিবারের প্রতিনিধির হাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও শুকনো খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়৷
কাটোয়া নেটিজেন গ্রুপ বিদ্যাসাগর পল্লীর পক্ষে সদস্যবৃন্দ। ছিলেন কামাল হোসেন, সেখ নুরুল হাসান প্রমুখ।
বৃহস্পতিবার, মে ০৭, ২০২০
মেমারিতে ত্রাণ পাঠালেন সাংসদ সুনীল মন্ডল
সেখ সামসুদ্দিন
ননস্টপ চেকিং চলছে কোলাঘাটে
কোলাঘাট সেতুতে নাকা তল্লাশি। আজ লকডাউন এর 44 তম দিন। কোলাঘাট সেতুতে প্রত্যেকদিনই নাকা তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে। 45 জন পুলিশ কর্মী সিভিক ভলেন্টিয়ার এই দক্ষযজ্ঞে শামিল হয়েছে। তিনটে শিফটে কাজ চলছে। নাকা তল্লাশিতে দায়িত্বভার সামলাচ্ছেন যথাক্রমে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর বিপ্লব মণ্ডল ও ট্রাফিক এ এস আই দিলিপ প্রামাণিক । ট্রাফিক ইনস্পেক্টর বিপ্লব মণ্ডল বলেন, আমরা 24 ঘণ্টাই নাকা তল্লাশিতে অব্যাহত রেখেছি। জেলায় যাতে কোন সংক্রমণ না ছড়াই তার জন্য এই ব্যবস্থা। নাকা তল্লাশি সব সময় চলবে।
অকারণে বাইরে বের হলে আটক করছে বর্ধমান পুলিশ
সুরজ প্রসাদ
মেঘলা দিনে - স্বপ্না ব্যানার্জি
মেঘলা দিনে(হাইকু)
স্বপ্না ব্যানার্জি
মেঘলা দিনে
মেঘলা আকাশ যে
আমার মন,
মেঘলা দিনে
আলো-আঁধারির
সবুজ ক্ষণ,
মেঘলা দিনে
গভীর রাতে হেঁটে
আসবে তুমি,
মেঘলা দিনে
প্রকৃতি দীর্ঘশ্বাসে
গাইবে জানি,
মেঘলা দিনে
ভাবনার সমুদ্রে
হাঁটবে শুধু,
মেঘলা দিনে
চঞ্চল পায়ে তুমি
আসবে তবু,
মেঘলা দিনে
বাতাসের বুকে
উঠবে ঝড়,
মেঘলা দিনে
আপন করো মোরে
আমি তোমার,
মেঘলা দিনে
ভিজবো তুমি আমি
বৃষ্টি ছোঁয়ায়,
মেঘলা দিনে
অন্তর ছোঁরে ভালো
লাগার ধোঁয়া,
মেঘলা দিনে
একটা জলছবি
আঁকবে তুমি,
মেঘলা দিনে
বন্ধু হয়ে এসো গো
অন্তর যামী,
মেঘলা দিনে
বাতাসের বুকে যে
উঠবে ঢেউ
মেঘলা দিনে
ভালোবাসা জীবনে
আসবে কেউ !
ভাতারের বামুনারায় খাদ্য সামগ্রী বিলি
আমিরুল ইসলাম
ভাতারে বামুনারা অঞ্চল তৃনমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাজিপুর গ্রামে 300 পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হলো খাদ্য সামগ্রী।
পূর্ব বর্ধমান ভাতারে বামুনারা অঞ্চল তৃনমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাজিপুর গ্রামে প্রায় 300 টি দুস্থ পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হলো খাদ্য সামগ্রী ।
বর্তমানে করোনা ভাইরাসের জেরে গোটা বিশ্ব আতঙ্কিত। কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ।
সেই সমস্ত মানুষদের কথা চিন্তা করে আজ চাল-ডাল, সোয়াবিন, আলু ও সাবান, বিভিন্ন রকম সবজি দেয়া হলো। ভাতারে বামুনারা অঞ্চল তৃনমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে খুশি এলাকার মানুষ ।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বামুনারা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মল্লিকা সাঁতরা, উপপ্রধান মনোয়ার ইসলাম সহ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী বৃন্দ।
বামুনারা অঞ্চলের তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী শেখ ডালিম জানান, এই সময় মানুষ কাজ হারিয়েছে ।তাই তাদের কথা চিন্তা করে আমরা সামান্য কিছু খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলাম। আগামীতেও আমরা মানুষের পাশে থাকব।
গলসি তৃণমূলের পাশে আছি বার্তায় খুশি শ্রমিকরা
জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি
কিছু বুঝে ওঠার আগে মাত্র চার ঘণ্টার নোটিশে লকডাউন ঘোষণায় সবচেয়ে সমস্যায় পড়ে অন্য রাজ্যে বা দূরের গ্রামে কাজ করতে যাওয়া 'দিন আনি দিন খাওয়া' গরীব মানুষগুলি।বিভিন্ন সময়ে পার্শ্ববর্তী বিহার ও ঝাড়খণ্ড রাজ্য থেকে অনেক গরীব মানুষ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় পেটের দায়ে কাজ করতে যায়। এদিকে লকডাউনের জন্য কাজ বন্ধ। জমানো টাকাও শেষ।লকডাউন কবে উঠবে, কখনই বা কাজ শুরু হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নাই।ফলে বাড়ি ফেরার জন্য তারা মরিয়া হয়ে ওঠে। বাস বন্ধ।অতএব হেঁটেই তারা বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেয়।অধিকাংশকে পূর্ব বর্ধমানের গলসীর লোয়াপুর-কৃষ্ণরামপুর অঞ্চলের কৃষ্ণরামপুর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা ডি.ভি.সির ক্যানাল রাস্তা দিয়ে যেতে হয়।বাড়ি ফেরার পথে এইসব মানুষরা যাতে অভুক্ত না থাকে তার জন্য কয়েকদিন আগে বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা গলসী ১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি জাকির হোসেনের উদ্যোগে কৃষ্ণরামপুর গ্রামে চালু হয় 'পাশে আছি' পরিষেবা।
এই সংস্থা গত ৬ ই মে বিহারের ছাপড়া জেলার উদ্দেশ্যে পায়ে হেঁটে যাত্রা করা ২৫ জন অসহায় মানুষের মুখে একমুঠো অন্ন তুলে দেয়। জাকির হোসেন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গলসী ১ নং ব্লকের জয় হিন্দ বাহিনীর ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার বাউরী সহ কৃষ্ণরামপুর গ্রামের তৃণমূলের কয়েকজন নেতা-কর্মী। দীর্ঘ চলার পথে ক্লান্ত ও নিঃস্ব মানুষগুলি একমুঠো খাবার পেয়ে খুব খুশি।
জাকির বাবু বলেন - আমাদের দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জ্জীর নির্দেশ মেনে লকডাউনের পর থেকে এই রাস্তা ধরে হেঁটে যাওয়া বহু মানুষকেই আমরা সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। এই মানুষগুলি চলার পথে যাতে অভুক্ত না থাকে তারজন্য আমরা দলের পক্ষ থেকে 'পাশে আছি' পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। দলীয় কর্মীরা সবসমই সেখানে থাকে।
বুধবার, মে ০৬, ২০২০
বোরোধান চাষের ক্ষতিপূরণ সহ বিভিন্ন দাবিতে স্মারকলিপি
জুলফিকার আলি
আজকের কালবৈশাখী ঝড় ও সাম্প্রতিক নিম্নচাপ জনিত বৃষ্টির কারণে চলতি বোরো মরশুমে পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।ঐ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ, বীমা কোম্পানী কর্তৃক বীমার টাকা প্রদান, সরকারী সহায়ক মূল্যে গ্রাম পঞ্চায়েতে শিবির করে ধান ক্রয়, আগামী আমন মরশুমের জন্য বিনামূল্যে বীজ- সার- কীটনাশক সরবরাহ, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু এবং ওই প্রকল্পে পাকা ধান কাটার কাজকে যুক্ত করা প্রভৃতি একগুচ্ছ দাবিতে অল ইন্ডিয়া কিষান ও ক্ষেতমজদুর সংগঠনের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রীর নিকট ই. মেলে এক স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক পঞ্চানন প্রধান বলেন,লকডাউন পরিস্হিতিতে কৃষকেরা এক অসহনীয় অবস্থার মধ্যে দিন গুজরান করছে। সেই প্রেক্ষিতে আজকের এই স্মারকলিপি পেশ।
অন্যদিকে ঐ একই দাবীতে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসক, বিভিন্ন ব্লকের বিডিও/এডিও/ খাদ্য দপ্তরের পরিদর্শকের কাছে ডেপুটেশন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
রেললাইন ধরে আসতে গিয়ে কাঁথিতে আটক বীরভূমের ৯ শ্রমিক
জুলফিকার আলি
রেললাইন ধরে হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে কাঁথি স্টেশনে আটক ৯ শ্রমিক
বীরভূমের ৯জন শ্রমিক কাঁথি স্টেশনে আটক . দিঘাতে রাজমিস্ত্রি কাজ করতে আসা লকডাউনের কারণে সেখানেই আটকে পড়েন তাঁরা । তাই তারা রেল লাইনের উপর হেঁটেই বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন । কিন্তু মাঝপথেই তাঁদের আটকে দিল রেল পুলিশ ।
কাঁথি ৬ মে : রেল লাইনের উপর হেঁটেই বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেছিলেন ভিন জেলার ৯ জন নির্মাণ শ্রমিক । কিন্তু,কাঁথি রেলস্টেশনের উপর দিয়ে যাওয়া দেখে রেল পুলিশের সন্দেহ হয় । জিজ্ঞাসা করতেই জানা যায়, দিঘা থেকে তাঁরা বীরভূমের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন । সেখানেই রেল পুলিশ তাঁদের আটকে কাঁথি থানায় খবর দেয় দেয় । কাঁথি থানার পুলিশ এসে তাদের নিয়ে যায় কাঁথি থানা তে l শ্রমিকদের পরিচয় নথিভুক্ত করেন কাঁথি থানার পুলিশকর্মীরা । ফের তাঁদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় কর্মস্থানে ।
বীরভূমের ওই ৯ জন শ্রমিক পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘা তে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন । কিন্তু, লকডাউনের কারণে তাদের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে । রোজগার নেই । কন্টাকটার ও তাদের দেনা-পাওনা দিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন ছেড়ে দিয়েছেন l এর ফলে আধপেটা খেয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন । ভেবেছিলেন, দ্বিতীয় দফার লকডাউন উঠলে প্রশাসনের সহযোগিতায় বাড়ি ফিরবেন । কিন্তু, লকডাউনের মেয়াদ আরও দু'সপ্তাহ বেড়ে যাওয়ায় তাই পায়ে হেঁটে দীঘা থেকে রওনা দিয়েছিলেন রেললাইন ধরে । কিন্তু থেকে 35 কিলোমিটার পায়ে হেঁটে কাঁথি স্টেশনের কাছে এসেই রেল পুলিশের হাতে ধরা দিলেন l সেই সময় কাঁথি স্টেশনে কাছে তাঁদের আটকান কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা । সঙ্গে ব্যাগ দেখে সন্দেহ হয় তাঁদের । জিজ্ঞাসা করতেই বাড়ি ফেরার কথা জানান তাঁরা ।এক শ্রমিক বলেন, "লকডাউনের জেরে প্রায় দেড় মাস ধরে আমরা দিঘাতে আটকে রয়েছি । খুব কষ্টের মধ্যে রয়েছি । হাতে না আছে টাকা না আছে কাজ । এই অবস্থায় বাড়ি ফেরার জন্য প্রশাসনের কাছে বহুবার আবেদন জানিয়েছিলাম । কিন্তু, কোনও কাজ হয়নি । এরই মধ্যে আবার লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে । তাই নিরুপায় হয়ে বাড়ি ফেরার জন্য রেললাইন ধরে রওনা হয়েছিলাম । কিন্তুরেল রেল পুলিশ কাঁথি স্টেশনে আটকে দিল । এখানে না খেতে পেয়ে মরার চেয়ে বাড়ি ফেরা অনেক ভালো ।" কাঁথি থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভিন জেলার ওই শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে ।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
OLD POSTED
আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
মোল্লা জসিমউদ্দিন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER
-
বাকুঁড়ার কোতলপুর ব্লক তৃনমূল কমিটির পরিচালনায় বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদসভা হয়।উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শ্যামল সাতঁরা, সাংসদ সৌমিত্র খান, জেলা স...