মঙ্গলবার, জুন ২০, ২০১৭

সকাল থেকে শুরু হয়েছে প্রচণ্ড বৃষ্টি


গ্রামীন ডাক্তারদের সেমিনার হলো মঙ্গলকোটে।



 মোল্লা জসিমউদ্দিন

ফের অশান্ত মঙ্গলকোট গতকাল রাতে ব্লক তৃণমূল সভাপতি অপুর্ব চৌধুরীর অনুগামী ডালিম সেখ খুন হন।অভিযোগের তীর বিধায়ক শিবিরের দিকে।অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে তপ্ত মঙ্গলকোট।পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় টিকিট বিলি নিয়ে এই রাহাজানি বাড়বে বলে আশংকা


পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রয়াত অধ্যক্ষ মহারাজের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হল বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠের গঙ্গাতীরে

হাওড়া: পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রয়াত অধ্যক্ষ মহারাজের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হল বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠের গঙ্গাতীরে। সোমবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিট নাগাদ শুরু হয় অন্ত্যেষ্টির কাজ। প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই ভক্তদের ঢ্ল নামে বেলুড় মঠে। এর আগে দেহ নিয়ে মঠের বিভিন্ন মন্দির পরিক্রমা করা হয়।  বাসভবনেও আনা হয় মহারাজের দেহ। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে গান স্যালুট দেওয়া হয়। এদিন রাত ৮-১০ নাগাগ কালচারাল হল থেকে শেষযত্রা শুরু হয়। এরপর রামকৃষ্ণদেবের মন্দিরের সামনে আনা হয় দেহ। ৮-২৫ থেকে ৯টা পর্যন্ত মঠ প্রাঙ্গনে দেহ শায়িত রাখা হয়। এরপর ব্রহ্মানন্দ মন্দিরে আনা হয় তার দেহ। এরপর  মায়ের ঘাটে স্নান করানো হয়। এখান থেকে স্বামী বিবেকান্দের মন্দিরে দেহ আনা হয়। এরপর গঙ্গাতীরে তাঁর শেষকৃত্য-র কাজ শুরু হয়। প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করেই লাখো ভক্ত শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন মঠের সমস্ত প্রবীণ সন্ন্যাসীগণ। রাজ্য সরকারের তরফে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম। রবিবার রাতে রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রয়াত মহারাজের দেহ প্রথমে বেলুড় মঠে আনা হয়। ভক্তদের দর্শনের জন্য মঠের প্রধান ফটক সারারাত খোলা রাখা হয়েছিল। রাত থেকেই ভক্তরা সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে একে একে মহারাজকে অন্তিম শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্বেতপদ্ম, ফুল, মালা দিয়ে ভক্তেরা অন্তিম শ্রদ্ধা জানান প্রিয় মহারাজকে। সোমবার রাত পর্যন্ত সেই দেহ সকলের দর্শনের জন্য শায়িত রাখা হবে। প্রয়াত স্বামী আত্মস্থানন্দজি মহারাজকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এদিন বেলুড় মঠ প্রাঙ্গনে লাখো ভক্তের সমাগম ঘটে। পুষ্পস্তবক দিয়ে চোখের জলে প্রিয় মহারাজকে শ্রদ্ধা জানান তাঁর অগণিত ভক্ত অনুরাগীরা। প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে দেশ বিদেশের অসংখ্য অনুরাগীও মহারাজের প্রয়াণে শোকবার্তা দেন। গুরুতর অসুস্থতার খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী রবিবারই রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে ছুটে যান। প্রয়াণের খবর পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজে ফোন করে মঠের মহারাজদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রধানম্নত্রীর দপ্তর থেকেও ফোন করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী ট্যুইটে শোকজ্ঞাপন করে বার্তা দেন। রবিবার রাতের পর সোমবার সকাল থেকে ভক্তদের ঢ্ল নামে বেলুড় মঠে। প্রয়াত মঠের অধ্যক্ষ মহারাজকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন সবাই। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পুষ্পস্তবক পাঠানো হয়। সকালে মঠে এসে একে একে শ্রদ্ধা জানিয়ে যান মন্ত্রী অরূপ রায়, সাংসদ মুকুল রায়, হাওড়ার জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্ত্তী, ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায়, মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, লক্ষ্মীরতন শুক্লা, পুলিশ কমিশনার ডি.পি.সিং, সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে পুষ্পস্তবক দেন মন্ত্রী অরূপ রায়। উল্লেখ্য, রবিবার বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে প্রয়াত হন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের পঞ্চদশ অধ্যক্ষ স্বামী আত্মস্থানন্দজী। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ২ দিন ভেন্টিলেশনে ছিলেন তিনি। তাঁর চিকিৎসা চলছিল কলকাতায় রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে। গত ২০১৫ র ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই তিনি এখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত বুধবার আত্মস্থানন্দজির স্টেন্ট বদল করা হয়েছিল। এর একদিন পর থেকেই তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি চিকিৎসাতেও সাড়া দিচ্ছিলেন না। শুক্রবার থেকে অসুস্থতা আরও বেড়ে গিয়েছিল। রক্তচাপজনিত সমস্যার সঙ্গে শুরু হয়েছিল শ্বাসকষ্ট। ডায়ালিসিস করার চেষ্টাও ব্যর্থ হয়। শেষপর্যন্ত রবিবার তাঁর জীবনাবসান হয়। স্বামী আত্মস্থানন্দ মহারাজ ১৯১৯ সালে ২১ মে জন্ম নিয়েছিলেন অধুনা বাংলাদেশের সাহাবাজপুরে। দেড় দশক পর ১৯৩৮ সালে স্বামী বিরজানন্দ মজারাজের সান্নিধ্যে মন্ত্র দীক্ষা গ্রহণ করেন তিনি। ঠিক তার তিন বছরের মাথায় ১৯৪১ সালের ৩ জানুয়ারি মাত্র ২২ বছর বয়সে তিনি মঠে যোগদান করেন। ১৯৪৭ সালে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন। নাম হয় স্বামী আত্মস্থানন্দ। ২০০৭ সালের ৩ ডিসেম্বর মঠের পঞ্চদশ অধ্যক্ষ নির্বাচিত হন।

সংক্ষিপ্ত জীবনপঞ্জী:

রামকৃষ্ণ মঠ এবং রামকৃষ্ণ মিশনের সভাপতি স্বামী আত্মস্থানন্দজী মহারাজ ঢাকার কাছে সাবাজপুরে ১৯১৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৩৮ সালে স্বামী বিজনানন্দজি মহারাজের কাছে দীক্ষাগ্রহণ করেন। ১৯৪১ সালের ৩ জানুয়ারি তিনি বেলুড় মঠে ২২ বছর বয়েসে যোগ দেন। ১৯৪৫ সালে মঠের সভাপতি স্বামী বীরাজানন্দজী মহারাজের আদেশ অনুযায়ী ব্রহ্মচর্য ব্রত পালন করতে শুরু করেন। ১৯৪৯ সালে তিনি সন্যাস ধর্ম গ্রহণ করেন এবং নাম হয় আত্মস্থানন্দ। এরপর তিনি বেলুড় মঠ এবং দেওঘর বিদ্যাপিঠ এবং তার শাখা মায়াবতী অদ্বৈত আশ্রমে দীর্ঘদিন ধরে সেবাকার্য করে গেছেন। তিনি বহু বছর নির্জন  হিমালয়ের সিমলার তালে কাটিয়েছেন।১৯৫২ সালে তিনি রাঁচিরর টিবি স্যানেটরিয়াম ব্রাঞ্চে এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৫৮ সালে সেক্রেটারি হিসেবে তাঁকে রেঙ্গুন সেবাশ্রমে পাঠান হয়। সেখানে তিনি সেই সেবাশ্রমকে আধুনিক করেন এবং খুব তাড়াতাড়ি তা সেই সময় সেরা হাসপাতাল রূপে পরিগণিত হয়েছিল। ১৯৫৬ সালে যখন রেঙ্গুনে সামরিক শাসন শুরু হল, তিনি ভারতে ফিরে এলেন। ১৯৬৬ সালে রাজকোট ব্রাঞ্চের দায়িত্ব দিয়ে পাঠান হয়। তাঁরই উদ্যোগে রাজকোট আশ্রমে রামকৃষ্ণের সুন্দর মন্দির তৈরি হয়। ১৯৭৩ সালে তিনি রামকৃষ্ণ মিশনের গভর্নিং বডির সদস্য এবং রামকৃষ্ণ মঠের ট্রাস্টি হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে দুই সংস্থার এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হন। তাঁকে মঠ এবং মিশনের রিলিফ অপারেশনের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। তার নেতৃত্ব ভারত, বাংলাদেশএবং নেপালের বিভিন্ন জায়গায় রিলিফ এবং পুনর্বাসনের কাজ করেছেন।১৯৯২তে তিনি মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক হন। পাঁচ বছর তিনি ওই পদে ছিলেন। ১৯৯৭ সালে তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট হন। এই সময়ে তিনি দেশের অনেক শাখাগুলিতে যান। ১৯৯৮তে তিনি আমেরিকা, কানাডা, জাপান, এবং সিঙ্গাপুরএর অনেক জায়গায় তিনি গিয়েছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে তিনি মালয়েশিয়া, ফিজি, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশে গিয়েছিলেন। এই সকল জায়গায় তিনি শ্রীরামকৃষ্ণ, শ্রীসারদাদেবী, স্বামী বিবেকানন্দ এবং বেদান্তকে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। ভক্তদের দিয়েছিলেন মন্ত্র দীক্ষা। স্বামী আত্মস্থানন্দজী মহারাজ ২০০৭ এর ৩ ডিসেম্বর থেকে রামকৃষ্ণ মঠ এবং রামকৃষ্ণ মিশনের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি মিশন ও মঠের ১৫ তম প্রেসিডেন্ট।

সম্প্রতি ভগবানগোলা মেডিকেল ইন্সটিউটের উদ্বোধন করেন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী....


যাত্রীদের উদ্দেশ্যে চা, ডিম, চপ বিক্রি করে শেষ রাতে বাড়ী ফিরে নিজেরা আধপেটা খেয়ে থাকেন হকাররা

নিজস্ব সংবাদদাতা, আদ্রাঃ- রোজ সকাল থেকে রাত মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, নিজের জীবনকে বাজী রেখে ট্রেনে ট্রেনে ঘুরে বেড়িয়ে যাত্রীদের উদ্দেশ্যে চা, ডিম, চপ বিক্রি করে শেষ রাতে বাড়ী ফিরে নিজেরা আধপেটা খেয়ে থাকেন হকাররা ।
গত দেড় মাস আগে থেকে কর্মহারা হয়ে বসে আছেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের হকাররা। এমনই এক হকার প্রশান্ত দাস জানান, R.P.F ওসি আর.কে. সিনহা তাদের আশ্বাস দেন তাদের কাজ আবার ২-৩ দিনের মধ্যে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন । কিন্তু দেড় মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরেও তারা এখনও কাজ ফিরে পাননি । এদের মধ্যে কিছুজনের পরিচয়পত্র থাকার পরেও এরা এখনো কাজ চালিয়ে যেতে পারছেন না, ঠিকমতো দুবেলা জোটে না অন্ন ।  উপরন্তু ট্রেনে এদের R.P.F রা দেখতে পেলে এদের ওপর ফাইন করে ১২০০-১৩০০ টাকা । এদের মতো সুনীল মোদক, নিঙ্কু মিশ্র, সুনীল দাস ও এছাড়াও অনেক হকাররা কাজ হারিয়ে ভুগছে অনাহারে । এদের মধ্যে কেউ কেউ প্রায় ৪০বছর ধরে হকারি করছে কিন্তু কখনো তাদের কাজ যায়নি, কিন্তু আজ তাদের এই বিপদের সম্মুখীন হতে হয়েছে।
অপরদিকে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের রেল সূত্রে জানা যায়, কিছু ভেন্ডারের লাইসেন্স না থাকার কারণে এদের ট্রেনে যাত্রীদের অসুবিধার জন্যে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । আদ্রা R.P.F একটি ঘোষণার দ্বারা এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে ও কাজ বন্ধ করে দেয় ।                         

পুলিশ দিয়ে হিংস্বা দমন করা যায়না: রাহুল

মোল্লা জসিমউদ্দিন : সতবছর আগে পাহাড়ে শান্তি এনেছিলেন মমতা।এখন সেই পাহাড়ে অশান্তি ডেকে আনলেন সেই মমতায়।সম্প্রতি পাহাড়ে হিংস্বা হানাহানির জন্য দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী কে।সোমবার কাটোয়ায় ঝটিকাসফরে এসে এইভাবেই রাজ্যসরকার এবং শাসকদল কে বিঁধলেন বিজেপির প্রাত্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা।এদিন কাটোয়ার মুস্থোলী গ্রামে মাঝীপাড়ায় পথু মাঝীর বাড়ীতে দুপুরে আহার সারেন তিনি।এরপরে দাঁইহাটে দলের কর্মীসভায় যোগদান করেন রাহুল সিনহা।সাংবাদিকদের তিনি জানান - সাতবছর আগে পাহাড়ে মোর্চাদের সাথে আতাঁত করে শান্তি এনেছিলেন মমতা।সেইসময় বিমল গুরুঙ মমতা সম্পকে বলেছিলেন মমতা হলো পাহাড়ের মা।এখন সেই মমতাই দলের শ্রীবৃদ্ধির জন পুলিশ কে ব্যবহার করে মোর্চাকে জব্দ করার খেলায় নেমেছেন।পুলিশ দিয়ে হিংস্বা দমন করা যায়না।দরকার উভয় পক্ষে শান্তিপূর্ণ আলোচনা।রাহুল বাবু দলীয় শ্রীবৃদ্ধির নানা বিষয় তুলে ধরেন। 

বুধবার, মে ৩১, ২০১৭

কাটোয়া আদালত চত্বরে আক্রান্ত পুর কাউন্সিলারের স্ত্রী

মোল্লা জসিমউদ্দিন, মঙ্গলকোট, ৩০ মে: মঙ্গলবার দুপুরে কাটোয়া মহকুমা আদালত চত্বরে শাসক দলের দাপুটে কাউন্সিলারের স্ত্রী একদল দুস্কৃতিদের হাতে আক্রান্ত হওয়ায় তীব্র চাঞ্চল্য পড়েছে গোটা শহর জুড়ে।আদালত চত্বরে শুধু বিচারকদের এজলাস নয়, রয়েছে মহকুমাশাসকের অফিস। তাই এহেন সুনিরাপত্তা বেষ্টিত এলাকায় প্রকাশ্য এক মহিলা আক্রান্ত হওয়ায় পুলিশি ভুমিকা নিয়ে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন উঠেছে।স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে জেল হেফাজতে থাকা কাটোয়া পুরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার জঙল সেখ কে আজ পেশ করা হয় কাটোয়া মহকুমা আদালতে।পেশ করার সময় ( জিআরও থেকে এজলাস)  স্বামী কে দেখা করার উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন হানহারা বিবি।সেসময় জঙল সেখ বিরুদ্ধ গ্রুপের সুরহাত বদিন সেখের দলবল হানহারা বিবি কে শাঁসায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার কথা কাটোয়া থানায় জানিয়ে এসে পুনরায় আদালত চত্বরে এলে চুলের মুঠি ধরে ব্যাপক মারধোর চালায় বলে দাবি।এমনকি কানের দুল ছিঁড়ে নিলে রক্তপাতের ঘটনা ঘটতে দেখা যায়।অভিযুক্তেরা সেসময় বলে আক্রান্ত মহিলাটি কে থানায় জানিয়ে কিছুই হবেনা আমাদের।প্রসঙ্গত দিন দশ পুর্বে কাটোয়া শহরের কেশেপাড়ায় জঙল সেখের বাড়ীতে ছাদে হানা দিয়েছিল সুরহত সেখের দলবল।দরজা ভেঙে নিচে হানহারা বিবি(জঙল সেখের স্ত্রী) কে মারতে গেলে চিৎকার চেঁচামেচিতে এলাকার লোকজন চলে এলে চম্পট দেয় দুস্কৃতিরা।সেই ঘটনার কথা কাটোয়া থানায় জানানো হয়েছিল।আজ আবার কাটোয়া থানায় নালিশ জানানোর পর আদালত চত্বরে এলে আক্রান্ত হন পুর কাউন্সিলারের স্ত্রী।কাটোয়া থানার পুলিশের ভুমিকা নিয়ে তাই প্রশ্ন উঠছে।তবে আজকের আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি মহকুমাশাসক কে জানিয়েছেন আক্রান্ত মহিলা হানহারা বিবি।

মঙ্গলবার, মে ৩০, ২০১৭

পুরুলিয়ার বান্দোয়ান গার্লস হাই স্কুল

পুরুলিয়ার বান্দোয়ান গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী অনুপমা হাঁসদা  সাঁওতালী ভাষা তে ৮২ নম্বর পেয়ে রাজ্যে সাঁওতালী ভাষা বিষয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।

মদের দোকান বন্ধের আবেদন জানালেন মহিলা ও ছাত্রীরা

গ্রামে মদের দোকান নিমা'ন বন্ধের আবেদন জানিয়ে বি ডি ও এর কাছে আবেদন জানালেন ব ধ'মান গলসীর মথুরাপুর গ্রামের মেটে পাড়ার মহিলা ও ছাত্রীরা।

সোমবার, মে ২৯, ২০১৭

থানা ঘেরাও করল বিজেপি


 

১৮ ই মে পুরুলিয়ার বরাবাজারের বি.জে.পি কর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে ও পুলিশ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও থানা ঘেরাও করল বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। নেতৃত্বে ছিলেন জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী, পুরুলিয়া জেলা বিজেপি পর্যবেক্ষক গোপাল সরকার, জেলা সাধারণ সম্পাদক বিবেক রাঙ্গা সহ জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।


ভিজে বালির গাড়ী প্রতিনিয়ত যাতায়াতে মঙ্গলকোটের নুতনহাটের রাস্তার বেহাল দশা


ররীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী পালিত হল

কাটোয়ার জগদানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পরিচালনায় ররীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী পালিত হল ঘোড়ানাশ উচ্চ বিদ্যালয়ে।কাটোয়া২নংব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুব্রত মজুমদার,বিশিষ্ট সমাজসেবি গৌতম ঘোষাল।নৃত্য,সঙ্গীত ও আবৃত্তির মধ্য দিয়ে পালিত হল রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী।
গৌরনাথ চক্রবর্ত্তী,কাটোয়া।

শনিবার, মে ২৭, ২০১৭

মাধ্যমিক ২০১৭ পরীক্ষার ফলাফলে আল-আমীনের জয়জয়কার

সংবাদদাতা, হাওড়া: তিন দশক আগে পশ্চিমবাংলার হাওড়া জেলার উদয়নারায়নপুর থানার অন্তর্গত অচেনা খলতপুর গ্রামে গড়ে ওঠে আম-আমীন মিশন। পিছিয়ে পড়া সংখ্যালঘু সমাজে যুগোপযোগী শিক্ষা প্রসারের উদ্দেশ্যে মাত্র ১১ জন ছাত্র নিয়ে এর পথ চলা শুরু হয়। বর্তমানে রাজ্যের ৬৩ টি আবাসিক কেন্দ্রে প্রায় এগার হাজার ছাত্র-ছাত্রী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠরত। আজ ২৭ মে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে আল-আমীন মিশন অতীতের সমস্ত রেকর্ড অতিক্রম করল । এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১০ লক্ষ ৬১ হাজার ১২৩ জন। ছাত্র পরীক্ষাথী ৪ লক্ষ ৭৩ হাজার ৬৯ জন। এবং ছাত্রী ৫ লক্ষ ৮৭ হাজার ৬৪৯ জন।এ বার পাশের হার ৮৫.৬৫%।
১৯ টি শাখার ৭৪৪ জন ছাত্র ও ৮ টি শাখার ৩২৪ জন ছাত্রী অর্থাৎ মিশনের মোট ১০৬৮ জন পড়ুয়ার সবাই সফল হয়ে কীর্তিমান গড়ল। এর মধ্যে ৯০% বা তার বেশি নম্বর পেয়েছে ২২৭ জন, ৮০% বা তার বেশি পেয়েছে ৭৫৪ জন , ৭০% বা তার বেশি নম্বর পেয়েছে ৯৯৯ জন, ৬০% বা তার বেশি পেয়ে পাশ করেছে ১০৫৩ জন।
মিশনের মধ্যে সর্বোচ্চ র্যাশঙ্ক করেছে দক্ষিন ২৪ পরগণার কাছিমারা গ্রামের  পাইকপাড়ি শাখার আব্দুল মালেক খান। রাজ্যস্তরে তার র্যােঙ্ক ১০ম ও প্রাপ্ত নম্বর ৬৮১। সে বাংলায় ৯০, ইংরেজিতে ৯২, গণিতে ৯৯, ভৌত বিজ্ঞানে ৯৮, জীবন বিজ্ঞানে ৯৮, ইতিহাসে ৯৮ ও ভূগোলে ৯৯ পেয়েছে। আল-আমীনের অর্থানুকূল্যে সামান্য এক অটো ড্রাইভারের সন্তানের এই সাফল্যে তাদের গ্রামে খুশীর হাওয়া।খুব মৃদুভাষী এই মেধাবী ছাত্রের ইচ্ছা ডাক্তার হয়ে গরীব মানুষের সেবা করা।
বাবা মা উভয়েই উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ, বাবা কারখানার শ্রমিক, মা গৃহবধূ--এরকম পরিবারের একমাত্র ছেলে আফতাব আহমেদ রাজ্যস্তরে একাদশ হয়ে তার এলাকাকে গর্বিত করল।আল-আমীন মিশনের এই ছাত্রের প্রাপ্ত মোট নম্বর ৬৮০। গণিত ও ভূগোলে ১০০ পাওয়া এই মেধাবী ছাত্র বাংলায় ৯০, ইংরেজিতে ৯৯, ভৌত বিজ্ঞানে ৯৭, জীবন বিজ্ঞানে ৯৮ ও ইতিহাসে ৯৬ পেয়েছে। ফুটবল খেলা ভক্ত এই তরুণটির জন্ম বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার চাকটা গ্রামে। একেবারে নিম্নবিত্ত পরিবারের এই মেধাবীর ইচ্ছা দেশের সেরা আই আই টি -তে পড়ে ইঞ্জিনীয়ার হওয়া। মিশনের সেক্রেটারি এম নুরুল ইসলাম ও শিক্ষকদের অনুপ্রেরণা ও পড়ানোই তার সাফল্যের মুল কারণ বলে জানায় সে।
মিশনে মেয়েদের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে রাজ্যস্ত্রে ১৭তম হয়েছে ধুলিয়ান শাখার মিস রুমানা। তার এই অদ্ভুত নাম নিয়ে জিজ্ঞাসা করে জানা গেল তার আব্বা পেশায় ইঞ্জিনীয়ার এক্রামুল হকের ইচ্ছা এটি । রুমানার বাড়ি মালদা জেলার দৌলতটোলা গ্রামে।গণিতে ১০০ পাওয়া রুমানা বাংলায় ৯৫, ইংরেজিতে ৯৬, ভৌত বিজ্ঞানে ৯১, জীবন বিজ্ঞানে ৯৮, ইতিহাসে ও ভূগোলে ৯৭ করে পেয়েছে। ভালো কার্ডিওলজিস্ট হয়ে গ্রামের মানুষদের ফ্রীতে চিকিৎসা করতে ইচ্ছুক এই মেধাবী ছাত্রী গল্পের বইয়ের খুবই ভক্ত।
গণিত ও ভৌত বিজ্ঞানে ১০০ করে , জীবন বিজ্ঞান ও ইতিহাসে ৯৬ করে, বাংলায় ৯১, ইংরেজিতে ৯০, ভুগোলে ৯৮ অর্থাৎ মোট ৬৭১ পেয়ে মিশনে মেয়েদের মধ্যে দ্বিতীয় হয়েছে দক্ষিন ২৪ পরগণার তেঘরিয়া গ্রামের তামান্না জামান।রাজ্যস্তরে তার স্থান ২০তম । ছোট ব্যবসা করেন তার বাবা গ্র্যাজুয়েট সেখ মইনুজ্জামান, মা গৃহবধূ।মেধাবী তামান্নার ইচ্ছা মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করার। মিশনের শিক্ষার পদ্ধতি ও সঙ্গে নৈতিকতার অনুশীলন তাকে এই সাফল্য দিয়েছে বলে সে জানায়।
মাধ্যমিকের এই ফলাফলে মিশনের আরও যারা ২০-র মধ্যে র্যিঙ্ক করেছে তারা হল, পাইকপাড়ি শাখার সাবির মণ্ডল ( রাজ্য র্যা ঙ্ক ১৩তম, প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৮), খলতপুর শাখার জাহিদ হাসান মোমিন ( রাজ্য র্যারঙ্ক ২০ তম , প্রাপ্ত নম্বর ৬৭১)।
মিশনের এই ফলে স্বভাবতই খুবই খুশী মিশনের কর্ণধার এম নুরুল ইসলাম। তিনি সফল পড়ুয়াদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, আল-আমীন মিশনের লক্ষ্যই হল পিছিয়ে পড়াদের শিক্ষায় উন্নয়ন। তিনি আরও বলেন , মিশনের অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীরাই একেবারে প্রান্তিক শ্রেণির এবং তাঁদের অনেকেই ফুল ফ্রী,হাফ ফ্রী এবং বিভিন্ন রকম ছাড় নিয়ে পড়ে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিঙয়ে উত্তীর্ণ ও পাঠরত মিশনের প্রাক্তনীর সংখ্যা প্রায় ৪০০০ জন। তিনি আশা প্রকাশ করেন সংখ্যালঘু সমাজের তরুণ তরুণীরা সমাজ, রাজ্য ও দেশের উন্নয়নে সবসময় নিয়োজিত থাকবে।

কাটোয়ার ঘোড়ানাশ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়

কাটোয়ার ঘোড়ানাশ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মাধ্যমিকে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে মিতালী দে।মিতালীর প্রাপ্ত নম্বর ৫৫৪।এবছর ৮৭ ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষা দিয়েছিল।৭০ জন ছাত্র-ছাত্রী পাশ করেছে বলে জানালেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় ঘোষ।
গৌরনাথ চক্রবর্ত্তী, কাটোয়া।                                            

বৃহস্পতিবার, মে ২৫, ২০১৭

পথচারীদের দাঁড় করিয়ে ঠান্ডা শরবৎ বিতরণ

শুভদীপ চৌধুরী,আদ্রা- প্রচন্ড গরমের জেরে আদ্রা ইয়ং মার্কেট সংলগ্ন এলাকার মডার্ণ ইলেক্ট্রনিক্সের দোকান মালিক কুলবীর সিংহ ও তার সহকর্মী এবং তার পরিবারের সকলে মিলে রাস্তায় পথচারীদের দাঁড় করিয়ে ঠান্ডা শরবৎ বিতরণ করে ও পথচারীদের পিপাসা মেটাবার উদ্যোগ নেন ।  কুলবীর বাবু জানান, তারা পথচারীদের এহেন জলপিপাসা মেটাতে পেরে অত্যন্ত খুশি । 

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER