শনিবার, আগস্ট ১৯, ২০১৭

ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ হলো একটি অনলাইন গেম যার উৎপত্তিস্থল ধরা হয় রাশিয়াকে।

•✓  ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ হলো একটি অনলাইন গেম যার উৎপত্তিস্থল ধরা হয় রাশিয়াকে।

•✓  গেমটি একটি অনলাইন গ্রুপের এডমিন নিয়ন্ত্রন করে। তাকে কিউরেটর বলা হয় । কিউরেটর অর্থাৎ যে Challenge দেয় ও Challenge সম্পূর্ণ করতে বাধ্য করায় ।

•✓  এই গেম যে তৈরি করেছিল সে গ্রেফতার হয়েছে ঠিকই; কিন্তু তার Copy বাজারে রয়ে গেছে, যা থেকে বিভিন্ন Criminal Minded মানুষ এখনও এই গেমকে জীবন্ত করে রেখেছে বিভিন্ন নামে ।
যেমন -
1) Blue Whale🐋
2) A Slient House
3) A Sea of Whales🐋
4) Wake me up at 4:20

•✓  পঞ্চাশটি ঝুঁকিপূর্ণ টাস্ক বা কাজের মাধ্যমে এই Game সম্পূর্ণ হয় । এডমিন খেলোয়াড়কে পঞ্চাশ দিনের জন্য পঞ্চাশটি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ দিয়ে থাকেন । খেলোয়াড়রা সেই সব টাস্ক সম্পন্ন করে এডমিনকে প্রমানস্বরূপ ছবি বা ভিডিও পাঠান বা নিজেদের সোস্যাল মিডিয়ায় সেসব পোস্ট করেন।

•✓  প্রথম প্রথম ছোটোখাটো Challenge এর সম্মুখীন হতে হয় গেমারদের । যেমন - গান শোনা, Horror Music শোনা, ভোর ৪:২০ (4:20)-তে ঘুম থেকে উঠা ও Horror Movie দেখা । এরপর ধীরে ধীরে Game ভয়ঙ্কর পরিণতির দিকে এগোতে থাকে । যেমন - নিজের হাত ব্লেড দিয়ে কেটে তিমি অঙ্কন । Challenge সম্পূর্ণ করার পর প্রমাণ স্বরূপ ছবি তুলে বা Video Record করে কিউরেটর এর কাছে প্রেরণ করা ।
সর্বশেষ অর্থাৎ পঞ্চাশতম টাস্ক বা চ্যালেঞ্জটি হলো আত্মহত্যা করার! অর্থাৎ, আত্মহত্যা করতে পারলেই খেলোয়াড় বিজয়ী!

•✓  এই খেলার নিয়ম খুব কঠিন । অনুসরণ করাও খুব জরুরি । এই খেলার আরেকটি দিক হলো, একবার খেলায় অংশগ্রহন করলে খেলা কোনোভাবেই বন্ধ করা যাবে না! এমনকি কেউ বন্ধ করলে তাকে অনবরত মৃত্যুর ভয় দেখানোর প্রমাণও মিলেছে সব ক্ষেত্রেই (অর্থাৎ এখনও পর্যন্ত যে ১৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে) । এই ভীতি প্রদর্শনকারী হলেন 'কিউরেটর' । তিনি গেমারকে ও তাঁর পরিবারকে মেরে ফেলার ভয় দেখান । তখন গেমার বাধ‍্য হয়, কিউরেটর এর কথা মেনে চলতে ।

•✓  Alternate Reality এর ওপর তৈরি এই Game. Virtual দুনিয়া ও আসল জগৎ মিলে এক Game. এখানে যে গেমার সে যা কিছু করে সব আসল জগৎ-এ অর্থাৎ বাস্তবে; কিন্তু গেমার এর কাজকর্ম - গেমারকে প্রমাণ করার জন্য Virtual দুনিয়াতে সম্পূর্ণ রূপে মিশে যেতে হয় । যে এসব করায় সে সামনে থাকেনা ঠিক, বাস্তবেও তাকে দেখা যায়না; কিন্তু এই কাজ করায় যে, সে Virtually এসব কাজ করায় । একে Alternate Reality বা অগমেন্টেড রিয়েলিটি বলে ।

•✓ এই গেমের জন্য এখনও যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের অধিকাংশ মেয়ে । সর্বমোট ১৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে । প্রত‍্যেকের বয়স ১৪ থেকে ১৭ বছর ।

•✓ এই গেম কোনোরুপ মজার নয়, সম্পূর্ণ বাস্তব । যারা বা যে সব টিনেজারস'রা বিষণ্নতায় ভোগে তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই খেলার সাথে যুক্ত হয়ে পড়েছে । এমন একটা গ্রুপ হলো - F57
সাধারণত Facebook & What's app এ অনেকেই অচেনা গ্রুপে ঢুকে পড়ে অনেকসময় । এই গ্রুপ বিভিন্ন নামে থাকতে পারে । সেইসব গ্রুপে বেশিরভাগ দুঃখমূলক পোস্ট হয় । তার মধ্যেই দেখা গেছে সেইসব গ্রুপে কোনো একজন Fake I'd থেকে মেসেজ করে - "I want to play Blue Whale Game"(সাধারণত যা হয়েছে ও খবর পাওয়া গেছে গোয়েন্দা দের রিপোর্টে)
তখন গ্রুপের অন‍্যান‍্য সদস‍্যরা মনে করে হয়তো সেটি বিশেষ কোনো মনোরঞ্জনকারী ও আনন্দদায়ক খেলা.... সেই ভেবে বাকিরাও সম্মতি দেয় যে তারাও এই খেলার সাথে যুক্ত হতে ইচ্ছুক । এভাবেই বিষন্নতায় (Depression) ভোগা কম বয়সী ছেলে-মেয়েরা এই খেলার সাথে জড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন স্থানে ও বিভিন্ন দেশে ।

•✓ প্রথম কথাবার্তায় কিউরেটর, গেমের সাথে সদ‍্য যুক্ত হওয়া ছেলে বা মেয়ের পরিচয় বিস্তারিতভাবে জেনে ফেলে । এমনভাবে কথার জালে ফেলে, যাতে তারা সব বলে দিতে বাধ্য হয়।

•✓  ইন্টারনেটে এমন এমন কাজ হয় যা হয়তো আমাদের অনেকের চিন্তার বাইরে । Internet কে সাধারণত তিনটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে । যথা-
1) Surface Web
2) Deep Web
3) Dark Web
তিনটি স্তরের বর্ণনা নিম্নে ----->
1) #Surface_Web > The Surface Web (also called the Visible Web, Indexed Web, Indexable Web or Lightnet) is that portion of the World Wide Web that is readily available to the general public and searchable with standard web search engines. [Surface Web - Facebook, Google, YouTube, Yahoo.]
2) #Deep_Web > Government, College, School, University এসবের কাজে ব‍্যবহার করা হয় ।
3) #Dark_Web > ডার্ক ওয়েব হল ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব উপাদান যা ডার্ক নেটে বিদ্যমান। আচ্ছাদিত নেটওয়ার্ক, যা পাবলিক ইন্টারনেট ব্যবহার করে কিন্তু এতে প্রবেশ করতে নির্দিষ্ট সফটওয়্যার, কনফিগারেশন বা অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। ডার্ক ওয়েব ডিপ ওয়েবের একটি অংশ মাত্র, সে অংশ সাধারন সার্চ ইঞ্জিন ইন্ডেক্স করতে পারে না। যদিও কখনও কখনও "ডিপ ওয়েব" শব্দটি ভুল করে ডার্ক ওয়েবকে বুঝাতে ব্যবহার করা হয়।
ডার্কনেট বিভিন্ন অবৈধ কার্যকলাপ যেমন অবৈধ বাণিজ্য, ফোরাম, পেডোপিলিসদের (একজন ব্যক্তি যিনি শিশুদের প্রতি যৌন আকৃষ্ট হন) জন্য মিডিয়া বিনিময় এবং সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতেও ব্যবহার করা হয়।
অপরাধমূলক কর্মকান্ডের জন্য এটি একটি সর্গ সরূপ আশ্রয়স্থল - মনে করা হয় ।

আর এই Dark Web এ আছে Red Rooms যেখানে মানুষ মারার Live Video দেখানো হয় । এটা দেখার জন্য কিছু হৃদয়হীন, খুনী, পাশবিক প্রবৃত্তির মানুষ  টাকা দেয় ও এই Live Video উপভোগ করে ।
Blue Whale 🐋 - A Challenge Game or A Suicide Game যাই বলা হোক না কেনো; টাকার জন্য এটি বিশেষ ভাবে তৈরি বলেই মনে করা হচ্ছে।

•✓  গেমটির নাম ব্লু হোয়েল কারণ --->  এর মজার একটি কারণ আছে। নীল তিমি’র একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে। জীবনের একটি পর্যায়ে নীল তিমি নিজেই চলে আসে সমুদ্র তীরে। ২০০৮ সালে ৫৫টি নীল তিমি একযোগে সমুদ্র সৈকতে চলে আসে। কিন্তু উদ্ধারকারীরা তাদেরকে সাগরে ফেরত পাঠালেও, তারা তীরের দিকে চলে আসে! আত্মহত্যাই যেন তাদের উদ্দেশ্য! ধীরে ধীরে নিজেকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার এই গেমটির সঙ্গে তাই বোধ হয় নীল তিমি বৈ অন্য কোনো নাম মানাতো না। তাই এই নামকরণ হয়েছে ।

•✓  ২০১৩ সালে এই প্রাণঘাতী গেম রাশিয়ায় প্রথম শুরু হলেও, সবার দৃষ্টিগোচরে আসে ২০১৬ সালে। একজন রাশিয়ান সাংবাদিক তার প্রতিবেদনে কমপক্ষে ১৬ জন কিশোর-কিশোরীর আত্মহত্যার সঙ্গে ‘ব্লু হোয়েল’ গেমসটির সম্পৃক্ততা তুলে ধরেন। তখনই আলোড়ন সৃষ্টি হয় দেশজুড়ে। এরপরের ঘটনাগুলো আরও চমকপ্রদক। অনুসন্ধানে দেখা যায়, রাশিয়া ছাড়াও আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, চীন, পাকিস্তান, ইতালিস সহ আরও ১৪টি দেশে বিভিন্ন নামে এই গেমটি অনেকদিন ধরেই চলে আসছে।

•✓ ‌ বেশ কয়েক জনকে এই খেলাটির নিয়ন্ত্রক বা এডমিন গ্রুপের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ধরা হলেও, থামানো যায়নি মৃত্যুর মিছিল । রাশিয়ায় এই গেমের ৪৯ তম পর্যায়ে থাকা এক গেমারের কাছ থেকেই তদন্তকারীরা অনেক কিছু জানতে পেরেছেন ।

•✓ গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, ৫০ দিনের এই গোটা সময়ে গেমারদের বোঝানো হয় পৃথিবীর নেতিবাচক দিক সম্পর্কে। এক কথায় ব্রেন ওয়াশ চলে। জীবনে বেঁচে থেকে কোনো লাভ নেই – এই কথাটি কিশোর-কিশোরীদের মস্তিষ্কে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তাদের নির্দেশ দেওয়া হয় নিজের জীবন শেষ করে দিতে।

•✓ এবার আসি এই Game এর Challenge এর বিষয়ে । মোট ৫০ টি Challenge তা পূর্বে জানিয়েছি । সেগুলি হলো ----->
১) একটি ব্লেড দিয়ে নিজের হাতে F57 লেখা ও ছবি তুলে কিউরেটর- কে পাঠানো ।
২) ভোর ৪:২০ তে উঠে, কিউরেটর এর পাঠানো ভয়ঙ্কর Video দেখতে হবে ।
৩) নিজের হাতে নোখে নোচার মতো ব্লেড দিয়ে কাটতে হবে, খুব গভীর নয় । মাত্র তিনটি দাগ কাটতে হবে ও ছবি তুলে কিউরেটর- কে পাঠাতে হবে ।
৪) কোনো সাদা পাতায় তিমির ছবি নিজ হাতে অঙ্কন করতে হবে ও ছবি তুলে কিউরেটর- কে পাঠাতে হবে ।
৫) যদি গেমার তিমি হতে ইচ্ছুক থাকে তাহলে পায়ে ব্লেড দিয়ে 'Yes' লিখতে হবে । যদি না, তাহলে শরীরে ব্লেড দিয়ে কাটাকাটি করতে হবে অসংখ‍্য ও নিজেকে সাজাতে দেওয়া ।
৬) সাংকেতিক ভাষায় বা গোপন অর্থে কিছু লিখতে হবে ।
৭) F40 ব্লেড দিয়ে হাতে লিখতে হবে ও ছবি তুলে কিউরেটর- কে পাঠাতে হবে ।
৮) Social Media Site-এ Status দিতে হবে - "I am a Whale🐋"
৯) নিজের ভয় কাটাতে হবে ।
১০) ভোর ৪:২০ তে ঘুম থেকে উঠে ছাদে যেতে হবে । যত উঁচু ছাদ হবে  তত ভালো ।
১১) ব্লেড দিয়ে নিজের হাতে তিমি অঙ্কন করতে হবে ও ছবি কিউরেটর কে পাঠাতে হবে ।
১২) সারাদিন Horror Movies দেখতে হবে ।
১৩) কিউরেটর এর পাঠানো Music শোনা ।
১৪) নিজের ঠোঁট কাটতে হবে ।
১৫) হাতে বার বার সূঁচ দিয়ে আঘাত করতে হবে ও ছবি তুলে কিউরেটর- কে পাঠাতে হবে ।
১৬) নিজের সাথে কিছু যন্ত্রনাদায়ক করতে হবে ও ছবি তুলে কিউরেটর- কে পাঠাতে হবে ।
১৭) উঁচু ছাদে যেয়ে, কিছুক্ষণ কিনারায় দাঁড়িয়ে থাকা ।
১৮) উঁচু ছাদে যেয়ে, কিছুক্ষণ কিনারায় দাঁড়িয়ে থাকা ।
১৯) ক্রেনে ওঠা বা প্রয়াস করা ।
২০) কিউরেটর Check করবেন, গেমার এর প্রতি বিশ্বাস করা যায় কিনা!
২১) কোনো Whale এর সাথে কথা বলা । (এখানে Whale বলতে যে Game খেলছে অর্থাৎ গেমার কে বোঝাচ্ছে) ---> গেমার বা হোয়েল দুটিই বলা যায় এই ক্ষেত্রে ।
অথবা, কিউরেটর এর সাথে কথা বলা ।
২২) ছাদে যেয়ে পা নীচের দিকে রেখে বসে যাওয়া।
২৩) সাংকেতিক ভাষায় বা গোপন অর্থে কিছু লিখতে হবে ।
২৪) গোপন কিছু কাজ করতে হবে ।
২৫) Whale এর সাথে দেখা করতে হবে ।
২৬) কিউরেটর মৃত‍্যুর তারিখ জানাবে । সেটা মেনে নিতে হবে ।
২৭) ভোর ৪:২০ তে উঠে নিজের এলাকা সংলগ্ন রেললাইন এর কাছে যেতে হবে ।
২৮) সারাদিন কারোর সাথে কথা না বলা ।
২৯) তিমির মতো আওয়াজ বের করা/ প্রয়াস করা।
৩০) ৩০ দিন থেকে ৪৯ দিন পর্যন্ত ভোর ৪:২০ তে ঘুম থেকে উঠে প্রত‍্যহ Horror Movie দেখতে হবে, ব্লেড এ করে শরীরে বিভিন্ন অংশে কাটতে হবে, Whale এর সাথে কথা বলতে হবে ।
৫০) ৫০ তম দিন অর্থাৎ খেলার শেষ দিন অর্থাৎ গেমার এর অন‍্য জগতে যাবার দিন অর্থাৎ গেমার এর বিজয়ী হবার দিন -- উঁচু স্থান থেকে বা বিল্ডিং থেকে ঝাঁপ দিতে হবে । এতেই Game এর সমাপ্তি ঘটবে ।

•✓ এডমিনদের সঙ্গে খেলোয়াড়দের যোগাযোগ করার উপায় সম্পর্কে কাউকে বলা নিষেধ; টাস্ক শেষ করার সমস্ত প্রমাণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে মুছে ফেলার নির্দেশনাও থাকে -- এমনটাই জানতে পেরেছেন তদন্তকারী দল ।

•✓ সর্বশেষে কিছু কথা -- বিষণ্নতা কাটাবার জন্য অনেক উপায় আছে...সেইসব উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে । যেমন ---গান শোনা, ছবি আঁকা, পরিবারের সকলের সাথে ও এমনকি বন্ধুসকলের সাথে মন প্রাণ খুলে কথাবার্তা বলা বা আরও বিভিন্ন উপায় যে যেরকম করে থাকে । কিন্তু Blue Whale এর সাথে যুক্ত হওয়া - এমনটা যেন কখনোই না হয় ।

তথ্য সূত্র​ - Google, Wikipedia, YouTube ও অন‍্যান‍্য কিছু বিশেষ সূত্র ।
পোস্টে - Sandip Ghanti (Researching SANDY - SG)


সবুজসাথী প্রকল্পে সাইকেল বিলি কালনা ওসির।

ছবি ও সংবাদ : মোল্লা জসিমউদ্দিন


১৯শে আগস্ট: আজ বিশ্ব আলোকচিত্র দিবস

.


আগামী ২১ আগষ্ট সোমবার থেকে গলসী-১ ব্লক কৃষক বাজারে ক্ষতিপুরনের আবেদন জমা দিতে আসা ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের জন্য ২০ টাকায় ডিম- ভাত পরিষেবা চালু করছে গলসী-১ পঞ্চায়েত সমিতি।

,


মেয়েদের নিরাপত্তার জন্য চালু হবে ‘বিপত্তারিণী’ ব্লুটুথ

মেয়েদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এমনই এক ‘বিপত্তারিণী’ যন্ত্র নিয়ে আসছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্য পরিবহণ দপ্তর ও কলকাতা পুলিশের যৌথ উদ্যোগে আসছে এই যন্ত্র। ভারতে এই প্রথম। এবার বাইরে বেরোলে মেয়েদের সঙ্গে থাকবে নতুন নিরাপত্তরক্ষী। নাম বিপত্তারিণী ব্লুটুথ।শরীরে আটকানো থাকবে একটা বোতাম। বিপদে পড়লেই স্রেফ টিপতে হবে সেই বোতাম। তা হলেই সতর্ক হয়ে যাবে পুলিশ, প্রশাসন। সেই সঙ্গে মেয়েটির বাড়ির লোকও। সেই ব্লু টুথ লো এনার্জি বাটন (সংক্ষেপে, বিএলই) শরীরে যে কোনও জায়গায় আটকে রাখতে হবে। বেগতিক বুঝলে তাতে শুধু হাত ছুঁইয়েই ‘এসওএস’ পৌঁছে দেওয়া যাবে লালবাজার কন্ট্রোলে বা বাড়ির লোককে। জিপিএস মারফত পুলিশ মুহূর্তে জেনে যাবে ঘটনার অবস্থান। পৌঁছে যাবে সেখানে। সাধারণ মানুষের পথ নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার শিগগিরই নিয়ে আসছে একটি অ্যাপ ‘পথদিশা রোড সেফটি।’ আর তারই অংশ এই বিএলই বাটন। মোবাইলে ডাউনলোড করা অ্যাপের সঙ্গে যা লিঙ্ক করা থাকবে। প্রথমে স্মার্ট ফোনে অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে। সেখানে নিয়মমতো নথিভুক্ত করতে হবে নিজস্ব আইডি। নিজের নাম তো বটেই, সঙ্গে তিনজন আত্মীয়—বন্ধুর ফোন নম্বর। ডাউনলোড হয়ে গেলে দেখা যাবে তিনটে অপশন, ঘটনা, দুর্ঘটনা, নারী নিগ্রহ (ইনসিডেন্ট, অ্যাক্সিডেন্ট, ভায়োলেন্স এগেনস্ট ওমেন)। এই ভাবে তৈরি হয়ে থাকবে প্রেক্ষাপট। এবার রাস্তায় কোথাও দুর্ঘটনা বা অপরাধের মুখে পড়লে অ্যাপের অ্যাক্সিডেন্ট বা ইনসিডেন্ট অপশনে ক্লিক করলেই পুলিশে বার্তা পৌঁছে যাবে। নথিভুক্ত তিন জন আত্মীয়—বন্ধুর কাছেও মেসেজ পৌঁছবে। আর নিগ্রহের শিকার মহিলারা ‘ভায়োলেন্স এগেনস্ট উইমেন’ অপশন মারফত পুলিশ ও পরিজনকে বিপদ সংকেত পাঠাতে পারবেন। কিন্তু যদি মোবাইল বের করে অ্যাপ খুলে ঠিক জায়গায় ক্লিক করা সম্ভব না হয় তাই সেই কথা মাথায় রেখেই বিএলই’র সংস্থান। অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত ছোট্ট বোতামটি শার্টের কলারে বা পকেটে স্বচ্ছন্দে রেখে দেওয়া যাবে। বিপদ হলে তাতে হাত ছোঁয়ালেই চলবে। কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে বোতামটি ১ বার প্রেস করতে হবে। দুর্ঘটনা ঘটলে দু’বার প্রেস করতে হবে বোতামে। সম্মানহানির আশঙ্কা বুঝলেই তিন নম্বর অপশনটি প্রেস করার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ হুঁশিয়ার হয়ে যাবে। সূত্রের খবর, অভিনব পরিষেবাটি আগামী মাসেই চালু হবে। বাটনের দাম ৫০০—৬০০ টাকার মধ্যে রাখার চেষ্টা হচ্ছে।


মঙ্গলকোটে শহীদ স্মরণ


মোল্লা জসিমউদ্দিন : বৃহস্পতিবার দুপুরে মঙ্গলকোটের ঝিলু গ্রামে প্রয়াত কংগ্রেস নেতা সেখ হাতেম আলীর স্মরণসভা হলো।কয়েক হাজার এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন এই শহীদ স্মরণে।ব্লক তৃনমূল সভাপতি অপুর্ব চৌধুরী, ঝিলু ১ গ্রাম প্রধান স্বাধীন সেখ, ব্লক তৃনমূল নেতা প্রদীপ চট্টরাজ প্রমুখ এসেছিলেন।প্রয়াত সেখ হাতেম আলী একাধারে ১৯৭২ থেকে ৭৭ সাল অবধি মঙ্গলকোট ব্লকের কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা এবং অবিভক্ত ঝিলু অঞ্চলের অধক্ষ ( বর্তমান গ্রাম প্রধান পদ) ছিলেন।তাঁকে সিপিএমের লোকেরা ১৯৭৭ সালে পিটিয়ে খুন করে থাকে।দক্ষীনপন্থী মানুষদের কাছে মঙ্গলকোটের সেখ হাতেম আলী এক বর্ণময় চরিত্র।তাই তাঁর গ্রাম ঝিলুতে আজ স্মরণসভার আয়োজন করে ব্লক তৃনমূল কমিটি।





মঙ্গলকোটে সড়কগুলির বেহাল দশা


মোল্লা জসিমউদ্দিন: একটু বৃষ্টিজল হলেই মঙ্গলকোটের বিভিন্ন সড়ক রুটে থাকা রাস্তাঘাট হয়ে উঠে মরণফাঁদ।প্রাণহাতে যেতে হয় যাত্রীসহ যানচালকদের।এমনিতেই গত দুবছরের কুড়ির বেশি ব্যক্তি মারা পড়েছে এইসব রুটে।উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষীনবঙ্গের একাধিক জেলা যাবার ৭ নং রাজ্যসড়ক পড়ায় মঙ্গলকোটে প্রাতহিক গাড়ী চলাচলের সংখ্যা সর্বাধিক বেড়েই চলেছে। স্থানীয় থানার পুলিশ মঙ্গলকোটের নুতনহাট এলাকার চারটি সড়কমোড়ে সিভিক পুলিশদের দিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিলেও, পদিমপুর বাইপাশ, হাইস্কুল মোড়, হাসপাতালের সামনে এবং বটতলা বাসস্ট্যান্ডে সিভিক পুলিশরা গল্পগুজবে সর্বদা মশগুল থাকে বলে এই সড়কে চলাচল করা যানচালকদের দাবি।অপরদিকে অজয় নদ ঘেঁষা মঙ্গলকোটের নুতনহাটের উপর দিয়ে শয়ে শয়ে অতিরিক্ত বালি বোঝাই ডাম্পার/লরি/ট্রাক্টর যাতায়াত করে থাকে।এরফলে রাস্থায় গর্ত, উঁচুনিচু পিচ আবার কোথাও পিচ উঠে মাটি অবস্থান করছে।কোগ্রাম,পুরাতনহাট,বকুলিয়া,মাঝিগ্রাম,ধান্যরুখি,লাখুরিয়া, পালিগ্রাম এলাকায় থাকা অজয়ের বালিঘাট থেকে এইসব বালির গাড়ী আসে যায়।নুতনহাটের উপর দিয়ে ছয়টি সড়ক রুট রয়েছে।যথাক্রমে বর্ধমান,নিগন,কাটোয়া,বোলপুর,ফুটিসাকো, গুশকরা।এগুলির বেশিরভাগই বেহাল হয়ে উঠছে।বিশেষত নুতহাট থেকে কাশেমনগর(৯ কিমি), নিগন(৬কিমি), মাথরুন(৬কিমি)। আবার শ্যামবাজার থেকে ফুলবাগান মোড়, নিগন থেকে চন্দ্রপুর প্রভৃতি সড়করুট আতংকের কারণ হয়ে উঠেছে যাত্রীদের কাছে।এইরুটে চলাচল করা গাড়ীগুলিও ভগ্নদশার শিকার হচ্ছে বলে জানা গেছে।এব্যাপারে মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতির পুর্ত কর্মাধ্যক্ষ মুন্সি রেজাউল হক জানান - যেসব রাস্তাঘাট গুলি পঞ্চায়েত সমিতির আওতাধীন, সেগুলি সারাবছর কাজ চলে মেরামতির।অপরদিকে ভাতার পুর্ত বিভাগ সুত্রে প্রকাশ নুতনহাট থেকে কাশেমনগর ৯ কোটি টাকা অনুদান গৃহীত হয়েছে সংস্কারের জন্য।তবে অতিরিক্ত বালিবোঝাই গাড়ী যেহারে যাতায়াত করে থাকে।সেখানে রাস্তা মেরামতি হলেও ভালো থাকা হাতে গোনা কয়েকমাস মাত্র।তারপর অতীতের বিপদজনক অবস্থান নিয়ে পুনরায় ফিরে বেহাল সড়কগুলি।







শুক্রবার, আগস্ট ১৮, ২০১৭

এবার পুজোয় আসতে চলেছে সনু পান্ডার নতুন মিউজিক অ্যালবাম(সনু পান্ডার ভিডিও গান)

এবার পুজোয় আসতে চলেছে সনু পান্ডার নতুন মিউজিক অ্যালবাম। সনু নিগমের নাম সারা বিশ্বে সবাই জানে। সনু নিগম কে গুরুদেব বলে মানে সনু পান্ডা। গান গাওয়ার জন্য বাড়ি ঘর ছেড়ে মুম্বাইয়ের উদ্যেশ্যে পাড়ি দিয়েছিল সে। স্বপ্ন ছিল সনু নিগমের সঙ্গে দেখা করার ও তাঁর পা ছুঁয়ে প্রনাম করার। কিন্তু সেই স্বপ্ন সফল হয়নি তাঁর। অবশেষে কলকাতায় ফিরে আসতে হয় তাঁকে। পুরো ঘটনা শোনার পরেই তাঁর দাদা সোমনাথ পান্ডা তাঁর ছোট ভাইয়ের স্বপ্ন পূরণ করার জন্য আসে মুম্বাইয়ের আন্তজাতিক  পুরস্কার প্রাপ্ত পরিচালক সিদ্ধার্থ দাসের কাছে। সব কিছু শোনার পর সিদ্ধার্থ বাবু তাঁর মিউজিক অ্যালবামটি পরিচালনা করতে রাজি হন।
সালটা ২০১৩ ট্যালেন্ট অফ পাকিস্তান নামে একটি ডকোমেন্টারি ছবি করে সারা বিশ্বকে চমকী দিয়েছিলেন সিদ্ধার্থ দাস। ট্যালেন্ট অফ পাকিস্তান ছাড়াও  দিল্লী দামেনি গ্যাংরেপ ডকমেন্টারি ছবি করেছেন। এই মাসের শেষের দিকে অ্যালবাম শুটিং এর কাজ শুরু হতে চলেছে।


বন্যা কবলিত এলাকার কৃষক ভাইদের সাহায্যার্থে কৃষি বিভাগ

মা মাটি মানুষের সরকার ২০১১ তে ক্ষমতায় আসার সময় থেকেই সব সময় কৃষকদের পাশে থেকেছে। কৃষকদের সব খাজনা মুকুব করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই বন্যা পরিস্থিতিতেও কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। যেকোনো সহযোগিতার জন্য খোলা থাকছে নির্দিষ্ট ব্লকের সহ-কৃষি অধিকর্তার অফিস।

এছাড়াও, বন্যা কবলিত অঞ্চলের কৃষকদের কিছু পরামর্শ দিয়েছে রাজ্য সরকারঃ-

বীজতলা নষ্ট হয়ে গেলে, স্বল্প সময়ে নতুন বীজতলা তৈরির জন্য উঁচু জমি বেছে নিন। এখনই ১১৫-১২০ দিন মেয়াদি জলদি জাত যেমন এমটিইউ-১০১০, আই.ই.টি-৪৭৮৬, গোঁটরা বিধান-১, গোঁটরা বিধান-৩, আই.আর.-৩৬, রাজেন্দ্র ভগবতী, ডি.আর.আর.-৪২, আই.আর.-৬৪ সাব-১, চিয়ারাং সাব-১ বাঁ বীণা-১১, অজিত, পুস্প, ফাল্গুনী (সি আর ধান-৮০১), ডি.আর.আর-৪৫ ধানের বীজতলা তৈরি করা যেতে পারে। বীজতলা থেকে তৈরী চাড়া সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত রোপণ করা হবে।

জল নেমে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত বীজতলাতে বেঁচে থাকা চারার পরিচর্যার জন্য ছত্রাকনাশক স্প্রে করুন এবং কাঠা প্রতি ৪০০ গ্রাম ইউরিয়া ও ১৫০ গ্রাম মিউরেট অফ পটাশ প্রয়োগ করুন।

জল সরে যাওয়ার পর রোয়া জমির ক্ষতিগ্রস্ত অংশে পূর্বে রোয়া চারার গুছি ভেঙে রোয়া করা যেতে পারে।
রোয়ার জন্য চারা পাওয়া না গেলে পূর্বে রোয়া চারার গুছি ভেঙে রোয়া করুন। সুপারিশকৃত হারে মূল সার অবশ্যই দিতে হবে এবং রোয়ার ১০ দিন পরই চাপান সার দিন।

জমি থেকে জল নেমে যাওয়ার পর রোয়া জমিতে বেঁচে থাকা ধান গাছে বিঘা প্রতি (৩৩ দশকে) প্রথমে ৪ কেজি মিউরেট অফ পটাশ, এক সপ্তাহ পরে ৮ কেজি ইউরিয়া প্রয়োগ করে ঘেঁটে দিতে হবে। বাদামি দাগ, খোল পচা, ব্যাক্টিরিয়া জনিত ধ্বসা রোগের প্রকোপ দেখা দিলে সহকারী কৃষি অধিকর্তার পরামর্শ নিয়ে রোগনাশক প্রয়োগ করতে হবে।

যে জমিতে সম্ভব সেখানে শ্রী পদ্ধতিতে (আগস্টের শেষ পর্যন্ত রোপণ) ও ড্রাম সিডার পদ্ধতিতে (২০ শে আগস্ট পর্যন্ত) জলদি জাতের আমনধান চাষ করা যেতে পারে।
উচ্চ ফলনশীল ধান বীজের অভাবে, যে সমস্ত দেশী ধানে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বাঁ কার্ত্তিক মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ফুল আসে, সেই ধান গুলি ড্রাম সিডারের মাধ্যমে কাদা জমিতে বোনা যেতে পারে যেমন ভাসামানিক, কবিরাজশাল, জামাইনাড়ু, কমলা-২২২, নাগরা, বহুরুপী।

যে জমিতে আর আমনধান চাষ সম্ভব নয়, সেখানে জলদি টোরি সর্ষে ও কলাই চাষের পরিকল্পনা গ্রহণ করুন।

অল্প ক্ষতিগ্রস্ত সবজি ও ফুল ক্ষেত, পান বরোজ, ফল বাগানে রোগের প্রকোপ কমাতে জীবাণু সার, পটাশ সার ও কপার-অক্সি-ক্লোরাইড (৪ গ্রাম প্রতি লিটার জলে) প্রয়োগ করুন।

সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষেতে দ্রুত বর্ধনশীল ও জলদি জাতের মূলা, লাল শাক, পালং শাক, ধনে পাতা, পাতা শাক হিসাবে লাউ, কুমড়ো ও কলমি লাগানো যেতে পারে।
শীতকালীন সব্জি যেমন কপি, টমাটো, বেগুন, লঙ্কা প্রভৃতির চারা তৈরির জন্য পলিথিনের ছাউনিযুক্ত উঁচুজমি, শেডনেট বাঁ পলিহাউসে প্লাক ট্রে ব্যবহার করতে পারেন।

ক্ষতিগ্রস্ত আমনধানের খড়ের বিকল্প হিসাবে পশু খাদ্যের জন্য গাইমুগ ও বরবটির চাষ করা যেতে পারে।



বৃহস্পতিবার, আগস্ট ১৭, ২০১৭

জি,এস, টি বিষয়ে সচেতনতা শিবির

জি,এস, টি বিষয়ে সচেতনতা শিবির আয়োজক গুসকরা ব্যবসায়ী সমিতি গুসকরা লায়নস ক্লাব এর সেমিনার হলে উপস্থিত ব্যবসায়ীগনের সঙ্গে আধিকারিকগন ১৭/৮/১৭ বৃহস্পতিবার, সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে সচেতন করতে এই উদ্যোগ


১৯০ ভোটে জয়ী টিএমসি প্রার্থী গোবিন্দ সোমানী।

ঝাড়গ্রাম পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পুননির্বাচনে মোট ভোটার ২৩৪৯। প্রদত্ত ভোট ১৭৭৯। টিএমসি গোবিন্দ সোমানী ৮৮৭ বিজেপি সমীর দত্ত ৬৯৭ সিপিএম কৃষ্না ঘোষ ১০৮ নির্দল ৩২ নির্দল ৫৫ .  ১৯০ ভোটে জয়ী টিএমসি প্রার্থী গোবিন্দ সোমানী।


OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER