মোল্লা জসিমউদ্দিন : দলয় পুর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দলেরই সিংহভাগ কাউন্সিলার অনাস্থাপ্রস্তাব জমা দিলেন।এই অনাস্থা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য পড়েছে এলাকায়।পুর্ব বর্ধমানের কাটোয়া পুর চেয়ারম্যান অমর রামের বিরুদ্ধে স্থানীয় বিধায়ক শ্রী রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় সহ চৌদ্দজন কাউন্সিলার গত সোমবার দুপুরে পুরসভার কার্যনির্বাহী আধিকারিককে লিখিতভাবে এই অনাস্থা জানিয়েছেন।এর প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে জেলাশাসককেও।পুরসভার কুড়িজন কাউন্সিলারের মধ্যে চৌদ্দজন অনাস্থা চাওয়ায় ঘটনাটি কেন্দ্র করে শাসকদলের আভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীবিবাদ সামনে এলো বলে মনে করছে রাজনীতিবিদরা।বিধায়ক শিবিরে দাবি করা হয়েছে - এই অনাস্থাপ্রস্তাবে সায় রয়েছে রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্বের।তবে পুর চেয়ারম্যান শিবিরে বলা হয়েছে, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের পুর্বে কোথাও অনাস্থা আনা যাবেনা এটা শীর্ষ নেতত্বের ফরমান রয়েছে।যাতে গোষ্ঠীবিবাদ প্রকাশ্যে না আসে, তাহলে বিরোধীরা 'অক্সিজেন' পেয়ে যাবে।ঠিক যেভাবে মঙ্গলকোটের লাখুরিয়া পঞ্চায়েতে বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ অনুগামী পঞ্চায়েত প্রধানের অপসারণ চেয়ে ব্লক তৃনমূল সভাপতি অপুর্ব চৌধুরীর অনুগামী পঞ্চায়েত সদস্যরা বিডিও কে লিখিতভাবে জানিয়েছিল।তৃণমূলের শীর্ষ নেতত্বের নির্দেশে দলীয় পর্যবেক্ষক অনুব্রত মন্ডল সবাইকে ডেকে অনাস্থা আনা যাবেনা বলে জানিয়েছিলেন। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে কাটোয়া পুরসভার চেয়ারম্যান অমর রামের একনায়কতন্ত্র ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কাউন্সিলার (সেইসাথে এলাকার বিধায়ক) রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে অনাস্থাপ্রস্তাব জমা পড়ে।অমর রাম ঘনিষ্ঠ শিবিরে জানিয়েছেন - একদা কংগ্রেস বিধায়ক রবীবাবু দীর্ঘদিন কাটোয়া পুর চেয়ারম্যান পদে থেকে যে সিন্ডিকেট গড়েছেন, তাতে আমি চেয়ারম্যান থাকায় অসুবিধা হচ্ছে।উল্লেখ্য ২০১১ সালে তুমুল পরিবর্তনের হাওয়া থাকা সত্বেও কাটোয়া বিধানসভায় প্রতিবারের মত নিজস্ব ক্যারিশ্মায় জেতেন রবীবাবু।সেসময় তৃনমূলের তরফে লোভনীয় পদের অফার দেওয়া হয়েছিল বলে প্রকাশ।তখনও দল ছাড়েননি তিনি।২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিল পুরভোটে মূলত অমর রাম - জঙ্গল সেখ জুটিতে বিরোধীশুন্য পুরসভায় একলাফে কুড়ির মধ্যে দশটি আসন পেয়েছিল তৃণমূল। টসের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে তৃনমূল। অমর রাম পুর চেয়ারম্যান হলেও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ঘোষিত প্রার্থী জঙ্গল সেখ কে কোন পদ দেওয়া হয়না।এই পরিস্থিতিতে ৭৫ জন জনপ্রতিনিধি (পুর কাউন্সিলার, পঞ্চায়েত সমিতি, পঞ্চায়েত সদস্য) দের নিয়ে কংগ্রেস ছেড়ে তৃনমূলে যোগদান করেন বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ। জঙ্গল সেখ কে জব্ধ করতে এই দলবদল বলে কাটোয়াবাসীদের দাবি।সম্প্রতি বিভিন্ন ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত জঙ্গল সেখ জেলবন্দি হন।তাঁর স্ত্রী কেও গাঁজার মামলায় পাকরাও করে কাটোয়া পুলিশ।সস্ত্রীক জেলবন্দী জঙ্গল সেখের অবর্তমানে অনাস্থাপ্রস্তাব ডেকে পুরসভায় ক্ষমতাবদলে তৎপর শাসকদলের একাংশ।কাটোয়ার আদি তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের দাবি, যে জঙ্গল সেখ কে সামনে রেখে কংগ্রেসি দুর্গ দখল করলো তৃণমূল, সেই জঙ্গল সেখের সপরিবার জেলে রাখার ষড়যন্তে লিপ্ত দলেরই একাংশ।এটা মেনে নেওয়া যায়না।যাইহোক কাটোয়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পদটি দু বছর চারমাস শুন্য থাকায় শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর ক্ষমতা দখলের টানাপোড়ন নিয়ে এমনিতেই উত্তেজনা রয়েছে।তার উপর অনাস্থাপ্রস্তাব সেই উত্তেজনার পারদ বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৭
কাটোয়া পুরসভার অনাস্থাপ্রস্তাব ঘিরে চাঞ্চল্য
জয়পুরে বিদ্যালয় ক্রীড়ায় মন্ত্রী শ্যামল
বাকুঁড়ার জয়পুরে বিদ্যালয় ভিক্তিক খেলায় পুরস্কার বিতরণীতে ছিলেন রাজ্যসরকারের মন্ত্রী শ্যামল সাতরাঁ মহাশয়।বিভিন্ন বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা এই খেলায় অংশগ্রহন করে থাকে।
ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের জমা দেওয়া তালিকা নিয়ে বেকায়দায় সিদ্দিকুল্লাহ
মোল্লা জসিমউদ্দিন : পুর্ব বর্ধমান জেলাশাসক কে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের জমা দেওয়া তালিকা নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়লেন মঙ্গলকোট বিধায়ক তথা রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী মহাশয়।নানান গুরতর অভিযোগ তুলেছে বিপক্ষ শিবিরের স্থানীয় ক্ষমতাসীন নেতৃত্ব। সম্প্রতি কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের জন্য রাজ্যসরকার পুর্ব বর্ধমান জেলায় ১১০ কোটি মঞ্জুর করে থাকে।এরমধ্যে ১০ কোটির কিছু বেশি অনুদান আসে মঙ্গলকোটের জন্য।গত ২৬ জুলাই থেকে ১৬ আগস্ট সরকারী ক্ষতিপূরণ পাবার ফর্ম বিলি এবং জমা নেওয়া হয়।প্রায় ২২ হাজার ফর্ম কৃষিদপ্তর প্রতিটি পঞ্চায়েত দ্বারা বিলি করে।এই ফর্ম বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ অনুগামী চাষীরা পাইনি বলে অভিযোগ তোলা হয়।পুর্ব বর্ধমান জেলাশাসক সহ রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী কে বিষয়টি লিখিতভাবে অভিযোগটি জানান মঙ্গলকোট বিধায়ক।গত ১৭ আগস্ট এক প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে ৫৫০০ মত ফর্ম বঞ্চিত চাষীদের তালিকা প্রতিটি পাতায় স্ট্যাম্প সেঁটে( অনুমোদন দিয়ে) জেলাশাসক কে দেন বিধায়ক। এই জমা দেওয়া তালিকা কে কেন্দ্র করেই গুরতর অভিযোগ তুলেছে বিধায়ক বিরোধী শিবির।নানান অভিযোগ রয়েছে তাদের তরফে।ইতিমধ্যে এইবিধ অভিযোগ গুলি কাটোয়া মহকুমাশাসকের দপ্তরে জমাও পড়েছে।এই অভিযোগের মধ্যেই বুধবার সকালে বিধায়ক অনুগামী এক শিক্ষক দম্পতি মঙ্গলকোটের লোচনদাস সেতুতে হাজার খানেক মানুষদের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন।বৃহস্পতিবার সকালেই রাজভবনে ঘনিষ্ঠ অনুগামীদের নিয়ে জরুরী বৈঠকও সেরেছেন বিধায়ক, সুত্রের খবর।কি এমন অভিযোগ যে, পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ সিদ্দিকুল্লাহ চরম বেকায়দায় রাজ্যরাজনীতিতে? গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগটি হলো গত ১৯ জুন অঞ্চল তৃনমূল সভাপতি ডালিম সেখ খুনে যারা জেলবন্দি(বাবর সেখ সহ তিনজন), তাদের সাক্ষর রয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের তালিকায়।শুধু তাই নয় ডালিম সেখ খুনে সিআইডি মামলায় যারা ফেরার, অর্থাৎ আজফর মল্লিক উজ্বল সেখ আনাই সেখ লাল্টু সেখ তারাও সই করেছে।এখানেই প্রশ্ন তুলেছে বিপক্ষ শিবির।মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতির পুর্ত কর্মাধ্যক্ষ মুন্সি রেজাউল হক বলেন " এই খুনে মূল অভিযুক্ত মন্ত্রীর ভাই রহমতুল্লা চৌধুরী, যেখানে সিআইডি এখনও চার্জশীট জমা দেয়নি আদালতে।পুলিশ খুঁজছে এদের।সেখানে মন্ত্রী কিভাবে ফেরারদের সই নিলেন তার জবাহদিহি দিতে হবে?" আবার দেখাগেছে গত ১৭ আগস্ট জেলাশাসক কে জমা করা ৫৫০০ ফর্ম বঞ্চিত চাষীদের মধ্যে ৩৫০০ জন চাষী ফর্ম পেয়েছেন।সেইসাথে তারা কৃষি দপ্তর সহ কাটোয়া মহকুমাশাসক কে লিখিতভাবে জানিয়েছেন তাদের সই জালিয়াতির কথা।এছাড়া শতাধিক মৃত সহ নাবালকদের নাম রয়েছে মন্ত্রীর অনুমোদন করা তালিকায়।এইবিধ নানা অভিযোগের প্রাথমিক সততা উঠে এসেছে মঙ্গলকোট কৃষি আধিকারিকের মৌজা ভিক্তিক তদন্তে।ডালিম সেখ খুনে সিআইডি তদন্তে অক্সিজেন সাময়িক সিদ্দিকুল্লাহ পেলেও এই ভুয়ো ক্ষতিগ্রস্ত তালিকা জমা নিয়ে বেকায়দায় ফেলেছে বিপক্ষ শিবির।বিধায়ক শিবিরে যারা অঞ্চলে এইসব তালিকা গড়েছে, তাদের উপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে।গত বুধবার সকালে লোচনদাস সেতুতে স্কুল যাওয়ার পথে শিক্ষক দম্পতি সাজ্জাদ সেখ কে হাজার খানেক মানুষ ঘিরে নিগ্রহ ও চড় থাপ্পড় মারে।হামলাকারীদের বেশিরভাগ জনই বিধায়কের করা ক্ষতিগ্রস্ত তালিকায় বঞ্চিত চাষী হিসাবে নাম ছিল।অথচ তারা ফর্ম পেয়ে জমাও দিয়েছে কৃষিদপ্তরে।কালবৈশাখী ঝড়ে সরকারী ক্ষতিপূরণ নিয়ে রাজনীতি করতে গিয়ে ঘনিষ্ঠ অনুগামীদের ভূলে বেকায়দায় পড়লেন সিদ্দিকুল্লাহ।এইরুপ মনে করছে স্থানীয় রাজনীতিমহল।
বৃহস্পতিবার, আগস্ট ৩১, ২০১৭
নন্দনে কবিতা কর্নার
কলকাতার নন্দনে পশ্চিমবঙ্গ কবিতা একাডেমির কবিতা কর্নার শিরোনামে এক সাংস্কৃতিক অনুস্থান হয়।ছিলেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, কবি সুবোধ সরকার প্রমুখ।
ছবি ও সংবাদ সেখ সামসুদ্দিন
মঙ্গলকোটে শিক্ষকের শিল্পকলা
মঙ্গলকোটের গনপুর উচ্চবিদ্যালয়ের অবসারপ্রাপ্ত শিক্ষক তরুনক্রান্তি মহাশয় সাদা সিমেন্ট দিয়ে বিভিন্ন মূর্তি গড়ছেন।তাঁর এহেন শিল্পকলায় মুগ্ধ এলাকাবাসী
ছবি ও সংবাদ জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জী
সুপার ডিভিশন ফুটবলে নিবেদিতা সংঘ হারাল জাতীয় সংঘকে
অপূর্ব দাস
সুপার ডিভিশন ফুটবল লিগে নিবেদিতা সংঘ ১-০ গোলে জাতীয় সংঘকে হারিয়ে দিল।
৩১ আগষ্ট বর্ধমানের রাধারানী স্টেডিয়ামে খেলার প্রথমার্ধের ১৮ মিনিটে
গোল করে এগিয়ে যায় নিবেদিতা সংঘ। এরপর দুদলই গোলের সুযোগ পেলেও তার
থেকে কোন গোল হয়নি।
মাঠে উপস্থিত প্রাক্তন ফুটবলার নিলাদ্রিশেখর চন্দ্র এদিনের খেলা প্রসঙ্গে
বলেন, দুদলেই ভাল স্ট্রাইকারের অভাব বোঝা গেল। গোলের খুব সহজ সুযোগ
এলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি দুদলের ফরোয়ার্ডরাই। তুলনামূলকভাবে
নিবেদিতার ফুটবলাররা বেশি আক্রমণ করেছে। গোল শোধের জন্য যতটা মরিয়া হয়ে
খেলা দরকার ছিল জাতীয় সংঘের খেলায় তা দেখা গেল না।
বর্ধমান জেলা ক্রীড়া সংস্থা পরিচালিত বর্ধমান সদর ফুটবল লিগে প্রথম
ডিভিশনে ভাতছালা কিরণ সংঘ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে ৩-২ গোলে বর্ধমান
কালিতলা এ্যাথলেটিক ক্লাবকে হারিয়ে দেয়। ৩০ আগষ্ট রাধারানী স্টেডিয়ামে
খেলার ৯ মিনিটে কিরণ সংঘ গোল করে এগিয়ে যায়। প্রথমার্ধের ১৭ মিনিটে গোল
শোধ করে কালিতলা এ্যাথলেটিক ক্লাব। প্রথমার্ধের ৩৪ মিনিটে বর্ধমান
কালিতলা এ্যাথলেটিক ক্লাব আরও একটি গোল করে এগিয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধের ১২
মিনিট এবং ৩৩ মিনিটে ভাতছালা কিরণ সংঘ ২টি গোল করে ৩-২ গোলে জয়লাভ করে।
প্রথম ডিভিশন ফুটবলে ২৯ আগষ্ট কল্যাণ স্মৃতি সংঘ ৪-০ গোলে পরাজিত করে
তরুণ স্পোটিং ক্লাবকে। কল্যাণ স্মৃতি সংঘের পক্ষে সৈকত দত্ত এবং অমিত
মূর্মূ ২টি করে গোল করে। প্রথম ডিভিশনে কল্যাণ স্মৃতি সংঘ সবকটি ম্যাচেই
জয় পেয়েছে। কল্যাণ স্মৃতি সংঘের পরবর্তী খেলা ৫ সেপ্টেম্বর বাবুরবাগ বয়েজ
এ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে।
বাদুরিয়ায় পদযাত্রায় সাংসদ ইদ্রিশ
কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে হাজার হাজার কর্মীদের সাথে পা মেলালেন বসিরহাটের সাংসদ ইদ্রিশ আলী।বাদুরিয়ায় এই মিছিলে ছিলেন ব্লক নেতা তুষার সিংহ সহ অনেকেই।
ছবি ও সংবাদ আলী আকবর
বাকুড়ায় যুব সংসদ প্রতিযোগিতা
বাকুড়ায় যুব সংসদ প্রতিযোগিতা চললো।বিদ্যালয়স্তরে এই প্রতিযোগিতায় সমসাময়িক বিষয়গুলি তুলে ধরা হয় বিচারকমন্ডলীর সামনে
বাকুড়ায় দুর্গাপুজোর বৈঠক
আসন্ন দুর্গাপুজো উপলক্ষে বাকুড়া পুলিশ প্রশাসন পুজো কমিটিদের নিয়ে বৈঠক করলো।এলাকার জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে এই বৈঠকে সরকারী নির্দেশীকা বজায় রেখে পুজোর মন্ডপ গড়ার আহবান জানানো হয়।
গ্রন্থাগার দিবসে শিক্ষামন্ত্রী
রাজ্য সাধারণ গ্রন্থাগার দিবসে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টপাধ্যায়, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এবং সংশ্লিস্ট দপ্তরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী মহাশয়।
চাঁচলে সাংসদ মৌসম বেনজির নূর
চাঁচল ২ ব্লকের বিভিন্ন বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে সাংসদ মৌসম বেনজির নূর এবং বিধায়ক আলবেরুনী।এলাকাবাসীদের অভাব অভিযোগগুলি শোনেন তাঁরা।
ছবি ও তথ্য প্রতাপ চট্টপাধ্যায়
জলপাইগুড়িতে দুটি কলেজের অনুস্থানে মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ
জলপাইগুড়ি জেলার দুটি কলেজের প্রতিস্থা দিবস পালনে মুখ্য অতিথি ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ মহাশয়।এই অনুস্থানে পুর্বতন পড়ুয়ারা এসেছিলেন অতীতের স্মৃতি নিয়ে।
ছবি ও সংবাদ সুজিত ঘোষ
বুধবার, আগস্ট ৩০, ২০১৭
চলন্ত ট্রেন থেকে পানের পিক ফেলতে গিয়ে পোস্টে ধাক্কা লেগে নিচে পড়ে গেল এক যুবক।
চলন্ত ট্রেন থেকে পানের পিক ফেলতে গিয়ে পোস্টে ধাক্কা লেগে নিচে পড়ে গেল এক যুবক। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার টিকিয়াপাড়া কারশেড এর কাছে। খবর পেয়ে রেল পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে পাঠায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতায়। ওই যুবকের নাম রোহিত কুমার(২০)। বাড়ি বালির সাঁপুইপাড়া পি.এন কলোনিতে। লোকাল ট্রেনটি হাওড়া থেকে লিলুয়ার দিকে আসছিল। তখনই ঘটে ঘটনা। রোহিতের সঙ্গে এক বন্ধুও ট্রেনে ছিল বলে জানা গেছে।
অভিযোগ, যুবকটি চলন্ত ট্রেনের গেটে দাঁড়িয়ে মোবাইলে ছবি তুলছিল।
নজরুল উৎসব ২০১৭ অনুষ্ঠিত হল মেমারিতে
সামসুদ্দিনঃ নজরুল উৎসব ২০১৭ অনুষ্ঠিত হল মেমারি ১ ব্লক অফিসের অডিটোরিয়াম হলে। জিরো পয়েন্ট পত্রিকার উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিধায়িকা নার্গিস বেগম কবির প্রতিকৃতিতে মাল্যদানের মধ্য দিয়ে। তিন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে জিরোপয়েন্ট অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। ওরা হিন্দু না মুসলিম ? জিজ্ঞাসে কোনজন বিষয়ক সেমিনারে আলোচনা করেন শান্তিনিকেতনের প্রাবন্ধিক মণীষা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মেমারি কলেজের বাংলা বিভাগীয় অধ্যাপক কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গীত, আবৃত্তি, তথ্য সংস্কৃতি বিভাগের তথ্য চিত্র প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে সুন্দর অনুষ্ঠান হয়।
কোলাঘাটে মদ বিক্রিতে প্রতিবাদ
কোলাঘাটের আমিরচক এলাকায় সত্যনারায়ণ মাইতি নামে এক ব্যক্তি বেআইনি ভাবে মদ বিক্রি করায়, এলাকায় ব্যাপক জনরোষ হয়।৬ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ চলে।
ছবি ও সংবাদ জাহাঙ্গীর বাদশা
রাস্তা সংস্কার দাবি মঙ্গলকোটে
মঙ্গলকোটের পাঁচটি সড়করুটের কেন্দ্রস্থল নুতনহাট পীরতলা বাসস্ট্যান্ডের বেহাল দশা, প্রতিনিয়ত বালির গাড়ী ওভারলোডিং যাতায়াত করার জন্য এই দশা।
ছবি ও সংবাদ মোল্লা জসিমউদ্দিন
মঙ্গলবার, আগস্ট ২৯, ২০১৭
খুচরো কয়েন সমস্যা মেটাতে বৈঠক কালনায়
কালনা মহকুমাশাসক নিতিন সিংহানিয়ার নেতৃত্বে এদিন খুচরো কয়েক সমস্যা মেটাতে বৈঠক হয়।কালনা পুরপিতা দেবপ্রসাদ বাগ সহ ব্যবসায়ীমহল, সাধারণ এলাকাবাসী ছিলেন এই বৈঠকে।
ছবি ও তথ্য মোল্লা জসিমউদ্দিন
দাবাড়ু বৃষ্টি মুখোপাধ্যায়কে সম্বর্ধনা
অপূর্ব দাস
কমনওয়েলথ দাবা প্রতিযোগিতায় অনূর্ধ১৪ বিভাগে চতুর্থ স্থান জয়ী বৃষ্টি
মুখোপাধ্যায়কে সম্বর্ধনা দিল সেণ্ট জন এ্যাম্বুলেন্স এ্যাসোসিয়েশন,
বর্ধমান সেণ্টার। ২৭ আগষ্ট বর্ধমানের সেণ্ট জন ভবনে পূর্ব বর্ধমানের
জেলাশাসক তথা সেণ্ট জন এ্যাম্বুলেন্স এ্যাসোসিয়েশন, বর্ধমান সেণ্টারের
চেয়ারম্যান অনুরাগ শ্রীবাস্তব খুদে দাবাড়ু বৃষ্টিকে উত্তরীয়, ফুলের
তোড়া, স্মারক ও মিষ্টি প্রদান করে সম্বর্ধিত করেন।
সেণ্ট জন এ্যাম্বুলন্স এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভায় বৃষ্টিকে সম্বর্ধনা
দেওয়ার আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে বৃষ্টির বাবা ও মা দেবাশীষ
মুখোপাধ্যায় ও অপরূপা মুখোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন।
জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব বৃষ্টির সাফল্য কামনা করে বলেন, দাবা খেলায়
বৃষ্টি আরো বড় সাফল্য পাবে। এই বিশ্বাস আমাদের রয়েছে। অনুষ্ঠানে বৃষ্টির
সম্বন্ধে বলতে গিয়ে এ্যাসোসিয়েশনের সদস্য বিশ্বনাথ ঘর জানান, মেমারীর
বাসিন্দা এবং রসিকলাল স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী
বৃষ্টি মুখোপধ্যায় সম্প্রতি দিল্লীতে অনূর্ধ ১৪ কমনওয়েলথ দাবা
প্রতিযোগিতায় চতুর্থ স্থান দখল করেছে। আগামী বছর থাইল্যাণ্ডে আয়োজিত
এশীয় যুব দাবা প্রতিযোগিতাতেও সে যোগ দেবার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
এই বছর জেলাস্তরে দাবা প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে নজর কাড়ে বৃষ্টি।
অনূর্ধ ১৩ রাজ্য স্তরের দাবা প্রতিযোগিতায় পাঞ্জাবের জলন্ধর থেকে পদক
আনার পর দিল্লীর কমনওয়েলথ দাবায় যোগ দিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে
টাইব্রেকারে হেরে চতুর্থ স্থান পেয়েছে।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মনোজকুমার সাধু,
সুদীপা হালদার, পূবালী দত্ত, সঙ্গীতা আগরওয়াল, রুনা কুণ্ডু, কাকলি সাধু,
বনশ্রী দেবনাথ, রানু আশ, নেপালচন্দ্র দে, ডা. ডি. চ্যাটার্জী, ডা. সদরুল
আলম, দেবব্রত মহান্তী, শীর্ষেন্দু সাধু, মহেন্দ্র গর্গ, সুব্রত মণ্ডল,
গোপাল বন্দোপাধ্যায়, উদয়চাঁদ দে এবং অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।
সিদ্দিকুল্লাহ কে 'টাইট' দিতে এগুচ্ছে বিজেপি
মোল্লা জসিমউদ্দিন : আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রস্তুতিপর্ব বিবেচনা করলে শাসকদলের পরেই উঠে আসবে বিজেপির সক্রিয়তা।নিয়মিত সভা/মিছিল ক্রমশ সংগঠিত করছে গেরুয়া শিবির। পুর্ব বর্ধমানে কালনার পাশাপাশি কাটোয়া মহকুমা এলাকায় বিজেপির রাজনৈতিক কর্মসূচী প্রায়শ চলছে।কালনায় যেমন নিয়মিতভাবে সাংসদ জর্জ বেকার, চিত্রাভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়দের পাশাপাশি রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ কে দেখা যাচ্ছে।ঠিক তেমনি মঙ্গলকোটের মত এলাকায় মোদীর মুখ্যমন্ত্রীত্বে থাকা স্বরাস্ট্রমন্ত্রী রজনীভাই প্যাটেল কে দেখা গেছে। তাহলে বোঝা যাচ্ছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে মঙ্গলকোট কে বিশেষ গুরত্ব দিচ্ছে।কেন এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে মঙ্গলকোট বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে? রাজনীতিজ্ঞরা মনে করছে, পশ্চিমবাংলা তো বটেই সারাদেশে সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে বিজেপির বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে জমিয়ত হিন্দের নেতা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ক্রমশ মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছেন।তাই তাঁকে জব্দ করতে গেলে মঙ্গলকোট বিধানসভা এলাকায় সাম্প্রদায়িকতার জিগির তুলে রাজনৈতিক মাটি শক্ত করার দরকার।এই কৌশলগত কারণ টি বিজেপি কে মঙ্গলকোটমুখি করছে বলে মনে করা হচ্ছে।যেভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, মুসলিম পার্সোনাল ল, প্রভৃতি বিষয়গুলিতে জমিয়ত উলেমা হিন্দ পরোক্ষভাবে তৃনমূলের হাত কে শক্ত করেছে।তাতে বিজেপির বাংলা দখলের যড়যন্ত্রে সিদ্দিকুল্লাহ অন্যতম ফ্যাক্টর হয়ে উঠছেন।তৃনমূলের অন্দরে এই মুহুত্যে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মুসলিম মুখ নেই বললেই চলে।বিভিন্ন আর্থিক কেলেংকারীতে যেমন তৃনমূলের আদি নেতাদের কলংকের দাগ পড়েছে।ঠিক তেমনি রেজ্জাক মোল্লা, আবু আয়েশ মন্ডলদের মত বামপন্থী নেতাদের তৃনমূলের অন্দরমহলে বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও আছে প্রশ্নচিহ্ন। সেইজায়গায় বরাবর দক্ষীনপন্থি ঘরোনার সিদ্দিকুল্লাহ কদর বেড়েই চলেছে।তাই তাঁকে জব্দ করতে পারলে সংখ্যালঘু ভোটে চিড় ধরানো যাবে বলে মনে করছে বিজেপি।মঙ্গলকোটে জ্বলন্ত সমস্যাগুলি কে সামনে রেখে প্রতিবাদসভা বেশ কয়েকটি করেছে বিজেপি।বেআইনী বালিখাদান নিয়ে কৈচর ভুমি সংস্কার দপ্তরে অবস্থান বিক্ষোভ করার পর গত সপ্তাহে বিজেপির কৃষান মোর্চা সরকারী ক্ষতিপূরণ নিয়ে দলবাজি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সভা করে।এই সভায় মূল বক্তা ছিলেন রজনীভাই প্যাটেল।যিনি কৃষান মোর্চার সর্বভারতীয় নেতা এবং নরেন্দ্র মোদীর মুখ্যমন্ত্রী সময়কালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এইরুপ মোদীর অতি ঘনিষ্ঠ নেতার মঙ্গলকোটের মত মফস্বল এলাকায় প্রতিবাদ সভায় আসাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছে স্থানীয় তৃনমূলের কর্মীরা।তাদের দাবি যেভাবে এখানে গোষ্ঠীবিবাদ চলছে, তাতে সিদ্দিকুল্লাহ কে 'টাইট' দিতে তৎপর বিপক্ষ গোষ্ঠী। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ২৪ হাজার ভোটে গত লোকসভা নির্বাচনে এগিয়ে থাকা তৃনমূল জেতে মাত্র ১২ হাজার ভোটে।বাকি ১২ হাজার ভোট অন্তর্ঘাত হয়ে যায় বিজেপির ঝুলিতে।সর্বশেষ ডালিম সেখ খুনে কালো পতাকা নিয়ে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখা গেছে তৃনমূলের একাংশে।ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে বিজেপির সংখ্যালঘু ভোট আদায়ে বাঁধা সিদ্দিকুল্লাহ কে তাঁরই কেন্দ্রে রাজনৈতিক মাটি দুর্বল করতে তৃনমূলের একাংশ গেরুয়া শিবির কে অক্সিজেন দেবে, এটা বর্তমান পেক্ষাপট দেখে বোঝায় যায়।তাই মঙ্গলকোট ক্রমশ বিজেপির কাছে নিশানার মূল কেন্দ্রবিন্দু হয়ে যাচ্ছে তা মোদী ঘনিষ্ঠ রজনীভাই প্যাটেলের মঙ্গলকোটে সভায় ইংগিত মেলে।মঙ্গলকোট বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেন " স্বাধীনতার আগে থেকে জমিয়ত উলেমা হিন্দ দাঙ্গাবাজদের বিরুদ্ধে লড়ছে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাড়াতে সারাদেশে নীরবে কাজ করে চলেছে।বিজেপি বাংলায় কিছু করতে পারবেনা, এখানকার সংখ্যালঘু মানুষরা খুবই সচেতন। "
OLD POSTED
আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
মোল্লা জসিমউদ্দিন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER
-
বাকুঁড়ার কোতলপুর ব্লক তৃনমূল কমিটির পরিচালনায় বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদসভা হয়।উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শ্যামল সাতঁরা, সাংসদ সৌমিত্র খান, জেলা স...