শিখা ধর
আজ কোচবিহারের দিনহাটায় বোমা নিষ্ক্রিয় করতে জখম হলেন সিআইডির এক আধিকারিক। আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়।
শিখা ধর
আজ কোচবিহারের দিনহাটায় বোমা নিষ্ক্রিয় করতে জখম হলেন সিআইডির এক আধিকারিক। আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়।
সঞ্জয় হালদার
জেলায় জেলায় ২৩টি অত্যাধুনিক গুদাম তৈরীর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সমবায় দপ্তর। রাজ্যে খাদ্যশস্য ঘাটতি মেটানোর যে প্রচেষ্টা শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই উদ্দেশ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি গুদামের ধারন ক্ষমতা হবে ১০০০০ মেট্রিক টন। সুতরাং ২৩টি গুদামঘর নির্মাণ সম্পন্ন হলে, রাজ্যে গুদামের ক্ষমতা আরও ২.৩ লক্ষ মেট্রিক টন বাড়বে।
মোল্লা জসিমউদ্দিন
একদিকে যখন পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে মঞ্চে প্রথম সারিতে বসে রয়েছেন মঙ্গলকোটের বিধায়ক ও সেইসাথে রাজ্যের মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। ঠিক সেইসময় কাটোয়া মহকুমা আদালতের এজলাসে পেশ করা হয় মন্ত্রীর গত বিধানসভা ভোটের নির্বাচনী এজেন্ট তথা পূর্ব বর্ধমান জেলাপরিষদ সদস্য বিকাশ চৌধুরী। এদিন আদালতে বিকাশ বাবুর ৩ দিনের সিআইডি হেফাজত হয় ডালিম সেখ খুনের মামলায়।একাধারে আউশগ্রামে প্রশাসনিক সভায় যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বক্তব্য পেশ করতে উঠা সিদ্দিকুল্লাহ কে বসে দাবিদাওয়া জানাবার সম্মান দিচ্ছেন।ঠিক অপরদিকে রাজ্যের সিআইডি কাটোয়া আদালতে মন্ত্রীর 'ডানহাত' বিকাশ চৌধুরী কে নিজেদের হেফাজতে নিচ্ছে।এই খুনের মামলায় বিকাশ বাবুর পাশাপাশি মন্ত্রীর ভাই রহমতুল্লাহ চৌধুরী মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে 'ফেরার' রয়েছেন। তাই বিকাশ বাবু গ্রেপ্তারে সবথেকে চাপে রয়েছে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। দলনেত্রীর এহেন দ্বিমুখী কৌশলে বেকায়দায় রয়েছেন মঙ্গলকোট বিধায়ক।প্রশাসনিক সভায় মঙ্গলকোট ওসি কে সবাই কে নিয়ে চলবার নির্দেশ যেমন মঙ্গলকোট বিধায়ক কে 'অক্সিজেন ' দিচ্ছে।আবার বিকাশ চৌধুরী সিআইডি হেফাজতে স্বীকোরক্তি কি দেয়? তা নিয়েও ভাবাচ্ছে চৌধুরী সাহেব কে।বিধায়ক শিবিরের দাবি - ধৃত নেতা কে দিয়ে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে দলেরই একাংশ।যদিও সিআইডির তদন্তকারীরা সংবাদমাধ্যম কে জানিয়েছেন, এই মামলায় প্রকৃত খুনিদের ধরতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে।তাই বিকাশ বাবু কে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে খুনে আর কারা কারা যুক্ত তা জানা হবে।
মোল্লা জসিমউদ্দিন
হুগলীর গুড়াপে প্রশাসনিক বৈঠক সেরে পৌনে তিনটেয় পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের শিবদায় পৌছান মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে একাধারে যেমন বিভিন্ন উন্নয়নকাজের পর্যালোচনা চলে, ঠিক তেমনি জেলাপুলিশ কে নরমে - গরমে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসাথে শাসকদলের গোষ্ঠীবিবাদ অধ্যুষিত বিধায়কদের বিপক্ষ গ্রুপের নেতাদের মাথায় রেখে একসাথে উন্নয়নের বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর আজকের বৈঠকে প্রশাসনিক বিষয় হিসাবে উঠে আসে একগুচ্ছ উন্নয়ন কর্মসূচী। ৩০০০ হাজার কোটি অনুদানে দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গ যাবার শর্টকাট সড়ক রুট হচ্ছে।এটি।দাসপুর - মেছেদা থেকে আরামবাগ হয়ে মঙ্গলকোটের নুতনহাটের উপর দিয়ে মোরগ্রাম যাবে।যারফলে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গের ৯০ কিমি রাস্তা কমে যাচ্ছে।এছাড়াও হলদিয়া বন্দর ঘিরে বাণিজ্যপথ তৈরি হবে এই রুটে।ইতিমধ্যেই টালিগঞ্জের এক বেসরকারি সংস্থা এই রুটের সমীক্ষা শুরু করে ফেলেছে গত সপ্তাহে।কালনা থেকে ভাগীরথী নদীর উপর নদীয়া জেলার শান্তিপুর যাওয়ার ব্রিজ গড়ার প্রকল্প নিয়েছে রাজ্য সরকার।এতে দুই জেলার ঘুরপথে সড়কপথ অনেকটাই কমে যাবে।ব্রিজ গড়তে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে তাড়াতাড়ি। ২৭০০ কোটি অনুদানে দক্ষিনবঙ্গের চারটি জেলায় নদনদীর বন্যা ও ভাঙ্গন প্রতিরোধে কর্মসূচী গ্রহন হয়েছে।এইবিধ প্রশাসনিক উন্নয়নকাজ পর্যালোচনার মাঝেই পূর্ব বর্ধমানের সদর বর্ধমান, মেমারি, কালনা,কাটোয়া, দাঁইহাট,গুশকরা পুর চেয়ারম্যানদের একে একে খবরাখবর নেওয়া শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। রাস্তায় পথবাতি খারাপ থাকা, নোংরা আবর্জনা ঠিকমত পরিষ্কার করা নিয়ে সদর বর্ধমান পুর চেয়ারম্যান স্বরুপ দত্ত একপ্রকার ভৎসনার মুখে পড়েন।মুখ্যমন্ত্রী বলেন " গাড়ীতে যখন যান,তখন কি খেয়াল রাখেন না? ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে গাড়ীতে যান।" এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী জানান তিনি নিজে গাড়ীতে থাকার সময় রাস্তার দুধারে সব খেয়াল করেন।কলকাতায় কোন লাইট খারাপ চোখে পড়লে মেয়র কে মেরামতি করতেও বলেন।প্রশাসনিক পর্ব শেষ হবার পুলিশ পর্বে মুখ্যমন্ত্রী কে যথেষ্ট কড়া ভূমিকায় দেখা যায়।পুলিশসুপার এর পাশাপাশি কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট,কাটোয়া,কালনা,মেমারি,জামালপুর প্রভৃতি থানার আইসি / ওসিদের সাথে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি কথা বলেন।কেতুগ্রাম আইসি তাঁর এলাকায় ঘনঘন ভিজিট করতে বলেন। সেইসাথে আর কোন ঘটনা ( জাহির সেখ খুন) না ঘটে সেই ব্যাপারে সদাসর্তক থাকতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। মেমারি ওসি কে মাঝে মাঝে প্রবলেম হচ্ছে তা মিটিয়ে দিন বলে জানান তিনি।জামালপুর ওসি কে বেআইনি বালি খাদান নিয়ে খবরাখবর নেন। সেইসাথে আমরাও নজর রাখছি মন্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলকোট ওসি কে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন - সবাই কে নিয়ে চলতে হবে।ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার, গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর বিপরীত মেরুকরণে থাকা ওসি কে মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন - শাসকদলের দুপক্ষকেই যেন সমান চোখে দেখেন মঙ্গলকোট ওসি।অপরদিকে জেলা পুলিশসুপার কে পথদুর্ঘটনা সম্পকে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য - প্রতিটি মানুষের জীবন খুবই দামি, পানাগড় সহ এনএইচ ২ রাস্তায় ওয়াচ টাওয়ারে নজরদারি বাড়াতে হবে।সেইসাথে ছোটখাটো গর্তগুলি দ্রুত মেরামতি করতে হবে।যদিও মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের উত্তরে পুলিশসুপার জানান - ২৫% দুর্ঘটনা কমেছে, প্রাণহানিও কমছে।এছাড়া এই রাস্তায় পুলিশি টহলদানকারী ভ্যান সর্বদা ঘোরে।জেলার দুই মন্ত্রীর মধ্যে স্বপন দেবনাথ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁতশ্রী প্রকল্পের অভাবনীয় সাফল্য তুলে ধরেন।পূর্বস্থলীর খালবিল সংস্কারে রাজ্যসরকারের প্রধান মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানান স্বপন বাবু।এরপরে মঙ্গলকোট বিধায়ক তথা রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী মুখ্যমন্ত্রী কে জানান "মঙ্গলকোট কে আপনি নজরে রেখেছেন এবং কাজের যে সূযোগ দিয়েছেন তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ "।মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠকের মধ্যেই দলীয় গোষ্ঠী বিবাদ নিরসনে যেভাবে বিধায়কদের নির্দেশ দেন, তাতে শাসকদলের বিপক্ষ গ্রুপের নেতারা খুবই খুশি।এদিন ভাতারের বিধায়ক সুভাষ মন্ডল কে মুখ্যমন্ত্রী বলেন - বনমালী দা ( প্রাত্তন বিধায়ক) কে মাথায় রেখে কাজ করো।অনুরুপভাবে মেমারি বিধায়িকা নার্গিস বেগম কে ওই এলাকার প্রাত্তন বিধায়ক আবদুল্লাহ সাহেব কে সাথে নিয়ে উন্নয়নের প্রসঙ্গ টানেন মুখ্যমন্ত্রী। অর্থাৎ ব্লকে ব্লকে শাসকদলের মধ্যে যে দুটি গ্রুপ তৈরি হয়েছে, সেখানে মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন দুপক্ষই এলাকার উন্নয়নে হাত লাগাক।আউশগ্রামে ডোকরা শিল্প, শক্তিগড়ের মিষ্টিহাব প্রভৃতি প্রকল্পের খুঁটিনাটি তথ্য নেন।সেইসাথে বর্ধমান জেলার সাংবাদিকদের জন্য দ্রুত প্রেসকর্নার গড়ার নির্দেশ জেলাপ্রশাসন কে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রশাসনিক বৈঠকে আউশগ্রাম বিধানসভার সংশ্লিষ্ট সাংসদ অনুপম হাঁজরা কে দেখা যায়নি।তাই প্রশ্ন উঠছে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক সভা করলেন, সেখানে স্থানীয় সাংসদ (তাও দলীয়) কে বাদ দিয়ে প্রকৃত উন্নয়ন কতটা সম্ভব? উঠছে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন, কেননা সাংসদ তহবিলের বরাদ্দকৃত অনুদান বারবার ফিরে গেছে মুখ্যমন্ত্রীর সদ্য প্রশাসনিক সভা করা আউশগ্রাম থেকেই।
শিখা ধর
কোচবিহারের তুফানগঞ্জে ৩ জন দুষ্কৃতি কে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। ৪ টি আগ্নেয়াস্ত্র সহ বেশকিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।পুলিশসুপার তা সাংবাদিক সম্মেলনে জানান।
মোহন সিং
আসানসোলের কাঁজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের নিয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চললো।পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ছিলেন মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি সহ অনেকেই।
মোহন সিং
আসানসোল পুরনিগমের সামনে হকারি করা হকাররা মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারির সাথে সাক্ষাত করে গেলেন। তাদের বক্তব্য দিন প্রতিদিন ওই স্থানে হকার বেড়ে চলেছে। মেয়র জানিয়েছিলেন যে সমস্ত হকাররা আগে থেকে আছে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু এত হকার ওই এলাকায় চলে এসেছে, যে পুরোনো হকারদের ব্যবসা করতে অসুবিধা হচ্ছে। সেই কারনে তারা মেয়রের দ্বারস্থ হলেন।
মোল্লা জসিমউদ্দিন
আজ বিকেলে পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামে 'মিনি নবান্ন ' বসতে চলেছে।তাতে মুখ্যমন্ত্রী একঝাক মন্ত্রীপরিষদ সহ রাজ্যের পুলিশ - প্রশাসনের কর্তাদের আনছেন জেলার উন্নয়ন পরখ করতে।গ্রামাঞ্চলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রধান এজেন্ডা হল উন্নয়নকাজ - সরকারী পরিষেবা প্রদান বিষয়গুলি।তাই এগুলি কে সামনে রেখেই পূর্ব বর্ধমান জেলায় এই প্রথম জেলার সদরে না করে 'জঙ্গলমহল' খ্যাত আউশগ্রাম কে বেছে নেওয়া হয়েছে প্রশাসনিক সভা করবার জন্য।ইতিমধ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলা 'নির্মল জেলা' র শিরোপা আদায় করেছে।তবে সেটি খাতাকলমে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। বাস্তবিক ক্ষেত্রে বাড়ী বাড়ী শৌচালয় যেমন হয়নি, ঠিক তেমনি ব্যস্ততম সড়কমোড় গুলিতে সূলভমূল্যে শৌচাগার গড়ে উঠেনি।নোংরা আবর্জনা সংগ্রহ করতে স্থানীয় পঞ্চায়েত গুলিতে গাড়ীর পরিষেবা চালু পর্যন্ত হয়নি।উল্টে নির্মল ব্লক মঙ্গলকোটে নূতনহাটের লোচনদাস সেতুর নীচে বর্জ নিষ্কাসন প্রকল্পের ঘরে এলাকার মানুষজন 'গোয়ালঘর ' বানিয়েছেন। সর্বোপরি নির্মলতা আনতে গেলে যে জলের প্রয়োজন, সেই জলের উৎস হিসাবে অধিকাংশ সরকারী টিউবওয়েল গুলি কয়েকবছর ধরে বিকল অবস্থায় পড়ে রয়েছে।মেরামতির কোন উদ্যোগ নেই ব্লক প্রশাসনের।প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা কিংবা বাংলা আবাস যোজনায় ঘর বিলিতে চরম দুর্নীতি ঘটছে সারা জেলায়।সেখানে অগ্রিম ২০ হাজার টাকা স্থানীয় গ্রামের শাসকদলের নেতাদের না দিলে পাচ্ছেনা অনেকেই।উপভোক্তাদের বড় অংশ পঞ্চায়েতের অনলাইন কর্মীদের দ্বারা ভুয়ো জায়গায় অন্যের ঘর, কিংবা একই ঘর নানান ভাবে ফটো করে দুর্নীতি চলছে। বিশেষত মঙ্গলকোটে দোতলা তিনতলা বাড়ীর মালিকরা এই প্রকল্পের টাকা লুট করছেন বলে এলাকায় অভিযোগ উঠেছে।বিধায়ক কিংবা সাংসদ তহবিলের অনুদান জেলার উন্নয়নে অনেকাংশ নির্ভরশীল। সেখানে শাসকদলের গোষ্ঠী বিবাদের জন্য বোলপুর সাংসদ অনুপম হাঁজরার সাংসদ তহবিলের অনুদান মঙ্গলকোট, আউশগ্রামে খরচ হচ্ছেনা।এস্টেমেট করে অনুদান দেওয়ার পরেও অনুদান ফিরে গেছে।যে ব্লকে মুখ্যমন্ত্রী আজ প্রশাসনিক সভা করছেন। সেটিও পড়ছে বোলপুর সাংসদের অধীনস্ত বিধানসভা হিসাবে।এখানে অনুব্রত বনাম অনুপমের দ্বন্ধে বন্ধ সাংসদ তহবিলের উন্নয়নকাজ। এমনকি রাজ্যের মন্ত্রী হয়েও সিদ্দিকুল্লাহ তাঁর নির্বাচনী ক্ষেত্র মঙ্গলকোটে বিধায়ক তহবিলের কাজ করতে পারছেন না।স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতি, ব্লক, থানা, এমনকি কোন পঞ্চায়েতেও উন্নয়ন মূলক সভায় ডাক পাননা।বিধায়ক তহবিল থেকে বরাদ্দকৃত অনুদানে ব্লক হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের ঘর নির্মাণ করতে হয় পূর্ত বিভাগ কে দিয়ে।সাধারণত পঞ্চায়েত সমিতি করে থাকে।পূর্ব বর্ধমান জেলায় উন্নয়নকাজে স্থানীয় বিধায়ক - সাংসদদের 'বয়কট' চলছে আউশগ্রাম মঙ্গলকোটের মত ব্লক গুলিতে।তাই মুখ্যমন্ত্রী আজ প্রশাসনিক সভায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের পূর্বে উন্নয়ন - সরকারী পরিষেবা প্রদানে এহেন গোষ্ঠী বিবাদ নিরসনে কি ভূমিকা নেন, তার দিকে তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।
মোল্লা জসিমউদ্দিন
একসময় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলকোটের বুকে দাঁড়িয়ে সিপিএম নেতা ফাল্গুনী মুখার্জী খুনে মূল ষড়যন্ত্রকারী বিকাশ চৌধুরীর নিরপরাধ প্রমাণে সিবিআই তদন্তের দাবিতে মুখর ছিলেন।বর্তমানে সেই বিকাশ চৌধুরীই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিআইডির কাছে গ্রেপ্তার হলেন দলীয় নেতা খুনে মূল ষড়যন্ত্রকারীর অভিযুক্ত হিসাবে।ফাল্গুনী খুনের মামলাটি বিকাশ চৌধুরী কে কাটোয়া মহকুমা আদালতের স্বস্তি আনলেও, ডালিম সেখ খুনে তাঁকে আনলো বিস্তর অস্বস্তি। সোমবার দুপুরে কাটোয়া মহকুমা আদালতে এসিজেম এজলাসে পেশ করা হয় মঙ্গলকোটে দলীয় নেতা ডালিম সেখ খুনে ধৃত জেলাপরিষদ সদস্য বিকাশ চৌধুরী কে।এই মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির আবেদন নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন বাতিল হয়ে ধৃত 'অসুস্থ' নেতার একদিনের জেল হেফাজত হয়।আগামীকাল পুনরায় কাটোয়া আদালতে পেশ করা হবে।এদিন সিআইডির গ্রেপ্তারিপর্ব নিয়ে আদালতে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন উঠে।যে মামলায় অনেক আগেই সিআইডি চার্জশীট পেশ করেছে।সেখানে অভিযুক্ত কে গ্রেপ্তারে আদালতের অনুমতি দরকার।এক্ষেত্রে বিকাশ চৌধুরী গ্রেপ্তারে সিআইডি কাটোয়া আদালত কে কোন কিছু জানাইনি বা অনুমতি নেয়নি।রবিবার দুপুরে বর্ধমান শহরের উল্লাস মোড়ে সিআইডির হাতে ধরা পড়েন এই তৃনমল নেতা।সিআইডি তরফে এনএইচ ২ রাস্তায় পালানোর সময় পাকরাও করা হয়েছে বলে দাবি তোলা হলেও, স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে অনাময় হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসে গ্রেপ্তার হয়েছেন বিকাশ বাবু।গ্রেপ্তারে বিতর্ক তৈরি হলেও, আগামীকাল (২০ মার্চ) মুখ্যমন্ত্রীর এই জেলায় আউশগ্রামে প্রশাসনিক সভা রয়েছে।তাই সিআইডি প্রায় আটমাস 'ফেরার' থাকা খুনের মামলায় মূল ষড়যন্ত্রকারী কে গ্রেপ্তারে সাফল্য দেখালো।যদিও মঙ্গলকোট বিধায়ক তথা রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর ভাই রহমতুল্লা চৌধুরী পলাতক রয়েছেন খুনের পর থেকেই।কে এই বিকাশ চৌধুরী? পূর্ব বর্ধমান জেলার জেলাপরিষদের গভর্নিং বোর্ডের মেম্বার হওয়ার পাশাপাশি তৃনমূলের জন্মলগ্ন থেকেই জেলার সাধারণ সম্পাদক পদে মঙ্গলকোটের খুদরুণ এলাকার বাসিন্দা বিকাশ চৌধুরী। গত বছরের ১৯ জুন মঙ্গলকোটের শিমুলিয়া ১ নং অঞ্চল তৃনমূল সভাপতি ডালিম সেখ খুনে মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে নিহতর দাদা আশরাফুল সেখের দায়ের করা অভিযোগে অভিযুক্ত হলেও, এরপূর্বে বাম আমলে মঙ্গলকোটের বহু চর্চিত সিপিএম নেতা ফাল্গুনী মুখার্জী খুনেও অনুরুপ অভিযুক্ত ছিলেন বিকাশ বাবু।২০০৯ সালের ১৫ জুন নিহত ফাল্গুনী খুনের মামলাটি একপ্রকার কাটোয়া আদালতে অভিযোগ ভিক্তিহীন হওয়ার পথে।রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই মামলা নিয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুভেন্দু অধিকারী, মদন মিত্র, মুকুল রায় দের মত নেতাদের দেখা গেছে এই বিকাশ চৌধুরীর পাশে ।সেসময় মমতা প্রকাশ্য মঞ্চে খুদরুণে ফাল্গুনী খুনে আসল সত্য উদঘাটনে সিবিআই তদন্ত দাবি করেছিলেন। ক্ষমতায় এলে সিবিআই হবে এই আশ্বাসও দিয়েছিলেন তিনি মঙ্গলকোটবাসী কে।সেইসাথে মঙ্গলকোট লাগোয়া নানুরের বাসাপাড়ায় ২৯ জুলাই সূচপুরের গনহত্যা নিয়ে শহীদ দিবস পালনে মমতা অনেকটাই নির্ভর থাকতেন এই বিকাশ চৌধুরীর উপর।সিপিএমের হাতে খুন হওয়া মঙ্গলকোটের তৃণমূল কর্মী দিলীপ ঘোষের মৃতদেহ ২০১০ সালে ৫ ডিসেম্বর কলকাতার রাজপথে সুবিচারের দাবিতে যে মিছিল করেছিলেন দলনেত্রী।তার সিংহভাগ মঙ্গলকোটের দায়িত্ব পালনে ছিলেন এই বিকাশ চৌধুরীই। ২০১১ সালে মঙ্গলকোট বিধানসভার প্রার্থী হবেন বিকাশ চৌধুরী। এটা অনেকেই নিশ্চিত ছিলেন।তবে অলৌকিকভাবে অনুব্রত অনুগামী অপূর্ব চৌধুরী দলীয় প্রার্থী হন।তুমুল পরিবর্তনের হাওয়া সত্বেও পরাজিত হন তিনি।আর এই অন্তর্ঘাতে অপূর্ব চৌধুরী অভিযোগ তোলেন বিকাশ চৌধুরীর উপরেই।সেইথেকে মঙ্গলকোটের দুই চৌধুরীর গোষ্ঠী বিবাদ বাড়ে।তাতে নূতন মাত্রা দেন আরেক চৌধুরী সিদ্দিকুল্লাহ।২০১১ সালে যতটা দলীয় প্রার্থী হওয়াতে এগিয়ে ছিলেন বিকাশ চৌধুরী, তার থেকে একশোভাগ নিশ্চিত ছিলেন অপূর্ব চৌধুরী ২০১৬ এর বিধানসভায় প্রার্থীপদে।সেখানে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী চলে আসায় বিকাশ বাবু নাম লেখান অপূর্ব বিপক্ষের শিবিরে।এরেই মাঝে খুন হন ডালিম সেখ।যিনি অপূর্ব অনুগামী অঞ্চল সভাপতি ছিলেন।এই খুনে বিকাশ চৌধুরী এবং সিদ্দিকুল্লাহের আপন ভাই রহমতুল্লাহ চৌধুরীর নাম জড়ায়।এমনকি মঙ্গলকোট বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর নাম টা রেখেছিল নিহতর পরিবার।শীর্ষ তৃনমূল নেতাদের নির্দেশে তা বাতিল হয়।ডালিম সেখ খুনের প্রায় একবছর ধরে জেলাপরিষদ সদস্য বিকাশ চৌধুরীর সর্বক্ষণের পুলিশি রক্ষী থাকত।তাই স্বভাবতই প্রশ্ন উঠে কিভাবে এক পরিকল্পিত খুনের ষড়যন্ত্র পুলিশের উপস্থিতিতেই চালালেন এই নেতা? এইবিধ নানান প্রশ্ন এই খুন কে ঘিরে তৈরি হয়েছে।এমনকি সিআইডি কাটোয়া আদালতে ভৎসনার শিকারও হয়েছে।পঞ্চায়েত নির্বাচনের পূর্বে একপক্ষ কে খুশি করতে গিয়ে সিআইডি কে তোতোপাখি বানালো শীর্ষ তৃনমূল।এই অভিযোগ মঙ্গলকোটের বিধায়ক শিবিরের পক্ষে।অপরদিকে মঙ্গলকোট ব্লক তৃনমূল সভাপতি ও সেইসাথে ২০১১ বিধানসভায় পরাজিত তৃনমূল প্রার্থী অপূর্ব চৌধুরীর শিবির খুবই চনমনে বিকাশ চৌধুরী গ্রেপ্তারে।তাদের অভিযোগ - অনেক আগেই গ্রেপ্তার হত, কিন্তু মন্ত্রী আশ্রয় দেওয়াতেই এই বিলম্ব ঘটলো।এরপরে মন্ত্রীর ভাই রহমতুল্লা চৌধুরী কে দ্রুত গ্রেপ্তার করুক সিআইডি।এটাই চাইছেন তারা।অন্ততপক্ষে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে।
মানস দাস,মালদা
তৃণমূলের দলীয় সভা ঘিরে গোষ্ঠী সংঘর্ষের অভিযোগ উঠল মালদায়। আক্রান্ত হলেন দলের অঞ্চল কার্যকরী সভাপতি। আজ বিকেলে ঘটনাটি ঘটে মালদার বৈষ্ণবনগর থানার ভগবানপুরের চাঁদনি চক এলাকায়। আহত তৃণমূল নেতাকে প্রথমে স্থানীয় বেদরাবাদ গ্রামীণ হাসপাতাল ও পরে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনায় দলীয় পর্যায়ে তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন।আজ দুপুর তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের একটি সভা ছিল ওই এলাকায়। ছিলেন জেলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশ। অভিযোগ, তাঁরা ফিরে যাওয়ার পরই বিকেলে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই সভা ডেকেছিলেন তৃণমূল নেতা অসিতবরণ বসু ঘনিষ্ঠ ব্লক সভাপতি নালেপ আলি। তিনি নাকি দলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বিরোধী। সভায় মোয়াজ্জেম গোষ্ঠীর কাউকেই ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ। সভা শুরু হতেই সেখানে হাজির হয়ে এনিয়ে প্রশ্ন তোলেন মোয়াজ্জেম ঘনিষ্ঠ ভগবানপুরের অঞ্চল তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি মণিরুল ইসলাম। অভিযোগ, তখনই নালেপ আলি ও তাঁর লোকজন লাঠি ও লোহার রড নিয়ে মণিরুলের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। রডের আঘাতে মাথা ফেটে যায় মণিরুল ইসলামের।মণিরুলের বক্তব্য, তিনি এলাকার ৬টি বুথের আহ্বায়ক। তাঁর বাড়ির পাশেই সভা অথচ তাঁদের কাউকে সভায় ডাকা হয়নি। তিনি আরও বলেন, দলীয় শীর্ষ নেতৃত্ব বারবার বলেছে সবাইকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। তিনি সভায় গিয়ে সেকথা বলতেই নালেপ ও তাঁর লোকজনেরা তাঁর উপর হামলা চালায়। মণিরুলের অভিযোগ, এলাকায় নিজের ইচ্ছামতো কাজ করছেন নালেপ। দলের জেলা সভাপতিকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়ে মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “বৈষ্ণবনগর এলাকায় নালেপ আলিকে ব্লক সভাপতি হিসাবে কেউ মানতে পারছেন না। তিনি নিজের খেয়ালখুশিতে দল চালাচ্ছেন। এদিনও তিনি নিজের ইচ্ছায় সভা ডাকেন, যেখানে সব কর্মী-সমর্থককে ডাকা হয়নি। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখে দলের শীর্ষনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে রিপোর্ট পাঠানো হবে। এধরনের ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না।”
মোল্লা জসিমউদ্দিন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...