সঞ্জয় হাল্দার
পুরুলিয়ার বিভিন্ন ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেস এর ডাকে পেট্রোল ডিজেল, রান্নার গ্যাস সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হল।
সঞ্জয় হাল্দার
পুরুলিয়ার বিভিন্ন ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেস এর ডাকে পেট্রোল ডিজেল, রান্নার গ্যাস সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হল।
শ্যামল রায়
আগের তুলনায় এখন স্বাস্থ্য পরিষেবার অনেকটাই উন্নতি ঘটেছে পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। এমনটাই দাবি করেছেন ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা রোগীরা।
শনিবার ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেল যে সকাল ৯টার মধ্যেই ল্যাবরটরি খুলে বসে গিয়েছেন টেকনিশিয়ান। পিপি মডেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজয় দাস ও টেকনিশিয়ান সুব্রত জানিয়েছেন যে স্বাস্থ্যপরিসেবা নিয়ে যাতে কোনো রকম অভিযোগ না ওঠে সেই দিকেই আমরা গুরুত্ব দিই এবং ভালো পরিষেবা পেতে পারেন রোগীরা তার সমস্ত রকম ব্যবস্থা রয়েছে আমাদের। বিজয় দাস জানিয়েছেন যে সরকারি ভর্তুকি মূল্যে আমরা সমস্ত রকম রক্তের গ্রুপের পরীক্ষা ন্যায্যমূল্যে করে থাকি। এরফলে ব্লকের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসা রোগীরা উপকৃত হচ্ছেন।
আগামী দিন আরো যাতে ভালো পরিষেবা দেওয়া যায় এবং হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়ন ঘটক সেই দিকেই আমরা নজর রাখছি।
তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা রোগীদের দাবি যে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিষেবা যেভাবে উন্নতি ঘটছে আরো কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার থাকলে এই ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে এলাকার মানুষের কাছে আরও ভালো পরিষেবা পেতে পারতেন সেই দিকেই নজর দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা।ঠিক সময়ে আউটডোর খোলা হয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। প্রতিদিন প্রায় আড়াই থেকে তিন শতাধিক রোগী আউটডোরে চিকিৎসা পরিষেবা পান।ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান সুব্রত জানিয়েছেন যে প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০ জন রোগীর রক্ত পরীক্ষা করা হয়। এই রক্ত পরীক্ষায় বিভিন্ন ধরনের রোগ ধরা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।তবে হাসপাতালে বেড সংখ্যা বাড়লেও এখনও ঠিকমত চিকিৎসকের অভাবের কারণে চালু করা হয়নি বলে জানা গেছে।স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক মৃণাল কান্তি হালদার জানিয়েছেন যে আগের তুলনায় এখন রোগীরা ভালো পরিষেবা পাচ্ছেন।বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হলে এই হাসপাতাল থেকে অন্য কোথাও রোগীদের রেফার করার প্রয়োজন হত না।আরেকটু পরিকাঠামো উন্নয়নের দরকার বলে তিনি মনে করছেন।
হাসপাতালে নার্স এবং চতুর্থ শ্রেণীর কোন নিয়ম রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।পরিকাঠামোর উন্নয়নের পাশাপাশি শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ হলে একটি পূণাঙ্গ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের রূপ পেতো এমনটাই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীদের।এলাকার বাসিন্দাদের দাবি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পাশাপাশি দরকার পরিকাঠামোর আরও উন্নয়ন।পূর্বস্থলী ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এলাকার কুড়িটি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে কয়েক হাজার মানুষ চিকিৎসা করতে আসেন এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ।তাই বাসিন্দাদের ভরসা এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি।
মোল্লা জসিমউদ্দিন
মঙ্গলকোট ব্লক অফিসে দোতলায় শুক্রবার দুপুরে এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়।পঞ্চায়েত সমিতির কর্মচারীরা এই শিবিরটিত অন্যতম উদ্যোক্তা। এদিন পঞ্চাশের বেশি মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতির কর্মীরা সহ আধিকারিকরা রক্তদান করেন বলে জানান বিদায়ী পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মুন্সি রেজাউল হক।জানা গেছে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের ব্লাডব্যাংকে সংগ্রহীত রক্ত পাঠানো হয়েছে।
সোমনাথ চক্রবর্তী
শুক্রবার ময়নাগুড়ি রবিতীর্থ ভবনে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃনমূল কংগ্রেস থেকে বিজয়ী প্রার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।এ দিনের এই সংবর্ধনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ময়নাগুড়ি বিধায়ক অনন্ত অধিকারি,ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুভাষ বোষ প্রমুখ।
এ দিনের সভা প্রসঙ্গে ময়নাগুড়ি ব্লক সভাপতি মনোজ রায় বলেন গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃনমূল কংগ্রেসের ব্যপক সাফল্য হয়েছে।আর এই সাফল্য সাধারন মানুষের জন্যই হয়েছে।মা মাটি মানুষের সরকার চারিদিকে যে উন্নয়ন মূলক কাজ করে চলেছে তারই নিরিখে মানুষ ভোট দিয়েছে।এই জয়ে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে তাদের সংবর্ধনা দেওয়ার জন্যই এদিনের এই অনুষ্ঠান বলে জানান মনোজ রায়।
মোল্লা জসিমউদ্দিন
গত বাম জমানায় খুন রাহাজানি লেগেই থাকত মঙ্গলকোটে, সেই মঙ্গলকোট আজ বিভিন্ন উন্নয়নকাজে পরিপূর্ণ। তবে এলাকাবাসীরা আরও কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প চাইছেন এই এমএসডিপি ব্লকে।২০১০ সালে কেন্দ্রীয় সরকার অবিভক্ত বর্ধমান জেলার দুটি ব্লক কে 'এমএসডিপি' হিসাবে স্বীকৃতি দেয়।যার ফলস্বরুপ কেন্দ্রীয় সরকার উন্নয়ন খাতে অতিরিক্ত দশ কোটি টাকা বরাদ্দকৃত করে থাকে।২০১১ সালের বাম শাসন অবসানের আগে কলেজ - কৃষাণ মান্ডি - মিনি ইন্ডোর স্টেডিয়াম - এফসিআই গোডাউন - বিদ্যুৎ এর সাব স্টেশন - জল প্রকল্প - সংখ্যালঘু ছাত্রাবাস প্রভৃতি প্রকল্প গুলি ছিলনা।অধিকাংশ রাস্তাঘাট কাচা, বাড়ী বাড়ী শৌচাগার না থাকা, চাষাবাদে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা সরকারী অনুদান পেতনা সেসময়। ২০১১ সালে তৃনমূল সরকার আসার পর থেকেই বনকাপাসি এলাকায় প্রায় দুকোটি খরচে শোলা শিল্পীদের শোলাহাব, খুদরুন দিঘীর পাড়ে সরকারী ডিগ্রী কলেজ, পলেটেকনিক কলেজ, মঙ্গলকোট হাই মাদ্রাসায় সংখ্যালঘু ছাত্রাবাস, নুতনহাটে কৃষাণ মান্ডি - এফসিআই গোডাউন হয়েছে।এইরুপ নানান উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন ঘটেছে মঙ্গলকোটের বুকে।দুটি বিদ্যুতের সাব স্টেশন চালুর মুখে।প্রায় গ্রামে পিচ সহ ঢালাই রাস্তা, প্রায় বাড়ী বাড়ী শৌচাগার হয়েছে নির্মল বাংলা প্রকল্পে।২০১৬ সালে বিধায়ক হিসাবে মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী আসায় উন্নয়নের গতি সাময়িক বেড়েছিল। হাসপাতালে কুড়ি লক্ষ টাকা অনুদানে মাতৃসদন হয়েছে।তিনটি আম্বুলেন্স দিয়েছেন। রাজ্য গ্রন্থাগার দপ্তরের ত্রিশ লক্ষ অনুদানে নুতনহাট মিলন পাঠাগারের নব ভবন সহ মডেল লাইব্রেরি হয়েছে শিলাবৃষ্টিজনিত - বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা সরকারী অনুদানও পেয়েছে।ঠিক এইরকম পেক্ষাপটে এলাকাবাসীরা আরও কিছু উন্নয়ন প্রকল্প চেয়েছেন এলাকার জনপ্রতিনিধিদের কাছে।মঙ্গলকোটের মত বৃহত্তম ব্লকে দমকলকেন্দ্র গড়াটা আবশ্যিক। অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে ১৫ কিমি দূরে ভাতার কিংবা ২৮ কিমি দূরে কাটোয়া থেকে আগুন নেভাতে গাড়ী আসে।যখন আসে তখন উদ্ধারকাজ করার মত পরিস্থিতি থাকেনা। প্রত্নস্থল হিসাবে খ্যাত মঙ্গলকোটে মিউজিয়াম নির্মাণ দাবিটি দীর্ঘদিনের।মুঘল সম্রাট শাহজাহান বাদশা - হামিদ বাঙ্গালী - বিক্রমাদিত্য স্মৃতি বিজড়িত মঙ্গলকোটে এখনও নদনদী কিংবা পুকুর বাড়ী খননে নানান মূর্তি উদ্ধার হয়।তাই মিউজিয়াম তৈরি হলে অন্য মঙ্গলকোট কে জানতে পারবেন অনেকেই।আঠারো অলি খ্যাত মঙ্গলকোটে মুসলিমদের থাকার মত সরকারী অতিথিনিবাস নেই এখানে।প্রতিবছর উরশে কাদেরিয়া - হামিদ বাঙ্গালির মাজারে লক্ষ লক্ষ মুসলিমদের সমাগম ঘটে এই মঙ্গলকোটে।তাই অতিথিনিবাসের পরিকাঠামো না থাকায় অনেককেই খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে হয়।এইরুপ নানান উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার দাবি উঠেছে মঙ্গলকোট কে ঘিরে।জেলাপ্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, মিউজিয়াম প্রকল্পটি প্রস্তাবনায় রয়েছে।দমকলকেন্দ্র এবং মুসলিম অতিথিনিবাস প্রকল্প বিষয়ে ব্লক প্রশাসনের কাছ থেকে রিপোর্ট নেওয়া হবে।২০১০ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের 'এমএসডিপি' ব্লক হিসাবে মঙ্গলকোট অতিরিক্ত দশ কোটি টাকা বাৎসরিক অনুদান পেলেও সংখ্যালঘু উন্নয়নে সেই অর্থ যথার্থ ব্যবহার হয়নি বলে অভিযোগ।২০১১ থেকে ২০১৬ অবধি থাকা মঙ্গলকোটের সিপিএম বিধায়ক শাহজাহান চৌধুরী বাজার বনকাপাসিতে শোলা হাব প্রকল্পটি নিয়ে বিধানসভায় বারবার সরব হয়েছিলেন।সেইসাথে মুখ্যমন্ত্রী কে লিখিত অভিযোগ জানিয়েও ছিলেন।শোলা শিল্পের সাথে কোন সংখ্যালঘু ব্যক্তি যুক্ত না থাকা সত্বেও কেন এমএসডিপির প্রায় ২ কোটি অনুদান এখানে অপব্যবহার হল? তা নিয়ে সবিস্তর প্রশ্ন তোলা হয়েছিল।সদর মঙ্গলকোট গ্রামে হাই মাদ্রাসার ছাত্র নিবাস গড়তে ১ কোটির বেশি অর্থ এসেছিল।নিম্নমানের ইমারত সামগ্রী ব্যবহার করায় ছাত্রীনিবাসের ছাদটি বিপদজনক হয়ে উঠেছে বলে অভিভাবকদের অভিযোগ।বৃষ্টি হলেই জল ছুঁইয়ে ছুঁইয়ে পড়ে ঘরে।এইবিধ নানান অনিয়ম - দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এমএসডিপির অনুদান ঘিরে।দাবি উঠেছে বাংলার বাদশা হোসেন শাহ এর তৈরি যে সৌধ রয়েছে মঙ্গলকোটের নুতনহাট বাসস্ট্যান্ড চত্বর এলাকায়।তার দ্রুত সংস্কার হোক।মুঘল সম্রাট শাহজাহান বাদশার শিক্ষা ও ধর্মীয় গুরু হামিদ বাঙ্গালীর সমাধিস্থলটি সংস্কারে হাত দিক প্রশাসন।আঠারো অলি খ্যাত মঙ্গলকোটে সরকারী মুসলিম অতিথিনিবাস গড়ে উঠুক চাইছেন এলাকাবাসীরা।প্রতি বছর কাদেরিয়া পীরসাহেবের উরশে লক্ষ লক্ষ ধর্মপ্রাণ এখানে আসেন।তারা অস্থায়ী ছাউনি করেন।সিউড়ির পাথরচাপরি দাতাবাবার মাজারে যে সরকারী উদ্যোগ দেখাগেছে, সেই অনুরুপ উদ্যোগ মঙ্গলকোটের মাজার শরিফে নেওয়া হোক।এইবিধ নানান উন্নয়ন প্রকল্প না নিলে মঙ্গলকোটের যথার্থ উন্নয়ন আসবেনা কখনই।তা মানছেন মঙ্গলকোটে একদা বিডিও পদে থাকা বেশকয়েকজন আধিকারিকও।
মোল্লা জসিমউদ্দিন
বহু প্রতীক্ষিত 'আলেয়া' সিনেমাটি আগামী ২৯ জুন ভারত - বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন পেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে।শুক্রবার এই সিনেমার ট্রেলার রিলিজ নিয়ে ছিল এক সাংবাদিক সম্মেলন।সিনেমাটির চিত্রপরিচালক তথা আইপিএস অফিসার ড: হুমায়ুন কবীর তাঁর কর্মজীবনে সত্য ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে যে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন।এই ছবিটির তারই চিত্রনাট্য রুপ বলা যায়।ভারত বাংলাদেশের নামিদামী অভিনেতা অভিনেত্রীরা এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন।নারী পাচার নিয়ে সমাজ কে হৃদয়স্পর্শী বার্তা দিতে চেয়েছেন পরিচালক কবীর সাহেব।
মোহন সিং
আসানসোল ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ইন্ডিয়া পাওয়ারের কনজিউমার মিট। কোম্পানীর গ্রোথ এবং আরও ভালো সার্ভিস দেওয়ার জন্য ইন্ডিয়া পাওয়ারের পক্ষ থেকে এই কনসিউমার মিটের আয়োজন করা হয়। এই সেমিনারে কোম্পানীর প্রোফাইল তুলে ধরার পাশপাশি আগামী দিনের কর্মসুচীও গ্রাহকদের সামনে তুলে ধরেন কোম্পানীর আধিকারিকরা
ফারুক আহমেদ
ড. হুমায়ুন কবীর পরিচালিত 'আলেয়া' চলচ্চিত্রের আজ ট্রেলার রিলিজ হলো নবীনা সিনেমা হলের বিপরীতে 'কেমব্রিজ ব্যানকয়েটে' এই উপলক্ষে এক মহতী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।মহতী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ড. হুমায়ুন কবীর, অনিকেত চট্টোপাধ্যায়, তনুশ্রী চক্রবর্তী, প্রদীপ চুড়িয়াল সহ সিনেমার সকল কলাকুশলীরা। "আলেয়া" চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত হয়েছে চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতে কিছু শব্দ যেমন, ত্রিশূল গাঁথা, কাফের, আমেদাবাদ, গুজরাট ও জয় শ্রীরাম এই পাঁচটি শব্দই সেন্সর বোর্ড আপত্তিজনক বলেছিল এবং সাইলেন্ট করে দিলে তবেই মিলবে ছাড়পত্র। সেন্সর বোর্ড জানিয়ে দিয়েছিল পরিচালক ড. হুমায়ুন কবীরকে। অবশেষে শব্দগুলো সাইলেন্ট করায় সেন্সর বোর্ড ছাড়পত্র দিল। ড. হুমায়ুন কবীর পরিচালিত 'আলেয়া' চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেতে আর কোনও বাধা রইল না। আজ ট্রেলার রিলিজ হল। ট্রেলার রিলিজে ড. হুমায়ুন কবীর জানালেন তার পরিচালিত ছায়াছবি 'আলেয়া' মুক্তি পাচ্ছে ২৯ জুন।কলকাতার আনোয়ার শাহ রোডের "কেমব্রিজ বানকোয়েট' (নবীনা সিনেমা হলের বিপরীতে) প্রখ্যাত লেখক ও চলচ্চিত্র পরিচালক ড. হুমায়ুন কবীর (আই পি এস)-এর নতুন সিনেমা 'আলেয়া' চলচ্চিত্রটি দর্শকমহলে ঝড় তুলতে বড় পর্দায় আসবে ২৯ জুন।
দক্ষ প্রশাসক ও সমাজ সচেতন পুলিশ আধিকারিক ড. হুমায়ুন কবীর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা থানার অন্তর্গত রায়পুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বহু সংগ্রামের মধ্য দিয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জন করেছেন। মেধাবী ছাত্র হিসেবে তাঁর সুনাম আছে গোটা রাজ্যে। ড. হুমায়ুন কবীর উদ্ভিদবিদ্যায় এমএসসি করেছেন। উদ্ভিদবিদ্যায় নিয়ে এমএসসি'র ফাইনাল পরীক্ষায় দারুণ ফল করেছিলেন (প্রথম শ্রেণিতে প্রথম)। তিনি ভাল ফল করে জেলার মুখ উজ্জ্বল করেছিলেন। হুমায়ুন কবীর পিএইচডি ডিগ্রিও অর্জন করেছেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কয়েকমাস শিক্ষকতার চাকরিও তিনি করেছেন। ১৯৯০ সালে ড. হুমায়ুন কবীর পশ্চিমবঙ্গ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় সফল হয়ে পুলিশের চাকরিতে যোগদান করেন। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় অতি দক্ষতার সহিত দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। বীরভূম, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ জেলার সুপারিন্টেনডেন্ট অব পুলিশ গুরুদায়িত্বপূর্ণ পদে তিনি বিশেষ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের ডিআইজি পদে কর্মরত। রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে দার্জিলিংকে শান্ত করতে বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে ডিআইজি পদে পাঠিয়েছিলেন।
২০০১-২০০২ সালে সংযুক্ত জাতিপুঞ্জের হয়ে বসনিয়া-হারজিগোভিনায় পিস কিপিং ফোর্স হিসাবেও কাজ করেছেন। এই মুহূর্তে তিনি বাংলা সাহিত্যজগতে একজন প্রখ্যাত সাহিত্যিকও বটে। তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ 'নখের দাগ' প্রকাশিত হওয়ার আগে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়েছিল 'সানন্দা' পত্রিকায়। এছাড়াও 'আলেয়া' নামে গল্পগ্রন্থ ইতিমধ্যে পাঠক দরবারে বিশেষ দাগ কেটেছিল। কয়েকমাস ধরে ড. কবীর-এর লেখা উপন্যাস 'দেশ' পত্রিকায় ধারাবাহিক প্রকাশিত হয়েছে। উপন্যাসটির নাম 'ফাইনাল গাজি' যা পাঠকদের মুগ্ধ করেছিল। 'দেশ' পত্রিকায় ধারাবাহিক প্রকাশের সময় প্রতিসংখ্যায় ছিল টানটান উত্তেজনা ও বিশেষ মোড়। এছাড়াও বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তিনি নিয়মিত লিখছেন। বর্তমানে তিনি কয়েকটি উপন্যাস লেখায় হাত দিয়েছেন। আগামীতে বই হয়ে প্রকাশিত হবে। কয়েকটি চলচ্চিত্রের জন্য স্ক্রিপ্ট রেডি করেছেন। আরও কিছু চিত্রনাট্য লেখাতেও হাত দিয়েছেন। আগামীতে সামাজিক কল্যাণে তিনি আরও অনেক ছবি পরিচালনা করবেন বলে জানিয়েছেন এই প্রতিবেদকে। তিনি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পত্রিকায় প্রবন্ধ ও গল্প লিখছেন। পাঠক সমাজ সমৃদ্ধ হচ্ছে তাঁর লেখা পড়ে।বাংলা সাহিত্যজগতে তাঁর নিজস্ব পাঠকসমাজ তিনি তৈরি করতে পেরেছেন। প্রকৃতি, পাহাড়, সমুদ্র তাঁকে খুব টানে।
শুধু ভারতবর্ষ নয়, পৃথিবী জুড়ে মুসলিমরা যেভাবে মূল স্রোত থেকে দূরে সরে যাচ্ছে তা তাঁকে গভীর ভাবে ভাবায়, ধর্মীয় ভাবাবেগ আর মৌলবাদ ছেড়ে বিপদগ্রস্তদের ফিরিয়ে আনতে হলে আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি প্রযুক্তি-কারিগরি শিক্ষায় সমাজকে শিক্ষিত করতে হবে। সামাজিক ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষাই সমাজকে মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার একমাত্র পথ বলে তিনি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করেন।
চরম প্রশাসনিক ব্যস্ততার মধ্যে থেকেও তিনি সমাজকে নিয়ে ভাবেন এবং সমাজকে সুপথে চালিত করতে তিনি বড় উদ্যোগ নিয়েছেন। বিগত ২২ বছর তিনি বিভিন্ন জেলায় মানুষকে সচেতন করতে ইসলামী জলসা গুলোতে গিয়ে বক্তব্য রাখছেন। সম্প্রতি দুটি ইসলামী জলসাতে তাঁর মূল্যবান বক্তব্য শোনার সৌভাগ্য হয়েছিল। প্রান্তিক মানুষদেরকে সচেতন করতে তিনি আহ্বান জানান আধুনিক শিক্ষা অর্জন করার জন্য। তিনি নিজেদের মধ্যে মারামারি না করার কথা তুলে ধরলেন। কোনও রাজনীতি ফাঁদে পা দিয়ে নিজেদের মধ্য মারামারি করে বলি হওয়ার রাস্তা থেকে দূরে থাকার কথাও তুলে ধরলেন। আর তিনি দাঙ্গার প্রচনায় পা না দেওয়ার আহ্বান রাখেন। দাঙ্গাকারীদের থেকে দূরে থেকে পুলিশ ও প্রশাসনকে কিছু ঘটার আগেই খবর দেওয়ার কথা বললেন।মানব কল্যাণের জন্য তিনি হাতে কলম তুলে নিয়েছেন, অনেক দিন আগেই।
এবার তিনি কমারশিয়াল চলচ্চিত্র বাংলা সিনেমা পরিচালনা করলেন।
ড. হুুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, তাঁর পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র "আলেয়া"র শ্যুটিং শেষ হয়েছে। মুক্তির অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। ''আলেয়া'' মানব সমাজে গভীর ভাবে দাগ কাটবেই। এই চলচ্চিত্র নিয়ে তিনি এই আশা করেন। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান 'শত কাজের ব্যস্ততার মধ্যেই ছবির শ্যুটিংটা সেরে ফেললাম। কী জানেন, আমরা সবাই সমাজবদ্ধ জীব। সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। সচেতন মানুষ হিসেবে বলতে পারি আজকের পারিপার্শ্বিক অবস্থান খুব একটা সুখের নয়। কোথাও একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আমার ছবির বক্তব্য বাল্যবিবাহ আর সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে।' তিনি আরও জানালেন, 'আসলে প্রিন্টের চেয়ে ভিস্যুয়াল এফেক্ট বেশি। যে কথাটা লিখলে হত সেটা ক্যামেরায় বললে আরও আরও বেশি অর্থবহ। সেই জন্যই ছবিটা শেষমেশ হল।' এই 'আলেয়া' একটি থ্রিলার ছবি। ছবিতে অভিনয় করেছেন প্রিয়াংকা সরকার, সায়নী ঘোষ, অংকিতা, তনুশ্রী চক্রবর্তী, বাংলাদেশের অভিনেতা আমন রেজা। অন্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন, গৌতম হালদার, শেখর সমাদ্দার, খরাজ মুখোপাধ্যায়, সৌম্যজিৎ মজুমদার এবং বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিখ্যাত অভিনেতা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, ড. হুমায়ুন কবীর ও তাঁর স্ত্রী অন্দিতা কবীর। আরও অনেকেই এই ছবিতে কাজ করেছেন।
যারা ছবিটি দেখেছেন তারা অনেকেই মনে করছেন এই ছবিটি বড় হিট করবে এবং বাংলা চলচ্চিত্রে একটা জায়গা করে নেবে।
বাংলা চলচ্চিত্র পরিচালনায় আইপিএস আধিকারিক ড. হুমায়ুন কবীর এবার আমজনতার মনে কতটা ঝড় তুলতে পারেন সেটাই দেখার। পশ্চিমবঙ্গে বাঙালি মুসলমানদের মধ্যে নায়ক, নায়িকা, গায়ক, গায়িকা আর পরিচালকের অভাব ছিল দীর্ঘদিন ধরে। এবার আশা করা যায় প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও দক্ষ পুলিশ আধিকারিক ড. হুমায়ুন কবীরের হাত ধরে এই সাংস্কৃতিক শুন্যতার অবসান ঘটবে। 'আলেয়া' ছবিটির এডিটিং এর কাজ শেষ হয়েছে। আগামী দিনে রিলিজ করছে ছবিটি। বিশ্বের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে এই 'আলেয়া' চলচ্চিত্রটি।
'আলেয়া' ছবির কাহিনী বড় টানটান ঘটনার মধ্য দিয়ে এগিয়েছে। সম্প্রতি এই "আলেয়া" চলচ্চিত্রটি আমার দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। ছবিটি একটা বেস্ট ছবি হয়েছে। দর্শকমহলে ঝড় তুলবে "আলেয়া।"ছবিটি বিষয়-বৈচিত্র্যে ভরা। দারুণ চিত্রনাট্য লিখেছেন ড. হুমায়ুন কবীর। তিনি প্রখ্যাত পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায়ের কাছ থেকে অনেক কিছুই শিখলেন এবং তার কাজেরও তারিফও করলেন। অনিকেত চট্টোপাধ্যায়ের কাছ থেকে দারুণ সহযোগিতা পেয়েছেন তিনি। এই ছবির কাজ সম্পূর্ণ করতে গিয়ে। তিনি দ্রুত অনেক কাজও শিখলেন এই চলচ্চিত্র পরিচালনা করতে গিয়ে। ছবিতে চার সখীর বাস্তবিক গল্প বলতে চেয়েছেন পরিচারক ড. হুমায়ুন কবীর। চার চরিত্রে তুখোড় অভিনয় করেছেন আলেয়া'র চরিত্রে (প্রিয়াংকা), রুমানা'র চরিত্রে (সায়নী ঘোষ), শ্যামা'র চরিত্রে (অংকিতা) আর সুমনা'র চরিত্রে বিশিষ্ট মডেল ও নায়িকা তনুশ্রী চক্রবর্তী। সবার মন কাড়বে এই ছবির নায়িকা তনুশ্রী চক্রবর্তী। দুইজন মসুলিম চরিত্র ও দুইজন হিন্দু চরিত্র নিয়েই এই ছবি, তাঁদের গল্প ফুটিয়ে তুলে ধরতে চেয়েছেন পরিচালক ড. হুমায়ুন কবীর। "আলেয়া"র ১৭ বয়সে বিয়ে হয়ে যায়। "আলেয়া" বিয়ে করতে চায়নি, তাঁর সখীদের সঙ্গে সে তখন বার ক্লাসে পড়ছে। তাঁর সখীরা প্রতিবাদ করেও তাঁর বিয়ে আটকাতে পারেনি। তাঁর বাবা জোর করে মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিল। ভারতবর্ষে তখন বড় জটিল রাজনৈতিক পরিবেশের মধ্য দিয়ে চলছিল। তাঁর প্রভাবও পড়ে "আলেয়া"র গ্রাম বসিরহাটে। তাঁর বিয়ের দিন এলাকায় চরম ভাবে দুই সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের মধ্যে দাঙ্গা লাগে। তবু তাঁদের চার সখীকে কেউ আলাদা করতে পারেনি। পরিচালক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দেওয়ার প্রয়াস নিয়েছেন ওই সময়ের ঘটনা তুলে ধরে। দুই সন্তান নিয়ে আলেয়া তালাক পায়। তাঁর স্বামী জোর করে তাঁকে তালাক দেয়। আলেয়ার জীবনে নেমে আসে চরম ঘাত-প্রতিঘাত। নানান ভাবে জীবন সংগ্রাম করে বেঁচে থাকার লড়াই করে সে। এই ছবিতে অন্যদিকে সুমনা নিউ টাউন থানায় এসআই পদে আসীন। ছবিটির শুরু হচ্ছে নিউ টাউন থানা থেকে। সুমনার নেতৃত্বাধীন পুলিশ ফোর্স কলকাতার নাইট ক্লাবে হামলার মোকাবিলা করতে যায়। পুলিশ ও সমাজবিরুদ্ধ লোকের মধ্যে গুলি চলে এবং একজন বার ডান্সার গুলি খেয়ে মারা যান। এই ঘটনায় দারুণ মোড় নেয় ছবিটি। সুমনা চরম ভাবে সমালোচিত হন এই ঘটনার জন্য। সে অনেক তদারকি করে নিজের এলাকাতে বদলি হওয়ার জন্য, অবশেষে বসিরহাটে সে পোস্টিং পায় এবং নিজের এলাকায় চলে আসে। হাসনাবাদের ডিএসপি (বাদশা মৈত্র) তাঁকে একটি খুনের তদন্তভার দেয়। তদন্ত করতে গিয়ে সে দেখল এই "আলেয়া" তাঁর একান্ত চার সখীর মধ্যে অন্যতম। "আলেয়া" মার্ডার তদন্তে সুমনাকে সিরিয়াস ভূমিকায় পাওয়া যাবে। আরও অনেক ঘটনা আছে ছবিতে।বাল্যবিবাহ যে কতো ক্ষতি করছে সমাজকে তা সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলার প্রয়াস নিয়েছেন পরিচালক। আশা করা যায় আগামীতে আরও অনেক সামজিক সমস্যা নিয়ে ড. হুমায়ুন কবীর ছবি করবেন সমাজকে সচেতন করতে। সুমনার বিপরীতে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়ক আমন রেজা। একটা গান আছে যা সকলের মন ছঁয়ে যাবে।"আলেয়া" চলচ্চিত্রকে ফুটিয়ে তুলতে কিছু শব্দ অব্যবহৃত হয়েছে যেমন, ত্রিশূল গাঁথা, কাফের, আমেদাবাদ, গুজরাট ও জয় শ্রীরাম এই পাঁচটি শব্দই সেন্সর বোর্ড আপত্তিজনক মনে করেছেন, এবং সাইলেন্ট করে দিতে বলেছেন। তবেই মিলবে ছাড়পত্র। সেন্সর বোর্ড জানিয়ে দিয়েছেন পরিচালক ড. হুমায়ুন কবীরকে। এই শব্দগুলো সাইলেন্ট করে দেওয়া হয় বা একেবারে বাদ দেওয়া হয় তাহলে বেশ কিছু অংশ অর্থহীন হয়ে যাবে। এভাবে সেন্সর বোর্ড বাধা দিলে আমরা প্রান্তিক মানুষের কাছে কোনওদিন পৌঁছাতেই পারব না বলে মত প্রকাশ করেন "আলেয়া" চলচ্চিত্রের জন্যে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পাওয়ার দাবিদার তনুশ্রী চক্রবর্তী। মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট পদে থাকার সময় হিরোইন পাচার ও গরু পাচার রুখে দিতে ড. হুমায়ুন কবীর বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন। তিনি অন্যায়কে তিনি কড়া হাতে দমন করেছিলেন। আইনের শাসন দিতে তিনি সর্বদা অপরাধীদের রেয়াত করেননি। অনেকের এখনও মনে আছে বহরমপুরের মার্ডার সিন্ডিকেটেরর ঝাপ বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। ৩৩ জন মার্ডার সিন্ডিকেটের গুন্ডাদেরকে ধরে জেলে ভরে দিয়েছিলেন।
মনে পড়ে বামশাসনে তিনি হাত কাটা দিলীপকে হাতে-নাতে ধরে জেলে ভরে দিয়েছিলেন। তিনি গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ান সর্বত্র। তাঁর কাছে ন্যায় বিচার চেয়ে বহু গরিব মানুষ চরম উপকৃত হয়েছেন। আজও মুর্শিদাবাদ জেলার মানুষ তাঁর জন্য মনে প্রাণে আর্শিবাদ করেন। তাঁর কাজের জন্য বাংলার বহু মানুষ তাঁকে মনের মণিকোঠায় রেখেছেন। তিনি সমাজ কল্যাণে আরও অনেক বেশি বেশি কাজ করে সমাজকে সামনে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবেন এই প্রত্যয় এখনও মানুষের মনে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে আগামীতে আরও বড় দায়িত্ব দিয়ে বাংলার পুলিশ প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতেই পারেন মানুষের কল্যাণে। রাজ্যবাসী হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন দক্ষ পুলিশ আধিকারিক জাভেদ শামিম ও ড. হুমায়ুন কবীরকে আরও গুরুত্বপূর্ণ পদে দিয়ে আমাদের বাংলার কল্যাণে নিয়োজিত করুন।
আবার চলচ্চিত্র প্রসঙ্গে চলে আসি 'আলেয়া' ছবিতে চিত্রগ্রহণে আছেন প্রভাতেন্দু মন্ডল, ফটো তুলেছেন মতিলাল মন্ডল, অন্যান্য ভূমিকায় আছেন প্রমুখ। বাঙালি সমাজকে বিশেষ বার্তা দিতে বড় পর্দায় আসছে "আলেয়া।"
আরও একটি বড় বাজেটের ছবি পরিচালনার কাজে হাত দিয়েছেন ড. হুমায়ুন কবীর। শুটিং শুরু হয়েছে নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, তনুশ্রী চক্রবর্তী সহ অনেকেই আছেন এই নতুন এই সিনেমাতে।দক্ষ পুলিশ আধিকারিক ও চলচ্চিত্র পরিচারক ড. হুমায়ুন কবীরের উপন্যাস "ফাইনাল গাজি" আর্ন্তজাতিক কলকাতা বইমেলায় উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা। "দেশ" পত্রিকায় ধারাবাহিক প্রকাশিত হয়েছিল এই উপন্যাসটি। বইমেলাতে বই আকারে প্রকাশিত হয়। বইটি প্রকাশকরল "আনন্দ পাবলিশার্স।" "ফাইনাল গাজি" উপন্যাসটির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার, রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, গিল্ডের কর্মকর্তা ত্রিদেব চট্টোপাধ্যায় আর ছিলেন দে'জ এর কর্ণধার সুধাংশু শেখর দে। ৪২ বার ঘন্টা বাজিয়ে ৪২তম আর্ন্তজাতিক কলকাতা বইমেলার শুভ সূচনা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ফ্রাস্নের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার জিগারের উপস্থিতিতে প্রবাদ প্রতিম অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। ওইদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচিত ৯টি গ্রন্থেরও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছিল কলকাতা বইমেলার মূল মঞ্চে। এসবিআই অডিটোরিয়ামে বক্তব্য রাখার সময় মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন আগামী বছর ১৯ জানুয়ারি ২০১৯ সালে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার শুভ সূচনা হবে।
মোল্লা জসিমউদ্দিন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...