শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০১৯

দিদি কে বলো কর্মসূচি তে ব্যাপক সাড়া শালবনী ব্লকে

কথা ছিলো পাঁচজন, গেলেন প্রত্যেক বাড়ি, মানুষের মাঝে নেপাল সিংহের নেতৃত্বে টীম শালবনী সাথে নিয়ে "দিদিকে বলো।"

১৭ ই অক্টোবর, শালবনী ঃ কলকাতায় তৃনমুল ভবনে মিটিং এর পরে "দিদিকে বলো" কর্মসূচীর তৃতীয় পর্যায়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় শালবনী ব্লক তৃনমুল কংগ্রেসের জন্মলগ্ন থেকে সভাপতি ও মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর আর্শীবাদ ধন্য নেপাল সিংহ কে। আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রেস কনফারেন্স করেই তিনি মাঠে নেমে পড়েন টীম শালবনীকে নিয়ে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ নেপাল সিংহ কে, শালবনীর বাজারের পাঁচজনের কাছে যেতে বলার কথা থাকলেও, তিনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মিনু কোয়াড়ী, প্রবীন কর্মাধ্যক্ষ কাসেম খাঁ ও মহিলা কর্মাধ্যক্ষ বুল্টি সিং,নিবেদিতা ব্যানার্জী, অঞ্চল সভাপতি অসিত ঘোষ, বিশিষ্ট নেতৃত্ব শক্তি রানী পাল, কাজল মন্ডল ও বাকী সকলকে কে নিয়ে পৌঁছে যান বাড়ী বাড়ী। এলাকাবাসীরা তাদের মান অভিমান উগরে দেন নেপাল বাবুর সামনে। নেপাল বাবু সকলকেই দিদিকে বলোর ফোন নং ও নিজের নং দেন এবং ক্ষমা চেয়ে নেন পুরোনো কিছু ভুল হয়ে থাকলে। তিনি নিয়মিত পাশে থাকার কথা বলেন ও এলাকাবাসীকে মমতা ব্যানার্জীর উন্নয়নে সামিল হবার আহ্বান জানান

'সু সম্পর্ক' এর বিজয়া সম্মিলনী শোভাবাজারে

আগামী কুড়ি তারিখ রবিবার 'সুসম্পর্ক'শোভাবাজার রেড লাইট এরিয়ার বেশ কিছু অসহায় পথশিশুদের নিয়ে পালন করবে শুভ বিজয়া তাদের মুখে তুলে দেবে মিষ্টি ও খাবার, আপনারাও আসুন এই মহৎ কাজে পাশে থেকে সমাজের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখুন l আপনাদের উপস্থিতি একান্ত কাম্য l

বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১৭, ২০১৯

খোসবাগানের যানজট দেখতে হাজির এসপি

সানি প্রসাদ
বর্ধমান শহরের খোসবাগানের চিরাচরিত যানজট মেটাতে বিশেষ উদ্যোগ নিল পূর্ব
বর্ধমান জেলা পুলিশ। এদিন দুপুরে খোসবাগানের বিভিন্ন রাস্তা পরিদর্শন করেন জেলা
পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। কিভাবে রাস্তাতে
যানজট মুক্ত রাখা যায় সেই বিষয়ে সরোজমিনে ঘুরে দেখেন পুলিশ কর্তারা।
বৃহঃস্পতিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় এবং এস ডি পি ও
সৌভনিক মুখোপাধ্যায় রানীগঞ্জ চৌমাথা এলাকায় পৌঁছন। সেখানে হাজির ছিলেন
বর্ধমান থানার আই সি পিন্টু সাহা, ট্র্যাফিক ওসি চিন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় সহ
অন্যান্য পুলিশকর্মীরা।

হুগলিতে চলছে ত্রিশ ফুটের কালি ঠাকুর করার কাজ


প্রবীর বসু
  
দুর্গা পূজা ও লক্ষী পুজো শেষ হতে না হতেই জেলায় শুরু হয়ে গেছে কালি পুজোর প্রস্তুতি।হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিনের অপেক্ষা কালি পুজো তথা আলোর উৎসবের।আর এই পুজো প্রস্তুতি তে পিছিয়ে নেই হুগলি জেলাও।কালি পুজোয় হুগলি জেলার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে তাই পুজো উদ্যোক্তা দের পুজোর প্রস্তুতিও তুঙ্গে।এবার হুগলি মহানাদ দক্ষিণপাড়া ইয়ুথ ক্লাব এর পুজোর মূল আকর্ষণ তাদের ৩০ ফুটের কালি মূর্তি।পুজো উদ্যোক্তা দের মতে এবার জেলায় এটাই সবথেকে বড় কালি মূর্তি হচ্ছে,আর তাই তাদের পুজোর প্রস্তুতিতেও কোনো খামতি রাখতে চাইছেনা উদ্যোক্তারা।আর এই ৩০ ফুটের কালি প্রতিমা দেখতে যে জনপ্লাবন হবে তা ধরে নেয়া যায়।।

বুধবার, অক্টোবর ১৬, ২০১৯

রাজ্যের নামি সরকারি হাসপাতালে দুঃব্যবহারের শিকার


পিজি হাসপাতালে নিউরোলজি বিভাগে দুঃব্যবহারের অভিযোগ


মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে রীতিমতো বক্স বাজিয়ে প্রচার চলছে - 'স্বাস্থ্য কর্মীদের সাথে আপনারা সহযোগিতা করুন, আপনাদের পাশে রাজ্য সরকার' ইত্যাদি ইত্যাদি। চারিদিকে ফলাও করে রয়েছে এইসবে বিজ্ঞাপনও। একটায় উদ্দেশ্য - ভালোভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া। তবুও সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাতে কর্তব্যরত চিকিৎসকের অবহেলায় রুগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠে। গত সাতদিনে কালনা এবং মন্তেশ্বর হাসপাতালে এইরুপ ঘটনাও ঘটেছে। এইবিধ অহরহ কমবেশি ঘটে। তবে বেশিরভাগ চিকিৎসক রুগীদের সুস্থ করতে তৎপর, এটাও ঘটনা। রুগীদের প্রতি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর  দুঃব্যবহারের অভিযোগ নুতন নয়। আবার মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভরা সরকারি হাসপাতালে ডাক্তারবাবুদের কাছে দাপটের সাথে পৌঁছে যায় এটাও সত্যি। রাজ্য সরকার যেখানে কম খরচে এবং বিনামূল্যে ঔষধ সহ বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষা করার ব্যবস্থা রেখেছে। সেখানে মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভদের দৌরাত্ম কেন সরকারী হাসপাতালে?  এই প্রশ্ন থেকেই যায়। গত মঙ্গলবার সকাল ৯ টা নাগাদ এই প্রতিবেদক তার ৯ বছরের পুত্র সন্তান কে নিয়ে পিজি হাসপাতালে নিউরোলজি বিভাগে গিয়েছিল চিকিৎসার( ঘাড়ে শিরার ব্যথা)  জন্য।প্রায় চারঘন্টা নুতন টিকিট কাটার লাইনে দাঁড়িয়ে নিউরোলজি বিভাগের ১ নং ঘরে গেলে এক চিকিৎসকের দুঃঃববহারের শিকার হন এই প্রতিবেদক। কেমন দুঃব্যবহার?  প্রতি ঘরে দুজন ডাক্তারবাবু দুজন রুগী দেখছেন। দুজন রুগী বেরিয়ে যাওয়ার পর ঢুকতেই একজন মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভ বাবুর আবির্ভাব ঘটলো। উনি ঔষধ কোম্পানির নানার  কালার হ্যান্ডবিল ডাক্তারবাবু কে দিলেন। 'স্যার' সম্ভোধনে ফিসফাস করে কিসব বলছেন। ডাক্তারবাবু শুধু মুচকি হেসে ঘাড় নাড়ছেন। আমি তখন অন্য ডাক্তারবাবু কে নুতন টিকিট টি দিলাম পুত্র কে দেখবার জন্য। ডাক্তারবাবু রেগে বললেন - "তু এখানে দাঁড়িয়ে কেন, ওইখানে( মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভের সাথে ব্যস্ত ডাক্তারবাবু)  যা "। আমি বললাম - "আমি কি আপনার পূর্ব পরিচিত? যে তুই সম্ভোধন করছেন"। ডাক্তারবাবু বললেন   - "কেন কি হয়েছে, তোরা না....."  উপলব্ধি হল - রোগীদের কেমন দুঃব্যবহারের শিকার হতে হয়।  হয়তো   
মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভ টি অন্য ডাক্তারবাবুর সাথে বাণিজ্যিক চুক্তিতে ব্যস্ত, তাই হয়তো এই ডাক্তারবাবুর মাথাটা গরম হয়ে গিয়েছিল!  বিষয়টি সাথেসাথেই রাজ্যের শাসকদলের বিধায়ক তথা মেডিকেল কাউন্সিলের  পদাধিকারী   ডঃ নির্মল মাঝী কে ফোনে জানায়,  উনি বললেন - " আমি কি করব? পারলে বড় খবর করুন  তাহলে কৈফিয়ত চাইবো "। প্রশ্ন উঠে যেখানে রাজ্য সরকার ফলাও করে বিজ্ঞাপন চালায় রুগীদের পাশে থাকবার জন্য। সেখানে রাজ্যের সবথেকে ব্যস্ত হাসপাতাল পিজির নিউরোলজি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসকের এহেন দুঃব্যবহার রাজ্য সরকারের মূল উদ্দেশ্য কে ব্যাঘাত ঘটায়।                                                                                                  

সঙ্গীত শিল্পী ব্রজেন চক্রবর্তী র স্মরণসভা

দীপঙ্কর চক্রবর্তী  


 মাটির ঘড়,নিকোনো উঠোন।মাটির দেয়াল জুড়ে তাঁর হাতে গড়া বিভিন্ন মনীষির মূর্তি।উঠোনে সাদা আল্পনা,গাছে গাছে কাঠ দিয়ে বানান কাটুম কুটুম।সপ্তাহের প্রায় দিনই এখানে বেদের স্তোত্র পাঠের মধ্য দিয়ে দিন শুরু হয়।সারা দিন ধরে চলে রবীন্দ্র,লোকসংগীত,চারুকলা অনুশীলন।কাছ থেকে দূর থেকে বিভিন্ন বয়সের শিক্ষার্থীরা আসে এখানে সাংস্কৃতিক মন গড়ে সফল মানুষ হতে।১৯৪৬ বাংলাদেশে দাঙ্গায় সব ছেড়ে পূর্বস্থলীর পরমেশ প্রিয় ভট্টাচার্যর বাড়িতে এসে ওঠেন। পরে পারুলিয়ায় বন কেটে বাঘ তাড়িয়ে ছিন্নমূলদের নিয়ে বসতি স্থাপন করলেন সেসময়কার ১৮ বছরের  ব্রজেন্দ্র কুমার চক্রবর্ত্তী। বৃহত্তর পূর্বস্থলীতে মানুষের সেবা করা,সাথে বয়স্ক শিক্ষা প্রচলন,ক্লাব গঠন করে যাত্রা,নাটক,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা,স্কুল গঠন করেন।তিনি মনে করতেন জীবন ধারনের সাথে এবং প্রচলিত শিক্ষার সাথে সত্য সুন্দরের পথের সন্ধান দিতে পারে সংগীত ও চারুবিদ্যা। তাই তিনি পারুলিয়ায় নিজ বাড়িতে ১৯৫৭ সালে স্থাপন করেন আনন্দলোক সংগীত মহাবিদ্যালয়।সারা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তাঁর অগনিত ছাত্রছাত্রী, তার এই ভাবধারাকে ছড়িয়ে দিচ্ছে নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মধ্যে।তার পুত্র শিক্ষক কবি দীপঙ্কর চক্রবর্ত্তী জানান- "২০১৬ সালের ১৫ অক্টোবর ব্রজেন বাবু ৯৪ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন।মঙ্গলবার এই আনন্দলোকে তাঁর গুনমুগ্ধ,আত্মীয়,অসংখ্য ছাত্রছাত্রী ও এলাকাবাসি তাঁকে স্মরণ করল কথায়,তাঁর জীবনের বিভিন্ন স্মৃতিকথায়,সংগীতে"।

এপিজে কালামের ৮৮ তম জন্মবার্ষিকী আসানসোলে

মোহন সিং  


  প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের ৮৮ তম জন্মদিন পালন করলো আসানসোল জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।   হাসপাতাল সুপার নিখিল চন্দ্র দাস হাসপাতাল মঙ্গলবার সকালে। এপিজি আব্দুল কালাম এর ছবিতে ফুলের মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান, সঙ্গে হাসপাতালে ডাক্তার নার্স ও স্টাফরা ছিলেন। আসানসোল হাসপাতাল সুপার নিখিল চন্দ্র দাস জানান - "এই প্রথম জেলা হাসপাতালে আমাদের  প্রয়াত রাষ্ট্রপতি আবদুল কালামের জন্মদিন পালন করা হয়েছে, এতে আমরা খুব খুশি"। 

মঙ্গলবার, অক্টোবর ১৫, ২০১৯

শ্বাশুড়ি খুনে গ্রেপ্তার গুনধর জামাই

কৌশিক বড়ুয়া
  
 গত  ৭ অক্টোবর দুর্গাপুরে মহিলার নগ্ন মৃতদেহ উদ্ধারের পর প্রথম পুলিশ তদন্তে নেমে প্রশান্ত ব্যানার্জি  নামক মিতার ভাইপোকে গ্রেপ্তার করে।  সে জেরায় স্বীকার করে  খুনের পর ধর্ষণ করে  এবং তার সাথে যুক্ত ছিল তার মেজ  জামাই কাঞ্চন অধিকারী। পুলিশ খোঁজ চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে সোমবার দুপুরে  দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পাঠায়। পুলিশ কাঞ্চন অধিকারী কে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে খুনের কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। কি কারনে এই খুন, সম্পত্তি হাতানো কি ছিল?  গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ

হাতির হানায় জখম ৫ কৃষক

সঞ্জয় হালদার
 জমির ফসল রক্ষা করতে গিয়ে হাতির হানায় আহত পাঁচ কৃষক।
 বাঘমুন্ডীর বুকাডি এলাকায় একদল হাতি। সারাদিনব্যাপী গভীর জঙ্গলে তাদের আত্মগোপন ও সন্ধ্যের অন্ধকার নামলেই শুরু হয় ঐ হাতির দলের আক্রমন, দলমার দলছুট তিনটি হাতি যেন এই এলাকার মানুষের  ত্রাস হয়ে উঠেছে। ধান বাদেও অন্যান্য ফসলের ক্ষয়ক্ষতি করছে, 
  বাধ্য হয়ে এলাকায় গ্রামের কৃষকেরা জোটবদ্ধ হয়ে রাত পহরার ব্যবস্থা নিয়েছেন। তাতেও কোনো লাভ হচ্ছে না তাদের উল্টে ঐ হাতিদের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন কৃষকেরা। সোমবার ভোর রাতে হাতির হানায় আহত পাঁচ জন কৃষক । ঘটনা পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডী থানার বুকাডি গ্রামের। জানা যায় ঐদিন গভীররাতে নিজেদের চাষের জমির ফসল রক্ষার দায়িত্ব ছিল কয়েকজন কৃষকের হাতে হটাৎ ঐ তিনটি হাতি মাঠের ফসল খেতে শুরু করে, তখনই রাত পাহারায় থাকা চাষীরা হাতি তাড়াতে গেলে ঘটে অঘটন একের পর এক চাষীকে হাতি তুলে আছড় মারে। ঘটনায় মোট পাঁচজন  আহত হয়েছেন। পরে তাঁদের প্রত্যেকে  হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তিনজনের  আহত ব্যক্তিকে চিকিত্সকেরা প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়েদেন ও দুইজন গুরুতর আহত ব্যক্তিদের অবস্থার অবনতি থাকায় পুরুলিয়া দেবেন মাহাত সদর হাসপাতলে চিকিৎসার জন্য পাঠান।  তবে দপ্তরের পক্ষে আহতদের চিকিত্সা ও ক্ষতি পূরণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা যায়। এবং বনকর্তাদের বক্তব্য যে ঐ তিনটি হাতির দলকে পুনরায় পাশের রাজ্য ঝাড়খন্ডের দলমার জঙ্গলে ফেরৎ পাঠানোর সবরকমের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান । বর্তমানে হাতির ভয়ে আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা।

শুক্রবার, অক্টোবর ১১, ২০১৯

'ও বন্ধু আমার' ছবির সিডি রিলিজ

রাজকুমার  দাস ,

'ও বন্ধু আমার' সিনেমার ট্রেলার ও সঙ্গীত প্রকাশ অনুষ্ঠান হল। এই ছবিতে যে সকল অভিনেতা ও অভিনেত্রী অভিনয় করেছেন তারা হলেন-মিত, রিতিকা, অরুণ ব্যানার্জী, অনুরাধা রায়, মৌসুমি সাহা, খরাজ মুখার্জি, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, সুপ্রিয় দত্ত প্রমুখ। সিনেমার গল্প টা এই রকম- আদি হল মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা এমন একজন মেধাবী ছেলে যার জন্য কলেজের প্রত্যেকটা মেয়ে পাগল। তার হাঁটাচলা, কথাবার্তা এমনকি তার মুচকি হাসি দেখার জন্য মেয়েরা তার আশেপাশে সারাদিন ঘোরাফেরা করে। প্রতিদিন মেয়েদের কাছ থেকে প্রপোশ পেতে পেতে সেটা অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে তার। কিন্তু সে কখনও কোনও মেয়ের প্রপোশাল একসেপ্ট করেনি। কিন্তু একদিন সেই অঘটন'টাই ঘটে গেল তার জীবনে। রুহী'কে প্রথমবার দেখেই তার প্রেমে পড়ে গেল আদি। অনেক চেষ্টার পর মজার একটা ঘটনার মাধ্যমে তাদের প্রেম'টা হয়ে গেল ঠিকই কিন্তু তারপরেই শুরু হল আসল বিপত্তি। রুহীর বাবার সাথে শত্রুতা মেটাতে কালিশঙ্কর রুহীর ওপর আক্রমণ করে বসলো এবং মাথায় আঘাত পেয়ে রুহী তার জীবনের ফেলে আসা দিনের সমস্ত কিছু ভুলে গেল, ভুলে গেল আদিকেও। এরপর শুরু হল আদির জীবনের আসল লড়াই। একদিকে তার ভালোবাসা ফিরে পাওয়ার লড়াই। অন্যদিকে রুহীকে আঘাত করার বদলা। শেষপর্যন্ত কি পারবে আদি তার ভালোবাসার মানুষ'কে সুস্থ করে তার স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে? নাকি সারাজীবন দূর থেকে ভালোবেসে যাবে তাকে? জানতে হলে দেখতে হবে 'ও বন্ধু আমার'।এই সিনেমার প্রযোজক গোপাল চৌধুরী, পরিচালক সঞ্জয় দাস, সংগীত পরিচালক জয়-অঞ্জন। গায়ক কুমার শানু, জুবিন গর্গ, পালক মুছল, রাজ বর্মন, শান ও বিরিনা পাঠক।

বুধবার, অক্টোবর ০৯, ২০১৯

বিধান শিশু উদ্যানে মিলনোৎসবে চাঁদের হাট

মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

প্রতিবারের মত এবারেও কলকাতার হাডকো মোড় সংলগ্ন বিধান শিশু উদ্যানে শারদীয় মিলনোৎসব আয়োজিত হল। মহালয়ার পর থেকেই পুজোর প্রস্তুতি চলেছে এখানে । অফিসঘরের মূল ফলকে 'মা দুর্গা'র মণ্ডপসজ্জা ছিল। পশ্চিমবাংলার প্রয়াত জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী বিধান চন্দ্র রায়ের যথার্থ উত্তরসূরী সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতা ও শিশুপ্রেমী সমাজসেবী অতুল্য ঘোষ বিপুল আয়তন বিশিষ্ট পরিসর নিয়ে বিধান শিশু উদ্যোন গড়েন। যেখানে শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য বিভিন্ন কর্মকান্ড চলে। সাঁতার - ছবি আকা - যোগব্যায়াম এর পাশাপাশি পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মেধাভিত্তিক অনুশীলন চলে এখানে। বিধান শিশু উদ্যানের সাথে ব্যাংলার বিভিন্ন জগতের বিশিষ্টজনেরা দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত রয়েছেন। সাংবাদিক থেকে রাজনীতিবিদ, আবার বিজ্ঞানী থেকে প্রাবন্ধিক। বছরের একটা দিন বিধান শিশু উদ্যান কর্তৃপক্ষ প্রাক্তন পড়ুয়া সহ অভিভাবকদের পাশাপাশি যারা এই সংগঠনে যুক্ত। তাঁদের কে নিয়ে  মিলনোৎসবের আয়োজন করে থাকে। শারদীয়ার নবমীর সারাটা দিন পূন মিলনোৎসব হল এখানে। শতাধিক বিশিষ্টজনদের পাশাপাশি বর্তমান পড়ুয়ারা তাদের অভিভাবকদের নিয়ে আসে। টিফিন - দুপুরের বাঙালিয়ানার মাছভাতের আয়োজন ছিল এবার। এই মিলনোৎসবে এসেছিলেন প্রাক্তন নকশাল নেতা অসীম চ্যাটার্জি, বিশিষ্ট সাংবাদিক মিহির গাঙ্গুলি,  সু পরিচিত প্রাবন্ধিক আব্দুর রউফ, বিড়লা তারামন্ডলের ডিরেক্টর, সাহিত্যিক একরাম আলী প্রমুখ। বিধান শিশু উদ্যানের পরিচালক গৌতম  তালুকদার বলেন   - " বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজায় আমরা আমাদের সাথে যুক্তদের নিয়ে এক মিলনোৎসবের আয়োজন করে থাকি "। নবমীর সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শতাধিক বিশিষ্টজনদের দেখা গেল বিধান শিশু উদ্যানে সপরিবারে পুজোর আনন্দ উপভোগ করতে।                                                                                                

বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ০৩, ২০১৯

আশা আছে, ভালোবাসাও আছে ; কালির্টা মারিয়া মোহিনী

গোপাল দেবনাথ,

আশা আছে, ভালোবাসাও আছে : কার্লিটা মারিয়া মোহিনী 

এদেশে জেলকে এখন বলা হয় সংশোধনাগার। অপরাধীদের বন্দি করে শাস্তি দেওয়া এখন লক্ষ্য নয়। নির্দিষ্ট সময়সীমা পর্যন্ত জেলের বাইরে চার দেওয়ালের মধ্যে রেখে অপরাধীদের চারিত্রিক সংশোধনই লক্ষ্য। রাজ্যের বর্তমান কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস তাই পূর্বসূরিদের পথেই চলছেন। সংশোধনাগারে লঘু গুরু নানা অপরাধের নানা অপরাধীরা থাকেন। কেউ কেউ আবার অপরাধী নন। কিন্তু প্রমানাভাবে অপরাধী তকমা পেয়েছেন। থাকেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আসামিরাও। রাজ্যসরকার এদের জন্য মুক্ত কারাগারেরও ব্যবস্থা করছেন। সংশোধনাগারের প্রশাসনিক কর্তারা এখন অনেক উদার দৃষ্টিতে এই সামাজিক সমস্যাগুলিকে নিয়ে ইতিবাচক ভাবনা ভাবছেন। বিষয়টি বাস্তবে রূপ পাচ্ছে অলকানন্দা, নাইজেল, আকারার মতো মানুষজনের সাহচর্যে। এবার এগিয়ে এলেন ইন্দো -ব্রাজিলিয়ান কণ্ঠশিল্পী কার্লিটা মারিয়া মোহিনী। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের বন্দিদের দিয়ে নির্মাণ করলেন গানের এলবাম 'আমার আশা'। ইংরেজি, হিন্দি, পর্তুগিজ, স্প্যানিশ ভাষায় বাংলার লোকসংস্কৃতিকে ফিউশনে রূপ দিয়েছেন তিনি। শিল্পীর প্রশংসার সঙ্গে সাধুবাদ প্রাপ্য সংশ্লিষ্ট করা দফতরের আধিকারিকদের। এলবামটি চিত্রায়িত  হয়েছে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের চার দেওয়ালের মধ্যে। কিন্তু সবুজে ঘেরা বাগানে উজ্জ্বল দিনের আলোতে দেখা গেছে দন্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত মানুষগুলোর মুখে স্বীকৃতির অনাবিল সুখ। কার্লিটা তাঁর এই বিপ্লব ছড়িয়ে দিতে চান ভারতের সবকটি সংশোধনাগারে। সমাজের মূল স্রোতে অপরাধীদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রথম পদক্ষেপের এই কর্মযজ্ঞে  তাঁর পরবর্তী লক্ষ্য মুম্বাই। এখন তাঁর বাসস্থান যে ওখানেই।

রবিবার, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯

আমারুণে ২ নং পঞ্চায়েত এলাকায় বিধায়কের বস্ত্রবিলি

আমিরুল  ইসলাম ,

আমারুন দু'নম্বর তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে বস্ত্রদান ও কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের সম্মান।

জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর 150 তম ও ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর 200 তম জন্মদিন উপলক্ষে ভাতার ব্লকের আমারুন 2 নম্বর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের সম্মান ও দুঃস্থ মানুষদের বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে খেরুর গ্রামের
শিবতলাই। প্রায় 10 বছর ধরে হয়ে আসছে এই অনুষ্ঠান।এখানে শতাধিক মানুষকে বস্ত্র দান করা হবে পাশাপাশি বেশকিছু ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সম্মান জানানো হবে।

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন ভাতার বিধানসভার বিধায়ক সুভাষ মন্ডল, আমারুন2 নম্বর অঞ্চলের প্রধান অজয় সিং, উপপ্রধান সেখ সাহানাজ আলী,বর্ধমান 1 নম্বর  ব্লকের শিক্ষা কর্মদক্ষ  কৃষ্ণেন্দু গোস্বামী, ভাতার ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের  কার্যকারী সভাপতি বাসুদেব যশ, আমারও নম্বর অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম নেতা পাপাই পাসারি সহ বিশিষ্ট ব্যক্তি জন।

এলাকার মানুষ খুশী নতুন বস্ত্র পেয়ে।
ভাতার বিধানসভার বিধায়ক সুভাষ মন্ডল জানান,আমারুন 2 নম্বর অঞ্চল তৃনমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে বস্ত্রদান অনুষ্ঠান হচ্ছে। পাশাপাশি কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের সম্মান জানানো হচ্ছে।বর্তমান সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সবসময়ই কর্মীদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন সাধারণ মানুষের পাশে থাকার। তাই আমারুন দু'নম্বর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের এই উদ্যোগ খুবই ভালো উদ্যোগ।

বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯

আজ আলিপুর কোর্টে কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের গ্রেপ্তারি নিয়ে শুনানি


মোল্ল জসিমউদ্দিন, 

এ যেন ক্রিকেটে ভারত পাকিস্তানের হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ। সিবিআই বনাম রাজীবের মুখোমুখি আইনী লড়াই ঘিরে জমজমাট সর্বভারতীয় রাজনৈতিক পেক্ষাপট। প্রধানমন্ত্রী - মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক ঘিরেও রাজীব ইস্যু তে সরব বিরোধী দল সহ কেন্দ্রের শাসকদলও। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজ্য রাজনীতি তো বটেই গোটা দেশের নজর কলকাতার আলিপুর আদালতের দিকে। কেননা কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার তথা এডিজি ( সিআইডি)  রাজীব কুমারের গ্রেপ্তারি নিয়ে মামলার শুনানি রয়েছে। সিবিআই চাইছে আইপিএস রাজীব কুমারের গ্রেপ্তারি। তাই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা যাতে জারী হয় সেই ব্যাপারে সওয়াল চালাবে। অপরদিকে রাজীবের আইনজীবী  গোপাল হালদার বুধবার দুপুরে কলকাতার আলিপুর আদালতে ৯ নং কোর্টে এসিজেম সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে আইপিএস রাজীব কুমারের পক্ষে   এক পিটিশন দাখিল করেছেন । যেখানে সিবিআইয়ের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাতে তাদের বক্তব্য যেন শোনা হয়। সেই আর্জি রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই আর্জি আলিপুর আদালত গ্রহণ করেছে। তবে মামলা টি কোন আদালতের  এক্তিয়ার রয়েছে, সেই  নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কেননা গত মঙ্গলবার বারাসাত আদালতে বিধায়ক - সাংসদ সংক্রান্ত এজলাসে বিচারক আগাম জামিনদানে কিংবা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যুতে কোন এক্তিয়ার নেই বলে জানিয়েছে। সেই একই কথা উত্তর ২৪ পরগণা জেলা ও দায়রা বিচারক এই মামলার শুনানিতে জানিয়েছেন। তবে মামলাটি আলিপুর আদালতে শুনানির জন্য পাঠানো হয়েছে। ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিধায়ক ও সাংসদদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায়   বিশেষ আদালত গঠন হয়েছে। সারদা মামলায় তৎকালীন রাজ্যসভার সাংসদ কুনাল ঘোষ গ্রেপ্তার হওয়ায় কলকাতা হাইকোর্ট এর নির্দেশে এই মামলার নথি ( কেস ডাইরি)  বারাসাত আদালতের এমএলএ - এমপি এজলাসে পাঠানো হয়েছিল। তাই কলকাতা হাইকোর্টের পুনরায় নির্দেশ ছাড়া বারাসাত আদালত এই মামলা ট্রান্সফার কিংবা আলিপুর আদালত শুনানি করতে পারে কিনা, তা নিয়েও আইনজীবীদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন।গত মঙ্গলবার রাজীব মামলায় বারাসাত আদালতে শুনানি চলেছে। তাই মামলার নথিপত্র আলিপুর আদালতে বুধবার আসেনি। কেননা মামলার নথিপত্র এক আদালত থেকে অন্য আদালতে পৌঁছাতে নুন্যতম একদিন সময়সীমা লাগে। তবে বুধবার আলিপুর আদালতে এসিজেম এজলাসে আইপিএস রাজীব কুমারের আইনজীবী দাখিল করা পিটিশনে জানিয়েছেন - সিবিআইয়ের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু বিষয়ে যেন তাদের বক্তব্য শোনা হয়। একতরফা শুনানি যাতে না হয় সেজন্য এই আবেদনটি। ইতিমধ্যেই আলিপুর আদালতের এসিজেম সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের তা গ্রহণ করেছেন। যা আইপিএস রাজীব কুমারের পক্ষে কিছুটাও স্বস্তির। রাজীবের আইনজীবীর প্রশ্ন - "গত শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের সিবিআইয়ের সমন খারিজ মামলায় রায়দানের আগে পর্যন্ত রাজীব কুমার ছিলেন সারদা মামলায় একজন সাক্ষী, রক্ষাকবচ তুলে নেওয়ার নির্দেশিকার পরেই কিভাবে সিবিআই আইপিএস রাজীব কুমার কে এই মামলার অভিযুক্ত করলো"?   অপরদিকে রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তা কে গ্রেপ্তার করতে গেলে রাজ্যের অনুমতি প্রয়োজন বলেও রাজীবের আইনজীবী দাবি করেছেন। তবে সিবিআইয়ের তরফে সারদা কোম্পানির দেবযানীর ইডি কে দেওয়া তথ্য হাতিয়ার হিসেবে উঠে এসেছে। দেবযানী জানিয়েছিলেন -' বিধাননগর পুলিশ সারদা অফিসে বাজেয়াপ্ত করার সময় সারদার পেমেন্ট বিষয়ক ক্যাশবুক ও দুটি ডাইরী নিয়ে গেছে'।  এছাড়া সম্প্রতি সিবিআই অফিসে জেরার সময় সারদা মামলায় প্রথম পর্বে তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা তাদের বক্তব্যে আইপিএস রাজীব কুমারের নেতৃত্বে তদন্ত চালনা হয়েছে বলে বিষয়টি জানিয়েছেন। এই বিষয় গুলি আইপিএস রাজীব কুমারের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যুতে সিবিআই তুলে ধরতে চায় বলে প্রকাশ। কলকাতা হাইকোর্ট এর বিচারপতি মধুমতী মিত্রের এজলাসে রাজীবের সমন খারিজ মামলায় যা সিবিআইয়ের আইনজীবী বারবার সওয়াল-জবাবে  জানিয়েছেন।তথ্য প্রমাণ লোপাট অভিযোগে সিবিআইয়ের দাবি - সারদা তদন্তে কম্পিউটারগুলিও সিপিইউ অর্থাৎ হার্ড ডিস্ক সহ পেন ড্রাইভ দেয়নি সিটের অন্যতম পদাধিকারী রাজীব কুমার। এছাড়া সারদা অফিসে সিসিটিভির ফুটেজ, ক্যাশবুক, ৪ টি ডাইরি লোপাট করেছেন রাজীব৷ এইবিধ নানান অভিযোগ সিবিআইয়ের আইপিএস রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই নবান্ন থেকে ডিজিপি সিবিআইয়ের রাজীবের অবস্থান জানার চিঠির প্রত্যত্তরে জানিয়েছেন - 'গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটিতে আছেন এডিজি (সিআইডি)। ৩৪ নং পার্ক স্টিটের সরকারি বাসভবনেই অবস্থান ছুটি নেওয়ার চিঠিতে জানিয়েছেন রাজীব'।এখন দেখার আইপিএস রাজীব কুমারের রক্ষাকবচ সুপ্রিম কোর্ট থেকে কলকাতা হাইকোর্টে খারিজ হওয়ার পর নিম্ন আদালতে বহাল থাকে কিনা? আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার   আলিপুর আদালতে ৯ নং কোর্টে এসিজেম সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে নজর গোটা দেশের।                                                                                                                                                                   

শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯

বলগনায় পথ দুর্ঘটনাতে জখম মোটরসাইকেল আরোহী

সুদিন মন্ডল, ভাতাড় :-সাতসকালেই পথ দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটলো ভাতারে। ভাতারের বলগোনা গুসকরা রোডের পাটনা মোড়ের কাছেএকটি মারুতি গাড়ি ও মোটর বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ।ঘটনায় গুরুতর আহত মোটরবাইক আরোহী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে আহত মোটরবাইক আরোহীর নাম রিন্টু শেখ। বাড়ি নিত্যানন্দ পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মুরাতিপুর গ্রামে। পুলিশ বাইক ও মারুতি গাড়ি দুটি  উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে।

বুধবার, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯

মরণোত্তর দেহদান নিয়ে সচেতনতা মূলক সেমিনার কলকাতায়

গোপাল দেবনাথ,

গত 73 বছর ধরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বার্ষিক সোশ্যাল
ফেস্ট.এস্কালাপিয়াশব্র অর্থ অবিশ্বাস্যভাবে ফিরে আসা.প্রতিবছর এই ফেস্ট অনুষ্ঠিত হয় মেডিকেল কলেজে,বক্তব্য রাখেন দেশের যশস্বী প্রফেসর ডাক্তাররা .হবুডাক্তাররা অভিজ্ঞদের বক্তব্য শুনে নিজেদের সমৃদ্ধ করেন .তিনদিনব্যাপি এবারের অনুষ্ঠানের বিষয় অঙ্গদান .বক্তারা জানালেন,দেশে এইমুহূর্তে প্রায় দেড়লাখ কিডনি রোগী আছেন .এদের মধ্যে মাত্র পাঁচ হাজার জন কিডনি প্রতিস্থাপনের সুযোগ পান ,নতুন এক লাখ রোগীসহ প্রায় দুলাখ রোগী মারা যান .সুতরাংবেশিকরে অঙ্গদানের সচেতনা বাড়ানো দরকার .বিজ্ঞান বলছে একজন সদ্যমৃত মানুষের অঙ্গদানে আট জন রোগী জীবন ফিরে পেতে পারেন .হৃদপিন্ড ,যকৃৎ ,ফুসফুস ,অগ্ন্যাশয় ,অন্ত্র ,বৃক্ক কাজে লাগে .এছাড়াও টিস্যু চামড়া ,কর্নিয়া ,বোনটিস্যু টেন্ডনস কার্টিলেজ ,হার্টভাল্ব, ব্লাড ভেসেলও অসুস্থ মরণাপন্ন রোগীকে সুস্থ করে তুলতে পারে .
,,1947থেকে আযোজিত এই ফেস্টে এবার প্রত্যোম দিনে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ডঃ মনিময় মুখার্জি,ডঃ তামালকান্তি ঘোষ ,ডঃ প্লাবন মুখার্জি,ডঃ অর্পিতা লাহিড়ী ,ডঃ রাজদীপ রায়,ডঃ চন্দ্রাশিস চক্রবর্তী,ডঃ সৈকত ব্যানার্জি.10 সেপ্টেম্বর থেকে শুরু তিনদিনব্যাপী এই ফেস্টে র পরিচালনা করেন ডঃ অরিন্দম কর.

মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৯

যুব সংসদ প্রতিযোগিতা ভাতারে

আমিরুল  ইসলাম,

  ভাতার ব্লক ও ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির যৌথ উদ্যোগে শুক্রবার  যুব সংসদ প্রতিযোগিতা ২০১৯ অনুষ্ঠান হল। ভাতারের প্রায় সাতটি  হাইস্কুলের পড়ুয়ারা  এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।পার্লামেন্টে যেভাবে বিরোধী এবং শাসক দল তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা আলোচনা করেন এবং কি সমাধান করতে হবে।   সেই ভাবেই ছাত্রছাত্রীরা যুব সংসদ প্রতিযোগিতা করেছে।অংশগ্রহণকারী  ছাত্র-ছাত্রীরা জানাই - 'পড়াশোনার পাশাপাশি ব্লক প্রশাসন যে  উদ্যোগ নিয়েছে যুব সংসদ প্রতিযোগিতা, তাতে করে আমাদের আগামী চলার পথে অনেক কাজ দেবে। পড়াশোনার পাশাপাশি এই সমস্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলে আমাদের জ্ঞান অনেক বৃদ্ধি হবে'।পঞ্চায়েত সমিতির ক্রীড়া কর্মাধ্যক্ষ  জয়ন্ত হাটি জানান - 'আজ ভাতার ব্লক ও পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে যুব সংসদ প্রতিযোগিতা  অনুষ্ঠিত হয়। এখানে সাতটি স্কুলের ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করেছে। পড়াশোনার পাশাপাশি এই ধরনের প্রতিযোগিতা তাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করবে'।এই প্রতিযোগিতায় কাটমানি থেকে দিদি কে বলো কর্মসূচি সবই আলোচিত বিষয় হিসাবে উঠে আসে।          

রবিবার, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৯

আইনী অস্বস্তির মধ্যেই মুকুলের মিললো স্বস্তি


মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শহিদুল্লা মুন্সি ও বিচারপতি শুভাশিস দাশগুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে সরশুনা ঘুষকান্ডে আগাম জামিন বিষয়ক মামলাটি উঠে। সেখানে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয় - 'আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর অবধি এই মামলায় অভিযুক্ত মুকুল রায় আইনী রক্ষাকবচ পাবেন। সেইসাথে তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের তদন্তে পূর্ন সহযোগিতা করতে হবে মুকুল রায় কে। তবে জিজ্ঞাসাবাদের তিনদিন আগে নোটিশ করে অবগত করতে হবে পুলিশ কে'।এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর। এদিন ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন তুলে পুলিশের উপর - জানুয়ারি তে অভিযোগগ্রহণ হওয়ার পর কেন এতদিন পর সক্রিয়তা?  অভিযোগগ্রহণের প্রায় সাত মাস পর পুলিশ এই মামলায় তৎপরতা দেখায়। এদিন রাজ্যের পক্ষে এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত এই মামলার শুনানিতে গরহাজির ছিলেন বলে প্রকাশ। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুরে এই মামলা ঘিরে টানটান উত্তেজনা দেখা যায়।ওইদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শহিদুল্লা মুন্সির ডিভিশন বেঞ্চ মুকুল রায়ের রক্ষাকবচের মেয়াদ বৃদ্ধিতে স্থগিতাদেশ জারী করে দেয়। অর্থাৎ পুলিশ যখন তখন গ্রেপ্তার পর্যন্ত করতে পারতো।এরপর মুকুল রায়ের আইনজীবী মামলাটি শুনানির জন্য বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির এজলাসে দরবার করেন। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি অবশ্য ব্যক্তিগত কারনে এই মামলা শুনতে চাননি। তারপরেই এই মামলার পুরাতন এজলাসে অর্থাৎ বিচারপতি শহিদুল্লা মুন্সির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি ঘটে। সেখানে তদন্তে পূর্ন সহযোগিতার শর্তে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর অবধি রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়ানো হয়। তবে এই মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার কে অভিযুক্ত মুকুল রায় কে নির্ধারিত জিজ্ঞাসাবাদের তিনদিন আগে নোটিশ জারী করে অবগত করতে হবে। সেইসাথে এই মামলায় পুলিশি তৎপরতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে ডিভিশন বেঞ্চ। জানুয়ারি মাসে এফআইআর দাখিল হওয়ার পর সাতমাস কেন লাগলো মামলার তদন্তে সক্রিয় হতে?  সেই প্রশ্নও উঠে এদিন এজলাসে। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি আছে।  এই মামলায় অভিযুক্ত   বাবান ঘোষ কে কে গ্রেপ্তারের পর কলকাতার বাবুঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়ের আরেক ঘনিষ্ঠ বলয়ে থাকা সাদ্দাম আলী কে।একসময় ধৃত বাবান ঘোষ কে জেরা করে নাম উঠে আসে সাদ্দাম আলীর। তাই সাদ্দাম আলী কে পুলিশ গ্রেপ্তার করে থাকে বাবুঘাট এলাকা থেকে। সরশুনা ঘুষকান্ডে দুজন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ায় চাপে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়। তিনি ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলায় আগাম জামিনের আবেদন জানিয়েছেন।বেহালার সরশুনা ঘুষকান্ডে মামলায় চরম অস্বস্তিতে বিজেপি নেতা মুকুল রায়। কলকাতা হাইকোর্টে বিজেপি নেতা মুকুল রায় সরশুনা ঘুষকান্ডে আগাম জামিনের আবেদন জানান। এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ শিবিরে থাকা মজদুর ইউনিয়নের নেতা বাবান ঘোষ ও সাদ্দাম আলী । পুলিশি সুত্রে প্রকাশ, এই মামলায় বাবান ঘোষের পাশাপাশি নাম রয়েছে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের। তাই গ্রেপ্তারির আশংকা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছেন মুকুল রায়। জানা গেছে, আর্থিক প্রতারণা (৪২০ ধারা) , এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র (১২০ বি)  এর জামিন অযোগ্য ধারা গুলি রয়েছে এফআইআর কপিতে।বেহালার সরশুনার বাসিন্দা সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের তার অভিযোগে লিখেছেন - গড়িয়াহাটের বাসিন্দা তথা বিজেপির মজদুর ইউনিয়নের নেতা বাবান ঘোষ ২০১৫ সালে রেলের স্থায়ী কমিটির পদ পাইয়ে দেওয়ার নামে ৪৬ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। সেসময় কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী ছিলেন সুরেশ প্রভু। কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটে যোগাযোগ ভালো আছে বোঝানোর জন্য সংসদ ভবনে এই বাবান ঘোষ বেহালার সন্তু গঙ্গোপাধ্যায় কে নিয়ে গিয়েছিল বলে দাবি। রেলমন্ত্রকের নানা কাগজপত্র নাকি দিয়েছিল অভিযুক্ত বাবান ঘোষ। এই কাগজপত্রের সততা জানতে পূর্ব রেলের সদর দপ্তর কলকাতার ফেয়ারলি প্লেসে গিয়েছিলেন অভিযোগকারী। আর সেখানেই জানতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। যদিও বাবান ঘোষ শিবিরের দাবি - 'সম্প্রতি টালিগঞ্জের একঝাঁক শিল্পীদের তৃনমূল থেকে বিজেপিতে নাম লেখানোর কাজে মুখ্য ভূমিকা নিয়ে ছিলেন বাবান ঘোষ। এই রাজনৈতিক শত্রুতা থেকেই জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু এবং গ্রেপ্তার সে'।প্রশ্ন উঠে ২০১৫ সালের বিষয়টি কেন প্রায় চার বছরের মাথায় তুললেন অভিযোগকারী এবং রেলের স্থায়ী কমিটিতে পদ পেতে কেন এত টাকা দিতেও গেলেন সেই বিষয়েও উঠেছে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন ?  এই মামলায় আজ ১৮ সেপ্টেম্বর অবধি মুকুল রায়ের রক্ষাকবচ বাড়লো। ১৬ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ।                                                                                                                                                                                                                                                                                                       

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER