শনিবার, মে ১৬, ২০২০

কলকাতার বিভিন্ন ফুটপাতে টিফিন নিয়ে ঘুরছে বিপ্লব

গোপাল দেবনাথ

  

মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান বিপ্লব দে নিজে ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়ে প্রতিদিন কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারদের হাতে সন্ধ্যায় তুলে দিচ্ছে টিফিন তার সাথে সাথে ভবঘুরে, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দুধ ফেরিওয়ালা, ফুটপাতবাসী, মৃৎশিল্পী, প্রত্যেকের হাতেই সন্ধ্যায় টিফিন এর ব্যবস্থা করেছে বিপ্লব  তিনি এটাও জানান - মানুষের  জন্য কাজ করা তার হবি, বছরের প্রতিটা সময় বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে থেকে এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়ে বহু কাজ করেন তিনি তাই এই লকডাউন এর দিনেও ঘরে বসে না থেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়ে রাস্তায় নেমে গেছেন তিনি এবং তার সাধ্যমতো যতদিন পারবে তিনি এই কাজ চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন  আর তার এই কাজকে সমর্থন জানিয়  উপস্থিত ছিলেন শ্রীমতি শুপ্তি পান্ডে মহাশয়া

কলকাতার বিভিন্ন ফুটপাতে টিফিন নিয়ে ঘুরছে বিপ্লব

গোপাল দেবনাথ

  

মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান বিপ্লব দে নিজে ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়ে প্রতিদিন কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারদের হাতে সন্ধ্যায় তুলে দিচ্ছে টিফিন তার সাথে সাথে ভবঘুরে, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দুধ ফেরিওয়ালা, ফুটপাতবাসী, মৃৎশিল্পী, প্রত্যেকের হাতেই সন্ধ্যায় টিফিন এর ব্যবস্থা করেছে বিপ্লব  তিনি এটাও জানান - মানুষের  জন্য কাজ করা তার হবি, বছরের প্রতিটা সময় বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে থেকে এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়ে বহু কাজ করেন তিনি তাই এই লকডাউন এর দিনেও ঘরে বসে না থেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়ে রাস্তায় নেমে গেছেন তিনি এবং তার সাধ্যমতো যতদিন পারবে তিনি এই কাজ চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন  আর তার এই কাজকে সমর্থন জানিয়  উপস্থিত ছিলেন শ্রীমতি শুপ্তি পান্ডে মহাশয়া

ক্ষুধার্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের খাওয়ালেন নবদ্বীপের পুরোহিত

শ্যামল রায়
  
লকডাউন চলাকালীন নবদ্বীপে বিভিন্ন সংস্থার থেকে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কাজ

লকডাউন চলছে। কেউ কেউ ভিন্ন দেশ থেকে বাড়ি ফিরছেন আবার কেউ কেউ এলাকার গরীব মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে সামাজিক দায়িত্ব পালন করছেন।
শনিবার নবদ্বীপ শহরের জাহান্নবি পাড়ায় সামাজিক সংগঠনের তরফ থেকে এলাকার গরিব মানুষের মধ্যে বিনামূল্যে সবজি বাজার করা হয়। বিনামূল্যে সবজি পেয়ে এলাকার গরিব মানুষ ভীষণ খুশি বলে জানা গিয়েছে।
অন্য দিকে অন্ধপ্রদেশ থেকে কুড়িজন পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফেরার পথে নবদ্বীপ গৌরাঙ্গ সেতু রেল গেটের কাছে এই সকল ক্ষুদার্থ শ্রমিকদের জন্য এগিয়ে আসেন নবদ্বীপের একজন বিশিষ্ট পুরোহিত মানিক লাল ভট্টাচার্য। তিনি বাসে থাকা শ্রমিকদের জন্য জল এবং বিভিন্ন ধরনের শুকনো খাবার পরিবেশন করেন। ক্ষুধার্ত শ্রমিকরা খাবার খেয়ে ভীষণ খুশি আনন্দিত বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে নবদ্বীপ পৌরসভার  ১৯ নম্বর  তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে এলাকার গরীব মানুষের জন্য খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর এবং নবদ্বীপ পৌরসভার চেয়ারম্যান সহ অনেকে। লকডাউন চলাকালীন খাদ্যসামগ্রী পেয়ে খুশি এলাকার গরিব মানুষ। তবে অনেকেই বলছেন লাগাতারভাবে লকডাউন চললে আগামী দিন তারা কিভাবে বেঁচে থাকবেন এই  প্রশ্নেহতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন শহরের দিন আনা দিন খাওয়া কর্মহীন অসংগঠিত শ্রমিক ও সাধারণ মানুষ।

প্রখর রোদে সিক্ত শ্রমিকদের রানাঘাটে পাঠালো শালবনীর পঞ্চায়েত সমিতি

প্রচন্ড দাবদাহে হাঁটতে থাকা শ্রমিকদের শালবনীতে আটকে মেডিকেল ও গাড়ির ব্যবস্থা করে পাঠানো হলো। তাদের বাড়ি নদীয়া জেলার রানাঘাটে
গতকাল শালবনী ব্লকের ফাৰ্মরোড প্রচন্ড রোদের মধ্যে মাথায় ব্যাগ বোচকা নিয়ে  হাঁটতে দেখে তাদের আটকান শালবনির পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সন্দীপ সিংহ ও সভাপতি মিনু কোয়ারি , তাদের জিজ্ঞেস করে জানতে পারেন তারা খড়্গপুর থেকে হাঁটছেন ও নদীয়া জেলার রানাঘাট যাবে , সন্দীপ বাবু তাদের অপেক্ষা করতে বলে সেক ইমরানের কে বলে একটা গাড়ি ব্যবস্থা করে শালবনি হাসপাতালে পাঠান সেখানে কাঞ্চন ডাঙরের সহযোগিতা করে তাদের ডাক্তারি পরীক্ষা করান, সকলে সুস্থ থাকায় সন্দীপ বাবু তাদের শালবনি হাইস্কুলে থাকার ও খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করেন , গতকাল শালবনীতে ওনারা থাকেন এবং আজকে তাদের রানাঘাট ফিরে যাওয়ার সরকারি অনুমোদন ও গাড়ির ব্যবস্থা করে সেই সাতজন শ্রমিক ভাইদের আজ রানাঘাটে পাঠানো হলো ۔۔ সন্দীপ সিংহের কথায়  সুমন সরকার ও অন্যান্য দলীয় কর্মীরা সেই শ্রমিকদের সহযোগিতা করেন

বিভিন্ন দাবিতে সরব দেশপ্রাণ ব্লকের সিটু নেতৃত্ব

জুলফিকার আলি
  

সিঅাইটিইউ, দেশপ্রাণ ব্লক কমিটির ডাকে জেলা কর্মসূচীর অংশ হিসেবে অাজ বসন্তিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও দুরমুঠ উপস্বাস্হ্য কেন্দ্রের সামনে সমস্ত সরকারী হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, উপস্বাস্হ্য কেন্দ্র, নার্সিং হোমে করোনা মোকাবিলার সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসক, নার্স,স্বাস্থ্য কর্মীদের পিপিই,মাস্ক সহ চিকিৎসা সুরক্ষা প্রদান ও ৫০ লক্ষ টাকার বীমার অাওতাভূক্ত করা সহ ৮ দফা দাবীর ভিত্তিতে নিরব বিক্ষোভ কর্মসূচী রূপায়িত হয়। উভয় কর্মসূচী তে সামাজিক দূরত্ব বিধি বজায় রেখে নেতৃত্ব দেন সিঅাইটিইউ নেতা মামুদ হোসেন, সুতনু মাইতি, সঞ্জিত দাস, তাপস মিশ্র, তরুণ মাইতি, জহর লাল দাস,দিলীপ চন্দ, বাপ্পা খুঁটিয়া,নন্দন খুঁটিয়া,শক্তিপদ পণ্ডা,মানিক গারু প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। সিঅাইটিইউ নেতা মামুদ হোসেন বলেন করোনা মোকাবিলায় সার্বজনীন টেস্টিং,সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহ, জনস্বাস্থ্য সচেতনতা সুনিশ্চিত করন, গরীব মানুষজনকে বিনা মূল্যে রেশন, খাদ্যসামগ্রী ও নগদ অর্থ প্রদান প্রভৃতি দাবী সমূহের ভিত্তিতে অাজ কের মত অাগামীদিনে লকডাউন বিধি মেনে লাগাতার অান্দোলন সংগঠিত করা হবে।

একগুচ্ছ জনস্বার্থ দাবি নিয়ে বিক্ষোভে সিটু

জুলফিকার আলি
  

পরিযায়ী শ্রমিকদের বিনা ব্যয়ে শ্রমিক ট্রেনের অায়োজন করে রাজ্য সরকার ও রেল দপ্তর কে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক উদ্যোগ গ্রহণ, কর্মহীন দের প্রয়োজনীয় অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা, প্রচেষ্টা প্রকল্পের অাওতায় সবাই কে অন্তর্ভুক্ত করা, ঘরের ছেলে মেয়ে দের ঘরে ফেরাও সহ চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মী দের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা প্রদান ও বীমার পরিমাণ বৃদ্ধি করা,বিদ্যুৎ বিল মকুব করা প্রভৃতি দাবী সমূহের ভিত্তিতে অাজ দেশপ্রাণ, কাঁথি -১,কাঁথি-৩, হেঁড়িয়া, খেজুরী,রামনগর, বালিসাই, পটাশপুর, মুগবেড়িয়া, ভগবানপুর, এগরা,বালিঘাই প্রভৃতি ব্লকে বিক্ষোভ, ডেপুটেশন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। দেশপ্রাণ ব্লকে নেতৃত্ব দেন সিঅাইটিইউ নেতা মামুদ হোসেন, সুতনু মাইতি, তাপস মিশ্র, তরুণ মাইতি, ইউনুস উদ্দিন, গৌতম দাস,পৃথ্বীরাজ শীট,জহর দাস,দিলীপ চন্দ,সেক সফিউল অালি, প্রবীর বেরা প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। কাঁথি-১ ব্লকের কর্মসূচি তে নেতৃত্ব দেন সিঅাইটিইউ জেলা নেতা হরপ্রসাদ ত্রিপাঠী,মামুদ হোসেন  কানাই মুখার্জি, অতুল্য সুন্দর উকিল, জয়দেব, পণ্ডা, তেহরান হোসেন,প্রনব করণ,নন্দন রাউত,সলিলবরণ মান্না,সেক সাত্তার,বাসুদেব রাউল,বিদ্যুৎ পাত্র,প্রভাকর হাজরা,অনন্ত দাস,সেক জান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। কাঁথি-৩ব্লকের কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দেন সিঅাইটিইউ নেতা কালীপদ শীট, হিমাংশু পণ্ডা, রাজনারায়ণ দাস, অশোক পণ্ডা, খাজা অাবুল অালি,অনন্ত পণ্ডা প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। সিঅাইটিইউ নেতা মামুদ হোসেন বলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা দেশের সম্পদ সৃষ্টির কারিগর। অথচ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে শ্রমিকরা অাজ উপেক্ষিত । কর্মহীন দের নগদ অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী প্রদান করার জায়গায় পুঁজিপতিদের অর্থনৈতিক প্যাকেজ দিতে ব্যস্ত।সর্বস্তরের মানুষকে জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে গণঅান্দোলন গড়ে তোলা র অাহ্বান জানান মামুদ হোসেন।

পাঁচশো কিমি পাঁয়ে হেটে বাড়ী ফিরলেন পটাসপুরের শ্রমিকেরা

জুলফিকার আলি
  
দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন সেই লকডাউন থাকার কারনে এদিন শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর দু'নম্বর ব্লকে ভিন্ন রাজ্যে আটকে থাকা  শ্রমিক বাড়ি ফিরলেই পায়ে হেঁটে প্রায় ৫০০কিলোমিটার পথ। তাদের কে তার পরিবারও গ্রামের মানুষ ঘরের মধ্যে ঢুকতে না দিয়ে প্রশাসনিক দিক থেকে ১৪দিনের হোম করেন্টিন থাকার ব্যবস্থা করল বাল্যগোবিন্দপুর বালিকা বিদ্যালয় মধ্যে।

করোনা মোকাবিলায় আর্থিক অনুদানে কালনার প্রাথমিক শিক্ষকরা

শ্যামল রায়

  

 ;   শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির তরফে বর্ধমান জেলা সংগঠনের তরফে ৭৯ হাজার টাকার একটি চেক মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দেওয়া হয়েছে ।প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের শিক্ষকরা কালনা মহকুমাশাসক দপ্তরে এসে মহকুমাশাসক সুমন সৌরভ মোহান্তির হাতে চেকটি  তুলে দেন।সংগঠনের তরফে অভিজিৎ কুণ্ডু  জানান - "প্রাথমিক পর্যায় আজ এটুকু দেওয়া হল. আগামী দিনে অধিক টাকার চেক তুলে দেওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের জন্য"।

শুক্রবার, মে ১৫, ২০২০

মঙ্গলকোটে ত্রাণ দেবেন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী?


কবিরুল ইসলাম 


কাটোয়া মহকুমাশাসক অফিসের মাধ্যমে মঙ্গলকোটে অসহায়দের  পাশে দাঁড়াতে  ত্রাণ পেলেন এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী    ।       

ঈদে দোকানপাট খুলতে হবেনা, স্মারকলিপিতে ইমামরা

সুরজ প্রসাদ 

ঈদের কারণে দোকান না খোলার আবেদন  করল বেঙ্গল ইমাম’স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।  শুক্রবার এই মর্মে জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। তিনি আবেদন করেছেন, ঈদের কারণে দোকান পাঠ খোলার কোন প্রয়োজন নেই, তারা চান মানুষের স্বার্থে এই লকডাউন এই মাসের শেষ পর্যন্ত।

তমলুক ঘাটাল সেন্ট্রাল কোওপারেটিভ ব্যাংকের খাদ্য সামগ্রী বিলি

জুলফিকার আলি  

মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী মহাশয়ের সহযোগিতায় ,তমলুক ঘাটাল সেন্ট্রাল কোঃ অপারেটিভ ব্যাঙ্কে চেয়ারম্যান গোপাল চন্দ্র মাইতি মহাশয় ও ভাইস চেয়ারম্যান  মেঘনাদ পাল মহাশয় ও secretary ম কৌশিক কুলভী মহাশয় উদ্যেগে তমলুক সাব ডিভিসান ,হলদিয়া সাব ডিভিসান,ঘাটাল সাব ডিভিসনে দুঃস্থ মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিচ্ছেন তমলুক ঘাটাল সেন্ট্রাল কোঃ অপারেটিভ ব্যাঙ্ক,আজ নন্দকুমার বিধানসভা অন্তর্গত বরগোদা গোদার সমবায় সমিতিতে প্রায় 600 মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদে সভাধিপতি দেবব্রত দাস মহাশয় ও তমলুক ঘাটাল সেন্ট্রাল কোঃ অপারেটিভ ব্যাঙ্ক চেয়ারম্যান  গোপাল চন্দ্র মাইতি মহাশয়

করোনা পরীক্ষা করা নিয়ে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে হইচই

উচ্চশিক্ষা মন্ত্রীর ভৎসর্না: কাঠগড়ায় কল্যাণীর উপাচার্য

নিজস্ব প্রতিবেদক 


আগ বাড়িয়ে করোনা টেস্ট করতে চেয়ে কাঠগড়ায় কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শংকর কুমার ঘোষ। আইসি‌এম‌আরের অধিকর্তার কাছে উপাচার্য চিঠি দিয়েছেন বলেও জানা যায়। করোনা আক্রান্তের নমুনা সংগ্রহ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস‌এন‌বোস‌ ইনোভেশন সেন্টারে পরীক্ষা চালাতে চান বলে জানিয়েছেন। আর এতেই বেড়েছে বিপত্তি। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে চাপান-উতোর অব্যাহত। করোনার মতো একটা মারাত্মক ও মারণ রোগের ঝুঁকিপূর্ণ পরীক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক স্তরে যে ধরনের আলোচনার দরকার ছিল তা তিনি করেননি।

 কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্ৰহণের জন্য যে এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল বা কোর্টের মতো বিধিবদ্ধ কমিটি রয়েছে সেখানে আলোচনা ব্যতীত অগণতান্ত্রিকভাবে নিজের মর্জি মতো এধরনের একটি বড়ো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন একাই উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ। এমনকি রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দপ্তরকেও অবজ্ঞা করে মুখ্যমন্ত্রী ও আইসিএমআর-এর কাছে অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছেন তিনি। এতেই বিতর্কের সূত্রপাত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিয়ে উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী ড. পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে অবজ্ঞা করেন এবং উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ যখন তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্য আধিকারিকদেরকে হুমকি দিয়ে বলেন তিনি মনে করলে সবার চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে পারেন। কথায় কথায় ভয় দেখান। সম্প্রতি রেজিস্ট্রার দেবাংশু রায়কে ছুটিতে পাঠিয়ে বির্তক তৈরি করে উচ্চশিক্ষা দফতরের কড়া আদেশ মেনে নিয়ে রেজিস্ট্রারকে দায়িত্বে ফিরিয়ে আনতে বাদ্য হয়েছেন উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ।

 কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, গবেষক, শিক্ষাকর্মী, শিক্ষকদের অনেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তাঁর পাগলামীর জন্য। আপদকালীন মুহূর্তে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন, তারা বিষয়টা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। কেননা তাদের এখনো পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় যেতে হচ্ছে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরেই চলবে আক্রান্তের নমুনা নিয়ে করোনা পরীক্ষা। 

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন সন্নিকটে রয়েছে আন্তর্জাতিক গেস্ট হাউস এবং ক্যান্টিন। স্বাভাবিক ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় চলা অবস্থায় ছাত্র-ছাত্রী, গবেষক, শিক্ষাকর্মী, শিক্ষকদের অনেকেই ক্যান্টিনে যান। এ নিয়ে সকলের মধ্যে একটা সংশয় দেখা দিয়েছে। কল্যাণী জেএনএম মেডিকেল কলেজে করোনা আক্রান্তকারীদের যারা চিকিৎসা করছেন, সেই সব নার্স ও ডাক্তারদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক গেষ্ট হাউসে। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছেন তারা রীতিমত বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। এই গেস্ট হাউসের কাছেই রয়েছে একটি এটিএম। সেখানে আতঙ্কে মানুষের যাওয়া প্রায় বন্ধ হয়েছে। উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাব, প্রশিক্ষিত ডাক্তার-নার্স ব্যতীত, পর্যাপ্ত পিপি‌ই ছাড়া সংক্রামক ব্যাধি পরীক্ষা করা যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। 

কল্যাণী জনবহুল এলাকা। এই সংক্রামক ব্যাধি যদি একবার ছড়িয়ে পড়ে তা চরম মাত্রা নিতে পারে এই এলাকায়। অগণতান্ত্রিকভাবে উপাচার্য নিজের মর্জি মতো এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতে রাজ্য সরকার যথেষ্ট সমস্যায় হয়তো পড়তে হবে আগামীতে। উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী ড. পার্থ চট্টোপাধ্যায় উপাচার্যদের সঙ্গে এক কনফারেন্সে মিলিত হলে এনিয়ে শংকর ঘোষকে তিনি  ভৎসর্না করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে সমস্ত প্রক্রিয়াটি করোনা টেস্ট বন্ধ করতে নির্দেশ দেন। 

সমস্ত ঘটনা জানিয়ে ওয়েবকুপার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট এই গুরুতর ঘটনাটি উচ্চশিক্ষা দপ্তরের নজরে আনেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিবদ্ধ কমিটির সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করে, রাজ্য উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অনুমোদন ব্যতীত টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞ ছাড়া, প্রয়োজনীয় ইকুইটমেন্টহীন অবস্থায় অননুমোদিত কোভিড ১৯ টেষ্ট নিয়ে লিখিত আকারে প্রতিবাদ জানায়। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজনীয় ইকুইটমেন্ট দিয়ে যেভাবে সাহায্য করছে সেভাবেই সাহায্য করার প্রস্তাব দেন। উচ্চশিক্ষা দপ্তরের প্রতিনিধি তাদের আশ্বস্ত করে জানান, উচ্চশিক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে উপাচার্যের এনিয়ে কনফারেন্সে কথা হয়েছে। উপাচার্যদের সঙ্গে এক কনফারেন্সে শিক্ষামন্ত্রী ড. পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গের উত্থাপন করে শঙ্কর ঘোষকে রীতিমত ভৎসর্না করেন এবং উপাচার্যকে পঠন পাঠনে মনোযোগ দিতে বলেন।

কল্যাণীতে বেশ কয়েকটি উচ্চমানের চিকিৎসা কেন্দ্র এবং মেডিকেল কলেজ রয়েছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় যেমন নিজেদের যন্ত্রপাতি দিয়েই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তারাও এই ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ পরীক্ষা করতে চাননি। জাতীয় স্তরের চিকিৎসা কেন্দ্র এইমস বর্তমানে কল্যাণীতে অবস্থিত। তারাও কাজকর্ম শুরু করেছে। এছাড়াও বেশ কিছু সরকারি গেস্ট হাউস‌ও রয়েছে। যেগুলি জনবহুল এলাকা থেকে একটু দূরে। সেখানেও চিকিৎসকদের রাখার ব্যবস্থা করা যেত। খবরে প্রকাশ, কল্যাণী কার্নিভালে যেখানে করোনার চিকিৎসা হচ্ছে, তার পাশের হোটেলেই চিকিৎসকদের থাকার কথা হয়েছিল। 

এদিকে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে শংকর ঘোষ
করোনা টেস্ট বিষয়ে লেখেন, 'কল্যাণী ইউনিভার্সিটি ইজ রেডি এন্ড ওয়েটিং ফর অ্যাপ্রুভাল'। সংবাদ মাধ্যমেও এ নিয়ে নিউজ কভার করা হয়েছে। করোনা টেস্ট করতে প্রস্তুত কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়। বিষয়টা নিয়ে বিতর্ক শুরু হবার পর উপাচার্য জানাচ্ছেন, জেলা প্রশাসনের প্রস্তাবে‌ সাই দিতেই বিশ্ববিদ্যালয় এই উদ্যোগ নিয়েছিল। সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের নজরে আসার জন্য‌ই উপাচার্য এই ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে তাঁকে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রী, গবেষক, শিক্ষক,  আধিকারিক ও শিক্ষা কর্মীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল উপাচার্যকে। বিগত দুই বছর তিনি ইসি মিটিং করছেন না। নিজের ইচ্ছে মতোই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করছেন। অগণতান্ত্রিক উপায়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা নিয়ে সোচ্চার হয়েছিল সমস্ত অধ্যাপক ও আধিকারিকরা। 

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় এনআইআরএফ র‌্যাঙ্কিং ৪৬ থেকে এই কয় বছরে নেমে এসেছে এখন ১০০ ছুইছুই অবস্থান। র‌্যাঙ্কিং-এর চরম অবনমন ঘটেছে উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষের আমলেই। সামনের ডিসেম্বরেই শঙ্কর কুমার ঘোষের কার্যবিধির সময়সীমা শেষ হচ্ছে। রাজ্য সরকারের নজরে আসতে চাইছেন তিনি। এমনটাই অভিযোগ। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবকুপার যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক নন্দকুমার ঘোষ ও সুজয় কুমার মণ্ডল জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব কিছু বিধি আছে, সেই বিধি অনুসারে যে সকল কমিটি আছে, যেমন ইসি, কোর্ট, কাউন্সিল সেখানে আলোচনা না করেই এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উপাচার্য। উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অনুমতি ছাড়াই এই সিদ্ধান্ত। পাবলিক ইন্টারেস্টের দিক থেকে দেখলে এটি আত্মঘাতী একটি সিদ্ধান্ত। এই প্রচেষ্টা চালু হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ভয় আছে।

উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ বহু বেআইনি নিয়োগ করেছেন সে নিয়েও চরম মতদ্বৈধতা দেখা দিয়েছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরমহলে। 

উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ দুর্নীতি গ্রস্ত পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক বিমলেন্দু বিশ্বাস ও বিজেপির ঘনিষ্ঠ শিক্ষক অলোক ঘোষকে সঙ্গে নিয়েই একটার পর একটা দূর্নীতি করেই চলেছেন। উচ্চশিক্ষা দফতর তদন্ত কমিটি করে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষকে সচেতন করেছেন এবার তার বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নেন সেটাই দেখার।

হরিপালে ৬০০ দুস্থদের খাদ্য সামগ্রী বিলিতে বেচারাম মান্না

সুভাষ মজুমদার

  

হরিপালের মালিয়া হামিরাগাছি ব্রাহ্মণপাড়া বিশ্বনাথ সেবা সমিতি তে  প্রেম মিলনের  সেবা ট্রাস্ট এর  কর্ণধার চন্দ্রকান্ত শরাপ এর উদ্যোগে হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্নার সহযোগিতায় করোনা ভাইরাসে এই লকডাউনে ৬০০ দুঃস্থ পরিবারের হাতে মুদিখানা সহ  খাদ্য সামগ্রীক তুলে দেওয়া হয় এলাকার মানুষদের ৷ উপস্থিত ছিলেন হরিপাল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা প্রধান দেবাশিস পাঠক,ছাত্রনেতা তথা আশুতোষ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুমিত সরকার, জয় হিন্দ বাহিনীর ব্লক সভাপতি স্বরূপ মিত্র সহ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব থেকে সেবা ট্রাস্টের কর্মকর্তারা ৷

মেমারিতে শিক্ষক সংগঠনের খাদ্য সামগ্রী বিলিতে ভাইস চেয়ারম্যান

সেখ সামসুদ্দিন

 

 পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের মেমারি ব্লক কমিটির উদ্যোগে তৃতীয় দফায় খাদ‍্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় অসহায় পরিবারের হাতে। উপস্থিত ছিলেন মেমারি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রিয় সামন্ত, জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সহসভাপতি মুকেশ শর্মা, সমাজসেবী শুভেন্দু গুহ, শিক্ষক সংগঠনের ব্লক সভাপতি কৌশিক মল্লিক, শিক্ষক পীযূষ বোস সহ বিশিষ্ট ব‍্যক্তিবর্গ। কৌশিক মল্লিক জানান এদিন ৯৫ টি পরিবারের মধ্যে চাল, আলু, পিঁয়াজ, কুমড়ো, ডাল, বিস্কুট, সাবান ইত্যাদি দেওয়া হয়। তারা ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রিয় সামন্তের সঙ্গে সম্মিলিত ভাবে হাজার অধিক মানুষের জন্য অন্নক্ষেত্র চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ওয়ার্ডের গরীব পরিবারের হাতে খাদ‍্য সামগ্রী তুলে দিচ্ছেন।

৩১ শে মে অবধি বন্ধ থাকছে রাজ্যের সমস্ত আদালত

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  


গত ১৬ মার্চ থেকে বিশ্বব্যাপী মারণ ভাইরাস করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এই রাজ্যের সমস্ত আদালত একপ্রকার বন্ধ শুরু হয়েছে। যা পর্যায়ক্রমে আগামী ৩১ শে মে অবধি বহাল রাখলো কলকাতা হাইকোর্ট। গত বুধবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্দেশক্রমে রেজিস্ট্রার জেনারেল রাই চট্টোপাধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তা জানিয়ে দেন। আজ অর্থাৎ শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি রয়েছে জনস্বার্থ সহ গুরত্বপূর্ণ মামলা গুলির। এদিনই আবার জারি হতে পারে আগামী ৩১ শে মে অবধি কোন কোন তারিখে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে মামলার শুনানি হতে পারে সেই বিষয়ে।ইতিমধ্যেই দফায় দফায় কলকাতা হাইকোর্টের বিভিন্ন ভবন জীবাণু মুক্ত করা হয়েছে। সেইসাথে হাইকোর্ট সংলগ্ন ব্যাংকশাল - সিটি সেশন আদালত গুলিও জীবাণু মুক্ত করা হয়েছে। তবে বার এসোসিয়েশন ভবন গুলি স্যানিটাইজ করা হয়নি বলে আইনজীবীদের একাংশের অভিযোগ। সারাদেশ ব্যাপি আগামী ১৭ মে তৃতীয় দফার লকডাউন শেষ হচ্ছে। যদিও প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন সময়ে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তারই মধ্যে কলকাতা হাইকোর্ট আগামী ৩১ শে মে অবধি রাজ্যের সমস্ত জেলা /মহকুমা সর্বপরি কলকাতা হাইকোর্ট করোনার জেরে বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারী করে থাকে। চলতি সপ্তাহে আলিপুর আদালতে এক আইনজীবীর সন্দেহভাজন করোনায় মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য দেখা গেছে আইনজীবীদের মধ্যে।তবে পুরোপুরি বিচারপ্রক্রিয়া বন্ধ হয়নি। জনস্বার্থ সহ গুরত্বপূর্ণ মামলা গুলি সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন যেমন পাঁচটি বেঞ্চের মাধ্যমে অনলাইন শুনানি চালু রেখেছে কলকাতা হাইকোর্ট। ঠিক তেমনি জেলা ও মহকুমাস্তরের আদালত গুলিতে প্রতিদিন ধৃতদের জামিন সংক্রান্ত মামলার এজলাসটি চালু রয়েছে। তবে মামলা গ্রহণের ক্ষেত্রে পুলিশি ভুমিকা বড় হয়ে উঠেছে বিগত দুমাসের লকডাউনে। কেননা পুলিশ কেস ( জিআর)  রুজু করা গেলেও কোর্ট কেস ( সিআর) গুলি রুজুর জন্য সংশ্লিষ্ট এজলাসে সেই ব্যবস্থা শুরু হয়নি। এতে সাধারণ মানুষ তাদের অভাবঅভিযোগ আদালতের কাছে ঠিকমতো পৌঁছাতে পারছেনা বলে অভিযোগ। আবার পুলিশের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ উঠলে তা নিম্ন আদালতের কাছে এন্ট্রি থাকার ব্যবস্থা নেই। আইনজীবীদের বড় অংশ নিম্ন   আদালতে কোর্ট কেস গ্রহণে কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন ।                                                                                                                                                            


    

বৃহস্পতিবার, মে ১৪, ২০২০

কবিতার নাম - ঘুম নেই

'ঘুম নেই'
       সুদীপ রায়
 

ঘুমোব কী, 
চোখের জটিল আলো জেগে থাকে আজকাল সারা রাত l
আজ এগারোই মে ...
শুনছ কি আজ এগারোই মে। 
দুপুরে খেয়েছি আজ পাবদার  ঝোল।
রাতে তিন পিস ইন্ডিয়ান ট্যাকো।
বিছানায় যাওয়ার আগে বিটোফেন, 
এলজোলাম পয়েন্ট টু ফাইভ।
তবু চোখে ঘুম নেই।
চোখে ঘুম নেই।
ঘুম নেই। নেই নেই নেই।
এবারে কী করবে বল ? 
এক কাজ করতে পার তুমি, 
পাহাড় ভাঙতে থাকো।

স্নেহযাত্রায় চেপে এরা বাড়ি ফিরছেন

সুরজ প্রসাদ
 

'স্নেহযাত্রা' নামে একটি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন আজ কেরালার আলাফুজা থেকে বিহারের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। সেই ট্রেন বর্ধমান স্টেশনে কিছুক্ষণ দাঁড়ায়। যদিও আজও কোনো যাত্রী ওঠানামা করে নি বর্ধমানে। তবে যাত্রীরা জানিয়েছেন তারা কেরালায় কেউ শ্রমিকের কাজে  কেউবা রাজমিস্ত্রির কাজে গিয়েছিল। আজ তারা ফিরতে পেরে খুশি।

গ্রাম থেকে লরি নিয়ে জাতীয় সড়কে উঠার আগেই প্রাণ গেল চালকের

সেখ নিজাম আলম
  

বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু।
 গলসি থানার পুরসা গ্রামে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মারা গেল ২০ বছরের যুবক মনিরুল হক মল্লিক। জানা যায়, সে লরীর ড্রাইভার ছিল। তাই আজ লরি নিয়ে বের হতে গেলে উপরে বিদুৎের তারে ঘর্ষণ লাগলে কভার তার ফেটে যায়। ফলে সমগ্র লরিটি কারেন্ট হয়ে গেলে সে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়। পায়ে জুতো না থাকার জন্য সে আর বিপদ থেকে মুক্ত হতে পারেনি। পরে গ্যাং নামিয়ে তড়িঘড়ি তাকে পুরসা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।  ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করলে বর্ধমানে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়। জানা যায়,তার এক বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। তার স্ত্রী গর্ভবতী থাকায় কান্নার রোল পরিবারের সকলের। কারণ বাচ্ছা জন্মানোর পরই তার বাবাকে দেখতে পাবে না,এটা তাদের বিরাট শোকের ছায়া। মনিরুল হকের বাবা সাগর মল্লিক ভ্যান চালিয়ে সংসার চালান। তিনি বলেন আমার দুটি ছেলের মধ্যে মনিরুল হক বড়। লরী চালিয়ে ভালোই উপার্জন করত সে। এখন আমার একটা ডান হাত চলে যাওয়ার মত কষ্ট পাচ্ছি।

বুধবার, মে ১৩, ২০২০

দুধের শিশু কে খুনের অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে

জুলফিকার আলি
  

ভগবানপুর থানার যদুপুর গ্ৰামে মায়ের হাতে খুন হল শিশুকন্যা।জানা গিয়েছে,ওই গ্ৰামের গৃহবধূ মিতালী মির্দা তার স্বামীর সাথে পারিবারিক অশান্তির কারনে বাবার বাড়ি চলে যায়।এরপর বুধবার সকালে মিতালীর অবভাব দেখে সন্দেহ হয় গ্ৰামবাসীদের।তারপর গ্রামবাসীরা ওই গৃহবধূর বাড়ি থেকে তার শিশুকন‍্যার মৃতদেহ উদ্ধার করে।এই ঘটনার খবর পেয়ে ভগবানপুর পুলিশ এসে মৃতদেহটিকে নিয়ে যায়।পাশাপাশি তার মাকেও আটক করে নিয়ে পুলিশ।

মৎসজীবিদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা দিতে মুখ্যসচিব কে ইমেল

জুলফিকার আলি  

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে বিশেষ করে কাঁথি ও এগরা মহকুমার বিভিন্ন ব্লকে বাগদা,ভেনামী,নোনা জলের মাছ চাষ সহ মিঠা জলের মাছের উৎপাদন লকডাউনের ফলে চূড়ান্ত বিপর্যস্ত।সমুদ্রে মাছ শিকার বন্ধ থাকায় মাছের ছোট ব্যবসায়ীরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শুকনো মাছের কারবার স্তব্ধ। কাঁথি-১,দেশপ্রাণ, কাঁথি-৩ সহ সমুদ্র উপকূল সংলগ্ন এলাকায় মাছের উৎপাদন নেই বললেই চলে। হাজার হাজার বেকার যুবক ও সংশ্লিষ্ট কর্মী সহ শ্রমিকদের অর্থনৈতিক দুরবস্থা র শিকারে পরিণত হয়েছে। মৎস্য উৎপাদক,ব্যবসায়ী,কর্মচারী, শ্রমিক, শুকনো মাছের কারবারী ও শ্রমিকদের জন্য ত্রাণ, অর্থনৈতিক প্যাকেজ,সহজ শর্তে ব্যাঙ্কঋণ প্রদানের দাবী জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ই-মেইল বার্তা পাঠিয়েছেন সিপিঅাইএম নেতা তথা প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER