সোমবার, মে ২০, ২০১৯

আইনজীবীদের কর্মবিরতিতে রুজিরোজগারে টান খাবারের দোকানগুলিতে


মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি তাদের দাবি পূরণে সাধারণত এক কিংবা দুদিনের ধর্মঘটের ডাক দেয়। এইবিধ ধর্মঘটে অল্পবিস্তর ক্ষতির মুখ দেখেন ব্যবসায়ীরা।তবে গত ২৪ এপ্রিল থেকে হাওড়া জেলা আদালতে আইনজীবীর পুলিশি পীড়নের ঘটনা কে সামনে রেখে সারারাজ্য জুড়ে আইনজীবীদের যে কর্মবিরতি চলছে তাতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে আদালত লাগোয়া হোটেলগুলি।টানা ২৫ দিন আদালত গুলি তে একপ্রকার বনধ চলছে। সেখানে আইনজীবি, মুহুরি, টাইপিস্ট  সর্বপরি বিচারপ্রার্থীরা নেই। তাই আদালত চত্বরে থাকা সমস্ত দোকানই প্রায় বন্ধ। কতটা ক্ষতির মুখে এইবিধ খাবারের দোকানগুলি?  মহকুমা থেকে জেলার সদর আদালত, কিংবা কলকাতার সিটি কোর্ট থেকে হাইকোর্ট সর্বত্রই সেই একই ছবি। কলকাতার ব্যাংকশাল আদালতে এই প্রতিবেদক সরজমিন খতিয়ে দেখতে গেলে ফুটে উঠে নিম্নমধ্যবিত্ত হোটেলগুলির আর্থিক ক্ষতির ছবি। ব্যাংকশাল আদালতের ৩ নং গেটে এক হোটেল সহ রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী নিত্যানন্দ সাহা জানান - "এই আদালতে প্রতিদিন গড়ে শয়ে শয়ে বিচারপ্রার্থীরা আসেন, সেইসাথে উকিলবাবু - মুহুরিরা তো আছেনই। প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকার বিক্রি-বাট্টা হয়। সেখানে প্রায় এক মাস বন্ধ বলা যায় অর্থাৎ এক লক্ষের বেশি অর্থ মাসিক ক্ষতি ধরে নেওয়া যায়। শুধু তাই নয় হোটেলে নিযুক্ত তিন থেকে চারজনের পেছনে প্রতিদিন হাজার টাকা মাইনে দিতে হয়। সেটাও মাসিক ত্রিশ হাজার টাকা বলা যায় "। তাহলে দেখা যাচ্ছে সারারাজ্যে আইনজীবীদের কর্মবিরতিতে আদালত চত্বরে থাকা হোটেলগুলিতে মাসিক গড়ে একলক্ষ টাকা যেমন আয় হলনা, ঠিক তেমনি স্থায়ী কর্মীদের মাইনে তে ব্যয় হল ত্রিশ হাজার টাকার মত। অর্থাৎ আদালত চত্বরে চালু হোটেলগুলি একমাসের আর্থিক  ক্ষতি   দাঁড়ালো দেড়লক্ষের মত। আদালত চত্বরে থাকা হোটেলগুলির গ্রাহক বলতে বেশিরভাগই বিচারপ্রার্থীরা। কেননা এগুলি প্রায় আদালতের গেটের মধ্যেই থাকে। তাই আদালতে আসা ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য কোন ধরনের খদ্দের এখানে আসেনা বললেই চলে। এটা শুধু কলকাতার ব্যাংকশাল আদালতের খন্ড এক দুর্দশার ছবি নয়, এইরূপ কাটোয়া মহকুমা আদালত - আলিপুর আদালত সহ রাজ্যের সমস্ত আদালত চত্বরে থাকা হোটেলগুলির একই ছবি।  উকিলবাবুরা হয়তো কলকাতা হাইকোর্টের কাছে সুবিচার পাবেন। তারা আবার আদালতের কাজেও যোগ দেবেন। কিন্তু এই টানা কর্মবিরতি তাও রাজ্যব্যাপী কর্মবিরতির সর্বাধিক রেকর্ড সময়সীমা পার করলেন তাতে বিচারপ্রার্থীদের চরম হয়রানির পাশাপাশি খাবারের দোকানগুলিতে যে আর্থিক বিপর্যয় ঘটলো তার দায় কে নেবে?  এরা তো আর চাষীদের চাষাবাদে ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ পাবেনা....                                                                                           

পুলিশের বিরুদ্ধে রাজ্যের অবস্থান দেখে হাওড়া কান্ডে রায়দান



মোল্লা জসিমউদ্দিন,         

গত ২৪ এপ্রিল হাওড়া জেলা আদালতে গাড়ী রাখা নিয়ে আইনজীবীদের উপর যে পুলিশি সন্ত্রাস ঘটেছিল। তার পরিপেক্ষিতে ২৯ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে স্বতঃস্ফূর্ত মামলা রুজু হয়।এই মামলায় প্রথম পর্যায়ে অর্থ্যাৎ ৩ মে এবং ৮ মে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি ঘটে। সেইসাথে বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চে ১৬ মে এবং ১৭ মে পরপর দুদিন ধরে চলে এই মামলার শুনানি হয়। আজ অর্থাৎ  সোমবার দুপুরে পুনরায় এই বেঞ্চে শুনানি রয়েছে।তবে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলায় রায়দান দিতেও পারে বলে হাইকোর্ট সুত্রে প্রকাশ। তবে গত শুক্রবার সন্ধের মধ্যে রাজ্য কে লিখিত আকারে অভিমত জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এডভোকেট জেনারেল কে। কেননা চলতি লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের সমস্ত পুলিশ আধিকারিকরা কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের আওতায় রয়েছেন। তাই রাজ্যের অভিমত জেনে হাওড়া কান্ডে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন কে নির্দেশ দেবে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সম্মাদারের ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট মনে করছে, গত ২৪ এপ্রিল হাওড়া কান্ডে পুলিশের বিরুদ্ধে তিন থেকে চারটি বেআইনী  কাজ করার মত ঘটনা ঘটেছে।সেদিনে পুলিশের বিনা অনুমতিতে আদালতের ভেতরে অনুপ্রবেশ, আইনজীবী সসর্বপরি মহিলা আইনজীবীদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ, এছাড়া টিয়ার গ্যাস চার্জ করা নিয়ে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন রেখেছে ডিভিশন বেঞ্চ। সেদিনের টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করা নিয়ে হাওড়া পুলিশের মালখানার সঠিক হিসাব চাওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে৷ শুনানিতে বারবার আইপিএস বিশাল গর্গ, ভিএসআর অনন্ত নাগ, ভাবনা গুপ্ত, গুলাম সারওয়ার, অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিপিন তামাঙ, রাজশ্রী দত্তদের নাম উঠে এসেছে৷ তাই এইবিধ পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে রাজ্য অর্থাৎ নবান্ন কি অভিমত পোষণ করছে তা জেনে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন কে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সম্মাদার এবং বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায় নির্দেশ দিতে চান।  রাজ্যের তরফে এডভোকেট   জেনারেল কিশোর দত্ত সেদিনের ঘটনায় সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত পুরোটায় বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যে রাখার দাবি তুললেও কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তা খারিজ করে জানিয়ে দেয় যে, এই মামলাটি প্রধান বিচারপতি পুলিশের অনাধিকার প্রবেশ নিয়ে  স্বতঃস্ফূর্ত মামলার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই তাঁর বাইরে যাওয়া ঠিক নয়। হাইকোর্ট প্রশাসনের তরফে আইনজীবী জয়দীপ কর অবগত করান ডিভিশন বেঞ্চ কে - সেদিন ( ২৪ এপ্রিল)  হাওড়া জেলা জজ ঘটনা জেনে দ্রুত পুলিশ কমিশনার কে তলব করেছিলেন বেলা এগারো টা পনেরো মিনিটে। জেলাজজের এহেন নির্দেশ কে মান্যতা দেননি পুলিশ কমিশনার। অথচ বিকেলে এক রাজনৈতিক নেতার সাথে আদালত চত্বরে ঘুরে বেড়ান তিনি!  এই ঘটনা ঘিরে গত ২৫ এপ্রিল হাওড়া পুলিশ কমিশনার ঘটনার যে তদন্ত নির্দেশ দিয়েছিলেন, সেই তদন্তের কোন অগ্রগতি দেখাতে পারেনি পুলিশ। এমনকি তদন্তকারী পুলিশ অফিসার আক্রান্ত মহিলা আইনজীবীর সাথে ঘটনার বিবরণ শুনবার প্রয়োজন বোধ করেন নি। এইবিধ নানান প্রশ্নচিহ্ন হাওড়া পুলিশ কে ঘিরে।                    ইতিমধ্যেই হাওড়া জেলা আদালত কান্ডে পুলিশি সন্ত্রাসের প্রতিবাদে গোটা রাজ্যজুড়ে আদালত গুলিতে আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলছে। তিনটি পর্যায়ে এই কর্মবিরতি চলবে আগামী ২১ মে অর্থাৎ মঙ্গলবার পর্যন্ত। যদিও আইনজীবীমহলে জানা গেছে, যেভাবে বিগত চারটি শুনানিতে রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত সওয়াল চালাচ্ছেন, তাতে এই মামলা আরও জমে উঠেছে। সেখানে আবার কলকাতা হাইকোর্ট সহ সিভিল কোর্ট গুলিতে ২৪ মে থেকে ৯ জুন অবধি গরমের ছুটি পড়বে। তাই কর্মবিরতি আবার বাড়ার সম্ভাবনা থাকছে প্রবল।লোকসভা নির্বাচনে পুলিশ ব্যস্ত রয়েছে, তাই ঠিকমতো উত্তর মিলছে না বলেও অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে  ।  তাই  এই মামলায় দীর্ঘায়িত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। যদিও কলকাতা হাইকোর্ট এই ঘটনায় দ্রুত নিস্পত্তি চাইছে বলে জানা গেছে। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার আগে এই ঘটনার কোন আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন না অনেকেই।গত  শুক্রবার দুপুরে  হাওড়া কান্ডের  পরিপেক্ষিতে সারা রাজ্যজুড়ে আইনজীবীরা 'ব্লাক ডে' পালন  করেন৷ সেদিন কাটোয়া মহকুমা আদালতে শতাধিক আইনজীবী শহরের বিভিন্ন রাস্তায় মিছিল করে প্রতিবাদ জানান৷ বিষয় টি নিয়ে যেমন কলকাতা হাইকোর্টে স্বতঃস্ফূর্ত মামলা রুজু হয়েছে। ঠিক তেমনি রাজ্যপাল সহ রাজ্য নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন আইনজীবীরা।  হাওড়া কান্ডে কলকাতা হাইকোর্টের চারটি শুনানিতে যেসব প্রশ্নগুলি নিয়ে সওয়াল জবাব চলেছে। সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল - গত ২৪ এপ্রিল হাওড়া জেলা আদালতে গাড়ী রাখা নিয়ে আইনজীবীদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ সহ টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করা নিয়ে কার অনুমতি নিয়েছিল পুলিশ?  কেননা জেলা আদালতে সিজেএম সর্বপরি জেলাজাজের অনুমতি না নিয়ে পুলিশ কেন আদালতের ভেতর প্রবেশ করলো?  তাও অফিসটাইমে, যখন সিংহভাগ বিচারকরা তাঁদের এজলাসেই থাকেন। কি এমন পরিস্থিতি যেখানে টিয়ার গ্যাস চার্জ করতে হল?  তাও দুপুর দশটা  থেকে সন্ধে সাতটা অর্থাৎ টানা নয় ঘন্টা কেন পুলিশের তান্ডবলীলা?  পর্যাপ্ত মহিলা পুলিশ ছাড়া কেন মহিলা আইনজীবীদের উপর পুলিশ শারীরিক নিগ্রহ চালালো? এছাড়া মহিলা সিভিকরা কোন আইনী অধিকারে গ্রেপ্তার / আটক করে নিয়ে যায়?   উল্লেখ্য তনুশ্রী দাস নামে এক আইনজীবী 'কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা রাস্ট্রের কর্তব্য ' বিষয়টি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে বিশেষ কেস হিসাবে গ্রহণ করার আবেদন জমা দেয়। প্রধান বিচারপতি এই আবেদন গ্রহণ করলেও অন্য মামলাকারীরা যেকোনো মামলায় এটি কে রেফারেন্স হিসাবে নথিভুক্ত করতে পারবে না বলেও অর্ডারে উল্লেখ রেখেছেন।হাওড়া আদালতে সেদিনের ঘটনায় ছাব্বিশজন আইনজীবী আহত হয়েছিলেন। রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক ভবন ' নবান্ন' থেকে কম দুরত্বে ( ৩ কিমির কম দুরত্ব ) থাকা হাওড়া জেলা আদালতে কেন সেদিন পুলিশ এত বেপরোয়া ছিল, তা নিয়েও অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।এই ঘটনায় আইনজীবী এবং পুলিশের তরফে ভিডিওগ্রাফি জমা পড়েছে হাইকোর্টে। চলতি লোকসভা নির্বাচন নিয়ে যখন পুলিশ এত ব্যস্ত সেখানে হাওড়া জেলা আদালতে আইনজীবীদের উপর সুপরিকল্পিত হামলা কিভাবে চালালো পুলিশ?  তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কাটোয়া মহকুমা আদালতে ফৌজদারি আইনজীবী অনিন্দ চট্টরাজ সহ অনেকেই।                                                                                                                                                                                                                        

শুক্রবার, মে ১৭, ২০১৯

চিলের বাচ্চা বাঁচালো ভাতার

আমিরুল ইসলাম ,

ভাতার বাজারের একটি চিলের বাচ্চা উদ্ধার, তুলে দেওয়া হলো বনদপ্তর এর হাতে।

ভাতার বাজারে চিলের বাচ্চা উদ্ধার করলন ভাতার বাজারের বেশ কয়েকটা ব্যবসায়ী। অনেক মানুষ চিলের বাচ্চা কে দেখতে ভিড় জমিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে খবর গতকাল বিকেল বেলায়, একটি চিলের বাচ্চা ভাতার বাজারের 22 বিঘা কাছে একটি অসৎ গাছে আশ্রয় নেন পার্শ্ববর্তী বহু  কাক এসে ওই বাচ্চাটিকে আক্রমণ করে ।স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে। এরপর শুরু হয় বাচ্চাটি চিকিৎসা। তাকে খাবার দেয়া হয় ।খাবারের মেনুতে থাকে ডিম ,গ্লুকোন ডি ,ছাতু ঘুলা ইত্যাদি।

এরপর আজ সকালে বনদপ্তর এর হাতে সেই বাচ্চাটিকে তুলে দিলেন ওই সমস্ত ব্যবসায়ী। যারা ওই পাখিটিকে উদ্ধার করেন তারা হলেন, নিলু ঠাকুর , অমিলান মন্ডল, পার্থ বৈরাগ্য।এই বাচ্চাটি প্রথমে উদ্ধার করেছে হোম কুমার রানা, বাড়ি ভাতার বাজারের রামকৃষ্ণ পল্লীতে। আজ বন্য প্রাণী উদ্যানের কর্মী   জয়ন্ত ধারার হাতে এই চিলের বাচ্চা টিকে তুলে দেন। জয়ন্ত বাবু জানান এটি কে আমরা সংরক্ষণ শালায় রেখে দেব এবং এর চিকিৎসা চলবে। বর্তমানে চিলের সংখ্যা অনেক কমে গেছে।

বৃহস্পতিবার, মে ১৬, ২০১৯

বাংলা সংবাদপত্রের জনক গঙ্গাকিশোর ভাট্টাচার্য এর জন্মদিন

মোল্লা  জসিমউদ্দিন ,
দীপঙ্কর  চক্রবর্তী,

বাংলা সংবাদপত্রের জনক গঙ্গাকিশোর ভাট্টাচার্য এর জন্মদিন পালিত হল তাঁরই জন্মভূমিতে। ১৮১৮ সালের ১৫ ই মে বাংলা ভাষার প্রথম সাপ্তাহিক সংবাদপত্র বঙ্গাল গেজেট  প্রকাশ করে সংবাদপত্র জগতে ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য।রামমোহন রায়,হরচন্দ্র রায়ের সহযোগিতায় ও উৎসাহে গঙ্গাকিশোর 'বঙ্গাল গেজেট' প্রকাশ করেন।প্রথমে হুগলীর শ্রীরামপুর থেকে পত্রিকাটি প্রকাশ শুরু হয়।কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই নিজ গ্রাম হাওড়া- কাটোয়া রেলপথের অগ্রদ্বীপ ষ্টেশনের কাছে বহড়া গ্রামে তিনি ছাপাখানা করেন।গঙ্গাকিশোরের পেশা ছিল শিক্ষকতা আর নেশা ছিল সাংবাদিকতা।গঙ্গাকিশোর শ্রীরামপুর মিশনারি থেকে ছাপার কাজ শিখে নিজ গ্রামে ছাপাখানা বসান।স্থানটি এখন ছাপাখানার ডাঙ্গা নামে খ্যাত।বঙ্গাল গেজেটি বাংলা ভাষায় ছাপা হলেও ইংরাজী ও হিন্দি ভাষাতেও এই কাগজ হত।রামমোহনের সতীদাহ বিরোধী কিছু লেখা এখান থেকে প্রকাশিত হয়।বহড়ায় এসে ছাপা ও বই লেখার কাজ পুরোদমে চালিয়ে যান।দুঃখের বিষয়,পত্রিকাটির কোন সংখ্যা উদ্ধার হয় নি আজও।গঙ্গাকিশোরের লেখা ও প্রকাশিত বইগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল চিকিৎসার্ণব,গীতা দায়ভাগ,দাশরথির পাঁচালী,আগ্রাম,ইংলিশ অ্যান্ড বেঙ্গলি,দায়ভাগ,দ্রব্যগুন,শব্দার্ণব প্রভৃতি।এখান থেকেই বেরিয়েছে অন্যদেরও লেখা, কিছু দেবদেবীর পাঁচালী।গঙ্গাকিশোর ছাপার কাজ,পত্রিকা প্রকাশ,বই প্রকাশ প্রভৃতি তো করতেনই আবার কাঠের ব্লকও তৈরী করতেন নিজে।বই,পত্রিকা বিক্রি করতেন মাথায় করে নিয়ে বিভিন্ন গ্রামে শহরে।সারা দেশে এজেন্ট রেখে বইয়ের ব্যাবসা তিনিই প্রথম শুরু করেন।বাংলা ভাষায় প্রকাশিত বইয়ের যাবতীয় কাজকর্মের তিনিই পথিকৃৎ।গঙ্গাকিশোরের জন্ম সম্ভবত ১৭৮২ এ এবং তিনি প্রয়াত হন ১৮৩১ সালে।তিনি নিঃসন্তান ছিলেন।১৯৭৫ সালের ১৫ ই মে সাংবাদিক দাশরথি তা,দক্ষিণারঞ্জন বসু এবং স্হানীয় মানুষ,কবি,লেখক,সাংবাদিকরা বহড়া গ্রামে গঙ্গাকিশোরের জন্ম দিবসের অনুষ্ঠান শুরু করেন।আজ তা টিমটিম করে চলছে।এখানে গঙ্গাকিশোরের জন্মভিটায় তার স্মৃতি স্তম্ভ স্হাপন করা হয়েছে।স্হাপিত হয়েছে গঙ্গকিশোরের নামে প্রাথমিক বিদ্যালয়।রয়েছে দুই বিঘা জমির উপরে তার পূজিত শিবমন্দির একটি বড় বটগাছ।বর্ধমান- কাটোয়ায় রয়েছে তার নামে প্রেসকর্নার।গঙ্গাকিশোরের 

সম্পত্তি বেদখল হয়ে গেছে।স্হানটি নির্জন।সেখানে অসাধুকাজ হয় বলে অভিযোগ  এলাকাবাসি।বুধবার সকালে পূর্বস্হলী ২ নং ব্লকের পিলা পঞ্চায়েতের শেষ সীমায় বহড়ার ছাপাডাঙ্গায় গঙ্গাকিশোর স্মৃতিরক্ষা কমিটি ও গঙ্গাকিশোর প্রাথমিক স্কুলের আয়োজনে স্মরণ অনুষ্টান হয়ে গেল মহা উৎসাহের সাথে।আয়োজকদের পক্ষে চন্দন দাস,কাশিনাথ বিশ্বাস,ছবি বাইন,মীতা বিশ্বাস,হীরা সেখ,জয়ন্ত সুত্রধর,দ্বারকা নাথ দাস বলেন এলাকার মানুষের দাবী এখানে গঙ্গাকিশোরের নামে পাঠাগার,গবেশনাগার তৈরী করুক প্রশাসন।গত বছর কালনা মহকুমা শাসকের উদ্যোগে গঙ্গাকিশোরের জমির জরিপের কাজ হয়।পূর্বস্হলী ২ নং ব্লকের বি ডি ওর উদ্যোগে স্হানটি ঘেরা দেওয়া হয় ঢালাই রাস্তাও হয়েছে।শুধু প্রতি বছর এই দিনে স্হানীয় ও বাইরের লেখক,কবি,সাংবাদিকদের এনে সারাদিনের জন্মদিন পালন করলে তার প্রতি যথাযথ সন্মান জানান হবে।পরবর্তি প্রজন্ম নয়ত তাকে একেবারই ভুলে যাবে।উপস্থিত অতিথিরা গঙ্গাকিশোরকে নিয়ে আলোচনা করেন।খুদে ছাত্রছাত্রীরা,গান,আবৃত্তি,নাচ পরিবেশন করে।রাজ্য সরকারের আরও প্রশাসনিক উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলে মনে করেন জেলার সাংবাদিকরা।      

বুধবার, মে ১৫, ২০১৯

ভোটের ফলাফল ঘোষণা অবধি কর্মবিরতি চলতে পারে আইনজীবীদের?




মোল্লা  জসিমউদ্দিন, 

মঙ্গলবার  দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধানবিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে হাওড়া কান্ডে স্বতঃস্ফূর্ত মামলার দ্বিতীয় শুনানি ছিল। তবে প্রধান বিচারপতি অনুপস্থিত থাকার কারণে এই মামলার শুনানি হয়নি। আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার দুপুরে ফের শুনানি হবে বলে হাইকোর্ট সুত্রে প্রকাশ। সোম ও মঙ্গলবার শুনানির কথা থাকলেও প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতিতে তা হয়নি। মঙ্গলবারই ' বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল' এর দ্বিতীয় দফার কর্মবিরতি পর্ব শেষ হয়। তাই তৃতীয় পর্যায়ে সারা রাজ্য জুড়ে আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলবে কিনা, সেই বিষয়ে কর্মসমিতির বৈঠক টি হয়  সিটি সিভিল কোর্টের ষষ্ঠ তলায় বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর অফিসে। সেখানে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ঘোষণা করে সারা রাজ্যে আদালত গুলিত   আগামী ২১ মে অবধি কর্মবিরতি বহাল থাকছে। অর্থাৎ ২৩ শে মে এর আগে এই অচলাবস্থা কাটাবার কোন আশা দেখছেনরা আইনজীবিদের বড় অংশ।                বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর      বর্তমান সদস্য তথা কলকাতা হাইকোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী আনসার মন্ডল বলেন - " শুনানিতে অংশগ্রহণ পরবর্তী বৈঠকে আমরা ঘোষণা করবো কর্মবিরতি নিয়ে কি করা যায়?  সেই বিষয়ে "।   অপরদিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সদর দপ্তরে গত সোমবার দুপুরে কলকাতার আলিপুর আদালতে আইনজীবীরা  স্মারকলিপি দিতে যান ।ক্ষুব্ধ আইনজীবীরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে হাওড়া জেলা আদালতে আইনজীবীদের উপর পুলিশি সন্ত্রাস করা পুলিশ আধিকারিকদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনার  আশ্বাস দিয়েছেন বিষয়টি খতিয়ে দেখার বলে আইনজীবীরা দাবি করেছেন   । উল্লেখ্য লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা থেকে নুতন সরকার গঠন অবধি  দেশের সমস্ত পুলিশ - প্রশাসনের আধিকারিকরা নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকেন। তাই নির্বাচনী বিধি চালুর মাঝে এই স্বতন্ত্র দপ্তর যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণও করতে পারে।অভিযুক্ত পুলিশ অফিসাররা এখন কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের আওতায় রয়েছেন।    ভারতীয় সংবিধান ব্যবস্থাগ্রহণের ক্ষমতা কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন কে দিয়েছে। তাই আইনজীবীরা কলকাতা হাইকোর্টের স্বতঃস্ফূর্ত মামলায় যেমন অংশগ্রহণ করেছেন। ঠিক তেমনি রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান রাজ্যপালের কাছেও দারস্থ হয়েছেন। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে হাওড়া কান্ডের গুরত্ব বহুগুণ বাড়িয়ে দিলেন আইনজীবীরা বলে মনে করছে ওয়াকিবহালমহল।একাধারে কলকাতা হাইকোর্টে হাওড়া কান্ডে স্বতঃস্ফূর্ত মামলাগ্রহণ যেমন সেদিনের অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের দুশ্চিন্তা  বাড়িয়েছে। ঠিক তেমনি নির্বাচন কমিশনেও আইনজীবীরা  লিখিত অভিযোগ জানিয়ে সেই দুশ্চিন্তার কালো মেঘ কে আরও বেশি ঘনীভূত করলো। ইতিমধ্যেই সারারাজ্য জুড়ে আইনজীবীদের কর্মবিরতির সময়সীমা কুড়িদিন পার করেছে। সেখানে বিভিন্ন মহকুমা / জেলা সংশোধনগারে বিচারধীন বন্দি রাখার বিষয়ে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। হাওড়া জেলা সংশোধনাগারে ইতিমধ্যেই ধারণ ক্ষমতার বেশি বিচারধীন বন্দি রয়েছে বলে প্রকাশ । বিভিন্ন আদালতে জামিন প্রক্রিয়া চালু না হলে এই সমস্যা রাজ্যের প্রায় সংশোধনাগারে  বড় সমস্যা তৈরি  করবে বলে প্রশাসনিক কর্তারা অনুমান করছেন। বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল সারারাজ্যে আইনজীবীদের কর্মবিরতির মেয়াদ  ২১ মে অবধি বাড়াবার ঘোষণা করেছে।তাহলে  সাতাশ দিন রাজ্যস্তরের আদালত গুলিতে  আইনজীবীদের কর্মবিরতি   চলেছে বা চলবে। যা ২০০২ সালে স্ট্যাম্প ফি বিষয়ে আইনজীবীদের  রাজ্যস্তরের বাইশ দিনের কর্মবিরতির রেকর্ড কে ভাঙলো। কলকাতা হাইকোর্টে কর্মবিরতির সর্বাধিক মেয়াদ ৭১ দিন থাকলেও রাজ্যস্তরে ২০০২ সালে স্ট্যাম্প ফি নিয়ে ২২ দিনের রেকর্ড টি হয়েছি।। সেই রেকর্ড ভেঙে দিল হাওড়া জেলা আদালতে গাড়ী রাখা নিয়ে আইনজীবীদের উপর পুলিশি সন্ত্রাসের ঘটনা টি। আগামী ২৩ শে মে লোকসভার ফলাফল ঘোষণার দিন, তাই তৃতীয় পর্যায়ে কর্মবিরতির মেয়াদ ২১ মে অবধি বহাল থাকায় অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন তাহলে কি নুতন কেন্দ্রীয় সরকার দেখা অবধি চলবে উকিলবাবুদের কর্মবিরতি?                                                                                                                                                                                                                                                   

আর্থিক কেলেংকারী কাটোয়ার এক ব্যাংকে?

মোল্লা  জসিমউদ্দিন ,

সর্ষের মধ্যেই ভূত রয়েছে! হ্যা কাটোয়া শহরে এক বেসরকারি ব্যাংকে কোটি টাকার আর্থিক কেলেংকারী করে বেপাত্তা সদ্য প্রাক্তন ডেপুটি ম্যানেজার। দুর্নীতির বিষয় প্রকাশ্যে আসতেই শয়ে শয়ে গ্রাহক ক্ষোভ দেখাচ্ছেন ব্যাংকের অন্দরে - বাইরে। কাটোয়া শহরে এক বেসরকারি ব্যাংকে কার্তিকচন্দ্র ভদ্র , কল্পনা সাধু প্রমুখ গ্রাহকেরা অভিযোগ তুলে জানান - "গত কয়েক মাস পূর্বে আমরা এই ব্যাংকে ক্যারেন্ট একাউন্ট, ফিক্সড  ডিপোজিট, রেকারিং করেছি, আমাদের রশিদও দেওয়া হয়েছে। অর্থ জমা পরবর্তী সময়ে ব্যাংকে এসে জানতে পারি ব্যাংকের ওই রশিদগুলি জাল"।ব্যাংক সুত্রে প্রকাশ, গত দুমাস আগে কাটোয়া শাখার ডেপুটি ম্যানেজার সুশান্ত কর্মকার বদলী হয়ে গেছেন, তার সময়ে এই গুলি ঘটেছে। বিষয়টি ব্যাংকের প্রধান শাখা সহ জেলার প্রশাসনিক কর্তা কে অবগত করানো হয়েছে।  অভিযুক্ত ডেপুটি ম্যানেজার এর সাথে যোগাযোগ করার চেস্টা করা হলে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। গত সোমবার ও আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার প্রতারিত গ্রাহকরা এসেছিলেন কাটোয়ার এই বেসরকারি ব্যাংকে অভিযোগ জানাতে। কেউ কেউ বলছেন, এই বিশাল আর্থিক কেলেংকারী টি  ওই অভিযুক্ত ডেপুটি ম্যানেজারের পক্ষে একা সম্ভব হয়নি। ব্যাংকে আরও অনেকেই যুক্ত থাকতে পারে। কাটোয়া থানার পুলিশ অবশ্য এই ঘটনার উপর নজর রাখছে বলে জানা গেছে।                                                                     

সতীপীঠ খ্যাত কেতুগ্রামের মন্দিরে চুরি

মোল্লা জসিমউদ্দিন।,

চুরির হাত থেকে রক্ষা পেলনা সতীপীঠ খ্যাত কেতুগ্রামের অট্টহাস মন্দির।শুধু এই প্রথম নয়, এর আগে তিনবার চলেছে চোরেদের চুরি। পুলিশ ক্যাম্প বসেও ছিল, তবে লোকসভা নির্বাচনে ডিউটি পড়াতে পুলিশ না থাকায় ফের চুরির ঘটনা ঘটলো এখানে। গত সোমবার গভীর রাতে মন্দিরের দরজা ভেঙে এক ভয়াবহ চুরির ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সাধারণ মানুষ ও মন্দির সূত্রে জানা প্রকাশ,  প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার গহনা নিয়ে চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। কেতুগ্রাম থানার পুলিশ চুরির ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে। মঙ্গলবার সকালে মন্দিরের লোকজনেরা এসে দেখতে পান মন্দিরের মেন দরজা খোলা। জিনিসপত্র সব লন্ডভন্ড হয়ে রয়েছে এবং দেখতে পাওয়া যায় যে মায়ের মূর্তি থেকে তিন লক্ষাধিক টাকার সোনার গহনা উধাও।মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কেতুগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।অথচ এই সতীপীঠ অট্টহাস ঘিরে পর্যটন দপ্তরের আর্থিক সহযোগিতায় ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু হয়েছে। প্রায় দেড় থেকে দুই কোটি টাকার কাজ হচ্ছে এই মন্দিরে। এই ধরনের চুরির ঘটনা ঘিরে এলাকার মানুষ হতবাক। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি দ্রুত মন্দির চুরির ঘটনার তদন্ত হোক এবং প্রকৃত দোষীদের ধরা পড়ুক।মন্দির চুরির ঘটনাতে দ্রুত চোরেদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হবে বলে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। চুরির ঘটনা ঘিরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।অথচ এই মন্দিরে প্রতিদিন বহু পর্যটক সতীপীঠ পরিদর্শন করতে আসেন। তাই এলাকার গুরুত্ব অনেকটাই বেড়েছে, পরিবর্তন ঘটেছে এলাকার অর্থনৈতিক ব্যবস্থারও ।ঠিক এইরকম পেক্ষাপটে বারবার চুরির ঘটনায় মন্দিরের ভাবমূর্তি কমছে দর্শনপ্রার্থীদের কাছে। পর্যটন বাড়াবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও আইনশৃঙ্খলা অবনতি হওয়ায় পর্যটকদের মধ্যে বহুগুণ  নিরাপত্তাহীনতা বাড়িয়ে দিচ্ছে এইবিধ ধারাবাহিক চুরির ঘটনা গুলি।           

ক্ষীরগ্রামে যোগাদ্যায় পুজো

আমিরুল  ইসলাম ,

মঙ্গলকোটের ক্ষীরোগ্রামে মা যোগাদ্যা পূজা হল মহা ধুমধামে।

51 পিঠের এক পিঠ রয়েছে মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রাম। প্রতি বছর 31 শে বৈশাখ ভোর চারটার সময় মা যোগাদ্যা ক্ষীর পুকুর থেকে উঠে মায়ের মন্দিরে আসে। সারাদিন ধরে চলে পূজা পাঠ এর পর পহেলা জ্যৈষ্ঠ ভোর চারটের সময় পুনরায় ক্ষীর পুকুরের মন্দিরে ফিরে যায়। তারপর ফের  চৌঠা জ্যৈষ্ঠ বৈকাল চারটে সময় পুনরায় মন্দিরে আসেন মা।  তারপর চলে পুজোপাঠ পুনরায় গভীর রাত্রে  ফিরে ফিরে যায় ক্ষীর পুকুরের মন্দিরে। এই ভাবেই কয়েক হাজার বছর ধরে হয়ে আসছে মা জগদ্ধাত্রী পুজো। এই পূজা উপলক্ষে 10 দিন ধরে বসে মেলা ।পাশাপাশি নানান ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়।এবছর প্রায় কুড়ি হাজার ভক্ত এসেছেন মায়ের পূজা দিতে।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER