মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৭

বারুদের স্তুপের উপর দাঁড়িয়ে মঙ্গলকোট


মোল্লা জসিমউদ্দিন: রাজ্যে পালাবদলের সপ্তম বর্ষপূর্তিতেও বর্ধমানের মঙ্গলকোট এলাকা আগুনের গোলার উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে।হিংস্বার বিরাম নেই এখানে।খুন রাহাজানি প্রতিনিয়ত লেগেই আছে।রোজকার বোমাবাজি জলভাত যেন মঙ্গলকোটবাসির কাছে।গত শনিবার সকালে মঙ্গলকোটের বকুলিয়ায় বোমায় হত প্রশান্ত ধীবরে ঘটনা, সেই ট্রাডিশনের অংশ মাত্র।বামজমানা পরবর্তীতে মঙ্গলকোটের আজাদ মুন্সি সহ দশের বেশি রাজনৈতিক খুন হয়েছে।অতীতে সিপিএমের সশস্ত্র বাহিনীর মত বহর দেখা যায় তৃণমূল শিবিরেও।কেন পরিবর্তন হয়নি এই রাহাজানিমুলক পরিস্থিতির? বারুদের স্তুপের উপর কেনই বা দাঁড়িয়ে মঙ্গলকোট?  ২০১১ সালের পুর্বে অর্থাৎ ২০০৬ থেকে ২০১০ সাল অবধি মঙ্গলকোটের রাশ ছিল সিপিএম নেতা ডাবলু আনসারীর হাতে।একাধারে বেনামে অজয় নদের দশ থেকে বারোটি বালিঘাটের কারবারি,  থানার বকলমে 'ডাকমাস্টার' ডাবলু শুধু মঙ্গলকোট নয় সীমান্তবর্তী নানুর, কেতুগ্রাম, আউশগ্রাম,ভাতার প্রভৃতি এলাকায় সশস্ত্র বাহিনী পাঠাবার ওস্তাদ ছিলেন সেসময়। অভিযোগ পুলিশের কালিপুজোর যাত্রা থেকে খেলাধুলারর টুর্নামেন্ট আয়োজন। সবই দেখত ডাবলু।তাই বিপুল বেআইনী অস্ত্র সমৃদ্ধ বাহিনীর প্রতি পুলিশ নিষ্ক্রিয়তা দেখাতো বলে বিরোধী শিবিরে দাবি উঠত।রাজ্যের পালাবদলের পর ডাবলু বাবলু আনসারী মঙ্গলকোটের রাজনীতিতে বিদায় হলেও, তাদের সশস্ত্র বাহিনীর সিংহভাগ চলে আসে তৃনমূলের দখলে।এই বাহিনী পোষবার এবং পুলিশের একাংশ কে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করবার আয়ের মূল উৎস হচ্ছে অজয় নদীর বেআইনী বালিঘাট গুলি।কোগ্রামের মত বালিঘাটে প্রতিদিন আয় যেখানে সর্বনিম্ন কয়েক লক্ষ টাকা।বকলমে এই ঘাট মালিক জনৈক কুরবান সেখ ইতিমধ্যেই নুতনহাট বাইপাসে কুড়ি লক্ষ টাকা দিয়ে বাড়ী, পাথরচাপরি তে ষাট লক্ষ দিয়ে বাড়ী, সিউড়ি - বোলপুর - বাসাপাড়া - নুতনহাটে কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি করেছে এই ধরনের বেআইনি বালিঘাট চালিয়ে বলে এলাকায় জনশ্রুতি। এই বিপুল আয়ের ভাগাভাগি নিয়ে চলে শাসক শিবিরের অন্তদ্বন্ধ।যার পরিণতি গোলাগুলি,  বোমাবাজি। পুলিশের একাংশের মদতে বেপরোয়া হয়েউঠে শাসক দলের মদতপুস্ট বালিমাফিয়ারা।একে অপরের দখল বেদখল অভিযানে মজুত থাকে অবৈধ অস্ত্রভাণ্ডার। অজয়ের বত্রিশ কিমি নদীপথে থাকা এপারে ওপারে মিলিয়ে পঞ্চাশের বেশি বালিঘাটে বর্ধমান ও বীরভূম জেলাপুলিশ একযোগে অভিযান চালালে বিপুল বেআইনী অস্ত্র মিলতে পারে।অজয়ের উপকূলে থাকা লাখুরিয়া কল্যানপুর কোগ্রাম বকুলিয়া প্রভৃতি গ্রাম গুলি বারুদের স্তুপের উপর দাঁড়িয়ে আছে।তাই বকুলিয়ার প্রশান্ত ধীবর মারা যায় মজুত বোমা থেকে।মঙ্গলকোটের রাজনীতিতে অজয়ের বালিঘাট কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তা পঞ্চায়েত সমিতির কিছু কর্মকর্তা,বেশ কিছু গ্রামপ্রধান - উপপ্রধানের সরাসরি বালিখাদ চালানো নিয়ে প্রশ্ন উঠে।থানায় এইরুপ নেতাদের অহরহ যাতায়াত দেখে স্থানীয়রা অনেকেই আতংকিত থাকে।থানার একশো মিটারের মধ্যে মঙ্গলকোট উপপ্রধান আক্রান্ত এবং পরবর্তী প্রকাশ্য সন্ত্রাস ঘটনাগুলি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত চালালে উঠে আসবে।শাসকদলের বালিমাফিয়া ও পুলিশের একাংশের অশুভ আতাঁতের কথা। পুলিশের নানান অনুষ্ঠানে এদের ঝলমলে উপস্থিতি দেখা যায়।স্থানীয়রা অনেকেই এদের দৌরাত্ম্য তে ভয়ে সিটিয়ে থাকে।বারুদের স্তুপের উপর কেমন দাঁড়িয়ে আছে মঙ্গলকোট, তা পুলিশের দেওয়া সর্বক্ষণ নিরাপত্তারক্ষী পাওয়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি অপুর্ব চৌধুরী, মঙ্গলকোট উপপ্রধান চন্দন সরকার, জেলাপরিষদ সদস্য বিকাশ নারায়ণ চৌধুরীর নিরাপত্তা রাখার মেয়াদকাল বাড়ানো বিষয়টি সেই বারুদের স্তুপকে জানান দেয় বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।






সোমবার, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৭

মঙ্গলকোটে দুটি সমবায়ে জয়ী তৃনমূল


পারিজাত মোল্লা, মঙ্গলকোট: সোমবার মঙ্গলকোটের দুটি সমবায়ে তৃনমূল কংগ্রেস বিনা প্রতিদন্ডিতায় জিতল।নপাড়া এবং নিগন এলাকায় আজ সমবায় নির্বাচন ছিল।বিরোধীদলের পক্ষে কোন মনোনয়ন দাখিল না পড়ায় সমবায় দুটিতে জেতে তৃনমূল সমর্থিত প্রার্থীরা।নপাড়ায় ৬ টি আসন এবং নিগনে ২৭ আসনে  মনোনয়ন পর্বে একমাত্র তৃনমূল ছাড়া কেউ দেয়নি বলে প্রকাশ।মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতির পুর্ত কর্মাধ্যক্ষ মুন্সি রেজাউল হক জানান - মঙ্গলকোটে তৃণমূল ছাড়া বিরোধীদের দুরবিন করেও খুঁজে পাওয়া যাবেনা।




শিক্ষক দিবস উপলক্ষে কালনার একটি বিদ্যালয়ে প্রস্তুতি। বিদ্যালয়ের ক্ষুদে পড়ুয়ারা আগ্রহের সাথে অনুস্থানের প্রস্তুতি সারছে

ছবি ও সংবাদ: মোল্লা জসিমউদ্দিন


মঙ্গলকোটে সমবায় ভোটে জিতল তৃনমূল

মঙ্গলকোটের পুর্ব নপাড়া সমবায় সমিতির নির্বাচনে জিতল তৃনমূল।৬ টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্ডিতায় এই জয়লাভ।মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতির পুর্ত কর্মাধ্যক্ষ মুন্সি রেজাউল হক জানান - মঙ্গলকোটে বিরোধীদের দূরবীন দিয়েও দেখা যায়না।

প্রয়াত সাংসদ সুলতান আহমেদ

তৃনমূল সাংসদ সুলতান আহমেদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন।তৃনমূলের সংখ্যালঘু মুখ হিসাবে প্রথম সারিতে ছিলেন।তাঁর এই হঠাৎ মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ তৃনমুলের শীর্ষ নেতৃত্ব।রাজ্যসভার সাংসদ আহমদ হাসান ইমরান গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এই নেতার প্রয়াণে

দিঘায় ডুবল ইলিশ ভর্তি ট্রলার

দিঘা মোহনার অদূরে ডুবল ইলিশ ভর্তি ট্রলার 

জাহাঙ্গীর বাদশা, দিঘা, ০৪ সেপ্টেম্বর :  সোমবার ভোরের দিকে গভীর সমূদ্র থেকে ফেরার সময় দিঘা মোহনা থেকে মাত্র কয়েক'শ মিটার দূরেই ডুবল ইলিশ ভর্তি ট্রলার। সেই সঙ্গে ট্রলারে থাকা ইলিশ ও অন্যান্য মাছ মিলিয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ টন মাছ সমূদ্রে তলিয়ে গেছে। তবে 'সওদাগর' নামের ট্রলারটিতে থাকা সমস্ত মৎস্যজীবি সুরক্ষিত ভাবে পাড়ে সাঁতরে এসেছে।

দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলারের কর্মী মেহবুব আলী জানিয়েছেন, দিন কয়েক ধরে গভীর সমূদ্রে মাছ ধরার পর সোমবার ভোররাতে তাঁরা দিঘা মোহনায় ফিরছিলেন। কিন্তু মোহনা থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে আচমকাই ট্রলারটি ডুবতে শুরু করে। ট্রলারের তলা ফুটো হয়ে হুহু করে জল ঢুকতে থাকে ভেতরে। অনেক চেষ্টা করেও সেটিকে পাড়ে আনার আগেই সেটি ডুবে যায়। অগত্যা প্রাণ বাঁচাতে ট্রলার থেকে ঝাঁপ দিয়ে কোনও রকমে সাঁতরে পাড়ে চলে আসে তারা।

ট্রলারের মালিক নন্দীগ্রামের বাসিন্দা সেক মোমরেজ জানিয়েছেন, ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার ফলে তাঁর লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। মাছগুলোর পাশাপাশি ট্রলারের বহু সামগ্রী জলে তলিয়ে গিয়েছে। । তাঁর মতে, ট্রলারটির তলা ফুটো হয়ে জল ঢোকা শুরু হলেও প্রথম দিকে কেউ বিষয়টি খেয়াল করেননি।

এই ঘটনায় দিঘা শংকরপুর ফিসারম্যান এন্ড ফিস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশানের সভাপতি শ্যামসুন্দর দাস জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই দিঘা মোহনা এলাকাটি ড্রেজিংয়ের সমস্যায় জর্জরিত রয়েছে। মোহনার আশেপাশে একাধিক জায়গায় বড়সড় চড়া পড়ে গিয়েছে। ফলে মাছভর্তি ট্রলারগুলি পাড়ে আসার সময় বহু ক্ষেত্রেই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। মৎস্যজীবিদের অজ্ঞাতেই ট্রলারের তলা চড়ায় ধাক্কা খেয়ে ফুটো হয়ে যায়। যার জেরে এমন বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই বিষয়ে নজর দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

রবিবার, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৭

ফাল্গুনীর পর ডালিমকে নিয়ে টুর্নামেন্ট 


মোল্লা জসিমউদ্দিন, মঙ্গলকোট, ২ সেপ্টেম্বর : মঙ্গলকোটের রাজনীতির আঙিনায় নবতম সংযোজন তৃনমূল নেতা ডালিম সেখ স্মরণে ফুটবল টুর্নামেন্ট। আজ, রবিবার মঙ্গলকোটের নিগন এলাকায় একদিনের এই খেলাটি হতে চলেছে।উপস্থিত থাকবেন ব্লক তৃনমূল নেতৃত্ব। ইতিপূর্বে বিগত বাম জমানায় খুন হওয়া সিপিএম নেতা ফাল্গুনী মুখার্জী স্মরণে ২০১০ সালের ১৫ জুন থেকে ফুটবল টুর্নামেন্ট করে আসছে সিপিএম নেতৃত্ব। আর তৃনমূল নেতা ডালিম সেখের স্মরণে এই প্রথম হতে চলেছে টুর্নামেন্ট টি।দুই মেরুর দুই নেতা খুনে মূল অভিযোগ সেই গোষ্ঠীবিবাদের করুণ পরিণতি। ২০০৯ সালে ১৫ জুন মঙ্গলকোটের ধান্যরুখিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হয়েছিলেন তৎকালীন বর্ধমান জেলাপরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ ও জেলা সিপিএমের দাপুটে নেতা ফাল্গুনী মুখার্জী।যিনি মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতির দুবার সহ সভাপতি,  একবার সভাপতি ছিলেন।তাঁর খুন কে টাটকা রাখতে সিপিএম নেতারা ফুটবল প্রতিযোগিতার বন্দোবস্ত করে বলে বিরোধীদের দাবি।এই খুনে তৃণমূল নেতাদের দিকে লিখিত অভিযোগ দায়ের হলেও, সিপিএমের স্থানীয় নেতাদের এলাকা দখলের জন্য এই খুন বলে দাবি এলাকার বাসিন্দাদের।অনুরুপভাবে চলতি বছরে ১৯ জুন একই কায়দায় খুন হন শিমুলিয়া ১ নং অঞ্চল সভাপতি ডালিম সেখ।এই খুনে বিরোধী দলের দিকে অভিযোগ না উঠলেও, লিখিত অভিযোগ উঠে দলীয় বিধায়ক সিদ্দিকুল্লার ভাই সহ শিবিরের দিকে।খুনের রহস্য উদঘাটনে গত ২৯ জুন মুখ্যমন্ত্রী সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ অভিযুক্ত জেলবন্দি।আদালতে চার্জশীট পেশের মুখে তদন্তকারী সংস্থা। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে বাম জমানায় সিপিএম নেতা ফাল্গুনী মুখার্জী কে স্মরণে রাখতে যে ফুটবল টুর্নামেন্ট চালু হয়েছিল।তা তৃনমূল আমলে শাসকগোষ্ঠী তাঁদের অনুগামী নেতা ডালিম সেখ কে মঙ্গলকোটের রাজনীতিতে বাঁচিয়ে রাখয়ে অনুরুপ কায়দায় ফুটবল টুর্নামেন্ট চালু করলো।





বাকুঁড়া মশাগ্রাম ট্রেন বাড়ল

বাকুঁড়া স্টেশন থেকে মশাগ্রাম ( বর্ধমান হাওড়া কর্ডলাইনে পড়ে) অবধি সারাদিন ধরে চারটি ট্রেন যাতায়াত করবে সেহেরাবাজার ভায়া হয়ে।আজকের উদ্বোধনীতে ছিলেন সাংসদ সৌমিত্র খান।এই রেলরুটে ট্রেন চলাচল বাড়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন পঞ্চায়েতের রাস্ট্রমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা।

সংবাদ ব্যাসদের চক্রবর্তী

উত্তমকুমারের জন্মদিনে মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ

আজ কোলকাতায় ভবানীপুরে লেডিস পার্কে মহানায়ক উত্তম কুমারের  জন্মদিন উপলক্ষে একটি বিশেষ অনুষ্টানে উপস্তিত উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী শ্রী রবীন্দ্র নাথ ঘোষ।

ছবি ও তথ্য সুজিত ঘোষ

মেমারীতে বিজ্ঞানমঞ্চের সম্মাননা

সেখ সামসুদ্দিনঃ পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ মেমারি ১ বিজ্ঞান কেন্দ্রর উদ্যোগে মেমারি রসিকলাল স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়ে ক্ষুদে বিজ্ঞানী দিগন্তিকা বোসকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন কালনা কলেজের অধ্যক্ষ তথা বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্য ড. তাপস সামন্ত, কালনার সদস্য আশুতোষ পাল, মেমারির জোনাল সদস্য অমিত বিশ্বাস প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন প্রবীন সদস্য গৌরপ্রসাদ ঘোষ ও অশোক মল্লিক। দিগন্তিকা বোস তার উদ্ভাবনগুলি ৩৬০ ডিগ্রী দেখতে পাওয়া চশমা, সহজে গাছে ওঠা জুতো, ডাস্টবিহীন ড্রিল ইত্যাদি দেখিয়ে বিস্তারিত সুফলগুলি আলোচনা করে। পরে বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যগণ ডাইনি প্রথা, সাপে কাটা রোগিদের ওঝার কাছে না নিয়ে যাওয়া ইত্যাদি বিষয়ে আলোকপাত করেন।

কোতলপুরে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদসভা

বাকুঁড়ার কোতলপুর ব্লক তৃনমূল কমিটির পরিচালনায় বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদসভা হয়।উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শ্যামল সাতঁরা, সাংসদ সৌমিত্র খান, জেলা সভাপতি অরুপ খান প্রমুখ।

কাঁথিতে পথের বলি ৩

পুর্ব মেদনীপুরের কাঁথিতে আজ সকালে যাত্রীবাহী ট্রেকার ও মোটরবাইকের মুখোমুখি ধাক্কায় মৃত ৩, ঘণ্টা খানেক পথ অবরোধ চালায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
ছবি ও সংবাদ জাহাঙ্গীর বাদশা

শনিবার, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৭

মঙ্গলকোট [বড় মসজিদ] ঈদগাহে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত ।

ছবি ও সংবাদ:নুর মহম্মদ আনসারি


কালনায় ইদের নামাজ

কালনার দাঁতনকাঠি এলাকার পাঁচশো বছরের অধিক পুরানো মসজিদে ইদের নামাজ পাঠ হলো।সকলে নামাজের পর একে অপরের সাথে কুশল বিনিময় করেন।
ছবি ও সংবাদ গনেশ মজুমদার

শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৭

কাটোয়া পুরসভার অনাস্থাপ্রস্তাব ঘিরে চাঞ্চল্য


মোল্লা জসিমউদ্দিন : দলয় পুর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দলেরই সিংহভাগ কাউন্সিলার অনাস্থাপ্রস্তাব জমা দিলেন।এই অনাস্থা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য পড়েছে এলাকায়।পুর্ব বর্ধমানের কাটোয়া পুর চেয়ারম্যান অমর রামের বিরুদ্ধে স্থানীয় বিধায়ক শ্রী রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় সহ চৌদ্দজন কাউন্সিলার গত সোমবার দুপুরে পুরসভার কার্যনির্বাহী আধিকারিককে লিখিতভাবে এই অনাস্থা  জানিয়েছেন।এর প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে জেলাশাসককেও।পুরসভার কুড়িজন কাউন্সিলারের মধ্যে চৌদ্দজন অনাস্থা চাওয়ায় ঘটনাটি কেন্দ্র করে শাসকদলের আভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীবিবাদ সামনে এলো বলে মনে করছে রাজনীতিবিদরা।বিধায়ক শিবিরে দাবি করা হয়েছে - এই অনাস্থাপ্রস্তাবে সায় রয়েছে রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্বের।তবে পুর চেয়ারম্যান শিবিরে বলা হয়েছে, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের পুর্বে কোথাও অনাস্থা আনা যাবেনা এটা শীর্ষ নেতত্বের ফরমান রয়েছে।যাতে গোষ্ঠীবিবাদ প্রকাশ্যে না আসে, তাহলে বিরোধীরা 'অক্সিজেন' পেয়ে যাবে।ঠিক যেভাবে মঙ্গলকোটের লাখুরিয়া পঞ্চায়েতে বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ অনুগামী পঞ্চায়েত প্রধানের অপসারণ চেয়ে ব্লক তৃনমূল সভাপতি অপুর্ব চৌধুরীর অনুগামী পঞ্চায়েত সদস্যরা বিডিও কে লিখিতভাবে জানিয়েছিল।তৃণমূলের শীর্ষ নেতত্বের নির্দেশে দলীয় পর্যবেক্ষক অনুব্রত মন্ডল সবাইকে ডেকে অনাস্থা আনা যাবেনা বলে জানিয়েছিলেন। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে কাটোয়া পুরসভার চেয়ারম্যান অমর রামের একনায়কতন্ত্র ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কাউন্সিলার (সেইসাথে এলাকার বিধায়ক)  রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে অনাস্থাপ্রস্তাব জমা পড়ে।অমর রাম ঘনিষ্ঠ শিবিরে জানিয়েছেন - একদা কংগ্রেস বিধায়ক রবীবাবু দীর্ঘদিন কাটোয়া পুর চেয়ারম্যান পদে থেকে যে সিন্ডিকেট গড়েছেন, তাতে আমি চেয়ারম্যান থাকায় অসুবিধা হচ্ছে।উল্লেখ্য ২০১১ সালে তুমুল পরিবর্তনের হাওয়া থাকা সত্বেও কাটোয়া বিধানসভায় প্রতিবারের মত নিজস্ব ক্যারিশ্মায় জেতেন রবীবাবু।সেসময় তৃনমূলের তরফে লোভনীয় পদের অফার দেওয়া হয়েছিল বলে প্রকাশ।তখনও দল ছাড়েননি তিনি।২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিল পুরভোটে মূলত অমর রাম - জঙ্গল সেখ জুটিতে বিরোধীশুন্য পুরসভায় একলাফে কুড়ির মধ্যে দশটি আসন পেয়েছিল তৃণমূল। টসের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে তৃনমূল। অমর রাম পুর চেয়ারম্যান হলেও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ঘোষিত প্রার্থী জঙ্গল সেখ কে কোন পদ দেওয়া হয়না।এই পরিস্থিতিতে ৭৫ জন জনপ্রতিনিধি (পুর কাউন্সিলার, পঞ্চায়েত সমিতি, পঞ্চায়েত সদস্য) দের নিয়ে কংগ্রেস ছেড়ে তৃনমূলে যোগদান করেন বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ। জঙ্গল সেখ কে জব্ধ করতে এই দলবদল বলে কাটোয়াবাসীদের দাবি।সম্প্রতি বিভিন্ন ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত জঙ্গল সেখ জেলবন্দি হন।তাঁর স্ত্রী কেও গাঁজার মামলায় পাকরাও করে কাটোয়া পুলিশ।সস্ত্রীক জেলবন্দী জঙ্গল সেখের অবর্তমানে অনাস্থাপ্রস্তাব ডেকে পুরসভায় ক্ষমতাবদলে তৎপর শাসকদলের একাংশ।কাটোয়ার আদি তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের দাবি, যে জঙ্গল সেখ কে সামনে রেখে কংগ্রেসি দুর্গ দখল করলো তৃণমূল,  সেই জঙ্গল সেখের সপরিবার জেলে রাখার ষড়যন্তে লিপ্ত দলেরই একাংশ।এটা মেনে নেওয়া যায়না।যাইহোক কাটোয়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পদটি দু বছর চারমাস শুন্য থাকায় শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর ক্ষমতা দখলের টানাপোড়ন নিয়ে এমনিতেই উত্তেজনা রয়েছে।তার উপর অনাস্থাপ্রস্তাব সেই উত্তেজনার পারদ বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।





জয়পুরে বিদ্যালয় ক্রীড়ায় মন্ত্রী শ্যামল

বাকুঁড়ার জয়পুরে বিদ্যালয় ভিক্তিক খেলায় পুরস্কার বিতরণীতে ছিলেন রাজ্যসরকারের মন্ত্রী শ্যামল সাতরাঁ মহাশয়।বিভিন্ন বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা এই খেলায় অংশগ্রহন করে থাকে।

ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের জমা দেওয়া তালিকা নিয়ে বেকায়দায় সিদ্দিকুল্লাহ


মোল্লা জসিমউদ্দিন  : পুর্ব বর্ধমান জেলাশাসক কে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের জমা দেওয়া তালিকা নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়লেন মঙ্গলকোট বিধায়ক তথা রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী মহাশয়।নানান গুরতর অভিযোগ তুলেছে বিপক্ষ শিবিরের স্থানীয় ক্ষমতাসীন নেতৃত্ব। সম্প্রতি কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের জন্য রাজ্যসরকার পুর্ব বর্ধমান জেলায় ১১০ কোটি মঞ্জুর করে থাকে।এরমধ্যে ১০ কোটির কিছু বেশি অনুদান আসে মঙ্গলকোটের জন্য।গত ২৬ জুলাই থেকে ১৬ আগস্ট সরকারী ক্ষতিপূরণ পাবার ফর্ম বিলি এবং জমা নেওয়া হয়।প্রায় ২২ হাজার ফর্ম কৃষিদপ্তর প্রতিটি পঞ্চায়েত দ্বারা বিলি করে।এই ফর্ম বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ অনুগামী চাষীরা পাইনি বলে অভিযোগ তোলা হয়।পুর্ব বর্ধমান জেলাশাসক সহ রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী কে বিষয়টি লিখিতভাবে অভিযোগটি জানান মঙ্গলকোট বিধায়ক।গত ১৭ আগস্ট এক প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে ৫৫০০ মত ফর্ম বঞ্চিত চাষীদের তালিকা প্রতিটি পাতায় স্ট্যাম্প সেঁটে( অনুমোদন দিয়ে) জেলাশাসক কে দেন বিধায়ক। এই জমা দেওয়া তালিকা কে কেন্দ্র করেই গুরতর অভিযোগ তুলেছে বিধায়ক বিরোধী শিবির।নানান অভিযোগ রয়েছে তাদের তরফে।ইতিমধ্যে এইবিধ অভিযোগ গুলি কাটোয়া মহকুমাশাসকের দপ্তরে জমাও পড়েছে।এই অভিযোগের মধ্যেই বুধবার সকালে বিধায়ক অনুগামী এক শিক্ষক দম্পতি মঙ্গলকোটের লোচনদাস সেতুতে হাজার খানেক মানুষদের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন।বৃহস্পতিবার সকালেই রাজভবনে ঘনিষ্ঠ অনুগামীদের নিয়ে জরুরী বৈঠকও সেরেছেন বিধায়ক, সুত্রের খবর।কি এমন অভিযোগ যে, পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ সিদ্দিকুল্লাহ চরম বেকায়দায় রাজ্যরাজনীতিতে? গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগটি হলো গত ১৯ জুন অঞ্চল তৃনমূল সভাপতি ডালিম সেখ খুনে যারা জেলবন্দি(বাবর সেখ সহ তিনজন), তাদের সাক্ষর রয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের তালিকায়।শুধু তাই নয় ডালিম সেখ খুনে সিআইডি মামলায় যারা ফেরার, অর্থাৎ আজফর মল্লিক উজ্বল সেখ আনাই সেখ লাল্টু সেখ তারাও সই করেছে।এখানেই প্রশ্ন তুলেছে বিপক্ষ শিবির।মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতির পুর্ত কর্মাধ্যক্ষ মুন্সি রেজাউল হক বলেন " এই খুনে মূল অভিযুক্ত মন্ত্রীর ভাই রহমতুল্লা চৌধুরী,  যেখানে সিআইডি এখনও চার্জশীট জমা দেয়নি আদালতে।পুলিশ খুঁজছে এদের।সেখানে মন্ত্রী কিভাবে ফেরারদের সই নিলেন তার জবাহদিহি দিতে হবে?" আবার দেখাগেছে গত ১৭ আগস্ট জেলাশাসক কে জমা করা ৫৫০০ ফর্ম বঞ্চিত চাষীদের মধ্যে ৩৫০০ জন চাষী ফর্ম পেয়েছেন।সেইসাথে তারা কৃষি দপ্তর সহ কাটোয়া মহকুমাশাসক কে লিখিতভাবে জানিয়েছেন তাদের সই জালিয়াতির কথা।এছাড়া শতাধিক মৃত সহ নাবালকদের নাম রয়েছে মন্ত্রীর অনুমোদন করা তালিকায়।এইবিধ নানা অভিযোগের প্রাথমিক সততা উঠে এসেছে মঙ্গলকোট কৃষি আধিকারিকের মৌজা ভিক্তিক তদন্তে।ডালিম সেখ খুনে সিআইডি তদন্তে অক্সিজেন সাময়িক সিদ্দিকুল্লাহ পেলেও এই ভুয়ো ক্ষতিগ্রস্ত তালিকা জমা নিয়ে বেকায়দায় ফেলেছে বিপক্ষ শিবির।বিধায়ক শিবিরে যারা অঞ্চলে এইসব তালিকা গড়েছে, তাদের উপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে।গত বুধবার সকালে লোচনদাস সেতুতে স্কুল যাওয়ার পথে শিক্ষক দম্পতি সাজ্জাদ সেখ কে হাজার খানেক মানুষ ঘিরে নিগ্রহ ও চড় থাপ্পড় মারে।হামলাকারীদের বেশিরভাগ জনই বিধায়কের করা ক্ষতিগ্রস্ত তালিকায় বঞ্চিত চাষী হিসাবে নাম ছিল।অথচ তারা ফর্ম পেয়ে জমাও দিয়েছে কৃষিদপ্তরে।কালবৈশাখী ঝড়ে সরকারী ক্ষতিপূরণ নিয়ে রাজনীতি করতে গিয়ে ঘনিষ্ঠ অনুগামীদের ভূলে বেকায়দায় পড়লেন সিদ্দিকুল্লাহ।এইরুপ মনে করছে স্থানীয় রাজনীতিমহল।





OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER