মোল্লা জসিমউদ্দিন
গত সপ্তাহে রাজ্যের প্রশাসনিক সদর দপ্তর 'নবান্ন' থেকে মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি এসে পৌছেছে মঙ্গলকোটের বুকে।একটি নয় দু- দুটি। বিষয় একই, তবে পেক্ষাপট ভিন্ন।একটি চিঠি পেয়েছেন মঙ্গলকোট ব্লক তৃনমূল সভাপতি অপূর্ব চৌধুরী, অপর চিঠিটির প্রাপক মঙ্গলকোট বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। দুই চৌধুরীর বিবাদে গত দেড় বছর এমনিতেই উত্তপ্ত মঙ্গলকোটের বিভিন্ন এলাকা।তার উপর 'মঙ্গলকোট ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বেডের সংখ্যা পনেরো থেকে বাড়িয়ে ত্রিশ করার অনুমোদন হয়েছে' - মুখ্যমন্ত্রীরর এই সুখবর বার্তা দুই বিবাদমান গ্রুপের কর্তাদের পাঠানোয় বাড়তি গুরত্ব এনেছে মঙ্গলকোটের রাজনীতিতে।ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, মুখ্যমন্ত্রী দুপক্ষকেই সমান গুরত্ব দেন এটি তারই প্রতিফলন মাত্র।যে যা বুঝছে বুঝুক, মঙ্গলকোটের আকাশে বাতাসে দুই শিবিরের লোকেরা প্রচার চালাচ্ছে - এই স্বাস্থ্য পরিষেবার মান বৃদ্ধিতে কৃতিত্ব তাদেরই।মঙ্গলকোট বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী তাঁর বিধায়ক তহবিলের সিংহভাগ অনুদান বরাদ্দ করেছেন স্থানীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা বাড়াতে।আট লক্ষ করে সর্বমোট চব্বিশ লক্ষ টাকায় তিনটি আম্বুলেন্স দিয়েছেন তিনি।বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার হায়দার সফি এসেছিলেন সিদ্দিকুল্লাহ সাহেবের আম্বুলেন্স উদঘাটনী অনুষ্ঠানে।বাইশ লক্ষ অনুদানে মঙ্গলকোট হাসপাতালে বিধায়ক তহবিলে প্রসূতি ভবন হচ্ছে। যা খুব তাড়াতাড়ি চালু হওয়ার মুখে।এছাড়া রুগী জনকল্যাণ সমিতির প্রতিটি বৈঠকে বিধায়ক সিদ্দকুল্লাহ সাহেব উপস্থিত থেকেছেন।অপরদিকে এই পরিকাঠামোর মান উন্নয়ন বৈঠকে সদস্য হিসাবে ব্লক সভাপতি ঘনিষ্ঠ মঙ্গলকোট ওসি প্রসেনজিত দত্ত গড়হাজির থেকেছেন।এমনকি মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ মেহবুব চৌধুরী সব বৈঠকে আসেননি।এইরুপ পরিস্থিতিতে ব্লক তৃনমূল সভাপতি বিগত ছয় বছরে এলাকার স্বাস্থ্য পরিষেবার মান উন্নয়নে কোথাও লিখিতভাবে জানাননি বলে বিধায়ক শিবিরের দাবি।সেইসাথে বিধায়কের বাইশ লক্ষ অনুদানে প্রসূতি ভবন নির্মাণ নিয়ে মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতি কৃত্রিমভাবে জটিলতা আনে।বাধ্য হয়ে বিধায়ক কাজের বরাত পূর্ত বিভাগ কে দেন। এইরুপ পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির উভয়পক্ষ প্রাপকদের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়েছে গোষ্ঠী বিবাদে উত্তপ্ত মঙ্গলকোটের বুকে।