সোমবার, মে ২১, ২০১৮

বিরোধীশুন্য থানার ওসিরা এবার প্রাইজ পোস্টিং পেতে চলেছেন

মোল্লা জসিমউদ্দিন




গ্রামবাংলার ক্ষমতা দখলের পঞ্চায়েত ভোট শেষ হয়েছে।এবার জেলায় জেলায় ওসি/আইসিদের একাংশ যেমন ভালো সার্ভিস দেওয়ার জন্য প্রাইজ পোস্টিং পাবেন।ঠিক তেমনি যেসব থানা এলাকায় বিরোধী দল সহ নির্দলদের বাড়বাড়ন্ত দেখা গেছে সেইসব থানার ওসিরা 'গ্যারেজ' পোস্টিং পাবেন। এইরুপ জেলাপুলিশ মহলে অন্দরের জবরখবর।যদিও এক জেলাপুলিশের পদস্থ কর্তা জানান -" যেকোন রাজ্যব্যাপী ভোটপর্ব মিটলেই পুলিশের রুটিং মাফিক বদলী হয়।কেউ অপেক্ষাকৃত ভালো পদ পান, আবার কাওকে কম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত দেওয়া হয়। এখানে রাজনৈতিক কোন বিষয় ভূমিকা নেয়না।"এটা কথার কথা, তা জেলাপুলিশের প্রায় ওসি/আইসি প্রকান্তরে মেনে নিয়েছেন। ভোট মিটেছে সবে, আর পনেরোদিন পরেই জেলায় জেলায় পুলিশমহলে সম্ভাব্য বদলী ঘিরে নানান অংক ওসি/আইসিদের মধ্যে।এইসময় প্রায় পুলিশ আধিকারিক ভোটের ডিউটি সেরে লম্বা ছুটিতে যান। যারা ইতিমধ্যে নিজ নিজ থানা এলাকা বিরোধীশুন্য করেছেন মনোনয়ন পর্বেই, তাদের শাঁসালো থানায় প্রাইজ পোস্টিং।এছাড়া বিরোধীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার, ভোটের দিন বুথ দখল, গণনার দিন বিরোধী এজেন্টদের চমকানি ইত্যাদি কর্মকাণ্ড শাসকদলের মন জয়  করেছেন তাদেরও গুরত্ব অনুযায়ী পোস্টিং দেওয়া হবে।আর যেসব এলাকায় মনোনয়ন পর্বে বিরোধী সহ নির্দলদের প্রভাব দেখা গেছে।সেইসাথে ভোটের দিন বিরোধীদের প্রতিরোধ,  ভোটের ফলাফলে শাসকদলের প্রার্থীরা হেরেছে।সর্বোপরি শাসকদলের কর্মী/সমর্থকরা মারা পড়েছেন, সেইসব আধিকারিকদের জন্য গ্যারেজ পোস্টিং ( আইবি, ইবি,ট্রাফিক,পুলিশ  লাইন) অপেক্ষা করছে।যদিও পুলিশের তরফে এই সম্ভাব্য বদলী কে রুটিং বদলী হিসাবে দাবি করা হয়েছে।ইতিমধ্যে পঞ্চায়েতের সামগ্রিক ফলাফলে পূর্ব বর্ধমান জেলা বিরোধীশুন্য জেলাপরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি, গ্রাম পঞ্চায়েত হয়েছে।হাতেগোনা গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে জয় এসেছে বিজেপির।সিপিএম - কংগ্রেসের অবস্থা আরও শোচনীয়। একদা পুুুলিশমহলে তৃনমূলের মুকুল দা বর্তমানে রাজ্য বিজেপির নেতা মুকুল রায় প্রায়শ অভিযোগ সূরে বলেন "থানার ওসি / আইসিরা এখন তৃনমূলের ব্লক সভাপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন "। পঞ্চায়েতের দলীয় প্রতীক বিলি নিয়ে শাসকদলের দুই যুযুধান গোষ্ঠীর নেতাদের থানায় মিমাংসা করতেও দেখা গেছে।ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে বাংলায় পঞ্চায়েত শাসনব্যবস্থা চালু হওয়ার পর এই সর্বপ্রথম পূর্ব বর্ধমান জেলার সমগ্র কাটোয়া মহকুমা বিরোধী শুন্য হয়।পাঁচটি ব্লক পড়ছে যেখানে।উন্নয়নের নিরিখে নাকি বিরোধীরা এখানে প্রার্থী খুঁজে পাইনি।অথচ ২০১৬ সালে বিধানসভায় কাটোয়া কেন্দ্রে রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় হাজারের নিচে নিকটতম কংগ্রেস প্রার্থী কে হারিয়ে দেন।মঙ্গলকোটে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী এগারো হাজার ভোটে সিপিএম কে টপকান, কেতুগ্রামে সেখ শাহনওয়াজও হাজার দশের মার্জিন পান সিপিএম প্রার্থীর থেকে।গত বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল বলে দিচ্ছে এইসব বিধানসভা এলাকায় বিরোধীরা যথেষ্ট শক্তিশালী। ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত ভোটে সিপিএম এখানে পাঁচটি জেলাপরিষদ আসন, দুটি পঞ্চায়েত সমিতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবং কংগ্রেস - সিপিএম পনেরোর বেশি গ্রাম পঞ্চায়েত পেয়েছিল।এইধরনের ফলাফলই বলে দিচ্ছে  যে, হারুক কিংবা জিতুক অন্তত মনোনয়ন পর্বে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিত।ব্লক অফিস কিংবা মহকুমাশাসক অফিস ঘিরে শাসকদলের বাহিনী 'ওয়ান ডে ম্যাচে' ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হলেও।এই তিনটি থানা এলাকায় ওসি/আইসিরা গত দুবছর যেভাবে বিরোধী দল সহ শাসকদলের বিক্ষুব্ধদের বিভিন্নভাবে 'টাইট' করেছে, তাতে বিরোধীশুন্য করবার আসল কারিগর পুলিশের এইসব আধিকারিকরা।এইবিধ নানান অভিযোগ বিরোধীদের।একাধারে ডাবলু আনসারীর মত অতীতে মঙ্গলকোটের মুকুটহীন সম্রাট খ্যাত সিপিএম নেতা কে দফায় দফায় গাঁজার মামলা দিয়ে জেলবন্দি করে রাখা হয়েছে।আবার অন্যধারে কাটোয়া বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের চরম দলীয় শত্রু তথা কাটোয়া পুরসভার তৃনমূল কাউন্সিলার জঙল সেখের পুরো পরিবার কে গাঁজার মামলা দেওয়া হয়েছে।আইনজীবীমহলের মত - 'এখন অস্ত্র মামলায় নিরপরাধ কাওকে পুলিশ মাসখানেকের বেশি রাখতে পারেনা।কিন্তু গাঁজার মামলা দিলে বছরভর রাখা যায়।তবে উচ্চ আদালতে তথ্যসংবলিত ভাবে লড়লে জামিন মেলে'। গত দুবছরে কাটোয়া মহকুমা এলাকাতে কাটোয়া - কেতুগ্রাম - মঙ্গলকোটে শতাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিদের গাঁজা মামলা দেওয়া হয়েছে।এই সমস্ত মামলায় সির্জ দেখানো গাঁজা পুলিশ কোনদিনই হিসাব মেলাতে পারবেনা, এই ধরনের তথ্য পুলিশমহলের একাংশের।নাম প্রকাশে এক অনিচ্ছুক এইসব থানা এলাকায় ওসি পদে থাকা পুলিশ আধিকারিক বলেন - দুএকটি কেস ছাড়া বাকি সবই ফাঁসানো মামলা, কেউ উচ্চ আদালতে গেলে চরম বিপাকে পড়বে সংশ্লিষ্ট থানার ওসিরা"।তাহলে আইন আদালত কে তোয়াক্কা না করে কেন পুলিশ আধিকারিকদের একাংশ এই পুলিশি সন্ত্রাস সংগঠিত করলেন? বিগত বাম জমানায় দেখা গেছে, শাঁসালো ( বালি, কয়লা) থানার পোস্টিং পেতে কিংবা দীর্ঘসময় পদে থাকতে অনেক ওসি/আইসি শাসকদলের হয়ে খাটতে 'কমরেড' সেজেছেন। ঠিক তেমনি বর্তমানে সেই ট্রাডিশান অব্যাহত পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশমহলে।বিশেষত মঙ্গলকোট,  কাটোয়া থানার ওসিরা বিরোধীশুন্য এমনকি শাসকদলের বিক্ষুব্ধদের জব্দ করতে সুসংগঠিত পুলিশি সন্ত্রাস চালিয়েছেন বলে অভিযোগ। এমনকি মঙ্গলকোট বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী আটঘড়ায় মহিলাদের ঝাঁটা - জুতো কান্ডে স্থানীয় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে পুলিশসুপার কে ওসির বিরুদ্ধে জমিয়ত উলেমা হিন্দ কে দিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন।পঞ্চাশের বেশি অনুগামীদের মিথ্যা গাঁজা, অস্ত্র আইনে ফাঁসানো হয়েছে বলেও নানামহলে জানিয়েছেন তিনি।কাটোয়া পুরসভা দখলের অন্যতম কাণ্ডারি তৃনমূল কাউন্সিলার জঙ্গল সেখ কে গাঁজার মামলা দেওয়া হয়েছে।এমনকি কাউন্সিলারের স্ত্রী,  ছেলেকেও গাঁজার মামলা দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাটোয়া বিধায়কের পথে কাঁটা না হবার জন্য।উল্লেখ্য রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় এই জঙ্গল সেখের জন্যই ২০১৫ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃনমূলে আসেন।২০১৬ সালে মাত্র ৯৬১ টি ভোটে জিতেন এই জঙ্গল সেখের অন্তর্ঘাতে।তাই পঞ্চায়েত ভোটে কাটোয়ার দুটি ব্লক এলাকায় বিরোধীশুন্য রাখতে দলেরই কাউন্সিলার সপরিবার গাঁজার মামলা পেয়েছে বলে এলাকায় দাবি।এইরকম নানান অভিযোগ আছে কাটোয়া কেতুগ্রাম মঙ্গলকোট ওসি/আইসিদের বিরুদ্ধে।যদিও পুলিশের তরফে 'অফিসিয়াল' কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।পুলিশের অন্দরমহলের খবর - দিন পনেরো থেকে একমাসের মধ্যে পুলিশের ওসি/আইসি স্তরের আধিকারিকদের বদলীর নির্দেশিকা বের হবে।সেখানে গত দুবছর ধরে বিরোধীশুন্যর পাশাপাশি দলের বিক্ষুব্ধদের যারা টাইট করেছেন তারা প্রাইজ পোস্টিং হিসাবে শাঁসালো থানায় যাবেন।এবং যেসব এলাকায় বিরোধীদের বাড়বাড়ন্ত দেখা গেছে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন থেকে ভোট গণনা অবধি তাদের গ্যারেজ পোস্টিং অপেক্ষা করছে।যদিও পুলিশ মহলে এটা(সম্ভাব্য বদলি) কে রুটিং বদলি হিসাবে জানানো হচ্ছে।

রবিবার, মে ২০, ২০১৮

আসানসোল যাদব কমিটি হল

মোহন সিং

যাদব কমিটির নতুন কার্যকরী কমিটি গঠিত হল রবিবার। আসানসোলের কোর্ট মোড়ে আরএল প্লাজাতে এই যাদব কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির নতুন সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হলেন স্বর্গীয় রামলক্ষন যাদবের স্ত্রী সুধা দেবী। এদিন কমিটি পরিচালনার পাশাপাশি আগামী দিনে সমাজের জন্য বেশ কিছু সেবামুলক কাজেরও পরিকল্পনা নেওয়া হয়

সুভাষনগড় পাড়ায় তৃনমূলের বিজয় মিছিল

সোমনাথ চক্রবর্তী

ময়নাগুড়ি সুভাষনগর পাড়ার তৃনমূল কংগ্রেস প্রার্থী সজল বিশ্বাস এবারের পঞ্চায়েত ভোটে জয়ী হওয়ায় রবিবার বিরাট বিজয় মিছিল বের করে সুভাষ নগর পাড়ার ১৬/৭৯ নং বুথ। ব্যান্ড  পার্টি, ঢোল সহকারে এ দিনের বিরাট বিজয় মিছিলে অংশ নেন সমাজের ৮ থেকে ৮০ সকল স্তরের মানুষ।চারিদিকে শুরু হয় আবির খেলা।
সুভাষ নগর পাড়ার বিজয়ী প্রার্থী সজল বিশ্বাস বলেন এই জয় মা মাটি মানুষের জয়।বিগত দিনগুলিতে এলাকায় যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে এবার আরো উন্নতি হবে।এ বারে জেলাপরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতিতে আমরা সবকটি আসনে জয়লাভ করেছি ফলে জনগনের মধ্যে আরো সহজেই উন্নয়নের ধারা পৌছানো সম্ভব হবে।

আক্রান্ত কে দেখতে হাসপাতালে বারাসাত সাংসদ

ওয়াসিম বারি

বারাসত তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি দেবাশিস মিত্র কে নির্বাচনের দিন বিজেপি ও সিপিএম একসাথে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে আক্রমন করে ।  শুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷এই আক্রান্ত দলীও কর্মী কে দেখতে হাসপাতালে যান বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ডঃ কাকলি ঘোষদস্তিদার।

লালবাজারে শুটিং সারলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত

মোল্লা জসিমউদ্দিন

লালবাজারে রবিবাসরীয় শুটিং সারলেন বিখ্যাত অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।আজ সকাল থেকে এক পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় ঋতুপর্ণা কে।

পঞ্চায়েতে বিজেপির জয়ী প্রতিনিধিরা যেমন যাচ্ছেন শাসকশিবিরে, উল্টোটাও ঘটতে পারে

সুকান্ত ঘোষ

পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির একাংশ  জয়ী প্রার্থীরা রাজ্যের উন্নয়নকাজ করতে তৃনমূল কংগ্রেসে যোগদান করে চলেছেন।তবে তৃনমূল ছেড়ে জনপ্রতিনিধিরা বিজেপি মুখো হয়নি।এটা সাময়িক অধ্যায়।আসল দলবদলের খেলা শুরু হবে লোকসভার ভোটের মাসখানেক পূর্বে।যেভাবে রাজশক্তি কে পূর্ণ ব্যবহার করে শাসকদল ভোটে বিরোধীশূন্য করতে নেমেছিল।তাতে অনেক তৃনমূল নেতা - কর্মী বুঝে গেছেন যে, পুলিশ না থাকলে এই ঐতিহাসিক জয় আসতো না।তাই জঙ্গলমহল সহ বেশকিছু জেলায় যে জয় বিজেপি এনেছে।তাতে পরিবর্তনের পরিবর্তন শুরু হয়ে গেছে বলে অনেকেই মানছেন। তাই এইসব নেতা - কর্মী সর্বোপরি জনপ্রতিনিধিরা তলে তলে একদা তৃনমূলের মুকুল দার সাথে যোগাযোগ বাড়াচ্ছেন বলে প্রকাশ।তাই পঞ্চায়েত ভোটে বিজয়ী তৃনমূলদের একাংশ মাস খানেক পরে কি করেন?  তা নিয়েও সিঁদুরে মেঘ দেখছে শীর্ষ তৃনমূল নেতৃত্ব।

শনিবার, মে ১৯, ২০১৮

অবশেষে কর্ণাটক জয় কংগ্রেস - জেডিএস জোটের

টানা দু’দিন সাসপেন্সের পর অবশেষে কর্ণাটক হল কংগ্রেস-জেডিএস জোটের। মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন জেডিএস-এর কুমারস্বামীর।

সকাল থেকেই টানটান উত্তেজনা ছিল আস্থাভোট নিয়ে। এমনকী, সুপ্রিমকোর্টও নির্দেশ দিয়েছিল সরাসরি সম্প্রচারের। তবে আস্থাভোটের আগেই বিধানসভায় আবেগপ্রবণ ভাষণ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন দু’দিনের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা। কারন সংখ্যগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে না পেরা সেই  ১১২ সংখ্যায় পৌঁছতে ব্যর্থ হলেন তাঁরা।কংগ্রেস-জেডিএস জোট প্রথম থেকেই  বলেছিল যে বিজেপির হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিধায়ক নেই। ফলে তাঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারবে না। বরং কং-জেডিএস জোটের হাতে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়ক রয়েছে ১১৬ টি।
এদিন দুপুরের পর থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় সরকার গঠনে পিছিয়ে বিজেপি। কারণ সব বিধায়কদের কংগ্রেস-জেডিএস ধরে রেখেছে। এমনকী নিখোঁজ দুই কংগ্রেস বিধায়কও শেষ বেলায় ফিরে আসেন শিবিরে।

সংগ্রহীত কপি।

জেতার সাফল্য দেখে যেতে পারলেন না তৃনমূল প্রার্থী

ওয়াসিম বারি

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়া ১ নম্বর ব্লকের বেড়গুম ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের জামতলা এলাকায়  ভোটের দিন সোমবার বিকালে আচমকা বাইক বাহিনীর দুষ্কৃতীদের হাতে আহত হন তৃনমূলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী বিপ্লব সরকার ।নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর জানা গেছে তিনি ৮১ ভোটে জয়লাভ করেছিলেন,  তৃনমূল কর্মী দের মুখে হাসি ফিরিয়ে দিয়ে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয় l এই ঘটনার পরিপেক্ষিতে শনিবার কার্যত বন্ধের চেহারা নিয়েছে বেড়গুম ১ ও ২ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকা । এলাকার দোকান পাট এদিন সকাল থেকেই ছিল বন্ধ। এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তৃনমূলের পক্ষ থেকে একটি মৌন ও শান্তি মিছিল বের করা হয় । রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে এদিন সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা অবরোধ ও করে তৃনমূলের কর্মীরা।

বনগাঁর সুটিয়া গ্রামে তৃনমূলের সশস্ত্র বিবাদ


ওয়াসিম বারি

তৃনমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবার প্রকাশ্যে আসলো। গোষ্ঠী সংঘর্ষে আহত বেশ কয়েক জন l গত শুক্রবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ থানার সুটিয়া গ্রামে ।

রাজ্যস্তরের পঞ্চায়েত ফলাফল

ওয়াসিম বারি

রাজ্যের ২০ টি জেলা পরিষদ  বিরোধা শূন্য, ২o টি আসনের মধ্যে সব  কটি আসন এ জয় লাভ করল তৃনমূল কংগ্রেস | এক নজরে ফলাফল __
গ্রাম পঞ্চায়েত ভিত্তিক সর্বদলীও ফলাফল - তৃনমূল কংগ্রেস - ২১১১o , বিজেপি- ৫৭৪৭ , কংগ্রেস - ১০৬২ , সি পিএম - ১৪৭৭ , সিপিআই - ৩৪ , ফঃবঃ -৯৭ , আর এস পি - ১oo , নির্দল - ১৮৩০ l

৬২১ টি জেলা পরিষদের ফলাফল- তৃনমূল কংগ্রেস - ৫৪৪ , বিজেপি - ২২ ,সিপিএম - 00 ,ফঃবঃ - ০১ , কংগ্রেস-০২ , নির্দল- ০২ ৷

পঞ্চায়েত সমিতি _
তৃনমূল কংগ্রেস - ৪৮৮৮ , বিজেপি - ৭৫৬ , কংগ্রেস -১৩১ , সিপিএম-১১১ , সিপিআই- ০১ ,ফঃবঃ- ১২ ,আরএসপি - o৫ , নির্দল-১১৪ .

কৃষকসেতু পত্রিকার সম্পাদক সংবর্ধনা পেলেন

পুলকেশ ভট্টাচার্য

আজ তোড়কনা জগবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এলাকায় সাহসিকতার সঙ্গে  সমাজের বিভিন্ন ধরনের সংবাদ তুলে ধরার জন্য 'কৃষকসেতু' পত্রিকার সম্পাদক কৃষ্ণ কুমার সাহা ও 'পল্লীদামোদর' পত্রিকার সম্পাদক প্রদীপ কুমার মণ্ডল কে সম্বার্ধনা দেওয়া হল। পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের তোড়কনা জগবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে রবীন্দ্র নজরুল জয়ন্তী উদযাপন করা হল। উদ্বোধনী সঙ্গীত ও মাল্য দানের অনুষ্ঠানে সূচনা হয়। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এলাকার সাংবাদিক দের সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। সাথে সাথে এলাকার নব নির্বাচিত জেলা পরিষদের সদস্য শিক্ষক বিশ্বনাথ রায় কে সম্বার্ধনা দেওয়া হয়। আজ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী সফিকুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক তপন চক্রবর্তী সহ শিক্ষক শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবক অভিভাবিকারা।

শুক্রবার, মে ১৮, ২০১৮

তিন কন্যাশ্রী মেখলিগিঞ্জে জিতে তাক লাগালো

গৌতম সরকার

চ্যাংড়াবান্ধা,জীবনের প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েই বাজিমাত করলেন কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ ব্লকের রানীরহাট গ্রামপঞ্চায়েতের তিন কন্যাশ্রী প্ৰার্থী।এই গ্রামপঞ্চায়েতের তিনটি আসনে এবার তৃণমূলের টিকিটে লড়েছিলেন তিন কন্যাশ্রী প্রার্থী সীমা মন্ডল,শান্তনা অধিকারী এবং এবং মমিতা রায়।তারা তিনজনই কন্যাশ্রী প্রাপক।বৃহস্পতিবার বার ফল ঘোষণার পরেই দেখা যায় তিন কন্যাশ্রী প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়ী হন।ফল প্রকাশের পর তার বলেন এই জয় কন্যাশ্রীর জয়।মুখ্য মন্ত্রীর স্বপ্নের এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে তারা নিজেরা যেমন খুশি তেমনি এই প্রকল্প খুবই যথাযথ বলে তারা মনে করেন।মা মাটির মানুষের সরকারের কাজে উদ্বুদ্ধ হয়ে তারা জীবনের প্রথমবারই তৃণমূলের টিকিটে লড়াইয়ে নামেন।মানুষ তাদের ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছেন।তাই মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করাই তাদের অন্যতম লক্ষ্য বলে জানান।জানাগেছে সীমা ৩৮৫ ভোটের ব্যবধানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির প্ৰার্থীকে হারিয়েছেন।শান্তনা জয়ী হয়েছেন ৪৫০ ভোটে।অন্যদিকে ২৪২ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন মমিতা রায়।১৩ আসন বিশিষ্ট এই রানীরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতে ১২ টি আসন তৃণমূলের দখলে গিয়েছে।১ টি আসনে বিজেপি জয় পায়।গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান এবং উপপ্রধান দুটি পদই তফসিলি মহিলা সংরক্ষিত।তৃনমুল সূত্রের খবরানুযায়ী এই তিন কন্যাশ্রী প্রার্থী এই দুটি পদের জোরালো দাবিদার।তিন কন্যাশ্রী প্রাপকের মধ্যে শান্তনা বিবাহিতা।বাকী দুজন কলেজ পড়ুয়া।অর্থাৎ একজন সংসার সামলে ও বাকি দুজন পড়াশোনা সামলে ভোটের ময়দানে নেমে সফল হয়েছেন।এই সফলতাকে মানুষের জন্য কাজে লাগাতে চায় এই তিন কন্যাশ্রী।তাদের নিকট প্রত্যাশাও রয়েছে অনেকের।এই তিন প্ৰার্থীর জয়ে দারুন খুশি স্থানীয় তৃনমুল কংগ্রেস নেতৃত্বও।দলের রানীরহাট অঞ্চল কমিটির সভাপতি উৎপল রাউৎ বলেন" সত্যিই এই তিন কন্যাশ্রী আমাদের দলের গর্ব।"

স্বরুপনগরে সবুজময় সাফল্য

সৈয়দ রেজওয়ানুল হাবিব

স্বরূপনগরব্লকে ১০টি পঞ্চায়েত এর মধ্যে ৯টি, পঞ্চায়েত সমিতির ৩০টি আসনের মধ্যে ২৯টি এবং ১৩,১৪,ও ১৫নং জিলা পরিষদ আসনে তৃনমুল কংগ্রেসের প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়ী হয়.| এককথায় স্বরূপনগর ব্লকে সবুজের উল্লাস চলছে।বিজয়ী প্রার্থীদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেন বিডিও বিপ্লব বিশ্বাস সাথে ছিলেন জয়েন্ট বিডিও তাপস কুমার সহ অন্যরা।

বাদুড়িয়া তৃনমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েতি সাফল্য

সৈয়দ রেজওয়ানুল হাবিব


বাদুড়িয়া তৃনমুল কংগ্রেসের নেতা ও পৌরসভার পৌরপ্রধান তুষার সিংহের প্রচেষ্ঠায় ৩টি জেলা পরিষদই দখল করল তৃনমুল কংগ্রেস। এরই মধ্যে ১৮নং জেলা পরিষদ আসনে ২১৯৯০ জয়লাভ করলেন প্রার্থী মমতাজ খাতুন।এই প্রথম বাদুড়িয়া তৃনমুল কংগ্রেসের ব্যাপক জয়লাভ হল।তাকে নির্বাচনে জয়লাভের পর শংসাপত্র প্রদান করেন বাদুড়িয়া বিডিও ত্রিভুবন সাহেব৷ সাথে ছিলেন জয়েন্ট বিডিও পার্থ সারথি ঘটক, বিশিষ্ঠ কবি জনাব আমির আলি, বাদুড়িয়া টাউন তৃনমুল যুব কংগ্রেসের সভাপতি গৌতম গুপ্তা, ব্লক সংখ্যালঘু সভাপতি আশিক বিল্লা, ব্লক টি.এম.সির সভাপতি নাজিবুর রহমান সহ অন্যরা ৷

নানুরের কাজল থাকবেন কেষ্টর পাড়ায়, নৈপথ্যে নানুর সিআই?

মোল্লা জসিমউদ্দিন

সুকান্ত ঘোষ

চারিদিকে এত হানাহানি, তারই মাঝে শান্ত বীরভূমের নানুর।বছর এক পূর্বেও কোন নির্বাচন এলে দুই থেকে পাঁচটা লাশ পড়ত এখানে।আর এখন গ্রামবাংলার পঞ্চায়েত ভোটেও একফোঁটা রক্ত ঝড়েনি।কি এমন পরিস্থিতি যে অনুব্রত মন্ডল বনাম কাজল সেখের লড়াই থমকে গেলো।এমনকি নানুরের কাজল সেখ বোলপুরে কেষ্ট মোড়লের  পাড়ায় পাকা বাড়ী বানাচ্ছে থাকবার জন্য!  হ্যা এইসবের পেছনে রয়েছেন নানুর - লাভপুরের সিআই দেবাশীষ ঘোষের অবদান। দেবাশীষ বাবু ইতিপূর্বে লাভপুর - মহম্মদবাজার - অন্ডাল ( জিআরপি) , হাওড়া (জিআরপি), বোলপুর থানায় পুলিশি দক্ষতা দেখিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন।লাভপুরে ওসি থাকাকালীন ৫২ প্রজাতির আমগাছ থানা চত্বরে লাগিয়ে 'গাছ প্রেমিক' ওসির সুনাম অর্জন করেছিলেন রাজ্যপুলিশ মহলে।নানুরে প্রায় একবছর সিআই পদে এসে কাজল সেখ এবং অনুব্রত মন্ডলের 'দূত' হিসাবে কাজ করে গেছেন এলাকার সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে।সুত্রে প্রকাশ তৃনমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব নানুর এলাকাটি কে তিনভাগে নেতৃত্ব ভাগ করে দিয়েছে।কাজল সেখ - গদাধর হাঁজরা এবং সুব্রত ভট্টাচার্য দের মধ্যে চার থেকে পাঁচটি পঞ্চায়েত দেখভালের জন্য দেওয়া হয়েছে।অসমর্থিত সুত্রে খবর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নানুর থানার ওসি কে এই বার্তা দিয়েছেন প্রায় ছয়মাস পূর্বেই।যাইহোক নানুর সিআই দেবাশীষ ঘোষের সৌজন্যে সূচপুর গণহত্যা খ্যাত নানুরে আজ হিংস্বা হানাহানি নেই, এতে খুশি নানুরবাসি।সেইসাথে সীমান্তবর্তী মঙ্গলকোট - কেতুগ্রাম এলাকার বাসিন্দারাও।

গাইঘাটা ব্লকে ভোটের রায়

ওয়াসিম বারি

গাইঘাট ব্লকের পঞ্চায়েত ভিত্তিক ফলাফল |

1) সুটিয়া পঞ্চায়েত ।মোট আসন-25. TMC-13. BJP-12.  2)ধর্মপুর-(2)মোট আসন-16-- BJP-8. TMC-6. ND-2. 3)জ লেশ্বর -(1) মোট আসন-14. TMC--6. BJP--6. ND--2.  4)রামনগর- মোট-18. TMC--15. . BJP--2., , Cong-1.  5)ঝাউডাঙ্গা-- মোট--18. TMC-17. BJP--1.   6)ইছাপুর-(2) মোট- আসন-18. TMC-10. BJP-7. ND-1.  7)শিমুলপুর- মোট আসন-20.  TMC--13. BJP--7. , 8)ধর্মপুর -(1) মোট আসন--15. TMC--8. BJP--3. বিজেপি সমর্থিত নির্দল--4. 9)ফুলসরা- মোট আসন--19. TMC--11. BJP--6.   ND-2.  10) জলেশ্বর --(2) মোট আসন--14.  TMC-11. BJP-2.  নির্দল-1. 11)ডুমা-মোট- আসন-24. TMC-14. BJP-10. 12)চাঁদপাড়া,  মোট-26. TMC-17. BJP-6. CPM-2, নির্দল-1. -13)হছাপুর (1) মোট আসন-14.  TMC-10. BJP-3. CPM-1.

বাগদার পঞ্চায়েত ফল

ওয়াসিম বারি

বাগদা ব্লক এর পঞ্চায়েত ভিত্তিক ফলাফল |

রনঘাট গ্রাম পঞ্চায়েত (24)               TMC -11 ,BJP -9 ,ND-1, CPM-3
বাগদা গ্রাম পঞ্চায়েত (21)           TMC -16 ,ND-2,BJP -2 ,CON -1
হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েত     (17)        TMC-12   ,BJP-5
বায়রা গ্রাম পঞ্চায়েত -(22)         TMC -18 ,BJP -3 ,ND-1
সিন্দ্রানী গ্রাম পঞ্চায়েত (26)           TMC -11 ,BJP -13,ND-2
কোনিয়ারা ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত -(15)                          BJP -9 ,TMC -3,CONG -1 ,CPM -1
অষারু গ্রাম পঞ্চায়েত -(24)            TMC -14,BJP -5 ,CPM-4,ND-1

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER