মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৩, ২০১৯

অনুব্রত মন্ডলের সাথে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর বিবাদের অন্তরালে?


মোল্লা জসিমউদ্দিন,

অনুব্রত মন্ডল ওরফে কেস্ট মোড়ল এই নামটি শুধু রাজ্য রাজনীতিতে নয় জাতীয় রাজনীতিতেও বহু আলোচিত। রাজনৈতিক ময়দানে তিনি 'পিঞ্চ হিটার' বক্তা হিসাবে পরিচিত। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁকে শুধু বীরভূম - পূর্ব বর্ধমান জেলা নয়, দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় নির্বাচনী প্রচারে মঞ্চে 'হায়ার' করে নিয়ে গেছে শাসক দলের জেলা নেতৃত্ব। তৃণমূলের এই নেতা শুধু বীরভূম জেলার দলীয় সভাপতি নন, সেইসাথে পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম - কাটোয়া - মঙ্গলকোটের দলীয় পর্যবেক্ষকও বটে। একদা কাটোয়ার কং বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টপাধ্যায়ের সাথে সাপেনেউলে সম্পক ছিল অনুব্রতর। সেই রবীন্দ্রনাথ চট্টপাধ্যায় ববর্তমানে শাসকদলে নাম লিখিয়েছেন। আবার কেতুগ্রাম বিধায়ক সেখ শাহনওয়াজের সাথেও সম্পর্ক ভালো ছিল না একদা অনুব্রতর। কেননা বীরভূম জেলাজুড়ে দাপট দেখালেও নানুরে কেস্ট দাওয়াই 'ফেল'!  সৌজন্যে কেতুগ্রাম বিধায়ক সেখ শাহনয়াজের ভাই কাজল সেখ। বর্তমানে অবশ্য কেতুগ্রাম বিধায়ক ছায়াসঙ্গী হয়ে উঠেছেন অনুব্রতের কাছে। সিউড়ির প্রাক্তন বিধায়ক স্বপনক্রান্তি ঘোষের সাথে সম্পর্ক ভালো নয় অনুব্রত বাবুর। তবে রাজনৈতিক জীবন থেকে সন্ন্যাস নিয়েছেন স্বপন বাবু। একদা অধ্যাপক তথা বিধায়ক আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় অনুব্রত বিপক্ষ শিবিরে বিচরণ করতেন। বর্তমানে তিনি কৃষিমন্ত্রী হয়ে অনুব্রত বাবুর ঘনিষ্ঠমহলে প্রবেশ করেছেন। এত কিছুর মাঝে ব্যতিক্রমী মঙ্গলকোট বিধায়ক তথা রাজ্যের তিনটি দপ্তরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী মহাশয়।২০১৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের  আগে বীরভূমে পুলিশি সন্ত্রাস এবং শাসকদলের সন্ত্রাস নিয়ে অনুব্রত মন্ডলের কাছে 'ত্রাস' হয়েছিলেন রাজ্য জমিয়ত উলেমা হিন্দের নেতা মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। মাখড়া সহ ইলামবাজারের বিভিন্ন অংশে শাসক বিরোধী সংগঠন গড়ে আলোচিত নাম হয়ে উঠেছিলেন সিদ্দিকুল্লাহ। সেইথেকে অনুব্রত বনাম সিদ্দিকুল্লাহের ঠান্ডা লড়াই  শুরু। গত  বিধানসভা নির্বাচনে একশো আসনে প্রার্থী দাঁড় করাবার ঘোষণায় সিদ্দিকুল্লাহ কে নবান্নে মমতার কাছাকাছি আনে বলে মত রাজনীতি কারবারিদের। অনুব্রতর মন্ডলের আগাম ঘোষণা সত্বেও তৃনমূল নেত্রী মমতা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে মঙ্গলকোটে দলীয় প্রতীক দেন। প্রসঙ্গত ২০১১ এর পরাজিত তৃনমূল প্রার্থী অপূর্ব চৌধুরীই ছিলেন অনুব্রতর ২০১৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের ঘোষিত প্রার্থী। কেস্টর অনুরোধ থাকা সত্বেও নাছোড়বান্দা সিদ্দিকুল্লাহ মঙ্গলকোটের রাজনৈতিক বলয়ে নেমে পড়েন। আর এতেই রাজনীতিতে সম্মুখসমরে এসে পড়ে কেস্ট বনাম সিদ্দিকুল্লাহ। ২০১৪ সালের লোকসভায় ২৪ হাজারের বেশি লিড থাকা সত্বেও সিদ্দিকুল্লাহ জেতে ১২ হাজার ভোটে। যে দলীয় অন্তর্ঘাতে ২০১১ সালে বিধানসভায় অপূর্ব চৌধুরী হেরেছিলেন মাত্র ১২৭ ভোটে। অনুরুপ দলীয় অন্তর্ঘাতে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী জেতার ব্যবধান কমলো ১২ হাজারের বেশি!  এহেন দলের স্থানীয় নেতাদের অবস্থানে স্বতন্ত্র বলয় গড়ার চেস্টা চালালেন সিদ্দিকুল্লাহ৷ কেস্টর সাথে সাপেনেউলে সম্পক থাকা তৎকালীন বোলপুর সাংসদ  অনুপম হাঁজরা কে নিয়ে বড় বড় সভা করতে লাগলেন। অপরদিকে রাজনীতিতে নিস্ব হওয়া ব্লক সভাপতি অপূর্ব চৌধুরী কে স্থানীয় থানার 'নাগরিক কমিটির ' সম্পাদক এবং ব্লক প্রশাসনের আইসিডিএস নিয়োগ কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়।সেইসাথে পুলিশি নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হয়। যদিও পুলিশের তরফে জানানো হয় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার জেরে মঙ্গলকোটে বেশকিছু নেতা কে নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হয়েছে। তবে উক্ত মামলা গুলির এফআইআর, চার্জশিট, ফাইনাল রিপোর্ট সহ সাক্ষ্যপ্রমাণ দেখলে বোঝা যাবে পুলিশ কায়দা করে কেমন ভাবে সাজিয়েছে মামলা গুলি?  এইরুপ দাবি বিরোধী দলগুলির৷২০১৬ সালে বিধানসভার নির্বাচনের পর আড়াই বছরের মধ্যে মঙ্গলকোটের রাজনীতিতে ক্রমশ কোনঠাসা হয়েছেন সিদ্দিকুল্লাহ। রাজ্যের মন্ত্রী বলে নয়, নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে ঘুরাফেরা বন্ধ করে দেয় স্থানীয় ক্ষমতাসীন লবি। পঞ্চায়েত থেকে ব্লক অফিস, থানা থেকে দলীয় অফিস সবজায়গায় 'নো এন্ট্রি' সিদ্দিকুল্লাহের। কালো পতাকা দেখেছেন, কখনো অশ্রাব্য গালি শুনেছেন, আবার ঝাটা জুতোও দেখেছেন দলেরই একাংশের সৌজন্যে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশ থাকা সত্বেও কোন মনোনয়ন পত্র তুলতে পারেনি বিধায়ক শিবির। কুড়ির কাছাকাছি অনুগামী গাঁজার মামলা খেয়েছে বলে অভিযোগ। বিধায়কের একদা অফিস বেশ কয়েকবার সশস্ত্র হামলাও হয়েছে। অভিযোগ অনুব্রত অনুগামীরা স্থানীয় পুলিশের সাথে সেটিং ফিটিংস করে সব ব্যবস্থা করেছিল। যদিও পুলিশ ও স্থানীয় ক্ষমতাসীন লবি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশসুপার অফিসে স্মারকলিপি দিয়েছে সিদ্দিকুল্লাহর জমিয়ত উলেমা হিন্দের জেলা নেতারা। এখনো দুই শিবিরের দুই মুখ অনুব্রত মন্ডল এবং সিদ্দিকুল্লাহের মতভেদ কমেনি। উল্টে বেড়েছে বহুগুণ। লোকসভা নির্বাচনে সমগ্র বীরভূম জেলা সহ পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমা এলাকায় কোন প্রচারের মঞ্চে সিদ্দিকুল্লাহ কে তৃনমূলের মঞ্চে পাওয়া যায়নি। গতকাল অর্থাৎ ২০ এপ্রিল কাটোয়াতেও তৃনমূলের নাম্বার টু খ্যাত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এলেও সেখানে দেখা যায়নি সিদ্দিকুল্লাহ কে। এমনকি সিদ্দিকুল্লাহ এর নির্বাচনী ক্ষেত্র মঙ্গলকোটেও প্রচারে ব্রাত সিদ্দিকুল্লাহ। অর্থাৎ কেস্টর গড়ে অচ্ছুৎ হয়েই রয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা বঙ্গ জমিয়ত উলেমা হিন্দের সর্বময় কর্তা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী।                                                                                                                                                                                                                                                                                        

মঙ্গলকোটে এসইউসি বিজেপির থেকেও এগিয়ে



মোল্লা জসিমউদ্দিন , 

রাজনৈতিক শক্তি বিন্যাসে মঙ্গলকোটে চতুর্থস্থানে রয়েছে বিজেপি। যদিও এই পরিসংখ্যান টি বিগত ভোট গুলির নির্বাচনী ফলাফলের ভিক্তিতে। ২০১৮ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই বিধানসভা এলাকাটি বিরোধীশুন্য হয়েছিল অবশ্য । মঙ্গলকোটের রাজনৈতিক বলয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে তৃনমূল, দ্বিতীয় তে সিপিএম, তৃতীয়তে কংগ্রেস এবং চতুর্থ স্থানে বিজেপি দলটি৷ নিন্দুকেরা বলেন - বিজেপির থেকে এসইউসির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বেশি দেখা যায় মঙ্গলকোটের বুকে। নিয়মিত প্রচার চালায় এসইউসি দলের নেতা কর্মীরা।    ২০১১ সালে বিধানসভার পূর্বে অতি বামদুর্গ হিসাবে পরিচিত ছিল এই মঙ্গলকোট। নিখিলানন্দ সরের মত  সিপিএম সাংসদ,   অঞ্জন মুখার্জির মত আরএসপির নেতা গড়েছে এই মঙ্গলকোট। সেইসাথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে তৃণমূল গড়া সাংসদ সেই অজিত পাঁজার পৈতৃক ভূমি হল এই  মঙ্গলকোট । বামেদের এতই প্রভাব ছিল  মঙ্গলকোটে যে, ২০১১ সালে রাজ্যজুড়ে পরিবর্তনের সুনামি আছড়ে পড়লেও মঙ্গলকোট আসন টি পেয়েছিল সিপিএম। এমনকি ২০১৪ সালের লোকসভায় ২৪ হাজারে পিছিয়ে ছিল এবং ২০১৬ এর বিধানসভায় মাত্র ১২ হাজারে পিছিয়ে ছিল সিপিএম। তাই মঙ্গলকোটে পদ্মফুল কাস্তে হাতুড়ি তারায় নড়বড়ে হয়েছে । জাতীয় কংগ্রেস ২০১৩ এর পঞ্চায়েত ভোটের আগে পর্যন্ত যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল এখানে । বিশেষত মঙ্গলকোটের কৈচর ২, শিমুলিয়া ২, ঝিলু ২, ভাল্যগ্রাম, মাঝীগ্রাম পঞ্চায়েত গুলিতে দীর্ঘদিন ক্ষমতাসীন ছিল তারা। তাই মঙ্গলকোটের মাটিতে তৃনমূল  বিরোধী হিসাবে সিপিএম কংগ্রেস অনেকটাই এগিয়ে বিজেপির তুলনায় । সেখানে মঙ্গলকোটের নিগন, কৈচর ১, পালিগ্রাম, চাণক এলাকার হাতেগোনা কয়েকটি গ্রামে বিজেপির কর্মী সমর্থক রয়েছে। তাও প্রকাশ্যে না, মিটিং মিছিল তে দশ কুড়িজনের লোক বের হয় বিজেপির তরফে। সেভাবে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের দুর্নীতি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে স্থানীয় বিজেপি কে গনমুখি আন্দ্রোলনে দেখা যায়নি মঙ্গলকোটের বুকে  । আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মঙ্গলকোটের ১৮০ টি গ্রামের মধ্যে ২ থেকে ৩ টি গ্রামে বেশকিছু বাড়ীতে দেওয়াল লিখন করতে পেরেছে বিজেপি। এই আসনের প্রার্থী অধ্যাপক রামপ্রসাদ দাস ( বোলপুর আসন)  ইতিমধ্যেই মঙ্গলকোটে দশের বেশিবার এসেছেন। কৈচর হাটতলায় সভাতে গোটা পঞ্চাশ লোক হয়েছিল। আবার পদযাত্রায় চার থেকে পাঁচজন হচ্ছে। সেখানে সিপিএম প্রার্থী রামচন্দ্র ডোম বহুগুণ এগিয়ে রয়েছেন । স্থানীয় বিজেপি নেতারা অবশ্য প্রতিস্টান বিরোধী হাওয়ায় বিশ্বাসী, কোন রাজনৈতিক  ধারাবাহিকতায় সক্রিয়  না হয়েই! এমনকি মঙ্গলকোটে সিংহভাগ বুথে নির্বাচনী এজেন্ট খুঁজে পাচ্ছেনা বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানে প্রায় বুথে এজেন্ট ঠিকঠাক করে ফেলেছে সিপিএম। মঙ্গলকোটে কৃষির ক্ষতিপূরণ নিয়ে কিংবা স্থানীয় থানার মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ঘটনাগুলিতে উচ্চবাচ্য করেনি বিজেপি। তাই শাসকদল  বিরোধী ভোটব্যাংক বিজেপির অনুকূলে যাওয়া অনিশ্চিত। আবার 'সংখ্যালঘু' ব্লক হিসাবে ঘোষিত মঙ্গলকোটে বিজেপির সংখ্যালঘু মুখ নেতা কর্মী  নেই বললেই চলে । উল্টে ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল অবধি বিধায়ক থাকা শাহজাহান চৌধুরী বিধায়ক তহবিলে সংখ্যালঘু উন্নয়নে যেমন ভূমিকা নিয়েছেন। ঠিক তেমনি এমএসডিপি অনুদানে কোটি টাকার শোলাহাব দুর্নীতি নিয়ে বিধানসভায় বারবার সরব হয়েছেন। আবার মুখ্যমন্ত্রী কে লিখিত অভিযোগও জানিয়েছেন তিনি। তাই বিজেপির সারাবছর নিস্ক্রিয়তা যেমন মঙ্গলকোটে প্রভাব পড়বে, অপরদিকে সিপিএমের যথাযথ শাসকদল বিরোধী হিসাবে কার্যকলাপ লোকসভায় প্রভাব ফেলবে বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে।                                                                                                        

সোমবার, এপ্রিল ২২, ২০১৯

শিলাবৃষ্টি তে গরমের স্বস্তি আনলেও, দিল ফসল ক্ষতির আশংকা


মোল্লা জসিমউদ্দিন,

তীব্র দহনে শিলাবৃষ্টি আপামর এলাকাবাসীদের স্বস্তি দিলেও চাষাবাদে যুক্তদের ফসলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। রবিবার দুপুর আড়াইটার সময় পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার, মঙ্গলকোট সহ কাটোয়া কালনা মহকুমা এলাকায় শিলাবৃষ্টির দাপট দেখা যায়। তবে শিলাবৃষ্টি তুমুল দাপট দেখা যায় ভাতার মঙ্গলকোট ব্লক এলাকার বড় অংশে। প্রথমে কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয় এলাকা। এরপরে ঘন্টা খানেক ধরে চলে শিলাবৃষ্টি। তবে শিলা গুলি ছিল মাঝারিমাপের। পথচলতি মানুষ অল্প বিস্তর আহত হয়। দশের কাছাকাছি মাটির বাড়ি ধসে যাওয়ার খবর মিলেছে। বেশিরভাগ জায়গায় বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ইলেক্ট্রিক পোল সহ তার পড়ে গেছে। গাছপালাও রাস্তায় পড়ে থাকায় যানচলাচল ব্যাহত হচ্ছে বিভিন্ন সড়করুটে৷ তবে সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে চাষাবাদে। এই সময় বোরো ধান, তিল সহ নানান সবজি চাষ চলছে।আমের ফলনে ব্যাপক ক্ষতি এনেছে আজকের শিলাবৃষ্টি। প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, ভাতার ও মঙ্গলকোট ব্লক দুটিতে চল্লিশ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে । প্রাথমিকভাবে টানা ঘন্টা খানেক তুমুল শিলাবৃষ্টির জন্য সত্তরভাগ ধানের ক্ষতি হয়েছে। এইসময় ধান পেকে যাওয়ার মুখে। এই দুই ব্লকের আংশিক জমিতে তিল চাষ চলছে। ধানের মতন তিল চাষেও ক্ষতি এনেছে শিলাবৃষ্টি। ভাতারের বলগনা, মুরাতিপুর, আমারুণ এবং মঙ্গলকোটের সাগিরা, লাখুরিয়া, চাণক এলাকায় সবজিচাষীরাও আজকের শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন আমবাগানে গাছের বেশিরভাগ আমই পড়ে গেছে। কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার দুপুরে বিভিন্ন মাঠে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি জানতে পর্যবেক্ষণে যাবেন আআধিকারিকরা। পরে ব্লক প্রশাসনের মাধ্যমে জেলা প্রশাসনে রিপোর্ট যাবে শিলাবৃষ্টিজনিত ফসলের ক্ষতির বিষয়ে।                                                                                      

রবিবার, এপ্রিল ২১, ২০১৯

লোকসভাতে কাটোয়া বিধানসভার ভোট কোন দিকে?




মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

দুদিন আগে বঙ্গ বিজেপির নির্বাচন কমিটির কর্মকর্তা মুকুল রায় বলেছিলেন উত্তরবঙ্গের দুই দফার ভোটপর্বে ৫ টি আসনের মধ্যে সবকটি আসনে বিজেপি জিতে গেছে।  এরেই মধ্যে শুরু হয়ে গেল চাপানউতোর। শনিবার কাটোয়ায় দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে এসে তৃনমূল যুবরাজ তথা ডায়মন্ডহারবারের বিদায়ী সাংসদ তথা এবারের প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়ে দিলেন - চলতি লোকসভা নির্বাচনে দুই দফার ৫ টি আসনেই তারাই অর্থাৎ তৃনমূল জিতে গেছে। শুধু তাই নয়, বাকি ৩৭ টিও জিততে চলেছে তৃনমূল। এককদম এগিয়ে অভিষেক বলেন - ২৩ শে মে বিজেপি ইহলোক ছেড়ে পরলোকে যাবে বিজেপি। সবাই বিজেপির শেষ যাত্রায় হরিবোল ধবনি তুলবে। ওই দিনই রাস্ট্রপতি ভবনে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ইস্তফাপত্র দেবেন।  শনিবার বিকেল ৩ টের দিকে কাটোয়া শহরে টাউনহল এথলেটিক্স মাঠে বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে আসেন তৃনমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সভা মঞ্চে তৃনমূল প্রার্থী সুনীল মন্ডল ছাড়াও স্থানীয় বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টপাধ্যায়,  মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, ভাতার বিধায়ক সুভাষ মন্ডল প্রমুখ      উপস্থিত ছিলেন । এদিন অভিষেক বলেন - "প্রথম ও দ্বিতীয় দফার ৫ টি আসনের ভোটে আমরা ৫ টাতেই জিতে রয়েছি। বাকি ৩৭ টি আসনেও বিজেপির দফারফা করব। আগামী ২৩ শে মে টিভির পর্দায় দেখবেন বিজেপি নেই, চারদিকে শুধুই তৃণমূল৷"গণনার দিনে প্রথম রাউন্ডেই ৫ হাজার ভোটে এগিয়ে যাবেন বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী বলেও আশস্ত করেন সভায় আগত কর্মী সমর্থকদের কে।উল্লেখ্য বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের অধীনে রয়েছে কাটোয়া বিধানসভা এলাকা। এই এলাকায় শাসকদল হিসাবে তৃনমূল ভালো জায়গায় নেই। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে সমগ্র কাটোয়া মহকুমা বিরোধীশুন্য হলেও দুশ্চিন্তায় ভুগছে শাসক শিবির৷ ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে হাজারের কাছাকাছি ভোটে জিতেন কংগ্রেস ছেড়ে আসা তৃনমূল প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ চট্টপাধ্যায়। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জাতীয় কংগ্রেস। আবার ২০১৫ সালে পুর নির্বাচনে কাটোয়ায় অর্ধেক আসন করে পেয়েছিল কংগ্রেস ও তৃনমূল। এমনকি দাঁইহাট পুরসভাটি সিপিএম এককভাবে জিতে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল রাজনীতি কারবারিদের কে। যদিও কাটোয়া ও দাঁইহাট পুরসভা দখল নেয় তৃণমূল।২০১৪ সালে কাটোয়া এলাকায় বিজেপির অলৌকিক ভোটব্যাংক বেড়ে যায়। এছাড়া শাসকদল হিসাবে তুণমুল চরম অন্তদ্বন্ধে রয়েছে  । কাটোয়া পুরসভা দখল করার ট্রাম্প কার্ড জঙ্গল সেখ গাঁজার মামলায় সপরিবার জেলে বন্দী। অভিযোগ দলের প্রভাবশালী নেতাদের ষড়যন্ত্রে শিকার সে। ঠিক এইরকম পেক্ষাপটে কাটোয়ায় তৃণমূলের এই মুহুর্তে নাম্বার টু খ্যাত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে দিয়ে সভা করিয়ে ভোট ব্যাংক অটুট রাখার চেষ্টা স্থানীয় তৃনমূলে। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, পূর্ব বর্ধমান কেন্দ্রের আওতায় থাকা কাটোয়া বিধানসভা এলাকায় এবার চতুর্মুখি লড়াই হবে। সেই হাওয়া বুঝে অভিষেক কে দিয়ে আজ সভা সারলো জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।                                                                                      

শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০১৯

খুনিদের কি স্বর্গরাজ্য মঙ্গলকোট


 মোল্লা জসিমউদ্দিন ,

  দু সপ্তাহের মধ্যেই ফের খুন  হল মঙ্গলকোটে৷ সেবারেও স্থানীয় থানার পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়ে পথ অবরোধ চালিয়েছিল এলাকাবাসী। এবারে আরও বেশি ক্ষুব্ধ রুপ নিয়ে প্রায় তিন ঘন্টা মঙ্গলকোটের নুতনহাট কাটোয়ার মত গুরত্বপূর্ণ সড়করুট অবরুদ্ধ করলো হাজারের কাছাকাছি এলাকাবাসী। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌছালো যে, ঘটনাস্থলে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ অবস্থা বেগতিক দেখে কাটোয়া থেকে শয়ে শয়ে র‍্যাফ নামায়। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,  মঙ্গলকোটের নুতনহাট কাটোয়া সড়ক রুটে থাকা নহাটা ক্যানেল সেতুর কাছে মাঠের পুকুর পাড়ে ইজল সেখ (১৭) নামে এক যুবকের ক্ষত বিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। নিহত ব্যক্তি কাটোয়ার শ্রীখন্ড গ্রামের দক্ষিণ পশ্চিম মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা হলেও খুনের ঘটনাস্থল টি হচ্ছে মঙ্গলকোটের বুঁইচি গ্রাম সংলগ্ন এলাকায়।শুক্রবার সকালের দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তি প্রথমে এই লাশ টি দেখতে পান। এরপরে দেহটি নুতনহাট কাটোয়া সড়ক পথে দেহ ফেলে আশেপাশে দশটি বারোটি গ্রামের হাজারের কাছাকাছি এলাকাবাসী পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখায়। মঙ্গলকোট থানার পুলিশ প্রথমে মৃদু লাঠিচার্জ করে অবরোধ হঠাতে গেলে এলাকাবাসী আরও উত্তেজিত হয়ে পড়ে। পুলিশ তখন অবস্থা বেগতিক দেখে কাটোয়া থেকে শয়ে শয়ে র‍্যাফ আনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। জানা গেছে, মৃত ব্যক্তি শ্রীখণ্ড বাসস্ট্যান্ড এলাকায়  লটারি বিক্রেতা ছিলেন।  গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার  রাতে বুঁইচি গ্রামে বাসিন্দা ভোলা ঘোষ তাকে ডেকে নিয়ে যায় বকেয়া ঋণ মিটিয়ে   দেওয়ার  জন্য।  রাত দেখেই খোঁজ মেলেনি শ্রীখণ্ড গ্রামের ইজল সেখের। আজ সকালে দেহ উদ্ধারে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে নিহতর পরিবার সহ স্থানীয় এলাকাবাসীরা। মূল অভিযুক্ত ভোলা ঘোষ ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা। পুলিশ অবশ্য তার খোঁজে বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে। উল্লেখ্য গত ৭ এপ্রিল মঙ্গলকোটের সরুলিয়া এলাকায় এক পশু চিকিৎসকের ছেলে কাজল পালের ক্ষত বিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সেবারেও পুলিশের নিস্ক্রিয়তায় এই খুন দাবি রেখে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ঘন্টা খানেক পথ অবরোধ চালিয়েছিল। সেই খুনের এখনও পর্যন্ত তদন্তের অগ্রগতি দেখাতে পারেনি মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। এরেই মাঝে আজকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে আরও জনরোষ দেখা গেল মঙ্গলকোটের বুকে। শুক্রবার  বিকেলে কাটোয়া   মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয় শ্রীখণ্ড গ্রামের খুন হওয়া ইজলে সেখের। এলাকা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য রয়েছে।                                                           

শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০১৯

পঞ্চায়েত ভোটের মতই লোকসভাতেও মঙ্গলকোটে 'ব্রাত' সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী

মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

মঙ্গলকোটের রাজনীতি বলয়ে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছেন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। তিনি শুধু এই বিধানসভা কেন্দ্রে বিধায়ক নন,  সেইসাথে রাজ্যের গুরত্বপূর্ণ একজন মন্ত্রীও। তাও তিনটি দপ্তরের। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে দলনেত্রীর নির্দেশ মঙ্গলকোটে লড়ে জিতলেও, বছর ঘুরতেই তিনি গুরত্বহীন হয়ে উঠলেন। তৎকালীন এই কেন্দ্রের ( বোলপুর)  সাংসদ অনুপম হাজরা কে নিয়ে স্বতন্ত্র বলয় গড়ার চেস্টা করেও তিনি পিছু হটেছেন। কখনো মঙ্গলকোটের আটঘড়ায় স্থানীয় দলীয় নেতাদের সৌজন্যে জুতো ঝাঁটা সহ অশ্রাব্য গালি শুনেছেন। আবার কখনও বা মঙ্গলকোট থানার সামনে পঞ্চায়েত সমিতির দুই কর্মাধ্যক্ষ এর হাতে কালো পতাকার মিছিল দেখেছেন। অপমানিত বোধ হয়ে কখনো সরকারী নিরাপত্তারক্ষী সাময়িক ছেড়ে হুশিয়ারী দিয়েছেন। আবার কখনও বা রাজ্য মন্ত্রীসভার পর্যালোচনা বৈঠকে গড়হাজির থেকে মনের চাপা অভিমান মুখ্যমন্ত্রী কে বোঝাবার চেস্টা করেছেন। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মঙ্গলকোটের ক্ষমতাসীন গ্রুপ কে লোকদেখানোর মতো পাশে পেলেও, ২০১৮ এর পঞ্চায়েত ভোটে কোন পাত্তাই পাননি সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। মঙ্গলকোটের পদিমপুর বাইপাসে ঘরভাড়া  নিয়ে বিধায়ক পরিষেবা কেন্দ্র করেও বিতাড়িত হয়েছেন এখান থেকে। টানা তিনবার থানার এককিমির মধ্যে থাকা এই অফিসঘরে বোমাবাজি সহ সশস্ত্র হামলার অভিযোগ উঠেছিল দলের ক্ষমতাসীন নেতাদের আশ্রিত দুস্কৃতিদের বিরুদ্ধে। রাজ্যের মন্ত্রী হয়েও কোন পুলিশি সক্রিয়তা দেখাতে পারেন নি। তাই ঘরমালিক দুহাত করজোড়ে অফিস তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেছেন।পঞ্চায়েত ভোটে আসনরফা নিয়ে দফায় দফায় তৃনমুলের শীর্ষ নেতৃত্বর সাথে বৈঠক করে ৩৪ টি দলীয় সিম্বল পেয়েও কোন অনুগামী কে ভোটের ময়দানে নামাতে পারেননি। এমনকি মঙ্গলকোটের পালিশগ্রামে এক মহিলা অনুগামী কে প্রকাশ্যে রাস্তায় শারীরিক নিগ্রহ করে  সশস্ত্র বাহিনী।কাটোয়া মহকুমাশাসক অফিসে মনোনয়নের ফর্ম তুলতে সিদ্দিকুল্লাহের আপন ভাইপোর মাথা ফাটে পুলিশের লাঠিতে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পঞ্চায়েত ভোটের দ্বিতীয় দফার মনোনয়ন তুলতে তিনি নিজে মঙ্গলকোটের পদিমপুরে এসেছিলেন। অভিযোগ, পুলিশ তাঁকে খুনের আশংকার কথা জানিয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করে। কুড়ির কাছাকাছি অনুগামীদের গাঁজার মামলায় শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে 'জমিয়ত উলেমা হিন্দ' এর জেলা কমিটি কে দিয়ে পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে স্মারকলিপিও দিয়েছেন তিনি। কেননা তিনি এই ধর্মীয় সংগঠনের রাজ্য সভাপতি। তাই পঞ্চায়েত ভোটে মঙ্গলকোটে শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে সরাসরি লড়েছিলেন তিনি। শুধু মঙ্গলকোট ব্লক নয়, সমগ্র কাটোয়া মহকুমা বিরোধী শুন্য হয়েছিল। নিন্দুকেরা বলেন - এই মহকুমার দলীয় পর্যবেক্ষক তথা বীরভূম জেলা তৃনমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের 'উন্নয়ন' ফর্মুলাতেই সবকিছু হয়েছিল। যদিও তৃণমূল নেতারা রাজ্য সরকারের কাজের নিরিখে বিরোধীশুন্য সাফল্য অর্জন করে বলে দাবি জানিয়েছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে কোন রাজনৈতিক সভা মিছিলে দেখা যায়নি মঙ্গলকোটের বুকে। লোকসভাতেও তাই হচ্ছে। নির্বাচনী বিধি চালুর কম বেশি একশো সভায় কোথাও দেখা যায়নি এলাকার শাসকদলের বিধায়ক কে। মঙ্গলকোটের রাজনীতি বলয়ে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছেন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। যদিও সিদ্দিকুল্লাহ সাহেব তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন অন্য কথা , তাঁকে নাকি তৃনমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব খুব গুরত্ব দেন। মালদায় নির্বাচনের প্রচারে শুভেন্দু অধিকারী তাঁকে পাশে বসিয়ে নন্দীগ্রাম আন্দ্রলোনে তাঁর ভূমিকায় প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তাঁকে দেখা যাচ্ছে।  তবে কেস্টর গড়ে বীরভূম জেলা সহ কাটোয়া মহকুমা সর্বপরি তাঁর নির্বাচনী ক্ষেত্র মঙ্গলকোটে কেন রাজনৈতিক প্রচারে দেখা যাচ্ছেনা। তার সদুত্তর অবশ্য  মেলেনি সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর শিবির থেকে।                                                                                                                                                                   

বুধবার, এপ্রিল ১৭, ২০১৯

মেরে হাত পা ভেঙে দিন, তারপর আমরা দেখব - কেস্টর নিদান

কৌশিক  গাঙ্গুলি ,

আবারও আক্রমনাত্মক অনুব্রত মন্ডল,  এবার তিনি বিরোধীদের নাম না করে তাদেরকে চোর বলে কটাক্ষ করলেন, নির্দেশ দিলেন "গ্রামে শহরে চোর ঢুকছে, চোর ঢুকলে ছারবেন না, মেরে হাত পা ভেঙে দিন।তারপর আমরা দেখবো"।

আজ বীরভূমের রাজনগরে একটি জনসভা করেন অনুব্রত মন্ডল এছাড়াও সিউড়ি শহরে একটি হুড খোলা গাড়ি তে করে মিছিল করেন তিনি।। আর এই সভা আর রোড শো এর পর তিনি বিরোধীদের আক্রমন করেন।। তিনি বলেন,  গ্রামে শহরে সন্ধ্যে রাত্রে চোর ঢুকছে সেই চোর দের মেরে হাত পা ভেঙে দেবেন।।  যদিও,  চোরের সরাসরি তিনি কনো বিশ্লেষন দেন নি।। তিনি সাংবাদিক দের প্রশ্নের উত্তরেও বলেন,  চোর যদি কনো এলাকায় ঢোকে তাহলে মানুষ ছেরে দেবে?  ভাবছেন কি খুব শ্রীর্ঘই দেখবেন শুরু হয়ে যাবে ভাঙাভাঙি।।  তাছড়াও,  সাংবাদিক রা প্রশ্ন করেন যে চোর আটকাতে যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী যদি পাহাড়া দেয়?  তখন অনুব্রত বাবু বলেন যে, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরেপেক্ষ ভোট করাতে এসেছে যদি দালালি করে মানুষ দালালি ছাড়িয়ে দেবে।।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER