বুধবার, মে ১৫, ২০১৯

ভোটের ফলাফল ঘোষণা অবধি কর্মবিরতি চলতে পারে আইনজীবীদের?




মোল্লা  জসিমউদ্দিন, 

মঙ্গলবার  দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধানবিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে হাওড়া কান্ডে স্বতঃস্ফূর্ত মামলার দ্বিতীয় শুনানি ছিল। তবে প্রধান বিচারপতি অনুপস্থিত থাকার কারণে এই মামলার শুনানি হয়নি। আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার দুপুরে ফের শুনানি হবে বলে হাইকোর্ট সুত্রে প্রকাশ। সোম ও মঙ্গলবার শুনানির কথা থাকলেও প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতিতে তা হয়নি। মঙ্গলবারই ' বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল' এর দ্বিতীয় দফার কর্মবিরতি পর্ব শেষ হয়। তাই তৃতীয় পর্যায়ে সারা রাজ্য জুড়ে আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলবে কিনা, সেই বিষয়ে কর্মসমিতির বৈঠক টি হয়  সিটি সিভিল কোর্টের ষষ্ঠ তলায় বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর অফিসে। সেখানে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ঘোষণা করে সারা রাজ্যে আদালত গুলিত   আগামী ২১ মে অবধি কর্মবিরতি বহাল থাকছে। অর্থাৎ ২৩ শে মে এর আগে এই অচলাবস্থা কাটাবার কোন আশা দেখছেনরা আইনজীবিদের বড় অংশ।                বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর      বর্তমান সদস্য তথা কলকাতা হাইকোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী আনসার মন্ডল বলেন - " শুনানিতে অংশগ্রহণ পরবর্তী বৈঠকে আমরা ঘোষণা করবো কর্মবিরতি নিয়ে কি করা যায়?  সেই বিষয়ে "।   অপরদিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সদর দপ্তরে গত সোমবার দুপুরে কলকাতার আলিপুর আদালতে আইনজীবীরা  স্মারকলিপি দিতে যান ।ক্ষুব্ধ আইনজীবীরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে হাওড়া জেলা আদালতে আইনজীবীদের উপর পুলিশি সন্ত্রাস করা পুলিশ আধিকারিকদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনার  আশ্বাস দিয়েছেন বিষয়টি খতিয়ে দেখার বলে আইনজীবীরা দাবি করেছেন   । উল্লেখ্য লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা থেকে নুতন সরকার গঠন অবধি  দেশের সমস্ত পুলিশ - প্রশাসনের আধিকারিকরা নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকেন। তাই নির্বাচনী বিধি চালুর মাঝে এই স্বতন্ত্র দপ্তর যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণও করতে পারে।অভিযুক্ত পুলিশ অফিসাররা এখন কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের আওতায় রয়েছেন।    ভারতীয় সংবিধান ব্যবস্থাগ্রহণের ক্ষমতা কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন কে দিয়েছে। তাই আইনজীবীরা কলকাতা হাইকোর্টের স্বতঃস্ফূর্ত মামলায় যেমন অংশগ্রহণ করেছেন। ঠিক তেমনি রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান রাজ্যপালের কাছেও দারস্থ হয়েছেন। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে হাওড়া কান্ডের গুরত্ব বহুগুণ বাড়িয়ে দিলেন আইনজীবীরা বলে মনে করছে ওয়াকিবহালমহল।একাধারে কলকাতা হাইকোর্টে হাওড়া কান্ডে স্বতঃস্ফূর্ত মামলাগ্রহণ যেমন সেদিনের অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের দুশ্চিন্তা  বাড়িয়েছে। ঠিক তেমনি নির্বাচন কমিশনেও আইনজীবীরা  লিখিত অভিযোগ জানিয়ে সেই দুশ্চিন্তার কালো মেঘ কে আরও বেশি ঘনীভূত করলো। ইতিমধ্যেই সারারাজ্য জুড়ে আইনজীবীদের কর্মবিরতির সময়সীমা কুড়িদিন পার করেছে। সেখানে বিভিন্ন মহকুমা / জেলা সংশোধনগারে বিচারধীন বন্দি রাখার বিষয়ে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। হাওড়া জেলা সংশোধনাগারে ইতিমধ্যেই ধারণ ক্ষমতার বেশি বিচারধীন বন্দি রয়েছে বলে প্রকাশ । বিভিন্ন আদালতে জামিন প্রক্রিয়া চালু না হলে এই সমস্যা রাজ্যের প্রায় সংশোধনাগারে  বড় সমস্যা তৈরি  করবে বলে প্রশাসনিক কর্তারা অনুমান করছেন। বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল সারারাজ্যে আইনজীবীদের কর্মবিরতির মেয়াদ  ২১ মে অবধি বাড়াবার ঘোষণা করেছে।তাহলে  সাতাশ দিন রাজ্যস্তরের আদালত গুলিতে  আইনজীবীদের কর্মবিরতি   চলেছে বা চলবে। যা ২০০২ সালে স্ট্যাম্প ফি বিষয়ে আইনজীবীদের  রাজ্যস্তরের বাইশ দিনের কর্মবিরতির রেকর্ড কে ভাঙলো। কলকাতা হাইকোর্টে কর্মবিরতির সর্বাধিক মেয়াদ ৭১ দিন থাকলেও রাজ্যস্তরে ২০০২ সালে স্ট্যাম্প ফি নিয়ে ২২ দিনের রেকর্ড টি হয়েছি।। সেই রেকর্ড ভেঙে দিল হাওড়া জেলা আদালতে গাড়ী রাখা নিয়ে আইনজীবীদের উপর পুলিশি সন্ত্রাসের ঘটনা টি। আগামী ২৩ শে মে লোকসভার ফলাফল ঘোষণার দিন, তাই তৃতীয় পর্যায়ে কর্মবিরতির মেয়াদ ২১ মে অবধি বহাল থাকায় অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন তাহলে কি নুতন কেন্দ্রীয় সরকার দেখা অবধি চলবে উকিলবাবুদের কর্মবিরতি?                                                                                                                                                                                                                                                   

আর্থিক কেলেংকারী কাটোয়ার এক ব্যাংকে?

মোল্লা  জসিমউদ্দিন ,

সর্ষের মধ্যেই ভূত রয়েছে! হ্যা কাটোয়া শহরে এক বেসরকারি ব্যাংকে কোটি টাকার আর্থিক কেলেংকারী করে বেপাত্তা সদ্য প্রাক্তন ডেপুটি ম্যানেজার। দুর্নীতির বিষয় প্রকাশ্যে আসতেই শয়ে শয়ে গ্রাহক ক্ষোভ দেখাচ্ছেন ব্যাংকের অন্দরে - বাইরে। কাটোয়া শহরে এক বেসরকারি ব্যাংকে কার্তিকচন্দ্র ভদ্র , কল্পনা সাধু প্রমুখ গ্রাহকেরা অভিযোগ তুলে জানান - "গত কয়েক মাস পূর্বে আমরা এই ব্যাংকে ক্যারেন্ট একাউন্ট, ফিক্সড  ডিপোজিট, রেকারিং করেছি, আমাদের রশিদও দেওয়া হয়েছে। অর্থ জমা পরবর্তী সময়ে ব্যাংকে এসে জানতে পারি ব্যাংকের ওই রশিদগুলি জাল"।ব্যাংক সুত্রে প্রকাশ, গত দুমাস আগে কাটোয়া শাখার ডেপুটি ম্যানেজার সুশান্ত কর্মকার বদলী হয়ে গেছেন, তার সময়ে এই গুলি ঘটেছে। বিষয়টি ব্যাংকের প্রধান শাখা সহ জেলার প্রশাসনিক কর্তা কে অবগত করানো হয়েছে।  অভিযুক্ত ডেপুটি ম্যানেজার এর সাথে যোগাযোগ করার চেস্টা করা হলে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। গত সোমবার ও আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার প্রতারিত গ্রাহকরা এসেছিলেন কাটোয়ার এই বেসরকারি ব্যাংকে অভিযোগ জানাতে। কেউ কেউ বলছেন, এই বিশাল আর্থিক কেলেংকারী টি  ওই অভিযুক্ত ডেপুটি ম্যানেজারের পক্ষে একা সম্ভব হয়নি। ব্যাংকে আরও অনেকেই যুক্ত থাকতে পারে। কাটোয়া থানার পুলিশ অবশ্য এই ঘটনার উপর নজর রাখছে বলে জানা গেছে।                                                                     

সতীপীঠ খ্যাত কেতুগ্রামের মন্দিরে চুরি

মোল্লা জসিমউদ্দিন।,

চুরির হাত থেকে রক্ষা পেলনা সতীপীঠ খ্যাত কেতুগ্রামের অট্টহাস মন্দির।শুধু এই প্রথম নয়, এর আগে তিনবার চলেছে চোরেদের চুরি। পুলিশ ক্যাম্প বসেও ছিল, তবে লোকসভা নির্বাচনে ডিউটি পড়াতে পুলিশ না থাকায় ফের চুরির ঘটনা ঘটলো এখানে। গত সোমবার গভীর রাতে মন্দিরের দরজা ভেঙে এক ভয়াবহ চুরির ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সাধারণ মানুষ ও মন্দির সূত্রে জানা প্রকাশ,  প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার গহনা নিয়ে চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। কেতুগ্রাম থানার পুলিশ চুরির ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে। মঙ্গলবার সকালে মন্দিরের লোকজনেরা এসে দেখতে পান মন্দিরের মেন দরজা খোলা। জিনিসপত্র সব লন্ডভন্ড হয়ে রয়েছে এবং দেখতে পাওয়া যায় যে মায়ের মূর্তি থেকে তিন লক্ষাধিক টাকার সোনার গহনা উধাও।মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কেতুগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।অথচ এই সতীপীঠ অট্টহাস ঘিরে পর্যটন দপ্তরের আর্থিক সহযোগিতায় ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু হয়েছে। প্রায় দেড় থেকে দুই কোটি টাকার কাজ হচ্ছে এই মন্দিরে। এই ধরনের চুরির ঘটনা ঘিরে এলাকার মানুষ হতবাক। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি দ্রুত মন্দির চুরির ঘটনার তদন্ত হোক এবং প্রকৃত দোষীদের ধরা পড়ুক।মন্দির চুরির ঘটনাতে দ্রুত চোরেদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হবে বলে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। চুরির ঘটনা ঘিরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।অথচ এই মন্দিরে প্রতিদিন বহু পর্যটক সতীপীঠ পরিদর্শন করতে আসেন। তাই এলাকার গুরুত্ব অনেকটাই বেড়েছে, পরিবর্তন ঘটেছে এলাকার অর্থনৈতিক ব্যবস্থারও ।ঠিক এইরকম পেক্ষাপটে বারবার চুরির ঘটনায় মন্দিরের ভাবমূর্তি কমছে দর্শনপ্রার্থীদের কাছে। পর্যটন বাড়াবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও আইনশৃঙ্খলা অবনতি হওয়ায় পর্যটকদের মধ্যে বহুগুণ  নিরাপত্তাহীনতা বাড়িয়ে দিচ্ছে এইবিধ ধারাবাহিক চুরির ঘটনা গুলি।           

ক্ষীরগ্রামে যোগাদ্যায় পুজো

আমিরুল  ইসলাম ,

মঙ্গলকোটের ক্ষীরোগ্রামে মা যোগাদ্যা পূজা হল মহা ধুমধামে।

51 পিঠের এক পিঠ রয়েছে মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রাম। প্রতি বছর 31 শে বৈশাখ ভোর চারটার সময় মা যোগাদ্যা ক্ষীর পুকুর থেকে উঠে মায়ের মন্দিরে আসে। সারাদিন ধরে চলে পূজা পাঠ এর পর পহেলা জ্যৈষ্ঠ ভোর চারটের সময় পুনরায় ক্ষীর পুকুরের মন্দিরে ফিরে যায়। তারপর ফের  চৌঠা জ্যৈষ্ঠ বৈকাল চারটে সময় পুনরায় মন্দিরে আসেন মা।  তারপর চলে পুজোপাঠ পুনরায় গভীর রাত্রে  ফিরে ফিরে যায় ক্ষীর পুকুরের মন্দিরে। এই ভাবেই কয়েক হাজার বছর ধরে হয়ে আসছে মা জগদ্ধাত্রী পুজো। এই পূজা উপলক্ষে 10 দিন ধরে বসে মেলা ।পাশাপাশি নানান ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়।এবছর প্রায় কুড়ি হাজার ভক্ত এসেছেন মায়ের পূজা দিতে।

দুজন মারা পড়লো ভাতারে পথদুর্ঘটনায়

আমিরুল  ইসলাম ,

পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার ব্লকের বেলেন্ডা বাসস্ট্যান্ডের কাছে ভয়াবহ পথদুর্ঘটনায় মারা গেলো দুইজন আদিবাসী যুবক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর ভাতার গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলেন্ডা গ্রামের দুই আদিবাসী কিশোর যাদের নাম রাজু কোঁড়া, বয়স 21 বছর ও মাখন কোঁড়া বয়স 17 এদের দুজনেরই বাড়ি বেলেন্ডা গ্রামের কোঁড়া পাড়ায়। মাখন কোঁড়া এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ছাত্র সে বলরামপুরের একটি মিশনের ছাত্র। গ্রীষ্মের ছুটিতে বাড়ি এসেছে বেড়াতে। আজ সকাল 10 টায় তার মামাতো ভাই রাজু কোঁড়ার সঙ্গে ভাতার বাজার যাবে বলে বাড়ি থেকে বের হয় মোটরসাইকেল নিয়ে।রাজু কোঁড়া বিবাহিত, তার বিয়ে হয়েছে 1 বছর। তার স্ত্রী রিতা কোঁড়া পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

ভাতার বাজারে কাজ সেরে , বাড়ি ফেরার সময় বেলেন্ডা গ্রামের বাসস্ট্যান্ডে তারা একটু দাঁড়ায়। এমন সময় বর্ধমান - কাটোয়া রোডে কাটোয়া থেকে বর্ধমান অভিমুখে যাওয়া একটি 10 টাকা লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের দুজনকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলে মারা যায় রাজু কোঁড়া। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাদেরকে উদ্ধার করে ভাতার হসপিটাল নিয়ে যায় হসপিটালের ডাক্তারবাবুরা দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করে ।

এই খবর গ্রামে আসা মাত্রই শোকের ছায়া নেমে আসে বেলেন্ডা গ্রামে। ভাতার  থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ।ঘাতক লরিটাকে আটক করেছে ভাতার থানার পুলিশ। পাশাপাশি ওই গাড়িতে থাকা এক ব্যক্তিকে অ্যারেস্ট করেছে। তার নাম ও পরিচয় এখনো জানা যায়নি, জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

ভাতার থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে পাঠিয়েছেন  পোস্টমাডাম এর জন্য ।সমগ্র ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই মুহূর্তে গ্রামে শোকের ছায়া নেমেছে ।

স্বনির্ভর গ্রুপের মহিলাদের বৈঠক হল মঙ্গলকোটে

মঙ্গলবার দুপুরে মঙ্গলকোট ব্লক অফিসে দোতলায়  স্বয়ংবর গোষ্ঠীর মহিলাদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক চললো। পূর্ব বর্ধমান জেলার অধীনে মঙ্গলকোট ব্লকে আজ বিশেষ বৈঠকটি  অনুষ্ঠিত হয়,এক স্বয়ংবর গোষ্ঠীর মহিলাদের নিয়ে।মঙ্গলকোট ব্লক এর পনেরোটি অঞ্চলের স্বনির্ভর গ্রুপের মহিলাদের   নিয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার এমআইএস ব্রজ ঘোষ, মঙ্গলকোট ব্লক এর ডাবলুডিও কাজি আমিন উদ্দিন, মঙ্গলকোট ব্লক ডিএলডি. সাবিনা ইয়াসমিন।জানা গেছে  বর্তমানে স্বয়ংবর গোষ্ঠী গুলো কিভাবে কাজ করছে এবং পরবর্তীতে তাদের কি কি চাহিদা রয়েছে সেই সমস্ত অভাব অভিযোগ ও চাহিদা কি?  এই বিষয়ে আজ এখানে আলোচনা চলে  ।পাশাপাশি স্বয়ংবর গোষ্ঠীর মহিলাদের কে কিভাবে আরো স্বনির্ভর করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয় এদিন।

মঙ্গলবার, মে ১৪, ২০১৯

হাওড়া আদালত কান্ডে নয়া মোড়, কমিশনের দারস্থ আইনজীবীরা



মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

সোমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধানবিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে হাওড়া কান্ডে স্বতঃস্ফূর্ত মামলার দ্বিতীয় শুনানি ছিল। তবে প্রধান বিচারপতি অনুপস্থিত থাকার কারণে এই মামলার শুনানি হয়নি। আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার দুপুরে ফের শুনানি হবে বলে হাইকোর্ট সুত্রে প্রকাশ। মঙ্গলবারই ' বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল' এর দ্বিতীয় দফার কর্মবিরতি পর্ব শেষ হচ্ছে। তাই তৃতীয় পর্যায়ে সারা রাজ্য জুড়ে আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলবে কিনা, সেই বিষয়ে কর্মসমিতির বৈঠক হচ্ছে সিটি সিভিল কোর্টের ষষ্ঠ তলায় বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর অফিসে। বর্তমান সদস্য তথা কলকাতা হাইকোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী আনসার মন্ডল বলেন - "দ্বিতীয় শুনানিতে অংশগ্রহণ পরবর্তী বৈঠকে আমরা ঘোষণা করবো কর্মবিরতি নিয়ে কি করা যায়?  সেই বিষয়ে "।     অপরদিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সদর দপ্তরে সোমবার দুপুরে কলকাতার আলিপুর আদালতে আইনজীবীরা যান স্মারকলিপি দিতে।ক্ষুব্ধ আইনজীবীরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে হাওড়া জেলা আদালতে আইনজীবীদের উপর পুলিশি সন্ত্রাস করা পুলিশ আধিকারিকদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনার অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন বিষয়টি খতিয়ে দেখার। উল্লেখ্য লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা থেকে নুতন সরকার গঠন অবধি  দেশের সমস্ত পুলিশ - প্রশাসনের আধিকারিকরা নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকেন। তাই নির্বাচনী বিধি চালুর মাঝে এই স্বতন্ত্র দপ্তর যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণও করতে পারে। ভারতীয় সংবিধান এই ক্ষমতা নির্বাচন কমিশন কে দিয়েছে। তাই আইনজীবীরা কলকাতা হাইকোর্টের স্বতঃস্ফূর্ত মামলায় যেমন অংশগ্রহণ করেছেন। ঠিক তেমনি রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান রাজ্যপালের কাছেও দারস্থ হয়েছেন। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে হাওড়া কান্ডের গুরত্ব বহুগুণ বাড়িয়ে দিলেন আইনজীবীরা বলে মনে করছে ওয়াকিবহালমহল।একাধারে কলকাতা হাইকোর্টে হাওড়া কান্ডে স্বতঃস্ফূর্ত মামলাগ্রহণ যেমন সেদিনের অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের দুশ্চিন্তা  বাড়িয়েছে। ঠিক তেমনি নির্বাচন কমিশনেও লিখিত অভিযোগ জানিয়ে সেই দুশ্চিন্তার কালো মেঘ কে আরও বেশি ঘনীভূত করা হল। ইতিমধ্যেই সারারাজ্য জুড়ে আইনজীবীদের কর্মবিরতির সময়সীমা কুড়িদিনে পৌছেছে। সেখানে বিভিন্ন মহকুমা / জেলা সংশোধনগারে বিচারধীন বন্দি রাখার বিষয়ে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। হাওড়া জেলা সংশোধনাগারে ইতিমধ্যেই ধারণ ক্ষমতার বেশি বিচারধীন বন্দি রয়েছে। বিভিন্ন আদালতে জামিন প্রক্রিয়া চালু না হলে এই সমস্যা রাজ্যের প্রায় সংশোধনাগারে  তৈরি হবে বলে প্রশাসনিক কর্তারা অনুমান করছেন। বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল সারারাজ্যে আইনজীবীদের কর্মবিরতির মেয়াদ অন্তত ২২ মে অবধি বাড়াবার ঘোষণা করতেও পারে বলে বিশেষ সুত্রে জানা গেছে। তাহলে টানা কুড়িদিনের সাথে আরও আটদিন যুক্ত হতে চলেছে। অর্থাৎ পুরোপুরি রাজ্যস্তরের আদালত গুলিতে   কর্মবিরতি একমাস হতে চলেছে। যা ২০০২ সালে স্ট্যাম্প ফি বিষয়ে আইনজীবীদের  বাইশ দিনের কর্মবিরতির রেকর্ড ভাঙতে পারে।                                                                                                                                                                                                                   

সোমবার, মে ১৩, ২০১৯

কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বেঞ্চে আজ হাওড়া কান্ডে দ্বিতীয় শুনানি


মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

আজ অর্থাৎ সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে বহু চর্চিত 'হাওড়া আদালত কান্ড' নিয়ে শুনানি রয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। এই বেঞ্চের অর্ডারের দিকে তাকিয়ে আইনজীবীমহল। শুধু তাই নয় সমগ্র রাজ্যের বিচারপ্রার্থীরাও মুখিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দিকে। টানা ১৬ দিন চলছে রাজ্যের সব আদালতে আইনজীবীদের কর্মবিরতি। এতে আইনজীবিদের পেশাগত আয়ে যেমন টান পড়েছে। ঠিক তেমনি আবার বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যেসব অভিযুক্তেরা  জেল কিংবা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে, তাছাড়া যাদের মামলার রায়দান গত দু'সপ্তাহের মধ্যে ছিল। তাদেরও হয়রানি ক্রমশ বাড়ছে আইনজীবীদের এই কর্মবিরতির ফলে    । এই দুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে ওয়াকিবহালমহল মনে করছে। কেননা 'বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল' এর ঘোষিত কর্মবিরতি আগামী ১৪ মে অবধি থাকলেও সেটা আরও বর্ধিত হতে পারে। কেননা গত ২৪ এপ্রিল হাওড়া আদালত কান্ডে নাম জড়িয়েছে চার আইপিএসের। এদের মধ্যে আবার পুলিশ কমিশনারও রয়েছেন! তাই আইপিএসদের বিরুদ্ধে শাস্তিদানের দাবিতে সরব আইনজীবীরা যতদিন না আদালতে অর্ডার পাবেন। ততদিন আন্দ্রোলনে 'শেষ অস্ত্র' কর্মবিরতির ব্যবহার চলবে বলে মনে করা হচ্ছে    । উল্টো দিকে রাজ্যের পক্ষে এডভোকেট জেনারেল তিনিও অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ নিয়ে সরব হবেন এজলাসে। গত ৮ মে এই মামলার প্রথম শুনানিতে তার ইংগিত তিনি দিয়েছেন অবশ্য। হাওড়া আদালতের বার এসোসিয়েশন চার আইপিএসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেও সেদিন এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত কোন নিদিষ্ট আবেদন পেশ হয়নি বলে সওয়াল করেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে  ।  এরেই মাঝে 'বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল' এর প্রতিনিধিরা রাজ্যের আইনমন্ত্রীর সাথে হাওড়া আদালত কান্ড নিয়ে আলোচনা  করেছেন। সেখানে নাকি আইনমন্ত্রী অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। উল্লেখ্য গত ২৪ এপ্রিল হাওড়া জেলা আদালতে গাড়ী রাখা নিয়ে আইনজীবীদের উপর পুলিশ ব্যাপক মারধর চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। সেদিন বেলা দশটা থেকে রাত সাতটা পর্যন্ত অর্থাৎ টানা নয় ঘন্টা তান্ডবলীলা চলে। ঘটনায় ২৬ জন আইনজীবী আহত হন। ঘটনার সময় পুলিশের তরফে টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ উঠে।         ঘটনার প্রায় অংশ বিভিন্ন বৈদ্যতিন সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিত হয়। এই দেখে ঘটনার পরের দিন ২৫ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের তরফে হাওড়া জেলাজজের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়। এবং সেইসাথে হাওড়া পুলিশ কমিশনার, পুরসভা, স্থানীয় থানার পুলিশ এর কাছেও রিপোর্ট চাওয়া হয়। এরেই মাঝে অবশ্য 'বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল' এর প্রতিনিধিরা হাওড়া জেলা আদালতে বার এসোসিয়েশন সহ জেলাজজের কাছে ঘটনার বিবরণ নেন এবং আহত আইনজীবীদের চিকিৎসার জন্য কুড়ি হাজার টাকা দেওয়া হয়। বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের জোনাল জাস্টিস সহ পাঁচ জন বিচারপতি হাওড়া আদালতে আইনজীবী সহ জেলাজজের কাছে রিপোর্ট নেন। গত ২৯ এপ্রিল হাওড়া জেলাজজ, হাওড়া পুলিশ কমিশনার, পুরসভা, থানা সহ পাঁচজন বিচারপতির পর্যবেক্ষণ জানার পর প্রধান বিচারপতি স্বতঃস্ফূর্ত মামলার নির্দেশ দেন। এই মামলার প্রথম শুনানি ছিল গত ৮ মে। সেখানে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ  রাজ্য বার কাউন্সিল কে মামলায় যুক্ত হবার নির্দেশ দেন। সেইসাথে ১৩ মে এর মধ্যে হলফনামা পেশের নির্দেশিকাও থাকে। হাওড়া জেলা বার এসোসিয়েশন কেও গত ১০ মে এর মধ্যে হলফনামা পেশের নির্দেশিকা ছিল। রাজ্যের পক্ষে এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত প্রথম শুনানিতে হাজির হয়েই আইপিএসদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট আবেদন পেশ হয়নি বলে সওয়াল করেন। জানা গেছে, এই মামলার দ্বিতীয় শুনানিতে অর্থাৎ আজ সোমবার দুপুরে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর পক্ষে চারজন আইনজীবী সওয়াল করবেন, অনুরুপভাবে হাওড়া বার এসোসিয়েশন এর পক্ষে চারজন আইনজীবী সওয়াল চালাবেন। রাজ্যের পক্ষে এডভোকেট জেনারেল থাকছেন। এছাড়া সর্দার আমজাদ আলী, অরুণাভ ঘোষের মত দুঁদে আইনজীবীদের দেখা যেতে পারে সওয়াল জবাব পর্বে। ইতিমধ্যেই পুলিশ ও আইনজীবীদের তরফে ঘটনার দিনে ভিডিওগ্রাফি জমা পড়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। এই  মামলায় 'বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলঃ এর চার প্রতিনিধির মধ্যে থাকা বর্ষীয়ান আইনজীবী আনসার মন্ডল বলেন - "আমরা ঘটনাস্থল ঘুরেছি, আক্রান্তদের সাথে কথা বলেছি,সেইসব কথাগুলিই মহামান্য প্রধান বিচারপতির এজলাসে বলতে চাই। "                                                                                                                                                                                                                                                                                              

রবিবার, মে ১২, ২০১৯

নুসরাত এর সমর্থনে প্রচার সারলেন মুখ্যমন্ত্রী

সৈয়দ রেজওয়ানুল  হাবিব ,

"আমি ব্যক্তিগতভাবে ও আদর্শগত ভাবে নরেন্দ্র মোদী কে পছন্দ করিনা । কিন্তু রাজ্যের মানুষের স্বার্থের দিকে তাকিয়ে 2014 সাল থেকে 2017 সাল পর্যন্ত বন্যার সময় আটবার গিয়েছি বাংলার মানুষের সাহায্যের জন্য । কিন্তু মোদী বাবু আমাকে একটা টাকাও সাহায্য করেনি। কয়েকদিন আগে যখন প্রাকৃতিক বিপর্যয় ফণী ফনা তুলতে আসছিল এই বাংলায়। আমি তখন যেখান দিয়ে ফণী ঢোকার কথা সেখানে রাত জেগে বলেছিলাম মানুষ কে পাহারা দেওয়ার জন্য । ফণী তে মানুষের প্রাণ যাওয়ার আগে যেন আমার প্রাণ আগে যায়। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী ওই সময় নির্বাচনের মিটিং এ ব্যস্ত ।"---- শনিবার দুপুরে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী নুসরত জাহানের সমর্থনে হাড়োয়া সার্কাস ময়দানে জনসভা করতে এসে এই কথাই বললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এদিনের সভায় মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, দমকল মন্ত্রী সুজিৎ বসু,বিধায়ক হাজী নুরুল ইসলাম, বিধায়ক উষা মন্ডল, বিধায়ক রহিমা মন্ডল সহ অনেকেই । এদিন হাড়োয়ায় প্রচার সভা থেকে ফের মোদীকে কে তুলোধনা করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারকা প্রার্থী নুসরত জাহানের প্রচারে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন বসিরহাটে দাঙ্গা বাঁধিয়েছিল বিএসএফ।
বহিরাহতদের ঢুকিয়ে দাঙ্গা লাগানো হয়েছিল সেখানে। বসিরহাটের মানু্ষ দাঙ্গা করেননি বলে দাবি তাঁর। বিএসএফ কেন্দ্রের কথা মতো কাজ করে। আর কেন্দ্রে রয়েছে বিজেপি সরকার। যাঁদের কাজই দাঙ্গা লাগানো বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
গত পাঁচ বছরে কোনও কাজের হিসেব প্রধানমন্ত্রী দেননি। এই পাচ বছরে সবচেয়ে বেশি বঞ্চনার শিকার হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। নাম বদল নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত আটকে রেখেছে। ফণী নিয়ে মোদী যে দাবি করেছেন তা একেবারেই মিথ্যে বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূলনেত্রী। কলাইকুণ্ডায় ফণীর ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে যে বৈঠক মোদী ডেকেছিলেন তাতে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ডাকা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে ডাকা হয়নি। আর অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ফোন তোলেননি। একের পর এক মিথ্যে কথা বলে যাচ্ছে মোদী বাবু।

৭ নং রাজ্য সড়কের মধ্যে থাকা মঙ্গলকোটে বাস ডিপোর দাবি

 

মোল্লা জসিমউদ্দিন ,

কাটোয়া পুরসভার ভাড়া দেওয়া জমিতেই গড়ে উঠতে চলেছে  এসএসবিএসটিসি এর বাসডিপো। গত শুক্রবার কাটোয়ার যাজিগ্রামে পুরসভার জমি পরিদর্শন করেন স্বাগত স্যান্যালের নেতৃত্বে দুই ইঞ্জিনিয়ার সহ চারসদস্যের এসবিএসটিসি এর এক প্রতিনিধি দল। প্রস্তাবিত জমি ঘুরে দেখে কিভাবে ডিপো গড়ে উঠবে তা নিয়েও নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন আধিকারিকরা। জমি দেখে সন্তষ্ট হন এসবিএসটিসি এর আধিকারিকরা। এসবিএসটিসি এর এক আধিকারিক স্বাগত স্যান্যাল জানান - " আমরা জমি দেখলাম। এরপর কিভাবে ডিপো তৈরির কাজ শুরু হবে তা নিয়ে পরবর্তীকালে আমরা বৈঠক করে কাজ শুরু করতে চাই।" এসবিএসটিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়া শহরে ডিপো তৈরির জন্য অনেকদিন আগে থেকেই চিন্তাভাবন শুরু করে নিগম। তারপরে ঠিক হয় কাটোয়া শহর থেকে প্রায় আড়াই  কিমি দুরে কাটোয়া-বর্ধমান রোডের পাশেই পুরসভার যে জমি আছে সেখানেই ডিপো তৈরি হবে। এরপরেই বাস নিগম থেকে স্থানীয় পুরসভাকে জানানো হয়। পুরসভা ঠিক করে ৩ একর জমি ভাড়ার বিনিময়ে এসবিএসটিসি কে ডিপো তৈরির জন্য দেওয়া হবে। এ বিষয়ে কাটোয়া পুরসভার চেয়ারম্যান তথা এলাকার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধায় জানিয়েছেন -   আমরা ভাড়া হিসাবে এসবিএসটিসিকে ওই জমি দেব ডিপো তৈরির জন্য। ডিপো হলে কাটোয়ার বাসিন্দাদের সুবিধাই হবে। জানা গেছে,  এই মুহুর্তে কাটোয়া শহরের উপর দিয়ে এসবিএসটিসির মোট ৫টি গাড়ি যাতায়াত করে  থাকে।মুর্শিদাবাদের সালার থেকে সৈকত শহর  দীঘা ভায়া কাটোয়া, চাকটা থেকে কোলকাতা ভায়া কাটোয়া, হাড়োয়া থেকে তারাপীঠ ভায়া কাটোয়া, রাজনগর থেকে বর্ধমান ভায়া কাটোয়া এবং কাটোয়া থেকে দুর্গাপুর ভায়া বোলপুর। এই পাঁচটি গাড়িই সারাদিন ধরে কাটোয়া শহরের উপর দিয়ে যাতায়াত করে প্রত্যেহ। তবে কাটোয়াতে ডিপো তৈরি হলে আরও গাড়ির সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে জানান বাস নিগম কর্তারা।তবে কাটোয়ায় প্রস্তাবিত  বাস ডিপো ঘিরে প্রশ্নচিহ্ন দেখা গেছে। এই মুহূর্তে রাজ্যের সবথেকে ব্যস্ততম সড়করুট হিসাবে পরিচিত ৭ নং রাজ্য সড়ক। যেটি উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের শর্টকাট রুট হিসাবে পরিচিত। কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গের কয়েকশো গাড়ি এই রুট ধরে যাতায়াত করে থাকে। পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের উপর দিয়ে যাচ্ছে এই সড়কপথ। রাজ্যসরকারের শতাধিক ননএসি /এসি স্টেটবাস যাতায়াত করে থাকে। সেখানে বর্ধমান শহরে এবং বহরমপুর ছাড়া বাস ডিপো নেই বললেই চলে। যদিও অন্য সড়কপথে দুর্গাপুর - সিউড়িতে অবশ্য রয়েছে ডিপো। সেক্ষেত্রে কাটোয়া শহরের প্রস্তাবিত এই বাস ডিপো থেকে ফুটিসাঁকো প্রায় ২০ কিমি দূরে অবস্থান করবে এই প্রস্তাবিত ডিপো টি।  যেখানে ৭ নং রাজ্য সড়করুটে শয়ে শয়ে স্টেটবাস চলছে, সেখানে মাত্র ৫ টি স্টেটবাসের জন্য কাটোয়ায় ডিপো! তা নিয়ে ক্ষোভ সরকারি বাসের বেশিরভাগ কর্মীদের। বর্ধমান থেকে বহরমপুর প্রায় ১৪০ কিমি সড়কপথে কোন বাস ডিপো নেই উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের সবথেকে ব্যস্ততম রুটে। তাই অনেকেই কাটোয়ার মত কম গুরত্বপূর্ণ সড়করুটে ( স্টেটবাসের ক্ষেত্রে)  বাস ডিপো নিয়ে নানান প্রশ্নচিহ্ন তোলা শুরু করে দিয়েছেন অবশ্য।                                                            

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER