সেখ নিজাম আলম
গলসির কারখানায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা।গলসি থানার ভাষাপুলে রাধাশ্যাম ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেডে স্বাস্থ্য পরীক্ষা হলো বহু শ্রমিকের। গলসি ১ নং পঞ্চায়েত সমিতি ও পুরসা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে এই কারখানার শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। করোনা ভাইরাসে অনেকে গুজব ছাড়ানোয় যাতে মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত না হয়,তারজন্য এই শিবিরের আয়োজন করা হয়। গলসি ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাদক্ষ প্রশান্ত লাহা জানান, এই কারখানার শ্রমিকদের সাহস জোগানোর জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বহিরাগত ঝাড়খন্ড,বিহার,ঊড়িষ্যা,ইউ-পি, কলকাতা,কেরল থেকে আসা গাড়ীগুলিকে এখানে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা করে কারখানাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আপাতত এই এলাকার গ্রামগুলি থেকে আসা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। গুজব হয় এই কারখানা থেকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে কোন এক শ্রমিক। তার ভয় কাটানোর জন্য আজ পরীক্ষা করে প্রমাণ করে দেওয়া হয় যে,এখান থেকে কেউ করোনা ভাইরাসে সংক্রামিত নয়। উপস্থিত ছিলেন গলসি থানার পুলিশসহ এলাকার সাধারণ মানুষ। এই কর্মসূচিতে খুশী কারখানার মালিক ও কর্মচারীরা। সবকিছু ঠিকঠাক করে পূণরায় কারখানাটি চালু করার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানা যায়।
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৩, ২০২০
গুসকারার ইটাচাঁদায় খাদ্য সামগ্রী বিলি
সেখ নিজাম আলম
পূর্ব বর্ধমান জেলার, আউশগ্রাম বিধানসভার গুসকরা পৌরসভার ১নং ,২নং, ৩নং, ৭নং,১৩নং এবং ১৫নং ওয়ার্ডের মোট ৬০০টি বিপর্যস্ত পরিবারের হয়ে খাদ্য সামগ্রী বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দার এর কাছ থেকে সংগ্রহ করেন গুসকরা শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কুশল মুখোপাধ্যায় এবং বিপর্যস্ত পরিবারের কাছে যাতে অতি দ্রুততার সাথে এই এান সামগ্রী পৌঁছায় তার নির্দেশ দিলেন বিধায়ক । আজ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গুসকরা ৫নং ওয়ার্ডে ইটাচাঁদা সাথী সংঘ এর উদ্যোগে ১৫০ টি বিপর্যস্ত পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলেন আউশগ্রাম বিধানসভার বিধায়ক, অভেদানন্দ থান্দার জানালেন ক্লাবের সভাপতি মহব্বত মল্লিক ও সম্পাদক মুজিবর সেখ এবং আউশগ্রাম ২নং ব্লকের রামনগর অঞ্চলে প্রায় ৫০০ জন মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিলেন বিধায়ক ।বিধায়ক ঘোষণা করলেন আগামী ৩ দিন পরে গুসকরা পৌরসভার সমস্ত ওয়ার্ডে দ্বিতীয় পর্যায়ে আরো বৃহত আকারে এান বিতরন করবেন ।প্রত্যেকের উদ্দেশ্যে বিধায়ক নভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ কঠোর ভাবে পালন করার পরামর্শ দিলেন এবং এই কঠিন পরিস্থিতিতে রাজ্য প্রশাসন, ডাক্তার বাবু থেকে স্বাস্থ্য কর্মী, পৌরসভার সাফাই কর্মীদের কে সহযোগিতা করার জন্য আবেদন জানান ।।
সিউড়িতে আগুনে পুড়লো চারটি দোকান
গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ড, ভষ্মিভূত চারটি দোকান
কৌশিক গাঙ্গুলি বীরভূম:- গভীর রাতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে বীরভূমের সিউড়িতে সিউড়ি ইনডোর স্টেডিয়ামের পাশে থাকা চারটি দোকানে আগুন ধরে যায় হঠাৎ। স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতা ও দমকল বাহিনীর তৎপরতায় আগুন আয়ত্তে আসে।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকেই এই অগ্নিসংযোগ। যদিও অগ্নিসংযোগের সুনির্দিষ্ট কারণ এখনও অবধি জানা যায়নি।
আমি কিয়ান - স্বপ্না ব্যানার্জি
আমি কিয়ান (আর্য)
স্বপ্না ব্যানার্জি
আর চিন্তা করো না তোমরা
আর ভেবো না, আমি তোমাদের
কাছে চলে এসেছি, ভাল আমি
আমি 'কিয়ান ব্যানার্জি' (আর্য)
আমাকে ঘিরেই তোমাদের এত আনন্দ,
তোমরা সারাদিনের কাজের ফাঁকে শুধু -
আদর দিও আমাকে, একটু
সেদিন চাঁদের আলোয় ঘরের কোণে
দুটি প্রজাপতি বসেছিল চুপচাপ,
বাগানের সব ফুল ফুটেছিল সেদিন,
মা-বাবার বুকে শুনেছি সমুদ্র গর্জন,
আর অতি দূর-দূরান্তের ভালোবাসার সুর,
দুচোখ বন্ধ করে মা-বাবার কম্পিত
দুহাত চেয়েছিল আমাকে ভগবানের কাছে,
সেদিন দিনের শুরুতেই ঝলমল করেছিল,
প্রাণময় সোনালী রোদ আর চাঁদের আনাগোনা,
চঞ্চল পায়ে বাড়ির সকলের মন জয় করতে
এলাম আমি (কিয়ান) মায়ের কোল আলো করে,
সবাই আমাকে করেছে বরণ, তোমরাও
আশীর্বাদ করো আমি (কিয়ান) যেন
অনেক বড় হই, আমার মা-বাবার মুখ উজ্জ্বল করতে পারি,
আমি যেদিন বাড়ি যাব, তোমরা সবাই
এসো কিন্তু আমাদের বাড়ি, সবাই কে আমি (কিয়ান)
দেখবো, আর আশীর্বাদ নেব,
আর আমি (কিয়ান) দেবো অনেক হামি!
সফলভাবে প্রথম সামরিক উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করলো ইরান
সফলভাবে প্রথম সামরিক উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করল ইরান
ইরান এই প্রথম সফলভাবে সামরিক উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করতে সমর্থ হয়েছে। আজ বুধবার ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি সাফল্যের সাথে দেশটির প্রথম সামরিক উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে। নূর (আলো)-১ নামের সামরিক কৃত্রিম উপগ্রহকে সফলভাবে কক্ষপথে স্থাপন করাও হয়েছে।
ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় মরুভূমি দাস্ত-ই কাভির থেকে ‘নূর’কে নিক্ষেপ করা হয়। কৃত্রিম উপগ্রহ কক্ষপথ পর্যন্ত বহন করেছে ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি বাহক রকেট কাসেদ (বাহক)। আইআরজিসি'র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ২২ এপ্রিল সামরিক উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হলো।
ইরানের ইসলামি বিপ্লবের নেতা এবং ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিষ্ঠাতা হজরত আয়াতুল্লাহ খোমেনি(র) নির্দেশে ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। আজ ৪২৫ কিলোমিটার ঊর্ধ্বাকাশের কক্ষপথে 'নূর'কে স্থাপন করা হয়। এই সামরিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে মহাকাশ অভিযানের জগতে ইসলামি ইরানের একটি দুর্দান্ত অর্জন ঘটল। এবং এর মধ্যদিয়ে দেশটির মহাকাশ উন্নয়নের নতুন গাথা রচিত হলো বলে মনে করা হচ্ছে।
ইরান ২০০৯ সালে প্রথম উমিদ বা আশা নামের কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠায়। ইরানি বিজ্ঞানীরা নিজস্ব প্রযুক্তিতে নিজেরাই এটি তৈরি করেন। এরপর ২০১০ সালে ইরান মানুষ বহনোপযোগী মহাকাশযানও পাঠায়। কাভেশগার বা অভিযাত্রী-৩ নামের রকেট ওই মহাকাশযানকে বহন করেছিল। এ ছাড়া, ২০১৫ সালে ফজর বা উষা নামে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠিয়েছে ইরান। উঁচুমানের ছবি তুলে তা পৃথিবীতে পাঠাচ্ছে ‘ফজর’।
বুধবার, এপ্রিল ২২, ২০২০
লকডাউনে খাদ্য বিলিতে মহিষাদল ভারত সেবাশ্রম সংঘ
প্রতাপ চট্টোপাধ্যায়
অন্ন - সন্তু বন্দ্যোপাধ্যায়
অন্ন
সন্তু বন্দ্যোপাধ্যায়
রক্ত ঝরা ঘাম দিয়ে
লোকে তোমায় তৈরি করে,
শত পরিশ্রমের পরে তুমি
আসো লোকের ঘরে,
তোমার জ্বালা তারাই বোঝে
পায়না যারা খেতে,
বল আর কতদিন থাকবে তারা
আধপেটা খেয়ে বেঁচে,
কেউবা তোমায় নষ্ট করে
কেউ বা তোমার খোঁজে,
কেউ বা তোমার আশায় থাকে
শত লোকের মাঝে,
অন্ন তোমার যায় না বোঝা
তুমি যার দাও ভরে দাও,
থাকে যারা স্টেশন ধারে
তাদের খাবার কেড়ে নাও,
তারাও মানুষ আমরাও মানুষ
তাহলে কেন ভেদ বিচার,
কেন তুমি তাদের কোন
দাও না সুবিচার,
যে তোমারে ভক্তি করে
থাকো নাকি তুমি তারই ঘরে,
জানিনা কেন মানুষ তোমায়
না জেনে বুঝে অবহেলা করে,
চাই তোমাকে সবাই জানি
কেউ কেউ না পায়,
অন্ন তুমি অনেক মহান
তোমার সবাই যেন পায়!
লকডাউনে অসহায় দের খাদ্য সামগ্রী বিলিতে ক্ষুদিরাম কিশলয় সংঘ
দীপঙ্কর সমাদ্দার
দক্ষিণ 24 পরগনার সোনারপুর অন্তর্গত গঙ্গা জোয়ারা মৌজা খুদিরাম পল্লী কিশলয় সংঘ পক্ষ থেকে পল্লীবাসী কে নিয়ে নিদিষ্টদুরত্ব মেনে লকডাউন সম্পর্কে সচেতন সভা আয়োজন করা হয় ।সারা বিশ্ব এক বড়ো সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যে আছে, এই পরিস্থিতির শিকার সকলে, সারাদেশ জুড়ে চলছে লকডাউন, দরিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী দের ঘরে আজ অন্নর অভাব। পল্লীবাসীর এই দুঃসময়ে তাদের পাশে দাড়িয়েছে কিশলয় সংঘের সদস্যরা। ১৫০ জন এর হাতে চাল,ডাল,আলু,তেল,তুলে দেওয়া হলো। যে সমস্থ দুস্থ-দরিদ্র আজ অন্নর অভাবে কী খাবেন তা নিয়ে ভাবনায় আছেন তাদের হাতে এই অল্প কিছু খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়ে কিশলয় সংঘ দুস্থ এবং পল্লী বাসীর দুঃস্থ পরিবারের হাতে তাদের খাদ্যসংকট থেকে কিছুটুকু চিন্তা মুক্ত করার চেষ্টা করল। উপস্থিত ছিলেন অঞ্চলের বিশেষ ব্যক্তিগণ ও কামরাবাদ পঞ্চায়েত দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি গণ কিশলয় সঙ্গে সদস্যরা জানালেন আমরা বিগত দিনে মানুষের পাশে ছিলাম বর্তমানে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো
২৭ জন রিক্সা চালকদের ৬০০ টাকা করে দিল তারকেশ্বর মন্দির কর্তৃপক্ষ
সুভাষ মজুমদার
মন্তেশ্বরের শুভশ্রী ছবি আঁকছে লকডাউনে
জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি,
করোনা ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে তার জন্য দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষিত হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বারবার আবেদন করা হচ্ছে।সব কিছু থমকে গেছে।মানুষ আজ গৃহবন্দী। কোলাহল মুখর পৃথিবীতে বিরাজ করছে শ্মশানের নিস্তব্ধতা।সেলেবল থেকে সাধারণ মানুষ -প্রত্যেকেই পরিচিত জগত ত্যাগ করে অন্য জগতের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছে বাচ্চারা। কিছুতেই ঘরে তাদের মন বসছেনা।
পূর্ব বর্ধমানের মন্তেস্বর থানার পুটশুড়ী গ্রামের শুভশ্রী চৌধুরী। মা-বাবার একমাত্র মেয়ে। বাবা শুভেন্দু একজন ব্যবসায়ী।বর্তমানে তিনিও গৃহবন্দী।মা তনুশ্রী একজন আটপৌরে গৃহবধূ। লকডাউনের জন্য অনভ্যস্ত জীবন কাটাতে হচ্ছে চতুর্থ শ্রেণির এই মেয়েটিকে। স্কুল বন্ধ।ফলে বন্ধুদের সঙ্গে মজা করা যাচ্ছেনা। ঘুরে ঘুরে কচি আম কুড়াবে এবং বিকেলে নুন-লঙ্কা মাখিয়ে খাবে তারও উপায় নাই। ঘরের মধ্যে সবসময় থাকতেও বিরক্ত লাগছে।মেনে নেওয়া ছাড়া অন্য কোনো উপায় নাই ।কিন্তু শুভশ্রী একটু অন্যভাবে জীবনটা উপভোগ করতে শুরু করল।
চার বছর বয়স থেকে ছবি আঁকা শিখতে শুরু করলেও কেবলমাত্র আঁকার স্যারের কাছেই ছবি আঁকত শুভশ্রী। এখন একঘেয়েমি কাটানোর জন্য মনের আনন্দে নিজেই ছবি এঁকে চলেছে। শুধু তাই নয় নিজের কাঁচের চুড়ি ও সুতো দিয়ে দৃষ্টিনন্দন একটি 'গৃহশোভা' বৃদ্ধির জিনিস তৈরি করে ফেলেছে। এই সময় সে বেশ কিছু কবিতাও লিখেছে যা ইতিমধ্যেই মঙ্গলকোট.কম এ প্রকাশিত।মাঝে মাঝে মায়ের শাড়ি পড়ে সাজতেও বসে পড়ছে।
কর্মব্যস্ততার জন্য ব্যবসায়ী বাবাকে খুব একটা কাছে পেতনা শুভশ্রী। ব্যবসা বন্ধ থাকায় বাবা-মাকে একসাথে পেয়ে তাদের সঙ্গে খুনসুটি করে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে ফেলছে। সব মিলিয়ে নিজের জীবনটাকে আনন্দে ভরিয়ে ফেলেছে সে।
ছোট্ট শুভশ্রী বলল- প্রথম প্রথম খুব বিরক্ত লাগছিল।তারপর যেই ছবি আঁকা, কবিতা লেখা বা হাতের কাজ করতে শুরু করলাম সব বিরক্ত দূর হয়ে গেল। বাবাকেও কাছে পাচ্ছি। প্রতিমাসে একদিন করে লকডাউন হলে কি মজাটাই নাহবে!
তনুশ্রী দেবী বললেন- বাবাকে কাছে পেলেও মেয়েটা মনমরা হয়ে যাচ্ছিল। কি করব ভেবে পাচ্ছিলাম না। নিজেই মনের আনন্দে কাজ করছে দেখে খুব ভাল লাগছে। তবে আমরাও ওর কাছে বসছি। সব মা-বাবার উচিত এখন ছেলেমেয়েদের সময় দেওয়া।
ক্লিনিক্যাল মনোবিদ্যার চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রী এবং কলকাতার একটি প্রতিষ্ঠানের পরিদর্শক তানেয়া মুখার্জ্জী বললেন - হঠাৎ পরিবর্তিত পরিবেশে মানিয়ে নেওয়া খুব কষ্টের। বিশেষ করে বাচ্চাদের। এই সময় তাদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। ঘরের চারদেওয়ালের মধ্যে তাদের যেটা ভাল লাগে সেটাই তারা করবে।এই সময় পড়াশোনায় চাপ না দিয়ে তাদের সৃজনশীল কাজে উৎসাহিত করা সবচেয়ে ভাল।
চাণক এলাকায় নিজেরাই ত্রাণ তহবিল গড়লেন গ্রামবাসীরা
জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি
সম্পূর্ণ নিজেদের উদ্যোগে 'ত্রাণ তহবিল' গঠণ করল গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মঙ্গলকোটের চাণক গ্রামে। স্হানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে লকডাউন জনিত কারণে গ্রামের 'দিন আনি দিন খাই' শ্রেণির মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এদের অনেকেই একমুঠো খাবার যোগাড় করতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে।এই পরিস্থিতিতে গ্রামের দুই প্রবীণ ব্যক্তি প্রভাত বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুন্দরগোপাল মজুমদার 'ত্রাণ তহবিল' গঠনের সিদ্ধান্ত নেন। তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসে গ্রামের যুব সম্প্রদায়।গ্রামের মানুষের সঙ্গে সঙ্গে কর্মসূত্রে গ্রামের বাইরে থাকা ব্যক্তিরাও আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।এমনকি গ্রামের এক বাচ্চাও তার টিফিনের জন্য জমা করা কুড়ি টাকা ঐ ত্রাণ তহবিলে দান করে। সংগৃহিত অর্থে গত ১৮ ই এপ্রিল গ্রামের ৫০০ জন দুঃস্হ ব্যক্তির হাতে ৫ কেজি চাল,একটি সাবান ও একটি মাস্ক তুলে দেওয়া হয়।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সবুজকলি মিত্র সহ অন্যত্র কর্মরত চাণক গ্রামের বাসিন্দারা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং প্রয়োজনে আবারও আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন।
অন্যতম উদ্যোক্তা সুন্দর বাবু বললেন - এটা ব্যক্তিগত নয় সমষ্টিগত উদ্যোগ। পরিস্থিতির শিকার মানুষগুলোর অসহায় অবস্থা দেখে আমরা এই তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নিই।প্রবীণদের উপস্থিতিতে যুবসম্প্রদায় প্রয়োজনীয় সামগ্রী বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসে। প্রয়োজন পড়লে আগামীদিনেও পরিস্থিতির উপর নজর রেখে এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।সহযোগিতার জন্য উদ্যোক্তারা স্বাস্থ্য বিভাগ,আশাকর্মী ও মঙ্গলকোট থানার আধিকারিককে ধন্যবাদ জানান।
মঙ্গলবার, এপ্রিল ২১, ২০২০
বন্ধন ব্যাংক সীমিত জায়গায় ক্ষুদ্র ঋণ দিচ্ছে
বন্ধন ব্যাঙ্ক নির্বাচিত এলাকায় পুনরায় ক্ষুদ্র ঋণ পরিষেবা শুরু করলো
রাজকুমার দাস
বন্ধন ব্যাঙ্ক আজ ঘোষণা করেছে যে তারা ছোট ব্যবসায় ঋণ দেওয়ার পরিষেবা পুনরায় শুরু করেছে। ছোট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত গ্রাহকদের অনুরোধ ও চাহিদার কথা বিবেচনা করে এই পরিষেবা পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যে গ্রাহকদের এই ধরনের ঋণের প্রয়োজন তাঁদের জন্য কম সংখ্যক কর্মীকে নিয়ে সীমিত এলাকায় এই পরিষেবা শুরু করা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে তার পরিধি ক্রমশ বাড়ানো হবে।
লকডাউন সত্ত্বেও ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশিকা মেনে বন্ধন ব্যাঙ্কের শাখাগুলি সীমিত সংখ্যক কর্মীদের নিয়ে পরিষেবা চালু রেখেছিল। কিন্তু ছোট ব্যবসায় ঋণ দেওয়ার পরিষেবা চালু ছিল না। সরকার গ্রিন জোন বলে যে এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করেছে কেবল সেই এলাকাগুলিতেই ২০ এপ্রিল থেকে এই পরিষেবা শুরু করা হয়েছে। ছোট ব্যবসায়ী, কৃষি ও তার সহায়ক কাজের ক্ষেত্রে অর্থের চাহিদার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ, এঁরা দৈনন্দিন ব্যবসার জন্য ক্ষুদ্র ঋণের উপর ভীষণ ভাবে নির্ভরশীল। তা ছাড়া ফসল কাটার সময়ও এগিয়ে আসছে। এই সময়ে ফসল কাটা ও পরবর্তী চাষের প্রস্তুতির জন্য চাষীদের অর্থের প্রয়োজন হয়। প্রয়োজনের সময়ে বন্ধন ব্যাঙ্ক তাঁদের পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মুদিখানা, খাবার ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর দোকানদার বন্ধন ব্যাঙ্কের নিয়মিত ঋণ গ্রাহক। তাঁদের চাহিদা ও প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখেও ঋণ পরিষেবা পুনরায় শুরু করা হয়েছে। আর্থিক সাহায্য পেয়ে গেলে, তাঁরা আবার তাঁদের দৈনন্দিন জীবিকা নির্বাহ করা শুরু করতে পারবে। তার পর ক্রমশ তা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারবে।
বন্ধন ব্যাঙ্কের ৪৫০০ ব্যাঙ্কিং আউটলেটের মধ্যে অনেকগুলি এমন জায়গায় রয়েছে যে মোটামুটি তিন কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যেই বেশিরভাগ গ্রাহকরা থাকেন। ব্যাঙ্কের প্রত্যাশা যে গ্রাহকরা হেঁটেই অধিকাংশ স্থানে ব্যাঙ্কিং আউটলেটে পৌঁছে যাবেন। কিছু এলাকায়, যেখানে গ্রাহকরা ব্যাঙ্ক অবধি পৌঁছতে পারবেন না, সেক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক কর্মীরা গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যাবেন। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান যে ধরনের কর্মসূচী পালন করছে তাতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে সাধারণ মানুষ অনেকটাই সচেতন হয়েছেন। গ্রাহকরা ব্যাঙ্কিং আউটলেটে গেলে ব্যাঙ্ক কর্মীরা তাঁদের কিছু সতকর্তা মেনে চলতে বলবেন। যেমন, তাঁরা যেন মাস্ক বা কাপড় দিয়ে মুখ ও নাক ঢেকে রাখেন, সোশাল ডিস্টেন্সিং মেনে চলেন ইত্যাদি। ব্যাঙ্কের কর্মীদেরও সব রকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে চলতে বলা হয়েছে। প্রতিটি ব্যাঙ্কিং আউটলেটে ব্যাঙ্ক কর্মী ও গ্রাহকদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
উপরিউল্লিখিত পরিষেবা কেবলমাত্র সরকার চিহ্নিত গ্রিন জোনের এলাকাগুলিতেই পুনরায় শুরু করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ, অসম, বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা, রাজস্থান এবং হরিয়ানায় ২০ এপ্রিল থেকে এই পরিষেবা ফের শুরু হয়ে গিয়েছে। বাকি রাজ্যগুলিতেও স্থানীয় প্রশাসনের নিয়ম ও নির্দেশিকা মেনে অচিরেই এই পরিষেবা শুরু করে দেওয়া হবে।
বন্ধন ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও চন্দ্র শেখর ঘোষ বলেন, “লকডাউনের যে প্রভাব ব্যবসায় পড়েছে তা কাটিয়ে ওঠার জন্য আমাদের ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতাদের আর্থিক সাহায্য প্রয়োজন। মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য লকডাউন যেমন জরুরি ছিল, তেমনই পুনরায় আগের অবস্থায় সবকিছু ফেরাতে আর্থিক সহায়তাও দরকার। বিভিন্ন জায়গা থেকে ছোট ব্যবসায়ীদের যে অনুরোধ আসছে ও চাহিদা তৈরি হয়েছে তা বিবেচনা করে আমরা এই পরিষেবা পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রয়োজনের সময় তাঁরা আমাদের সাহায্য পেয়েছে বলেই অসংখ্যা গ্রাহকের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের এক মজবুত বন্ধন তৈরি হয়েছে। আমরা এই পরিষেবা সীমিত ভাবে শুরু করছি ঠিকই, কিন্তু ক্রমাগত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে যাব, বাস্তবে কী অবস্থা রয়েছে তাও বিবেচনা করে দেখব, তার পর সেই অনুযায়ী ক্রমশ আগের মতোই পুরদমে এই পরিষেবা শুরু হয়ে যাবে। ”
মেমারিতে পঞ্চায়েত সমিতির পদাধিকারীর মহতি উদ্যোগ
সেখ সামসুদ্দিন
পিটিয়ে কুকুর হত্যা, দায়ের লিখিত অভিযোগ
সুরজ প্রসাদ,
শুক্রবার, এপ্রিল ১৭, ২০২০
কাঁথির নেতাজি মার্কেটে দোকানে বেশি মূল্য নেওয়ার অভিযোগ
জুলফিকার আলি
সারেঙ্গায় ব্যাংকের লাইন লকডাউনের হিসাব দিল পাল্টে
সাধন মন্ডল,
আন্তরিকতার জিজ্ঞাসা - সন্তু বন্দ্যোপাধ্যায়
আন্তরিকতার জিজ্ঞাসা
সন্তু বন্দ্যোপাধ্যায়
একদিন মন আমাকে হঠাৎ প্রশ্ন করল ?
তুমি স্বপ্ন দেখো কাউকে নিয়ে ঘর বাঁধার,
আমি বললাম :- ঘর, হ্যাঁ সে তো সবারই আশা থাকে মনে,সে আশা কখনো কারো পূর্ণ হয়,আর কারো হয় না!
মন বললো :- তুমি কি কারোর আশা রাখো না ?
আমি বললাম :- আশা করে কি করবো বলো, আমার জীবনের সব আশায় তো নিরাশা হয়ে যায়,
মন বললো :- তাহলে সে কে ? যে আসলে আমি আর স্থির থাকতে পারিনা, আমি চঞ্চল হয়ে উঠি, অস্থিরতা ভর করে আমার উপর,
আমি বললাম :- সে হলো আমার স্বপ্নের পরী, অনামিকা, নীহারিকা, আলেয়া, আমার প্রিয় মনের মানুষ যাকে আমি তোমার সাথে সব সময়ের জন্য বেঁধে রাখি,
মন বললো :- তাকে বুঝি তুমি খুব ভালোবাসো,
আমি বললাম :- জানিনা, তবে আমি যেদিকেই তাকাই শুধু ওই সারাক্ষণ আমার চোখে ভাসে,সব সময় ওর মুখটা আমার মনে পড়ে, সব সময় আমার এটা মনে হয় যে ও কি করছে, কেমন আছে,
মন বললো :- কোনদিন বলেছো তাকে, যে তুমি ওকে এতটা ভালোবাসো,
আমি বললাম :- না
মন বললো :- কেনো ?
আমি বললাম :- ভালোবাসার যে এত সুন্দর অনুভূতি থাকে,এত মিষ্টি আবেগ থাকে, সত্যি কারের ভালোবাসা একটা মানুষের জীবনে আসলে যে রকম হয়,যে কাউকেই তা বলে বোঝানো যায় না,তা আমি জানতাম না আর আমি যখন বুঝলাম, তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে,
মন বলল :- দেরি হয়ে গেছে মানে ?
আমি বললাম :- ও যখন আমার জীবনে এসেছে, তার আগে সবকিছু শেষ হয়ে গেছে,যা নতুন করে শুরু করা খুবই মুশকিল, আমি না ওকে কখনো আমার মনের কথা বলতে পারব, আর না কখনো ওকে কোনদিনও ভুলতে পারবো,
মন বললো :- কেমন সে ? একটু আমায় বলো না গো ?
আমি বললাম :- সে মানে আমি আর আমি মানেই সে !
মারিশদায় আটকে বর্ধমানের ৮ শ্রমিক
জুলফিকার আলি,
খাদ্য সামগ্রী বিলিতে বাসুবাটি দরবার শরিফ
মোল্লা শাহজাহান(নিপু)
ত্রাণ বিলিতে রাজনীতির অভিযোগ মেমারিতে
সেখ সামসুদ্দিন
মেমারি পুরসভার প্রাক্তন উপপুরপিতা অভিজিত কোঙার সাধারণ মানুষের কাছে প্রশ্ন ও আবেদন সহ বর্তমান পুরবোর্ড সহ পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে ত্রাণ নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ আনেন নিম্নরূপে- 'আপনি কি পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি পৌরসভার বাসিন্দা? আপনি কি শ্রমজীবী,গরীব মানুষ? তাহলে আপনি তো নিশ্চিত চান যে,করোনায় এই কাজ না থাকা সময়ে সরকার আপনার পাশে সহযোগিতার হাত বাড়াক। ইতিমধ্যে বামপন্থী সংগঠন সহ অনেক সংস্থা ও সংগঠন পৌর এলাকায় সাধ্যমতো গরীবদের খাদ্য ও সরঞ্জাম দেওয়ার চেষ্টা করেছে ও করছে,যা অবশ্যই অপ্রতুল। তাই সরকারী সহযোগিতা দরকার। তা না হলে ঘরবন্দী থাকা উচিত জেনেও বিপদ টেনে আনতে আপনি পেটের দায়ে, সংসার চালাতে রাস্তায় নেমে পড়েছেন বা পড়ছেন, তাই তো? আবার সরকারের ভূমিকা নিয়ে কথা বললেও অনেকে মন্তব্য করছেন--এখন এসব রাজনীতি করার কি দরকার? এখন দরকার এক সঙ্গে বিপদের মোকাবিলা। ঠিকই তো,দরকার এক সঙ্গে মোকাবিলা।
তাহলে আসুন একটি বিষয়ে মেমারির নাগরিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করি। জানা গেল, মেমারি পৌরপ্রধান প্রথম দফায় বুথ প্রতি ১০ জনকে, দ্বিতীয় দফায় বুথ প্রতি ১১ জনকে অর্থাৎ বুথ প্রতি মোট ২১ জনকে জি. আর.- র ৫ কেজি করে চাল দেবেন বা দিয়েছেন। ভালো কথা। আবার আগামী ২০/৪/২০ হতে পৌরসভা অফিস থেকে বুথ প্রতি ৩৫ জনকে ৫ কেজি করে চাল দেবেন বলে জানা গেল। তাহলে এখন পর্যন্ত বুথ প্রতি ১০+১১+৩৫=৫৬ জন ৫ কেজি করে চাল পাবে টোকেনের মাধ্যমে। কিন্তু প্রশ্ন হল--প্রাপক তালিকা ঠিক করা ও টোকেন কে বিলি করবে বা করছে? ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সি. পি. আই( এম) র। কিন্তু তাঁকে কিছুই জানানো হয় নি। লোকমুখে খবর পেয়ে কাউন্সিলর শ্রীমতি মানু ভট্টাচার্য চেয়ারম্যানকে বারবার ফোন করলে তিনি ধরেননি। শেষে জনস্বার্থে মহকুমাশাসককে লিখিত অভিযোগ জানানোয় চেয়ারম্যান কাউন্সিলরকে ফোন করে জানান --যা করার তৃণমূল কর্মীরা করবে। প্রতিবাদ করায় চাপাচাপিতে মাত্র ১৫ টি টোকেন দিতে রাজী হন,যেখানে ওয়ার্ডের ২ টি বুথ হিসাবে তাঁর ৫৬×২=১১২টি টোকেন পাওয়ার কথা। একই ঘটনা ৩ নং ওয়ার্ডের,যেখানের সি.পি.আই(এম) কাউন্সিলর ক্যান্সারে মারা যান। সেখানের স্বীকৃত ওয়ার্ড কমিটিকে নস্যাৎ করে তৃণমূলী নেতারা যা করার করছেন। ৪ নং ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলরেরও একই অভিজ্ঞতা। চেয়ারম্যান কি নিজের টাকায় এই চাল দিচ্ছেন যে কাউকে জানাবেন না ? জানা গেল, তৃণমূলীরা এই সময়ে এর থেকে আয় করছেন। রোজ করোনা সংক্রান্ত নির্দেশ জানাতে পৌরসভা মাইক প্রচার করলেও এই ব্যাপারে কোন প্রচার হল না কেন? কেন এত গোপনীয়তা? কেউ বলতে পারেন, পৌরসভায় তৃনমুল জিতেছে,তাই অন্যদের জানাবে কেন? উত্তরে বলি-- বামফ্রন্ট পরিচালিত মেমারি পৌরসভায় বর্তমান পৌরপ্রধান বরাবর বিরোধী কাউন্সিলর ছিলেন। একটা ঘটনা উনি বা ওই ওয়ার্ডগুলির কোন নাগরিক দেখাতে পারবেন,যেখানে উনাকে বা বিরোধী কোন কাউন্সিলরকে অগ্রাহ্য করে তৎকালীন পৌর বোর্ড কোন কাজ করেছে? তৎকালীন কাউন্সিলর হিসাবে এ কথা বলার হিম্মত আমার আছে, উনার প্রতিবাদ জানানোর হিম্মত আছে?
আমি জানি- যে গরীবদের জন্য এই সব বলছি, তাদের অধিকাংশ তো সোশ্যাল মিডিয়া দেখেন না। কিন্তু পৌর এলাকার যে নাগরিকরা এই মিডিয়া চর্চা করেন তাদের কাছে প্রশ্ন --বলুন, এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করা যদি রাজনীতি করা হয়, তাহলে গরীবদের স্বার্থে সেই রাজনীতি আপনি চান না? করোনার মোকাবিলা একসঙ্গে করা মানে, এই দুর্নীতি ও অন্যায়কে মুখ বুজে সহ্য করা--সেটা কি ঠিক হবে? যারা সরকারে আছে তারা যদি একসঙ্গে না চলার রাজনীতি করেন তাহলে তার প্রতিবাদে একসঙ্গে চলার রাজনীতি হোক। কেউ ভাবতে পারেন,আমি মিথ্যা সংবাদ দিচ্ছি। তাহলে সঠিক সংবাদ জানতে আপনারা আপনাদের পাড়ার সব নিপীড়িত নাগরিকদের লক ডাউনের নিয়মাবলী মেনে পৌরসভায় পাঠান।' যদিও বর্তমান চেয়ারম্যান পুরবোর্ডে ক্ষমতায় এসে অভিযোগ করেছিলেন বাম জমানায় জিআর-এর চাল সহ অনেক কিছু বিষয়েই জানতেন না। ক্ষমতায় এসে তিনি বুঝেছিলেন তৎকালীন বোর্ড কিভাবে গরীব মানুষকে বঞ্চিত করেছে। এখন একই অভিযোগ জানাচ্ছেন বিরোধী সিপিএম নেতৃত্ব।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
OLD POSTED
আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
মোল্লা জসিমউদ্দিন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER
-
বাকুঁড়ার কোতলপুর ব্লক তৃনমূল কমিটির পরিচালনায় বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদসভা হয়।উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শ্যামল সাতঁরা, সাংসদ সৌমিত্র খান, জেলা স...