শুক্রবার, মে ০১, ২০২০

লকডাউনে নীরবতায় ন্যারোগেজ রেলওয়ে ইঞ্জিন

কবিরুল ইসলাম
লকডাউনে দেড় মাস অচল গোটা দেশ। রেলস্টেশনে নেই সেই ব্যস্ততা। আছে শুধু নীরবতা। কাটোয়া স্টেশনে ঢুকবার মুখে রয়েছে শতাব্দী প্রাচীন ন্যারোগেজ রেলওয়ে ইঞ্জিন।                

করোনার লড়াইয়ে বার্তা দিতে আসরে ক্যানভাস ব্যান্ড

শুভ ঘোষ
 

সময়টা বেশ ভয়ের। সময়টা বেশ কঠিন। সময়টা বেশ ভাবাচ্ছে।পৃথিবীর বুকে আজ মৃত্যুর হাহাকার। আদৌ আমরা বাঁচব কী? এক অদ্ভুত মারন  ভাইরাসের তান্ডবে ত্রস্ত গোটা দুনিয়া। তবে কি পৃথিবীর বুক  থেকে হারিয়ে যাবে ঈশ্বরের প্রার্থনা? শিশুর হাসি? মানুষের কলরব? মৃত্যুর কাছে পরাজিত হবে জীবন? সভ্যতার ইতিহাসে আমরাই তো ফাঁসির মঞ্চে জীবনের জয়গান গেয়েছি,এবার কি পারব না? এই অস্থির, উদভ্রান্ত সময়েই গান বেঁধে আশার কথা শোনাচ্ছে বাংলা ব্যান্ড ক্যানভাস।  শহরটা নিঃসঙ্গ। কথা বলার কেউ নেই। গড়িয়াহাট একা একা বসে আছে গালে হাত দিয়ে, কলেজ স্ট্রিট,কফি হাউসের আড্ডা ভ্যানিশ। হাতিবাগানের হৈচৈ একদম ঠান্ডা। কেমন গুম মেরে বসে আছে এসপ্ল্যানেড, পার্ক স্ট্রিট। এসব কি কেউ ভেবেছিল? কে জানত এমন এক তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এগিয়ে আসছে, চুপিচুপি,হামাগুড়ি দিয়ে। এক সময় আশঙ্কাটাই সত্যি হল। দেশের বুকে আছড়ে পড়ল করোনার তান্ডব। লকডাউনে চলে গেল গোটা দেশ। এক নিমেষে সব শান্ত, স্তব্ধ। এর মধ্যেই চলছে বাঁচার লড়াই। গানের কথা ও সুর সুদীপ্তা ব্যানার্জি। কি বোর্ডে অভিনন্দন ব্যানার্জি। প্রোগ্রামিং অ্যান্ড অ্যারেঞ্জমেন্ট, দীপ্তায়ন মজুমদার, বাস গিটার অ্যান্ড সাপোর্টিং গিটার, সৃজন মুখার্জী। ড্রামস এ শুভম ঘোষ। বাংলা ব্যান্ডের পথ চলায় ক্যানভাস অতি পরিচিত এক নাম। সময়ের কথাই বারবার উঠে এসেছে এদের গানে। লক ডাউনের এই ঘর বন্দি সময়েও গানের কথায় ছবি আঁকছে ক্যানভাস। জীবনের ছবি, বেঁচে থাকার ছবি, জোট বাঁধার ছবি। ক্যানভাস এগিয়ে চলুক। রইল অনেক শুভেচ্ছা।

হে ঊর্ণনাভ - অপূর্ব চক্রবর্তী

হে ঊর্ণনাভ
          অপূর্ব চক্রবর্তী
 

হে ঊর্ণনাভ, কি অত্যাশ্চর্য প্রকৌশলী তুমি!

     দিনের সূর্য প্রচন্ড অহংকারী হলেও
         একটা অজানা ইতিহাসকে
কিছুতেই আলোকিত করতে পারে না     
             কোনো ফোটন কণা।
আমি এক অন্য রকমের স্বপ্ন দেখতে চাই, শব্দের ভিড়ে সে স্বপ্ন ভূমিষ্ঠ হতে ভয় পায়।
      আসন্ন প্রসবা লেখনী প্রসব করে 
                 অন্য ইতিহাস।
       
           তবুও আমরা বেঁচে আছি,
    এক আপাত কর্কশ শব্দ ভূমিতে 
গজলের সুর গাইবার চেষ্টায় হাঁফিয়ে উঠছেন 
         বড়ে গুলাম আলী খাঁ সাহেব।
জাকির হোসেনের আঙ্গুল ব্যর্থ হয়ে যায়     
   আগাছার ভিড়ে পারিজাত ফোটাতে।
বিঠোফেন, মোৎসার্ট  অথবা মহীনের সেই ঘোড়াগুলি 
              দৌড়াতে ভুলে যাচ্ছে।
হাসির মন্ত্র ভুলে চার্লি কোথায় যেন মুখ লুকিয়েছেন।
           তবুও আমরা বেঁচে আছি 
      আশ্চর্য এক ইতিহাসের অধ্যায়ের    
        আংশিক উত্তরাধিকার নিয়ে।
গর্ভবতীর অপূর্ণ প্রসব চিৎকারে বধির জীবনানন্দ দাশ,
      শান্তি খোঁজেন সঞ্চয়িতার পাতায়...

বোলপুরে হারিয়ে যাওয়া নোবেলটা 
            এক সূর্য ডোবার ছবি এঁকে যায়, 
ছবি এঁকে যায় এক আসন্ন অন্ধ রাতের।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে শান্তিতে শুয়ে থাকা মানুষটি 
         হয়তো এতদিনে ভুলে গেছেন !
তার আগুনভরা লাইনটি-
        'আমি বিদ্রোহী রণক্লান্ত
         আমি সেই দিন হবো শান্ত'

      তবুও আমরা ইতিহাস লিখছি
হ্যাঁ, আমরা নিয়ত একটা ভুল সময়ের ইতিহাস লিখতে ব্যস্ত।
     হে ঊর্ননাভ, তোমার বিতংস বিতানে 
আমরা সবাই এক বিন্দুতে অবস্থান করছি।

বাদশা শাজাহান আর হরিপদ কেরানি সব একদরে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।

আউশগ্রামের আশীন্দা মোড়ে খাদ্য সামগ্রী বিলি

সেখ নিজাম আলম
 

আজ আউশগ্রাম ১নং ব্লকের বিল্বগ্রাম অঞ্চলে বিল্বগ্রামে এবং আশীন্দা মোড়ে এবং গুসকরা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে বিপর্যস্ত মানুষের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলেন আউশগ্রাম বিধানসভার বিধায়ক  অভেদানন্দ থান্দার মহাশয় ।

মেমারিরর ৫ নং ওয়ার্ডে খাদ্য সামগ্রী বিলিতে ভাইস চেয়ারম্যান

সেখ সামসুদ্দিন

 
 পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সহ সভাপতি মুকেশ শর্মার উদ‍্যোগে মেমারি পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দুইটি বুথের অসহায় পরিবারের হাতে লকডাউন চলাকালীন চতুর্থ বারের জন‍্য খাদ‍্য সামগ্রী প্রদান করা হয়। কৃষ্ণবাজার ও উঁচু মাঠপাড়া এলাকায় এদিনে আলু, পিঁয়াজ, চাল, ডাল, নুন, বিস্কুট, সোয়াবিনের প‍্যাকেট, কুমড়ো, ডিম ইত্যাদি দেয়া হয়। ছাত্র নেতা মুকেশ শর্মা জানান ২৩০টি পরিবারের হাতে খাদ‍্যসামগ্রী দেয়া হল। এরপরে রমজান মাসে মুসলিম পরিবারের মধ‍্যে  সহায়তা দেয়া হবে। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রিয় সামন্ত জানান হোমডেলিভারি পরিষেবা চালু করেছেন। হোয়াটসঅ‍্যাপে জানালেই বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হবে। রমজান মাসে মুসলিম পরিবারগুলিকে শুভেচ্ছা জানানোর সঙ্গে লকডাউনে নিয়ম মেনে বাড়িতে থাকতে অনুরোধ জানান। উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান ও ছাত্রনেতার সঙ্গে ব্লক শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি কৌশিক মল্লিক, সমাজসেবী শুভেন্দু গুহ, অজিত সিং, সফিকুর রহমান, ওয়ার্ড সভাপতি বিকাশ ক্ষেত্রপাল, শুভময় ভট্টাচার্য সহ বিশিষ্ট ব‍্যক্তিবর্গ।

লকডাউনে করোনা যোদ্ধাদের সম্মান জানালো বর্ধমান শহরের এই সংস্থা

সেখ রতন
 

মে দিবস উপলক্ষ্যে বর্ধমান গ্রীন হন্টার ও স্টুডেন্ট গোল এর পক্ষ্য থেকে করোনা মোকাবিলায় যে সমস্ত কর্তব্যরত পুলিশ কর্মী ও সাংবাদিকরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে সাধারন মানুষদের পরিষেবা দিয়ে আসছেন তাদের গোলাপ ফুল দিয়ে সম্মাননা প্রদান ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হল।সাথে সাথেই তাদের হাতে তুলে দেওয়া হল জলের বোতল, কেক ও কোল্ড ড্রিংক। সংস্থার ট্রেজার সেখ ইনসান ও রাজা জানান -এদিন তারা নবাবহাট থেকে উল্লাস পর্যন্ত কর্তব্যরত পুলিশ কর্মী ও সংবাদ মাধ্যমের বন্ধুদের হাতে এই সামগ্রী তুলে দেন।লকডাউন চলা কালীন প্রতি সপ্তাহেই তাদের এই কর্মসূচি চলবে।

লকডাউনে দুর্দশায় মুম্বাইয়ে দিন কাটছে এই রাজ্যের তিন পরিবারের

মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)    
প্রায় দেড় মাস সময়কালে সারা দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। সৌজন্যে করোনার বীভৎসতা। এই মুহূর্তে বাংলার একাংশ মানুষজন ভিন রাজ্যে কর্মসুত্রে / পড়াশুনোয় / চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে আটকে রয়েছে মাসের পর মাস। অর্থের অভাব, দুবেলা খাওয়ার দুশ্চিন্তার পাশাপাশি নিরাপদ আশ্রয় পাওয়াটা ওদের কাছে বড় স্বস্তি। কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদনে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ভিনরাজ্যে থাকা পরিযায়ী শ্রমিক, পড়ুয়া এবং রোগী পরিবারদের নিজ রাজ্যে ফিরিয়ে আনতে তৎপর। তবে এতশতের মাঝেও মুম্বাইয়ে আটকে রয়েছে ৬ টি বাঙালি পরিবার। এদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ৩ টি পরিবার রয়েছে। মালদার ১ টি এবং উত্তর ২৪ পরগনার ২ টি পড়ছে তাতে। উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগর এলাকার কালাচাঁদ মুখার্জি গত ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর স্ত্রী সঞ্চিতা মুখার্জি এবং মেয়ে স্বস্তিকা মুখার্জি কে নিয়ে মুম্বাইয়ের টাটা হাসপাতালে ক্যান্সার চিকিৎসায় গিয়েছিলেন। লকডাউন শুরু হওয়ার পর ক্যান্সার চিকিৎসায় কেমোথেরাপি বন্ধ হয়ে যায়। জমানো অর্থও ফুরিয়ে যায় কয়েক সপ্তাহ কেটে যাওয়ার পর। খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি থাকা সমস্যা হয়ে যায়। মুম্বাইয়ের এক বাঙালি সংগঠন জুহু ভিলেজে থাকবার ব্যবস্থা করলেও দুবেলা আহারের আয়োজনে তারা সফল নয়। ঠিক।এইরকম পরিস্থিতিতে ক্যান্সার আক্রান্ত পরিবারের পক্ষে স্বস্তিকা মুখার্জি কলকাতা হাইকোর্টের স্বনামধন্য আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায় চৌধুরীর দারস্থ হন। এই আইনজীবী অত্যন্ত তৎপরতায় গত ২৯ এপ্রিল বিশদ বিবরণ সহ এই রাজ্যের মুখ্য সচিব, অতিরিক্ত মুখ্য সচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিব কে ইমেল করেন। তবে কোন প্রশাসনিক উত্তর মেলেনি ইমেলের তরফে। অপরদিকে কলকাতা পুলিশ কে মোবাইল ম্যাসেজ পাঠানো হয়। তবে কলকাতা পুলিশের তরফে মুম্বাইয়ে ক্যান্সার রোগীদের অসহয়তার তথ্য জানাবার জন্য 'ধন্যবাদ' ম্যাসেজ আসে ইন্দ্রজিৎ বাবুর মোবাইলে। কলকাতাহাইকোর্টের স্বনামখ্যাত আইনজীবী    ইন্দ্রজিৎ রায় চৌধুরী জানান - " যেখানে রাজ্য সরকার লকডাউনে আটকে পরা পরিযায়ী শ্রমিক, পড়ুয়া এবং রোগীপরিবার দের ফিরিয়ে আনছে, সেখানে মুম্বাইয়ে আটকে থাকা ৩ টি এই রাজ্যের বাঙালি পরিবার কে দ্রুত আনা হোক "।                                                                                                                          

হাওড়া থেকে মুর্শিদাবাদে যাওয়ার পথে তারকেশ্বরে বিশ্রাম

সুভাষ মজুমদার
  

হাওড়া থেকে সাইকেল নিয়ে মুর্শিদাবাদে বাড়ি ফেরার পথে তারকেশ্বরে বিশ্রাম ১০ শ্রমিকের।
লকডাউনের জেরে হাওড়ার আন্দুলে আটকা পড়েন দশ শ্রমিক।
আন্ডুলে তারা রাজ মিস্ত্রির কাজ করতেন।কাজ করে জমানো টাকা আস্তে আস্তে প্রায় শেষের পথে।লকডাউন কবে উঠবে তা অনিশ্চিত তাই অনাহারে দিন কাটাতে যাতে না হয় তাই সাইকেল নিয়েই হাওড়া থেকে মুর্শিদাবাদ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন শ্রমিক রা।লকডাউনের জেরে বিভিন্ন জেলায় আটকা পড়েন অন্য জেলার শ্রমিকরা। লকডাউন চলাকালীন ভিন জেলার শ্রমিক দের বাড়ি ফেরার ভিন্ন ভিন্ন ছবি ধরে পড়েছে গত কয়েক দিন ধরে।

বিড়াল মাছ পাহাড়া দেয়! আসানসোলের ঘটনায় প্রভুভক্তি

মোহন সিং

  

কথায় বলে  বেড়াল আবার মাছ খাবে না। তার মানে বেড়াল- এর সামনে যদি মাছ থাকে, তাহলে সে সেটা খাবার চেষ্টা করবেই। এর উল্টোটা হওয়া প্রায় অসম্ভব। আমাদের বাস্তব অভিজ্ঞতাও সেই কথাই বলে। কিন্তু আমাদের চারপাশে মাঝে মধ্যেই এমনসব ঘটনা ঘটে যে নতুন করে ভাবতে হয় সবকিছু।  পশ্চিম বর্ধমানের সদর  আসানসোল শহরে রেলপার এলাকায় মহম্মদ আফতাব জাহাঙ্গীর একটি মাছের দোকান চালান। আশ্চর্যের বিষয় হলো তার এই দোকানে তাঁর সঙ্গে প্রতিদিন সারাটা সময় ধরে থাকে চার-চারটি বেড়াল। অথচ তারা কখনো মাছ খাবার চেষ্টা করে না। এমনকি জাহাঙ্গীর তখন দোকানে থাকেন না, তখন এই চার বেড়াল তার দোকান পাহারা দিলেও মাছ চুরির চেষ্টা করে না। জাহাঙ্গীর নিজের হাতে তাদের মাছ টুকরো টুকরো করে কেটে খেতে দেন । সেটা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকে এই বেড়াল গুলো। ব্যাপারটা আশ্চর্যের হলেও এটাই বাস্তব। এলাকার বাসিন্দারাও এখন এই ঘটনা দেখে দেখে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। তাই অবাক হন না। আর জাহাঙ্গীর মনে করেন বেড়াল মাত্রই চোর নয়।

বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ৩০, ২০২০

বিনামূল্যে হাটে করোনায় অসহায়রা

সুরজ প্রসাদ
 

সরকারী উদ্যোগে চাল পাচ্ছে সকলেই প্রায়, কিন্তু তার সাথে সাথে নিত্য প্রয়োজনীয় ডাল তেল সব্জী ইত্যাদি জিনিষের ক্রয় ক্ষমতা হারিয়েছে  সাধারণ মানুষ , কাজ হারিয়ে ঘরে বসে তাই সাধ কে বেধে রেখে সাধ্য মতন খেয়েই পেট ভরাচ্ছে অনেক নিম্নবিত্তই ! অনেক সংগঠন চাল ডাল তেলের পসরা নিয়ে সাহায্যের হাত বাড়ালেও নানারকম সব্জী সহকারে অনান্য খাদ্য সামগ্রী বিতরণ হাটের আকারে সাজিয়ে মানুষের  প্রয়োজন মতন তা তুলে দেওয়া হল বর্ধমানের চাঁদসোনা এলাকায়, খাদ্য সামগ্রী প্যাকেটে ভরে আমাদের ইচ্ছা মতন মানুষ কে প্রদান নয় বরং মানুষের পছন্দ মতন খাদ্য সামগ্রী বেছে নেওয়ার সুযোগ দিল পল্লিমঙ্গল, এদিন প্রায় আনুমানিক ২০০ পরিবার তাদের পছন্দ মতন খাবার নিয়ে গেলেন এই " বিনা পয়সার হাট " থেকে , সমস্ত রকম নিয়ম কানুন মেনে সোশ্যাল ডিস্টেন্স বজায় রেখে এই হাটে মানুষ জন অংশ নেয় আজ , বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ মালিক সহ বিশীষ্টরা উপস্থিত ছিলেন এই বিনা পয়সার হাটে

মেচেদা ডাইনামিক রাবার ইন্ডাস্ট্রিজের তরফে ত্রাণ বিলি

জুলফিকার আলি
  

মেচেদা ডাইনামিক রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ। এর উদ্যোগে মেছেদা আজাদ বস্তিতে ত্রাণের  ব্যবস্থা করা হয়। মেছেদার আজাদ বস্তি সহ এলাকার 100 জনকে ত্রাণ দেওয়া হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষক সুকুমার মাইতি, সমাজসেবী রফিক আলী, শ্যামসুন্দর পাখিরা,কোলাঘাট থানার এসআই নন্দী বাবু,মেচেদা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও মেচেদা সাহিত্য একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা জুলফিকার আলী। সংস্থার সম্পাদক গৌর হরি সামন্ত প্রমূখ। গৌর হরি বলেন, লকডাউন হওয়ার ফলে সাধারণ মানুষ অসহায় দিন কাটাচ্ছে তাদেরকে সাহায্য করার জন্যই ত্রাণ।

লড়াকু সত্তা - মৌসুমি

লড়াকু সত্তা
       মৌসুমি রে
 

ভিড়ের মাঝে একা - চেনায় খাঁটি হীরে -
অনন্যতায় জুড়ি নেই - যাবেই চলে চোখ;
তোমার উপমা তুমিই অমূল্য রতন -
তোমার গুনের কদর জানে শুধু দর্শক।

ভরা বিকেলে পাড়ি দিলে অন্যলোকে
শান্তিতে শুয়ে অজস্র ফুলে, গোলাপে;
মৃত্যু উপত্যকায় হাঁটা সাহসীর মরণ
হয় না, সে অমর, লেখা রবে এপিটাফে।

মৃত্যুকে ভয় না পেয়ে করেছ আলিঙ্গন -
মরণ তোমার ভয়ে হয়েছে ম্রিয়মাণ;
অনেক মাইলস্টোন পেরিয়েছ পদ্মশ্রী -
তোমার লড়াকু সত্তাকে কুর্নিশ ইরফান।

দুর্গাপুরে পথে নামলেন দিল্লির জেএনইউ নেত্রী ঐশী ঘোষ

দুর্গাপুরের পথে নামলেন দিল্লির জেএনইউ নেত্রী ঐশী ঘোষ
শম্পা প্রামাণিক
 

দুর্গাপুর :- করোনা ভাইরাস এর আতঙ্কের মধ্যেই সামাজিক সচেতনতার সাথে সাথে জনসংযোগের কাজকে ত্বরান্বিত করতে দুর্গাপুরে পথে নামল সিপিএমের ছাত্র সংগঠন। আর সেই জনসংযোগের কাজে প্রধান মুখ হিসেবে তুলে ধরা হলো দিল্লির জহরলাল নেহেরু ইউনিভার্সিটির (জেএন‌ইউ) ছাত্রনেতা তথা সভাপতি ঐশী ঘোষকে।

আজ "স্টুডেন্ট ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার" (এস এফ আই) পশ্চিম বর্ধমান জেলার, দুর্গাপুর পশ্চিম এরিয়া কমিটির উদ্যোগে। দুর্গাপুরের ওল্ডকোট মোড় সংলগ্ন এলাকার দুস্থ পরিবারের যুবতী মেয়েদের মধ্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন এবং সাবান বিতরণ করলেন দিল্লির জেএন‌ইউ সভাপতি ঐশী ঘোষ। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় এস এফ আই পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য রিঙ্কি দাস, রিতা মেটে, চুমকি দাস।

প্রায় ৪৫ থেকে ৫৫ টি দুঃস্থ পরিবারে মধ্যে ওই কর্মসূচি সীমাবদ্ধ ছিল। তবে কোনো গণমাধ্যমকে কর্মসূচির কথা আগাম জানানো হয়নি, ঐশী ঘোষের নিরাপত্তা কথা মাথায় রেখে বলে জানান স্থানীয় সিপিএম ছাত্র নেতৃত্ব। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্র নেতা জানান আগামী দিনেও দুর্গাপুরের বিভিন্ন দুঃস্থ মানুষের পাশে পাওয়া যাবে ঐশী ঘোষকে।

মালি পাঁচঘড়া থানায় চলছে 'অপারেশন কোভিড জিরো'

সুকান্ত ঘোষ
 
রাজ্যে প্রথম দিকে করোনায় যারা মারা গেছেন, তাদের বাড়ী হাওড়ার সালকিয়া সংলগ্ন মালি পাঁচঘড়া  থানা এলাকায়। এই থানার আইসি অমিত কুমার মিত্র প্রথম থেকেই 'আপারেশন কোভিড জিরো' কর্মসূচিতে সক্রিয় ভূমিকা নেন।  যারা এই কর্মসূচিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন, তাদের উৎসাহ দিতে আইসি অমিত কুমার মিত্র কোভিড জিরোর লোগো টি শার্ট তুলে দেন।           

দুশো পরিবার কে খাদ্য সামগ্রী বিলিতে ভাতার পুলিশ

আমিরুল ইসলাম
  
 এবার মধ্যবিত্তদের পাশে দাঁড়িয়ে সকলের মন জয় করলো ভাতার থানা।

লকডাউন এর মধ্যে সকলেই কাজ হারিয়ে বসে আছে ঘরে।
ইতিমধ্যে একাধিক ক্লাব ও রাজনৈতিক দল সাহায্য করেছেন দারিদ্র শ্রেণীর মানুষজন দেরকে, কিন্তু প্রতি ক্ষেত্রেই বঞ্চিত হচ্ছে মধ্যবিত্ত মানুষজন ।তাই তাদের কথা চিন্তা করে আজ বাড়ি বাড়ি কিছু খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়ে মানুষের মন জয় করল ভাতার থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক প্রণব কুমার ব্যানার্জি।

জানা যায় পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের নির্দেশে ভাতার থানার পুলিশের সহযোগিতায় আজ প্রায় 200 টি মধ্যবিত্ত পরিবারের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেয়া হয় খাদ্য সামগ্রী।
মূলত যে সমস্ত মানুষজন বিভিন্ন দোকানে কাজ করতেন, বাসে কাজ করতেন সেই সমস্ত মানুষদের বাড়ি বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেয়া হয় এই খাদ্য সামগ্রী।
ভাতার থানার উদ্যোগে খুশি হয়েছেন এলাকার মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের মানুষজন।

ভাতারের কুলনগর গ্রামের বাস চালক নিতাই রুদ্র জানান, আমরা মধ্যবিত্ত তাই আমাদেরকে কেউ দেখেনা না। সরকার না, কোন রাজনৈতিক দলও না।
 আজ ভাতার থানার পুলিশ কিছু খাদ্য সামগ্রী দিয়ে গেলেন।

জনস্বার্থ দাবি নিয়ে পূর্ব মেদনীপুরে বামেদের নীরব অবস্থান

জুলফিকার আলি

  

বামফ্রন্ট ও সহযোগী দলসমূহের সম্মিলিত অাহ্বানে অাজ জেলা জুড়ে করোনা সংক্রমণ ও লকডাউন জনিত পরিস্থিতিতে স্থগিত প্রচেষ্টা প্রকল্পের অাবেদন অনলাইনে চালু করা, রেশনে কালো বাজারী ও দলবাজি রোধ করা, করোনা নিয়ে প্রকৃত তথ্য প্রদান করা, কর্মহীন মানুষজন কে অ্যাকাউন্টে ৭৫০০ টাকা করে প্রদান করা, পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ী ফেরানোর ব্যবস্হা করা প্রভৃতি দাবী সমূহের ভিত্তিতে অাজ জেলা জুড়ে লকডাউন বিধি মেনে নীরব প্রতিবাদ কর্মসূচী রূপায়িত হয়। তমলুকে নেতৃত্ব দেন সিপিঅাইএম জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি,হিমাংশু দাস,নির্মল জানা প্রমুখ। দেশপ্রাণ ব্লকের মুকুন্দপুরে নেতৃত্ব দেন মামুদ হোসেন, সঞ্জিত দাস, সুতনু মাইতি, সেক সফিউল অালি, সেক সাত্তার প্রমুখ। কাঁথি শহরে নেতৃত্ব দেন সিপিঅাইএম নেতা  হরপ্রসাদ ত্রিপাঠী, কানাই মুখার্জি, অতুল্যসুন্দর উকিল, সলিল বরণ মান্না, কৃষ্ণেন্দু বারিক, জয়দেব পণ্ডা, তরুণ মাইতি,তন্ময় অাদক,মধুসূদন জানা, সিপিঅাই নেতা স্বপন পণ্ডা,অার,এসপি নেতা হোসেন অালি প্রমুখ। মারিশদায় নেতৃত্ব দেন সিপিঅাইএম নেতা কালীপদ শীট, হিমাংশু পণ্ডা,অনন্ত পণ্ডা,রাজনারায়ণ দাস,ঝাড়েশ্বর বেরা প্রমুখ।হেঁড়িয়া তে নেতৃত্ব দেন গোকুল ঘোড়াই,যাদবেন্দ্র সাহু,জাহারাজ অালি,অাশীষ দেবনাথ,প্রবীর দেবনাথ, রাসবিহারী দাস প্রমুখ। রামনগরে নেতৃত্ব দেন সিপিঅাইএম নেতা অাশীষ প্রামাণিক, নীতিশ দাস,অাকাশ প্রামাণিক, ধীরেন্দ্র নাথ পুষ্টি, তাপস চৌধুরী,সুকুমার মৈশাল।বালিসাই তে নেতৃত্ব দেন সব্যসাচী জানা, প্রদীপ দাস,বিষ্ণুপদ দাস,বনবিহারী মাইতি প্রমুখ। সিপিঅাইএম নেতা মামুদ হোসেন জানান এগরা,বালিঘাই,পটাশপুর, মঙলামাড়ো,ভগবানপুর, কলাবেড়িয়া,বাজকুল,মুগবেড়িয়া সর্বত্র এই কর্মসূচী রূপায়িত হয়।

নবদ্বীপ ভজন আশ্রমে তিন শতাধিক মানুষের আহারের আয়োজন

শ্যামল রায়
  
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নবদ্বীপ ভজন আশ্রমের পক্ষ থেকে অসহায় গরীবদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। আশ্রমের ম্যানেজার অরবিন্দু ঝা জানিয়েছেন যে মোট মন্দির ময় চৈতন্য ভূমি নবদ্বীপ শহরের বিভিন্ন আশ্রম নাম সংকীর্তন করে বহু অসহায় বৃদ্ধা জীবন যাপন করে থাকে। করোনাভাইরাস এর জেরে দ্বিতীয় দফায় চলছে লকডাউন এর ফলে বহু অসহায় বৃদ্ধা চরম সংকটের মধ্যে পড়েছেন। তিনি আরো জানিয়েছেন যে আমাদের আশ্রমের তিন শতাধিক বৃদ্ধা নাম সংকীর্তন এর মধ্যে দিয়ে প্রসাদ পেয়ে থাকেন। বর্তমানে বন্ধ থাকায় এরা চরম অনটনের মধ্যে রয়েছেন। তাই এই সমস্ত রাধেশ্যাম করা বৃদ্ধাদের মধ্যে আমরা প্রতিদিন চাল ডাল আলু তেল সবজি সোয়াবিন লবণ সাবান বিতরণ করে আসছি। এ দিনও আমরা চাল লবণ বিতরণ করেছি। যতদিন লকডাউন চলবে আমরা নিয়মিতভাবে গরিবদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে যাব তারপরে যখন লকডাউন উঠে যাবে তখন নাম সংকীর্তন এর মধ্যে দিয়ে এসকল রাধেশ্যাম করা বৃদ্ধারা প্রসাদ পেয়ে জীবন যাপন করবেন। এছাড়া ওয়াশরুমে তরফ থেকে বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম মাঝে মধ্যে বিতরণ করা হয়ে থাকে। এর ফলে গরীব অসহায় বৃদ্ধারা ভীষণ ভাবে উপকৃত হন।

বাড়িতেই রসগোল্লা - ফুচকা বানাচ্ছে চিকিৎসক পরিবার

জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি 

  
        বাঙালি মানেই খাদ্য রসিক বা ভোজন রসিক।তাইতো যেকোনো মেলাতে একাধিক ভিন্ন ধরনের খাবারের স্টল থাকবেই। আবার  সুযোগ পেলে বাড়িতেই  ভিন্ন পদের খাবার তৈরি করতে সে ওস্তাদ। লকডাউনের জন্য গৃহবন্দি বাঙালির হাতে অফুরন্ত সময়। তাই সুযোগমত বিভিন্ন বাড়িতে ভিন্ন পদের খাবার তৈরি চলছে।
        রসগোল্লার সঙ্গে বাঙালির একটা জন্মজন্মান্তর সম্পর্ক। 'সুগার'-এর আক্রমণেও সেই সম্পর্ক নষ্ট হয়নি। মিষ্টির দোকানগুলিতে ভিড় দেখলেই সেটা টের পাওয়া যায়। এদিকে লকডাউনের জন্য মিষ্টির দোকান বন্ধ। সরকারি নির্দেশে আপাতত দোকান খুললেও খদ্দেরের অভাবে সেভাবে মিষ্টি তৈরি হচ্ছেনা। অতএব বাড়িতেই অনভ্যস্ত হাতে রসগোল্লা তৈরি করতে শুরু করলেন পেশায় গ্রামীণ চিকিৎসক পশ্চিম মঙ্গলকোটের গণপুরের প্রেমানন্দ মুখার্জ্জী।সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় স্ত্রী ও কন্যা।
       প্রেমানন্দ বাবু বললেন - সুগার সমস্যা থাকলেও রসগোল্লার লোভ নিয়ন্ত্রণ করা বাঙালির পক্ষে কষ্টকর। ছানার দাম কম। তাই বাড়িতেই একটু চেষ্টা করলাম। ভোজ বাড়িতে মিষ্টির কারিগরদের দেখে যেটুকু শিখেছিলাম সেটাই একটু প্রয়োগ করলাম।দাদুর তৈরি মিষ্টি খেয়ে দুই নাতনি অনসূয়া,ইন্দুতো খুব খুশি।
           ফুচকা ছাড়া  মেয়েদের জীবন কল্পনা করা খুবই কষ্টকর। যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিয়ে বাড়ি, মেলায় ফুচকার স্টলের সামনে মেয়েদের ভিড় দেখলে সেটা বোঝা যায়।দিন দিন  চাহিদা বাড়তে থাকায় প্রায় প্রতিটি গ্রামে ফুচকা বিক্রেতারা হাজির হয়ে যাচ্ছে।লকডাউনের জন্য ফুচকা বিক্রি বন্ধ।
        সেই অভাব মেটাতে ও রসনা তৃপ্তি ঘটাতে শাশুড়ি ও ননদকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িতেই ফুচকা তৈরি করে ফেললেন পশ্চিম মঙ্গলকোটের জালপাড়ার গৃহবধূ মল্লিকা পাল। 
        সলজ্জ কণ্ঠে মল্লিকা দেবী বললেন - অনেক দিন ফুচকা খাওয়া হয়নি। কথাটা বলতেই শাশুড়ি উৎসাহ দিলেন। ইউটিউব দেখে শেখা বিদ্যা কাজে লাগালাম। শাশুড়ি-ননদ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।
        ফুচকা খেয়ে বাড়ির একমাত্র জামাই পেশায় শিক্ষক বরুণ বাবুতো খুবই উচ্ছ্বসিত। তিনি বললেন- প্রথমবার হলেও ফুচকার স্বাদ খুবই ভাল হয়েছে। আসলে চেষ্টা করলে বাঙালি সবই পারে।

হলদিয়ার ভবানিপুরে মুদির দোকানে চুরি

জুলফিকার আলি
  

হলদিয়া :::হলদিয়ার ভবানীপুর থানা এলাকায় গতকাল  রাত্রে মুদি দোকানের তালা ভেঙে দুঃসাহসিক চুরি। লকডাউন পিরিয়ডে এখন খাদ্য সংকটে ভুগছে বহু পরিবার ,তার মধ্যেই এই চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এলাকায় । সকালে খবর পেয়ে দোকান খুলতে এসে দেখে যে শাটারের তালা ভাঙ্গা ।তালা ভেঙে শাটার তুলে সমস্ত মালপত্র নিয়ে চম্পট দিয়েছে চোর।ঘটনাটি ঘটেছে হলদিয়ার ব্রজলালচক মোড়ের কাছে । দোকানের মালিক শ্রীকান্ত দাস ভবানীপুর থানায় লিখিত আবেদন করেছেন। শ্রীকান্ত দাস জানেন যে তার দোকান থেকে কাল রাতে প্রায় 5 লক্ষ টাকার জিনিসপত্র চাল-ডাল তারপরে বিভিন্ন মুদিখানা জিনিসপত্র সব পুরো ফাঁকা করে দিয়েছে। বাজার কমিটির সম্পাদক প্রোসেনজিত ভৌমিক জানান যে এইরকম একটা দোকান গতকাল রাত্রে চুরি হয়েছে ।দোকানটি একটু আড়ালে দিকে ছিল ওখানে লোকজন সাধারণত কম যাতায়াত করে তবে আমরা তদন্ত করতে ভবানীপুর থানার পুলিশকে  বলেছি। ঘটনাস্থলে ভবানীপুর থানার পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করে। 


বিকেল হলেই এখন কালবৈশাখী ঝড়

জুলফিকার আলি

  

কিছুদিনের মধ্যেই আছড়ে পড়তে পারে ঘুুর্ণীঝড় আম্ফান,আর তাঁরই প্রভাব এই ঝড়বৃষ্টি, এমনই কথা শোনা যাচ্ছে মানুষের মুখে মুখে, আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই নেটিজেনরা সেটাই মনে করছেন। আজ বিকেল থেকে ঝড় ও বৃষ্টিপাত শুরু হয় জেলার বিভিন্ন এলাকায়। তবে কেউ কেউ মনে করছেন ঘুুর্ণীঝড় আম্ফানের প্রভাব কেউ বা বলছেন কালবৈশাখী। সারা জেলাজুড়েই কালবৈশাখীর প্রভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়। কালোমেঘ ঘনিয়ে নেমে আসে অন্ধকার ,তারপরেই মুশলধারায় বৃষ্টি। এমনিতেই মহামারী ভাইরাসে বিধ্বস্ত জনজীবন, তাঁরওপর ঝড়বৃষ্টিতে সবকিছু তছরুপের আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER