মানস দাস,মালদা
পরীক্ষা হয়েছিল 2017 এর নভেম্বরে। প্রায় পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও বের হয়নি ফল। চরম অনিশ্চয়তার মুখে সাড়ে তিনশো ল পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ। আবারও কাঠগড়ায় গৌড়বঙ্গের উদাসীনতা । দ্রুত রেজাল্ট বের করার দাবি জানিয়ে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্বাগত সেনের দ্বারস্থ হন ল কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দূর্জয় প্রসাদ । দীর্ঘক্ষণ উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। বালুরঘাট ল কলেজের বিভিন্ন সেমিস্টারের পরীক্ষার রেজাল্ট বের করতে বিশ্ববিদ্যালয় গড়িমসি করছে বলে তিনি উপাচার্যকে অভিযোগ করেন। রেজাল্ট সময়মতো বের না করতে পারলে কলেজের অ্যাফিলিয়েশন সমর্পন করার হুঁশিয়ারিও তিনি দেন বলে খবর। এর জবাবে, বিষয়টি দেখা হবে বলে ল কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে জানান উপাচার্য। এদিকে রেজাল্ট না বেরোনোয় ঘোর বিপাকে পড়েছেন প্রায় সাড়ে তিন'শ র পড়ুয়া। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছর নভেম্বরের 15 তারিখ থেকে শুরু হয় ল কলেজের বিভিন্ন সেমিস্টারের পরীক্ষা । ছ'টি সেমিস্টারের পরীক্ষা শেষ হয় ডিসেম্বরের 4 তারিখে। এতদিনেও রেজাল্ট না বেরোনোয় আতান্তরে পড়েছেন পড়ূয়ারা। পরবর্তী সেমিস্টারের পঠনপাঠনও শুরু করা যাচ্ছে না বলে খবর। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা দশম সেমিস্টারের ছাত্রছাত্রীদের । রেজাল্ট না বেরোনোয় কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের বিষয়ে সমূহ সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের । যদিও তাতে গৌড়বঙ্গ কর্তৃপক্ষের বিন্দুমাত্র হেলদোল নজরে পড়েনি। দেখছি দেখব ছাড়া আর কোনও আশার বাণী কর্তৃপক্ষ শোনাতে পারেনি বলে খবর। গোটা ঘটনায় উপাচার্যের উদাসীন মানসিকতাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে ল কলেজ কর্তৃপক্ষ । বিষয়টি ল কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি তথা তৃণমূল সাংসদ অর্পিতা ঘোষকে জানবেন বলে জানিয়েছেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দূর্জয় প্রসাদ । এদিকে বিষয়টি নিয়ে সাংসদ অর্পিতা ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, " এই মূহূর্তে দিল্লিতে আছি। বালুরঘাটে ফিরে কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও কথা বলব।" তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন আঠেরো মাসে বছর চালে আরও একবার ছাত্রছাত্রীদের কপাল পুড়ল সন্দেহ নেই ।